![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি জাহাজ্ঞীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগে পড়াশুনা করছি।
বর্তমানে হরহামেশাই দূষণ কথাটি উচ্চারিত হয়। দূষণ হচ্ছে সভ্যতার উৎকর্ষতারই ফল। আমরা সবাই মিলে যেন আমাদের এই বাসযোগ্য পরিবেশটাকে একযোগে অস্বাস্থ্কর, নোংরা ও রোগ-জীবাণুতে পরিপূর্ণ একটি অবাসযোগ্য পরিবেশে পরিণত করার মহাযজ্ঞে নেমে পড়েছি। আমরা প্রতিনিয়তই গৃহস্থালির বর্জ্য, হাসপাতাল বর্জ্য, শিল্প বর্জ্য, ব্যবহৃত পলিথিন, বাদাম ও কলার খোসা, খাবারের উচ্ছিাংশ, মৃত উদ্ভিদ ও প্রাণির দেহাবশেষ, রাসায়নিক সার কীটনাশক এবং পয়ঃনিষ্কাশন নালীর বর্জ্য ইত্যাদি আমরা আমাদের চারপাশের পরিবেশে নিক্ষেপ করি- যা বায়ু, পানি ও মাটির মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সংগত কারনণেই উদ্ভিদের স্বাভাবিক বর্ধন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করে এমনকি অঙ্গসংস্থানিক পরিবর্তন ঘটায় ও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। “পরিবেশের উপাদানগুলোর স্বাভাবিক অনুপাতের বিঘ্ন ঘটলে বা সহনশীল মাএার স্বাভাবিকতা ছাড়িয়ে গেলে এবং কোন কিছুর উপস্থিতি জীবকূল ও পরিবেশের অন্যান্য উপাদানের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেললে; তখন সেই অবস্থাকে দূষণ বলা হয়।“
উদ্ভিদের বর্ধন প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করছে এরূপ পরিবেশ দূষকসমূহ-সালফার ডাই অক্সাইড, হ্যালাইড, ওজোন, কার্বন মনোক্সাইড, শিল্প ধূম, পারঅক্সি অ্যাসিটাইল নাইট্রেট, সায়ানাইড, বিভিন্ন রকমের শক্তিশালী বিকিরণ, হাইপোক্লোরেট, ফেনল, ভারী ধাতুসমূহ এবং বেনজিনউদ্ভূত পদার্থসমূহ। মাটি হচ্ছে উদ্ভিদ জন্মানোর প্রাকৃতিক মাধ্যম যা উদ্ভিদের পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। উদ্ভিদ মাটি থেকে খনিজ উপাদানসমূহ মূলত আয়ন হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। মাটির খনিজ উপাদানসমূহ মাটির পানির সাথে দ্রবীভূত হয়ে উদ্ভিদে আসে । বিভিন্ন পরিবেশ দূষকের অনুপ্রবেশের কারণে উদ্ভিদের পুষ্টি উপাদানসমূহ দূষকের সাথে বিভিন্ন ক্রিয়া-বিক্রিয়ায় আয়নসমূহের জটিল দশা তৈরি হয়। এজন্য উদ্ভিদের স্বাভাবিক বর্ধন প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত হয়।
পরিবেশের বিভিন্ন দূষণের মাএা বৃদ্ধিতে উদ্ভিদ নানাবিধ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে-উদ্ভিদের পাতা মরে যাওয়া, কাণ্ড শুকিয়ে যাওয়া, পাতার রং বিবর্ণ হওয়া, অনেক সময় উদ্ভিদের মারা যাওয়া। এছাড়াও উদ্ভিদের ভৌত রাসায়নিক ও গঠনগত পরিবর্তন ঘটে। বিষাক্ত উপাদান যদি উদ্ভিদে আংশিক বা পুরোপুরি অ্যাকুমুলেশন হয়ে যায়, তবে উদ্ভিদে উৎসেচকের বৃদ্ধি বা হ্রাস ঘটতে পারে, সালেকসংশ্লেষণ, শ্বসন, পানীয় সমতা ও শারীরবৃত্তীয় কাজের ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হতে পারে। ফলশ্রুতিতে উদ্ভিদের উৎপাদন হ্রাস পায়। এমনকি উদ্ভিদের মূল, পাতা ও শস্যদানার মধ্যওে বিষাক্ততার প্রভাব হতে পারে। উদ্ভিদের প্রাথমিক দশায় বা অঙ্কুরোদগমের পরবর্তীতে দূষণের প্রভাব সবচেয়ে মারাত্মক ও ভয়াবহ হতে পারে।
উদ্ভিদের বর্ধন প্রকিয়া বা স্বাভাবিক বৃদ্ধির উপর দূষণের প্রভাব যাতে ক্ষতিকর হতে না পারে সেজন্য যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন সেগুলে নিম্নরূপ-
-পরিবেশে দূষকের যতযএ নিক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
-গ্রীণবেল্ট ব্যবহারের প্রচলন চালু করা।
-পরিবেশ দূষণের আইন ও নীতিমালার কঠোর প্রয়োগ একান্ত প্রয়োজন।
-দুষণের রোধের ব্যাপারে অমনোযোগী ও অলস মনোভাব দূর করার চেষ্টা করা উচিত।
উদ্ভিদ হচ্ছে বাস্তুসংস্থানের সবচেয়ে গুরূত্বপূর্ণ উপাদান। পরিবেশগত ব্যবস্থাপনায় ও চিন্তাচেতনার ক্ষেত্রে উদ্ভিদের ভূমিকা অন্যান্য। বলা যেতে পারে, পরিবেশ দূষণের ফলে উদ্ভিদের উপর যে ক্ষতিকর প্রভাব বাড়ছে –সেই দূষণের হার কমাতে গেলে উদ্ভিদের হার বাড়াতে হবে বা বনায়নের হার বাড়াতে হবে।
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৩
পলাশ মিয়া বলেছেন: ভালো লিখেছো বাশার...তোমার লেখার আরো যথাযথ উন্নতি কামনা করছি......