নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে
আজ আমাদের সহকর্মী ছোট ভাই শেখ মো. রতন কারাগারে। স্ত্রী-সন্তানেরা ওকে খুব বেশি মিস করছে। নববর্ষের দিনগুলোতে রতন সব সময় পরিবারকে সময় দেয়। ঘুরে বেড়ায়। সন্তানেরা বাবাকে খুজছে। স্ত্রীর উত্তর নেই। প্রতিটি মানুষেরই দোষ-গুন আছে। আছে রতনেরও। আছে আমারও। তাই বলে একজন সংবাদকর্মী আরেকজন সংবাদকর্মীর মামলায় জেলে যেতে হবে? গত ২দিন ধরে আমি বেশ ক্ষুব্ধ। যাকে-তাকে যা ইচ্ছে বলছি। আমি মানুষের কষ্টমাখা মুখ সহ্য করতে পারি না। ওকে দেখতেও যাইনি। সহকর্মীদের অনেকেই গেছেন। তথ্য প্রযুক্তি মামলা হয়েছে প্রায় ৩-৪ মাস আগে। বিভাজনের কারণে আমরা ওর বা ওদের পক্ষে দাড়াতে পারিনি। সিনিয়রদের বিভাজনের মাশুল দিতে হচ্ছে ওকে। আরও আছে ৬ সহকর্মী। ওরাও কষ্টে আছে। এভাবে আর কতোদিন। দিনেদিনেতো রতনের মতো অনেককেই কারাগারে যেতে হতে পারে। আমাদের বিভাজনে সুবিধা নেয়ার যারা নিচ্ছে। যার মামলায় রতন আজ কারাগারে তাকেও যে একদিন একই পথ অনুসরন করতে হবে না-কে দেবে এর গ্যারান্টি। রতন ভালো থেকো। তোমার স্ত্রী-সন্তানেরা তোমাকে খুবই মিস করছে।
আর গত ৪ দিন আগে রতন ফোন করে বলেছিলো আগামীকাল ১৫ ই এপ্রিল ওর মাইটিভির জন্মদিন পালনের কথা। ওর উপস্থিতি থাকবে না, হয়তো পালন করা হবে জন্মদিন..
লেখক ও সাংবাদিক
মোজাম্মেল হোসেন সজল
স্টাফ রিপোর্টার ,মানবজমিন
জেলা প্রতিনিধি ,ঢাকা বাংলাদেশ টিভি
ফেইসবুক থেকে……
উল্লেক্ষ্য যে,ফেইসবুকে একটি সংবাদে লাইক দেয়ার কারণে সাংবাদিক শেখ মো. রতনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরে সিএমসি গার্ডেন ভবনে সমকালীন মুন্সিগঞ্জ ডটকম এর কার্যালয় থেকে পুলিশ সাদা পোশাকে এসে থানায় নিয়ে যায়। একটি আইসিটির মামলায় আসামী করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। শেখ মো. রতন বাংলাদেশ সময় ও মাইটিভির জেলা প্রতিনিধি এবং মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্য ও সমকালীন মুন্সিগঞ্জ ডটকমের সম্পাদক।
জানা গেছে, এলএলবি(অনার্স) সার্টেফিকেট জালিয়াতিরর অভিযোগে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মীর নাসিরউদ্দিনের বিরুদ্ধে কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদের প্রেক্ষিতে ৩ ফেব্রুয়রি মীর নাসির উদ্দিন তথ্য প্রযুক্তি ও যোগাযোগ(আইসিটি) আইনে মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় মুন্সিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও মুন্সিগঞ্জ নিউজ ডটকম অনলাইনের সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিমকে প্রধান আসামী করে ৭জন সংবাদকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়। ওই সংবাদ ফেইসবুকে সেয়ার দিলে অন্যান্যের মত সাংবাদিক শেখ মোহাম্মাদ রতন লাইক দিয়েছিল। এই লাইক দেয়ার কারণে তাকেও আসামী করা হয়।
উল্লেখ্য, মীর নাসির উদ্দিন দুটি এলএলবি (অনার্স) এর সার্টিফিকেট একই সালে (২০১২) দুটি বিশ্ববিদ্যালয় (দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও অতীশ দিপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে অর্জন করেন। অ্যাডভোকটেশীপ পরীক্ষার জন্য বার কাউন্সিলে ২০১৩ সালে রেজিস্ট্রেশন করেন, যার রেজি. নং ২৩৪৮/২০১২।
এদিকে দারুল এহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত এলএলবি (অনার্স) শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেয়া বাতিল করে বার কাউন্সিল। পরে মীর নাসির উদ্দিন অতীশ দিপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই সালের এলএলবি (অনার্স) এর সার্টিফিকেট দিয়ে বার কাউন্সিলে ২০১৪ সালে আবার রেজিষ্ট্রেশন করেন, যার নম্বর ১০৫৩/ ২০১৪।
এটা জালিয়াতির মাধ্যমে হয়েছে অভিযোগ করে মুন্সিগঞ্জ ডটকমসহ কয়েটি অনলাইনে নিউজ হয়।এই নিউজ ফেইসবুকে আপকরা, সেয়ার ও মন্তব্য করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মীর নাসির মামলা করেন।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:৩৬
করুণাধারা বলেছেন:
এই খবরটা একটা অনলাইন পত্রিকায় পড়েছি। খুব দুঃখজনক।
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৩২
ঢাকাবাসী বলেছেন: আম্লী.. করতে বলুন, ছেড়ে দিতে পারে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৩৫
চাঁদগাজী বলেছেন:
সাংবাদিক জেলে? উনার ফেমেলীর কাছে মাফ চাচ্ছি, সাংবাদিকদের জেল খারাপ নয়।