![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিনই অদ্ভুত এক ইচ্ছা জাগে আমার,ইস!আমি যদি কচ্ছপ হতে পারতাম। কি চমৎকারভাবে মাথাটা দেহের ভিতরে গুটিয়ে নিয়ে পথ চলতে পারতাম,শরীরে শক্ত একটা খোলস থাকতো, অপমান বোধটা গায়ে লাগতো না আর।কিন্তু নিয়তির ছকে আমি বাধা, আমি কখনো কচ্ছপ হয়ে উঠিনা।https://www.facebook.com/mamunabdullah.press
১
তুমি এ পর্যন্ত কতজন নারীকে স্পর্শ করেছো? মাস চারেক আগে প্রথম দেখাতেই এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল মেয়েটি। শত জনকে হতে পারে অথবা একজনকেও নয়। দূর থেকে ভালোবেসে যাবো একথা এখন আবেদন হারিয়েছে, বর্ষা ।
একজনকে ভালোবাসলে বা স্পর্শ করলে অন্যজনকে করা যাবে না এ কথাও এখন সেকেলে। ভালোবাসার মানুষকে স্পর্শ করা মানে নারীকে শরীরী দৃষ্টিতে দেখা নয়। স্পর্শ আর ভোগ দখল একই অর্থ বহন করে না।
জানো, আমি একটি ছেলেকে ভালবাসি। কিন্তু রিলেশন পেনডিং। মনে হয় টিকবে না। আন্ডারস্টান্ডিং হয় না।আমার সাথে ডিকটেটরের মত আচরণ করে।মেয়ে বলে আমার কি ব্যক্তি স্বাধীনতা নাই?? আমি ওর সাথে ব্রেক আপ করতে চাই । কিন্তু ছেলেটি আমাকে ইমোশনালি ব্লাকমেইল করে। হাত পা কাটে। নিজের ক্ষতি করে।এরকম একটা সাইকো নিয়ে চলা যায় না।
২.
সপ্তাহখানেক পর ধানমন্ডি লেকের পাশে আমরা । সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত আসে।মাত্র কয়েকদিন আগে একটি সর্ম্পকের বন্ধন থেকে মুক্ত হওয়া মেয়েটির মুখায়বে কেবলই কষ্টের কালো মেঘ ভাসমান। তবুও নিজেকে হ্যাপি রাখার নিরন্তন চেষ্টা তার। নানা বিষয়ে কথা হচ্ছিল আমাদের। প্রেম, ভালবাসা , ক্যারিয়ার, স্বপ্ন আরও কত কি।
এই শোন, তোমাকে একটা প্রশ্ন করবো। মাইন্ড করবানা। ছেলেদের মাইন্ড করতে নেই।
বলো, আমি মাইন্ড করি না। জাস্ট ফিল ফ্রি.......
আচ্ছা তুমি কি কোন মেয়ের সঙ্গে কখনো সেক্স করেছো? নাকি এখনও ভার্জিন?
কি আজিব প্রশ্ন করে মেয়েটি। শোন মেয়ে, এ যুগে খাদ্যের পরেই বহুল বিক্রিত পণ্য সেক্স।চাইলেই হাতের নাগালে পাওয়া যায়।প্রযুক্তির এ যুগে ভার্জিন শব্দটি ক্রমশই তার গুঢ় অর্থ হারাচ্ছে।
জানো,,আমি বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সেক্স করতে চাই। শুনেছি বিয়ের পরেও স্ত্রীর প্রতি স্বামীরা লয়েল থাকেনা ।তাহলে আমার থেকে কি লাভ বলো?
সেক্স!!! বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে?বলে কি মেয়েটা !!!!একটি বিষয় মনে পড়ে গেল আমার। ছেলেবেলায় স্কুললাইফে মেয়েদের মধ্যে একটা ধারণা লক্ষ্য করতাম আর তা হলো, শরীর একজনকেই দিতে হয়। বৈধ সম্পর্ককেই কেবল মাত্র শরীর দিয়ে ভালবাসতে হয়। শরীর দেওয়াটা ছিল তখন শর্ত সাপেক্ষ । বিবাহ করার শর্তে একটি ছেলে একটা মেয়ের শরীরে অবগাহনের সুযোগ পেত।এখন আর বিবাহের শর্ত লাগে না। ভালবাসার আবেগে স্বেচ্ছায় শরীরী প্রেমে হাবুডুবু খায়। আবার একটু কনজারভেটিভ মেয়ে হলে ছেলেটি নানা উপায়ে শরীর নিয়ে নেয় ধীরে ধীরে। তারপর মেয়েটাকে অন্ধকারে রেখে একদিন বিয়ে করে অন্য মেয়েকে। সতীত্বের ধারণাটা খুব অদ্ভুত। একটা ভার্জিন মেয়ে যদি ভার্জিনিটি তার প্রেমিককে বা অন্য কাউকে দেয়, যে পুরুষ সেটা পেল তার কাছেও মেয়েটা আর ফ্রেশ থাকে না। তখন ছেলেটা বিয়ের জন্য আর একটা ফ্রেশ মেয়েকে খোঁজে যে মেয়েটারও ভার্জিনিটি হয়ত নিয়ে চলে গেছে অন্য একটা ছেলে।
৫.
বর্ষার উন্মুক্ত বর্ষণ মাত্র শেষ হলো। ঘুমোট ভাব প্রকৃতির মাঝে।ইট পাথরের চারদেয়ালে থেকে বন্দী মনটাকে একটু সময়ের জন্য খোলা হাওয়ায় ছেড়ে দিয়ে, প্রকৃতির কোমলতাকে স্পর্শ করতে দুজন বের হলাম কাশবনের উদ্দেশ্যে।বর্ষার শেষ সময়ে বুড়িগঙ্গার ওপারে কাশফুলে ছেয়ে গেছে।যেখানে ঢাকা শহরের দালানগুলোকে কেবলই কাশফুলের উপর ভাসমান মনে হয়। এভাবে চলতে থাকে আমাদের প্রেম-অপ্রেম। রাতভর ঘন্টার পর ঘন্টা কথা হয়। সপ্তাহান্তে কখনো কখনো দেখা হয়।
৬.
তুমি আমাকে একটুও ভালোবাস না। সারাদিন শুধু ব্যস্তই থাকো। অভিমানী সুর মেয়েটির কণ্ঠে।বাস্তবতা এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারেনি সে।
শোনো মেয়ে, জীবনের দৌড়ে আমি অনেকটা ক্লান্ত, অনেকটা বিধ্বস্ত।অনেক কিছু মনে না নিতে পারলেও মেনে নিতে হয়।তবে শরীরী টানের চেয়ে মনের টান অনেক শক্তিশালী।মন যেদিকে যেতে চায়, কেউ তাকে ঠেকিয়ে রাখতে পারে না।শরীরের আবেদন কেবলই ক্ষণিকের।একজন প্রতিবন্ধী পুরুষও সুযোগ পেলে নারীর শরীর খুবলে খাবার ক্ষমতা রাখে। কিন্তু নারীকে ভালোবাসতে পারে কজন বলো? একজন কলগার্ল শরীর দেয় সবাইকে, কিন্তু ভালোবাসে একজনকে।শরীরী অত্যাচারের মধ্যেও মন কাঁদে ভালোবাসার মানুষটির জন্য, যে প্রেমিক হয়তো তাকে কখনো স্পর্শ করেনি, অথবা জানে না তার প্রেমিকা টাকার বিনিময়ে শরীর উচ্চমূল্যে বিক্রি করে।
১০.
খুব অবাক লাগে, পরিচয়ের পর থেকে শত রাগ- অভিমানের পরও দুজন বিচ্ছিন্ন হয়নি। অথচ সামান্য কিছু কারণে ক্রমশ দুরে সরে গিয়েছি আমরা। একটা সময় ছিলো একজন অন্যজনকে না দেখে থাকতে পারতাম না। কথা না বললে রাতে ঘুম আসতোনা।আজ দুজন কেবলই পরিচত আগুন্তক।একই শহরের একই গলিতে মাত্র ২০ গজ দুরত্বে থাকি। তবুও কারো সঙ্গে অনেকদিন দেখা হয়না, কথা হয় না। হয়ত কোনদিন হবেও না। পাশ দিয়ে হেটে গেলেও কেউ কাউকে ডাকবোনা।এই শহরেই হয়ত দুজন বাস করবো, কিন্তু কারো সঙ্গে কথা হবেনা ।সময়ের ব্যবধানে হয়ত আমাদের ফেলে আসা স্মৃতিগুলোও ধূসর হয়ে যাবে। কিন্তু যতটুকু ভালবেসেছিলাম সে ভালবাসা তো আর ফিরিয়ে নেওয়া যাবে না।
আসলে যে চলে যাবার সে একদিন না একদিন চলে যাবেই। হাজার চেষ্টা করেও তাকে কোনভাবে ধরে রাখা যায় না। গতিশীল জীবন কারো জন্যই থেকে থাকে না। একজন চলে গেলে অন্য একজন হয়ত সে শূণ্যস্থান পুরণ করে। তবে কেউ কারো বিকল্প হতে পারে না।
মানুষের জীবনে সম্পর্ক হয়তো তৈরি হয় সময়ের চাহিদা অনুযায়ী।আবার কিছু সর্ম্পক রক্ষা হয় শুধু দায়বদ্ধতা থেকেই। মাঝে মাঝে ভুলে যাই, যে মানুষটা আজ অনেক কষ্ট দিচ্ছে, হয়ত সেই মানুষটা কোন একদিন ভাল কোন সময়, সুন্দর কোন স্মৃতি দিয়েছে। যে মানুষটা আজ বলছে, আমি তোমাকে ভালবাসি না।সেই মানুষটা হয়ত কোনদিন আমাকে ছাড়া একটি মুহূর্তও চিন্তা করেনি।
১১.
ঢাকা শহরের নিত্য দিনের বদলাতে থাকা আবহাওয়ার মতোই এখন বদল যাচ্ছে সম্পর্কের ধাঁচ। গেল কয়েক বছর ধরে এই শহরে আগের মত মানসিকতা, লংটার্ম রিলেশনশিপ,প্রেম-ভালবাসা সবই এখন ব্যাকডেটেড হয়ে যাচ্ছে। যা ঘটছে তা হলো ক্ষনিকের পরিচয়, তারপর চেনা আলাপ কিংবা হয় প্রেম নয় বন্ধুত্বের সুতো ধরে অনেকটা গভীরে চলে যাওয়া একে অপরের মনের। এমনকি শরীরেরও । তারপর একদিন বিনা নোটিশে হাওয়া হয়ে যাওয়া। এটাই এই শহরের প্রেম কিংবা বহুগামিতা ।কেউ কেউ এক সম্পর্ক বেশিদিন টেনে নিয়ে বোঝা বাড়াতে চাইছে না, আবার কেউ এমনিই বোর হয়ে গেছেন যে, পেতে চাইছেন ভিন্ন স্বাদের মানুষের সান্নিধ্য।কেউ কেউ স্বপ্ন পুরণের নেশায় একেক জনের কাধে ভর করে কাংখিত গন্তব্যে পৌঁছতে চায়। কেউ আবার ভুল পথে পা বাড়ায়।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে কাশফী নামে বান্ধবী ছিল। একহালি ছেলের সঙ্গে প্রেম করে বেড়াতো। একদিন জিজ্ঞেস করলাম, এত মানুষকে কীভাবে ভালোবাস? মেয়েটির সোজা সাপটা জবাব,আমি কাউকে কখনও বলিনা যে,আমি তোমাকে ভালোবাসি, শুধু তাদের সঙ্গে একটু হাসিমুখে কথা বলি। এটাকে যদি তারা ভালোবাসা মনে করে, আমার তো করার কিছু নেই।একদিন সেই মেয়েটির করুণ পরিণতিও দেখতে হয়েছে আমাকে।
সবশেষে এটাই বলার, উড়ো সম্পর্কের নকশি কাঁথার ভীড়ে কোন বিশেষ একজনকে নিয়ে এই শহর এই সময় এখন আর ভাবছে না, বরং ব্ল্যাক বোর্ডে চক দিয়ে যখন যে নাম লেখা কিংবা যখন তখন মোছাটাই এখন বেশি পছন্দ। তাই প্রেমগুলো ঠিক যেন শীতকালে দূর্বা ঘাসের ডগায় ভোরের আলোয় চিক চিক করা শিশির বিন্দুর মতো……..
উৎসর্গ: আমার ভালবাসার ময়নাপাখিকে।অনেক কাছে থেকেও যে অনেক দুরে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১১
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন:
কি লিংক দিলেন ভাই। বড়ই আজিব ....???
২| ২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩৭
দুষ্টু ছোড়া বলেছেন: চমৎকার লেখা। সমসাময়িক সম্পর্কের সুন্দর উদাহরন।
সেমিবস ভাইজান, এইসব অভ্যাস ছাড়েন।
৩| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:০২
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ, দুষ্টু ছোড়া ভাই।ব্যস্ত এই শহরে নিত্য দিনের পরিবর্তিত আবহাওয়ার মতোই বদল যাচ্ছে সম্পর্কের ধাঁচ।আর চাইনিজ পণ্যের মত বিক্রি হচ্ছে নারীর শরীর। আর এ শরীরি প্রেম খেলায় মেতে উঠছে কিশোর থেকে তরুণ, যাদের কাছে নারীর শরীর এক বিশাল রহস্যের আধার।
৪| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
বেকার সব ০০৭ বলেছেন: অসাধারন লেখছেন
তাই প্রেমগুলো ঠিক যেন শীতকালে দূর্বা ঘাসের ডগায় ভোরের আলোয় চিক চিক করা শিশির বিন্দুর মতো
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪২
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: ধন্যবাদ বেকার.....ভাল থাকবেন এ কামনা রইল।
৫| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:২৭
একজন আরমান বলেছেন:
গল্পের প্লট সাধারণ ও পরিচিত হলেও লেখনিটা চমৎকার ছিল। ৬ নম্বর প্যারাটা আমার বেশ লেগেছে।
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৩৫
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: ধন্যবাদ আরমান ভাই,,,
আপ্নি নিজে অনেক ভাল লেখেন। আগে আপ্নার লেখা পড়তাম। অনেক দিন ব্লগে আসা হয় না।সামুতে তেমন ভাল লেখাও আসে না।
এসব গল্প আপ্নার আমার আর চারপাশের পরিচিত মানুষেরই।
৬| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৯
অনিক্স বলেছেন: chomotkar likhesen. priyote rakhlam
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৩৪
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: ধন্যবাদ মিয়া ভাই। ভাল থাকবেন এই কামনা রইল।
৭| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
মুনেম আহমেদ বলেছেন: সমসাময়িক বাস্তবতা নিয়ে লিখা।অনেক ভাল লিখেছেন ভাই
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ,,ভাইজান
সমসাময়িক বাস্তবতাগুলো আরো কঠিন আরো জটিল। দৃশ্যের বাইরেও একটি জগত থাকে যে জগত সর্ম্পক হয়ত আমরা অনেক কিছুই জানি না। জানতেও পারিনা..
৮| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:০২
নীল-দর্পণ বলেছেন: মানুষের জীবনে সম্পর্ক হয়তো তৈরি হয় সময়ের চাহিদা অনুযায়ী।আবার কিছু সর্ম্পক রক্ষা হয় শুধু দায়বদ্ধতা থেকেই। মাঝে মাঝে ভুলে যাই, যে মানুষটা আজ অনেক কষ্ট দিচ্ছে, হয়ত সেই মানুষটা কোন একদিন ভাল কোন সময়, সুন্দর কোন স্মৃতি দিয়েছে। যে মানুষটা আজ বলছে, আমি তোমাকে ভালবাসি না।সেই মানুষটা হয়ত কোনদিন আমাকে ছাড়া একটি মুহূর্তও চিন্তা করেনি।
অনেক অনেক ভাললাগা লেখায়
২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:৪৯
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ,নীল-দর্পণ। ভালো থাকবেন এই কামনা রইল।
৯| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৩১
একজন আরমান বলেছেন:
বাস্তবতা থেকেই তো গল্পের তৈরি !
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:০৮
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন:
এ জগতে দু ধরনের মানুষ পাওয়া যায়। ভাববাদী আর বস্তুবাদী। ভাববাদীদের কাছে আগে ভাব পরে বস্তু।অর্থাৎ ভাব থেকেই বস্তু আসে। এদেরকে আধ্যাত্মিক কিসিমের মানুষও বলা হয়। বস্তুবাদীদের কাছে আগে বস্তু পরে ভাব। এরা অনেকটা নাস্তিক টাইপের। যারা কোন কিছু না দেখে বিশ্বাস করতে চায় না।এমনকি ইশ্বরকেও না।
বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে যেমন গল্প তৈরি হয়।তেমনি কল্পনা থেকেও গল্প তৈরি হয়। তবে কোন বাস্তবতাকেই হুবহু গল্পে রুপ দেয়া যায় না।
১০| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:৪৭
অদ্ভুত_আমি বলেছেন: সকল সম্পর্ক ই শুধুমাত্র সততা, বিশ্বস্ততা, দায়বদ্ধতা, পারষ্পরিক বোঝাপড়া উপর টিকে থাকে ।
কিন্তু আজকালকার সম্পর্ক গুলিতে কেন জানি এই বিষয় গুলি অনুপস্থিত
ভালোবাসা নিয়ে যেন কেউ কখনোই প্রতারণার স্বীকার না হয় সেটাই প্রার্থনা ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৯:২৮
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন:
সততা, বিশ্বস্ততা, দায়বদ্ধতা, পারষ্পরিক বোঝাপড়ার পরও কিছু কিছু সম্পর্কই একটা নির্দিষ্ট সময় এসে শীতল হয়ে যায়। হোক না তা বন্ধুত্ব কিংবা ভালবাসা কিংবা অন্যকিছু।এটাই জগতের নিয়ম।নশ্বর পৃথিবীর কোন সর্ম্পকই অবিনশ্বর নয়।
ভালো থাকবেন.
১১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৩
মদন বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০০
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন এই কামনা রইল।
১২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭
অ্যানোনিমাস বলেছেন: সত্য হলে খুবই দুঃখজনক। শুভকামনা রইলো
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:২৪
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন:
সত্য বড়ই কঠিন, বড় করুণ। কিছু কিছু সত্য কখনো কখনো কল্পনাকেও হার মানায় । মানুষের মন বড় বিচিত্র। এ মন কখন যে কি করে বোঝা দায়।
সবচেয়ে বড় সত্য হলো, মানুষের জীবনে যা কিছু ঘটে তা কখনো গল্প উপন্যাস আর কল্পনাতে ঘটে না।
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
১৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১:১৪
আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গল্পে বাস্তবতা আছে।
যদিও শুরুর সেক্স আবহটা বেশিই ছিল।
সামুতে অবশ্য ২২/২৩ নভেম্বর এমনই দিন গেলো।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪০
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন:
বাস্তবতা এ গল্পের চেয়েও আরো অদ্ভুত।সব বাস্তবতা যেমন গল্পে তুলে আনা যায় না তেমনি জীবনের গল্প কখনো শেষ হয় না।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ,, দুর্জয়।
১৪| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৫৪
সাদরিল বলেছেন: লেখাটা পড়ে মনে হলো একটু তাড়াহুড়া করে লিখেছেন। আপনার আগের লেখাগুলোতে যৌনতার কাছে মানুষের অসহায়ত্ব ফুটে উঠেছিলো।এবার শুরুতেই অমন একটা শিরোনাম দিয়ে দাওয়ায় অসহায়ত্ব কম আর যৌনতার ইঙ্গিত বেশি হয়ে গিয়েছে।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৮
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: সাদরিল. গল্পটি আসলেই তাড়াহুড়ো করে লেখা হয়েছে। এখন আর কি বোর্ড চাপতে ভাল লাগে না। লেখার মনমানসিকতাও আগের মত নেই। ব্যক্তিগত আর কর্মব্যস্ত ক্লান্ত জীবন নিয়েই সময় কেটে যায়। প্রায় ছয় মাস পর ব্লগে পোস্ট করলাম। ব্লগে আসা হয় না নিয়মিত।গল্পটি এত বড় আর জটিল যে কোথা থেকে শুরু করবো বুঝে ওঠতে পারিনি। তাই সংক্ষেপে অগোছালো করে লেখা হয়েছে।
শিরোনাম যাই হোক না কেন যৌনতার কাছে মানুষের অসহায়ত্ব বহুকাল আগে থেকেই ছিল এবং চিরকাল তা থাকবে।
গঠনমুলক সমালোচনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ , সাদরিল
শুভ কামনা রইল
১৫| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:০২
বৃত্তে বন্দী বলেছেন: এত বাস্তব না হলেও পারতো!
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩২
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন:
সত্যিই!!!...বাস্তবতা এত জটিল এত কঠিন না হয়ে আরেকটু সহজ সরল হলে কি হতো?? যে বাস্তবতার কাছে হেরে যায় আবেগ, ভালবাসা কিংবা ভেঙ্গে যায় বহুদিনের গড়ে ওঠা বন্ধন।
১৬| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:১৬
মামুন নজরুল ইসলাম বলেছেন: গল্পের মাঝে বাস্তবতা ফুটে উঠেছে। এটাই হয়তে জীবন, এটাই হয়তো প্রেম কিংবা এটাই হয়তো ভালবাসা। +++++
১৭| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৮:৫৬
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: ধন্যবাদ নজরুল।
ব্যস্ত এই শহরের আনাচে কানাচে প্রতিনিয়ত ভালবাসার জোয়ারে মজতে থাকে কিশোর -কিশোরী, তরুণ-তরুণী থেকে শুরু করে সর্ব স্তরের মানুষ। এদের সবাই ভালবাসে। সবার ভালবাসার ডেফিনেশনও আলাদা। যে যার স্কুল,কলেজ,চাকরি, খামখেয়ালিপনা সেরে ছুটতে থাকে ভালবাসার চেনা ঘেরাটোপে।
প্রেমে ভরা যুগলের রোমাঞ্চ ও নানা বৈচিত্রতায় ঘেরা জাদুর শহর এই ঢাকা।
১৮| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:২৯
স্বপ্নহীন নায়ক বলেছেন: বেশিরভাগ মানুষের জীবনেই কোন এক সময় একজন বিশেষ মানুষ আসে। যে অগোছালো জীবনকে গুছিয়ে দেয় কিংবা গোছালো জীবনকে অগোছালো করে দেয়।
আর এ যুগের সস্তা আর নগ্ন প্রেমগুলো শুধু কাম আর দেহ ভিত্তিক। এর বেশিরভাগ ভিকটিম নারীরাই।কারণ নারীর আছে মুল্যবান সম্পদ শরীর যা টাকাকড়ির চেয়েও লোভনীয়।
লেখাটি সমসাময়িক বাস্তবতারই একটা উদাহরন। ভালো লিখেছেন। +++++++++++++++
ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে দু:খ প্রকাশ ছাড়া কিছু করাই নেই।এসব ঘটনা চলার পথে ক্ষণিকের স্থবিরতা আনলেও জীবনের গতিশীলতাকে থামাতে পারে না।
শুভ কামনা রইল।
২৬ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:২৩
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: হমমমম,, সত্য কথাই বলেছেন মিস্টার নায়ক...
আসলে প্রতিটা মানুষের ভেতরটা অন্যরকম।নানা রঙ খেলা করে মনে। মানুষের জীবন দর্শন নিয়ে ভাবলে অবাক হতে হয়।পরিবর্তনের স্রোতে হৃদয়ের চাহিদা বদলে গেলে আজ যাকে ভাল লাগে কাল তাকে ভালো লাগবে কি না কে জানে?? অথচ সম্পর্ক ভেঙ্গে গেলে একজন অন্যজনকে বলি‘মিথ্যেবাদী’ ‘অবিশ্বাসী’ ‘ভণ্ড’ ‘প্রতারক’ 'ছলনাময়ী' আর কত কি!!আহত মনটাকে সুস্থ করে তুলতে এসব হয়ত টনিকের মত কাজ করে তখন।
নারী-পুরুষ পরস্পরের প্রতি আকর্ষণ বোধ করবে এটাই নিয়তি ।আর সবচেয়ে মর্মান্তিক নিয়তি, এ আকর্ষণ দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
১৯| ২৭ শে নভেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:১৬
স্বপ্নহীন নায়ক বলেছেন:
প্রয়াত ড. হুমায়ন আজাদ বলেছিলেন, 'পুঁজিবাদী সমাজের সবচেয়ে বড় ও জনপ্রিয় কুসংস্কারের নাম প্রেম'।
আর পৃথিবীর নির্মমতম সত্য হচ্ছে, এই পুথিবীতে কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না আর কেউ কারো জন্য খারাপ থাকেনা। শুধু থেকে যায় কিছু চাপা কষ্ট।
২৮ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১০
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: আবার তসলিমা দিদি বলেছিলেন,''নারীকে দুর্বল করার জন্য প্রেম ভালবাসা পুরুষের জন্য তরবারি''
হুমায়ুন আযাদ ও তসলিমা উভয়ই বহুগামিতায় বিশ্বাসী ছিলেন।আবারও উভয়েই নারীবাদী জয়গান গেয়েছেন।
অবশেষে তসলিমা তার দেহতত্ত্ব কবিতায় নারীর দুর্বলতাকে স্বীকার করে বলেছেন, ''এতকাল চেনা এই আমার শরীর, অথচ একে আমি নিজেই চিনি না।একটি কর্কশ হাত নানান কৌশল করে আমার স্নায়ুর ঘরে ঘণ্টি বাজায়,পুরুষের স্পর্শে আমি, ঘুমন্ত শৈশব ভেঙে জেগে উঠি আমার সমুদ্রে শুরু হয় হঠাৎ জোয়ার'।
২০| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৪৯
শাহরিয়ার নীল বলেছেন: লও ঠেলা
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:২০
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন:
২১| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
গুগলরকস বলেছেন: এই মেয়ের কানের উপ্রে দেয়া হোক
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:১৮
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: না....ভাই, একথা বলতে নেই।
বস্তু জগতের প্রতিটি অস্তিত্ত্বই একটা সময় এসে তার মুলকে অস্বীকার করে।অথচ সেই মুল থেকে তার উৎপত্তি।
ভালো থাকবেন...
২২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১০:১৮
বটবৃক্ষ~ বলেছেন:
অনেক চমৎকার করে লিখেছেন!!
২৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ সকাল ৯:৪৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অসাধারণ!
২৫ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১০:২৬
বাটাগোর বাস্কা বলেছেন: ধন্যবাদ...। অনেকদিন পর ব্লগে ঢুকলাম.. সময়ের অভাবে ঢোকা হয়না,,,,
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০৮
সেমিবস বলেছেন: Click This Link