![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি যা শুনি যা বুঝি তা নিশ্বঙ্কচিত্তে বলতে চাই।
১১) সবচেয়ে খারা স্থান -- Mount Thor
আমি যখন চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটি যাচ্ছিলাম খেয়াল করলাম আমার বেস্ট ফ্রেন্ড বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে সুরা কেরাত পরা শুরু করেছে। কারন বাসের জানালা দিয়ে তাকিয়ে সে মাটির বদলে গভির খাদ দেখতে পাচ্ছিল। উচ্চতা ভিতি থাকলে যা হয় আরকি। কিন্তু কেটা পাহার থেকে নিচে তাকালে সাধারনত আমরা যেটা দেখি ঢালূ একটা ধার নেমে গেছে নিচের দিকে। কিন্তু যে পাহারগুলো একেবারে খারা নেমে যায় সেগুলো কিন্তু মারাত্মক ভয়ানক হয়। আর সেই রকম খারা স্থানের মধ্যে সেরা এবং সর্বোচ্চতম হচ্ছে এই Mount Thor।
মারাত্মক এই পর্বতটির ভুমি থেকে উচ্চতা ১২৫০ মিটারের উপরে বা সোয়া এক কিলোমিটার। এই পুরো উচ্চতাটাই একেবারে খারা হয়ে উঠেগেছে। পর্বতটি এভাবে সৃস্টি হওয়ার কারন হিসাবে বিজ্ঞানিরা বলেছেন কোন এক অদ্ভুদ কারনে এখনে কোন একসময় ভয়ানক একটা ভুমিকম্পের ফলে এই পর্বতটির একটা সাইড হঠাৎ করে ধ্বসে পরে যায়। বিষয়টা আমার মাথায় একেবারেই ঢুকে নাই।
এই কারনে এটি মুলত হাইকার পা পর্বোতারোহিদের জন্য অত্যান্ত পছন্দের একটা স্থান। হাইকরারা এটাতে উঠার সময় সাধারনত প্যারাসুট নিয়ে উঠে। চুরায় উঠার জন্য তারা এই খারা স্থানটাকে ব্যাবহার করে। কোন ভাবে এটা থেকে একটা বার পাপিছলে পরে গেলেই শেষ। প্যারাস্যুটও তখন বাচাতে পারে না।
১২) সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নির্জন স্থান -- Dallol, Ethiopia
এই স্থানটি ইথিউপিয়ার উত্তরদিকে অবস্থিত। সমুদ্রের কাছাকাছি সত্তেও এটি সমুদ্র প্রষ্ঠ থেকে প্রায় ৪২৬ ফিট নিচু। পুরো অঞ্চলটিই মরুভুমি। প্রশ্ন উঠতে পারে যেহেতু এটি একটি মরুভুমি তাহলে তো এখানে মানুষ বাস না করারই কথা। কিন্তু আসলে এখানে মানুষ বাস না করার অন্যএকটা কারন। মরুভুমি হলেও এখানে প্রচুর পরিমানে পানি আছে। পানি থাকলেও সেই পানি খাওয়া বা ব্যাবহার করার মতন নয়।
এই অঞ্চলটি তাপমাত্রা গড়ে ৪২ ডিগ্রির উপরে থাকে সবসময়। কি দিন কি রাত সবসময়ই অসহ্য গরম। সাথে সাথে মাটি নিচে থেকে উগরে বেস হয় প্রচন্ড গরম পানি। সেই পানিতে থাকে বিভিন্ন রকম বিষাক্ত এসিড এবং খনিজ পদার্থ। এই সব কারনে এখানে মানুষ্য বষতি একেবারেই নেই। এবং মনুষ্য বষতি না থাকাতে পুরোটাই আস্তে আস্তে মরুভুমিতে পরিনত হয়েছে।
এখানে একটা পাটাশের খনি পাওয়া গেছে সত্তরের দশকে। যার কারনে এখানে একটা রেইল রোড নির্মান করা হয়। বলা হয়ে থাকে রেল পথ নির্মান শ্রমিকদেরকে বেশি বেতন দিয়েও রাখা যেতনা এখানে। আবার খনিতেও কেউ ভালো করে কাজ করতে চায় না বিষাক্ততার কারনে। এখানের বাতাষও মাঝে মধ্যে বিশাক্ত হয়ে উঠে। প্রচন্ড গরম আর বিষাক্ততার জন্য এইটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রার নির্জনতম স্থান।
১৩) উত্তরে সর্বশেষ ভুমি -- Kaffeklubben Island
এটি একটি আইল্যান্ড বা দ্বিপ। সাইজে খুবই ছোট কিন্তু এটির বিশেষত্ব হল এন্টার্কিটার বরফের রাজ্যের ঠিক আগে এই ছোট্ট দ্বিপটিই হচ্ছে সর্বশেষ জমি। এর পরে শুধুই বরফ আর বরফ। জমির আর কোন দেখা পাওয়া যাবে না। দ্বিপটি গ্রিনল্যান্ড এর সর্বউত্তরে অবস্থিত। মজার বিষয় হচ্ছে এটি সম্পর্কে হাজার বছর ধরে কোন ধারনাই ছিল না।
১৯০৫ সালে আমেরিকার অভিযাত্রি Robert Peary প্রথম এটির দর্শ পান। তিনি মুলত উত্তরমেরুর উদ্দেশ্যে গ্রিনল্যান্ডের উত্তর উপকুল ধরে একটা নতুন রুটে যাচ্ছিলেন। তখনই তার চোখে এটি পরে। তিনি এটিতে বেশ কিছু গাছ এবং ফুল পান। যদিও এখানে এই প্রচন্ড ঠান্ড পরিবেশে কিছুই জন্মাবার কথা ছিল না।
মজার বিষয় হচ্ছে এই দ্বিপের আসে পাশে কখনোই ভালো ভাবে পানি পাওয়া যায় না। মানে সবসময়ই বরফ থাকে সমুদ্রের পানি। কিন্তু অদ্ভুদ বিষয় হচ্ছে এই দ্বিপটিতে কখনোই সেভাবে বরফে ঢেকে যায় না। তাই প্রায়ই এই অঞ্চলদিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন জাহাজ এই দ্বিপটি দেখে কিছুটা অবাক হয়ে আর চোখ জুরিয়ে নেয় সেই জাহাজের নাবিকেরা। কারন শুভ্র সাদার এই সাগরে একটুকরো মাটি দেখা চোখের জন্য একটু আরামই বৈকি।
১৪) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা -- Vostok Station, Antarctica
পৃথিবীর ইতিহাসে মানুষের রেকর্ডকৃত সর্বনিম্ন তাপমাত্র রেকর্ড করা হয় এন্টার্কটিকায় ভস্টক স্টেশনে। এই স্টেশনটি ১৯৫৭ সালে নির্মান করে রাশিয়া বা তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন মেরুর বরফ গবেষনার জন্য। এটির অবস্থান একেবারে সেন্টার উত্তর মেরু থেকে ১৩০০ কিলোমিটার দক্ষিনে। স্টেশনটি থেকে সোভিয়েত বিজ্ঞানিরা প্রধানত ড্রিলকরে বরফের নিচের স্যাম্পল নিয়ে গবেষনা চালাতেন।
এখানে রেকর্ডকৃত তাপমাত্রায় দেখা যায় যে সর্বোচ্চ তাপমাত্র উঠে নেগেটিভ ১২ ডিগ্রিতে এবং সর্বনিম্ন নেমেযায় নেগেটিভ ৯০ ডিগ্রিতে। সাধারনত এই তাপমাত্রায় মানুষ খালি গায়ে খুব বেশি হলে মিনিট তিন চারেক বাচতে পারবে। এই স্টেশনের কিছু মজার বিষয় আছে। এখানে কখানোই ফ্রিজিং বা বরফ তাপমাত্রা চেয়ে বেশি হয় না। এখানে বছরে টানা প্রায় ৬ মাস দিনে ২০ থেকে ২৩ ঘন্টা সুর্যের আলো পাওয়া যায় আর টানা ৬ মাস ২৪ ঘন্টাই অন্ধকার থাকে। স্থানটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সারে তিন কিলোমিটার উপরে। এতটা উচুতে থাকার ফলে এখানকার বাতাস সবসময়ই প্রচন্ড শুস্ক থাকে।
এই অঞ্চলটিই বর্তমানে পৃথিবীর সবচেয়ে ঠান্ডা অঞ্চল হিসাবে স্বিকৃত। এখানে খুব কম মানুষই থাকতে পারে। যারা থাকে তাদেরকে স্পেশাল হিসাবেই ধরে নেয়া হয়। সাধারনত ঠান্ডার সময় খুব বেশি মানুষ এখানে থাকে না। তারপরও খুবই মারাত্মক এই পরিবেশে যারা থেকেছে তাদেরকে ধরেই নেয়া যায় অসাধারন টাইপের মানুষ তারা।
১৫) গভিরতম বরফ-- Bentley Subglacial Trench
এটিও এন্টার্কটিকাতে অবস্থিত। নামটি দেয়া হয়েছে আমেরিকান অভিযাত্রি Charles R. Bentley এর নাম থেকে। কারন তিনিই প্রথম এই স্থানটি আবিস্কার করেন। এই স্থানটিতে যা আছে তা হচ্ছে বরফ। এখানে একটি আস্ত সাগর থাকার কথা। কিন্তু তা নেই। যদি সাগর থাকতো তাহলে এর গভিরতা হত ২৫৫৫ মিটার বা আড়াই কিলোমিটেরর বেশি। কিন্তু এই পুরো গভির স্থানটিই বরফে আচ্ছাদিত।
সমুদ্র পৃষ্ঠথেকে মাটির গভিরে বরফ এর মাত্রা এটাই সর্বোচ্চ। এখানে ড্রিল করে আমাদের এই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপুর্ন ইতিহাস পাওয়া গেছে। কারন কোন এক সময় এখানে বরফের বদলে পানি ছিল। তাই এখানে জমে থাকা বরফের মধ্যেই রয়েছে প্রাগতৈহাসিক আমলের অনেক জীবজন্তুর জিবাষ্ম।
১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৭
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর কমেন্টস এর জন্য
২| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
এম. মাসুদ আলম. বলেছেন: দারুন।
view this link
১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৯
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ
৩| ১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১১:২৩
বালক বন্ধু বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য। এই ধরেনর পোস্টগুলো জ্ঞানের তৃষ্ণাকে কিছুটা হলেও মেটাতে পারে। তাই এক দমে পড়ে ফেলেও মনে হয় আরো কেন নেই?
আশা করি ভবিষ্যতে আপনার কাছ থেকে আরও এমন লিখা পাবো। আমি ১ এবং ২ পড়িনি। আপনার ব্লগে প্রবেশ করে সেগুলো পড়ে নিবো ইনশাল্লাহ!
১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫০
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: আমারই উচিত ছিল আগের লেখাগুলো লিংক দেয়া। ধন্যবাদ।
৪| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ৯:৩১
সুমন কর বলেছেন: চমৎকার কিছু তথ্য জানতে পারলাম।
১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৪:১৪
বশর সিদ্দিকী বলেছেন:
৫| ১৫ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১১:২০
হাসান মাহবুব বলেছেন: +++++
১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
বশর সিদ্দিকী বলেছেন:
৬| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০০
শামছুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার পোস্ট।
অনেক কিছু জানতে পারলাম।
১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ধন্যবাদ
৭| ১৫ ই জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: চমৎকার উপস্থাপন কৌশল আপনার --- ছবি আর বর্ণনায় মুগ্ধ আমি, যখন পড়ছিলাম তখন মাঝে মাঝে নিজেই কেন যেন ভয় পাচ্ছিলাম -----
১৫ ই জুন, ২০১৫ বিকাল ৫:১৬
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: শিহরন জাগানোর মতনই ব্যাপার স্যাপার।
৮| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৫
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: যথারীতি চমৎকার পোস্ট বশর ভাই। দারুণ দারুণ সব তথ্য পড়ি আর রোমাঞ্চিত হই। উচ্চতা, শীত আর গরম সবই আমি খুব খারাপ পাই।
সিরিজ চলতে থাকুক, সাথে আছি ভাই। ভালো থাকুন সবসময়, শুভকামনা রইল।
১৬ ই জুন, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ
৯| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৩৭
mrof বলেছেন: বর্ননাভংগী পড়ে মনে হয়ে আপনি নিজেই ঘুরে এসেছেন
সত্যি খুব চমৎকার।
১০| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৮:৫৭
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হায়! এই জীবনে কিছূই জানা হলো না!
আপনি কত্ত কিসু জানেন আর জানান
অনেক অনেক ধণ্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১১| ১৫ ই জুন, ২০১৫ রাত ৯:৪৩
প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু দেখা হলো জানা হলো। ধন্যবাদ
১২| ১৬ ই জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৩৬
রমিত বলেছেন: চমৎকার পোস্ট!
১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৫২
দর্পণ বলেছেন: আমি তো আপনার লেখার ভক্ত হয়ে যাচ্ছি ভাই।
১৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৪:১১
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার পোস্ট।+++
নিয়মিত ভাল পোস্ট দিয়ে যাচ্ছেন। আপনার পোস্টের জন্য আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করি।
২৮ শে জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫২
বশর সিদ্দিকী বলেছেন: )
১৫| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৪
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আল্লাহু তোমার নেক হায়াৎ দান করুন, আমিন।।।।
১৬| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩৭
মোঃ ছিদ্দিকুর রহমান বলেছেন: আল্লাহু তোমার নেক হায়াৎ দান করুন, আমিন।।।।
১৭| ৩১ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৬
রাজীব নুর বলেছেন: মনোমুগ্ধকর।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই জুন, ২০১৫ রাত ১০:০৪
সাহসী সন্তান বলেছেন: খুবই সুন্দর লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে!! সত্যি বলতেকি, আমি আপনার লেখার একজন বড় ভক্ত। প্রায়ই ব্লগে এসে আমি আপনার লেখা খোঁজ করি। তাছাড়া আমার অনুসারিত ব্লগারের ভিতরে একমাত্র আপনিই অবস্থান করছেন!! অনেক কঠিন বিষয় গুলো আপনি যেভাবে সুন্দর সাবলিল ভাবে তুলে ধরেন, সেটা সবাই খুব কমই পারে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ!!