![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল,বাতাসের আছে কিছু গন্ধ,রাতের গায়ে জ্বলে জোনাকি,স্রোতীনীর বুকে মৃদু ছন্দ.......
এমন চমৎকার চমৎকার অসংখ্য রোমান্টিক গান রয়েছে আকাশ নিয়ে!জন্মের পর থেকেই আমরা দেখে আসছি মাথার উপর বিশাল নীল আকাশ।তবে স্কুলে ক্লাস নাইন টেনে পড়ার সময় বিজ্ঞানের বইতে প্রথম আকাশের ব্যাখা পড়ে রীতিমতো শকড হয়েই গেছলাম!আকাশ বলে নাকি বাস্তবে কোনো বস্তুই নেই!আগে ধারণা ছিলো মাথার উপরের নীল আকাশটা নিশ্চয়ই কোনো কঠিন পদার্থ দিয়ে তৈরী আর চাঁদ,তারা,সূর্য সবকিছুই এর নিচে ঝুলে ঝুলে আছে!অথচো বিজ্ঞানের ব্যাখ্যা পড়ে সে বিশ্বাস ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলো!বিজ্ঞান বলছে সূর্যের আলোর রয়েছে সাতটি রঙ। এর মধ্যে নীল আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য কম বলে তা বায়ুমণ্ডলের কণায় বিক্ষিপ্ত হয়ে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে তাই আমরা দেখি নীল আকাশ!আর বায়ুমণ্ডল অভিকর্ষের কারণে পৃথিবীর সাথে সংযুক্ত রয়েছে!তাহলে আমাদের কল্পনার নীল আকাশটি আসলে হাওয়া ছাড়া কিছুই নয়!অথবা বলা যায় হাওয়ায় তৈরী বিশাল একটি নীল রঙের সানগ্লাসের মত যা আমাদের সবাইকে ঘিরে রয়েছে এবং চাঁদ,তারা,সূর্য সবকিছুই রয়েছে এর বাইরে!এই নীল আকাশের ভেতর দিয়েই আমরা দেখতে পাই পৃথিবীর বাইরের জগৎ!এদিকে সবসময় শুনে আসছি ইসলামই পৃথিবীর একমাত্র সত্য জীবন দর্শন এবং শুধু মাথার উপরের নীল আকাশই নয় বরং এর উপর রয়েছে স্তরে স্তরে আরো ছয়টি আকাশ!কিন্তুু এখন তো দেখছি একটা আকাশেরই অস্তিত্ব নেই সপ্ত আসমান তো দুরের কথা!স্বাভাবিকভাবেই মানসিকভাবে বিভ্রান্তির মধ্যে ছিলাম দীর্ঘদিন!কোনো সন্তোষজনক উত্তরই খুঁজে পাচ্ছিলাম না!বিভ্রান্তি কেটে গেলো অনেকদিন পর!
কুরআন পড়ে জানলাম আল্লাহ বারবার মানুষকে বলেছেন তোমাদের মাথার উপরের আসমানের দিকে তাকাও।সেখানে আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে কোনো ত্রুটি দেখতে পাও কি?তোমাদের দৃষ্টি বারবারই ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসবে কিন্তুু আল্লাহর বিশাল সৃষ্টির মাঝে কোনো ত্রুটিই খুঁজে পাবেনা!বিজ্ঞানের ভাষায় নীল আকাশ বলে কোনো বস্তু না থাকলেও আসলে আমাদের মাথার উপর থেকে উপরের পুরো অংশকেই আকাশ ধরা হয় এবং সকল জ্যোতিষ্কই আকাশে রয়েছে বলা হয়!এমনকি আমাদের পৃথিবী সহ সকল গ্রহ,নক্ষত্রই মহাকাশের অন্তভুর্ক্ত!মহাকাশের কোনো পরিধি বা সীমা আজ পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হননি!এমনকি এমন কোনো তত্ত্বও খুঁজে পাননি যার সাহায্যে সমগ্র মহাকাশের সবকিছু ব্যাখ্যা করা যায়!আল্লাহ বলেছেন তিনি সপ্ত আসমান সৃষ্টি করেছেন এবং সকল গ্রহ,নক্ষত্রই পৃথিবীর নিকটতম আসমানের নিচে অবস্থিত!আমাদের সৌরজগতের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টারাইয়ের দুরত্ব যেখানে পৃথিবী থেকে ৪.২২৫ আলোক বর্ষ সেখানে দূরতম নক্ষত্রের দুরত্ব কত হতে পারে তা অকল্পনীয়!আর কুরআন বর্ণিত পৃথিবীর নিকটতম আসমান নিশ্চয়ই দুরতম নক্ষত্রের চেয়েও দুরে অবস্থিত যা আধুনিক মহাকাশ বিজ্ঞানের নাগালের বাইরে!কাজেই একথা চূড়ান্তভাবে বলার অধিকার কারো নেই যে সপ্ত আসমান বলে কিছুর অস্তিত্ব নেই বরং বলা যায় যে আধুনিক জোতির্বিজ্ঞানের এখনো এতদূর সামর্থ্য হয়নি যে সপ্ত আসমানের নাগাল পায়!আধুনিক মহাকাশ বিজ্ঞানের দুর্বলতা সম্পর্কে বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য! " Today scientists describe the universe in terms of two basic partial theories – the general theory of relativity and quantum mechanics. They are the great intellectual achievements of the first half of this century. The general theory of relativity describes the force of gravity and the large-scale structure of the universe, that is, the structure on scales from only a few miles to as large as a million million million million (1 with twenty-four zeros after it) miles, the size of the observable universe. Quantum mechanics, on the other hand, deals with phenomena on extremely small scales, such as a millionth of a millionth of an inch. Unfortunately, however, these two theories are known to be inconsistent with each other – they cannot both be correct. One of the major endeavors in physics today, and the major theme of this book, is the search for a new theory that will incorporate them both – a quantum theory of gravity. We do not yet have such a theory, and we may still be a long way from having one " (A brief history of time,chapter 1)
তবে মজার ব্যাপার হলো আসমান নিয়ে কুরআনের বক্তব্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করার সুযোগ ছিলো যদি কুরআনে একবারও আসমানের জায়গায় নীল আসমান শব্দটি ব্যাবহার করা হতো!আশ্চর্যের বিষয় পবিত্র কুরআনে অসংখ্যবারই আল্লাহ আসমানের কথা বলেছেন আসমান নিয়ে চিন্তা,গবেষণা করতে বলেছেন অথচো একবারো আসমানের জায়গায় নীল আসমান শব্দটি ব্যাবহার করেননি!আসলে স্রস্টাই তার নিজের সৃষ্টি সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি ভালো জানেন। আসমান নিয়ে কুরআনের কোনো বক্তব্যকেই আধুনিক বিজ্ঞানের সাথে সাংঘর্ষিক বলার সুযোগ নেই!কারণ কুরআন যতদূর বলেছে মহাকাশ গবেষণা এখনো ততদূর পৌঁছাতেই পারেনি!
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫২
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ ইঞ্জিনিয়ার সাহেব।
২| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৫৭
দরবেশমুসাফির বলেছেন: ভাল লেখা।
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:১৯
ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ মাধব বলেছেন: সুন্দর বলছেন