নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিকৃতবুদ্ধির অধিকারী

বর্ষন মোহাম্মদ

অস্থিতিশীলতা, নষ্টামি, আর যাবতীয় প্রতারণা-প্রবণতার বিরুদ্ধে খেলা চলবে

বর্ষন মোহাম্মদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের দুর্বলতা নিয়ে ফকির বাবার ব্যবসা

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭


ফার্মগেট দিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলাম, আনন্দ সিনেমা হলের সামনে প্রায়ই এক লোকের জটলা দেখি ভেষজ এক ফোটা ঔষধে যৌন রোগের সমাধান করতে পারে। আজ একটু ইচ্ছা হলো ফকির বাবার কেরামতি দেখবো। গেলাম সামনে শুরু হলো ফকির বাবার খেলা।
প্রথম পর্ব, ফকির বাবা একটা ছেলেকে একটা পাথর দিলো, মুঠ করে ধরে রাখতে ছবিতে সাদা আর হলুদ চোখে সানগ্লাস পরা এবার ফকির বাবা মন্ত্র পরে বলো এবার হাত খুল ছেলেটা হাত খুলতে পাড়লো না। বহু চেষ্টার পর ফকির বাবা আবার মন্ত্র পড়লো ছেলের হাত খুলে পাথর পড়ে গেল। আমি ছবি তুলছিলাম আড়াল থেকে ছেলেটি আমাকে লক্ষ্য করছিল, তখন আর বুঝতে বাকি রইলো না এটা বাবার ই দালাল। হঠাত আর একজন বলে উঠলো ও ইচ্ছে করে ধরে রেখেছে আমাকে দেন। ফকির বাবা তার হাতেও পাথর দিলো সেই একই ঘটনা,উনার থেকে আরো এক জন সেই একই ঘটনা। ফকির বাবা অফার দিলো মন্ত্র শিখাবে ৬০০টাকা দিতে হবে কেউ রাজী হলোনা।
দ্বিতীয় পর্ব, এক ফোটা ঔষধ ফ্রি ফ্রি ফ্রি, খাওয়ার সাথে সাথে যৌনাঙ্গ বড় হতে থাকবে কে কে খাবেন হাত বাড়ান প্রায় ১৫ টা হাত আমার হাত ও ছিলো। এবার বাবা সবাইকে কসম কাটা লো উপকার পেলে সবাই দুজন করে রোগী পাঠাবেন। সবাই রাজী হলো। যৌনজীবনে শুখ কে না চায়। এবার বিসমিল্লাহ বলে সবাইকে খেতে বললো। আমি ও মুখে দিলাম কিন্তু পরবর্তি স্ট্যাপ টা দেখার জন্য মুখেই রেখে দিলাম গিল্লাম না। এবার ফকির বাবা বললো স্বাদ কি গরম আর হাতের উপরে ফুলের গন্ধ। আমার মুখ জলে যাচ্ছিল, হাতে ফুলের না আতরের গন্ধ পাচ্ছিলাম। এবার বাবা বললো এটা খাওয়ার পর একটা ভেষজ ঔষধ খেতে না হয় লিংগে পচন ধবে। আমি তখনই মুখ থেকে ফেলে দিলাম। এবার সবাই কে ১০০টাকা দেন সাথে সাথে খান না হয় পচন শুরু হয়ে যাবে। সবাই এবার ১০০টাকা করে দিয়ে ঔষধ টা খেলো।
এবার বাবার তৃতীয় পর্ব , এটা একবার খেলে হবে বা ৯ ডোজ খেতে হবে ৯ ডোজ ৩০০টাকা তবে আপনাদের জন্য ছাড় ২০০ টাকা। বাধ্য হয়ে সকল কেই নিতে হলো। আমার কার্ড নিন কাজ না হলে টাকা ফেরত তবে আমার ঔষধে কাজ হবেনা এমন লোক কোন দিন আসে নি। কাউকে ফাপর দিয়ে কার্ড দিলোনা তবে পেছনের পকেটে আমি একটা নিয়ে এসেছি। কার্ডটা ও হয়তো ভুয়া ছিলো।
পর্যবেক্ষণ, সকলে ৩০০ টাকা দিয়ে তিনটা ঔষধ নিয়ে মন খারপ করে চলে গেল। এক জন কে ডাক দিয়ে বললাম ভাই আপনার মন্তব্য কি সে বললল ভাই আমি পঞ্চগর থেকে এসে ছি , এক ফোটা ঔষধ আর তিনটা ট্যাবলেট দিয়ে ৩০০টাকা রখে দিলো। ফ্রি ভেবে খেয়ে ভাই ফান্দে পরে গেলাম। সবার ই একই কথা হয়ত। তবে ঔষধে কাজ ও হতে পারে কারন কোন লোক বিরোধীতা করছে না সামনে পুলিশের গাড়ী চেক পোস্ট, ফকির বাবার কেরামতি চলছেই

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫৫

নাগরিক কবি বলেছেন: এইসব আদিম ব্যবসা। চলবেই...

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: হা হা হ.... :) :) :)
এসব আমার দেশেই দেখেছি। আর কোথাও দেখি নাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.