![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার মাঝে আমি একা তবুও আছি সবার মাঝে। থাকতে চাই.. এইতো. আর কিছু না.. এইটুকুই।
কারবালার প্রান্তরে একে-একে যখন সবাই শাহাদাত বরণ করেন, হজরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু কেবল তখন একা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঐ সময়টাতে তাঁর শেষ কয়েকটি কথার কিছু অংশ নিম্নে উদ্ধৃত করলাম।
“হজরত ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “কেন আমাকে হত্যা করতে চাও? আমি কি কোন পাপ অথবা অপরাধ করেছি?” এজিদের সৈন্য বাহিনী বোবার মত দাঁড়িয়ে রইলো। পুনরায় ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, “আমাকে হত্যা করলে আল্লাহর কাছে কি জবাব দেবে ? কি জবাব দেবে বিচার দিবসে মহানবীর কাছে?” এজিদের সৈন্য বাহিনী পাথরের মত দাঁড়িয়ে আছে। আবার ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হাল্ মিন্ নাস্রিন ইয়ানসুরুনা? অর্থাৎ “আমাদের সাহায্য করার মত কি তোমাদের মাঝে একজনও নাই ?” তারপরের আহ্বানটি সাংঘাতিক মারাত্বক। ঐতিহাসিকদের মতে এটাই ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু’র শেষ আহ্ববান। আর তা হচ্ছে, আলাম্ তাস্মাও ? আলাইসা ফিকুম্ মুসলিমু?” অর্থাৎ আমার কথা কি শুনতে পাও না ? তোমাদের মাঝে কি একজন মুসলমানও নাই?’
মুসলিম লেবাসধারী এই অপদার্থের দল ইমাম পাকের খুতবার কোন জবাব দিতে পারলো না। সমস্ত কারবালা নিরব-নিস্তব্ধ হয়ে গেল। এবার যারা ইমাম পাককে চিঠি লিখে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল,তাদের কয়েকজনের নাম ধরে তিনি জিজ্ঞেস করতে লাগলেন,
“হে শাবস ইবনে রাবয়ী ! হে হাযর ইবনে আবযার ! হে কায়েস বিন আশআস ! হে ইয়াযিদ ইবনে হারেস! হে যায়েদ ইবনে হারেস ! হে আমর ইবনে হাজ্জাজ ! …………… তোমরা কি চিঠি লিখে আমাকে আমন্ত্রণ জানাও নাই? তোমরা কি আমাকে কুফায় আসার জন্য বার বার চিঠি লিখে অনুরোধ কর নাই? তোমরা কি চিঠিপত্র ও দূত পাঠিয়ে বলো নাই যে, আমাদের কোন ইমাম নেই, আপনি আমাদের মাঝে তাশরীফ আনুন এবং আপনার মাধ্যমেই আল্লাহ তায়ালার হয়তো আমাদের সঠিক নির্দেশনা দিবেন। তোমরা এও লিখেছিলে যে, যাদের অধিকার না থাকা সত্ত্বেও ক্ষমতা দাবী করে ও অন্যায় আচরণ করে, তাদের চাইতে ইসলামী শাসন পরিচালনার ক্ষেত্রে আহলে বাইত-ই অধিকযোগ্য (বেশি হকদ্বার) ।
ইবনে সা’দের সৈন্যবাহিনী এবারও নিরব নিথর। হঠাৎ নির্দিষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ (যাদের নাম ধরে ধরে ইমাম পাক উপরের কথা বললেন) তারা বলে উঠল, না ! না ! আমরা কোন চিঠিপত্র লিখিনি। মিথ্যা, সবই মিথ্যা কথা। আমরা এ সম্পর্কে কিছুই জানি না।
পুনরায় ইমাম পাক বললেন, ছি: ! ছি : (ধিক)! তোমাদের। বড়ই অনুতাপ ও পরিতাপের বিষয়। এই চেয়ে দেখো তোমাদের চিঠি। এই তোমাদের স্বাক্ষরযুক্ত আবেদনপত্র। খোদার কসম ! এগুলো তোমরাই লিখেছো এবং লোক মারফত আমার নিকট প্রেরণ করেছো ।
ঐ বেহায়া লম্পট মিথ্যুকের দল বলল, যদি লিখে থাকি তাহলে মন্দ কাজ করেছি। আমরা আমাদের কাজের প্রতি অসন্তুষ্ট।
মজলুম ইমাম পাক বললেন, এখন আমার আগমণ যদি তোমাদের মন:পূত না হয়, তোমরা যদি আমাকে না চাও, তাহলে আমাকে ফিরে যেতে দাও। আমি যেখান থেকে এসেছি সেখানেই ফিরে যাব । তোমাদের সাথে আমার কোন বিরোধ ও বিদ্বেষ নাই ।
ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর শেষ ভাষণটি মাত্র একটি ছোট্ট বাক্য ছিল। তবে এর ব্যাখ্যা যদি কাঁচ ভাঙ্গার মত টুকরো-টুকরো করে দেখাতে চাই তাহলে সেই বাক্যটি হবে খুবই বেদনা দায়ক। তাই বেশি কিছু না বলে শেষ বাক্যটির সামান্য ব্যাখ্যা দিয়ে শেষ করতে চাই। খাজা গরীব নাওয়াজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি যেমন বলেছেন, “ইমাম হোসাইন হক্ব এবং বাতিলের নির্ধারণটা পরিস্কার করে দেখিয়ে গেলেন; সে রকমই অর্থ বহন করছে ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু শেষ ভাষণটিতে। কারণ এজিদের সৈন্যবাহিনীতে একজনও হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রিস্টান অথবা অন্য কোন ধর্মের কেউই ছিল না। সবাই ছিল মুসলমান। অথচ কি সাংঘাতিক এবং ভয়ংকর ভাষণ, “তোমাদের মাঝে কি একজনও মুসলমান নাই?” এজিদের সৈন্যবাহিনীর সবাই মুসলমান ছিল। অথচ ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু এ কি তাক লাগানো কথা বলেছেন? “তোমাদের মাঝে কি একজনও মুসলমান নাই? ” একটিও সত্যিকারের আসল মুসলমান ছিল না বলেই ইমাম হোসাইন রাদিয়াল্লাহু আনহু এই আহ্বান জানিয়ে পৃথিবীকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। তিনি বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন যে, যারা দাঁড়িয়ে আছে তারা সবাই নকল মুসলমান।
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২০
bappyalmamun বলেছেন: আপনি কী করে বলছেন যাদের ফাঁসীতে চড়ানো হচ্ছে তারা ইয়াজিদের বংশধর (ধর্মীয় দিক হতে) নয়।
২| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:০৩
কলাবাগান১ বলেছেন: রাজাকার খুনীরা যাদের ছবি ১৯৭১ সনের সংগ্রাম পত্রিকায় তে হর রোজ ছাপা হত, তারা হল মুসলীম নেতা !!!!!!!!
@মিতাহামিদা০০৭ মত রাজাকারদের উত্তরসূরী থাকতে খুনীরা ও এখন ইসলামি নেতা বলে পরিগনিত হবে
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২৫
bappyalmamun বলেছেন: কে বললো তারা মোহাম্মদী তারাতো ইয়াজিদিও হতে পারে।
৩| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ ভোর ৪:৩৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কলাবাগান১ যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের লোক, আর কোন সন্দেহ রইলোনা। কো একজিস্টের ছবি থেকে পাকিস্তানি চান তারা পতাকাটা সরান দয়া করে ।
৪| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:১৮
কলাবাগান১ বলেছেন: হিন্দু ধর্মের মত অবাস্তব কল্প কাহিনী আরব্য রূপকথাকেও হারায় আর ২০১৫ সনে এসে এদের কথা বিশ্বাস করব (হনুমান নাকি পুরা পৃথিবীটাকে কাধে করে নিয়ে দৌড় দিয়েছিল গাছ নিয়ে রামের কাছে যাওয়ার জন্য!!!!!)......
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:২৭
গ. ম. ছাকলাইন বলেছেন: এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ইসলাম হুমকির সম্মুখীন। এটা চারিদিকের অবস্থা দেখলেই বোঝা যায়। তবে ইসলাম এমন একটা সত্য ও শান্তির ধর্ম যার পেছনে লেগে কেউ কখনও জয়ী হতে পারেনি ভবিষ্যতেও পারবেনা।
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১১:৫২
bappyalmamun বলেছেন: বাংলাদেশে ইসলাম হুমকির মুখে তাও এখন। এর আগে কাদের হতে নিরাপদে ছিল এদেশের ইসলাম???????
৬| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:৫৫
নিজাম বলেছেন: কোটেশন দিয়ে লিখা এই বক্তব্যগুলোর রেফারেন্স কী? না, আমি ইসলাম বা ইমাম হুসাইনের বিরোধী নই। শুধু তথ্যের সত্যতা জানতে আগ্রহী।
২৪ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:১৭
bappyalmamun বলেছেন: [১.ইবনে আসীর, ৪ খন্ড, পৃ. ২৫ । ২. ত্বাবারী, ৬খন্ড, পৃ. ২৪৩। ৩. হাসান ও হুসাইনের কারবালার কাহিনী ও এজিদ বধ পর্ব, পৃষ্ঠা-৬৭-৭০ । ৪. দুই ইমাম দুই ফুল, পৃ.১২৩-১২৫ । ৫. শামে কারবালা, পৃ. ১২৫-১২৭। ৬. আহলে বাইত ও কারবালা, পৃ. ৪৪-৪৫ । ৭. কিতাবুল ইরশাদ : শেখ মুফিদ, ২য় খন্ড, পৃ. ৯৭ । ৮.মাকতালুল হুসাইন : খারাযমী, ২য় খন্ড, পৃ. ৬
তবে সত্যতার চেয়ে বড় সত্য। যারা আইন ও ধর্মীয় জ্ঞান এই সেক্টরকে আলাদা করতে চায়। তারা এর বিরোধীতা করবে এবং করেছে। বর্তমান সমাজ ও তাই।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৩:২১
মিতাহামিদা০০৭ বলেছেন: এত বড়মাপের একজন ঈমানদার, মুত্তাকী ফকীহ ইমাম ;যিনি স্বয়ং আল্লাহর রাসুলের নাতি! তাকেও ছেড়ে দিয়েছেন তাকদীরের উপর !
এতবড় মিথ্যার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন তিনি ! তাহলে আমরা তো কোন ছাড় ! এদেশের নব্য ইয়াজীদ সরকার যদি মুসলিম নেতাদের উপর মিথ্যা ষড়যন্ত্রের ফাঁদ পেতে ফাঁসি দিতে চায় , তাহলে এখন ও আল্লাহ ছেড়ে দিবেন তাকদীরের উপর !
আল্লাহ পাক তাদেরকে কবুল করুন !