নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিতলা পিরিতের দরকার নাই, কর ফাঁকির ১১শ কোটি টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হোক।

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০২


শান্তি পুরস্কার নোবেল কমিটি দেয় না। এটা ১৯০১ সাল থেকে সুইডিশ একাডেমি চালু করেছে । প্রথমদিকে ঔপনিবেশিক শক্তি , বর্তমানে সম্পূর্ণ আমেরিকা এটাকে নিয়ন্ত্রণ করে। সুতরাং নোবেল প্রাপ্তদের তালিকা দিলে উপকার হবে সাধারণ মানুষের।
যারাই বিশ্ব শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন তারাই এই পুরস্কার পেয়েছেন। জর্জ ডব্লিউ বুশ, ক্লিনটন, ওবামা থেকে বেনজামিন নেতানিয়াহুর ও পেয়েছে। সুতরাং বিষয়টা জটিল নয় পরিস্কার ।
ইউনুস একমাত্র নোবেল লরিয়েট, যিনি চরম অসততার জন্য বিশ্বে নিজ দেশকে ছোট করছে...
তিনি সুদখোর না ঘুষখোর সে তর্কে না হয় না গেলাম। কিন্তু তিনি যে দেশের উন্নয়ন বিদ্বেষী, এ বিষয়টি পরিষ্কার। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় তিনি সুস্পষ্টভাবে বাধা দিয়েছিলেন পদ্মা সেতু নির্মাণকালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে। তাকে কখনও ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। ১৫ই আগস্ট মহান স্বাধীনতার স্থপতি বাংলাদেশের জনক, জাতির পিতার সমাধিতে তাকে কখনও শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। জাতির সংকটকালে তাকে কখনও পাওয়া যায় নাই। এই যেমন করোনা কালীন সময়ও তাকে জাতির পাশে দেখা যায় নাই।
আপনারা কি পেয়েছেন, দেখেছেন কোথাও!

নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখানকারী

স্বেচ্ছায় নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখান করে- ২ জন ।
ফ্রান্সের জঁ পল সাত্রে; ১৯৬৪ সালে (সাহিত্যে)।
এশিয়ার শান্তিতে নোবেল বিজয়ী প্রথম ব্যক্তি- ভিয়েতনামের লি ডাক থো।
ভিয়েতনামের লি ডাক থো: ১৯৭৩ সালে (শান্তিতে) ভিয়েতনামের লি ডাক থো
শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েও প্রত্যাখ্যান করেন
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার প্রত্যাখ্যান করেন- ২ জন; রাশিয়ার বরিস পেস্তারনেক, ফ্রান্সের জ্যাঁ পল সারে


মরণোত্তর নোবেল বিজয়ী

এ পর্যন্ত মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- ৩ জন।

১. কানাডার রালফ এম স্টেইনম্যান: ২০১১ সালে (চিকিৎসায়)।

২. সুইডেনের দ্যাগ হ্যামারশোল্ড: ১৯৬১ সালে (শান্তিতে)।

৩. সুইডিশ কবি এরিক কার্লফেল্ট; ১৯৩১ সালে (সাহিত্যে)।


মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নোবেল জয়

এ পর্যন্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান- ৪ জন।
প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে থিওডর রুজভেল্ট ১৯০৬ সালে শাস্তিতে ।
দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে উড্রো উইলসন ১৯১৯ সালে শান্তিতে।
তৃতীয় প্রেসিডেন্ট হিসেবে জিমি কার্টার ২০০২ সালে শান্তিতে
চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে বারাক ওবামা ২০০৯ সালে শাস্তিতে।
ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নোবেল পুরস্কার পান- ৩ জন; যথা: থিওডর রুজভেন্ট, উড্রো উইলসন ও বারাক ওবামা।


অন্যান্য

দার্শনিক হয়েও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ব্রিটেনের বাট্রান্ড রাসেল (১৯৫০ সালে)।
রাজনীতিবিদ হয়েও সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইন্সটন চার্চিল
১৯৫৩ সালে Second World War গ্রন্থের জন্য নোবেল পুরস্কার পান- উইন্সটন চার্চিল ।
বিজ্ঞানী কিন্তু শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন- লিনাস পাউলিং (১৯৬২ সালে)।
মনোবিজ্ঞানী কিন্তু অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন- ড্যানিয়েল ক্যানেম্যান (২০০২ সালে)।
পিতা-পুত্র একই সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন- পিতা উইলিয়াম ব্রাগ ও পুত্র লরেন্স ব্রাগ; পদার্থবিজ্ঞানে।
সবচেয়ে কম বয়সে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- পাকিস্তানের মালালা ইউসুফজাঈ।
সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন- যুক্তরাষ্ট্রের জন বি. গুডএনাফ (৯৭ বছর)।
শান্তিতে তিনবার নোবেল পুরস্কার বিজয়ী একমাত্র সংস্থা- Red Cross. ১৯১৭, ১৯৪৪ এবং ১৯৬৩ সালে।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: তাকে আরেকটা নোবেল দেয়া দরকার কর ফাঁকির কৌশলের জন্য।গরিবকে শোষণ করে বড়লোকদের দান করার জন্য একটা নোবেল পেয়েছেন।তার মতো ধড়িবাজ লোক পৃথীবিতে বিরল।

২| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩২

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: তিনি পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করার জন্য ভূমিকা রেখেছেন কথাটি কি সঠিক নাকি সঠিক নয়?

০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: ঋণ বাতিল করার জন্য উল্টা-পাল্টা বুঝিয়ে লবিং করেছিলেন।

৩| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১১

সাইয়িদ রফিকুল হক বলেছেন: ইউনূসের পক্ষে বিবৃতিদাতারা একেকটা লবিস্ট।
আর লবিস্টের বাংলা করলে দাঁড়ায় : দালাল।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: দালালদের খপ্পড়ে পড়ে নোবেল স্যার এখন সর্বহারা।

৪| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: নোবেল কমিটি নাকি খোঁজ নিচ্ছিল দেশের সঙ্কটে তার অবদান কতটুকু। আশানুরূপ কিছু পায়নি। শোনা যায়, হিলারী তথা মার্কিনি মিত্রদের সহায়তায় তিনি নোবেল পান। একজন প্রফেসর বা জ্ঞানী লোক হিসেবে উনার মূল্যায়ন আছে, দেশে তার কতটুকু অবদান সেটাই প্রশ্ন।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: দেশে অবদান রাখার তার প্রশ্নই আসে না। কেননা তিনি লেখাপড়া,খাওয়া সহ সকল ধরনের আয়োজন নিজ চেষ্টায় বিদেশের মাটিতে জোগাড় করেছেন।

৫| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪২

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
নোবেল বিজয়ী একজন সু নাগরিক হিসেবে উনি আইন মেনে চলবেন। কিন্তু মানেন না।
উনি দেশে কোটি কোটি টাকা আয় করেন, কিন্তু কর দিতে চান না। এক হাজার একশত কোটি টাকা কর বকেয়া! কেন?
কর্মিদের পারিশ্রমিক বকেয়া থাকে কেন?
এমন না যে ওনার কাছে টাকা নেই।
টাকা না থাকলে দেশের টাকা নিয়ে ভিন দেশের এক দলের রাজনৈতিক তহবিলে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দেন কিভাবে। কেন?
মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিদেশী লবি ফার্ম ভাড়া করে কিছু নোবেল বিজয়ীদের স্বাক্ষর সংগ্রহ করে।
এত নোবেল বিজয়ীর আর্জি নিউজ হিসেবে নিউজ হিসেবে গন্য না হওয়াতে মিলিয়ন ডলার খরচ করে ওয়াশিংটন পোষ্টে পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দেন। নৈতিকতা কোথায়?
নিউইয়র্ক টাইমস বা ওয়াশিংটন পোষ্ট এই দালালী ফার্মের সংগ্রহ করা আর্জি নিউজ হিসেবে গন্য করে ছাপালো না কেন? টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন আকারে ছাপাতে হল কেন?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: উনি ওনার টাকা জাহাজ ভর্তি করে ডবিয়ে দেবেন সমুদ্রে- তবু দেশের মানুষের উপকারের জন্য দেবেন না। কেননা তার এই পর্যায়ে আসতে যা (গাঁয়ের ঘাম সহ) ব্যয় হয়েছে, তা একান্তই নিজের।

৬| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:০৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: গেঁয়ো ভূত বলেছেন: তিনি পদ্মা সেতুর ঋণ বাতিল করার জন্য ভূমিকা রেখেছেন কথাটি কি সঠিক নাকি সঠিক নয়?

সঠিক নয়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ২০১২ সালে পদ্মা ব্রিজের সম্ভাব্য কন্সট্রাকশনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ আনে যে, কানাডা ভিত্তিক একটি কোম্পানী পদ্মা ব্রিজের কাজ পাওয়ার জন্য বাংলাদেশী বেশ ক'জন সরকারি কর্মকর্তাকে আর্থিক অনৈতিক সুবিধা দেয়ার চেষ্টা করছে (সূত্র)। পরবর্তীতে ঐ কোম্পানীটির তৎকালীন ভাইস-প্রেসিডেন্ট রমেশ সাহা'র ডায়েরি ঘেঁটে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী নাগরিকের নাম পাওয়া যায় যেখানে পদ্মা ব্রিজের প্রজেক্টে কাকে কত পার্স্টেন্ট কমিশন দেয়া হবে তা উল্লেখ ছিলো। ডায়েরীতে উল্লেখিত বিভিন্ন ব্যক্তির নাম ও তাদের পদবী পাওয়া যায়, সেখানে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় নিক্সনের নামও পাওয়া যায় যাকে ২% কমিশন দেয়ার কথা (সূত্র)।

বিশ্ব ব্যাংক পুরো বিষয়টি জানার পর, কানাডার কোম্পানীটিকে ১০ বছরের জন্য সকল কার্যক্রম বন্ধ করতে আদেশ দেয়। তারা বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। দুর্নীতি দমন কমিশন বলে তারা কোন প্রমাণ খুঁজে পায় নি। অন্যদিকে কানাডার কোর্ট সম্ভাব্য দুর্নীতির বিষয়টিকে আমলে না নিয়ে কানাডিয়ান কোম্পানীর বিরুদ্ধে আনা মামলা খারিজ করে দেয় কিছু আইনি ফাঁক-ফোকরের কারনে যদিও কোর্ট রুল করেনি যে তারা কোন প্রমাণ পায় নি (সূত্র)। বিশ্ব ব্যাংক তারপরেও পদ্মা ব্রিজে অর্থায়ন করতে চেয়েছে কিছু শর্ত দিয়ে (দুর্নীতি সংক্রান্ত কঠোর অনুসদ্ধান করার জন্য এবং দুর্নীতি যাতে না হয় সেটা নিশ্চিত করার জন্য)। বাংলাদেশ সরকার তাতে রাজি হয় নি, বরং উল্টো ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে যে তিনি তৎকালীন আমেরিকার স্বরাষ্ট্র সচিব/মন্ত্রী হিলারী ক্লিনটনকে ব্যবহার করে বিশ্ব ব্যাংক-কে প্রভাবিত করেছেন লোন না দেয়া জন্য। বিষয়টি বিশ্ব ব্যাংকের জন্য বিব্রতকর ছিলো, তারাও চায়নি এখানে ড. ইউনূসকে টেনে আনা হোক। কিন্তু সরকার সেটাকে আমলে নেয় নি।

এখানে দুটো বিষয় মনে রাখা জরুরী। বিশ্ব ব্যাংকের আনা প্রাথমিক দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয় জড়িত থাকায় বিষয়টি তার জন্য ব্যক্তিগত/পারিবারিক হয়ে গিয়েছে। অভিযোগ, অনুযোগ যেটাই বলুন না কেন। দ্বিতীয়ত, বিশ্ব ব্যাংক কোন একক ব্যক্তির কথায় কখনো কোন দেশকে লোন দেবে কি দেবে না সেটা নির্ধারিত হয় না, এটা বোঝার মত স্বাভাবিক সেন্স খুব কম বাংলাদেশীর আছে। বাকিটা যার যার মস্তিষ্কের উপর নির্ভর করছে। ধন্যবাদ।

৭| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: @ইফতেখার ভূইয়া
However, it is quite possible that the Yunus imbroglio and the World Bank decision on Padma bridge may well have got linked – though not at Yunus’s doing. The US government was certainly angry with the way Yunus was treated by the Bangladesh government. It may well have been the case that, for this and other reasons, the US government saw no reason to bat for Bangladesh when the loan suspension issue came up before the World Bank board. This, however, is very different from arguing, as the government does, that Yunus lobbied to get the suspension or there was no objective reason to suspend the loan.
যাইহোক, এটা খুবই সম্ভব যে ইউনূসের অব্যবস্থাপনা এবং পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের যোগসূত্র রয়েছে – যদিও ইউনূসের কাজ নয়। ইউনূসের সাথে বাংলাদেশ সরকার যেভাবে আচরণ করেছে তাতে মার্কিন সরকার অবশ্যই ক্ষুব্ধ ছিল। এমনও হতে পারে যে, এই এবং অন্যান্য কারণে, মার্কিন সরকার যখন বিশ্বব্যাংকের বোর্ডের সামনে ঋণ স্থগিতের বিষয়টি উঠেছিল তখন বাংলাদেশের জন্য ব্যাট করার কোনো কারণ দেখেনি। এটি অবশ্য সরকারের মত তর্ক করার থেকে একেবারেই আলাদা যে ইউনূস স্থগিতাদেশ পাওয়ার জন্য তদবির করেছিলেন বা ঋণ স্থগিত করার কোন বস্তুনিষ্ঠ কারণ ছিল না।
https://thewire.in/south-asia/did-a-canada-court-really-clear-bangladesh-officials-of-corruption
ডঃ ইউনুস আর দশটা মানুষের মতো বাংলাদেশের সাধারন নাগরিক নন। তার প্রতি মমত্ব বোধের কারনে হোক আর বাংলাদেশের প্রতি ঈর্ষার কারনে হোক অথবা দেশের আমলা/রাজনীতিকদের দুর্নীতি করার চেষ্টার কারনে হোক আমেরিকা পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের থাকাটা সমীচিন মনে করে নাই- এটা স্পষ্ট। আমার মতো পা-ফাটা বাঙ্গালীর বিবেক থেকে উৎসরিত প্রশ্ন হলো “
ইউনুস স্যার, আপনার মতো একজন প্রভাবশালী গ্লোবাল ব্যক্তিত্ব তৈরী করতে এই ভেতো বাঙ্গালীদের হাজার বছর লেগেছে ।”- এই কি তার প্রতিদান ? সব বাধা অতিক্রমের সাধ্য সম্পন্ন আপনি ইউনুস থাকা সত্বেও লোন না পাওয়াটা দেশের ইতিহাসের অন্তুর্ভুক্তি হয়ে গেল। দুঃখজনক।

৮| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৬

কাঁউটাল বলেছেন: আওয়ামী সরকার লং টার্মে আম্রিকার সাথে ক্যাঁচালে গেলে কি কি সুবিধা / অসুবিধা হইতে পারে?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: কাঁউটাল ভাই , এ সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষন মুলক পোষ্ট দেব তথ্য-উপাত্ত যোগাড়ে ব্যস্ত।

৯| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: বাউন্ডেলে বলেছেন: ইউনুস স্যার, আপনার মতো একজন প্রভাবশালী গ্লোবাল ব্যক্তিত্ব তৈরী করতে এই ভেতো বাঙ্গালীদের হাজার বছর লেগেছে ।”- এই কি তার প্রতিদান ?

আপনাকে একটা ছোট্ট গল্প বলি। আমি যখন আমেরিকায় আসি তখন স্বাভাবিকভাবেই রাস্তা-ঘাট ভালো চিনতাম না। সে সময়ে আইফোনও ছিলো না বা গুগল ম্যাপও ছিলো না। যাইহোক সাবওয়ে ট্রেনে করে শহরে গিয়ে আমি ভর্তি হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অফিস খুঁজে পাচ্ছিলাম না যদিও ঠিকানা হাতে ছিলো তবুও বুঝতে পারছিলাম না। নিউ ইয়র্ক শহরে অনেক বাঙালী ট্যাক্সি চালায়, তাদের একজনকে দেখেই জিজ্ঞেস করলাম "ভাই, এই ঠিকানায় পৌছুতে হলে কোন রাস্তা ধরবো?"। তিনি ঠিকানার উপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দেখে চিনলেও তার উত্তর ছিলো "পড়াশোনা কইরা কি করবেন? কয় ট্যাকা কামাইবেন? গাড়ি চালান, সবুজ ট্যাকা কামান"। সত্যি সত্যিই লোকটা আমাকে শেষ পর্যন্ত বলে নি কিভাবে আমি আমার ঠিকানায় পৌছুঁতে পারি তবে উপদেশ দিল অনেক। নতুন এসেছি আমেরিকায়, উপদেশ মাথা পেতে নিলাম। হতাশ হয়ে কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর কিছুটা সাহস নিয়ে এক সাদা ভদ্রলোক-কে বিনয়ের সাথে জিজ্ঞেস করতেই দেখিয়ে দিলো। ৬/৭ বছর পর সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে গাউন পড়ে ডিগ্রী হাতে বেরিয়ে আসলাম। ঐ ড্রাইভার কোথায় আছে জানিনা, তার চেহারাও মনে নেই। দেখা হলে জিজ্ঞেস করতাম, ভাই মাসে কয় ডলার আর করেন? আপনের বন্ধু কারা? কাদের সাথে মেশেন? তাদের সঙ্গ ত্যাগ করেন।

ড. ইউনূস-কে বাঙালীরা তৈরী করে নি। কেউ কাউকে তৈরী করতে পারে না, তৈরী নিজে থেকে হতে হয়। ভুল না জেনে থাকলে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগেই তিনি আমেরিকায় পি.এইচ.ডি. করতে আসেন "ফুলব্রাইট স্কলাশিপ" নিয়ে। সে সময়ে পূর্ব পাকিস্তান থেকে একজন এবং পশ্চিম পাকিস্তান থেকে একজনকে এই বৃত্তি দেয়া হয়েছিলো। স্কলারশিপ কেউ কাইকে পাইয়ে দিতে পারে না বা উত্তরাধিকার সূত্রেও পাওয়া নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মতো তার পি.এই.ডি-র থিসিসও অন্যকোন বাঙালীর লিখে দেয়া নয় কিংবা চুরি করা নয়। এতকিছু কিভাবে জানলাম? তার লিখা "ব্যাঙ্কার টু দ্যা পোর" বইটি পড়ে। আপনি পড়েছেন? মোটামুটি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি পড়েননি। পড়লে গ্রামীন ব্যাংকের ইতিহাস আপনার জানার কথা। আপনি গ্রামীণের অনেক গল্পই জানেন না। আমেরিকায় তার অপার সম্ভাবনা ছিলো আর আজও আছে, সে সব ফেলে তিনি গিয়েছেন, স্বাধীন বাংলাদেশে চট্টগ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করতে। খুব কম বাঙালীই আমেরিকায় নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যত ফেলে বাংলাদেশে আসবে। ড. ইউনূস এসেছিলো, আর এটা আমার দৃষ্টিকোণ থেকে ভুল সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়। কিন্তু তার কাছে মনে হয় নি নিশ্চিতভাবে। প্রতিদানের প্রশ্নই যদি আসে তবে ভেবে দেখা প্রয়োজন বাংলাদেশ একটি দেশ হিসেবে তার একজন নাগরিকের প্রতি কি দায়িত্ব পালন করেছে? বা করছে? বাঙালী কখনো অন্যের সাফল্যে উচ্ছসিত হতে পারে না তবে ঈর্ষান্বিত হয় অবশ্যই।

১০| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৭

নতুন বলেছেন: বাঙালী কখনো অন্যের সাফল্যে উচ্ছসিত হতে পারে না তবে ঈর্ষান্বিত হয় অবশ্যই।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪১

বাউন্ডেলে বলেছেন: কেউ যদি “প্রতিযোগীতাকে” ঈর্ষা মনে করে, আমাদের কি করার আছে ?

১১| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪০

নতুন বলেছেন: তাকে কখনও ২১ ফেব্রুয়ারিতে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। ২৬ শে মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ৩০ লাখ শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। ১৫ই আগস্ট মহান স্বাধীনতার স্থপতি বাংলাদেশের জনক, জাতির পিতার সমাধিতে তাকে কখনও শ্রদ্ধা জানাতে দেখি নাই। জাতির সংকটকালে তাকে কখনও পাওয়া যায় নাই। এই যেমন করোনা কালীন সময়ও তাকে জাতির পাশে দেখা যায় নাই।
আপনারা কি পেয়েছেন, দেখেছেন কোথাও!


যারা এই সব কাজ দিয়ে দেশপ্রেমিক মেপে থাকে তারা নিজেরা কতবার এই সব খানে গিয়েছেন যানতে ইচ্ছে করে।

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: দেশ-প্রেমের মাপকাঠি গোলাম আযম হুজুর বলে গেছেন “ বাংলায় কথা বললেই, তাকে দেশপেপ্রমিক বলে ?”

১২| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ তাদের দূর্নীতিবাজদের না ধরে ইউনূস সাহেবের পেছনে লেগেছেন কেন?

০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: আওয়ামীলীগ, বিএনপি,জাপা, জামাত সহ বাংলাদেশের সকল নাগরিকের চরিত্র হলো টাকার পিছনে দৌড়ানো। ইনুছ নামক টাকার বস্তাকে আমিও খুজছি।

১৩| ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কেউ যদি “প্রতিযোগীতাকে” ঈর্ষা মনে করে, আমাদের কি করার আছে ?


ড: ইউনুসের সাথে প্রতিযোগীতা করে আরো কিছু নোবেল দেশে আসলে তো খুবই ভালো খবর।

যারা ইদানিং ড: ইউনুসের প্রতিযোগীতা করছেন তাদের ধন্যবাদ।

১৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৮

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামীলীগ তাদের দূর্নীতিবাজদের না ধরে ইউনূস সাহেবের পেছনে লেগেছেন কেন?

বাংলাদেশে সব সময়েই দুর্নীতি ছিলো, এখন বেশী এই যা। প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু ভালো কাজ করেছেন, যার জন্য তিনি অবশ্যই সাধুবাদ পাবার যোগ্য। বিগত অনেকগুলো প্রশাসনের তুলনায় তার সরকার বেশ ভালো কিছু কাজ করেছেন। তিনি একটু শক্ত হলে, দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতি থেকে রক্ষা করতে পারলে আমার ধারণা তিনি আরো সফল হতেন। মানুষ বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করে, ভালোবাসে। আমিও বঙ্গবন্ধুকে সম্মান করি, তিনি সম্মানী লোক ছিলেন সন্দেহ নেই। তবে বর্তমান বিশ্ব অর্থনীতি এমনিতেই ক্রান্তিলগ্ন পার করছে। প্রয়োজন ছিলো সেদিকটায় নজর বেশী দেয়া। তিনি ড. ইউনূস ইস্যুতে অকারণেই আর্ন্তজাতিক অঙ্গণে বিরাগভাজন হচ্ছেন, বিষয়টি দেশের জন্য কল্যাণকর নাও হতে পারে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.