নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি প্রেমের গল্পঃ আউট অফ সাইড আউট অফ মাইন্ড

১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪৫


সমাপ্তী তখন অষ্টম শ্রেনীতে পড়ে তার নব্য প্রেমিক আবির রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের এইচ এস সি প্রথম বর্ষের ছাত্র । আবির ছোট থেকে অনেক আদরের লালিত পালিত । হোস্টেলে জীবনটা ঠিক মানিয়ে নিতে পারছেনা । আবির একটু শান্ত ও আবেগী একটা ছেলে । মনের কথা মনেই রাখে দুঃখের কথা প্রকাশ করা তার স্বভাবের মধ্যে পড়েনা । বাড়ী থেকে কলেজটি মাত্র ৩ কি,মি দুরে হোস্টেলে থাকার তেমন প্রয়োজন নেই তার । কিন্তু তাকে থাকতে হচ্ছে ,কিছু ভুলতে হলেও থাকতে হচ্ছে । কিছুতেই আবির সুমিকে ভুলতে পাড়ছেনা ,প্রাইমারী স্কুলের প্রেমিকা ছোট থেকে স্কুলে যাওয়া ,এক সাথে ফুচকা খাওয়া প্রেম , প্রনয়, কিন্তু পরিনয় অসমাপ্ত। সুমির বিয়ে হয়েছে এই থেকে আবির সবসময় অবচেতন মনে শুধু সুমিকেই কল্পনা করে । সমাপ্তীর মাঝেই সুমিকে খুজার চেষ্ঠা করছে আবির চেষ্টা করছে অনবরত , নির্ঘুম রাত্রীযাপন । দিন দিন ক্ষয়ে যাচ্ছে আবির আর পারছে না ঘুমের ঔষধ ০ , ৫ থেকে ২ এমজি তে উঠে গেছে । হোস্টেলে মোবাইল ও ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস চালানোর অনুমতি ছিল না , তারা লুকিয়ে কথা বলত । কথা বলা-দেখা করা ইত্যাদি করতে করতে আবিরের কলেজ জীবন শেষ পাড় হলো সমাপ্তি তখন এসএসসি পরিক্ষার্থী । আবির চলে আসল ঢাকায় ডিফেন্স কোচিং এ ভর্তি হলো , ধানমন্ডি থাকা অবস্থায় প্রতিদিনই লেকের পাড়ে পান্ সির পেছনের শিড়িতে বসে সময় কাটাতো , কয়েক জন নতুন বন্ধু হলো হিমেল , আফরান ,হাসান ,তুষার ,জনি ভাই । সমাপ্তির সাথে কথা হয় না তেমন নতুন জীবনে এসে গেলো নতুন ভাবনা । চারদিকে চকচকে ফকা দুনিয়া । ফেইসবুকে মেয়ে বন্ধুর সংখ্যা বাড়তে লাগল । নিলিমার ছোয়া নামে এক মেয়ের সাথে অন্তীম সম্পর্কে জড়িয়ে পরলো মেয়েটি ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে থাকতো । আবিরের জন্য সুবিধেই হলো প্রায়ই দেখা হতো লেকের পাড়ে কিংবা গ্লোরিয়া জিন্স , কে এফ সি , রেইনট্রি । আসলে কে ছোয়াকে ভালো বাসত আবির নিজেও বুঝে উঠতে পাড়ছিলো না । সমাপ্তীর সাথে দুরত্ত্ব বাড়ায় একটূ একটু করে আবিরে সমাপ্তিকে ভুলে যেতে থাকলো । পানসির রাস্তার বিপরিতে গ্রিন নামক মদের দোকান থেকে বন্ধুরা মিলে হান্টার ও কেরুস পার্টী হতো ,আজ প্রায় ৭ বছর মদের দোকান বন্ধ হয়ে গেছে আবির মদ খাওয়া বন্ধ হয় নি , আনমনা আবির ইচ্ছে করেই কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিক্ষা দিলনা । সেনাবাহিনীতি পরিক্ষা দিয়েছিল তবে লিখিত পরিক্ষায় পাশ করতে পারে নি । দুরত্ত্ব যতই হো কাছে থাকবো কথা টা মিললো না আবির-সমাপ্তির জীবনে দুরত্ত্ব বাড়তে লাগলো । কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ না পাওয়ায় আবির সরকারী কলেজে ভর্তি হলো ,আবার একটু একটু করে সমাপ্তীর সাথে যোগাযোগ করতে শুরু করলো আবির । হঠাত ই একদিন আবির সিদ্ধান্ত নিল সে সমাপ্তীকে বিয়ে করবে । কিন্তু আবিরের এই উদ্ভট চিন্তা কোথা থেকে এল সে এখনো এর সমাধান জানেনা । সমাপ্তী বিয়ের জন্য প্রস্তুতি ও নিয়ে ছিল । আবিরও নিয়েছিল টাকা ,উকিল বাবা, স্বাক্ষী সব , আগের দিন রাতে আবির তার বিয়ের প্রসঙ্গে তার এক কাছের বড় ভাইয়ের সাথে আলাপ করছিল । বড় ভাই তাকে বললো আবির তুমি এখন বিয়ের যোগ্য নও ,পড়ালেখা করছো করতে থাকো , তুমি বংশেরর বড় ছেলে জীবন এখনও অনেক বাকি আপাদত এত হার্ড ডিসিশন নিও না । এক রাতে পাল্টে গেল আবিরের জীবন ,ভাবতে থাকলো আসল বাস্তবতা । আসলেই আবিরের ভবিষত কি ? কি করবে? এসব ভেবে ভেবে আবির চলে গেল তার নতুন জীবনে নতুন পার্ট টাইম একটা চাকুরী নিল । কথা হতো তবে মন থেকে সমাপ্তীর অধ্যায় আসতে আসতে সমাপ্ত হতে লাগলো । ততদিনে সমাপ্তী ঢাকার একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলো । আবার তাদের দুরত্ত্ব বেড়ে গেল । সম্পর্ক প্রায় শেষই হয়ে গেল বলে । এর পর দুই বছর আবিরের লেখা পড়া স্থগিত ছিল । পরে আবির একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয় । কেটে যায় ৩ বছর এর মধ্যে মদ-বিয়ার , নাড়ী নেশায় মগ্ন হয়ে পরে । মদের নেশায় বধ আবির এখন নতুন জীবনে ফিরতে চায় । সে সমাপ্তীকে সবকিছু বলে সমাপ্তী ততদিনে আবিরকে ভুলে গেছে ,এখন আর সে আবির কে চায়না , আবির পার্টাইম জব করে , ক্লাস করে , পরিক্ষা দেয় , রাতে মদ খায় , ঘুমায় , সকালে উঠে আবার সেই একই চক্র চলছে তো চলছেই ,তবে কি এর শেষ মৃত্যুতে ? নাকি সমাপ্তী তাকে আর একটি সুযোগ দিবে ? চলবে .

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৫৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সুযোগ দিলেও লাভ হবে না।। এপথ থেকে ফেরা যায় না।।

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারন প্লট, তেমন কিছু মনে হলো না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.