নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

“ মুহাম্মদ দেইফ ” সফল এক স্বপ্নদ্রষ্টা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬



মোহাম্মদ দেইফ খুব কমই কথা বলেন। কখনও জনসমক্ষে উপস্থিত হন না। গত শনিবার যখন হামাসের টিভি চ্যানেল থেকে ঘোষণা করা হয়: আর কিছুক্ষণের মধ্যেই দেইফ বক্তব্য রাখবেন; ফিলিস্তিনিরা জানত বড় কিছু ঘটছে।
তাকে হত্যা করতে পাঁচ বার গুপ্ত হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে ইসরায়েল। একবার অল্পের জন্য বেঁচে গেলেও এক পা ও এক চোখ হারান। এর পর থেকে চলাফেরা করেন হুইল চেয়ারে। সর্বশেষ ২০২১ সালেও তাকে হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ইসরায়েলের বিমান হামলায় সাত মাসের ছেলে, তিন বছরের মেয়ে ও স্ত্রীকে হারিয়েছেন। তিনি হামাসের সামরিক শাখা আল-কাশিম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফ।
মোহাম্মদ দেইফ গত শনিবার ইসরায়েলে অতর্কিত হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। গত কয়েক দশক ধরে ইসরায়েলের 'মোস্ট ওয়ান্টেড' ব্যক্তিদের তালিকায় সবার ওপরে আছে তার নাম।
রেকর্ড করা বক্তব্যে দেইফকে বলতে শোনা যায়, 'আজ আল-আকসার ক্রোধ, আমাদের জাতির ক্রোধ বিস্ফোরিত হচ্ছে। আমাদের যোদ্ধারা আজ দিনটা আপনাদের—আজ এই অপরাধীকে বোঝানোর দিন যে তাদের সময় ফুরিয়ে গেছে।'
ফিলিস্তিনি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, গাজায় চলমান ইসরায়েলি বিমান হামলায় যেসব বাড়ি ধ্বংস হয়েছে, এর একটি দেইফের বাবার। হামলায় দেইফের ভাই ও পরিবারের আরও দুই সদস্য নিহত হয়েছেন।
মোহাম্মদ দেইফ সম্পর্কে নতুন করে বিশেষ কিছু জানা যায় না। তার জন্ম ১৯৬৫ সালে গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় মোহাম্মদ মাসরি। গাজা তখন মিসরের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার সংগ্রাম 'ইন্তিফাদা' শুরুর পর হামাস প্রতিষ্ঠিত হলে মোহাম্মদ মাসরি তাতে যোগ দেন। হামাসে তিনি মোহাম্মদ দেইফ নামে পরিচিত হন। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দেইফ দ্রুত হামাসের সামরিক ইউনিট, আল-কাশিম ব্রিগেড।
হামাসের একটি সূত্র জানায়, দেইফ ১৯৮৯ সালে ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। ওই দফায় প্রায় ১৬ মাস কারাবন্দি থাকেন তিনি। হামাসের নেতা হয়ে ওঠার পর দেইফ বোমা তৈরি ও মাটির নিচে সুড়ঙ্গের জাল বিস্তারের কাজ শুরু করেন।
সুত্রঃ ইন্টারনেট
দেইফ গাজার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে বিজ্ঞানে স্নাতক। পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞান নিয়ে পড়ালেখা করেছেন। শিল্পকলার অনুরাগী দেইফ তার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনোদন সংক্রান্ত কমিটির প্রধান ছিলেন এবং মঞ্চে অভিনয় করতেন।
হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানায়, আল-কাশিম ব্রিগেডের কমান্ডার দেইফ এবং গাজায় হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার যৌথভাবে এই হামলার ছক কষেন। তবে এক্ষেত্রে দুই জনের মস্তিষ্ক কাজ করলেও মাস্টারমাইন্ড ছিলেন একজনই।
হামাসের বৈদেশিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান আলী বারাকা বলেন, আমরা দুই বছর ধরে এই যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছি।
রেকর্ড করা বক্তব্যে শান্ত কণ্ঠে দেইফকে বলতে শোনা যায়, ফিলিস্তিনিদের ওপর যে অপরাধ চলছে, হামাস তা বারবার বন্ধ করতে বলেছে। ফিলিস্তিনের দখলদারিত্বের অবসান এবং বন্দিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
'ইসরায়েলি দখলদাররা প্রতিদিন পশ্চিম তীরে আমাদের গ্রাম-শহরে হামলা চালায়। আমাদের বাড়িতে হামলা করে হতাহত করা হয়, অথবা আটক করা হয়। আমাদের হাজার হাজার একর জমি তারা দখল করেছে। আমাদের জনগণকে বাস্তুচ্যুত করে অবৈধ বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। তারা অবৈধভাবে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।'
১৯৬৭ সালে তৃতীয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর পশ্চিম তীরে প্রায় ৫ হাজার বর্গকিলোমিটার এলাকা বেদখল করে ইসরায়েল। এর পর থেকে এই এলাকাটি ফিলিস্তিন সংকটের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে।
এই প্রসঙ্গে দেইফ বলেন, দখলদারিত্ব বন্ধ করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস। কিন্তু ইসরায়েল তার উসকানিমূলক কাজ চালিয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দিতে একটি চুক্তিতে আসার জন্য ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে হামাস। কিন্তু ইসরায়েল তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
দেইফ বলেন, আন্তর্জাতিক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের মহোৎসব এবং তাতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্রদের নীরবতা অবসানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।'
ফিলিস্তিনিদের কাছে মোহাম্মদ দেইফ একজন লোকনায়ক। ভিডিও বার্তায় তাকে মুখোশ পরা অবস্থায় দেখা যায়। কখনো শুধু তার ছায়া দেখানো হয়।
হামাসের একটি সূত্র জানায়, দেইফ স্মার্ট ফোনের মতো আধুনিক ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করেন না।
তিনি অধরা। তিনি ছায়ার মধ্যে থাকা মানুষ।

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০০

নতুন বলেছেন: রেকর্ড করা বক্তব্যে শান্ত কণ্ঠে দেইফকে বলতে শোনা যায়, ফিলিস্তিনিদের ওপর যে অপরাধ চলছে, হামাস তা বারবার বন্ধ করতে বলেছে। ফিলিস্তিনের দখলদারিত্বের অবসান এবং বন্দিদের মুক্তি দিতে ইসরায়েলকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
'ইসরায়েলি দখলদাররা প্রতিদিন পশ্চিম তীরে আমাদের গ্রাম-শহরে হামলা চালায়। আমাদের বাড়িতে হামলা করে হতাহত করা হয়, অথবা আটক করা হয়। আমাদের হাজার হাজার একর জমি তারা দখল করেছে। আমাদের জনগণকে বাস্তুচ্যুত করে অবৈধ বসতি নির্মাণ করা হয়েছে। তারা অবৈধভাবে গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে।'


এই হামলাতে ফিলিস্তিনিদের কি কি অর্জন হবে?

এতো বড় মাস্টারমাইন্ড ২ বছর পরিকল্পনা করে কি অর্জন করতে এই হামলা করলো?

ফিলিস্তিনিদের দরকার নিজেদের একটা দেশ। যেখানে ইসরাইলী সেনা থাকবেনা। নিজেরা মানুষের মতন বাচতে পারবে।

সেটা সম্ভব রাজনিতিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে। এই ভাবে কিছুদিন পর পর কয়লায় নাড়া দিয়ে আগুনটাকে উসকে দেওয়া ছাড়া কিছুই হচ্ছেনা।

গোয়াড়ের মতন মারা গেলেই সে বিরাট কিছু হয়ে গেলো না। যেই নেতা ফিলিস্তিনিদের আলাদা রাস্ট সীমানা এনে দিতে পারবে সেই নেতা দরকার।

মূর্খ গোয়ারের দরকার নাই।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: হাসালেন ব্রাদার । হামলাটা না করলে “ আপনার অমৃতসম উপদেশ” থেকে বন্চিত হত জনতা। ধন্যবাদ।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৯

আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: হামাসের সকল তৎপরতা থেকে যদি কেউ লাভবান হয় সেটা ইসরাইল এর সরকারগণ বা রাজনীবিদগণ। আপনি যখন ইসরাইলের অত্যাচারের সমালোচনা করবেন ,সেই সাথে হামাসের অন্যায়কেও সমালোচনা করবেন। হামাসের কারণে প্রতিবারই হাজার হাজার নিরীহ মানুষ নির্মমভাবে মৃত্যুবরণ করে। যাতে ন্যূনতম লাভ ও পালাইস্টাইনদের হয় না। প্যালাইস্টাইনদের সমরথন এবং হামাসকে সমর্থন এক করে গুলিয়ে ফেলা উচিত না। তবে অবশ্যই হামাসের প্রশ্নবিদ্ধ আক্রমণের জন্য ইসরায়েলিদের ধ্বংসলীলা সমর্থন যোগ্য না।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: ফিলিস্তিনিরা বিলুপ্ত প্রায় । গত ৭৫ বছরে তারা জান,মাল, ভিটা সবই হারিয়েছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০২

বাউন্ডেলে বলেছেন: ফিলিস্তিনি এক শিশু বলে ছিলো।
আমরা নামাজ পড়ি দৈনিক ৬ ওয়াক্ত
১ ফজর ২ যহর ৩ আছর ৪ মাগরীব ৫ এসা ৬ যানাজা এর নামাজ
আল্লাহ তুমি সকল মানুষদের নেক হায়াত দান করো

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:১৭

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: হাসালেন ব্রাদার । হামলাটা না করলে “ আপনার অমৃতসম উপদেশ” থেকে বন্চিত হত জনতা। ধন্যবাদ।

-নতুন, আপনি এই পলিটিক্যাল এনালিষ্টকে হাসায়েছেন, এটা বিশাল ব্যাপার।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩১

নতুন বলেছেন: একটা প্রশ্ন করি ব্রাদার।

রাসুল সা: যদি এখন থাকতেন তবে তিনি কি হামাসকে এই ভাবে সাধারন মানুষ হত্যা করতে অনুমুতি দিতেন?

যুদ্ধে সেনা মারা যাবে সেটা সাভাবিক। কিন্তু সাধারন মানুষ হত্যা কি আপনার ইসলাম সমর্থন করে?

আবেগ আর বাস্তবতা ভিন্ন জিনিস। যাবা আবেগী তারাই এমন মূর্খের মতন কাজ করছে।


১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫২

বাউন্ডেলে বলেছেন: ১৯৪৭ সাল থেকে যুদ্ধ চলছে। এই ৭৫ বছরে ফিলিস্তিনিরা বিলুপ্ত প্রায়। আপনি কোন সাধারন মানুষদের কথা বলছেন ? সেটেলাররা সাধারন মানুষ হয় কি ভাবে ? সেটেলার পুরুষরা অস্ত্রের ছায়ার নিচ দিয়ে ফিলিস্তিনে আগে ঢুকেছে পরে সেখানে তারা তাদের পরিবার নিয়ে এসেছে- ঢাল হিসেবে ব্যাবহারের জন্য। পশ্চিমারা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপিয়ে নিজেরা নিরাপদে সরে গেছে। একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রকে ঢুকিয়ে দিয়ে তেল-গ্যাসের ফায়দা অব্যাহত রাখছে। ইসরাইল কোন রাষ্ট্র নয়, এটা মার্কিন-পশ্চিমা জোটের একটা স্থায়ী ওয়ার-ফ্রন্ট। সাধারন ফিলিস্তিনি এ পর্যন্ত যে পরিমান মারা গেছে - তার ১০০% এর ১% সাধারন ইসরাইলী এখন পর্যন্ত মারা যায়নি।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৫

বাউন্ডেলে বলেছেন:

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৫৫

কামাল১৮ বলেছেন: @ নতুন,নবী নিজে দাড়িয়ে থেকে সাতশ থেকে আটশ বনু কুরাইজার গোত্রের বন্দী লোককে গলা কেটে হত্যা করে। কেবল নাভিদ নিছে যাঁদের লোম উঠে নাই তাদের বাচিয়ে রাখে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:০৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: ফিলিস্তিনি এক শিশু বলে ছিলো।
আমরা নামাজ পড়ি দৈনিক ৬ ওয়াক্ত
১ ফজর ২ যহর ৩ আছর ৪ মাগরীব ৫ এসা ৬ যানাজা এর নামাজ
সাধারন ফিলিস্তিনি এ পর্যন্ত যে পরিমান মারা গেছে - তার ১০০% এর ১% সাধারন ইসরাইলী এখন পর্যন্ত মারা যায়নি।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:১৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: এ যুদ্ধ সংঘটিত হয় যূল ক্বা’দাহ মাসে। পঁচিশ দিন পর্যন্ত বনু কুরাইযাহর অবরোধ স্থায়ী থাকে। সূরাহ আহযাবে আল্লাহ তা‘আলা খন্দকের যুদ্ধ এবং বনু কুরাইযাহর যুদ্ধ সম্পর্কে অনেক আয়াত অবতীর্ণ করেন এবং এ দু’ যুদ্ধের বহু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি আলোকপাত করেন। মু’মিন ও মুনাফিক্বদের বিভিন্ন অবস্থার বিস্তারিত বিবরণ এতে পাওয়া যায়। সূরাহ আহযাবের এ বিষয় সংশ্লিষ্ট আয়াতে কারীমাসমূহে শত্রুদের বিভিন্ন দলের ভাঙ্গন ও উদ্যমহীনতা এবং আহলে কিতাবের অঙ্গীকার ভঙ্গের ফলাফল সম্পর্কে সুস্পষ্ট আলোকপাত হয়।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

ঊণকৌটী বলেছেন: যদি বলি মোহাম্মদ দেইফ ইসরায়েলি এজেন্ট,ফিলিস্তিনি দের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে,আর আপ্নেকে বলি এই সুযোগ আছে সোজা চলে যান যুদ্ধের ময়দানে সরাসরি বেহেশতে, তারপরে 72 হুরী অপেক্ষা করছে আপনার জন্য

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনি অনেক কিছুই বলতে পারেন। কল্পনা নির্ভর ধারনার কোন বাস্তবতা নেই। মানবতা আপনারা অনেকেই বোঝেন না। সনাতন ইসলাম বিদ্বেষ আপনাদের অন্ধ ও বধির করে দিয়েছে। আমি এখন নাস্তিকদের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হিসেবেই দেখি।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৮

নতুন বলেছেন: রাসুল সা: যদি এখন থাকতেন তবে তিনি কি হামাসকে এই ভাবে সাধারন মানুষ হত্যা করতে অনুমুতি দিতেন?

যুদ্ধে সেনা মারা যাবে সেটা সাভাবিক। কিন্তু সাধারন মানুষ হত্যা কি আপনার ইসলাম সমর্থন করে?

এই প্রশ্নের জবাব দেন নাই আমার।

আবেগ দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: ১৯৪৭ সাল থেকে আজ অবধি ইসরায়েল কয়েক লক্ষ সাধারন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনিরা কখনোই ইসরাইলের সাধারন নাগরিকদের উপড় আক্রমন করতে পারে নাই। আমরা ধরে নিতে পারি , তাদের সামর্থ ছিলো না। সাধারন ফিলিস্তিনিকে যখন মারা হয় তখন আপনারা কেউ জবাবদিহি চান না । এটা দুঃখজনক। হামাস ইসরাইলে হামলার সক্ষমতা অর্জন করেছে - এটা বিশ্ব জানতে পেরেছে এবং ইসরাইলিরাও। হামলা্য় ইসরাইলি সাধারন মানুষ মারা যাওয়া নতুন ঘটনা। এটা অবশ্যই যুদ্ধ আইন লংঘন। তবে ইসরাইলিদের তুলনায় এ ঘটনা খুবই নগন্য । বিচার দু-পক্ষের হলে- অনেক বেশী শাস্তি পাওয়ার হকদার হয়ে গেছে ইসরাইল । হামাস সামান্যই শাস্তি পাবে।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: হ্যাঁ আরো একটি ব্যাপার আছে সেটা হলো হামাস যে ভুমিতে বা বসতিতে হামলা চালিয়েছে , সে জায়গাটি হামলাকারীদের পুর্বের বসতভিটা । তাদেরকে সেখান থেকে জোর পুর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে। সে কারণে বসতভিটা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা - অপরাধের মধ্যে পড়ে না।কারন তাদেরকে বার বার ফিলিস্তিনিরা তাদের বসতভুমি ছেড়ে দেয়ার দাবী জানাচ্ছে এবং সেটেলার রা যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে যেতে বলছে। এবং সেটেলারদের অবিলম্বে অন্যর বসতভিটা ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়া উচিৎ।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৫

নতুন বলেছেন: নতুন বলেছেন: রাসুল সা: যদি এখন থাকতেন তবে তিনি কি হামাসকে এই ভাবে সাধারন মানুষ হত্যা করতে অনুমুতি দিতেন?

আপনি যেই আবেগী কথা বলছেন সেটা সবাই জানে।

কিন্তু আমি প্রশ্ন করেছি। সেটা হলো রাসুল সা: হামাস কে ঐ দিন মিউজিক কনর্সাটে হামলা করে ২৬০ জন সাধারন নারী পুরুষ হত্যা করতে অনুমুতি দিতো কি না?

একটা সাধারন প্রশ্ন ৩ বার করলাম, আশা করি হা অথবা না একটা জবাব দিবেন।

আমি ফিলিস্তিনি জনগনের পক্ষে। আমি চাই আপস করে ঐ ভুমিকে আলাদা রাস্ট করে দিয়ে ফিলিস্তিনিদের বাচার ব্যবস্থা করতে। যেখানে ইসরাইল নাক গলাবেনা।

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

বাউন্ডেলে বলেছেন: চলমান যুদ্ধে কারো অনুমতির প্রয়োজন হয় না।
বোকার প্রশ্নঃ যে যুদ্ধে মার্কিন-ইসরাইল-পশ্চিমারা মানবতাকে ধর্ষন করছে ১৯৪৭ সাল থেকে, আর সেই যুদ্ধে আপনি নিয়ম-নীতি খুজতে এসেছেন ? অদ্ভুত তো !!!! তারা যে অন্যায়টা (ফিলিস্তিন সহ) গোটা দুনিয়া জুড়ে করেছে এবং করিয়েছে, তাতে তারা মানব জাতির সব ধরনের মানবিক সাহাজ্য-সহানুভুতি পাওয়ার পরিবেশ হারিয়ে ফেলেছে।

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: চলমান যুদ্ধে কারো অনুমতির প্রয়োজন হয় না।

তবুও বলুন যে রাসুল সা: কি হামাস কে ঐ দিন মিউজিক কনর্সাটে হামলা করে ২৬০ জন সাধারন নারী পুরুষ হত্যা করতে অনুমুতি দিতো কি না?

তিনি কি এমন চোরাগুপ্তা হামলা করে সাধারন মানুষ হত্যার অনুমুতি দিতেন না কি সন্ধি করে নিজের মানুষদের নিরাপদে নিয়ে শক্তিচন্ঞয় করে অন্যায়ের বিচার করতেন???

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: তিনি বিচার ছাড়া কোন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার অনুমতি দেননি কখনোও । কিন্তু ফিলিস্তিন ভুমির বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পুর্ন ভিন্ন। গত ৭৫ বছর ধরে ইসরাইলীরা যে ভাবে নির্বিচারে বিমান,কামান,মিসাইল,রাইফেল নিরস্ত্র মানুষের উপড় ব্যবহার করে হত্যা,ধর্ষন করছে - তাতে ফিলিস্তিনের যে কোন নাগরিকের ইসরাইল সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যাক্তিকে যে কোন অবস্থায় হত্যা করার যৌক্তিক এবং বিচারিক অধিকার তৈরী হয়েছে।

১২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: তিনি বিচার ছাড়া কোন নিরস্ত্র মানুষকে হত্যার অনুমতি দেননি কখনোও । কিন্তু ফিলিস্তিন ভুমির বর্তমান প্রেক্ষাপট সম্পুর্ন ভিন্ন। গত ৭৫ বছর ধরে ইসরাইলীরা যে ভাবে নির্বিচারে বিমান,কামান,মিসাইল,রাইফেল নিরস্ত্র মানুষের উপড় ব্যবহার করে হত্যা,ধর্ষন করছে -

তাহলে আপনার কি মনে হয় রাসুল সা: ফিলিস্তিনের প্রেক্ষাপটে তাতে ফিলিস্তিনের যে কোন নাগরিকের ইসরাইল সংশ্লিষ্ট যে কোন ব্যাক্তিকে যে কোন অবস্থায় হত্যা করার অনুমুতি দিতেন???

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

বাউন্ডেলে বলেছেন: কোরানে এ সংক্রান্ত একটা নির্দেশ পাওয়া যায়। এ ধরনের শত্রুদের যেখানে পাওয়া যাবে- হত্যা করার বা বন্দী করার অনুমতি আছে।

১৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:০৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: কোরানে এ সংক্রান্ত একটা নির্দেশ পাওয়া যায়। এ ধরনের শত্রুদের যেখানে পাওয়া যাবে- হত্যা করার বা বন্দী করার অনুমতি আছে।

জটিল... সেই আয়াতটা একটু সেয়ার করবেন কি?

ুসবাহানাল্লাহ তাহলে তো হামাসের সাধারন মানুষ হত্যাও পক্ষে কোরানের অনুমুতি আছে...

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৪৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করার অনুমতি কোরান হাদিসে নাই।
আপনি আবারো ভুল বকছেন। আমার লেখাও বুঝতে পারছেন না। গত ৭৫ বছর ধরে যে এলাকায় যুদ্ধ চলছে সে যায়গায় যারা থাকে , তাদেরকে সাধারন মানুষ বলা যায় না। যারা ইসরাইলে আক্রান্ত হয়েছে- তারা দখলদার। ফিলিস্তিনিদের ভিটা যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদেরকে উচ্ছেদ করার অধিকার ফিলিস্তিনিদের আছে। ইহুদিরা চলে গেলেই তো বেচে যায়।

১৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করার অনুমতি কোরান হাদিসে নাই।
আপনি আবারো ভুল বকছেন। আমার লেখাও বুঝতে পারছেন না। গত ৭৫ বছর ধরে যে এলাকায় যুদ্ধ চলছে সে যায়গায় যারা থাকে , তাদেরকে সাধারন মানুষ বলা যায় না। যারা ইসরাইলে আক্রান্ত হয়েছে- তারা দখলদার। ফিলিস্তিনিদের ভিটা যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদেরকে উচ্ছেদ করার অধিকার ফিলিস্তিনিদের আছে।

১৫| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১০

নতুন বলেছেন: বাউন্ডেলে বলেছেন: নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করার অনুমতি কোরান হাদিসে নাই।
আপনি আবারো ভুল বকছেন। আমার লেখাও বুঝতে পারছেন না। গত ৭৫ বছর ধরে যে এলাকায় যুদ্ধ চলছে সে যায়গায় যারা থাকে , তাদেরকে সাধারন মানুষ বলা যায় না। যারা ইসরাইলে আক্রান্ত হয়েছে- তারা দখলদার। ফিলিস্তিনিদের ভিটা যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদেরকে উচ্ছেদ করার অধিকার ফিলিস্তিনিদের আছে।


উচ্ছেদ করার অধিকার ফিলিস্তিনিদের আছে, সেটা নিয়ে কোন প্রশ্ন নাই।

কিন্তু আপনি কি ভাবে মিউজিক কর্ণসাটে আক্রমন করে ২৬০ জন হত্যাকে জ্যাস্টিফাই করেন সেটা বোঝার চেস্টা করছি।

গত ৭৫ বছর ধরে যে এলাকায় যুদ্ধ চলছে সে যায়গায় যারা থাকে , তাদেরকে সাধারন মানুষ বলা যায় না। যারা ইসরাইলে আক্রান্ত হয়েছে- তারা দখলদার। ফিলিস্তিনিদের ভিটা যারা কেড়ে নিয়েছে, তাদেরকে উচ্ছেদ করার অধিকার ফিলিস্তিনিদের আছে। ইহুদিরা চলে গেলেই তো বেচে যায়।

দখলদারী এলাকায় থাকলেই তাকে হত্যা করা যাবে???
৭৫ বছর মানুষ মেরেছে বলেই তাদের নারী/শিশুকে হত্যা করা যাবে???
ভিটা দখল করেছে বলে মিউজিক ফেসটিভেলে গান শুনতে গেছে তাদের হত্যা করা যাবে????

আমি বলছি হামাসের ভুলের কথা। হামাস আর আপনার ভাবনাতে গলদ আছে যার কারনে বিষয়টা আলোচনার টেবিলে সমাধা হচ্ছে না।

যদি রাসুল সা: হামাসের ঐ মিউজিক ফেসটিভেলে গান শুনতে গেছে তাদের হত্যা করতে অনুমুতি না দিতো তবে হামাস অন্যায় করেছে সেটা স্বিকার করেন।

নতুবা আপনিও রাসুল সা: এর পথে নাই।

একটা জিনিস বোঝার চেস্টা করুন। সেটা হইলো ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান হইলো আলোচনা। আরব বিশ্বের সবার একত্র হয়ে আমেরিকাকে চাপ দিয়ে দুই দেশের একটা সিমানা করে দিতে হবে। যেখানে ইসরাইলিরা ঢুকবেনা। আর হামাসও আক্রমন করে ইসরাইলীদের হামলা করার বাহানা তৌরিকরে দেবেনা।

১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:১০

বাউন্ডেলে বলেছেন: দখলদারী এলাকায় থাকলেই তাকে হত্যা করা যাবে???
৭৫ বছর মানুষ মেরেছে বলেই তাদের নারী/শিশুকে হত্যা করা যাবে???
ভিটা দখল করেছে বলে মিউজিক ফেসটিভেলে গান শুনতে গেছে তাদের হত্যা করা যাবে????
কি অদ্ভুত কথা ? প্রতিদিন ফিলিস্তিনির নারী-শিশু হত্যা করা যাবে ? প্রতিদিন নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি হত্যা করা যাবে।

সেনা বাহিনী দিয়ে আপনি আরো জায়গা দখল করতে থাকুন, জাতিগত বিলুপ্ত করন বা গনহত্যা চলতে থাকুক, বুদ্ধিজীবি দিয়ে আলোচনাও চলতে থাকুক। বাহ! এই চিন্তাধারা না হলে কি পশ্চিমাদের চামচা হওয়া যায়। আপনার মতো চিন্তাধারার লোকরাই মীরজাফর-মোশতাক হয়।

১৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:০৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: দখলদারী এলাকায় থাকলেই তাকে হত্যা করা যাবে???
৭৫ বছর মানুষ মেরেছে বলেই তাদের নারী/শিশুকে হত্যা করা যাবে???
ভিটা দখল করেছে বলে মিউজিক ফেসটিভেলে গান শুনতে গেছে তাদের হত্যা করা যাবে????

কি অদ্ভুত কথা ? প্রতিদিন ফিলিস্তিনির নারী-শিশু হত্যা করা যাবে ? প্রতিদিন নিরাপরাধ ফিলিস্তিনি হত্যা করা যাবে।

সেনা বাহিনী দিয়ে আপনি আরো জায়গা দখল করতে থাকুন, জাতিগত বিলুপ্ত করন বা গনহত্যা চলতে থাকুক, বুদ্ধিজীবি দিয়ে আলোচনাও চলতে থাকুক। বাহ! এই চিন্তাধারা না হলে কি পশ্চিমাদের চামচা হওয়া যায়। আপনার মতো চিন্তাধারার লোকরাই মীরজাফর-মোশতাক হয়।

১৭| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৬

নতুন বলেছেন: সেনা বাহিনী দিয়ে আপনি আরো জায়গা দখল করতে থাকুন, জাতিগত বিলুপ্ত করন বা গনহত্যা চলতে থাকুক, বুদ্ধিজীবি দিয়ে আলোচনাও চলতে থাকুক। বাহ! এই চিন্তাধারা না হলে কি পশ্চিমাদের চামচা হওয়া যায়। আপনার মতো চিন্তাধারার লোকরাই মীরজাফর-মোশতাক হয়।

আপনারা আলোচনা করতে চান না। হামাস ঘাউরামী করে বিলুপ্ত হবে এবং তাদের জন্য আরো হাজার মানুষের প্রান যাবে।

এখনো সময় আছে, আলোচনার সময় কখনোই পার হয়ে যায় না।

আরব বিশ্বকে একত্রিত করুন, সবাই মিলে চাপ দিলে এই সমস্যার সমাধান হবে।

নতুবা হামাসের মতন যারা ঘাউরা তারা আজীবনই কান্নাকাটি করবে। মাইর খাবে আর বিলুপ্ত হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.