নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকারঃ বর্তমান সভ্যতায় কতটুকু কার্যকর।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:২৯


উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক প্রতীক
মানব পরিবারের সকল সদস্যের জন্য সার্বজনীন, সহজাত, অহস্তান্তরযোগ্য এবং অলঙ্ঘনীয় অধিকারই হলো মানবাধিকার। মানবাধিকার প্রতিটি মানুষের এক ধরনের অধিকার যেটা তার জন্মগত ও অবিচ্ছেদ্য। মানুষমাত্রই এ অধিকার ভোগ করবে এবং চর্চা করবে। তবে এ চর্চা অন্যের ক্ষতিসাধন ও প্রশান্তি বিনষ্টের কারণ হতে পারবে না। মানবাধিকার সব জায়গায় এবং সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। এ অধিকার একই সাথে সহজাত ও আইনগত অধিকার। স্থানীয়, জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক আইনের অন্যতম দায়িত্ব হল এসব অধিকার রক্ষণাবেক্ষণ করা।[১] যদিও অধিকার বলতে প্রকৃতপক্ষে কি বোঝানো হয় তা এখন পর্যন্ত একটি দর্শনগত বিতর্কের বিষয়।[২] বিশ্বব্যাপী মানবাধিকারের বিষয়টি এখন আরো প্রকটভাবে অনুভূত হচ্ছে, যখন আমরা দেখছি যে, মানুষের অধিকারসমূহ আঞ্চলিক যুদ্ধ, সংঘাত, হানাহানির কারণে বার বার লংঘিত হচ্ছে। প্রথমত একটি পরিবার ও সমাজের কর্তারা তাদের অধিনস্তদের অধিকার রক্ষা করবে। রাষ্ট্র এবং আর্ন্তজাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ মানবাধিকার রক্ষায় ভূমিকা পালন করে থাকে।

মানবাধিকারের সংজ্ঞা
মানবাধিকার হচ্ছে কতগুলো সংবিধিবদ্ধ আইন বা নিয়মের সমষ্টি, যা মানব জাতির সদস্যদের আচার আচরণ ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যকে বুঝায় এবং যা স্থানীয় ও আর্ন্তজাতিক আইন সমষ্টি দ্বারা সুরক্ষিত যা মৌলিক অধিকারের অবিচ্ছেদ্য অংশ বিষয় হিসেবে ধর্তব্য।[৩] এতে কোন মানুষ এজন্য সংশ্লিষ্ট অধিকার ভোগ করবে যে, সে জন্মগতভাবে একজন মানুষ।[৪] অন‍্যকথায় বলা যায়, দৈনন্দিন জীবনে চলার জন্য মানুষের যেসকল অধিকার রাষ্ট্রের সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত তাদেরকে মানবাধিকার বলে

জাতিসংঘের Universal Declaration of Human Rights এর ১ম অনুচ্ছেদে লেখা রয়েছে যে,

All human beings are born free and equal in dignity and rights.

অর্থাৎ ‘জন্মগতভাবে সকল মানুষ স্বাধীন এবং সমান সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী।’[৫] বর্তমান বিশ্বে Human Rights শব্দটি বহুল আলোচিত ও বহুল প্রচলিত একটি শব্দ। মানবাধিকারের বিষয়টি স্বতঃসিদ্ধ ও অলঙ্ঘনীয় হলেও সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকেই এ নিয়ে চলছে বাক-বিতণ্ডা ও দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত। একদিকে মানবাধিকারের সংজ্ঞা ও সীমারেখা নিয়ে বিতর্কের ঝড় তোলা হচ্ছে, অন্যদিকে মতাধর শাসকরা দেশে দেশে জনগণের স্বীকৃত অধিকারগুলো পর্যন্ত অবলীলায় হরণ ও দমন করে চলছে। আর দুর্বল জাতিগুলোর সাথে সবল জাতিগুলোর আচরণ আজকাল মানবাধিকারকে একটি উপহাসের বস্তুতে পরিণত করেছে।[৬]

মানবাধিকারের ক্রমবিকাশ
প্রাচীন ভারতীয় নীতিশাস্ত্র সমূহ
মানবাধিকারের ক্রমবিকাশের ধারায় প্রাচীন ভারতীয় নীতি শাস্ত্র সমূহ এক গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে বিবেচিত করা যায়। প্রাচীন ভারতের ধর্মীয় শাস্ত্রসমূহের আলোচনার মূল বিষয়ই ছিল ন্যায়-নীতি এবং মানব ধর্ম, যা বাস্তবে মানব অধিকারকেই নির্দেশ করেছে। এই সব ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে মানুষের জীবনে নৈতিক বিকাশ, মানুষের করণীয়ের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। প্রাচীন ভারতের জ্ঞানচর্চা পরোক্ষভাবে নৈতিক নীতি বা মানব অধিকার নিয়েই বিস্তার লাভ করেছে।

সাইরাস সিলিন্ডার
৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দে পারস্যের রাজা দ্বিতীয় সাইরাস যিনি সাইরাস দ্য গ্রেট’নামে সমধিক পরিচিত ব্যাবিলন আক্রমণ করেন। ব্যাবিলন আক্রমণের পর তিনি ব্যাবিলনীয়দের দ্বারা নির্যাতিত দাস জনগোষ্ঠীকে মুক্ত করে দেন। তাদের নিজ নিজ দেশে প্রত্যাবর্তনেরও ব্যবস্থা করে দেন। অতঃপর সাইরাসের নির্দেশে একটি সিলিন্ডার তৈরি করা হয়। যা সাইরাস সিলিন্ডার নামে অভিহিত। এতে সাম্রাজ্যজুড়ে ধর্মীয় স্বাধীনতা, সহিষ্ণুতা ও মানবাধিকার বাস্তবায়নের কথা বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, এটিই বিশ্বের প্রথম মানবাধিকার সনদ।

মদীনা সনদ
মানবাধিকারের প্রধান ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মহানবী (স.) কর্তৃক মদীনা সনদ ঘোষণার মধ্য দিয়ে। মদীনা সনদকে পৃথিবীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ লিখিত সংবিধান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। এ সনদে মোট ৪৭ টি অনুচ্ছেদ রয়েছে যেগুলোতে মানবাধিকারের বিষয়গুলো সর্বপ্রথম সুস্পষ্টভাবে বিবৃত করা হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অনুচ্ছেদসমূহ:

সনদে স্বাক্ষরকারী সকল সম্প্রদায় একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে এবং সব সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভোগ করবে।
সব নাগরিক পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করবে। কেউ কারো ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
নাগরিকদের অধিকার ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে।
সকল প্রকার রক্তক্ষয়, হত্যা ও ধর্ষণ নিষিদ্ধ।
কোনো লোক ব্যক্তিগত অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবেই বিবেচিত হবে। তার কারণে অপরাধীর সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না।
দুর্বল ও অসহায়দের সর্বোতভাবে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে।
ম্যাগনা কার্টা
মানবাধিকারের ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রে ম্যাগনা কার্টাকে একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এটি মানবাধিকারের মহাসনদ হিসেবে ইতিহাসে অভিহিত। এটি ছিলো মূলতঃ ইংল্যান্ডের রাজা জন ও ধনী বিত্তশালী ব্যারনদের মধ্যে ১২১৫ সালে সম্পাদিত একটি চুক্তি। এতে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিলো যে, জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাউন্সিলের পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে খামখেয়ালীভাবে জনগণের উপর কর আরোপ করা যাবেনা। রাজকর্মকর্তারা যথেচ্ছভাবে জনগণের ভূ-সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে পারবে না।ব্যাবসায়ীরা রাজ্যের মধ্যে ইচ্ছেমতো একস্থান হতে অন্য স্থানে চলাফেরা করতে পারবে। কোনো স্বাধীন মানুষকে বিচারিক রায় বা দেশীয় আইনানুযায়ী ব্যতীত গ্রেপ্তার, কারারুদ্ধকরণ, সম্পত্তিচ্যুত, দীপান্তরিত বা নির্বাসিত কিংবা হয়রানির শিকার করা যাবে না।

এই ম্যাগনা কার্টা চুক্তির মধ্য দিয়েই সংসদীয় গণতন্ত্রের পাশাপাশি আইনের শাসনের ধারণার যাত্রাও শুরু হয়। এই ঐতিহাসিক সনদেই বিশ্ব ইতিহাসে সর্বপ্রথম ঘোষণা করা হয় কোনো দেশের রাজাসহ সে দেশের সকলেই রাষ্ট্রীয় আইনের অধীন, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নন। প্রজাদের অধিকার ও রাজার ক্ষমতা হ্রাসের যৌক্তিক এ দলিল পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বহুদেশে মানবাধিকার ও জনগণের ক্ষমতায়নে গুরুত্বপূর্ণ পথনির্দেশক হিসেকে কাজ করেছে।

পিটিশন অব রাইটস
১৬শ শতকে ব্রিটিশ জনগণের আন্দোলনের ফলে প্রথম যে তাৎপর্যপূর্ণ দলিলের সৃষ্টি হয় তা পিটিশন অব রাইটস নামে অভিহিত। ১৬২৮ সালে পিটিশন অব রাইটস সংসদ কর্তৃক আইনের আকারে গৃহীত হয়েছিলো। পার্লামেন্টের সম্মতি ছাড়া করারোপ, বিনা অপরাধে কারারুদ্ধকরণ, ব্যক্তিগত বাসস্থানে স্বেচ্ছাচারী অনুপ্রবেশ এবং সামরিক আইনের প্রয়োগ থেকে জনগণকে সুরক্ষা প্রদান করেছিলো মানবাধিকারের এ গুরুত্বপূর্ণ দলিলটি।

বিল অব রাইটস
১৬৮৯ সালে বিল অব রাইটস ব্রিটিশ পার্লমেন্টে গৃহীত হয় ও বিধিবদ্ধ আইনে রূপান্তরিত হয়। মানুষের মৌলিক মানবাধিকার আদায়ের ক্ষেত্রে এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দলিল। প্রখ্যাত ফরাসী দার্শনিক ভল্টেয়ারের মতে, বিল অব রাইটস প্রত্যেক মানুষকে সেই সমস্ত প্রাকৃতিক অধিকার পুনরুদ্ধার করে দিয়েছে যেগুলো থেকে তারা যুগ যুগ ধরে বিভিন্ন শাসক থেকে বঞ্চিত ছিলো। যেমনঃ জীবন ও সম্পত্তির পূর্ণ স্বাধীনতা, লেখনী দ্বারা জাতির নিকট কথা বলার অধিকার, স্বাধীন লোকদের দ্বারা গঠিত জুরি ছাড়া আর কারো দ্বারা ফৌজদারী অভিযোগে বিচারের সম্মুখীন না হওয়ার স্বাধীনতা এবং শান্তিপূর্ণভাবে যেকোনো ধর্ম পালনের স্বাধীনতা। শুধু তাই নয়, বিল অব রাইটস ঘোষণা করে, পার্লামেন্টের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে রাজা যদি কোনো আইনকে স্থগিত বা ভঙ্গ করেন অথবা রাজা তার খরচের জন্য ইচ্ছেমত করারোপ করেন বা রাজ-কমিশন বা রাজ-আদালত গঠন করেন তাহলে এগুলো হবে বেআইনি ও ধ্বংসাত্মক।

বিভিন্ন ধর্মে মানবাধিকারের স্বরুপ
ইসলাম ধর্মে মানবাধিকার
সর্বশেষ একেশ্বরবাদী ধর্ম ইসলাম। এ ধর্মের প্রচারক নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। তাঁর উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কর্তৃক নাজিলকৃত কুরআনুল কারীমের বিভিন্নস্থানে মানবাধিকারের বিস্তৃত বিবরণ রয়েছে। ইসলামে সার্বজনীন মানবাধিকারের বিষয়টি জীবনের সর্বক্ষেত্র ও বিভাগে পরিব্যাপ্ত। ইসলাম মানবজাতিকে শ্রেষ্ঠত্বের গৌরবময় অধিকার ও মর্যাদা প্রদান করেছে। মানুষকে সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের মর্মবাণী শুনিয়ে জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব, বংশীয় মর্যাদা, শ্রেণীবৈষম্য ও বর্ণপ্রথার বিলুপ্তি ঘোষণা করেছে। অধীনদের প্রতি সদাচারী ও ন্যায়পরায়ণ হতে শিক্ষা দিয়েছে। আরব-অনারব, সাদা-কালো সবাই একই পিতা-মাতা হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.)-এর সন্তান। মানুষের মধ্যে মর্যাদার কোনো পার্থক্য হতে পারে না। সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে মানবজাতির সম্মান ও মর্যাদার অধিকার, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা প্রভৃতি জীবনযাত্রার মৌলিক অধিকার, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় অধিকার, জীবনরক্ষণ ও সম্পদের নিরাপত্তার অধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতপ্রকাশ ও বাকস্বাধীনতা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, একতা, সংঘবদ্ধ ও সাম্যের অধিকার, হালাল উপার্জনের অধিকার, এতিম, মিসকিন, অসহায় নারী ও শিশুর অধিকার, প্রতিবেশির অধিকার, কৃষক-শ্রমিকের অধিকার, প্রতিবন্ধীদের অধিকার প্রভৃতি সব ব্যাপারেই পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা ও কালজয়ী চিরন্তন আদর্শ হিসেবে ইসলাম মানুষের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের জন্য সুস্পষ্ট নীতিমালা ও দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে।[৭]

মহানবী সা: বিদায় হজ্জের ভাষণে এসব উল্লেখিত মানবাধিকারের কথা সংক্ষিপ্ত অথচ স্পষ্ট করে বলে গেছেন।[৮]

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪০

বনজোসনা বলেছেন: পোস্টটি বোধহয় সরিয়ে নুতন করে দিয়েছেন। যাইহোক খুবই দুঃখজনক দুর্ভাগ্যজনক। দিন দিন বিশ্ব যে কোথায় যাচ্ছে

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

বাউন্ডেলে বলেছেন: বিশেষ করে আমেরিকা,পুর্ব এশিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোতে মানবাধিকারের চরম দুরাবস্থা।

২| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষের পরিচয় যতদিন মানুষ না হবে ততদিন মানবাধিকার নিশ্চিত হবে না।ধর্মীয় পরিচয়ে একেক জনের অধিকার একেক রকম।সেখানে মানবধিকারের কোন স্থান নাই।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪৮

বাউন্ডেলে বলেছেন: ইসলাম সর্বপ্রথম লিখিত এবং সর্বজন স্বীকৃত মানবাধিকার প্রনয়ন করেছে।

৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৫২

সোনাগাজী বলেছেন:


নবী (স: ) জীবিত থাকাকালেই মদীরা সব ইহুদীকে হত্যা করা হয়েছিলো। আরব ও ইহুদীদের মাঝে শত্রুতার সুচনা সেখান থেকেই।

৪| ১৭ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১০:০৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: ফুটপাতের চটি বই পড়ে আপনার এই দুরবস্থা। ইহুদি পৌত্তলিক অধ্যুষ্যিত আরবে মুষলমান ধর্ম কারা গ্রহন করেছিলো ?

৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: আসলে আপনি কি বলতে চাচ্ছেন- দুই লাইনে বলুন তো। প্লীজ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

বাউন্ডেলে বলেছেন: মানবাধিকার কি ? এটা বোঝাতে চেয়েছি।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

বাউন্ডেলে বলেছেন: মানবাধিকার কি ? এটা বোঝাতে চেয়েছি।

৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪

শেরজা তপন বলেছেন: মানুষ ভাল করেই না জেনে কতভাবে ইতিহাস বিকৃত করে।
মদীনার সব(!) ইহুদীকে হত্যা করা হয়েছিল এই মর্মে দলিল পেশ করার জন্য অনুরোধ করছি।

৭| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১১

অগ্নিবেশ বলেছেন: সূনান আত তিরমিজী (তাহকীককৃত)
অধ্যায়ঃ ১৯/ যুদ্ধাভিযান
পাবলিশারঃ হুসাইন আল-মাদানী‏
পরিচ্ছদঃ ৪৩. আরব উপদ্বীপ হতে ইয়াহুদী-নাসারাদের বের করে দেওয়া প্রসঙ্গে
১৬০৭। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেনঃ আমি ইহুদী ও নাসারাদের আরব উপদ্বীপ হতে অবশ্যই বহিষ্কার করব। মুসলমান ব্যতীত অন্য কাউকে সেখানে বসবাস করতে দিব না।
সহীহ, সহীহা (১১৩৪), সহীহ আবূ দাউদ, মুসলিম
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

বাউন্ডেলে বলেছেন: আরব উপদ্বিপে ইসলাম গ্রহনের পর কতজন ইহুদি দেশ ত্যাগ করেছিলো ? বলতে পারবেন কি ?

৮| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: মুমিনগন, দম থাকলে কোরান হাদিস দিয়ে চ্যালেঞ্জ করেন।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: “সহি” লেখা থাকলেই সহি হয় না। যেমন দাড়ি-টুপি থাকলেই, নামাজ-রোজা করলেই মুষলমান হয় না।

৯| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: সুনান আবূ দাউদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১৪/ কর, খাজনা, অনুদান ও প্রশাসনিক দায়িত্ব সম্পর্কে
পরিচ্ছেদঃ ১৬১. বনূ নযীরের ঘটনা সম্পর্কে।
২৯৯৪. মুহাম্মদ ইবন দাঊদ ইবন সুফইয়ান (রহঃ) ……. আবদুর রহমান ইবন কা’ব ইবন মালিক (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জনৈক সাহাবী হতে বর্ণনা করেছেন যে, কুরায়শ কাফিররা আবদুল্লাহ ইবন উবাই এবং তার মূর্তি-পূজক সাথীদের, যারা আওস ও খাযরাজ গোত্রের লোক, এ মর্মে পত্র লেখে, যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধের আগে মদীনায় অবস্থান করছিলেনঃ তোমরা আমাদের সাথী (মুহাম্মদ) কে জায়গা দিয়েছ। এ জন্য আমরা আল্লাহ্‌র নামে শপথ করে বলছি, হয়তো তাঁর সাথে যুদ্ধ কর, নয়তো তাঁকে বের করে দাও। অন্যথায় আমরা সম্মিলিতভাবে আক্রমণ করে তোমাদের যোদ্ধাদের হত্যা করব এবং তোমাদের স্ত্রীদের আমাদের দখলে আনব।
আবদুল্লাহ ইবন উবাই এবং তার মূর্তিপূজারী সাথীরা এ খবর পাওয়ার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সংগে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। এ খবর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌছবার পর তিনি তাদের সাথে সাক্ষাত করেন এবং বলেনঃ তোমরা কুরায়শদের নিকট হতে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী চিঠি পেয়েছ, কিন্তু তা তোমাদের জন্য এত মারাত্মক নয়, যত না ক্ষতি তোমরা নিজেরা নিজেদের করবে। কেননা, তোমরা তো তোমাদের সন্তান-সন্ততি ও ভাইদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার সংকল্প করছ।
তারা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এরূপ কথা শুনলো, তখন তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো। এ খবর কুরায়শ কাফিরদের কাছে পৌছলে তারা বদর যুদ্ধের পর ইয়াহুদীদের নিকট লিখলোঃ তোমরা ঘরবাড়ী ও দুর্গের অধিকারী। কাজেই তোমাদের উচিত আমাদের সাথী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যুদ্ধ করা। অন্যথায় আমরা তোমাদের সাথে এরূপ করব, সেরূপ করব। আর আমাদের ও তোমাদের স্ত্রীদের মাঝে কোন পার্থক্য থাকবে না।
যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে তারা এরূপ চিঠি পেল, তখন বনূ নযীরের ইয়াহুদীরা বিদ্রোহ ঘোষণা করলো এবং তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এ মর্মে অবহিত করে যে, আপনি আপনার সাথীদের থেকে ত্রিশজন নিয়ে আমাদের কাছে আসুন এবং আমাদের ত্রিশজন আলিম আপনার সংগে এক আলাদা স্থানে দেখা করবে। তারা আপনার কথা শুনবে, যদি তারা আপনার উপর ঈমান আনে এবং বিশ্বাস স্থাপন করে, তবে আমরা আপনার উপর ঈমান আনব।
পরদিন সকাল বেলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদল সেনাবাহিনী নিয়ে তাদের উপর হামলা করেন এবং তাদের অবরোধ করে বলেনঃ আল্লাহ্‌র শপথ! তোমরা যতক্ষণ অঙ্গীকার না করবে, ততক্ষণ আমি তোমাদের ব্যাপারে নিশ্চিত নই। তখন তারা (ইয়াহুদীরা) অঙ্গীকার করতে অস্বীকার করে। ফলে তিনি সেদিন তাদের সাথে দিনভর যুদ্ধে রত থাকেন। পরদিন তিনি বনূ নযীরকে বাদ দিয়ে বনূ কুরাইযার উপর আক্রমণ করেন এবং তাদের অঙ্গীকারবদ্ধ হতে বলেন। ফলে তারা তাঁর সংগে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়। তখন তিনি তাদের নিকট হতে প্রত্যাবর্তন করে পুনরায় বনূ নযীরকে অবরোধ করেন এবং তাদের সাথে ততক্ষণ যুদ্ধ করেন, যতক্ষণ না তারা দেশত্যাগে বাধ্য হয়।
বনূ নযীরের লোকেরা তাদের উটের পিঠে ঘরের দরজা, চৌকাঠ ইত্যাদি যে পরিমাণ মালামাল নেওয়া সম্ভব ছিল, তা নিয়ে যায়। এবার বনূ নযীরের খেজুরের বাগান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অধিকারে আসে, যা আল্লাহ্‌ তা’আলা বিশেষভাবে প্রদান করেন। যেমন আল্লাহ্‌ বলেনঃ
وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ
অর্থাৎ আল্লাহ্‌ কাফিরদের মাল হতে যে সস্পদ তাঁর রাসূলকে প্রদান করেন, তা হাসিলের জন্য তোমরা তোমাদের ঘোড়া অথবা উট হাঁকাও নি, অর্থাৎ ঐ সম্পদ বিনা যুদ্ধে হাসিল হয়।
অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ মালের অধিকাংশই মুহাজিরদের মাঝে বণ্টন করে দেন এবং অভাবগ্রস্ত দু’জন আনসারকে তা হতে অংশ প্রদান করেন। এ দু’জন ছাড়া অন্য আনসার সাহাবীদের মাঝে এ মাল বিতরণ করা হয়নি। অবশিষ্ট মাল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর জন্য সাদকা স্বরূপ ছিল, যা বনূ ফাতিমার নিয়ন্ত্রণে ছিল।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

১০| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: দেখা যাক কোন কোন মুনাফেক হাদিস মানেন না। তবে এটা মানি যে হিংসার উত্তর হিংসা হয় না। তবে সত্য জানতে বাঁধা কোথায়? মহম্মদ বা রামের কুকর্মের দায়ভার মানবজাতি এখনও কেন বহন করবে? হিংসার এই চেইন রিয়াকশন থামাতে হলে মানব সৃষ্টি ইশ্বরকে মরতেই হবে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

বাউন্ডেলে বলেছেন: “সহি” লেখা থাকলেই সহি হয় না। যেমন দাড়ি-টুপি থাকলেই, নামাজ-রোজা করলেই মুষলমান হয় না।

১১| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: কি নির্মম হত্যাকান্ড !!! অথচ সেই দেশ মানবতার ভন্ড মুখোশ পরে আছে আর বলছে তারাই সভ্য , ভব্য............

১২| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

অগ্নিবেশ বলেছেন: লেখক বলেছেন: আরব উপদ্বিপে ইসলাম গ্রহনের পর কতজন ইহুদি দেশ ত্যাগ করেছিলো ? বলতে পারবেন কি ?
কি প্রশ্ন করেছেন নিজে একবার পড়ে দেখেছেন? ইসলাম গ্রহণ করলে আবার তাদের দেশ ত্যাগ করতে হবে কেন?

১৩| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত হাদিস অবশ্যই জাল। গুটি কয়েক “আউট ল” ইহুদি ইসলামের কড়া আইনের শাস্তির ভয়ে দেশ ত্যাগ করেছিলো। সবাই ছিলো অপরাধী। সাধারন বহু ইহুদি আরো কয়েকশো বছর আরব উপদ্বীপে ছিলো এবং এখনো আছে।

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

অগ্নিবেশ বলেছেন: বাউন্ডেলে ভাই দৌড় খতম???? সহি হাদিস দেখালাম সেটাও জাল??? মুমিন হতে গেলে দম লাগে। ধন্যবাদ।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

বাউন্ডেলে বলেছেন: “সহি” লেখা থাকলেই সহি হয় না। যেমন দাড়ি-টুপি থাকলেই, নামাজ-রোজা করলেই মুষলমান হয় না।

১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনাকে আর বাংলাদেশের সব মোল্লাদের চ্যালেঞ্জ জানালাম, আমার এই হাদিস যদি জাল প্রমানিত করতে পারেন তাহলে আমি আবারো কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে যাবো এবং আজীবন আপনার গোলাম হয়ে থাকব।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত। এটাকেই আমি জাল বলি।

১৬| ১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

অগ্নিবেশ বলেছেন: আপনি জাল নিয়ে বাওড়ে ফাল দ্যান, তাতে কার কি? ইসলাম চলে কোরান হাদিস দ্বারা। মুমিন হতে গেলে হ্যাডম লাগে।

১৮ ই অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: হুম! হ্যাডম নিতে থাকেন আর হ্যাডম নেয়ার জন্য কি কি তরকারি বানানোর দরকার বানাতে থাকেন । ইসলাম চলে তার নিজস্ব গতিতে । মোনাফেকরা প্রকৃত ইসলামকে ধামাচাপা দিয়ে রাখে। কারন তাতে ফায়দা নেই। দুনিয়ার বিকৃত জৌলুস নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.