নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকার প্রশ্নে আমেরিকার হিতোপদেশ ও নব্য মীরজাফর চাটুকারদের আস্ফালন।

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩৯


উপনিবেশবাদের বিনাশ হয়নি, রিফর্ম হয়েছে মাত্র! এই রিফর্ম মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে ঘটেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে আমেরিকা যেটি করছে সেটি ঐ নয়া উপনিবেশবাদের চাষাবাদ মাত্র! আর, এই উপনিবেশবাদের চাষাবাদকে এই দেশের একদল উচ্চ মার্গীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছে, আমেরিকা নাকি বাংলাদেশে মানবাধিকার, ভোটাধিকার, গনতন্ত্রের উন্নয়নে কাজ করছে! ১৮ শতকে উপনিবেশবাদের বিকাশে একদল দেশীয় অনুগত দাস শ্রেণি সেবাদাস হিসাবে কাজ করেছিল, এখনও সেই পরিস্থিতিই বিরাজমান!
বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা বেশ চোখে পড়ার মতো। পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে, টক শোতে হচ্ছে আলোচনা। খবরে প্রকাশ: সরকার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করার জন্য লবিস্ট নিযুক্ত করেছে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন তাঁর ‘গণতন্ত্র’ সম্মেলনে বাংলাদেশকে ডাকেননি। বাংলাদেশের র‍্যাবের কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে! এই প্রেক্ষাপটে অনেকেই বলছেন, মানবাধিকারের সবক আর যার কাছেই নিই না কেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে নিতে আমরা রাজি নই, যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। এ ধরনের বক্তব্যকে ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি যা–ই হোক, মানবাধিকার প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের কথা বলার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলার যৌক্তিক কারণ রয়েছে।
আমেরিকার হাতভরা রক্ত আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দাগ। পারস্যের সব সুগন্ধি ঢেলেও সেই হাতের গন্ধ দূর করা যাবে না। গুয়ানতানামো বে ডিটেনশন ক্যাম্পে ‘হেফাজতে মৃত্যু’ ঘটেছে ৯ জনের। ইরাকে মার্কিন সেনারা বন্দীদের ওপরে কী রকম যৌন ও নৃশংস অত্যাচার করত, তার ভিডিও দেখে বিশ্ববাসী স্তম্ভিত হয়ে যায়! এমনকি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রাম চলাকালে নিয়মনীতি ভেঙে পাকিস্তানিদের অস্ত্র সরবরাহ করা, বঙ্গোপসাগরের দিকে সপ্তম নৌবহর পাঠানো, চীনকে বলা ভারত আক্রমণ করতে, এমনকি দরকার হলে তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঠেকাতে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে বলে প্রেসিডেন্ট নিক্সনের উক্তি—সব মিলিয়ে বাংলাদেশে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের মৃত্যুর জন্য নিক্সন-কিসিঞ্জারকে দায়ী করে বিচার করা উচিত বলে গবেষকেরা বলছেন।
অর্থাৎ মানবাধিকার প্রশ্নে হিতোপদেশ দেওয়ার অধিকার আমেরিকার থাকার কথা নয়।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরিন ব্যাপারে কথা বলার জন্য মাার্কিন পররাষ্ট্র নীতির প্রতি ঘৃনা প্রকাশ করা উচিৎ এবং নব্য মীরজাফর গংদের প্রতিহত করা সচেতন নাগরিকের দায়িত্ব।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৯:৪২

সোনাগাজী বলেছেন:




আপনার পোষ্টে সুন্দরী মেয়েদের ছবি দিয়ে দেখেন তো, লোকজন পোষ্টে আসতে পারে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২০

বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনি নাওয়া-খাওয়া ছেড়ে দিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়বেন - এটা নিশ্চিত। ভোগবাদী সমাজে এটাই স্বাভাবিক। পোষ্টে কে আসলো না আসলো, এ নিয়ে মাথা ব্যাথা আমার হয় না।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৫১

আহমেদ জী এস বলেছেন: বাউন্ডেলে,



আপনার কথাগুলিই একটু অন্যভাবে দেখি!
বলেছেন - "১৮ শতকে উপনিবেশবাদের বিকাশে একদল দেশীয় অনুগত দাস শ্রেণি সেবাদাস হিসাবে কাজ করেছিল, এখনও সেই পরিস্থিতিই বিরাজমান! .....বাংলাদেশে বর্তমানে আমেরিকা যেটি করছে সেটি ঐ নয়া উপনিবেশবাদের চাষাবাদ মাত্র! "
কেবলমাত্র তাই-ই যদি হয় তবে এখানে উপনিবেশবাদের চাষাবাদ আর কেউ করেনি কিম্বা করছেনা? সারা মুল্লুক না ঘুরে এখন কেউ আমার দেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিম থেকে পূবে সোজাসুজি যাচ্ছেন, নদীবন্দর- সমুদ্রবন্দর- রেলপথ সবই তো ছলে বলে স্বামীকে দেয়া স্ত্রীর উপহারের মতো ভোগ করছেন; তা কি তলে তলে কোনও ধরনের উপনিবেশবাদ নয় ? এটাও তো উপনিবেশবাদের একধরনের রিফর্ম। একটু ভেবে দেখবেন।

আমেরিকার নাক গলানোতে যদি আপনার আঁতে ঘা লাগে তবে প্রতিবেশী দেশের নাক গলানোতে আপনার আত্মশ্লাঘায় আঘাত লাগেনা ? এখানেই কবি নিরব!!!!
আপনার যদি হ্যাডম-ই থাকতো তবে আপনি নব্য উপনিবেশবাদীদের হাতের নাগাল থেকে শত মাইল দূরে থাকতেন এখন । কেউ নাক গলাতে আসার সাহস পেতোনা! তা কি পেরেছেন ? পারেন নি। চাইলেও পারবেন না। আপনার রাষ্ট্রীয় কাঠামো সেভাবে মজবুত নয়। যখন পারেন নি আর সেবাদাশ হিসেবেই থেকে গেছেন তখন মধ্যবিত্তের সেবাদাশ না হয়ে সর্বোচ্য বিত্তবানের সেবাদাশ হওয়া লাভে লাভ নয় ?

নব্য উপনিবেশবাদীদের দেয়া সবক কি আপনার কোনও ক্ষতি করছে ? না কি তা আপনার হারিয়ে ফেলা অধিকারগুলোকেই ফিরিয়ে আনার সবক, যতোই তারা অন্য ধান্দায় এই সবক দিক না কেন? এটা কি আমাদের জন্যে ক্ষতিকর? একটা উদাহরন দেই - আপনার ঘরের লাগোয়া বাড়ীর বিত্তশালী ব্যক্তিটি যদি তার গাড়ী চলাচলের জন্যে আপনার জমির গা ঘেসে থাকা মাটির মেইন রাস্তাটিকে নিজ খরচে পাকা রাস্তা বানিয়ে নেন ( ধরুন, আপনার কাছে তার ট্যাকের জোর দেখাতে) তাতে আপনার কি মোটেও লাভ নেই? আপনার সাথে তার যতোই রেষারেষি থাকুক না কেন এতে তো অন্যভাবে আপনারই উপকার। নাকি তাকে বাঁধা দেবেন ?
আপনি যা বলতে চেয়েছেন তা এই ভাবে আন্যরকম করে ভেবে দেখা যায় না ?

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৪২

বাউন্ডেলে বলেছেন: উপদেশ ন্যায় সংগত হলে- আমি শয়তানের কথাও শুনতে রাজি। কিন্তু দেশের মিরাকল স্বনির্ভরতা ও ডেভলপমেন্টের মাঝে অন্তরায় সৃষ্টির জন্য সাম্রাজ্যবাদের চর পরিক্ষিত চোর-লুটেরা কুলের ক্ষমতাদখল ষড়যন্ত্রের ক্রীড়ানকদের নাঁকি সুরের হিতোপদেশ একবারেই অসহ্য। ২৮ তারিখ তারেক চোরার দল-আর মোনাফেক মওদুদি বাদিদের ঢাকা দখলের অভিপ্রায় এবং দেশের শান্তি বিঘ্নিত করার প্রয়াস জঘন্য কার্যক্রম। এত জনগনের সম্পৃক্ততা মোটেও নেই। আছে চিহ্নিত চোরদের সম্মিলিত ককু-কর্ম প্রচেষ্টা ।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০০

নিমো বলেছেন: যাক ব্লগে দুটে লিটমাস টেস্ট পোস্ট এসেছে। এবার অনেকের গিরগিটি রূপের প্রকাশ টের পাওয়া যাবে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০২

বাউন্ডেলে বলেছেন: দেখে চক্ষু জুড়িয়ে যাবে ইনশাল্লাহ্ ।

৪| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:১৭

রাজীব নুর বলেছেন:

৫| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১:৪৭

আমি সাজিদ বলেছেন: দুইটা আলাদা বিষয়। ইসরায়েলকে আমেরিকা সাপোর্ট দিয়েছে বলে বাংলাদেশের ফেয়ার ইলেকশন নিয়ে আমেরিকা কথা বলতে পারবে না বিষয়টা এমন না। সময়ের সুবিধা নিয়ে অনৈতিককে সাপোর্ট করার আশা ছেড়ে দেন। এইবারও ধরেন আসলেন। মানুষ তবুও দিন শেষে চোরকে চোরই তো বলবে।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

বাউন্ডেলে বলেছেন: খাম্বা তারেক, ভন্ড নিজামী গংদের লুটপাট-নির্যাতন আম পাবলিক ভোলে নাই। অতএব অহেতুক শান্তি ভঙ্রের চেষ্টা পরিত্যাগ করা উচিৎ। বর্তমানে স্বনির্ভর বাংলাদেশ একটি চমৎকার অর্থনৈতিক, সামাজিক,সাম্প্রদায়িক পজিশন নিয়ে এগিয়ে চলছে, মাকিন-ভারত-বিএনপি-জামাত চক্রের চক্ষুশুল হওয়ার এটাই কারন।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:০৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: চরিত্র যার খারাপ, তার কাছে দেখিতে “বাংলার পাঁচ” ললনাও যা, টাইটানিকের নায়িকাও তাই। সুতারাং আমেরিকা নামক ক্রিমিনালের উপদেশের অন্তরালে দুরভীসন্ধি আছে, এটা বলাই বাহুল্য। জামাত-বিএনপি এবার ক্ষমতায় আসলে দেশ আবার খালকাটার যুগে ফিরে যাবে। এটা দেশের টং বুদ্ধিজীবিরাও বোঝে। বোঝেন না শুধু আপনারা।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১১:১০

বাউন্ডেলে বলেছেন: চরিত্র যার খারাপ, তার কাছে দেখিতে “বাংলার পাঁচ” ললনাও যা, টাইটানিকের নায়িকাও তাই। সুতারাং আমেরিকা নামক ক্রিমিনালের উপদেশের অন্তরালে দুরভীসন্ধি আছে, এটা বলাই বাহুল্য। জামাত-বিএনপি এবার ক্ষমতায় আসলে দেশ আবার খালকাটার যুগে ফিরে যাবে। এটা দেশের টং বুদ্ধিজীবিরাও বোঝে। বোঝেন না শুধু আপনারা।

৬| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ২:১০

কামাল১৮ বলেছেন: পোস্টের সাথে সহমত।আমেরিকা নব্য সাম্রাজ্যবাদ।

৭| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

আমি সাজিদ বলেছেন: কি জিজ্ঞেস করলাম আর কি উত্তর দিলেন! খুঁজে সেই খাম্বার ইতিহাসে চলে গেলেন! এরপরের গত পনেরো বছরের লুটপাটের ইতিহাস বললেন না কেন? ফেয়ার ইলেকশন শব্দগুলো কি সূরা ইয়াসিন বা গঙ্গাজলের মতোন? শুনলেই লুকিয়ে থাকা/ ছোট- বড় ভাগ পাওয়া/ দেশের মানবাধিকার ছেড়ে বাইরের গান গেয়ে নিজেদের কর্মকে ভ্যালিডেট করার চেষ্টায় রত জ্বীন/ রাক্ষস / শয়তানরা জ্বলে জ্বলে উঠে কেন?

৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

আমি সাজিদ বলেছেন: আমেরিকার কথা ভুলে যান। জাপান আর ই ইউ তো আমাদের মিত্র। লোন দিয়েছে, দিচ্ছে। ওরা ফেয়ার ইলেকশনের কথা বলেছে। ফেয়ার দিয়ে জিতে ক্ষমতায় আসুন। আমার মত নিরপেক্ষ মানুষ চুপ হয়ে যাবে।

৯| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৩২

বাউন্ডেলে বলেছেন: এলেকশনে প্রতিদ্বন্দী না থাকলে, ফেয়ার হবে কিভাবে ?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.