নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রযুক্তিঃ মানুষের টিকে থাকার অবলম্বন থেকে বিলিন হওয়ার কারন হতে পারে।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৭

পৃথীবিতে বর্তমান প্রায় ৮০০ কোটি মানুষ। অতীতে এর চেয়ে কম ছিলো এ বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই। আদিম প্রযুক্তির উদ্ভব ক্ষুধা নিবৃতির প্রয়োজনে।কাল ক্রমে তা ক্ষমতা দখল ও বিলাসিতার দিকে অধিক ঝুকে পড়ে । অধিক সুবিধাবাদীরাই প্রযুক্তির অপব্যবহার করে শ্রেনী, ক্ষুধা ও দলিত জনসাধারন সৃষ্টি করেছে। বর্তমান পৃথিবীকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির পৃথিবী বলা হয়। বিগত ৫০ বছরে বিজ্ঞান অভাবনীয় সাফল্য এনে দিয়েছে। বিজ্ঞানের এ আবিষ্কার পৃথিবীকে মানুষের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে।

বিজ্ঞানের আবিষ্কারের মাধ্যমে মানুষ ভূপৃষ্ঠকে জয় করতে সক্ষম হয়েছে। সাগর, মহাসাগর ও আকাশ-জগৎকে তারা করায়ত্ত করেছে। মহাশূন্যে তারা স্টেশন নির্মাণ করেছে। এসব আবিষ্কারে বিশ্ব মোড়লরা ব্যয় করেছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে অপচয় ও ক্ষতিকর আবিষ্কার হলো মানববিধ্বংসী অস্ত্র নির্মাণ। ২০২১ সালে বিশ্বের পরমাণু অস্ত্রের পেছনে ব্যয় বেড়েছে ২০২০ সালের চেয়ে আটগুণ। অথচ পারমাণবিক অস্ত্র নির্মূল করতে গঠিত আছে ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু এবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস’। কিন্তু শক্তিধর দেশগুলো এ নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলেছে। এ নিষেধাজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে তারা প্রতিবছর আবিষ্কার করে চলেছে দেশবিধ্বংসী মারণাস্ত্র। আর এর পেছনে খরচ করছে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র এর পেছনে খরচ করছে ৪৪ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। চীন খরচ করেছে ১১ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। রাশিয়া করেছে ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। ব্রিটেন করেছে ৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। ফ্রান্স করেছে ৫ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার। ভারত করেছে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। আর পাকিস্তান করেছে ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার। আর এককভাবে উত্তর কোরিয়া করেছে ৬৪২ বিলিয়ন ডলার! সব মিলিয়ে ৯টি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের এক বছরে অস্ত্র নির্মাণের ব্যয় ৭১৭ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ হলো ৭১ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা; যা বর্তমান বাংলাদেশের ১২ বছরের বাজেটের সমান! উন্নত দেশগুলোয় অপচয়ের এই যখন চিত্র, ঠিক তখনই এক মুঠো অন্ন আর দুফোঁটা পানির অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে লাখ লাখ বনি আদম। একটি বড় গোষ্ঠী যখন বিলাসে ব্যস্ত, প্রাচুর্য আর অপচয়ের উৎসবে যখন তারা মত্ত, ঠিক তখন তারই অদূরে শোনা যাচ্ছে ক্ষুধার্ত মানুষের হাহাকার। ধনাঢ্য পরিবারের একজন শিশুর বিনোদনের জন্য লক্ষ-কোটি টাকাও যেখানে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না, সেখানে পূর্ব আফ্রিকার একদল কঙ্কালসার শরীরের শিশু এক ঢোক পানি আর একটা রুটির জন্য তীর্থের কাকের মতো তাকিয়ে থাকে। ভাবতে লজ্জা লাগে, সভ্যতার এ উৎকর্ষের মধ্যেও পৃথিবীর চল্লিশ শতাংশ মানুষ এখনো ক্ষুধার্ত! বিশাল এ জনগোষ্ঠী ক্ষুধায় কাতর এবং পুষ্টিহীনতায় ক্লিষ্ট।

তথ্য সুত্রঃ দৈনিক যুগান্তর, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২.

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

ফেনা বলেছেন: সবই নিয়তি। কিছুই করার নেই।

২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:০২

বাউন্ডেলে বলেছেন: নিয়তি বা ভাগ্য ব্যাপারটা এ ধরনের “ আপনি আপনার ছাগলটিকে বেঁধে রেখে - আল্লাহর কাছে কামনা করুন, ছাগলটা যাতে হারিয়ে না যায়। বেঁধে রাখার পরও যদি দড়ি ছিড়ে পালিয়ে যায় - এটা দুর্ভাগ্য । যদি ফিরে পান , সেটা আপনার ভাগ্য। যদি চুরি হয়, চোরের অপরাধ। অতএব, তৃতীয় পক্ষ ( চোর বা ডাকাত ) এর ভুমিকা ব্যাতিত আপনাকে দুর্ভাগ্যর অন্ধকারে ফেলা প্রায় অসম্ভব।

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:৪৫

রাজীব নুর বলেছেন: কিন্তু আফসোস!!
পৃথিবী টিকে থাকবে। মানুষ থাকবে না।

২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: মানুষ থাকবে, অর্থাৎ জগতের আয়ু দীর্ঘায়িত করার মতো যদি কাজ করে। মানুষ যদি না থাকে, জগৎ থাকবে না। স্রষ্টার নিজেকে প্রকাশ করার এই প্রজেক্টের যবনিকাপাত হবে।হয়তো তিনি নতুন আরেকটি প্রজেক্টে হাত দেবেন।
অসুখ হলে, তার চিকিৎসা আছে। আলাহ্ বহুবার তার এই প্রজেক্টে কে ধ্বংষের হাত থেকে চিকিৎসক পাঠানোর মাধ্যমে বাঁচিয়েছেন। কোন সময় আক্রান্ত অংশকে পুরোপুরি বিনাশের মাধ্যমে। যেমন নোহা’র প্লাবন।
সৃষ্টার মহাজাগতিক যোগাযোগ সিস্টেম থেকে (১৪০০ বছর আগের ) জানা যায়, এ রকম একটি পরিবেশে (বর্ত মান) তিনি আবারও মানবজাতীর আয়ু দীর্ঘায়িত করবেন। অর্থাৎ চিকিৎসা চালাবেন।

৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:২১

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: দুঃখের সংবাদ মানব জাতীর জন্য

২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২২

বাউন্ডেলে বলেছেন: অত্যান্ত দুঃখের । তবে সচেতন মানুষদের কিছু করার আছে।

৪| ২৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:১০

শাওন আহমাদ বলেছেন: দীর্ঘশ্বাস....

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.