নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মামুন আবদুল্লাহ

‘’Love killed my soul, My body seeks revenge’’

বাটাগোর বাস্কা

প্রতিদিনই অদ্ভুত এক ইচ্ছা জাগে আমার,ইস!আমি যদি কচ্ছপ হতে পারতাম। কি চমৎকারভাবে মাথাটা দেহের ভিতরে গুটিয়ে নিয়ে পথ চলতে পারতাম,শরীরে শক্ত একটা খোলস থাকতো, অপমান বোধটা গায়ে লাগতো না আর।কিন্তু নিয়তির ছকে আমি বাধা, আমি কখনো কচ্ছপ হয়ে উঠিনা।https://www.facebook.com/mamunabdullah.press

বাটাগোর বাস্কা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিশিপরীর সাথে আমার প্রেম.....!!/:)/:)

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৩৭

গেল বছরের শেষদিকে কোন একদিন মেয়েটি সংসদ ভবনের ক্রিসেন্ট লেকের আশপাশে ঘুরছিল। দেখতে রূপসী, রুচিশীল। পেশা পতিতাবৃত্তি কি না বোঝাই মুশকিল? বিধ্বস্ত জীবন থেকে একটু হাফ ছেড়ে বাচতে, প্রকৃতির সৌর্ন্দয্যে ক্ষণিকের প্রেমে পড়তেই সেই রাস্তায় আমার যাতায়াত.।



দেখলাম, মেয়েটি একজনের সঙ্গে কথা বলে গাড়িতে উঠে চলে গেল। পরদিন সেই একই মেয়েটিকে দেখলাম, একজনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে চন্দ্রিমা উদ্যানের দিকে চলে যাচ্ছে। আমিও পিছু নিলাম। দেখলাম, উদ্যানের ঘাসগুলো এবার তার শয্যা।





দৃশ্যটি মেয়েটি সর্ম্পকে একটু গভীরে জানার রহস্য সৃষ্টি

করল আমার মধ্যে। যে মেয়ে গতকাল কোন ধনীর বেডরুমে রাত কাটিয়েছে। সে কিনা আজ ঘাসে শয্যা পেতেছে। জানার প্রবল সাধ জাগল আমার। লোকটি চলে যাওয়ার পর কাছে ডাকলাম মেয়েটিকে। ও ভেবেছে শরীরের জন্যই হয়তো ডেকেছি।

জিজ্ঞেস করলাম, নাম কি,থাকো কোথায়,কে কে আছে ??মেয়েটির জবাব,সময় নষ্ট করতেছেন ক্যান। যা করার,তাড়াতাড়ি করেন।

বললাম, আমি তো কিছু করব না ।

তাইলে ডাকছেন ক্যান?

তোমার সাথে গল্প করার জন্য।

বেশ্যার লগে আবার গপ্প কিয়ের ? মেয়েটি রাগ হয়ে চলে গেলো...



পরদিন আবার গেলাম সে পথ দিয়ে। মেয়েটির সঙ্গে দেখাও হয়ে গেলো। কিন্তু আমাকে কোন পাত্তাই দিলো না। বলল,আইজকাও গপ্প করতে আইছেন? ক্যান,সাথে ওইটা নাই? দেইখা তো সুপুরুষ মনে অয়। ইচ্ছা করলে আসেন,নইলে ভাগেন।

আমি হাল ছাড়ার মানুষ নই।বসে রইলাম। হঠাৎ কাছে এসে মেয়েটি জানতে চাইল, আমি তার সাথে গল্প করতে এসেছি কি না? বললাম, হ্যা। আপনে তো আজব মানুষ! গপ্প করার জন্য এইখানে আসি নাই। পেট বাঁচানোর দায়ে। বললাম, যদি এজন্য তোমাকে টাকা দেই, কোন সমস্যা আছে? টাকা দেওন লাগবে না, গল্প শুনতে চলেন। এরপর দুজন হাঁটতে হাঁটতে উদ্যানের ভেতরে বেঞ্চে বসে পড়ি।



কি বলবেন,দ্রুত বলেন, টাইম নাই! বললাম, তোমার জীবনের গল্প শুনবো, কি গল্প শুনবেন? সবার তো একই গল্প। এই পেশার মাইয়াগুলা সবাই কোনো না কোনোভাবে প্রতারিত হইছে, প্রেমিকের কাছে,ভাগ্যের কাছে, সংসারের কাছে কিংবা জীবনের কাছে।



তাহলে তুমি কার কাছে? আস্তে আস্তে মেয়েটি সহজ সাবলীল হয়ে উঠছিল। অতপর জীবনের গল্প বলে গেল অবিরত....



জন্মের পরপরই ভাগ্য মেয়েটির সঙ্গে প্রতারণা করেছে, বয়স ১২ না পেরুতেই মা-বাবার মৃত্যু। বাবা-মায়ের স্মৃতি তার কাছে বহুকাল আগে দেখা কোন ধূসর স্বপ্নের মতো। চাচার কাছে বেড়ে ওঠে মেয়েটি। স্কুল জীবন পেরিয়ে কলেজে ভর্তি হয় মেয়েটি। সর্বনাশ ঘটে তখনই। কোন এক অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় সুদর্শন এক যুবকের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম। কিন্তু মেয়েটি ভুল মানুষকে বেছে নিয়েছিল। না জেনেই বিবাহিত লোকটির বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয় মেয়েটি। অতপর চট্টগ্রামে এক ব্যাচেলর বন্ধুর বাসায়...।



চট্টগ্রামে গিয়ে বিয়ে করার কথা ছিলো তাদের। তা আর হলো না। অথচ রাত কাটতে লাগলো একসঙ্গে। চার-পাঁচদিন পর বিনা নোটিশে উধাও হয়ে যায় যুবকটি।এরপর তার জীবনে নতুন অধ্যায়ের শুরু; সে রাতে কয়েকজন অচেনা পুরুষ সারারাত তাকে পুতুলের মতো ব্যবহার করেছিলো ইচ্ছেমতো ।এভাবে কয়েক রাত ...।



জীবন আসলে অনেকটা খেলার মত । যা কিছু ঘটার ,খুব সহজেই ঘটে যায় ।এরপর এ হাত থেকে ও হাত ঘুরে এক সময় ঠাই মেলে রাজধানীর কোন এক রেসিডেন্সিয়াল হোটেলে।সেটাও বন্ধ হয়ে গেলে পার্কই তার একমাত্র বাণিজ্য কেন্দ্র।

শুনলেন তো গল্প,এবার চলে যান।

বললাম, মানুষের জীবনের গল্প তো কখনো শেষ হয় না,মেয়ে..!

সন্ধ্যা পেরিয়ে মধ্য রাত ক্রমেই ঘনিয়ে আসতে থাকে, হঠাৎ কিছু না বলে মেয়েটি দ্রুত চলে যায়....।



এরপর সেইপথে তাকে বহুদিন খুঁজে বেড়িয়েছি আমি। কোথাও আর কখনো দেখা পাইনি তার....।



ব্যস্ত এই শহরে চা্ইনিজ পণ্যের মতই পতিতারাও অনেক সস্তা,অনেক সহজলভ্য। সন্ধ্যার পর পুরো রাজধানী জুড়ে এদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।এসব মেয়েদের খদ্দেরদেরও রয়েছে নানা বৈচিত্রতা। কিশোর-তরুণ-যুবক থেকে সত্তরের ঘরে পা রাখা বৃদ্ধরাও হুমড়ি খেয়ে পরে সস্তার এ পণ্য ক্রয় করতে। এমনও অনেক তরুণদের দেখা মেলে । যাদের বয়স আঠারোর কোটা পার হয়নি। যাদের কাছে মেয়েদের শরীর এখনো বিশাল রহস্য।



জীবন কতটা বিভীষিকাময়!!কত বীভৎস আমাদের চারপাশের বাস্তবতা!! হয়ত জীবন এতটা জটিল না হলেও পারতো! একটু সহজ-সরল-সুন্দর হলে কি এমন ক্ষতি হতো.... ???

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫৯

মাহবু১৫৪ বলেছেন: জীবনটা আসলে সহজ পথেই চালানো যায়। কিন্তু সেটা হয় না আমাদের কারণেই!

+++

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৮

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: জীবনটা সহজ পথেই চালানো যায়, তবে সবার জীবন সহজ পথে চলে না...।

২| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

রিওমারে বলেছেন: মেয়েটাকে বিয়ে করে তারপর গল্পটা লিখতেন। মহা মানবের একটা পরীক্ষার সুযোগ মিস করলেন। =p~ =p~

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:০৮

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: এখনও মানুষ হতে পারি নাই...মহামানব তো অনেক পরের কথা...জীবনের পরীক্ষায় বহুবার অবতীর্ণ হয়েছি, বরাবরই উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়েছি..

৩| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১০:৫৯

মোমের মানুষ বলেছেন: মেয়েটার টাইম নষ্ট করলেন মনে হয় B-) :P =p~
তার সময় নেওয়ার জন্য তাকে কিছু দিতেন.........

তবে এমন আরো কিছু ইন্টারভ্যিউ থেকে বুঝতে পারলাম সমস্ত পতিতাদেরই জীবন একই ছন্দে গাথা।

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৫

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: গল্প শেষে টাকা দিতে চেয়েছিলাম, কিন্তু মেয়েটি নেয়নি। বললো, টাকার বিনিময়ে জীবনের গল্প শোনানো যায় না, সে গল্প সবাই শুনতেও চায় না।

পতিতাদের ভ্রষ্টা বললেও তাদেরও নীতি আছে, আদর্শ আছে।সমাজের বঞ্চনা, অবিচার ও বৈষম্যের শিকার হয়ে যারা পতিতা হয়, তাদের চেয়ে ভ্রষ্ট রাজনৈতিক পতিতারা হাজার গুণ নিকৃষ্ট..।

৪| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:১২

ম্যাংগো পিপল বলেছেন: ++++++++++

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৩০

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ,,,,ম্যাংগো পিপল। গেলবার ব্লগ দিবসে আপ্নার সাথে খানিকটা বাতচিত হয়েছিল। অনেক বড় মাপের ব্লগার বলেই হয়ত সেদিন নিজেকে তেমন একটা এক্সপোজ করেন নি। ভালো থাকবেন এই কামনা রইল।

৫| ২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:২৯

সাদরিল বলেছেন: কিছুদিন আগেও পতিতা নিয়ে একটা লেখা লিখেছিলেন। এটা কি আগের লেখাটার সিকুয়াল?

২১ শে জুন, ২০১৩ রাত ১১:৪৮

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: হা হা হা,,,,,সাদরিল,,এটা আগের লেখার সিক্যুয়েল কি না জানি না।। তবে আগেরটা পতিতা পল্লীর গল্প নিয়ে, এবার ব্যস্ত শহরে নিভৃত্তে বিচরণ করা এক পতিতার জীবনের গল্প নিয়ে।..।এরকম হাজারো জীবনের গল্প আছে আমাদের চারপাশে,,সব গল্প তো আর কম্পিউটারের কি বোর্ড দিয়ে তুলে আনা যায় না। পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

৬| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:০৮

স্বপ্নহীন নায়ক বলেছেন: ''ব্যস্ত এই শহরে চা্ইনিজ পণ্যের মতই পতিতারাও অনেক সস্তা,অনেক সহজলভ্য। সন্ধ্যার পর পুরো রাজধানী জুড়ে এদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।এসব মেয়েদের খদ্দেরদেরও রয়েছে নানা বৈচিত্রতা। কিশোর-তরুণ-যুবক থেকে সত্তরের ঘরে পা রাখা বৃদ্ধরাও হুমড়ি খেয়ে পরে সস্তার এ পণ্য ক্রয় করতে। এমনও অনেক তরুণদের দেখা মেলে । যাদের বয়স আঠারোর কোটা পার হয়নি। যাদের কাছে মেয়েদের শরীর এখনো বিশাল রহস্য।''

অনেক ভালো লাগল কথাগুলো। চরম সত্য, কঠিন বাস্তব। লেখায় +++++

২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:২৫

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: জীবন আসলে এমনই। কেউ স্বচ্ছলতা থাকার পরও স্বেচ্ছায় কারো কাছে লুণ্ঠিত হয় স্বপ্ন পুরণের নেশায় , আবার কেউ দুমুঠো ভাতের আশায়...


ভালো থাকবেন এই কামনা রইল।

৭| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৩০

দুরন্ত-পথিক বলেছেন: হুম,জীবন এতটা জটিল না হলেও পারতো। সত্যি তাদের জীবন বিভীষিকাময়।

৮| ২২ শে জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫১

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: জীবন আসলে একটা জটিল গাণিতিক নিয়ম। গাণিতিক জীবনের দুরবোধ্য সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে নিরাশার মহাসাগরে ক্রমাগত অবগাহন করতে থাকি আমরা।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ দুরন্ত পথিক। ভালো থাকবেন।

৯| ২২ শে জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২১

প্রেমবিদ্বেষী বলেছেন: ''জীবন কতটা বিভীষিকাময়!!কত বীভৎস আমাদের চারপাশের বাস্তবতা!! হয়ত জীবন এতটা জটিল না হলেও পারতো! একটু সহজ-সরল-সুন্দর হলে কি এমন ক্ষতি হতো..''

আসলে সবার জীবন সহজ-সরল-সুন্দর হয়ে ওঠেনা। কারো কারো সঙ্গে ভাগ্য বারবার প্রতারণা করে। লেখাটি ভালো লাগল ।



২২ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:১৩

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন.।

১০| ২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ১:৩২

মাক্স বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন++++++

২৮ শে জুন, ২০১৩ রাত ২:০১

বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ম্যাক্স ভাই.।আপ্নার প্রোফাইল পিক্স টা সেরাম হইছে...।

ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এ কামনা রইল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.