নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কি আর লিখিব আমি ........শুণ্যর্ও মাঝার

বাউন্ডেলে

বাউন্ডেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগষ্ট কেন ?

১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৯


আমরা দু-লাইন পড়ুয়ারা অনেকেই নিজেদের পুর্বপুরুষদের যত বেশী স্মরন করি তার চেয়েও বেশী স্মরন করি সৃষ্টিকর্তা,ধর্ম প্রচারক,মানব সভ্যতা উন্নতকরনে অবদান রাখা কবি, সাহিত্যিক, বিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদদের। ইতিহাসে নাম থাকলেই শ্রদ্ধাযোগ্য সবাই হয় না। অবদান ও শোষনের মাত্রা অনুযায়ী প্রশংসিত ও ঘৃনিত হয়। “মাত্রা” নির্ধারিত হয় মানব সমাজের সম্মিলিত বা সমষ্টিগত নৈতিক উৎকর্ষ, শিক্ষা,চেতনা ও মানবিক সংবেদনশীলতা অনুযায়ী।
এবার আসি মহাপুরুষদের অবদানের সু-মধুর নির্যাস নিয়ে ক্ষুধার্থ, লোভী, স্বার্থান্বেষী মানুষ, মহাপুরুষদের অনুসারী ও মহাপুরুষদের বংশধরদের পার্থিব স্বার্থ হাসিলের প্রবনতা; যা আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে। ধর্মীয় ও রাজনৈতিক মহাপুরুষদের অবদান এক্ষেত্রে পন্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আদম থেকে কনফুসিয়াস, লিংকন থেকে লেলিন- মাও সেতুং ;- কেউ রেহাই পায়নি ব্যবসায়ীদের লালসা থেকে। সব চেয়ে বেশী ব্যবসা হয়েছে যীশু (আঃ) ও মুহাম্মদ (সাঃ) অবদানের নির্যাস থেকে।
যীশু (আঃ) অবিবাহিত এবং তার বংশধারা না থাকায় নির্বিঘ্নে তার শিষ্যরা সততা/অসততার মধ্যে দিয়ে যীশু (আঃ) এর অবদানের সৎ প্রসারন এবং অসৎ প্রসারন শোষন চালাতে থাকে। রেনেসাঁর পর এদের আধিপত্য বিনষ্ট হতে থাকে।
সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে মুহাম্মদ (সাঃ) এর ইসলামে। মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওফাতের পর মদিনা কেন্দ্রিক “ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা” হঠাৎ করেই “ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা” য় উন্নীত হয়। এবং তার সংখ্যাগরিষ্ঠ অনুসারী (ক্ষুধার্থ, লোভী, স্বার্থান্বেষী মানুষ) আইনের বিভিন্ন ফাঁক-ফোকর তৈরী করে অপকর্মের সুচনা করে। শুরু হয় প্রকাশ্য কোন্দল ও অন্তর্দন্দ। চতুর্দিকে চলতে থাকে হত্যা, কু, ক্ষমতার পালাবদল ও বিদ্রোহ। হযরত আলী (রাঃ) এর ওফাতের পর সিরিয়া,মিশর,জেরুজালেম, ইয়েমেনের গনিমতে পরিপুষ্ট স্বঘোষিত খলিফা মুয়াবিয়া পুরো আরবকে এক শাষনের অধিনে আনার পদক্ষেপ গ্রহন করে। বাদ সাধেন “ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা” র পক্ষপাতি মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশধর সুশিক্ষিত ঈমাম হাসান ও হোসেন।
“ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা” য় যে কোন ভুখন্ডে অন্য ধর্মাবলম্বীদের সাথে মিলেমিশে থেকে ইসলামী জীবন অব্যাহত রাখতে পারে-
পক্ষান্তরে “ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা” য় ভিন্নধর্মীদের উপর জিজিয়াসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ থাকায় বৈষম্য দৃশ্যমান হয় এবং ভিন্নধর্মীদের অস্বস্তি ও হতাশা নিয়ে বসবাস করতে হয় যা অমানবিকতার পর্যায়ে পড়ে। এ কারনে নির্দিষ্ট ভু-খন্ডে ১০০% মুসলিম অধ্যুষ্যিত হলেই শুধু কোরানের সমস্ত শর্ত পুরন সাপেক্ষে “ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা” প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

কারবালার হৃদয় বিদারক ঘটনার মুল কারন এটাই। “ইসলামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা” র নামে সম্পদ ও ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইয়াজিদ কারবালার ঘটনা ঘটায়।
এখন আলোচনা: সভ্যতা উন্নতকরন ও প্রসারনে বংশগতির প্রভাব।
হযরত আদম (মনু) ও হাওয়া (সংহিতা)র বংশধররা “বনি আদম” নামে পরিচিত। মুলতঃ তেনারা প্রথম “স্বজাতি ভক্ষন” বিরোধী হওয়ায় এবং মানবিক বৈশিষ্ট সম্পন্ন হওয়ায় “মানুষ” উপাধি প্রাপ্ত হয়। জংগলবাসী মানব সদৃশ্য প্রানীদের “মানুষে” উন্নিতকরনে বনি আদমদের ভুমিকা অপরিসিম। বনি আদমদের বিস্তৃতি পুরো গোলক ব্যাপী। বনি আদম বংশ থেকে কালক্রমে বনি ইসরাইল(বিস্তৃতি-ইউরো,দুই আমেরিকা,ওশেনিয়া) ও বনি ইব্রাহীম (বিস্তৃতি-এশিয়া ও আফ্রিকা) নামে দুটি বংশধারায় বিভক্ত হয়। বনি আদমের মুলধারা বনি ইসরাইল হিব্রু ভাষী এবং ভিটা ত্যাগী বনি ইব্রাহীম আরবীভাষী। এ কারনেই আরবদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)। দুনিয়ার প্রায় ৯০% শতাংশ মহামানবের জন্ম উল্লেখিত দুটি বংশধারায়।


বাকি অংশ- সময় সাপেক্ষে ।









মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

সোনাগাজী বলেছেন:



শেখ নিজের বেকুবীর জন্য প্রাণ হারিয়েছেন, উনি নতুন স্বাধীন দেশের জাতি গঠন না'করে, ঢাকায় বসে পাইপ টানছিলেন; নিজে বড় চাকুরী নিয়ে কোন কাজ না'করায়, খাদ্য গুদামের খাদ্য যে, বিক্রয় হয়ে গেছে তা জানতেন না; দেশে যে, দুর্ভিক্ষ আসছে, তিনি জানতেন না।

শেখ হাসিনার বেলায়ও তা হয়েছে, "কোমলমতিরা" যে, পাকীদের হাতে ট্রানিং নিয়ে, বিদেশী ফান্ড নিয়ে তৈরি হচ্ছে, ছাত্রলীগ যে, প্রতিটি নিরীহ ছাত্রছাত্রীকে নির্যাতন করছে, উনি উহার বিধান করেনি। শেখদের ১৪ গোষ্ঠি লিলিপুটিয়ান।

২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: ইসলামের ইতিহাস রচিত হয় আব্বাসীয় খিলাফতের সময়।এমন কি কোরান রচিত হয় আবাাসীয় খলিফাদের দ্বারা।এর আগের কোন কোরানের প্রমান পাওয়া যায় না।
মোয়াবিয়া মুসলমান ছিলো তার কোন প্রমান নাই।ওমাইয় খলিফা আবদুল মালিক ইহুদিদের পরাজিত করে জেরুজালেম দখল করে।সেখানে নির্মান করেন ডোম অফ দ্য রক।সেখানে ইসলাম বা মোহাম্মদের কোন নাম নিশানা নাই।নিরপেক্ষ গভেষণা মূলক ইতিহাল পড়লে এসব জানাযাবে।
যীশুর মতো অন্য কেউ জন্ম গ্রহন করলে তার কপানে লাঞ্ছনা ছাড়া অন্য কিছু জুটত না।ধর্ম ফর্ম সব মিথ।গাল গল্প ছাড়া অন্য কিছু না।মানুষ গল্প শুনতে ভালো বাসে তাই এই সব প্রচার পায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.