নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত: ৫০ বছর পর আরেক ‘ইয়ম কিপুর’ যুদ্ধ

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১১


১৯৭৩ সালের ৬ অক্টোবর ‘ইয়ম কিপুর’–এর দিন ইসরায়েলে হামলা চালায় মিসর ও সিরিয়া। এবার ৭ অক্টোবর ভোরে হামাস ইসরায়েলে হামলা চালায়। তাই অনেকে এবারের হামলাকে সেই ইয়ম কিপুর যুদ্ধের সঙ্গে তুলনা করছেন। ইসরায়েলি সরকারের আগ্রাসী নীতিই বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে অনেকে মনে করছেন।
হিব্রু বর্ষপঞ্জি অনুসারে নতুন বছরের প্রথম দিনটি ‘রোশ হাশানাহ’ নামে পরিচিত। হিব্রু বর্ষের প্রথম মাস ‘তিশরেই’।
ইহুদি ধর্মবিশ্বাসমতে, এদিন মহাপ্রভু পরবর্তী এক বছরের ভাগ্যলিখনের খাতা খোলেন।
তাই এদিন থেকে ইহুদিরা বিশেষ প্রার্থনা করে। তিশরেই মাসের দশম দিনের মাথায় পালিত হয় পাপমুক্তির দিন ‘ইয়ম কিপুর’। এই দিন শেষে প্রভু ইহুদিদের ভাগ্যলিখন শেষে খাতা বন্ধ করেন। রোশ হাশানাহ থেকে ইয়ম কিপুরের মধ্যবর্তী দিনগুলোকে বলা হয় ইয়ামিম নোরায়িম বা অনুতাপের দিন।
ইয়ম কিপুরের দিনটি ইহুদিরা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সমষ্টিগতভাবে নিবিড় প্রার্থনা, অনুশোচনা, উপবাস ও সংযমের মাধ্যমে পালন করে থাকেন। ইহুদিধর্মমতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাবান এই দিনটি ইসরায়েলে সরকারিভাবে ছুটি থাকে। অত্যাবশ্যকীয় সীমিত কিছু সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকে।
৫০ বছর আগে
১৯৭৩ সালের ৬ অক্টোবর ইসরায়েলে যথারীতি ইয়ম কিপুর পালিত হচ্ছিল। আর এই দিনেই ইসরায়েলে হামলা চালায় মিসর ও সিরিয়া। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ ও হারানো ভূমি ফেরত পেতে তারা এই হামলা চালায়। আকস্মিক এই হামলায় প্রথমে ইসরায়েল স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। দেশটির নেতারা ভাবতেই পারেননি, মাত্র ছয় বছর আগে শোচনীয়ভাবে পরাজয়ের পর কোনো আরব রাষ্ট্র ইসরায়েলে হামলার মতো অত বড় ঝুঁকি নেবে।
ইসরায়েলের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার ভেবেছিলেন, মিসরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাত সংঘাতে জড়ানোর মতো অযৌক্তিক পদক্ষেপ নেবেন না। ইসরায়েলি উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তারা দম্ভভরে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, কোনো রকম সংঘাত হলে ইসরায়েলের জন্য ‘সৈন্য প্রত্যাহারের সীমারেখা হবে কায়রো।’ আর আরবরা হামলা করলে এমন পাল্টা জবাব দেওয়া হবে যে তাদের কাছে ‘১৯৬৭ সালের পরাজয়ের স্মৃতিটাই বরং সুখকর মনে হবে।’
প্রথম আলো ও অন্যান্য পত্রিকা থেকে সংগৃহিতঃ
৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় বা রাতে আক্রমণ হতে পারে বলে আগেই আভাস দিয়েছিলেন ইসরায়েলি গোয়েন্দা ও গুপ্তচরেরা। তবে ৬ অক্টোবর দুপুরে (দিনটা হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে ছিল ১০ রমজান) যখন মিসরীয় সেনাবাহিনী সুয়েজ খাল পেরিয়ে অধিকৃত সিনাই উপদ্বীপে ঢুকে পড়ে, তখন ইসরায়েলি বাহিনী ছিল অনেকটাই অপ্রস্তুত। অপর সীমান্ত গোলান মালভূমিতে সিরিয়ার সেনারাও হামলা চালায়। ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে মিসরের কাছ থেকে সিনাই ও সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান দখলে নিয়েছিল ইসরায়েল। মিসর ও সিরিয়ার আক্রমণ শুরুর পর ৬ অক্টোবর রাতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোশে দায়ানকে বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। তিনি বলেছিলেন, আরবরা এবার ‘ইহুদিদের শেষ করার জন্য ইসরায়েল দখল করে নিতে চাচ্ছে।’
অবশ্য মিসর–সিরিয়ার হামলার প্রাথমিক ধকল কাটিয়ে উঠতে ইসরায়েলের বেশি দিন লাগেনি। ১০ অক্টোবর সিরীয় বাহিনীকে গোলান থেকে হটিয়ে দিয়ে তারা সিরিয়ার অভ্যন্তরে পাল্টা হামলা চালায়। তবে মিসরীয় বাহিনীর সঙ্গে পেরে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয় ইসরায়েলের। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ইসরায়েলকে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে থাকেন। অন্যদিকে সিরিয়া ও মিসর তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে কিছু যুদ্ধসামগ্রীর জোগান পেয়েছিল। ১৫ অক্টোবর ইসরায়েলের প্রবল পাল্টা আক্রমণে মিসরীয় বাহিনী পিছু হটতে থাকে। এদিকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২৪ অক্টোবর যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব গ্রহণ করে, যদিও ২৬ অক্টোবর মিসর সীমান্তে সংঘাত থেমে যায়।
ইয়ম কিপুর যুদ্ধের সময় তেল উৎপাদনকারী আরব দেশগুলো একযোগে জ্বালানি তেলের দাম এক লাফে ৭০ শতাংশ বাড়িয়ে দিয়েছিল। ইসরায়েলকে সহযোগিতা করায় তারা যুক্তরাষ্ট্র ও নেদারল্যান্ডসে তেল সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেয়। বিশ্বজুড়ে এসবের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। তবে আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে তা শেষ পর্যন্ত বড় নিয়ামক হয়ে উঠতে পারেনি।
১৯৭৩ সালের যুদ্ধ শেষে হিসাব-নিকাশে ইসরায়েল জয়ী হলেও দেশটির ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ছিল ১৯৬৭ সালের তুলনায় অনেক বেশি। তিন হাজার ইসরায়েলি সেনা প্রাণ হারিয়েছিল। জনসাধারণ মনস্তাত্ত্বিকভাবে অনেকটা ভেঙে পড়েছিল। তাঁদের প্রচণ্ড ক্ষোভ জন্মেছিল সরকার ও প্রতিরক্ষাবাহিনীর ওপর। ফলে গোল্ডা মেয়ারকে যুদ্ধ শেষের আট মাসের মধ্যে পদত্যাগ করতে হয়েছিল।


প্রথমআলো ও অন্যান্য পত্রিকা থেকে সংগৃহিত

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২২

শাহ আজিজ বলেছেন: আমরা এখন ইতিহাসমুখী হয়েছি , এটা ভাল ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩১

বাউন্ডেলে বলেছেন: মানুষ ইতিহাস থেকে শিক্ষা এবং প্রতিহিংসা দুটোই গ্রহন করে । অপেক্ষা করুন এবং দেখুন।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: মুসলমানদের নিকট মসজিদুল আকসা এত্তোটা গুরুত্বপূর্ণ ?
যেখানে ইহুদিরা সমগ্র ফিলিস্তিনই দখল করে নিছে, সেখানে মাত্র ১৪ একর জায়গার জন্য কেনো এত্তো অত্যাচার নির্যাতনের পরেও ফিলিস্তিনের মুসলমানরা বারবার মসজিদের দিকে ধাবিত হচ্ছে!!
১. এখানেই রয়েছে হযরত ইব্রাহিম এবং মূসা (আ) সহ অসংখ্য নবী রাসুলের কবর।
২. এখানেই আল্লাহর মহানবী রাসুল (সা) সকল নবী রাসুলদের এবং ফেরেস্তাদেরকে নিয়ে নামাজ পড়ছিলেন।সেই জামাতের ইমাম ছিলেন মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এবং এই জামাতে মতান্তরে প্রায় ২৪ হাজার নবী রাসুল ছিলেন।
৩. এখান থেকেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বোরাকে করে আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করার উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিলেন।
৪. এই মসজিদের নির্মাণের সাথে জড়িয়ে আছে হজরত আদম এবং সুলাইমান আলাইহিসসালাম এর নাম।
৫. এর সাথে জড়িয়ে আছে খলিফা হজরত উমর (রা)এর সেই বিখ্যাত উটের বিরল ঘটনা।
৬. এখানের সাথেই জড়িয়ে আছে দ্যা গ্রেট সুলতান সালাউদ্দিন আইয়ুবীর অসংখ্য স্মৃতি।
৭. এই মসজিদের পাথরের গায়ে লেখা রয়েছে সম্পূর্ণ সূরা ইয়াসিন।
৮. এই মসজিদের জন্য জ্বীনদের দ্বারা পাথর উত্তোলন করা হয়েছে গহীন সাগরের তলদেশ থেকে।যা কিনা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব!!!
৯. এই মসজিদে ২ রাকাআত নামাজ আদায় করার জন্য একজনের আমল নামায় ২৫ হাজার রাকাআত নামাজের সমপরিমাণ সওয়াব লিখা হবে।
১০. পবিত্র কোর আনের সবচেয়ে মধ্যখানেই মহান আল্লাহ এই মসজিদ নিয়ে আলোচনা করছেন।

"তোমাদের কেউ যদি কোনো খারাপ কাজ বা বিষয় দেখে তাহলে সে যেন হাত দিয়ে তা পরিবর্তন করে দেয়, যদি তা করতে অপারগ হয় তাহলে যেন মুখ দিয়ে তার প্রতিবাদ করে, যদি তাও করতে সক্ষম না হয় তাহলে যেন অন্তর দিয়ে তা ঘৃণা করে, আর এটাই হচ্ছে ঈমানের মধ্যে সবচেয়ে দুর্বলতম স্তর।"
(বুখারি, হাদিস নং: ১৯৪)

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:১৬

মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ৬০ লক্ষ ইহুদী হত্যা করে যেমন নাৎসী বাহিনী যেমন পুর্নাঙ্গ সমাধানে যেতে পারেনি তেমনি এই নব্য নাৎসী বাহিনীও (ইসরাইলি দখলদার বাহিনী) কোন সমাধানের ধারে কাছে যেতে পারবে না।

যদিও তাদের সমর্থক এদেশীয় প্রতিক্রিয়াশীল সিন্ডিকেট ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত লাফ ঝাপ দিয়েই যাবে...।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

সোনাগাজী বলেছেন:



মিশর ও সিরিয়া গ্রাম আক্রমণ করে, গ্রামবাসীকে হত্যা করেছিলো, নাকি সেনা বাহিনীর সাথে যুদ্ধ করে,তার আগের যুদ্ধে হারানো ভুমি উদ্ধার করার চেষ্টা করেছিলো?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

বাউন্ডেলে বলেছেন: গাজী ভাই আপনি বরাবরই নেগেটিভ ধারনা নিয়ে কথা বলেন। ইসরাইল-আমেরিকা যে, যুদ্ধে জড়িত থাকে - সে যুদ্ধের কোন মা-বাপ, মানবতা দেখেছেন কখনো ?

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:১৫

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: গাজী ভাই আপনি বরাবরই নেগেটিভ ধারনা নিয়ে কথা বলেন। ইসরাইল-আমেরিকা যে, যুদ্ধে জড়িত থাকে - সে যুদ্ধের কোন মা-বাপ, মানবতা দেখেছেন কখনো ?

-আপনি কোনদিন আমেরিকার সাধারণ মানুষ, ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনের সাধারণ মানুষ দেখেছেন? এদের না'দেখার ফলে, আপনার লেখা ও ধারণা সঠিক নয়।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:২৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: সাধারন মানুষের আচরন প্রতিফলিত তাদের শাষকদের আচরনে। আমি আমেরিকাকে বিশ্বের বহু জায়গায় দেখেছি- ডাকাত,খুনি,কিডন্যাপার,ধর্ষক, শিশু ধর্ষক রুপে। তাদের সাধারন জনগণ এবং আপনার মতো কিছু উচ্ছিষ্ট ভোগী এসব দেখার পরও আমেরিকা ইসরাইলকে সমর্থন করে।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০

সোনাগাজী বলেছেন:


লেখক বলেছেন: সাধারন মানুষের আচরন প্রতিফলিত তাদের শাষকদের আচরনে। আমি আমেরিকাকে বিশ্বের বহু জায়গায় দেখেছি- ডাকাত,খুনি,কিডন্যাপার,ধর্ষক, শিশু ধর্ষক রুপে।

-আপনি যখনই কোন আমেরিকানকে দেখেন, আপনার নিজকে ওর থেকে কোনভাবে জ্ঞানী বা প্রফেশানেল মনে হয়েছে?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: ওরা চতুর। জ্ঞানী হওয়ারতো প্রশ্নই আসে না। তবে স্কলার এবং প্রফেশনাল । মানবিক ধারনার মাত্রা - আমাদের দেশের পা-ফাটা কুষকদের চেয়েও নগন্য। সিকি ভাগ মানুষ।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: ফিলিস্তিনি এক শিশু বলে ছিলো।
আমরা নামাজ পড়ি দৈনিক ৬ ওয়াক্ত
১ ফজর ২ যহর ৩ আছর ৪ মাগরীব ৫ এসা ৬ যানাজা এর নামাজ
আল্লাহ তুমি সকল মানুষদের নেক হায়াত দান করো

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১০

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: আপনি কি জানেন '৭১ সালে আমেরিকা বাংলাদেশের বিরোধিতা করলেও সেদেশের জনগণ বাংলাদেশের পক্ষে ছিল?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: সে দেশের নগন্য কিছু মানবাধিকার কর্মী , যারা এখনো মানবতার পক্ষে রাস্তায়য দাড়ায়। পরিমান নগন্য। আর মানবাধিকার সম্পর্কে তাদের ধারনা হলো- “অজ্ঞান করে কিডনি চুরি করা পর্যন্ত , যাতে কষ্ট না পায়” চিৎকার না শোনা যায়। ধন্যবাদ।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:২২

রাজীব নুর বলেছেন: এই বর্বর ও রক্তাক্ষয়ী যুদ্ধ কবে, কখন শেষ হবে, তা কেউই বলতে পারে না। এই ভূখন্ডটুকুর জন্য এখানে হাজার হাজার ইহুদী ও খ্রিস্টানের পাশাপাশি হাজার হাজার মুসলমানও মরেছে কিন্তু কোন সমাধান আসেনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.