নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিশ্বে যত মানুষ আছে তাদের সকলের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট খাদ্য এই পৃথিবীতে উৎপাদিত হয় । তাহলে এত ক্ষুধার্ত মানুষ কেন ?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬


বিশ্বে যত মানুষ আছে তাদের সকলের চাহিদা পূরণের জন্য যথেষ্ট খাদ্য এই পৃথিবীতে উৎপাদিত হয় । অথচ খাদ্য বন্টনে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্পোরেশন এর নিয়ন্ত্রণ থাকার জন্য পৃথিবীর ৮০০ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্যাভাব ও পুষ্টিহীনতায় ভোগে । বিশ্ব বানিজ্য সংস্থা "Agreement on Agriculture" এর মাধ্যমে এসব কর্পোরেশন কে নিয়ন্ত্রণ করার অধিকার দেয় ।
ক্ষুধার্ত থাকা মানুষের সংখ্যা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে। বিশ্বের ৮০ কোটিরও বেশি মানুষ প্রতিরাতে ক্ষুধার্ত পেটে ঘুমাতে যান। মানে পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ মানুষই ন্যূনতম প্রয়োজন মেটানোর খাবার পান না।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, আগের বছরের তুলনায় এ বছর ক্ষুধার্ত থাকা মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি ৬০ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে।ক্ষুধার্তদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ নারী। আর ৮০ শতাংশ জলবায়ু পরিবর্তন-প্রবণ এলাকাগুলোতে বাস করেন।

এফপিআই বিশ্বব্যাপী চিনি, মাংস, শস্য, দুগ্ধজাত পণ্য এবং ভোজ্যতেলসহ অন্যান খাবারের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টির হিসাব রাখে।জাতিসংঘের বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি সংস্থা (এসওএফআই) খুঁজে পেয়েছে, বিশ্বে সবচেয়ে বেশি অপুষ্ট মানুষ বসবাস করেন এশিয়ায়। ২০২১ সালে এই মহাদেশে ৪২ কোটি ৫০ লাখ মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিনযাপন করেছেন। যদিও ক্ষুধার্ত থাকার ব্যাপকতা লক্ষ্য করা গেছে আফ্রিকায়। সে বছর এ সমস্যায় আক্রান্ত হয়েছিলেন আফ্রিকার ২৭ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক সংস্থা ‘গ্লোবাল রিপোর্ট অন ফুড ক্রাইসিস’ সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২২ সালে টানা চতুর্থবারের মতো চরম ক্ষুধার্ত থাকার সংখ্যা বেড়েছে। সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ২৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ চরম খাদ্য সংকটে ভোগেন।
এদিকে ২০২২ সালে রাশিয়া-ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধে। বিশ্বের মোট খাদ্য শস্যের বড় একটি অংশ আসত এ দুটি দেশ থেকে। আর এ যুদ্ধের কারণে খাদ্য সরবরাহে বড় বিঘ্ন ঘটে। যার কারণে বিশ্বের প্রায় সব দেশে বেড়ে যায় খাদ্যের দাম।
লাল রঙ চিহ্নিত অঞ্চলগুলোতে খালি পেটে ঘুমাতে যাওয়া মানুষের সংখ্যা বেশি
সূত্র: আল জাজিরা

ছবিঃ নেট দুনিয়া


মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: বন্টন ব্যবস্থা ঠিক নাই।মানুষ লাভের জন্য উৎপাদন করে যখন প্রয়োজনের জন্য উৎপাদন করবে তখন এই সমস্যা থাকবেনা।সেই কাহিনী অনেক লম্বা।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:২৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: হ্যাঁ রাইট বন্টন ব্যবস্থা ঠিক নাই। তাহলে বিশ্বে যারা নিজেদের মুরব্বী মনে করে, মানবাধীকারের কথা বলে, নাকের পানি/চোখের পানি একধারায় প্রবাহিত করে তারা কি করছে ?

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৬

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সম্পদের অসম বণ্টন তথা মুক্তবাজার অর্থনীতি (ক্যাপিটালিসম) অনেকটাই এর জন্য দায়ী।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২১

বাউন্ডেলে বলেছেন: পুরো পৃথিবী অভিন্ন মুদ্রা (একটি) ব্যবস্থার আওতায় থাকলে মুক্ত বাজার অর্থনীতির মধ্যেও এই সমস্যার সমাধান হতো।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: লেখক বলেছেন: পুরো পৃথিবী অভিন্ন মুদ্রা (একটি) ব্যবস্থার আওতায় থাকলে মুক্ত বাজার অর্থনীতির মধ্যেও এই সমস্যার সমাধান হতো।

আপনি বিশ্বকে একটি দেশের মতো করে ভাবছেন। ক্যাপিটালিজমে এক মুদ্রা বিশ্ব ব্যবস্থায় পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে বলে আমার ধারনা। বড় ব্যবসায়ীরা আরো ধনী হবেন। তুলনামূলকভাবে প্রতিযোগীতা আরো বেড়ে যাবে, গরীব লোকজন আরো সমস্যায় পড়বে। পৃথিবীর সবাই দু'ডলার দিয়ে চা বা কফি খাওয়ার আর্থিক সক্ষমতা রাখে না। ধন্যবাদ।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: পুরো বিশ্বকে এক অর্থনৈতিক বলয়ে নিয়ে আসার কোন বিকল্প নেই। অধিক সুবিধাভোগী দেশ,জনগোষ্ঠির মুখে মানবাধিকারের কচ-কচানী, স্রেফ প্রতারনা ছাড়া কিছু না। আপনার ধারনা ভুল । অভিন্ন মুদ্রা ব্যবস্থা হলে পন্য ও পন্যভোগী মানুষদের পুরো দুনিয়ায় অবাধ চলাচল হবে। এর ফলে শ্রম সস্তা হওয়ার পাশাপাশী ভোগ্যপন্য অধিকতর সহজলভ্য হবে, অপচয় কমবে। আমরা ইতিহাস ঘাটলে দেখতে পাই , প্রাচীন কাল থেকেই এক শ্রেনীর মানুষের আগ্রাসী,বিবেকহীন,সুবিধাবাদী লুট-তরাজের কারনে সম্পদ/সুবিধা সম্পন্ন অর্থনৈতিক ভৌগলিক বলয় এবং জনগোষ্ঠি তৈরী হয়েছে । হরপ্পা,মহেন্জোদারো,ব্যাবিলন, মিশর, মায়া ইত্যদি । যা দলিত শ্রেনীর রক্তে তৈরী হয়েছিলো। মধ্যযুগে আরব/ইউরোপিয়ান আধিপত্য বিভিন্ন উপনিবেশের জন্ম দেয়। এবং প্রায় ৫০০ বছর সমস্ত দুনিয়ার সম্পদ ও তথ্য কেন্দ্রীভুত হয় ইউরোপে। আবিস্কার করতে থাকে শোষনের নিত্য-নতুন কৌশল। চতুর ইউরো-পশ্চিম এশিয়ানরা , “অষ্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার” উর্বর সম্পদ-সমৃদ্ধ ভুমিতে কলোনী স্থাপনের জন্য নির্বিচারে আদিবাসীদের বিলুপ্ত ঘটিয়েছে। আফ্রিকাকে বানিয়েছে তারা “টাকার ও দাসের ভল্ট”।
ফ্রান্স বিশ্বের চার নম্বরে আছে স্বর্ণ মজুদের দিক থেকে। ফ্রান্সের রিজার্ভে আছে ২৪৩৬ টন স্বর্ণ। অথচ ফ্রান্সের কোনো স্বর্ণের খনি নাই! মালিতে (ফ্রান্সের সাবেক কলোনি) ৮৬০ টি স্বর্ণের খনি আছে যেগুলো বার্ষিক ৫০ টন স্বর্ণ উৎপাদন করে৷ অথচ তাদের রিজার্ভে কোনো স্বর্ণ নাই।
সুতরাং মানজাতির অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এক মুদ্রা, এক শাসন ব্যবস্থার কোন বিকল্প নাই । শিক্ষিত মানুষদের প্রতারনার কারনেই আজ ৮০ কোটী মানুষ তীব্র খাদ্য সংকটে ভুগছে।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৩

রাজীব নুর বলেছেন: পুরো বিশ্ব এক মানসিকতার না।
দেখা যায়, আমেরিকাতে প্রচুর গম উৎপাদন হয়েছে। গম রাখার জায়গা নাই। সেই গম আমেরিকা নিজেদের জন্য রেখে বাকিটা সমুদ্রে ফেলে দেয়। অথচ আফ্রিকায় খাদ্যের অভাব। আমেরিকা তাদের বেঁচে যাওয়া গম গুলো না ফেলে আফ্রিকানদের দিলে ভালো হতো। এই ভালো কাজটাই ধনীরা করছে না। আর এখান থেকেই ভাবের সূচনা হচ্ছে।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০২

বাউন্ডেলে বলেছেন: সভ্য দেশগুলোর তথাকথিত শিক্ষিত সুশীল শ্রেনীর অসভ্য আচরনের কারনেই বিপুল পরিমান মানুষ অভুক্ত অবস্থায় থাকে।শিক্ষিত জনগোষ্ঠির বিজ্ঞান নিয়ে লম্ফঝম্ফ বানরের নারকেল প্রাপ্তির মতোই। ভারত একদিকে চন্দ্র জয় করছে অপরদিকে প্রায় ২০ কোটী লোক মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট মুখে বলছে “পুরো বিশ্ব এক পরিবার”। পাগলিক বলছে- আহা !
অথচ কথাটার কোন অনুধাবন ও কার্যকারিতা নাই। জাতীসংঘের মহাসচিব মহাকাব্য লেখছেন। মানবতা পৃথিবীতে এখন নাই ।বিবেক বর্জিত জ্ঞান ও প্রযুক্তি সুবিধাবাদী শ্রেনীর সুবিধা অক্ষুন্ন ও গতিশীল রাখার হাতিয়ারে পরিনত হয়েছে। যার প্রতিক্রিয়া অদুর ভবিষ্যতে মানবজাতীকে একটি ভয়াবহ অভিজ্ঞতা দিতে প্রকৃতি তৈরী হচ্ছে। কারন প্রকৃতি অনিয়ম সহ্য করতে পারে না।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৯

নতুন বলেছেন: মানুষের ক্ষুধা তো দুই রকমের,

পেটে ক্ষুধা আর চোখের ক্ষুধা :(

দুনিয়াতে ৭ বিলিওন মানুষের মাঝে ৩৩১১ মানুষ ১ বিলিওন ডলারের বেশি সম্পদ আছে....

আবার ৯.২% মানুষ দারিদ্র শীমার নিজে.... :(

এই সমস্যা মিটবে না কোন দিন। কারন বেশি পাবার আকংখ্যা মানুষের সহজাত একটা প্রবৃত্তি.... দুনিয়া এগিয়ে যাবার পেছনে এই জিনিসটা কাজ করে। এটা না থাকলে হয়তো মানব সভ্যতা এতোদুর আসতো না।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫১

বাউন্ডেলে বলেছেন: এই সমস্যা মিটবে না কোন দিন। কারন বেশি পাবার আকংখ্যা মানুষের সহজাত একটা প্রবৃত্তি.... দুনিয়া এগিয়ে যাবার পেছনে এই জিনিসটা কাজ করে। এটা না থাকলে হয়তো মানব সভ্যতা এতোদুর আসতো না।
নতুন ভাই, জগতে গুটি কয়েক প্রানী সম্পদ বা খাদ্য বা টিকে থাকার অবলম্বন মজুদ করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষ । অন্যকে ক্ষুধার্ত দেখেও, তার ক্ষুধা নিবারনের চেষ্টা না করে, যে প্রানীটি তার সাধ্যমত সম্পদ বা খাদ্য মজুদ রাখে, তার নাম মানুষ"। আপনি বলছেন সহজাত প্রবৃত্তি। তাহলে সে মানুষ হলো কি করে ? তাহলে তো মানুষ পিঁপড়া, মৌমাছির চেয়েও নিকৃষ্ট প্রানী।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৩

নতুন বলেছেন: বাউন্ডেলে বলেছেন: এই সমস্যা মিটবে না কোন দিন। কারন বেশি পাবার আকংখ্যা মানুষের সহজাত একটা প্রবৃত্তি.... দুনিয়া এগিয়ে যাবার পেছনে এই জিনিসটা কাজ করে। এটা না থাকলে হয়তো মানব সভ্যতা এতোদুর আসতো না।
নতুন ভাই, জগতে গুটি কয়েক প্রানী সম্পদ বা খাদ্য বা টিকে থাকার অবলম্বন মজুদ করে। তার মধ্যে অন্যতম হলো মানুষ । অন্যকে ক্ষুধার্ত দেখেও, তার ক্ষুধা নিবারনের চেষ্টা না করে, যে প্রানীটি তার সাধ্যমত সম্পদ বা খাদ্য মজুদ রাখে, তার নাম মানুষ"। আপনি বলছেন সহজাত প্রবৃত্তি। তাহলে সে মানুষ হলো কি করে ? তাহলে তো মানুষ পিঁপড়া, মৌমাছির চেয়েও নিকৃষ্ট প্রানী।


আমি আপনিও কিন্তু সম্পদ বাড়ানোর জন্য চেস্টা করে যাচ্ছি।
আমি আয় করছি ১০০ টাকা কিন্তু ১০ হাজারের একটা প্রযেক্ট নিয়ে বসেআছি এবং সেই ১০ হাজার আয়ের জন্য চেস্টা করে যাচ্ছি।

আমরা একটা অনিশ্চয়তায় ভুগি অথবা আরো নতুন কিছু অর্জনের জন্য অথবা অন্যকোন কারনে সম্পদ অর্জনের পেছনে ছুটি।

তাই আমি বলেছি সহজাত প্রবৃত্তি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.