নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার জমিদার রিফাত

রিফাত

বাংলার জমিদার রিফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবহেলিত শিশু!

০৮ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:৫৭

এক পথ শিশুর , গল্প বলি শোন, পথেই খায় সে, পথেই
ঘুমায়। ঘর, বাড়ি,ঠিকানা, নাই তার কোন ।

হা ঘর বাড়ির ঠিকানা নেই,আছে শুধু বুক ভরা কস্ট আর যন্ত্রনা সহ্য করার অসীম ক্ষমতা,তারা ই যে পথ শিশু।

ছবিতে যে শিশুটিকে দেখছেন সে শিশুটি একজন পথ শিশু।

ঘুমায় রেল স্টেশনে ,খায় ও রেল স্টেশনে,

এরা ঘৃনা ,ধিক্কার পারে না সহিতে

এসেছে নেশার জগতে। তবু আছে এরা বেঁচে।

ও এমন করে তাকিয়ে আছে কখন ট্রেন আসবে আর কখন ট্রেন থেকে বতল কুড়াবে,মানুষের ব্যাগ নামাবে সেই আশায়।

আর সেই বতল আর ব্যাগ নামানোর টাকা দিয়ে কিনে খাবে খাদ্য ।

কিন্তু এই শিশুটির এই বয়সে থাকার কথা বাসা বাড়িতে ,হাতে বস্তা নয় ,থাকার কথা বই।

কিন্তু কেন তাদের এই পরিহাস?

ওর চেয়ারাটা ই যেনো কেমন অপূর্নতার ভাব।

ওদের সাথে ই খারাপ ব্যাবহার করে বড়লোকের ছেলেমেয়েরা।

মানুষের মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত এরা।

কটা টাকার জন্য,জীবিকা নির্বাহের জন্য এরা ছুটে যায় মানুষের দ্বারে দ্বারে।

মানুষ এদের অবহেলা করে ,ঘৃনার দৃস্টিতে দেখে ।

ওদের ও তো জীবন,ওরা ও তো মানুষ।

অবহেলিত সেই শিশুগুলো আজ ও জানে না কি তাদের ভবিষ্যত।

এরা স্বপ্ন দেখে,তবে খোলা আকাশের নিচে,এরা ঘুমায় খোলা আকাশের নিচে।

কি রৌদ্র ,কি বৃষ্টি, আকাশের প্রানে ই যেনো তাদের দৃস্টি।

ওদের পড়নে নেই ভালো জামা,কাপড়।

ওরা ডাস্টবিন থেকে কুড়িয়ে খায়,

আর আমাদের বড়লোকেরা ছেলেমেয়েদের কিনে দেন পাঁচ হাজার টাকা দামের শার্ট ,প্যান্ট।

মেয়েরা তো ৫০০০,১০০০০ টাকার জামা ছাড়া পড়েন ই না।

তা ও আবার মাসে কয়েকবার্।

আর ওই অভাগা শিশুগুলো একটা ছিড়ে জামা পড়ে বছর পার করে দেয়।

ওদের পায়ে নেই দামি জুতো,চোখে নেই দামি সানগ্লাস।

তবু এরা বেঁচে আছে,এরা ও স্বপ্ন দেখে।

হয়তো বড়লোকেরা স্বপ্ন দেখে ওরা জজ,ব্যারিস্টার হবে,আর ওই শিশু গুলো স্বপ্ন দেখে কোন ভাবে দিনটা কেটে গেলে ই বাঁচি।

সত্যি অদ্ভুত এই পৃথীবি ,আমরা খাবার ডাস্টবিনে ফেলে দেই ,কিন্তু ওদের দেই না।

আমরা ওদের ভিন্ন চোখে দেখি,গালাগাল দেই টাকা ভিক্ষা চাইলে।

ওরা এছাড়া কি করবে?

যারা ওদের সাথে খারাপ ব্যাবহারের ছলে বলেন ,যা গিয়ে কাজ করে খা।

তাদের বলি পারলে আপনি একটা কাজ দিয়ে দিন তাদের।

এক অসহায় ,শিশুকে প্রশ্ন করেছিলাম ,

তোমার স্কুলে যেতে ইচ্ছে করে না ?

জবাবে:- কেনো করবো না কন?কিন্তু কে পড়াইবো আমাগরে।

আমাগোতো কেউ নাই।

ঐ দিন এক স্পটে গিয়ে দেখি অদ্ভুত এক দৃশ্য ,একটা শিশু একটা লোকের কাছে টাকা চাইলে সে তাকে বলে নাই নাই সড় এখান থেকে।

অথচ কিছুক্ষন পর প্রেমিকা আসার পর তাকে দামি আইসক্রিম কিনে দিলো।

তখন কোথা থেকে আসলো সেই টাকা ?

হয়তো শিশুটা মিনুতি করে বলেছে স্যার আমারে কয়ডা টাহা দেন ভাত খামু,কিন্তু সেটা আপনার বিবেক নাড়া দিছে,আপনি ভাবছেন ভিক্ষা দেওয়া পাপ। অথচ ওর সত্যি পেটে খুব ক্ষিধা ।

প্রেমিকার পিছনে টাকা খরচ করলে সেটা আপনার বিবেক কে বিতাড়িত করে নাই।

কারন সে আপনার ভালোবাসা,কেনো শুধু ভালোবাসা টা কে ছোট করছেন,

ঐ পথ শিশুদের ভালোবেসে দেখুন না ,

ওরা ই আপনাকে সত্যিকারের ভালোবাসা দেবে।

ওদের হৃদয়ে রয়েছে অফুরন্ত ভালোবাসা।

দামি ক্যামেরা নেই আমার,নেই লেখার কোন মাধ্যেম ।

তবু ও আমি লিখি।

ফেসবুক আর ব্লগার ওয়েবসাইটে লিখে তো আর ওদের দু:খ দূর করা সম্ভব নয়।

কিন্তু ওদের দু:খ ভাগ করে নেয়াটা সম্ভব।

আসুন না আমরা একটা দামি জামা না কিনে সেখান থেকে টাকা বাঁচিয়ে কিনে দেই ওদের পোশাক।

খাবার অপচয় করার আগে একটিবার স্মরন করি তাদের,যারা দুবেলা,দুমুঠো খাবারের জন্য যুদ্ধ করে।

আসুন স্বেচ্চায় ওদের পাশে দাড়াই

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

রোদেলা বলেছেন: গদ্য না পদ্য বুঝতে পারছিনা,তবে বিষয় বস্তু ছুঁয়ে গেলো।

২| ১২ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৬

বাংলার জমিদার রিফাত বলেছেন: গদ্য ও না পদ্য ও না ,এটা ই বাস্তবতা!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.