![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কতদিন কার্নিশবিহীন খোলা ছাদে বসে আকাশ দেখিনা...করা হয়না স্মৃতি রোমন্থন...কতদিন দেখিনা স্বপ্ন আমার নষ্ট অতীতকে...কতদিন হয়ে গেল পাপবোধে জর্জরিত হইনা...আহ...কতদিন !!!!!
প্রায়ই শুনি কারা বেশী জনপ্রিয়? কারা বেশী শক্তিশালী? কাদের ভোট ব্যাংক বেশী?
"শাহবাগী? নাকি হেফাজতী?"
দুটো টাইটেলই আবার একদল আরেকদলকে আকিকা ছাড়াই দিয়েছে। গাজীপুর সহ ৫টি সিটি কর্পোরেশান নির্বাচনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থীর বিপুল পরাজয় (দু-একজন ভালো মেয়র প্রার্থীও) কি বার্তা বহন করে? হেফাজতীদের বিজয়? শাহবাগীদের পরাজয়? নাকি অন্য কিছু?
জানতে ইচ্ছা করে হেফাজত কি নিজেকে শাহবাগীদের বিপরীতে দাড় করিয়েছিলো? নাকি হেফাজতের নাস্তিকবিরোধী (যদিও পেট্রোনাইজড, কিন্তু শাহবাগের আন্দোলনের বিশাল অংশও তো পেট্রোনাইজডই ছিলো) কর্মসূচীকে নিজে আগ বাড়িয়ে প্রতিহত করতে গেছিলো শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ?
নিজে নিজেকে হেফাজতের ধর্মীও কর্মসূচীর বিপক্ষে দাড় করায়ে হেফাজতের হাতে যুক্তির অস্ত্র তুলে দিয়েছিলো। হেফাজত নিধনে উল্লাস প্রকাশ করছিলো।
আমি এখনো অবাক হই ভেবে যে গনজাগরণ মঞ্চ তৈরী হয়েছিলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য। যার প্রথম স্লোগান ছিলো "আঁতাতের এই রায় মানিনা মানবো না"।
সেটা কিনা পরে হয়ে গেলো বিএনপি কে শুধরাবার স্কুল রূপে। হেফাজত নিধনকারী রূপে। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবীর মঞ্চ রূপে। কই ফোকাস থাকবে ৬ ধৃত রাজাকারের বিচার, তা না, পরে হয়ে গেলো এটা আওয়ামীলীগের স্বার্থরক্ষার হাতিয়ার।
অন্যায় করে বিএনপি পার পায়নি, জাতীয় পার্টি পার পায়নি, আওয়ামী লীগের অবস্থাও এখন একই রকম মনে হচ্ছে। মানুষ ব্যালট বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তার জবাব দিচ্ছে।
আমি আমজনতা, আমার কষ্ট একটাই, আমরা চোরদের বিদায় করে আরেক চোরদেরই আনি।
২| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
খেলারু বলেছেন: হেফাজতের প্রথম ঘোষিত কর্মসূচীর ভিডিও ফুটেজ দেখতে এবং খবরগুলো পড়তে পারেন। শুরু থেকেই হেফাজত গণজাগরণ মঞ্চকে লক্ষ্যে রেখেই কাজ করেছে। আস্তিক-নাস্তিক ইস্যুতে বিভক্ত করেছে। সরকারী দলও বুঝে না বুঝে এই পরিকল্পনায় হাওয়া দিয়েছে।
গণজাগরণ মঞ্চ এমনকি আল্লামা শফির সাথে পর্যন্ত বৈঠকে বসতে চেয়েছিল। দেখেন কি অবস্থা ! কিন্তু হেফাজতের উত্থান তো দৈনিক আমার দেশের কার্যালয়ে মগবাজার আর গুলশানের বটিকার গুনে। সে তো তার নিয়ন্ত্রকের কথার বাইরে যেতে পারে না।
রাজনীতিতে শত্রু-মিত্র চিনতে পারা বড় গুন, গণজাগরণ মঞ্চের তরুনদের দাবি এক হলে মত-পথে ভিন্নতা ছিল প্রকট। সরকারী দলের কেউ কেউ হয়ত ভেবেছিলেন গণজাগরণ মঞ্চ তাদের নির্বাচনী বৈতরনী পার করেত সাহায্য করবে। কাজেই তারা নানাভাবে এই আন্দোলনকে দীর্ঘায়িত করতে চাইলেন। কিন্তু হেফাজতের মত গণজাগরণের তারুণ্য প্রভুভক্ত নয়। বরং ওই তারুণ্য কাউকে প্রভু মানতেই নারাজ। ফল যা হওয়ার তাই প্রাথমিক কিছু সাফল্য পেলেও গণজাগরণ মঞ্চের দৃশ্যমান সাফল্য নেই বলতে গেলে।
গণজাগরণ মঞ্চ যখন দাঁড়িয়েছে তার নিকটবর্তী সময়ে সারা দেশে জামায়াত-শিবিরের তাণ্ডবের কথা স্মরনে আছে আপনার ?
৩| ০৭ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৬
আমিনুর রহমান বলেছেন:
আমি আমজনতা, আমার কষ্ট একটাই, আমরা চোরদের বিদায় করে আরেক চোরদেরই আনি।
সত্যিই তাই ... আমি আওয়ামী লীগ বা বিএনপি বুঝি না কিন্তু অবাক হই ৬০% লোক কাল ভোট দিয়েছে চোরদের !!!!!
সত্যিই সেলুকাস কি বিচিত্র আমার দেশ
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১১
আলতামাশ বলেছেন: আমার পোস্টে একজন কমেন্ট করেছিল,
তথাকথিত গণজাগরণ মঞ্চের// দিস ইজ দা ল্যাঞ্জা। মিনস, আসিফ সবাক যদি গণজাগরণ মঞ্ছে না যেত, ওদেরকে কেউ কিছু বলত না? গণজাগরণ মঞ্চের দাবী ছিল জামাত নিষিদ্ধের এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই নাস্তিকরা এই দাবীকে সমর্থন দিবে কারন ওরা মৌলবাদ খুব সাধারণভাবেই ভয় পায়। এই বিষয়গুলো সামনে "উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে" নিয়ে আসা হয়েছে, শুধু গণজাগরণ মঞ্চকে বিতর্কিত করার জন্যে। সুব্রত শুভর মতো কাউকে কাল ফাঁসানো হবে না তার কোন গ্যারান্টি যেমন নেই তেমনি, অতি ধর্মবিদ্বেষ ও নংরা গালিগালাজ কারীদের শাস্তি অবশ্যই হতে পারে। কিন্তু যখনই তুমি গণজাগরণ এর সাথে মিলাতে যাও, তোমার উদ্দেশ্য আমি বুঝি হেফাজতে ছাগু।
তার উত্তর দিয়েছিলাম,
শোন, আমি যদি তোমাদের প্রশ্ন করি, এতদিন পরে তোমরা এই গণজাগরণ মঞ্চ বানাতে গেলে কেন? তাও স্বাধীনতার ৪২ বছর পরে!
তোমরা বলবে, রায় তোমাদের মনের মত না হওয়ায় তোমরা ক্ষোভের থেকে এই কাজটি করেছো। অর্থাৎ, কোন পুর্ব পরিকল্পিত নয়, হঠাৎ সৃস্ট্র ক্ষোভের থেকে এই আন্দোলনের জন্ম।
তেমনি তোমরা যে প্রশ্ন কর, আলেমরা হঠাৎ কেন এই আন্দোলনের ডাক দিল?
সেটার উত্তরও তোমাদের মত, কারণ তারা যখন দেখল, এই বাংলাদেশে ইসলামকে নিয়ে জঘন্য কুটুক্তি করা হয়, তখন যদি তারা প্রতিবাদ না করত, তাহলে বুঝা যেত, তারা আলেম নয়, আলেম নামের কলন্ক, তারা প্রিয়নবী(স) কে ভালোবাসে না।
এখন যদি বল, কেন গণজাগরণ মঞ্চকে এখানে ভরা হল।
কারণ, এই গণজাগরণ মঞ্চ থেকে ইসলামকে নিয়ে কুটুক্তিকারী রাজিবকে মহান বানানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তার জানাযায় নারি-পুরুষ সকলে একত্রিত হয়ে অযু ছাড়া গোল হয়ে নামায পরার নামে ফাজলামো করেছে। কোরআন-হাদিসের শিক্ষাকে অন্ধকারের শিক্ষা বলা হয়েছে। সর্বশেষ গনজাগরণ মঞ্চ এবং তোমরা ইসলামকে নিয়ে কুটুক্তিকারীদের মুক্তি চেয়েছো।