নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর পর্দা,জীবিকা ও ইসলাম

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

ইসলাম সর্বদা নারীদের শালীন পরিবেশে শিক্ষা, কাজ ও চলাফেরার কথা বলে। শরিয়ত নির্ধারিত গণ্ডির মধ্যে থেকে নারীরা অবশ্যই শিক্ষা অর্জনসহ অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবে। ইসলাম কোথাও নারীকে বন্দি করে রাখার কথা বলেনি। ইসলাম নারী শিক্ষার প্রতি যেমন গুরুত্বারোপ করেছে তেমনি নারী-পুরুষের ভোটাধিকারেও কোনো ধরনের পার্থক্য সৃষ্টি করেনি। এমনকি ইসলাম নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে কাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকারও প্রদান করেছে।
কোরআনে কারিমের সূরা বাকারার ২৭৫ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আমি ব্যবসাকে হালাল করেছি এবং সুদকে হারাম করেছি। ’ এই আয়াতে ব্যবসা হালাল হওয়া এবং সুদ হারাম হওয়া নারী-পুরুষের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য। একজন পুরুষ হালাল পন্থায় যেসব ব্যবসা করতে পারবে। নারীও সে ধরনের ব্যবসা করতে পারবে। সে বিবাহিত হোক কিংবা অবিবাহিত হোক। সে তার অর্জিত সম্পদের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণকারী। সে কোনো বিধিনিষেধ ছাড়াই তার সম্পত্তির ব্যাপারে সব ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে, যা একজন পুরুষের জন্যও প্রযোজ্য।
নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য পর্দার বা পরিচ্ছদের নির্দেশ বিদ্যমান। আসুন দেখি,মহান আল্লাহর ইসলাম এ ব্যাপারে কি কি নির্দেশ দেয়-
পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহপাক বলেছেন,"চরিত্রহীনা নারী চরিত্রহীন পুরুষদের জন্য, আর চরিত্রহীন পুরুষ চরিত্রহীনা নারীদের জন্য, চরিত্রবতী নারী চরিত্রবান পুরুষের জন্য, আর চরিত্রবান পুরুষ চরিত্রবতী নারীর জন্য। লোকেরা যা বলে তা থেকে তারা পবিত্র। তাদের জন্য আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা"।( সূরা আন নূর,আয়াত - ২৬)।
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এ বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ।’ (সূরা আহযাব: ৫৩)
‘আল্লাহ তো কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতাকে দূরীভূত করতে এবং তোমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে পবিত্র করতে।’ (সূরা আহযাব: ৩৩)
‘আল্লাহ এবং তার রাসূল কোনো বিষয়ের নির্দেশ দিলে কোনো মু’মিন পুরুষ কিংবা কোনো মু’মিন নারীর জন্য সে বিষয় অমান্য করার কোনো অধিকার থাকে না। আর যে আল্লাহ ও তার রাসূলকে অমান্য করে সে অবশ্যই পথভ্রষ্ট।’ (সূরা আহযাব: ৩৬)
‘হে নবী আপনি আপনার স্ত্রী, কন্যা ও মু’মিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের জিলবাবের (চাদরের) একাংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’ (সূরা আহযাব: ৫৯)
তোমরা তোমাদের গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করো, প্রাচীন জাহেলী যুগের নারীদের ন্যায় নিজেদেরকে প্রর্দশন করো না। (সূরা আহযাব: ৩৩)
যখন তোমরা তাদের (নবী পত্মীদের) কাছে কিছু চাইবে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এ বিধান তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। (সূরা আহযাব: ৫৩)
আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, আপন নারীগণ, তাদের মালিকানাধীন দাসী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া অন্য কারো কাছে নিজেদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন তাদের গোপন সাজ্জসজ্জা প্রকাশ করার উদ্দেশ্যে সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফল হতে পার। (সূরা নূর: ৩১)
বয়স্ক নারীদের জন্য পর্দা পালনের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা গ্রহণের অবকাশ রয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অতিশয় বৃদ্ধা নারী, যারা বিবাহের আশা রাখে না, তাদের জন্য অপরাধ নেই, যদি তারা তাদের সৌর্ন্দয প্রদর্শন না করে তাদের অতিরিক্ত বস্ত্র খুলে রাখে। তবে এ থেকে বিরত থাকাই তাদের জন্য উত্তম। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।’ (সূরা নূর: ৬০)
নারী-পুরুষ উভয়ই পর্দা মেনে চলা ফরজ। সত্যি কথা বলতে পুরুষের জন্যই পর্দার আয়াত প্রথমে নাযিল হয়েছে। পরবর্তীতে নারীর পর্দার আয়াত নাযিল হয়েছে।
সুরা নূরের ৩০ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ্‌ বলেছেন, ‘মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে।’
সুরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে মহান আল্লাহ্‌ বলেছেন, ‘ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে অবনত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে ও নিজেদের দেহ-সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে, কেবল সেসব অংশ ছাড়া যা আপনা আপনি প্রকাশিত হয়ে পড়ে।
আর তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণ না করে। হে মুমিন লোকেরা ! তোমরা সকলে মিলে আল্লাহর নিকট তওবা কর, আশা করা যায় তোমরা কল্যাণ লাভ করবে।’ (সূরা আন-নূরঃ ৩১)





মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২১

সোনাগাজী বলেছেন:



ইসলাম নারীপুরুষের ভোটাধিকারে কোন পার্থক্য করেনি?
ইসলাম যখন লিখা হয়েছে, তখন আরবে কি ভোট হতো? কিসব বেকুবী কথা বলেন? আরবে কখন ভোট চালু হয়েছে? ভারতে কখন ভোট চালু হয়েছে?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫২

বাউন্ডেলে বলেছেন: ভোটাধিকার বলতে কোন বিষয়ে “মত প্রকাশের” ব্যাপারে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে রাসুল “সাহাবীদের (নারী/পুরুষ) মতামত নিতেন।

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

নতুন বলেছেন: ইসলাম কোথাও নারীকে বন্দি করে রাখার কথা বলেনি। ইসলাম নারী শিক্ষার প্রতি যেমন গুরুত্বারোপ করেছে তেমনি নারী-পুরুষের ভোটাধিকারেও কোনো ধরনের পার্থক্য সৃষ্টি করেনি। এমনকি ইসলাম নারীকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে কাজ ও ব্যবসা-বাণিজ্যের অধিকারও প্রদান করেছে।

সাক্ষ্যির ক্ষেত্রে ২ নারী বনাম ১ পুরুষের সাক্ষ্যি.... তাহলে ভোটাধিকার সমান কিভাবে হবে?

আর ইসলামে ভোটাধিকারের কথা আমি অবশ্য কোথাও দেখিনাই।

ধর্মে নারীদের স্বালীন পোষাকের কথা বলা হয়েছে, সেটা সেলোয়ার কামিজ, সার্ট, প্যান্ট পড়লেও চলে....

কিন্তু পর্দার ব্যবহার পুরুষেরা করছে নারীকে নিয়ন্ত্রনের হাতিয়ার হিসেবে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: সাক্ষ্যির ক্ষেত্রে ২ নারী বনাম ১ পুরুষের সাক্ষ্যি-
এটা কোরানে কোথায় উল্লেখ আছে ?
বিভিন্ন বিষয়ে রাসুল “সাহাবীদের (নারী/পুরুষ) মতামত নিতেন।

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:



নতুন বলেছেন, "সাক্ষ্যির ক্ষেত্রে ২ নারী বনাম ১ পুরুষের সাক্ষ্যি.... তাহলে ভোটাধিকার সমান কিভাবে হবে? "

-এই ধরণের ব্লগাররা অবশ্যই প্রশ্নফাঁস জেনারেশনের লোকজন।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৫৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: এটা কোরানে কোথায় উল্লেখ আছে ?

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৬

করুণাধারা বলেছেন: পোস্ট পড়তে এসে যখন দেখলাম আপনি প্রথমেই ভুল আয়াত উদ্ধৃত করেছেন, (সূরা বাকারার ১৮৬ নাম্বার আয়াতে কি বলা হয়েছে সেটা দেখে নিন) এখন পোস্টের বাকি অংশ পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেললাম।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০২

বাউন্ডেলে বলেছেন: দুঃখিতঃসূরা বাকারার ২৭৫ নাম্বার আয়াত

৫| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:১০

ডার্ক ম্যান বলেছেন: সুরা বাকারা
১৮৬. আর আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞেস করে, (তখন বলে দিন যে) নিশ্চয় আমি অতি নিকটে। আহবানকারী যখন আমাকে আহবান করে আমি তার আহবানে সাড়া দেই। কাজেই তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার প্রতি ঈমান আনুক, যাতে তারা সঠিক পথে চলতে পারে।(১)

(১) পূর্ববতী আয়াতগুলোতে রামাদানের হুকুম-আহকাম বর্ণনা করা হয়েছে। তারপর একটি সুদীর্ঘ আয়াতে সাওম ও ইতিকাফের বিবরণ বর্ণিত হয়েছে। এখানে মাঝখানে বর্তমান সংক্ষিপ্ত আয়াতটিকে বান্দাদের অবস্থার প্রতি মহান রব-এর অনুগ্রহ এবং তাদের প্রার্থনা শ্রবণ ও কবুল করার বিষয় আলোচনা করে নির্দেশ পালনে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কারণ, সাওম সংক্রান্ত ইবাদাতে অবস্থাবিশেষে অব্যাহতি দান এবং বিভিন্ন সহজতা সত্বেও কিছু কষ্ট বিদ্যমান রয়েছে। এ কষ্টকে সহজ করার উদ্দেশ্যে আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে যে, আমি আমার বান্দাদের সন্নিকটে রয়েছি, যখনই তারা আমার কাছে কোন বিষয়ে দো'আ করে, আমি তাদের সে দোআ কবুল করে নেই এবং তাদের বাসনা পূরণ করে দেই। এমতাবস্থায় আমার হুকুম-আহকাম মেনে চলা বান্দাদেরও একান্ত কর্তব্য। তাতে কিছুটা কষ্ট হলেও তা সহ্য করা উচিত।

ইমাম ইবনে কাসীর দো'আর প্রতি উৎসাহ দান সংক্রান্ত এই মধ্যবর্তী বাক্যটির তাৎপর্য বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেছেন যে, এ আয়াতের দ্বারা সাওম রাখার পর দোআ কবুল হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। সে জন্যই সাওমের ইফতারের পর দোআর ব্যাপারে বিশেষ তৎপরতা অবলম্বন করা উচিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেনঃ “সিয়াম পালনকারীর দো'আ ফিরিয়ে দেয়া হয় না অর্থাৎ কবুল হয়ে থাকে।” [ইবনে মাজাহ ১৭৫৩] সে জন্যই আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা ইফতারের সময় পরিবার পরিজনকে ডাকতেন এবং দো'আ করতেন। [ইবনে কাসীর]

তাফসীরে জাকারিয়া

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: ডার্ক ম্যান, আমার লেখায় ভুলবশতঃ ২৭৫ এর স্থলে ১৮৬ হয়েছে।
সুরা বাকারার ১৮৬ নং আয়াত আমি উধৃতি হিসাবে দেই নাই। এবং ১৮৬ নং আয়াত আমার এই পোষ্ট সংশ্লিষ্ট নয়।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৪

ধুলো মেঘ বলেছেন: সূরা বাকারা আয়াত ২৭৫

যারা সুদ খায়, তারা তার ন্যায় (কবর থেকে) উঠবে, যাকে শয়তান স্পর্শ করে পাগল বানিয়ে দেয়। এটা এ জন্য যে, তারা বলে, বেচা-কেনা সুদের মতই। অথচ আল্লাহ বেচা-কেনা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন। অতএব, যার কাছে তার রবের পক্ষ থেকে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, যা গত হয়েছে তা তার জন্যই ইচ্ছাধীন। আর তার ব্যাপারটি আল্লাহর হাওলায়। আর যারা ফিরে গেল, তারা আগুনের অধিবাসী। তারা সেখানে স্থায়ী হবে।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩০

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: সাক্ষ্যির ক্ষেত্রে ২ নারী বনাম ১ পুরুষের সাক্ষ্যি-
এটা কোরানে কোথায় উল্লেখ আছে ?
বিভিন্ন বিষয়ে রাসুল “সাহাবীদের (নারী/পুরুষ) মতামত নিতেন।


https://quran.com/2?startingVerse=282

হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। অতঃপর ঋণগ্রহীতা যদি নির্বোধ হয় কিংবা দূর্বল হয় অথবা নিজে লেখার বিষয়বস্তু বলে দিতে অক্ষম হয়, তবে তার অভিভাবক ন্যায়সঙ্গতভাবে লিখাবে। দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়। যখন ডাকা হয়, তখন সাক্ষীদের অস্বীকার করা উচিত নয়। তোমরা এটা লিখতে অলসতা করোনা, তা ছোট হোক কিংবা বড়, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। এ লিপিবদ্ধ করণ আল্লাহর কাছে সুবিচারকে অধিক কায়েম রাখে, সাক্ষ্যকে অধিক সুসংহত রাখে এবং তোমাদের সন্দেহে পতিত না হওয়ার পক্ষে অধিক উপযুক্ত। কিন্তু যদি কারবার নগদ হয়, পরস্পর হাতে হাতে আদান-প্রদান কর, তবে তা না লিখলে তোমাদের প্রতি কোন অভিযোগ নেই। তোমরা ক্রয়-বিক্রয়ের সময় সাক্ষী রাখ। কোন লেখক ও সাক্ষীকে ক্ষতিগ্রস্ত করো না। যদি তোমরা এরূপ কর, তবে তা তোমাদের পক্ষে পাপের বিষয়। আল্লাহকে ভয় কর তিনি তোমাদেরকে শিক্ষা দেন। আল্লাহ সব কিছু জানেন। - সুরা বাকারা - ২৮২

This is interpreted by a number of Muslim scholars so as to imply testimony of two women being equal to a single man's. Tafsir Ibn Kathir states: "Allah requires that two women take the place of one man as witness, because of the woman's shortcomings, as the Prophet described [in a hadith]."[6] - ইবনে কাথীরের তফসীরে কি বলেছেন দেখতে পারেন তাহলে আরেকটু বুঝতে পারবেন।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

এখানে তো পরিষ্কার বলা হয়েছে যাতে এক নারী অপর নারীর সাথে মত বিনিময় করে সাক্ষ্য দিতে পারে। একজন পুরুষ সমান দুজন নারীর কথা বলা হয়নি।

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৪

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভোটাধিকার বলতে কোন বিষয়ে “মত প্রকাশের” ব্যাপারে বলা হয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে রাসুল “সাহাবীদের (নারী/পুরুষ) মতামত নিতেন।

এইরুপ হাদিস এক খানা প্রদর্শন করুন ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: হুদায়বিয়ার সন্ধি।

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৭

নতুন বলেছেন: B:-) সম্ভবত বোঝাইতে পারিনাই আপনাকে।

সাক্ষী করতে হবে দুই জন পুরুষকে। ( প্রথম সমাধান)

যদি ২জন পুুরুষ না পাওয়া যায়। তবে ১জন পুরুষ + ২জন মহিলা

দুই পুরুষের বদলে ২ মহিলার কথা বলেনি। ১ পুরুষের বিপরিতে ২ জন মহিলা লাগবে, ( ১জন মহিলা হলে চলবেনা)

১ পুরুষ + ১ জন পুরুষ = সাক্ষী

১ পুরুষ + ২ মহিলা = সাক্ষী

এখানে তো পরিষ্কার বলা হয়েছে যাতে এক নারী অপর নারীর সাথে মত বিনিময় করে সাক্ষ্য দিতে পারে।

পুরুষকে সাথী নিতে বলা হয়নি। ১ পুরুষই যথেস্ট ;) নারী সাক্ষী হইলে তার আরেকজন সাথী নিতে হবে যাতে মত বিনিময় করতে পারে। কারন ১ জন নারী যথেস্ট না।

যদি সমান হইতো হবে বলতো ২ জন সাক্ষী নেও নারী বা পুরুষদের মাঝ থেকে। অথবা ১ জন নারী+ ১ জন পুরুষ।

তাহলে হিসাব হ্ইতো।

১ পুরুষ + ১ জন পুরুষ = সাক্ষী
১ নারী + ১ জন নারী = সাক্ষী
১ পুরুষ + ১ জন নারী = সাক্ষী

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: আয়াতটি আবারো পড়ুনঃ দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।
বুঝুন- দু-জন নারীর মধ্যে বেছে নেয়া একজন নারী। “কথা কিন্তু একজন নারীই বলবে” অপরজন তাকে মত বিনিময় করে সহযোগীতা করবে ।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৯

অহরহ বলেছেন: বাউন্ডেলে বলেছেন: দুজন সাক্ষী কর, তোমাদের পুরুষদের মধ্যে থেকে। যদি দুজন পুরুষ না হয়, তবে একজন পুরুষ ও দুজন মহিলা। ঐ সাক্ষীদের মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়

এখানে তো পরিষ্কার বলা হয়েছে যাতে এক নারী অপর নারীর সাথে মত বিনিময় করে সাক্ষ্য দিতে পারে। একজন পুরুষ সমান দুজন নারীর কথা বলা হয়নি।




তো, ভাইয়া যদি দুজন নারী না হয়, তবে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। ঐ সাক্ষীদের(পুরুষ) মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

তাতে সমস্যা কী?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: এটা নারীর ক্ষেত্রে বলেছেন, পুরুষের ক্ষেত্রে বলেননি ।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩২

নতুন বলেছেন: “কথা কিন্তু একজন নারীই বলবে” অপরজন তাকে মত বিনিময় করে সহযোগীতা করবে ।

ঠিক আছে আপনার কথাই ঠিক। /:)

পুরুষ একজন হইলেই চলবে কিন্তু নারীর সাথী লাগবে মত বিনিময়ের জন্য। তাই নারী এবং পুরুষের সাক্ষী সমান।

This is interpreted by a number of Muslim scholars so as to imply testimony of two women being equal to a single man's. Tafsir Ibn Kathir states: "Allah requires that two women take the place of one man as witness, because of the woman's shortcomings, as the Prophet described [in a hadith]."[6] - ইবনে কাথীরের তফসীরে কি বলেছেন দেখতে পারেন তাহলে আরেকটু বুঝতে পারবেন।

বুছতে পারলাম ইবনে কাথীর বিষয়টা ঠিক বুঝতে পারেন নাই।

মানলাম আপনারাই ঠিক ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: This is interpreted by a number of Muslim scholars so as to imply testimony of two women being equal to a single man's. Tafsir Ibn Kathir states: "Allah requires that two women take the place of one man as witness, because of the woman's shortcomings, as the Prophet described [in a hadith]."[6]
বাংলা করলে দাড়ায়-এটিকে অনেক মুসলিম পণ্ডিত ব্যাখ্যা করেছেন যাতে বোঝা যায় দুই নারীর একজন পুরুষের সমান হওয়ার সাক্ষ্য। তাফসির ইবনে কাথির বলেছেন: "আল্লাহ চান যে একজন পুরুষের জায়গায় দুজন নারীকে সাক্ষী হিসেবে গ্রহণ করা হোক, নারীর ত্রুটির কারণে, যেমনটি নবী [হাদিসে] বর্ণনা করেছেন।"[6]

তাফসিরকে আমি ফেৎনা মনে করি। এবং যে সব হাদিস “কোরান ও মানবতার” সাথে সাংঘর্ষিক সে গুলি অবশ্যই জাল।
তাফসিরকারকদের ভুল ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত ব্যাখার কারনে মুষলমানদের মধ্যে বহু গ্রুপ তৈরী হয়েছে। এবং কোটী কোটি মুষলমান ঈমানের মুলধারা হতে বিচ্যুত হয়েছে ।

১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৫

নতুন বলেছেন: অহরহ বলেছেন: তো, ভাইয়া যদি দুজন নারী না হয়, তবে একজন নারী ও দুজন পুরুষ। ঐ সাক্ষীদের(পুরুষ) মধ্য থেকে যাদেরকে তোমরা পছন্দ কর যাতে একজন যদি ভুলে যায়, তবে একজন অন্যজনকে স্মরণ করিয়ে দেয়।

তাতে সমস্যা কী?


এটা সমস্যা হবার কথা না। কি বলেন??

কারন নারী পুরুষের সাক্ষ্য তো সমান সমান তাই না?? @লেখক

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: আল্লাহ নারীর ক্ষেত্রে বলেছেন, পুরুষের ক্ষেত্রে বলেননি ।

১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: ধর্ম থেকে দুরে থাকার উপায় সম্পর্কে একটা বই লিখুন । যথেষ্ট মার্কেট পেতে পারেন।

১৫| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২০

অহরহ বলেছেন: রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম থেকে দূরে থাকুন, ভালো থাকুন।

১৬| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৬

অহরহ বলেছেন: আজকের গ্লোবে এত হিংসুটে হলে চলবে @ ভাইয়া! ওদের উৎসবে বন্ধু হিসেবে কিছু ইলিশ রফতানি করলে এমন কী হয়? অথচ ওদের পেঁয়াজ, রশুন, আদা, চাল, ডাল, গম ............ ছাড়া বাংলাদেশের একদিনও চলে না। বাংলাদেশের মুসলিমরা এই বাস্তবতা বুঝে না! নাকি সবার পিছে লেগে থাকা স্বভাবে পরিণত হয়েছে?

১৭| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮

অহরহ বলেছেন: সরি ভাইয়া ভুল জায়গায় মন্তব্য চলে গেছে, just ignore it........

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.