নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলার মাহাথির

বাংলার মাহাথির › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিনেমার বিলবোর্ড

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

গত পরশুর কথা। ফিরছিলাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আসার সময় পথে চোখ পড়ল একটি সিনেমা হলের সামনে বিলবোর্ডে। সিনেমা হলের নাম সম্ভবত আজাদ। বাইরে বিশাল বিলবোর্ড সাঁটানো, মুভির নাম দেহরক্ষী। শহরাঞ্চলে যারা থাকেন তাদের সবার চোখেই এই ফিল্মের বিজ্ঞাপন চোখে পড়ার কথা। যাই হোক, এবার বলার চেষ্টা করব ঐ বিলবোর্ডের ছবিটি কেমন ছিল, যদিও জানি আমি চাইলেও ঐ বিলবোর্ডের ছবিটির পুর্ণ বিবরণ দিতে পারবোনা। সবার মাঝখানে অভিনেত্রী ববির বিশাল ছবি। নাভির নিচ থেকে নাভির উপর এক বিঘত পর্যন্ত শরীর প্রদর্শন। গলার নিচেও যথাসাধ্য ফাঁকা রাখার জোর প্রচেষ্টা চলানো হয়েছে এবং মোটামুটি গলার হাড় থেকে নিচের দিকে ৪-৫ আঙ্গুল পর্যন্ত ফাঁকা রাখা হয়েছে। তার উপরের দিকে মারুফ এক হাতে রিভলবার বাগিয়ে আছে। আরো কিছু রোমান্টিক(?) এবং মার মার কাট কাট টাইপের ছবির খন্ডাংশ দিয়ে বিলবোর্ডটি সাজানো হয়েছে।



আমার উপরের বিবরণ দেখে কেউ কেউ হয়ত আমাকে গালি দেয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে চলেছেন যে, কেন আমি এইরকম সুড়সুড়ি জাগার মত বর্ণনা দিলাম। আচ্ছা বলুন তো, আমার এই লেখা কয়জনে পড়বে? পাঠক সংখ্যা সবমিলিয়ে কোনমতেই হাজার ক্রস করার সম্ভাবনা নেই। কিন্তু আমি যে বিলবোর্ডের কথা বললাম, তা কিন্তু প্রতিদিন কমপক্ষে কয়েকলক্ষ মানুষ দেখছে। এবার আসুন, আচ্ছা আমার সর্বোচ্চ হাজারখানেক মানুষের মনে সুড়সুড়ি জাগানোর প্রচেষ্টা(?) যদি দোষের হয় তাহলে যারা কোটি কোটি মানুষের সুড়সুড়ি জাগানো থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছুর জন্য নিজেদের মেধা-শ্রম সবকিছু দিয়ে সাধনা করে যাচ্ছে, তাদের কি করা উচিত?



যতই আইন করা হোক আর যাই করা হোক এসবের শেষ না করা পর্যন্ত সমাজের নারী নির্যাতন, ধর্ষণ কোন প্রকারেই বন্ধ করা যাবেনা। নারীবাদী নামের মানুষগুলো (আসলে মানুষের গুণাবলী তাদের মধ্যে আছে বলে অন্তত আমি বিশ্বাস করিনা) আসলে নারীদের নিয়ে ব্যবসাই করছে।



একটি তরুণ যুবক যখন এই ছবি দেখে (সিনেমা দেখার কথা বলছিনা, কেবলমাত্র বিলবোর্ডের ছবি দেখার কথা বলছি) তার মনে যখন কোন কুচিন্তা জাগবে, এবং তা বাস্তবায়নের জন্য যখন সে চেষ্টা চালাবে আইন তখন আবার তাকে অপরাধ বলবে। এই বাস্তবতাবিবর্জিত আইন প্রণেতাদের কাছে আমার প্রশ্ন, আপনারা গাছকে ঠিকমত বড় হওয়ার সুযোগ দিয়ে সেই গাছে ফল ধরাকে অপরাধ জ্ঞান করছেন কোন বিবেচনা থেকে? এইসব হল আইনের নামে শয়তানি।



আরে আপনার যখন ইচ্ছে আপনি নারী নির্যাতন বন্ধ করবেন তখন গোড়ায় হাত দিচ্ছেন না কেন? গোড়া না কেটে কিছু দিন পরপর ডাল পালা পরিষ্কার করে কোনদিনই গাছের কোন ক্ষতি করা যাবেনা।



কিন্তু আমি জানি আপনারা এই কাজ করবেননা।



কারণ আপনারা নারীবাদী নন, প্রকৃত পক্ষে আপনারা নারী ভোগবাদী।



শিয়াল তো সবসময়ই চাইবে যে, ভুলিয়ে ভালিয়ে মুরগীকে খাচার বাইরে নিয়ে আসতে। তাই না

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৪৬

এন ইউ এমিল বলেছেন: এমন অনেক কিছুই হবে যা কেউ ভাবেনি আগে

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

বাংলার মাহাথির বলেছেন: হুমম

২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৫

রাফসান বড়ুয়া বলেছেন: ভালো

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

বাংলার মাহাথির বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:০৫

নিজাম বলেছেন: ঠিক বলেছেন।

৪| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

আহমেদ আলিফ বলেছেন:
কারণ আপনারা নারীবাদী নন, প্রকৃত পক্ষে আপনারা নারী ভোগবাদী।
চমৎকার বলেছেন !
এখনই আবার নারী দরদীরা আপনাকে বলে বসবে "আপনার মা-বোন নাই?"

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১১

বাংলার মাহাথির বলেছেন: বলবে, যদি তাদের ঘরে বাপ ভাই না থেকে থাকে

৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

সোহেল রনি বলেছেন: আমার জানামতে ২০০০সালের আগে পরের কিছু বছর বাংলা সিনেমা সবচেয়ে কলুষিত সময় পার করেছে, ময়ুরি,মুনমুন,মেহেদিদের সময় সিনেমার পোষ্টার কিংবা নাম দুটাই অশ্লিল ছিল।

এখন অনেক উন্নতি হয়েছে বলা যায় না বাট ফারুকি, অনন্তদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে বাংলা চলচিত্র এটা আশা করি।

বাংলা চলচিত্র এবং পোষ্টার হোক অশ্লিলতা মুক্ত।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

বাংলার মাহাথির বলেছেন: আমি জানিনা আপনার মতামত কি, তবে আমার মনে হচ্ছে ফারুকী হচ্ছে সাপের মত। একেবারে ঠান্ডা, কিন্তু আসলে ডেঞ্জারাস

৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

আদম_ বলেছেন: প্লাস নেন।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৫

বাংলার মাহাথির বলেছেন: ধন্যবাদ

৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:০৩

রাজীব বলেছেন: যত যাই বলুন, যখন স্বাভাবিক কে অস্বাভাবিক দিয়ে প্রথিস্থাপন করা হয় তখনই সমস্যা হয়। প্রকৃতি তার নিজস্ব নিয়মে চলে, একে বদলাতে নেই।

পুরুষের শারিরীক চাহিদা একটি নির্দষ্ট বয়সে সৃষ্টি হয়। ২০-৩৫ বছর বয়স হলো সেই চাহিদের সবচেয়ে পিক সময়। অথচ আমরা এমন একটি সমাজ তৈরী করেছি যেখানে ৩৫ এর আগে খুব কম ছেলেদেরই বিয়ে হয়। তাহলে এই পিক সময়টা কাটবে কিভাবে? মানুষের জৈবিক চাহিদা প্রকৃতি প্রদত্ত।

এবার বলুনতো কয়জন বিবাহিত পুরুষ ধর্ষন করে???

সময়মতো বিয়ের ব্যবস্থা তৈরী করার কোন বিকল্প নেই।

০৫ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৬

বাংলার মাহাথির বলেছেন: একমত

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.