![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের দেশের সমস্যার কোন অন্ত নেই। চাহিদার তুলনায় সম্পদ যেহেতু সীমিত সেহেতু সমস্যা আমাদের প্রতিনিয়তই দ্বারে আঘাত করবে। তবুও আমরা আশায় বুক বাঁধি। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও বেঁচে থাকার জন্য আমাদের নিরন্তর সংগ্রাম। এরই নাম জীবন। ব্যর্থতার বোঝা নুইয়ে পড়ে সাফল্যের স্বর্ণালী সুখ আমাদের হাতের মুঠোয় ধরা দেবে এ প্রত্যাশা আমাদের মনে প্রতিনিয়তই আলোড়িত করে। জাতীয় জীবনে ও চলছে মহা সংকট ।নানান প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে দেশ আজ এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে।চার পাশে তার এখনো হাজারো সমস্যা। এ সমস্যাকে অতিক্রম করেইতো আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বছরের শুরুতেইে এ ব্লগ পরিবারের সকলকে অভিনন্দন । সত্যিকার অর্থে লেখকরাই সমাজের বন্ধু, দার্শনিক , পথ প্রদর্শক ও সমাজের দর্পণ হিসেবে চিহ্নিত । সে হিসাবে আমাদেরও অনেকগুলো দায়িত্ব রয়েছে। সমাজের সত্যিকার কার্যকর অভিভাবকের ভূমিকা তাকে পালন করতে হবে, সমাজের চাহিদার সাথে তার সম্পৃক্ততা থাকতে হবে। সমাজের কুসংস্কার, কুপমুন্ডতা ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখককে সৎ ও সাহসী ভূমিকা নিতে হবে। বৃহত্তর সমাজের মৌলিক অনেক আকাঙ্খার সাথে একাত্বতা সৃষ্টি করতে হবে ।আমি আশা করি ‘প্রথম আলো ব্লগ’ বলিষ্ট ভূমিকা রেখে প্রগতিশীল ধ্যান ধারণায় বশবর্তী হয়ে প্রত্যেক পাঠকের আপনার হয়ে উঠবে।
আমরা সবাই সংবাদপত্র ও প্রচার মাধ্যমের স্বাধীনতার কথা হরদম বলে থাকি। যাঁরা বিরোধীদলে থাকেন তাঁরা এ বিষয় নিয়ে বেশী চেঁচামেচি করেন। আর তাঁরা যখন ক্ষমতার সিংহাসনে আরোহন করেন এ কথাটি বেমালুম ভুলে যান। আর সেই স্বাধীনতাই তখন এদের জন্য গাঁ জ্বালা হয়ে উঠে। আমরা শুধু মুখে গণতন্ত্রের কথা বলি,কিন্তু আচার আচরণে গণতন্ত্রের পরিচয় দিই না। সবদলই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার কথা বলেন কিন্তু নিজের স্বার্থ বিরোধী কোন সংবাদ আসলেই এদের উদ্যত অসি সংবাদপত্র পত্রে আঘাত হানে, সাংবাদিকরা নির্যাতিত হন। বিভিন্ন দল গোষ্ঠীর অস্ত্রধারীরা সংবাদপত্র অফিসে হানা দিয়েছে এমন উদাহরণও আছে। এর কারণ কি? কারণ তাদের মনের মতো সংবাদ প্রকাশিত হয় নি। এটি সাংবাদিক, প্রকাশনা জগত, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, গণতন্ত্র কারো জন্যই সুখবর নয়। বর্তমান সরকার যখন ক্ষমতায় ছিলো না, তখন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বেতার, টিভির স্বায়ত্বশাসন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ইত্যাদি সম্পর্কে জোড়ালো বক্তব্য আমরা দেখেছি। ক্ষমতায় গিয়ে কেন আবার সে সুর নরম হয়ে যায় তাও আমরা জানি। কারণ স্বাধীনতা যেমনি অতি প্রিয় জিনিষ, তেমনি অন্যের স্বাধীনতা নিজের ক্ষমতার মসনদকে আবার দুর্বল করে দিতে পারে। আমাদের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে ক্ষমতায় গেলে মন মানসিকতাটা এ রকম হয়ে যায়। বর্তমানে দেশে প্রচুর সংবাদপত্র প্রকাশিত হচ্ছে, বলা হচ্ছে সংবাদপত্র প্রচুর স্বাধীনতা ভোগ করছে-এটা সুখকর লক্ষণ। একটি সংবাদপত্রে প্রত্যেকের ভালো দিক তুলে ধরার অধিকার যেমনি আছে, তেমনি মন্দ দিকগুলোও তুলে ধরার অধিকার আছে।তবে তা হতে হবে অবশ্যই রাষ্ট্রের স্বার্থের পক্ষে এবং সংবাদপত্র নীতিমালার ভিত্তিতে ।যদি তা না থাকে তাহলে সংবাদপত্র সেখানে যথাথর্ ভূমিকা রাখতে পারে না। সংবাদপত্র সকলের বন্ধু হতে পারে। প্রতিপক্ষ নয়। মানুষের সবকিছু জানার অধিকার আছে। অধিকার আছে বলেই সংবাদপত্র সব ভালোমন্দ, অপকর্মÑদুর্নীতি ইত্যাদি প্রকাশ করে গণতান্ত্রিক সমাজ কাঠামোয় দেশের নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করে। সংবাদপত্র যদি অফিস আদালতের দুর্নীতি, সমাজবিরোধী দলের সন্ত্রাস, প্রভাবশালীদের কারসাজি, মৌলবাদীদের মিথ্যাচার, ভন্ডামি, কুসংস্কার ও কুপমুন্ডতা ইত্যাদি সম্পর্কে ছাপার অধিকার না পায়, তাহলে সংবাদপত্র তার যথার্থ দায়িত্ব পালনে শুধু ব্যর্থই নয়, গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থার যথার্থ কোন অবদানই রাখতে পারে না। এ দেশে হাজারো কমলগঞ্জের ‘নুর জাহান, নির্যাতিত হচ্ছে। এ রকম’ নুর জাহান’কে আবিস্কার করার মত সৎ সাহস চাই সংবাদপত্রের।একটি সংবাদ হৃদয়ে নাড়া দিচ্ছে। সংবাদ টি হলো- ‘রাঙামাটির কাউখালী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী তুমা চিং মারমাকে ধর্ষণের পর হত্যার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তুমাচিং এর ধর্ষন ঘটনায় মিডিয়া ব্ল্যাক আউট চলছে কেন? কেন প্রতিবাদ হচ্ছে না?
সাইবারস্পেস ঠান্ডা কেন? কোথায় গেলেন নারীবাদীরা?
বুদ্ধিজীবি-রাজনীতিবিদ-সুশীল-এনজিও-অনলাইন এক্টিভিস্ট-ব্লগার-টকশোএর লোকজন’।(কবি নির্মলেন্দু গুণের ফেসবুক থেকে) আমরা চাই এর তীব্র প্রতিবাদ,গণজাগরণ। সাম্প্রতিক কালে ভারতের দিল্লীতে ধর্ষনের ঘটনা আমাদের অনেক কিছুই শিখিয়েছে।২০১৩ সাল হোক সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সাহসী হবার প্রেরণা।
©somewhere in net ltd.