নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অষ্টাদশ শতাব্দীর স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:২৩



বাংলাদেশ জুড়েই ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য প্রাকৃতিক আর মনুষ্যনির্মিত দর্শনীয় স্থান।কোনো একসময় যে স্থানটি ছিল অনন্য এক স্থাপত্যিক নিদর্শন, কালের পালা বদলে হয়তো সেখানেই জমে বিস্মৃতির ধুলো। ভাঙন ধরে স্থাপনার প্রতিটি পরতে। কিন্তু সেই স্থাপনা আর পারিপার্শ্বিকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা ইতিহাসটি কিন্তু ঠিকই বহমান থাকে। আর ফেলে আসা সময়ের এমনই কিছু ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে বাংলাদেশের মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার সোনারং গ্রামে দাঁড়িয়ে আছে সোনারং জোড়া মঠ। অষ্টাদশ শতাব্দীর স্থাপত্যশৈলীর এক অপূর্ব প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন এ মঠটি কথিত ইতিহাসে জোড়া মঠ হিসেবে পরিচিত লাভ করলেও মূলত এটি জোড়া মন্দির। মন্দিরের একটি প্রস্তরলিপি থেকে দেখা যায়, সোনারং এলাকার রূপচন্দ্র নামের একজন হিন্দু ব্যক্তি দুই ধাপে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। এর মধ্যে বড় কালীমন্দিরটি ১৮৪৩ সালে ও ছোট মন্দিরটি ১৮৮৬ সালে নির্মাণ করা হয়। এর মাঝে ছোট মন্দিরটি মূলত শিবমন্দির হিসেবে ব্যবহূত হতো বলেই জানা যায়। অন্যদিকে জোড়া মন্দির হলেও দু’টি মন্দিরের উচ্চতা ও স্থাপত্য গঠনে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। এর মধ্যে বড় মন্দিরটির উচ্চতা প্রায় ১৫ মিটার। অন্যদিকে মন্দির দু’টির মূল উপাসনালয় কক্ষের সঙ্গে থাকা বারান্দার দৈর্ঘ্যের দিক থেকে বড় ও ছোট মন্দির দু’টির বারান্দা যথাক্রমে ১.৯৪ ও ১.৫ মিটার। এ ছাড়া মন্দিরের সামনের দিকে রয়েছে বেশ বড় আকারের একটি পুকুর। বড় মন্দিরটি তৈরির সময় এ পুকুরটি তৈরি করা হয়েছিল বলেই ধারণা করা হয়। একসময় মন্দির দুটির বাইরে ও ভেতরের দিক অসাধারণ ও সমসাময়িক কারুকাজে শোভিত হলেও দীর্ঘদিনের অবহেলা আর অযত্নের কারণে সেটি এখন ধ্বংসপ্রায়। তবে মূল স্থাপত্য সৌন্দর্য্যের এই ভগ্নদশার মাঝেও ভিন্ন যে বিষয়টি দর্শনার্থীদের মাঝে আনন্দের খোড়াক জোগাতে পারে সেটি হলো এই মন্দিরের বিভিন্ন অংশে বাসা বানানো টিয়া পাখির কলকাকলি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫২

ক্যাপ্টেন আহাব বলেছেন: আমার বাড়ি মুন্সীগঞ্জ জেলায় কিন্তু যাওয়া হয় না একদম। অনেক স্থাপত্যিক নিদর্শন ছড়িয়ে আছে শুনেছি, তারপরও যাওয়া হয়ে উঠেনি আর এখন তো প্রবাসী। যাই হোক আপনার এই অনুসন্ধান সিরিজ আকারে লেখা হলে আরও ভালো হয়। শুভকামনা রইলো।

০৯ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:০৪

বর্ষন মোহাম্মদ বলেছেন: কিছু দেয়া আছে আমার ব্লগ লিস্ট দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.