![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছওয়াব বা নেকি বিষয়ে লেখার পরিকল্পনা ছিলো বেশ কয়েকদিন আগেই।ইসলামের এ বিষয়টিকে আমি যেভাবে বুঝি সেভাবেই বর্ণনা করার ইচ্ছে ছিলো।তবে আমার মতটি লিখে ফেলার আগেই আরজ আলী মাতুব্বরের 'সত্যের সন্ধান' বইটি হাতে আসায়,বইটি পড়ে দেখলাম অন্যান্য বিষয়ের মত এ বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি!আরজ আলী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আমার মত প্রকাশ করার ইচ্ছে আছে ভিন্ন কোনো লেখায়।এখানে শুধুমাত্র আমার ভাবনার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রশ্নই আলোচনা করতে চাই।এ বিষয়ে তাঁর একাধিক প্রশ্ন আছে।তবে এখানে একটি প্রশ্ন এবং তার উত্তর নিয়ে বলবো এবং এর মাধ্যমে ছওয়াব নিয়ে আমার ধারণার প্রাথমিক অংশও প্রকাশ পাবে।পরে অন্য কোনো লেখায় এ বিষয়ে তাঁর অন্যান্য প্রশ্ন এবং আমার মতামত প্রকাশ করবো।এভাবে ছওয়াব বা নেকী বিষয়ে আমার ধারণাও প্রকাশ পাবে আবার সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আরজ আলীর প্রশ্নগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে!উল্লেখ্য ধর্মীয় বিভিন্ন বিষয়ে আরজ আলী মাতুব্বর প্রশ্ন উত্থাপন করে ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন|আজকের নির্বাচিত প্রশ্নটি হলো 'সত্যের সন্ধান' বইয়ের 'তৃতীয় প্রস্তাব:পরকাল বিষয়ক' অধ্যায়ের ২নং প্রশ্ন|প্রশ্নঃ পাপ পুন্যের ডায়েরি কেন?.......বলা হয় যে আল্লাহ সর্বদর্শী এবং সর্বশক্তিমান।তবে মানুষের কৃত পাপ পুন্য কি তিনি নিজে দেখেন না?অথবা দেখিলেও মানুষের সংখ্যাধিক্যের জন্যই হোক অথবা সময়ের দীর্ঘতার জন্যই হউক,বিচারদিন পর্যন্ত উহা স্মরণ রাখিবার ক্ষমতা তাহার নাই কি?
আমার বক্তব্যঃ বলা হয়ে থাকে স্বশিক্ষিত আরজ আলীর সত্তর বছরের জ্ঞান সাধনার ফসল হলো ধর্ম সম্পর্কিত তার এসকল প্রশ্ন!তবে তার বই পড়ার অনেক আগেই প্রশ্নটি আমার নিজের মনেও এসেছিলো আর ইসলামের সামান্য প্রাথমিক জ্ঞানের অধিকারী হওয়া সত্ত্বেও নিজে থেকেই তার উত্তরও খুঁজে পেয়েছি!উত্তরটি খুবই সহজ সরল!আল্লাহ্ অবশ্যই সর্বদর্শী এবং সর্বশক্তিমান। তিনি নিজেই মানুষের সকল পাপ পুন্য পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে প্রত্যক্ষ করেন।বিচারদিন পর্যন্ত তা স্মরণ রাখার ক্ষমতাও তার নিশ্চয়ই আছে এবং তিনি তা রাখবেনও!তারপরও তাঁর নিয়োজিত ফেরেস্তাগণ মানুষের পাপ পুন্যের হিসাব লিপিবদ্ধ করেন।কারণ হলো প্রমান সংরক্ষণ!শেষ বিচারে আসামির কাঠগরায় দাঁড়িয়ে কেউ তার কৃত অন্যায়কে অস্বীকার করলে সাথে সাথেই তার সামনে বিস্তারিতভাবে এসব লিখিত দলিল প্রমাণ দিন ক্ষনের নিখুঁত হিসাবসহ উত্থাপন করা হবে।আর যেহেতু কুরআনে এ বিষয়ে পূর্বেই সতর্ক করা হয়েছে এবং কুরআনের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে বিচারের শুরুই হবে কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে কাজেই এ বিষয়ে কারো সন্দেহ প্রকাশের কোনো সুযোগই থাকবে না!এভাবেই আল্লাহ্ ন্যায় বিচার করবেন।
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩১
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: পরবর্তীতে মাতুব্বরের এ বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন বিশ্লেষনের সময়
বিস্তারিত আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ!
২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৪১
দরবেশমুসাফির বলেছেন: বাহ্যিক জ্ঞান একজন মানুষকে নাস্তিক করে কিন্তু গভীর জ্ঞান মানুষকে আস্তিকতার দিকেই আহবান করে - ফ্রান্সিস বেকন
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩২
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ঠিক বলেছেন! ধন্যবাদ আপনাকে!
৩| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:০২
এ আর ১৫ বলেছেন: আপনার মন্তব্য -- তারপরও তাঁর নিয়োজিত ফেরেস্তাগণ মানুষের পাপ পুন্যের হিসাব লিপিবদ্ধ করেন।কারণ হলো প্রমান সংরক্ষণ!--- শুনুন আ্ল্লাহর ফেরেস্তা কর্তৃক পাপ পুর্ণের হিসাবের প্রয়োজন নেই প্রমান করার জন্য । আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে ফেরেস্তাদের সংরক্ষিত রেকর্ড ছাড়া আল্লাহ কিছুই প্রমান করতে পারবে না ( নাউযুবিল্লাহ) !!!!
২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৩৩
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: এছাড়াও অপরাধীর নিজের অঙ্গ প্রত্যঙ্গও অপরাধীর বিরুদ্ধে সাক্ষী দেবে!অপরাধীর পালাবার কোনো পথই খোলা নেই!
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৮
সিপন মিয়া বলেছেন: লেখাটা আরেকটু বিশ্লেষণধর্মী হওয়া উচিৎ ছিল।