![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কি আজব ব্যাপার!এতদিন পহেলাবৈশাখে পান্তা ইলিশ খাওয়া নিয়ে উৎসাহের কারো কমতি ছিলোনা!বুদ্ধিজীবী,রাজনীতিবিদ,সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব সবাই ত্রাহি ত্রাহি রবে প্রচার করতেন,পহেলাবৈশাখে পান্তা ইলিশ হলো খাঁটি বাঙালি ঐতিহ্য!এখন দেখছি ভোল পাল্টে এরাই প্রতিনিয়ত মুখে ফেনা তুলছেন ইহা আমাদের বাঙালি ঐতিহ্য তো নয়ই এমনকি কোনোকালে ছিলোওনা!তো চাঁদুরা এই ভুল বুঝতে এতো দেরি হলো যে বড়!!এই ভুলটা আগে বুঝলেই তো আমাদের জাতীয় মাছটি আর দুর্লভ হয়ে যেতোনা!এর দামও সাধারনের নাগালের মধ্যেই থাকতো!তো এই হলো আমাদের স্বভাব!বড় ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগে আমরা নিজেদের ভুলটা বুঝতেই পারিনা!এরকম আরো কতশত ভুল কাজ যে আমরা করেই চলেছি প্রতিনিয়ত তার বুঝি আর লেখাজোখা নেই কোথাও!আজ আমরা সমাজকে করেছি বসবাসের অযোগ্য,অপরাধের সূতিকাগার,বিচারহীনতা আর দুর্নীতির অভয়ারণ্য!কাজেই যত দ্রুত নিজেদের সংশোধন করতে পারবো ততই মঙ্গল!
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪৩
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই!ইলিশ আবার ফিরে
আসুক বাঙালির ঘরে ঘরে নাগালের মাঝে!আবার
বাঙালির ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক রুপালি ইলিশের মন মাতানো
স্বাদ,গন্ধ!
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
আবুলের বাপ এগেইন বলেছেন:
১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:৪১
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: হ্যাঁ ভীষণ কৌতুকের বিষয়!!!
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:১৪
শাহজালাল হাওলাদার বলেছেন: আমাদের প্রচার আমাদের সচেতনতাই রোধ করতে পারে অপ প্রবনাতাকে। ধন্যবাদ।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
আশরাফুল ইসলাম মাসুম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১:৪৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: পহেলা বৈশাখে গ্রামে গঞ্জে হাটে মেলা বসত ,বনিকরা করতেন হালখাতা , তার খাতাভুক্তদেরকে মিষ্টিমুখ করিয়ে মহাজনী কায়দায় হিসাবের খাতা করতেন হালনাগাদ । গ্রামে গঞ্জে হাটে মেলা, কবিয়লি গান , মহাজনী লীলা , কাল বোশেখী তান্ডব আর ভাংগা গড়ার খেলায় গ্রাম বাংলার লাখো কোটি মানুষের নিত্যদিনের সংগী পান্তা ভাত আর কাঁচা লংকার ( কাচামরিচ) আবহ জড়ানো পহেলা বৈশাখ কিভাবে পান্তা ইলিশে গন্ডিবদ্ধ হলো তা এক রহস্যই বটে । তবে একটা কারণ হতে পারে, সেদিন শ টাকার ইলিশ হাজার টাকার মুখ দেখতে পারে । দেখতে পারে সচ্ছলরা কিভাবে রমনা পার্কের প্রধান ফটকের দুই পাশে পান্তা ভাত ফেরীর দোকানীর পশড়া সাজিয়ে বসা । দেখতে পারে পান্তা বেচার মনোপলী স্টল শাংকী ভরতী পান্তার থালায় তার মুল্যবান একটুকরা উপস্থিতি । দেখতে পারে পান্তা ইলিশের সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই এমন সব কাচা লংকার পান্তাভাত খেয়ে আসাদের লোলুপ চাহণী । দেখতে পারে ইলিশের সমাহারে চিরায়ীত ও স্বাসত বৈশাখীর সৌখীন বিবর্তন । ইলিশের সাথে আরো খুশী হয় ইলিশের বেপারীরা, তাদের তো আনন্দ আর আনন্দ। সারা বছরে আতি কস্টে ধরে রাখা রুপালী ইলিশের সেদিনকার স্বর্নালী ডিম তাদেরকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় পদ্যা মেঘনা পাড়ি দিয়ে বে অফ বেংগলের মোহনায় । তবে আরো একটি আনন্দের বার্তা হলো অনেকই সেদিন শখ করে হলেও পান্তাভাত ভোজনের অভিজ্ঞতা নেন । এটা যে গ্রাম বাংলার নিত্যদিনের পান্তা ভোজীদের জন্য কত্ই না আনন্দের ব্যাপার, পান্তার উর্ধমুখি স্টেটাস!!! সে হিসাবে জয় পান্তা ভাতের জয় ! নিত্য দিনের পান্তা ভোজীর বিজয়!!
যাহোক মাছটি এখনও একেবারেই দুর্লভ হয়নি । এর উৎপাদন আগের খেকে বাড়ছে বলেই সরকারী পরিসংখানে দেখা যায় । তবে আকাশ চুম্বী দামের কারণে এটা এখন নিম্ম আয়ের মানুষের একেবারেই নাগালের বাইরে চলে গেছে । তবে তাতে কি আসে আর যায়, এ তো তাদের বৈশাখী উদযাপনের অংশ নয় । অতি বেশী দামের কারনে খাওয়াতো বলতে গেলে তাদের বন্ধই হয়েছে ,এখন বৈশাখী মেলায় গিয়ে দেখাটাও যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তো তারা একদিন এটা ভুলেই যাবে । তাদের জন্য এতবড় সর্বনাশটা না করলেই কি নয়!!!
যাহোক ধন্যবাদ ভাল একটি বিষয়ে লিখার জন্য ।