নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিলিস্তিনে ইসরাইল, মার্কিন ও পশ্চিমাদের গনহত্যার ইতিহাস।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৭



১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর বিটেনের তৎকালীন পররাষ্ট্র সচিব আর্থার বেলফোর ব্রিটিশ ইহুদি সম্প্রদায়ের একজন সদস্য লিওনেল ওয়াল্টার রথচাইল্ডকে সম্বোধন করে একটি চিঠি লিখেছিলেন। চিঠিটি ছিল মাত্র ৬৭ শব্দের। কিন্তু এর তাৎপর্য এত বেশি তা এখনো ধারণ করতে হচ্ছে পৃথিবীকে।
এই চিঠিতে ব্রিটিশ সরকারকে ‘ইহুদি জনগণের জন্য ফিলিস্তিনে একটি জাতীয় বাসস্থান প্রতিষ্ঠা’ ও তার ‘অর্জন’ সহজতর করার কথা উল্লেখ ছিল। আর এই চিঠিটিই বেলফোর ঘোষণা নামে পরিচিত। সেসময় ফিলিস্তিনে আরব স্থানীয় জনসংখ্যা ছিল ৯০ শতাংশেরও বেশি।
ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে একটি ব্রিটিশ আদেশপত্র অথবা ম্যান্ডেট ১৯২৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল। স্থায়ী হয়েছিল ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত। এ সময় ইহুদি অভিবাসনকে ব্যাপকভাবে সহায়তা করেছিল ব্রিটিশরা। ইউরোপে নাৎসিবাদের অত্যাচার থেকে পালাতেও অনেকে ফিলিস্তিনে আশ্রয় নিয়েছিল।
১৯৩০-এর দশকে যা ঘটেছিল
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা আরব বিদ্রোহের সূচনা করেছিল। স্থায়ী হয়েছিল ১৯৩৬ থেকে ১৯৩৯ সাল পর্যন্ত। ১৯৩৬ সালের এপ্রিলে নবগঠিত আরব জাতীয় কমিটি ফিলিস্তিনিদের ব্রিটিশ উপনিবেশবাদ ও ক্রমবর্ধমান ইহুদি অভিবাসনের প্রতিবাদে ট্যাক্স প্রদান বন্ধ ও ইহুদি পণ্য বয়কটের মাধ্যমে একটি সাধারণ ধর্মঘট শুরু করার আহ্বান জানায়।
এ ধরনের ধর্মঘট ছয় মাস স্থায়ী হয়েছিল। তবে নির্মমভাবে দমন করা হয়েছিল ব্রিটিশদের দ্বারা। গণগ্রেফতার অভিযান থেকে শুরু করে বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়েছিল।
বিদ্রোহের দ্বিতীয়পর্ব শুরু হয়েছিল ১৯৩৭ সালের শেষের দিকে। ব্রিটিশ বাহিনী ও উপনিবেশবাদকে লক্ষ্য করে এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল ফিলিস্তিনি কৃষক। ১৯৩৯ সালের দ্বিতীয়র্ধে ব্রিটেন ফিলিস্তিনে ৩০ হাজার সৈন্য সংগ্রহ করেছিল। সে সময় ফিলিস্তিনের গ্রামগুলোতে বিমান বোমাবর্ষণ, কারফিউ জারি করা, বাড়িঘর ভেঙে দেওয়া অব্যাহত ছিল।
ব্রিটিশরা ইহুদি বসতি স্থাপনকারী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করে সশস্ত্র দলও গঠন করেছিল সে সময়। ব্রিটিশ নেতৃত্বাধীন ইহুদি যোদ্ধাদের নিয়ে একটি ‘বিদ্রোহ দমন বাহিনী’ গঠন করেছিল যার নাম ছিল স্পেশাল নাইট স্কোয়াড।
বিদ্রোহের সেই তিন বছরের মধ্যে পাঁচ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল। আহতের সংখ্যা ছিল ১৫ থেকে ২০ হাজার। বন্দি করা হয়েছিল পাঁচ হাজার ৬০০ ফিলিস্তিনিকে।
জাতিসংঘের বিভাজনের পরিকল্পনা কী ছিল?
১৯৪৭ সালের মধ্যে ফিলিস্তিনে ইহুদি জনসংখ্যা ৩৩ শতাংসে পৌঁছে। সে সময় তারা ৬ শতাংশ জমির মালিক ছিল। ফিলিস্তিনকে আরব ও ইহুদি রাষ্ট্রে বিভক্ত করতে জাতিসংঘে ১৮১ প্রস্তাব গৃহীত হয়।
ফিলিস্তিনিরা এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল সে সময়। কারণ প্রস্তাবটিতে ফিলিস্তিনের প্রায় ৫৬ শতাংস ইহুদিদের জন্য বরাদ্দ ছিল। যার মধ্যে বেশির ভাগ উর্বর উপকূলীয় অঞ্চলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। সে সময় দেশটির ৯৪ শতাংশের মালিক ছিল ফিলিস্তিনিরা। আর জনসংখ্যা ছিল ৬৭ শতাংশ।

১৯৪৮ সালের নাকবা অথবা ফিলিস্তিনের জাতিগত নির্মূল

১৯৪৮ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ ম্যান্ডেট অথবা আদেশপত্র শেষ হওয়ার আগেই ইহুদি রাষ্ট্রের সম্প্রসারণে ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রাম ধ্বংস করতে একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছিল। ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে জেরুজালেমের উপকণ্ঠে দেইর ইয়াসিন গ্রামে ১০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি পুরুষ, নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল।
১৯৪৭ থেকে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত ৫০০টিরও বেশি ফিলিস্তিনি গ্রাম শহর ধ্বংস করা হয়েছিল। যাকে ফিলিস্তিনিরা আরবি ভাষায় ‘নাকবা অথবা বিপর্যয়’ হিসাবে উল্লেখ করে। গণহত্যায় কমপক্ষে ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিলেন।
ইহুদিরা সে সময় ফিলিস্তিনের ৭৮ শতাংশ দখল করেছিল। আর অবশিষ্ট ২২ শতাংশ বর্তমানে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা।
১৯৪৮ সালের ১৫ মে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রথম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হয়। এর পরই শুরু হয় আরব-ইসরাইল যুদ্ধ। ১৯৪৯ সালের জানুয়ারিতে ইসরাইল, মিসর, লেবানন, জর্ডান ও সিরিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে তা শেষ হয়।
নাকবা অথবা ছয় দিনের যুদ্ধ
১৯৬৭ সালের ৫ জুন আরব সেনাবাহিনীর একটি জোটের বিরুদ্ধে ছয় দিনের যুদ্ধে ইসরাইল গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম, সিরিয়ার গোলান হাইটস ও মিসরের সিনাই উপদ্বীপসহ ফিলিস্তিনের বাকি অংশ দখল করে। এটি ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বিতীয় জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি বা নাকবা নামে পরিচিত। আর এর আরবি অর্থ ‘বিপর্যয়’। সে সময় অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায়ও বসতি স্থাপন শুরু করেছিল ইহুদিরা।
প্রথম ইন্তিফাদা ১৯৮৭-১৯৯৩
১৯৮৭ সালের ডিসেম্বরে গাজা উপত্যকায় প্রথম ফিলিস্তিনি ইন্তিফাদা শুরু হয়। সে সময় ইসরাইলের একটি ট্রাক ফিলিস্তিনি শ্রমিক বহনকারী দুটি ভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল।
তরুণ ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলের সেনাবাহিনীর ট্যাংক ও সৈন্যদের দিকে ঢিল ছুড়লে দ্রুত পশ্চিম তীরে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
ইন্তিফাদা প্রাথমিকভাবে তরুণদের দ্বারা পরিচালনা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে এই বিদ্রোহে অংশ নেয় ইউনিফাইড ন্যাশনাল লিডারশিপ।
১৯৮৮ সালে আরব লীগ প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র প্রতিনিধি হিসাবে স্বীকৃতি দেয়। ইন্তিফাদা কার্যক্রমের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত আছে জনপ্রিয় সংহতি, গণবিক্ষোভ, আইন অমান্য, সুসংগঠিত ধর্মঘট ও সাম্প্রদায়িক সহযোগিতা।
ইসরাইলের মানবাধিকার সংস্থা বি’তেসেলেমের মতে, ইন্তিফাদার সময় ইসরাইলের বাহিনীর হাতে এক হাজার ৭০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে শিশু ছিল ২৩৭ জন। গ্রেফতার করা হয়েছিল এক লাখ ৭৫ হাজারেরও বেশি মানুষকে।
অসলো বছর
১৯৯৩ সালে অসলো চুক্তি স্বাক্ষর ও প্যালেস্টাইন অথরিটি (পিএ) গঠনের মাধ্যমে শেষ হয় ইন্তিফাদা। পিএ চুক্তি ইসরাইলকে পশ্চিম তীরের ৬০ শতাংশ ও ভ‚খণ্ডের ভ‚মি ও পানি সম্পদের বেশির ভাগ নিয়ন্ত্রণ দেওয়া হয়।

দ্বিতীয় ইন্তিফাদা
দ্বিতীয় ইন্তিফাদা ২০০০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল। সে সময় লিকুদ বিরোধী নেতা এরিয়েল শ্যারন জেরুজালেমের পুরাতন শহর ও তার আশপাশে হাজার হাজার নিরাপত্তা বাহিনী নিয়ে আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে সফর করেছিলেন।
ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারী ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষে দুদিনে পাঁচজন ফিলিস্তিনি নিহত ২০০ জন আহত হয়েছিল। ঘটনাটি একটি ব্যাপক বিদ্রোহের জন্ম দিয়েছিল। ইন্তিফাদার সময় ইসরাইল ফিলিস্তিনি অর্থনীতি ও অবকাঠামোর নজিরবিহীন ক্ষতি করেছে।
ফিলিস্তিন বিভাগ ও গাজা অবরোধ
পিএলও নেতা ইয়াসির আরাফাত ২০০৪ সালে মারা যান। তার এক বছর পর দ্বিতীয় ইন্তিফাদা শেষ হয়। ফিলিস্তিনিরা প্রথমবারের মতো সাধারণ নির্বাচনে ভোট দেয় সে সময়। নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় হামাস। ২০০৭ সালের জুনে হামাসের ওপর ‘সন্ত্রাসবাদের’ অভিযোগ এনে গাজা উপত্যকায় স্থল, বিমান ও নৌ অবরোধ আরোপ করে ইসরাইল।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ
গাজায় ২০০৮, ২০১২, ২০১৪ ও ২০২১ সালে চারটি দীর্ঘস্থায়ী সামরিক হামলা করেছে ইসরাইল। হামলায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি নিহত ও কয়েক হাজার বাড়ি, স্কুল ও অফিস ভবন ধ্বংস হয়েছে।

আলজাজিরা


মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১০

ক্লোন রাফা বলেছেন: জন্মভুমি রক্ষার বিকল্প কিছু নেই । হয় মরে যেতে হবে না হয় মেরে জয়ি হোতে হবে।
পৃথিবি প্রত্যক্ষ করছে আরো একটি অসম যুদ্ধের ।
ধন্যবাদ, বাউন্ডেলে

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।

২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

শাহ আজিজ বলেছেন: শব্দটি নাকসা নয় নাকবা হবে ।

বিস্তারিত লিখেছেন যা আমাদের জ্ঞান অর্জনে সাহায্য করেছে ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: ধন্যবাদ। ঠিক করে দিচ্ছি।

৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগের নাস্তিক আর মুনাফেকরা ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১০

বাউন্ডেলে বলেছেন: সেটেলাররা সবসময় নৃশংষ হয়। অষ্ট্রেলিয়া, আমেরিকার সেটেলাররা আদিবাসীদের হত্যা করতে করতে বিলুপ্ত করে ফেলেছে । আল্লাহ এসব অন্যায় ও জুলুমের চরম প্রতিশোধ নেবে। এবং মানব জাতির সামনে এটা হবে একটি দৃষ্টান্ত। ইনশাল্লাহ । দিন শেষে মহান আল্লাহই বিজয়ী-ইহকাল ও পরকালে। নাস্তিক আর মুনাফেকদের সাথে মার্কিণ-ইসরাইলীদের কোন পার্থক্য নেই।

৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৪

আমি নই বলেছেন: ফিলিস্তিন আসলে লড়ছে পুরো দুনীয়ার সাথেই। একদল নপুংসক খালি গনহত্যা বন্ধের আহবান জানাচ্ছে আর এক দল হায়েনা নির্লজ্জভাবে ইসরাইলকে সমর্থন, অস্ত্র, অর্থ দিয়ে যাচ্ছে।


সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগের নাস্তিক আর মুনাফেকরা ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে।
সাথে আছে কয়েকটা গোবর খেকো আরএসএস জংগী।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: বলার কোন ভাষা খুজে পাচ্ছি না। মোনাফেক,নাস্তিক,পৌত্তলিক,ইহুদি, খ্রিষ্টানদের একাংশ, দিনশেষে এটাই প্রমান করলো যে, তারাই দাজ্জালের অনুসারী।

৫| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫০

সোনাগাজী বলেছেন:




সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগের নাস্তিক আর মুনাফেকরা ইসরাইলের পক্ষ নিয়েছে।

-বাংলাদেশের অনেক লোকের গড় জ্ঞান আরবদের মতো, সেজন্য নিজদেশে ফিলিস্তিনীরা দেশ পায়নি,ইউরোপ থেকে রিফিউজী এসে দেশ পেয়ে গেছে। আপনাদের মতো জ্ঞানী ছিলো আরবের নেতারা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ কোন ধরণের লোকজন রাজাকার হয়েছিলো? আবরা কি মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে ছিলো, নাকি রাজাকারদের পক্ষে ছিলো? জ্ঞান না'তাকে মানুষ সঠিক পথে আগাতে পারে না।

৬| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: আবারো ভুল বকছেন গাজী ভাই। দেশ পায়নি তারা। কেড়ে নিয়ে দেয়া হয়েছে । যারা পরের ধনে পোদ্দারী করেছে , ফিলিস্তিনে রক্তের হোলি খেলেছে।
তাদের পরিনতি ইনশাল্লাহ দেখে মরবেন । ভালো থাকবেন।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৪

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনি উইকি থেকে লিখেছেন, কিন্তু উহা বুঝেন না; প্যালেষ্টাইন ম্যান্ডেটের মালিক ছিলো বৃটিশ; বৃটিশরা ফিলিস্তিনীদের চেয়ে ইহুদীদের বেশী পছন্দ করতো। আরবেরা সবচেয়ে বড় ভুল করেছে ২য় বিশ্বযুদ্ধে জার্মানীকে সাপোর্ট করে; তখন বৃটিশ ১০০ ভাগ ফিলিস্তিনীদের বিপক্ষে চলে যায়। তখনকার সময়ে, আরবদের জন্য একটি পথ খোলা ছিলো, স্বাধীন ফিলিস্তিন মেনে নেয়া।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: গাজী ভাই পড়েন বেশী, বোঝেন কম। “শান্তির একমাত্র পথ আমার ভিটা ছেড়ে দিয়ে দুরে গিয়ে মর”।
১৯৪৭ সাল থেকে আজ অবধি ইসরায়েল কয়েক লক্ষ সাধারন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। ফিলিস্তিনিরা কখনোই ইসরাইলের সাধারন নাগরিকদের উপড় আক্রমন করতে পারে নাই। আমরা ধরে নিতে পারি , তাদের সামর্থ ছিলো না। সাধারন ফিলিস্তিনিকে যখন মারা হয় তখন আপনারা কেউ জবাবদিহি চান না । এটা দুঃখজনক। হামাস ইসরাইলে হামলার সক্ষমতা অর্জন করেছে - এটা বিশ্ব জানতে পেরেছে এবং ইসরাইলিরাও। হামলা্য় ইসরাইলি সাধারন মানুষ মারা যাওয়া নতুন ঘটনা। এটা অবশ্যই যুদ্ধ আইন লংঘন। তবে ইসরাইলিদের তুলনায় এ ঘটনা খুবই নগন্য । বিচার দু-পক্ষের হলে- অনেক বেশী শাস্তি পাওয়ার হকদার হয়ে গেছে ইসরাইল । হামাস সামান্যই শাস্তি পাবে।
হ্যাঁ আরো একটি ব্যাপার আছে সেটা হলো হামাস যে ভুমিতে বা বসতিতে হামলা চালিয়েছে , সে জায়গাটি হামলাকারীদের পুর্বের বসতভিটা । তাদেরকে সেখান থেকে জোর পুর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে। সে কারণে বসতভিটা উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করা - অপরাধের মধ্যে পড়ে না।কারন তাদেরকে বার বার ফিলিস্তিনিরা তাদের বসতভুমি ছেড়ে দেয়ার দাবী জানাচ্ছে এবং সেটেলাররা যেখান থেকে এসেছে সেখানে চলে যেতে বলছে। এবং সেটেলারদের অবিলম্বে অন্যর বসতভিটা ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়া উচিৎ।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন:

১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: সত্যি বলতে কি মুসলমানদের মধ্যে বহু গ্রুপ,আকিদা তৈরী হওয়ার পরও এবং অসংখ্য ভুল-ভ্রান্তি থাকার পরও অন্যাণ্য ধর্মালম্বীদের তুলনায় এখনো কিছুটা ভালো আছে। মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা মুষলমানদের মধ্যে খুবই কম। বরং বর্তমানে নির্যাতিত হওয়ার উদাহরনই বেশী। আর আল্লাহর প্রতি ভয়ও আছে।

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:১২

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন:

ইসরাইল গাজার ঘনবসতি এলাকায় বিমান হামলার আগে ১০ মিনিট আগে স্থানীয় বেতারে নোটিস পাঠায় লোকজন সরে যাওয়ার জন্য, এমনকি বিল্ডিং সুপারভাইজারকে পর্যন্ত ফোন করা হয়। এরপরও সাবধানতার জন্য যে বিল্ডিয়ে মিসাইল বা বোমা মারবে সেটাতে আঘাতের ৪-৫ মিনিট আগে একটি ফ্লেয়ার মারা হয়, যাতে আগে সবাই সাবধান হয়ে সরে যায়। যে কারনে এই বিশাল বোমা ফেলার পরও প্রাণহানি খুবই সামান্য। ২০১০ থেকে এরকমই দেখছি। এটাই হলো ইসরাইলের মানবতা-----হাকা বৈশাখী

১১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: পলায়নপর নারী-শিশুদের উপড় বিমান হামলা চালিয়ে ৭০ জন নিরাপরাধ নিরস্ত্র নারী-শিশু কে হত্যা করে মানব ইতিহাসের এক কলংকময় দৃষ্টান্ত স্থাপন করলো ইসরাইলী সেনাবাহিনী।
ঘটনাটি রাস্তায় ঘটেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.