নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার জমিদার রিফাত

রিফাত

বাংলার জমিদার রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাল্যবিবাহ! স্বপ্ন পুড়ছে হাজারো নারীর!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:২৬

বাল্যবিবাহ! কতটা ঝুঁকিপূর্ন একটা নারীর জীবন?



(রিফাত )



বাল্যবিবাহ নিয়ে লিখতে গেলে ই প্রশ্ন আসবে হরমায়েশ ই তো আপনার চোখের সামনে ঘটছে এই ঘটনা ,প্রশ্ন হলো আপনারা কি কিছু করার নেই?



আজ ওই বিষয়টা নিয়ে আমি লিখি নি লিখেছি ওই একটা অভিশাপে কতটা অভিশপ্ত নারীর জীবন।



ছেলে হোক আর মেয়ে হোক প্রতিটা মানুষের ই নাগরিক হিসেবে সমান অধিকার ।



আর সেই অধিকার গুলো মধ্যে শিক্ষা ,চিকিতসা,খাদ্য বাসস্থান অন্যতম।

এছাড়া ও মানুষ হিসেবে রয়েছে ব্যাক্তি স্বাধীনতা।



প্রশ্ন হলো এই সব কিছু কি নারী পাচ্ছে?



যদিও বর্তমান সরকারের প্রধান মন্ত্রী এই ব্যাপারে সদা ততপর কিন্তু ঘরের খবর তো আর মন্ত্রী জানেন না তবে কি করে একটা দেশের নারীরা উন্নতির শিখড়ে পৌছবে যেখানে কি না শুরুতে ই ধকল খেতে হয়।



ছেলের বয়স ৩২ কি ৩৩ মেয়ের ১৪ কি পনের ।

যেটা কে আইনের ভাষায় বাল্যবিবাহ বলে ।



যত টুকু আমি জানি একটা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের সাথে একটা প্রাপ্ত বয়স্ক বলতে বয়সের অনেক ডিফারেন্স কোন ভাবে শুভ বুদ্ধির উদয় ঘটাতে পারে না।



এমন ও দেখেছি বাল্যবিবাহের কারনে অনেক মেয়েকে ই হারাতে হয়েছে তার মূল্যবান জীবন।



এই বিষয় টা নিয়ে লেখার আগে কথা বলেছিলাম একজন গাইনী বিষেশজ্ঞের সাথে তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন একটা অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে ২০ বছরের নিচে মেয়ে মা হওয়াটা অনেক ঝুঁকিপূর্ন।



এমন কি একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক নারী জন্মদিতে পারেন একটা অপুস্ট শিশু।



এছাড়া আরো নানা জটিলতা তো থাকছে ই।



যতটুকু বুঝলাম ১৮ বছরের নিচে নারীকে বিয়ে দেওয়া মানে একটা মেয়ের জীবন ধ্বংশ করা ছাড়া আর কিছু ই নয়।



এছাড়া ও বিয়ের পর অধিকাংশ মেয়ে ই পায় না সেই মূল্যবান মৌলিক শিক্ষার অধিকার।



একটা সময় গ্রামাঞ্চলে প্রবনতা ছিলো মেয়েকে না পড়িয়ে রান্না শিখালে বোধয় খুব কাজে আসবে ।



কেনো না দুদিন পর তো পরের গোলামী ই করতে হবে তাকে।



কিন্তু বেগম রোকেয়া শাখায়াত সেই ধারনাকে পাল্টে দিয়েছিলেন।



জাগো নারী জাগো বন্ধী শিখায়।



কিন্তু প্রশ্ন হলো আজ ও নীরবে চোখের আড়ালে অনেক নারীর জীবনে ই এমন দূভাগ্য নেমে আসে যা আমাদের সূশীল সমাজের নাকের ডগায় ই প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে।



অতচ সূশীল সমাজ নীরবতা কে ই বেঁছে নেন আবার কিছু সূশীল এই ফাঁকে কিছু কামিয়ে ও নেন।



আমি তাদের সূশীল সমাজে রাখলাম যারা প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় বড় বড় কথা বলে বেড়ায়।





বাল্যবিবাহের অভিশাপে একজন নারী কখনোই তার সকল মৌলিক অধিকার যে পায় না তা আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি।



এবার প্রশ্ন হলো আপনি কি চান আপনার সন্তান ,আপনার মেয়ে বাল্যবিবাহের স্বীকার হউক?



আপনি কি চান আপনার বোন বাল্যবিবাহের অভিশাপে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারুক?



যিনি বাল্যবিবাহ করছেন তার কাছে প্রশ্ন আপনি কি জানেন বাল্যবিবাহ একটা নারীর জীবনে কত বড় অভিশাপ?



প্রশ্ন আপনি কি নারীকে ভোগ পন্য ভাবেন নাকি সম্মান করেন?



এ সব প্রশ্ন হয়তো প্রশ্ন ই থেকে যাবে ,সমাজ থেকে হয়তো বাল্যবিবাহ পরিহার করা সম্ভব নয় ,কেনো না প্রশাসনের কঠোর অবস্থান থাকলে ও পর্দার অন্তরালে ,লোকচক্ষুর অন্তরালে ঘটছে এমন ভয়াবহ ঘটনা ।



আর এক নারীর জীবনের স্বপ্নগুলো নিমিশেই ভেংগে যাচ্ছে নিমিশেই।



একজন নারীর স্বপ্ন নিমিশেই ভেঙ্গে চুড়মার হয়ে যাচ্ছে।



এবার একটু ভিন্ন প্রশ্ন করতে পারেন ,প্রশ্ন আসতে পারে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন তাড়াতাড়ি সে ইভটেজিং এর স্বীকার হতে পারে।



কিন্তু ইভটেজিং থেকে বাঁচতে প্রশাসনের স্বরনাপন্ন হতে পারবেন আপনি কিন্তু যদি আপনার সন্তান সেই নারী যদি সারা জীবনের জন্য পড়পারে চলে যায় আপনার ভূলে তখন ?

আপনি কি সেটা ই মেনে নিবেন?



হয়তো ওই নারী হতে পারতো পৃথিবীর ক্ষমতাধর কোন ব্যাক্তি।



তাই সকলের প্রতি অনুরোধ জানাবো বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে প্রশাসনকে সহায়তা করুন।

আপনার আমার একটু সচেতনতা ই একটি মেয়ের স্বপ্ন বাঁচাতে বিশাল ভূমিকা রাখবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.