নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইউরোপিয়ানদের ধর্মানুরাগ।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০


ইউরোপীয়ানরা খ্রিস্টান ধর্মের একটি বিকৃত রূপ পেয়েছিল। তাঁরা কখনোই ঈসা [আলাইহিস সালাম] – এর প্রকৃত ধর্মে ঈমান আনেনি। তাঁরা শুরুতে ছিল মুশরিক আর তারপর তাঁরা খ্রিস্টান ধর্মের এমন একটি রূপের অনুসারী হয়েছে যা শিরক। তাঁদের অবস্থা প্রাচ্যের খ্রিস্টানদের মতো না, যারা এক সময় ঈসা [আঃ] সত্যিকার অনুসারী ছিল। দীর্ঘদিন ধরে তাওহীদের আলো থেকে দূরে অন্ধকার ও অজ্ঞানতার মধ্যে ইউরোপ বসবাস করছে। ইউরোপিয়ানরা বুনিয়াদি ভাবে একটি অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ধর্মকে বিকৃত করেছে। আমি খ্রিস্টান ধর্মের যেই বিকৃত রূপ তাঁরা অনুসরণ করে তাঁর কথা বলছি যেটা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় একটি ধর্ম “কেউ তোমার একগালে আঘাত করলে তুমি অপর গাল পেতে দাও” [বাইবেলঃ ম্যাথিউ ৫:৩৮]। এর চাইতে বেশি শান্তিপ্রিয় হওয়াতো সম্ভব না। আর আরব ও প্রাচ্যের খ্রিস্টানরা এরকমটাই ছিলো, তাঁরা অত্যন্ত শান্তিপ্রিয় ছিল। যদিও তাঁরা ইতিমধ্যেই তাঁদের ধর্মে ত্রিত্ববাদ এবং শিরকের অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিলো। কিন্তু ইউরোপ, এই শান্তিপ্রিয় ধর্মের প্রকৃতিই বদলে দিয়েছে। খ্রিস্ট ধর্মকে পৃথিবীর ইতিহাসে সবচাইতে বেশি রক্তপাত ঘটানোর জন্য দায়ী ধর্মে পরিণত করার কৃতিত্ব ইউরোপীয়ানদেরই প্রাপ্য। বর্তমান পৃথিবীর বুকে এমন কোন ধর্ম নেই যা মানব ইতিহাসে এই ধর্মের চাইতে বেশি রক্ত ঝরিয়েছে এবং এ সম্পর্কিত সংখ্যাগুলো নিজেরাই এর স্বপক্ষে সাক্ষ্য দেয়। ক্রুসেডের সময় কতো মুসলিমকে খ্রিষ্ট ধর্মের নামে হত্যা করা হয়েছিলো? ইউরোপিয়ানদের নিজেদের আভ্যন্তরিন ধর্ম যুদ্ধে কতো মানুষ মারা গিয়েছে? ইউরোপীয়ানদের ধর্ম যুদ্ধে শত শত লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
আর ইউরোপীয়ানরা এমন এক কাজে সফল হয়েছে যা করতে আর কেউ সক্ষম হয় নি। তাঁরা তিনটি মহাদেশের আদি অধিবাসীদের পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম কিছু আগে কখনো ঘটেনি। তাঁরা উত্তর আমেরিকা, দক্ষিন আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসীদের নিশ্চিহ্ন করেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণার খাতিরে তাঁরা অতি অল্প সংখ্যক আদিবাসীদের বাঁচিয়ে রেখেছে অতীতের স্মারক হিসেবে আর বাকি সবাইকে শেষ করে দিয়েছে। আজ যেসব আদিবাসী এবং নেটিভ আমেরিকানরা বেচে আছে, সেটা হল গবেষণার স্বার্থে।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন। ওয়েষ্টার্ণদের বদমায়েশী আর ভণ্ডামীর গুণ গেয়ে শেষ করা যাবেনা।

২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

বাউন্ডেলে বলেছেন: ফিলিস্তিনির ঘটনায় ওদের মুখোস খুলে গেছে।

২| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৪

আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: ফিলিস্তিনির ঘটনায় ওদের মুখোস খুলে গেছে।

যথার্থ বলেছেন।

৩| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:৩২

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্ম মানুষ হত্যার জন্য দায়ী।এই দোষে সকল ধর্মই দোষী।কেহই ধোয়া তুলসী পাতা না।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: ধর্ম প্রানীকে “মানুষ” হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ধর্ম মানুষকে অন্য মানুষ (অশিক্ষিত,প্রতিবন্ধী) ও প্রানীর উপড় কতৃত্ব দিয়েছে । শিক্ষিত সুবিধাবাদী খারাপ মানুষ ধর্মের অপব্যবহার করে অধিক সুবিধাভোগ করেছে এবং পুঁজি কেন্দ্রীভুত করে পুরুষানুক্রমে অধিক সুবিধাভোগ নিশ্চিত করেছে।

৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:০৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম না থাকলে পৃথিবীটা দারুন হতো।

৩০ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫০

বাউন্ডেলে বলেছেন: ধর্ম প্রানীকে “মানুষ” হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং পৃথিবীকে সুন্দর ও প্রেমময় করেছে।। ধর্ম মানুষকে অন্য মানুষ (অশিক্ষিত,প্রতিবন্ধী) ও প্রানীর উপড় কতৃত্ব দিয়েছে । শিক্ষিত সুবিধাবাদী খারাপ মানুষ ধর্মের অপব্যবহার করে অধিক সুবিধাভোগ করেছে এবং পুঁজি কেন্দ্রীভুত করে পুরুষানুক্রমে অধিক সুবিধাভোগ নিশ্চিত করেছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.