| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাইক কেনার টাকা চেয়ে পিতার নিকট পত্র!
প্রিয় আব্বা,
পত্রের প্রথমেই আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে সালাম নিবেন।
আশাকরি পরম করুনাময়ের কৃপায় ভাল আছেন,আমি ও ভাল থাকার চেস্টা করে যাচ্ছি!
আব্বা আধুনিকতার যুগে সাইকেলের পেডেল মেরে ভার্সিটিতে যাওয়া নির্তান্ত ই বোকামী ছাড়া কিছু নয়!
আব্বা প্রযুক্তির এই যুগে আমি অনেক পিছিয়ে ই আছি,স্মার্ট যেই জিনিস সেটা ই আজো লব্দ করতে পারি নি!
না না আব্বা ঘাব্রানোর কিছু নই,আধুনিকতার নামে ঐ যে বেহায়াপানা সেই দিকে ও নজর দেই নি।
ভাবছেন পত্রখানা লিখতে গিয়ে এতো কিছু উল্লেখ করছি কেনো? আবার না করে ই বা উপায় কি
এই তো সেদিন কামাল সাহেব তার মেয়ের বার্থডেতে সকল বাইকধারী বন্ধুদের দাওয়াত করেছে কিন্তু আমি আর রাসেল কে দাওয়াত করেনি।
আব্বা আপনি মনে মনে ভাবছেন আপনার টাকা নিয়ে বোধয় পার্কে ঐ পিচাশীদের নিয়ে সময় পার করি, আর করবেন ই না বা কেনো, মাঝে মাঝে আমি নিজেই তাদের কান্ড দেখে অবাক হয়ে যাই।
না না আব্বা বাইক কিনে দিলে ই যে আমার কপালে ও এমন কিছু ঘটবে এমন টা নয়।
আব্বা সেদিন আদনান দের কি বাইক জেনো এপাছি না ক্ষেপাছি টা নিয়ে দূরন্ত গতিতে ছুটে চলছে, আমি ও জ্যামে আটকা পরে পরীক্ষার সময় খুব নিকটে নিয়ে এসেছি,ভাগ্যিস তার বাইকে করে আমাকে সময় মত পৌছে দিয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্রে।
আব্বা ও যখন বাইক চালায় তখন বুকের ভিতর ধপ্পর, ধপ্পর করে।
যা ই হোক আব্বা, আমি কিন্তু বলিনি যে আমাকে বাইক কিনে ই দিতে হবে।
তবে জানেন আব্বা বাইকটা যে খুব দরকার সেটা সেদিন ঐ যে পরীক্ষার খুব নিকটে সময় গড়িয়ে গেলে বন্ধু পৌছে দেয় নাইলে আমার অবস্থা শেষ।
তখন ই সেটার গুরুত্ব টের পেয়েছিলাম।
যা ই হোক আব্বা ঐ যে ফুলমতির কথা কি আপনার মনে পরে, একবার ওর ভাইয়ের বাইকটাতে আমি উঠেছিলাম আর সে বলেছিলো বাইক আলগামু কিনা।
এর পর ঐ যে ফুলমতি বলেছিলো বাইক কেনার মুরুদ নাই যার,তার আবার প্রেম করার স্বাদ!
আব্বা লজ্জার কথা হলে ও সত্য বলতে আমি সদা অবিচল আপনি তো জানেন ই।
যা ই হোক আব্বা আপনি যদি মনে করেন বাইকটা আমার দরকার তবে একটা আর এস্ক হলে ও কিনে দিয়েন।
চাইনা ফুলমতির প্রেম, গ্রামের কোন খেঁটে খাওয়া কৃষকের মেয়েকে নিয়ে ই না হয় পুরো গ্রামটা একবার চক্কর দিবো।
যা ই হোক বেয়াদবী হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপনার প্রতি উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম।
ইতি, আপনার আদরের ধন।
আই এম ক্ষেত!
©somewhere in net ltd.