![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
টাকা(money) কি আসলে দেখা যায়?অর্থনীতি শাস্ত্র বলে টাকা চোখে দেখা যায়না!আমরা টাকার যেসব কাগুজে নোট বা ধাতব মুদ্রা দেখি এসবই টাকার প্রতীক মাত্র!এই প্রতীক যে কোনো আকৃতির হতে পারে|যেমন আমাদের দেশেই একসময় কড়ি ছিলো বিনিময়ের মাধ্যম বা টাকা!এখনো আমরা বলি টাকাকড়ি!ধরা যাক বাংলাদেশী একজন দিনমজুর আট ঘন্টা পরিশ্রম করে চারশত টাকা রোজগার করলো।এখানে তার আট ঘন্টা শ্রমের মুল্য চারশত টাকা!এই টাকা অদৃশ্য!তবে তার হাতে যে দৃশ্যমান নোটগুলো দেয়া হবে সেসবই সেই টাকার প্রতীক!সে এসব ভাঙিয়ে বাংলাদেশের যে কোনো বাজার থেকে প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্য কিনতে পারবে!আবার ধরা যাক লোকটি টাকাগুলো নিয়ে আমেরিকায় গেলো।কিন্তুু সেখানে ক্ষুধা লাগলেও টাকাগুলো দিয়ে একটা পাউরুটিও কিনতে পারবেনা বেচারা!কারণ তার হাতে থাকা কাগজের নোটগুলোর কোনো মুল্য নেই সেখানে!তবে তার উপার্জিত টাকার মুল্য কিন্তুু ঠিকই অক্ষত আছে!তাকে শুধু প্রতীকগুলোর পরিবর্তন করে ডলারের প্রতীক নিতে হবে!এতে তার অর্জিত টাকার মান এবং প্রতীক দুটোই পরিবর্তিত হবে!কারণ বাংলাদেশের মুদ্রা(currency) যেমন টাকা তেমনি আমেরিকার মুদ্রা ডলার!এক দেশের মুদ্রা আরেক দেশে হতে পারে অচল!এখন আমেরিকার সরকার যদি ঘোষণা করে আমেরিকায় অভিবাসন প্রত্যাশীদের পূর্বেই আমেরিকার কোনো ব্যাংকে একাউন্ট করে ডলার জমা রাখতে হবে সেক্ষেত্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিজ দেশে বসেই অনলাইনে একাউন্ট করে শর্ত পূরণ করতে হবে!
তেমনি আল্লাহর হুকুমে দুনিয়াতেই নেকী অর্জন করে তা জান্নাত ক্রয়ের জন্য পরকালে পাঠিয়ে দিতে হবে!পরকালের টাকা বা মুদ্রার নাম ছওয়াব বা নেকী!জান্নাত ক্রয়ের জন্য এটিই একমাত্র গ্রহনযোগ্য মুদ্রা।এই মুদ্রা দুনিয়াতেই অর্জন করে আল্লাহর ব্যাংকে পাঠিয়ে দিতে হবে! এই মুদ্রার বিনিময়ে দুনিয়ায় কিছুই কিনতে পাওয়া যাবেনা।শুধুমাত্র মৃত্যুর পরবর্তী জীবনেই এই নেকীগুলো কাজে আসবে!তবে আল্লাহ বলেননি ঠিক কি পরিমাণ কাজ করলে একটি নেকী অর্জন হবে।কারণ আল্লাহ্ এটাও নির্দিষ্ট করে দেননি যে কি পরিমাণ নেকী দিয়ে জান্নাত ক্রয় করা যাবে!তবে শর্ত এতটুকুই যে নেকীর পরিমাণ অবশ্যই পাপের চেয়ে বেশি হতে হবে!এখন একজন ব্যক্তি যদি শুধু ডলার সংগ্রহ করে তাহলেই কি আমেরিকা যেতে পারবে?অবশ্যই নয়!তাকে অবশ্যই প্রমাণ করতে হবে সে আমেরিকার প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং আমেরিকার সংবিধান,রীতিনীতির আনুগত্য করার বিষয়ে আন্তরিক।তবেই আমেরিকার দুতাবাস থেকে তাকে সেখানে বসবাসের জন্য ভিসা দেয়া হবে!তেমনি শুধু নেকী অর্জন করলেই জান্নাত পাওয়া যাবেনা!এক কথায় বলা যায় জান্নাত পেতে হলে প্রথমত দুনিয়াতে আল্লাহর গোলামী করতে হবে!আর ইসলাম মেনে চলাই হলো আল্লাহর গোলামী করা!প্রকাশ্যে আমেরিকার বিরোধীতা করে যেমন আমেরিকায় বসবাসের অনুমতি পাওয়া সম্ভব নয় তেমনি আল্লাহর গোলামী অস্বীকার করে জান্নাত লাভ করা সম্ভব নয়!এই নেকীগুলো আল্লাহ্ পরিমাপ বা গণনা করবেন কিভাবে?টাকার মত,অদৃশ্য নেকীগুলোকে আল্লাহ যেরকম প্রতীক দিয়ে প্রকাশ করবেন ঠিক সেরকই হবে তার পরিমাপেরও ব্যাবস্থা!যেমন জ্বর মাপার জন্য থার্মোমিটার আবার চাল ডাল মাপার জন্য বাটখারা,নিক্তি।টাকা গননার জন্যও রয়েছে বিশেষ যন্ত্র!আবার তড়িৎ প্রবাহের পরিমাণ মাপার জন্য রয়েছে এ্যামিটার!তেমনি খাদ্যের শক্তির পরিমাপ করা হয় ক্যালরি দিয়ে।আল্লাহ চাননি মানুষ খাতা কলম নিয়ে পাপ পুন্যের হিসাবে মশগুল থাকুক।আল্লাহ্ চেয়েছেন মানুষ আল্লাহর গোলামী করুক।যেমন কেউ খাতা কলম নিয়ে প্রতিদিন হিসেব করেনা যে আজ কত ক্যালরী খাবার খাওয়া হলো!ক্ষুধা নিবৃত্তি বা শরীর সবল হওয়াই খাদ্য গ্রহনের উদ্দেশ্য!একজন আল্লাহর প্রকৃত গোলাম হয়ে গেলে সে ঘুমালেও আল্লাহ তার একাউন্টে নেকী জমা করে দেন!এমনকি সে প্রস্রাব,পায়খানা করলেও তার পরকালের একাউন্টে নেকী জমতে থাকে!পাপের বিষয়টিও ঠিক নেকীর বিপরীত এবং অনুরুপ!কাজেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই সবচেয়ে বেশি জরুরি কাজ!শুধুমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে পারলেই জান্নাত ক্রয়ের জন্য যথেষ্ট নেকী বা ছওয়াব সংগ্রহ করা সম্ভব!
উপরের আলোচনার মাঝেই এখন নিচের প্রশ্ন দুটিরও উত্তর খুঁজে পাওয়া যাবে!
১) এক নেকী সমান কতটুকু?
২)পাপের কি ওজন হয়?
মারাত্মক কঠিন প্রশ্নদুটি করেছেন আর কেউ নয়,বিশিষ্ট দার্শনিক নাস্তিককুল শিরোমনি জনাব আরজ আলী মাতুব্বর,তার 'সত্যের সন্ধান' বইয়ে!
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: আপনি আরজ আলীর বই পড়েছেন?
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন:
কোথায় স্বর্গ কোথায় নরক
কে বলে তা বহুদূর
মানুষেরই মাঝে স্বর্গ নরক
মানুষেতে সুর-অসুর!!!
ভাবতে ভাবতে ভাবুক ++
ভাবতে থাকুন।
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৫৪
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: ???
৩| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ২:০৩
মিতক্ষরা বলেছেন: "আপনি আরজ আলীর বই পড়েছেন?"
মুক্তমনা, সামহোয়ার সহ কিছু জায়গায় তার বইয়ের অংশবিশেষ পড়েছিলাম। ইসলামের আচার অনুষ্ঠান নিয়ে হাজারটা প্রশ্ন করেছিলেন।
০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:১১
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: হ্যাঁ! বেশিরভাগ প্রশ্নই অবান্তর!মনে হয় তর্কবাজ লোক ছিলো! এখনো গ্রামে এমন তর্কবাজ লোক দেখা যায়!
৪| ০৩ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১২
মিতক্ষরা বলেছেন: "বেশিরভাগ প্রশ্নই অবান্তর!মনে হয় তর্কবাজ লোক ছিলো! এখনো গ্রামে এমন তর্কবাজ লোক দেখা যায়! "
প্রশ্ন কখনো অবান্তর নয়। তবে সেই প্রশ্নের জবাব খুজতে হয় নিজেকে। সেটাই হল সত্যের প্রকৃত সন্ধান। গাছ থেকে আপেল পড়ার পরে নিউটন অবাক হয়ে নিজেকে প্রশ্ন করলেন আপেল কেন উপরে না গিয়ে নীচে পড়ল। সেই প্রশ্ন তাকে তাড়িয়ে বেড়ায় যতক্ষন না তিনি এটা প্রমান করলেন গ্রাভিটশন ফোর্সের কারনে বড় বস্তুর কাছে হেরে যায় ছোট বস্তু। নিউটনের আবিষ্কারেও কিছু অসম্পূর্নতা ছিল, যা আইনস্টাইনের স্পেস টাইম কার্ভেচার থিউরি ব্যাখা দেয়।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৩২
মিতক্ষরা বলেছেন: পাপের ওজন হবে বলেই তো আখিরাতে মিযানের একদিকে নেকী অন্যদিকে পাপ রাখা হবে। আরজ আলী মাতুব্বর এটাও জানতেন না।