নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সত্য ও সুন্দরের পক্ষে।

আশরাফুল ইসলাম মাসুম

বেকার সমস্যা মুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ চাই।

আশরাফুল ইসলাম মাসুম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গাইবান্ধায় শিশু সৌরভকে গুলি করা এমপি লিটন কি উভকামি?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৪২

গত শুক্রবার ভোরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকার দলীয় গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের ছোঁড়া
গুলিতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র সৌরভ
(১০) আহত হয়েছে।ঘটনাটি নিয়ে এখনো সারা দেশে চলছে তোলপাড়!ঘটনাটি ছিলো এরকমঃ গত শুক্রবার ভোরে মঞ্জুরুল ইসলাম
লিটন ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি নিজে চালিয়ে সুন্দরগঞ্জ থেকে নিজ বাড়ি বামনডাঙ্গা আসেন। সারারাত সুন্দরগঞ্জে কাটিয়ে বামনডাঙ্গা যাওয়ার সময় গোপালচরণ কালাইয়ের ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তার পাশে হাড়িপাতিল ব্যবসায়ী সাজু মিয়ার ছেলে গোপালচরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র শাহাদত হোসেন সৌরভ ও তাজুল
ইসলামকে দেখতে পেয়ে গাড়িতে উঠতে বলেন। কিন্তু তারা ভয়ে গাড়িতে না উঠে দৌঁড়ে পালাবার চেষ্টা করলে এমপি লিটন তাদের লক্ষ্য করে পরপর কয়েক রাউন্ড গুলি
ছোঁড়েন। এতে সৌরভের দুই পায়ে গুলিবিদ্ধ হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। সৌরভ বর্তমানে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ১৮নং ওয়ার্ডের ২৮ নম্বর বেডে
চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর একটু সামনে গিয়েই তিনি দুই মহিলাকে টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করেন।
এ ঘটনায় সৌরভের বাবা সাজু মিয়া বাদি
হয়ে শনিবার রাতে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় লিটনকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।
ঘটনাটি সম্পর্কে সৌরভের বাবা সাজু মিয়া জানান,ভোরে ঘুম থেকে ওঠে রাস্তায়
হাঁটাহাটি করছিল সৌরভ। এসময় সংসদ সদস্য লিটন ব্র্যাক মোড়ে গাড়ি থামিয়ে তাকে ডাক দেয়।ডাকে সাড়া না দিলে সৌরভকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েন সংসদ সদস্য।এতে সৌরভ দুই পায়ের হাঁটুর নিচে গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ মেডিক্যালে
নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে সকাল ৬টা ১০ মিনিটে তাকে রংপুর মেডিক্যাল হাসপাতালে
স্থানান্তর করা হয়।
সৌরভের মা বলেন, “ঘুম থাকিয়া উঠিয়া কয় আম্মু আমি ব্যায়াম কত্তে যাই; তো আমি কই যাও। তারপর ওর বাপ আর আমি ঘুমাইতে আছি। তারপর ঘুমত শুনলাম, আমার একটা দেওর আছে,তাই (সে) কয়, ‘ওই যে ওই দিকে গুলি ফুটিয়া আসিল, চাইর-পাঁচটা, কাক
যে নাগিল জানি না।’ তারপর এর চাচা খুলিত (উঠানে) গরু বাইর করে।(এ সময় এমপি লিটন) এর চাচাকে ইশারা করি ডাকায়, এর চাচা বোগলত (কাছে) গেইছে, যাওয়ার পর,
এর চাচাক গুলি করিবার ধরছে...। (এ
সময়) ড্রাইভার ইশারা করি সরি যাইবার কইল, (তখন) এর চাচা পলাইছে।পরে পুলের কাছে যে জায়গায় গুলি দিছে আমার ছাওক (বাচ্চাকে), ওই বাড়ির একটি ছেলে আসি কইল,তোমার ছেলে সৌরভক গুলি করছে,
সৌরভ কাইনবার নাগছে, রক্ত পইচ্ছে (পড়ছে)।’
এখন দেখা যাক সৌরভের বক্তব্য কি ছিলো! ‘আমি ব্যায়াম করবার লাগছি। এমপি
লিটন গাড়িখ্যান বামনডাঙ্গা থেকে আইসছে। আসিয়ে থামাইল,থামাইয়া আবোল তাবোল কয়, কুত্তার বাচ্চা কয়, কয়া গুলি মারিল।’ একটি বেসরকারী টেলিভিশনের কাছে এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দিল সৌরভ।

এখন লিটনের স্বভাব চরিত্র সম্পর্কে এলাকাবাসীর বক্তব্য শোনা যাক!

উপজেলা বাসদ (মার্কসবাদী) আহবায়ক বীরেনচন্দ্র শীল জানান,বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কালিতলা বাজারে গত বছর যাত্রা চলাকালে অশ্লীল নৃত্য প্রদর্শনের সময় তিনি মঞ্চে উঠে নর্তকীদের সাথে অশ্লীল
নৃত্যে শামিল হন। তিনি জানান,একজন সংসদ সদস্য যিনি মানুষের নিরাপত্তা প্রদান করবেন, তার কাছে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত। অবশ্যই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা দরকার।
পুলিশ এলাকাবাসি ও আওয়ামী লীগ
দলীয় সূত্র জানায়, এমপি লিটন মদপান করে বিভিন্ন অপকর্ম ও অনৈতিক কর্মকাণ্ড করে আসছেন।

প্রশ্ন হলো গাড়ি থামিয়ে মদ্যপ লিটন কি আবোল তাবোল বলেছিলো শিশু সৌরভকে?সৌরভ গুলি খেয়ে পালানোর পর গাড়ি নিয়ে কিছুদুর যেয়ে আবার দুজন মহিলাকে টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করলো কেন?

সব মিলিয়ে কি ঘটনাটি কুৎসিত একটা সন্দেহের দিকেই ইংগিত করেনা যে এমপি লিটনের উদ্দেশ্য হয়তো ছিলো শিশু সৌরভকে বলাৎকার করা?

বিঃদ্রঃ ঘটনার সকল সূত্র বিভিন্ন পত্রিকা থেকে সংগৃহীত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.