| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলার তৌহিদ
সব সময় দেশের স্বার্বভৌমত্ব নিয়ে চিন্তা করি কারন দেশের আকাশে ১৯০৫-১৯১১ সালের কালো শকুনটি আবারো হানা দেয়ার জন্য প্রতিনিয়তই চেষ্টা করছে।কথা দিলাম নিজের দেশের উপরে নজর দেয়া কালো শকুনটিকে শেষ রক্ত বিন্দু দিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করবো।
গত ২০১২ সালের সেপ্টেম্বরে পকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে মুখে এবং মাথায় তালেবানরা গুলি করেছে বলে একটি খবর বিশ্ব মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। ওই হামলার পর বিশ্বব্যাপী তালেবানের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে। খবরটিও স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোতে ব্যাপক গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করা হয়।
প্রথমে পাকিস্তান এবং এরপর ইংল্যান্ডের কতিপয় ডাক্তারের আপ্রাণ চেষ্টার পর মালালা কোনোমতে বেঁচে যান। ডাক্তাররা মালালার মুখ ও মাথায় বেশ কয়েকটি সার্জারির মাধ্যমে তার প্রাণ রক্ষা করেন।
বর্তমানে মালালা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। পকিস্তানের নারীদের শিক্ষার অধিকারের জন্য তিনি আমৃত্যু লড়াই করবেন বলে বারবার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করেছেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের যে এলাকাগুলোতে তালেবানরা নারীদের বিদ্যালয়গুলোকে বোমা মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু মালালা সম্পর্কে এই জানা কাহিনিটুকু পুরো গল্পের মাত্র একটা দিক। যেদিন মালালাকে তালেবানরা গুলি করেছে সেদিন আসলে প্রকৃতই কী ঘটেছিল তার বেশিরভাগই পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো বিকৃত করে প্রচার করেছে।
চলতি বছর এপ্রিল মাসে ডন ডটকম তাদের একটি প্রতিবেদক দলকে পাঁচ মাস ধরে ঘটনাটির একটি গভীর তদন্ত করার জন্য পাঠায়। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ধারাবহিকভাবে অসংখ্য চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসতে শুরু করে। এসব তথ্য-উপাত্ত মালালা সম্পর্কে মূল ধারার গণমাধ্যমে যে গল্প প্রচলিত আছে তাকে চ্যালেঞ্জ করে বসে।
ওই অনুসন্ধানে প্রাপ্ত প্রধান তথ্যগুলো হলো-
মালালার জন্ম পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায় হয়নি। এমনকি তিনি ধমনীতে পশতুন উপজাতির রক্তও বহন করেন না। পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকার এক প্রাইভেট হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের মালিক ইমতিয়াজ আলী খানজাই নামের এক সম্মানিত ডাক্তার ডন-এর প্রতিবেদকদের জানান, তার কাছে মালালার একটি ডিএনএ রিপোর্ট রয়েছে তাতে প্রমাণিত হয়, মালালা পশতুন উপজাতি বংশীয় নন। এই ডাক্তার স্থানীয়ভাবে খুবই সম্মানিত একজন ব্যাক্তি।
তিনি জানান, মালালা ছোটবেলায় একবার কানের অসুখ নিয়ে তার কাছে এসেছিলেন। আর সে সময়ই তিনি মালালার ডিএনএ সংগ্রহ করে রাখেন। ওই ডাক্তার বলেন, ‘গত বছর মালালাকে গুলি করার পর আমার মনে পড়ে যে একটি বোতলে আমি মালালার কানের ময়লা ভরে রেখেছিলাম। আর রোগীদের কানের ময়লা সংগ্রহ করে রাখাটা আমার একটা শখ ছিল।’
তিনি দাবি করেন, মালালার ডিএনএ রিপোর্ট থেকে প্রমাণিত হয়, মালালা ককেশীয় নৃগোষ্ঠীর বংশগত বৈশিষ্ট্য বহন করছেন। সম্ভবত ইউরোপের পোল্যান্ডের কোনো পিতা-মাতার বংশগত বৈশিষ্ট বহন করছেন তিনি। ডাক্তার জানান, এই আবিষ্কারের পর তিনি মালালার বাবাকে ডেকে পাঠান এবং তাকে জানান, তিনি মালালার আসল বংশগত পরিচয় জানেন।
‘একথা শুনে মালালার বাবা থতমত খেয়ে যান এবং আমাকে অনুরোধ করেন যেন আমি জনসম্মুখে এ তথ্য ফাঁস না করি। আমি তখন তাকে কথা দেই যে, আমি তা করবো না। তবে শর্ত হল আমাকে পুরো কাহিনি খুলে বলতে হবে’ যোগ করেন ডাক্তার।
মালালার বাবা তখন ডাক্তারকে জানান, মালালার প্রকৃত নাম হল জেন এবং ১৯৯৭ সালে পূর্ব ইউরোপের হাঙ্গেরিতে তার জন্ম হয়। তারা প্রকৃত বাবা-মা ছিল দুজন খ্রিস্টান মিশনারির লোক। তারা ২০০২ সালে পাকিস্তানের সোয়াত ভ্রমণে উপত্যকায় আসেন। সে সময় মালালার বর্তমান বাবা-মা গোপনে খৃষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হন। আর এর পুরস্কার হিসেবেই তাদেরকে ওই মিশনারির পক্ষ থেকে মালালাকে দান করা হয়।
ডন-এর প্রতিবেদকরা ওই ডাক্তারকে প্রশ্ন করেন, তিনি এতদিন পরে এসে কেন মালালার এই গোপন কাহিনী প্রকাশ করলেন। জবাবে তিনি বলেন, তিনি এ বিষয়টি অনুধাবন করতে সক্ষম হন যে, পাকিস্তান-বিরোধী উপাদানই মালালাকে সোয়াতে বীজ হিসেবে রোপন করেছে।
এরপর ওই ডাক্তার আরো দাবি করেন, কথিত মালালাকে যে যুবকটি গুলি করেছে সেও পশতুন উপজাতির সদস্য নন। তিনি বলেন, ‘তার কানের ময়লাও আছে আমার কাছে।’ ওই শুটারের কানের ময়লা থেকে নেয়া ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে তিনিও সম্ভবত ইতালির লোক ছিলেন। এ কথা বলে ডাক্তার ডন-এর প্রতিবেদকদের ওই ব্যাক্তির কানের ময়লা মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখান। তিনি বলেন, ‘কানের ময়লার মাঝে তোমরা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র যে হলুদ টুকরোগুলো এগুলো সব পিজার টুকরো।’
ডাক্তার ডন প্রতিবেদকদের জানান, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে তিনি ডিএনএ পরীক্ষা থেকে প্রাপ্ত এসব তথ্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে ফোন করে জানান।
এর কয়েকদিন পরই পুলিশ তার ক্লিনিকে অভিযান চালায়। এ সময় তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। সেখানেও তিনি রাজ পরিবারের কোনো এক সদস্যের কানের ময়লা সংগ্রহ করছিলেন। পুলিশ তার ক্লিনিকটিতে তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখেও কানের ময়লা ভরা ওই বোতলগুলো পায়নি।
চলতি বছর জুন মাসে এক তরুণ আইএসআই কর্মকর্তা ওই ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করে তার ক্লিনিকে ওই পুলিশি অভিযানের ব্যাপারে ক্ষমা চান। এ সময় ওই তরুণ গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানান, তারা মালালার আসল পরিচয় সম্পর্কে ভালো মতোই অবগত আছেন। ডন-এর প্রতিবেদকরা তার কাছে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তার ফোন নাম্বার চাইলে অনেক জোরাজুরির পর তিনি তা দিতে রাজি হন।
কিন্তু ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা ডন-এর প্রতিবেদকদের সাথে প্রথমে কথা বলতে রাজি হননি। তবে অবশেষে তিনি তার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলতে রাজি হন। ডন প্রতিবেদকরা তার নাম দেন ‘মাস্টার এক্স’। ‘মাস্টার এক্স’ ডন প্রতিবেদকদের একজনের সঙ্গে গোপনে নিম্ন সোয়াতের এক বলিকা বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত ভবনে দেখা করেন। এ সময় ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিজের চেহারা লুকিয়ে রাখার জন্য স্পাইডার ম্যানের মুখোশ পরে আসেন।
ডন প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি জানান, ‘মালালার এ গোপন কাহিনী একদিন না একদিন প্রকাশিত হতোই। এতোবড় বিপজ্জনক একটি বিষয় আর বেশি গোপন করে রাখাটা আমারও সহ্য হচ্ছিল না। আমি একজন সত্যিকার দেশপ্রেমিক।’
এরপর তিনি বলেন, ‘একদা আমার বাবা আমাকে বলেন, ‘পিটার, মহান দায়িত্ব থেকেই মহান ক্ষমতা আসে।’
এরপর তিনি যেসব কথা বলেন তা থেকে মালালা সম্পর্কে আরেকটি ভয়াবহ সত্য বেরিয়ে আসে:
মাললাকে গুলি করার ঘটনাটি একটি সাজানো নাটক। কয়েকটি গোয়েন্দা এজেন্সি এ নাটকটি মঞ্চস্থ করেছে। পাকিস্তানি এবং মার্কিন গোয়েন্দা এজেন্সিগুলো যৌথভাবে এ নাটকটির মঞ্চায়ন করে। এর পেছনে উদ্দেশ্য ছিল উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সামরিক অভিযানের অজুহাত তৈরি করা। পুরো ঘটনাটাই একটা নাটক উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এ নাটকটি মঞ্চস্থ করা হয়েছে যাতে করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী উত্তর ওয়াজিরিস্তানে আগ্রাসন চালানোর অজুহাত খাড়া করতে পারে।’
তাকে জিজ্ঞেস করা হল উত্তর ওয়াজিরিস্তান পাকিস্তান রাষ্ট্রের একটি অংশ হওয়া সত্ত্বেও তিনি ‘আগ্রাসন’ শব্দটি ব্যবহার করছেন কেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘উত্তর ওয়াজিরিস্তান একটি স্বায়ত্ব শাসিত ইসলামি আমিরাত। গত কয়েকশ’ বছর ধরেই তা এরকম ছিল। কিন্তু আমাদের ইতিহাস বইগুলোতে তথ্য বিকৃত করা হয়েছে এবং বাচ্চাদের পড়ানো হয়েছে এটা পাকিস্তানের অংশ। ওই এলাকার মাটির নিচে অকল্পনীয় পরিমাণ তেল, সোনা, কপার, সিলভার, ব্রোঞ্জ, কয়লা, হীরা, গ্যাস এবং ডায়নোসরের ফসিল রয়েছে। আর মার্কিনিরা এসব খনিজ সম্পদই পেতে চায়।’
ডন প্রতিবেদকরা এরপর তাকে জিজ্ঞেস করেন, তার এসব দাবির পেছনে কোনো প্রমাণ আছে কিনা। জবাবে ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা কিছু ছবি দেখান। ছবিগুলো ডায়নোসরের হাড়ের বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো জানান, ‘তালেবান প্রত্নতাত্ত্বিকরা ডায়নোসরের এ হাড়গুলো উত্তর ওয়াজিরিস্তানের বিভিন্ন এলাকার মাটি খুঁড়ে বের করেছেন। তলেবানের ভূ-তত্ত্ব বিভাগ গবেষণা করে দেখতে পায় যে সেখানে তেল, সোনা, কপার, রুপা, ব্রোঞ্জ, কয়লা, হীরা এবং গ্যাসের মতো খনিজ সম্পদেরও মজুদ রয়েছে।’
এরপর তাকে মালালাকে গুলি করার ঘটনা যে মার্কিন এবং পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাজানো নাটক সে ব্যাপারে প্রমাণ দেখানোর কথা বলা হলো। জবাবে তিনি এক টুকরো কাগজ বের করে বললেন, ‘এটাই প্রমাণ। তালেবানের কোয়ান্টাম ফিজিক্স বিশেষজ্ঞরা এর সংকেতগুলো গবেষণা করে অর্থ উদ্ধার করেছেন’। এতে এক ‘লিব ফিশ’ এবং ‘অয়েল গুলের’ মধ্যে টুইটার চালাচালির স্ক্রিন শট আছে।
ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘লিব ফিশ হলো সিআইয়ের কাতার ভিত্তিক এক এজেন্ট। আর অয়েল গুল হলো লাহোর ভিত্তিক আইএসআইয়ের এক গোয়েন্দার টুইটার আইডি। আর তাদের এই টুইটার চালাচালির বিষয়টি কব্জা করে এর নিহিতার্থ উদ্ধার করেছেন ‘সুনামি মাম্মি’ নামে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনওয়া প্রদেশের সোয়াবি-ভিত্তিক এক প্রকৌশলী।
‘সুনামি মাম্মি’ মালালার কাহিনী নিয়ে একটি বই লিখবে বলেও জানান আইএসআইয়ের ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। সেখানে এ টু জেড সব অজানা কাহিনী উদঘাটন করা হবে। (চলবে...)
লেখাটি সম্পুর্ন rtnn.net নিউজ পেপার থেকে কপি করা হয়েছে
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৬
ভোরের সূর্য বলেছেন: মজা লাগলো গল্পটা শুনে। rtnn.net এর সূত্র ধরে আজকের ডন প্রত্রিকা পর্যন্ত ঘেটে দেখলাম বরং আজকে হামিদ মীর মালালাকে নিয়ে অনেক ভাল কথাই লিখেছেন।একই প্রত্রিকায় দুরকম খবর প্রকাশ হয় কিভাবে?মজা লাগলো তালেবান প্রত্নতাত্ত্বিকরা ডায়নোসরের হাড় মাটি খুঁড়ে বের করেছেন!!!!!!যেখানে বিশ্বের গুটিকয়েক প্রত্নতাত্ত্বিকদের এবিষয়ে ধারণা আছে এবং এসব জিনিস গবেষনা করার জায়গাও হাতে গোনা। যারা যুদ্ধ করে লুকাতে ব্যাস্ত তাদের আবার তালেবান প্রত্নতাত্ত্বিক,ডাইনোসোরের গবেষনাগার এসব বিষয় খুব হাস্যকর!!!