![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অদ্ভূত শোনালেও কথাটি সত্য!ইট,কাঠ,সোনা,রুপা,
অনু,পরমাণু,আলো,অভিকর্ষ,মহাকর্ষের মত আল্লাহ,
আত্মা,পাপ,পুণ্য,জান্নাত,জাহান্নাম,ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে বিজ্ঞানের আয়ত্বের মধ্যে বা বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা ও সূত্রের মধ্যে চলে আসলে ইসলামের আর কোনো উপযোগিতাই থাকেনা!প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান দ্বারা কখনোই পরমানু বা সৌরজগতের মত আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব হবেনা!আবার কোনো সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্ব নেই এটাও বিজ্ঞান দ্বারা প্রমান করা সম্ভব নয়!ইসলাম বিজ্ঞানের সামর্থ্যের বা সীমাবদ্ধতার অনেক উর্ধ্বে!ইসলামের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হলো বিশ্বাস!ইসলামের পরীক্ষাই হলো বিশ্বাসের পরীক্ষা!আল্লাহ মানুষকে অদৃশ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে বলেছেন!কেউ মুসলিম হতে চাইলে প্রথমেই তাকে ছয়টি মৌলিক বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন করতে হয়!এগুলো হলোঃআল্লাহ,আল্লাহর রাসুলগণ,আল্লাহর প্রেরিত গ্রন্থসমূহ,ফেরেশতাগণ,ভাগ্য এবং পুনরুত্থান বা পরকালীন জীবন!
এসবের কোনোটিই প্রচলিত বিজ্ঞানের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়েনা।পৃথিবীর কোনো বিজ্ঞানী এসব নিয়ে রিসার্চ করেছেন বা এসবের পক্ষে বিপক্ষে সুনির্দিষ্ট তথ্য,উপাত্ত আবিষ্কার করেছেন এমন নজির কোথাও নেই!আসলে এসব বিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়ই নয়!তবে দর্শন শাস্ত্রে এসব বিষয়ে আলোচনা হয় কিন্তু আমরা জানি,দর্শন আর বিজ্ঞান এক নয়।দর্শন বা ফিলসফি সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র্র একটি জ্ঞানের ধারা!দর্শন সম্পূর্নই যুক্তি আর ধারণার উপর নির্ভরশীল,প্রমাণের উপর নয়!অথবা আমরা বলতে পারি দর্শন বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল|কাজেই চেষ্টা করলেও কস্মিনকালেও উপর্যুক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব বা প্রমাণ পাওয়া সম্ভব নয়!ইতিহাস দিয়ে যেমন গণিতের সূত্র প্রমাণ করা সম্ভব নয় তেমনি বিজ্ঞান দিয়েও আধ্যাত্মিক জগতের নাগাল পাওয়া বা ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়!ইসলামের মূল পরীক্ষাই হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস!কাজেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নতির যত শীর্ষেই অবস্থান করুকনা কেন ইসলামের প্রথম পরীক্ষা এই বিশ্বাসের পরীক্ষাটা থেকেই যাবে!ইসলাম সম্পর্কে যাদের জ্ঞান আছে তারা অবশ্যই বুঝবেন যে এই বিশ্বাস,অবিশ্বাসের পরীক্ষাটা আল্লাহ নিজেই জাগরুক রাখতে চান!তিনি এটাই পরীক্ষা করতে চান যে কে আল্লাহকে না দেখেই বিশ্বাস করে আর কে অবিশ্বাস করে!আকাশে চাঁদ,সূর্য সবাই দেখতে পায় এবং বিজ্ঞানের সাহায্যে এসবের নাড়ী নক্ষত্র এখন সবাই জানে।কাজেই চাঁদ,সূর্যের অস্তিত্ব নিয়ে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কোনো প্রশ্ন নেই।তবে এলিয়েন বা ভিনগ্রহের প্রাণীর অস্তিত্ব আজও বিশ্বাস অবিশ্বাসের প্রশ্ন।তবে জোতির্বিজ্ঞানের সাহায্যে একসময় হয়তো এলিয়েন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে কিন্তু ঈশ্বরের অস্তিত্বের প্রশ্ন বিশ্বাস,অবিশ্বাসের প্রশ্নই রয়ে যাবে।আল্লাহ নেপথ্যে,অলক্ষ্যে থেকে এই বিশ্বাস,অবিশ্বাসের পরীক্ষা করছেন এবং একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত পরীক্ষাটি চলবে!এরপর আল্লাহ নিজেই আরো স্পষ্টভাবে নিজের অস্তিত্ব জানান দেবেন।তখন স্থূলভাবে সবাই আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমাণ পাবে।কোনো বৈজ্ঞানিক তথ্য,উপাত্ত ঘাঁটার প্রয়োজন হবেনা!আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেছেন, "সেই সময় আসার পূর্বেই বিশ্বাস স্থাপন করো যখন আর তওবা গ্রহনযোগ্য হবেনা "!এখানে কিয়ামতের পূর্বের অবস্থার কথা বলা হয়েছে!সেসময় সবকিছুই স্পষ্ট হয়ে যাবে।অনেক বড় বড় নিদর্শন প্রকাশ পাবে!যেমনঃসূর্য পশ্চিম থেকে উদিত হয়ে আবার পশ্চিমেই ফিরে যাবে!আর কুরআনে বর্ণিত এসব ভবিষ্যৎবাণী যখন বাস্তবে ঘটবে তখন আর বিষয়টি বিশ্বাস,অবিশ্বাসের পরীক্ষা থাকবেনা এবং তখন কেউ ভয়ে ইসলাম গ্রহণ করলেও তা আর আল্লাহর নিকট গ্রহনযোগ্য হবেনা!
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৬
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: তবুও জানতে হবে.......
২| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪
ময়না বঙ্গাল বলেছেন: বরকত হোক
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৮
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ময়না!বরকত হোক......
৩| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
দরবেশমুসাফির বলেছেন: বাহ্যিক জ্ঞান একজন মানুষকে নাস্তিক করে কিন্তু গভীর জ্ঞান মানুষকে আস্তিকতার দিকেই আহবান করে - ফ্রান্সিস বেকন
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৩৪
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ঠিক বলেছেন, ধন্যবাদ!
৪| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫২
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: তবুও জানতে হবে
জানার কোন দরকার আছে কি? সবই তো কিতাবে লেখা আছে শুধু তাই বিশ্বাস করে নিলেই হলো।
প্রকৃতপক্ষে বিজ্ঞান দ্বারা কখনোই পরমানু বা সৌরজগতের মত আল্লাহর অস্তিত্ব প্রমাণ করা সম্ভব হবেনা
কারন বিজ্ঞানের দারা সম্ভব না তা তো আগেই ধারনা করে বসে আছেন।
কম্পিটার/ইন্টারনেট/বিদ্যুত/গাড়ী/চিকিতসা সবই বিজ্ঞানের ফসল এবং তা ব্যবহার করবেন। আর এই গুলি ব্যবহার করে বিজ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে তা বিশ্বাস করে বসে থাকবেন??
এটা কি এক প্রকার বেইমানী নয় কি?
বলতে পারেন যে এখন পযন্ত বিজ্ঞান সৃস্টিকতার প্রমান করতে পারেনাই। ( এটা সত্য)
কিন্তু পারবেনা এটা আপনিও যানেন না এটা হইলো আপনার ধারনা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:০২
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ভাই সৃষ্টিকর্তা থাকার অর্থই হলো অবশ্যই একটা ধর্মীয় বিশ্বাস সত্য হওয়া!তিনি অবশ্যই কোনো না কোনো ধর্মে নিজের আত্মপরিচয় তুলে ধরেছেন! বিজ্ঞান কবে তাকে আবিস্কার করবে নিশ্চয়ই তিনি সেই অপেক্ষা করছেননা.......
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭
নতুন বলেছেন: হুম... এই জন্যই কবি বলেছেন:- জানার কোন শেষ নাই...জানার চেস্টা বৃথা তাই...