নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ব্যর্থ মানুষদের মিছিলে...

হিংস্র কিছু শকুন আজ খামছে ধরেছে মানবতার পতাকা...জেগে উঠার এইতো সময়...

বাউন্ডুলে রুবেল

কতদিন কার্নিশবিহীন খোলা ছাদে বসে আকাশ দেখিনা...করা হয়না স্মৃতি রোমন্থন...কতদিন দেখিনা স্বপ্ন আমার নষ্ট অতীতকে...কতদিন হয়ে গেল পাপবোধে জর্জরিত হইনা...আহ...কতদিন !!!!!

বাউন্ডুলে রুবেল › বিস্তারিত পোস্টঃ

রমজানের প্রথম প্রহর এবং আমার মনে পড়ে যাওয়া অল্প একটু ছেলেবেলা...

১১ ই জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:০০

আলহামদুলিল্লাহ। সেহরী করলাম প্রথম রোজার।



একটা সময়ের কথা মনে পড়ে গেলো। শীতকাল। ভোর ৪টায় সেহরী করতে উঠে ৬ বছরের একটা বাচ্চা ছেলে মা-বাবার পাশে বসে শীতে কাঁপছে। তাও ঘুমোবে না। সেহরী করবে। রোজা ফরজ হয়নি তাঁর উপর তখনও। শীতের সবজি কিংবা শীত-লাউ এর লোভে নয়, কি এক নির্মল আনন্দ পেতো বাচ্চা ছেলেটা মা-বাবার সাথে ভোররাতে খেতে পেরে।

বড় হয়ে গেছে সে। একা একা থাকে। একা একা সেহরী করে। জীবিকার তাগিদে।

বাবা মাও দূরে থাকে। তারাও দুজনে মিলে একাই সেহরী করে। অনেক বেশী একা।

ছেলেটা শীতে আর কাঁপে না। রোজা হয় এখন গরমে। তবে তাঁর বুক কাঁপে। মা বাবার জন্য। কেমন যেন কষ্ট হয়।

বাবা মারও তাই হয়।

খুব ইচ্ছে করছে বাবা-মা তোমাদের পাশে গুটিসুটি মেরে অপেক্ষা করে তোমাদের স্টোভে রান্না কখন শেষ হয় দেখতে। কেরোসিনের সেই স্টোভ চলে গেছে, গ্যাস আসছে কিংবা হিটার, ওভেন।



স্মৃতিগুলো এভাবে থেকে যায় কেনো?



সেহরী মানেই আমার কাছে বাচ্চা ছেলেটার সেই সময়টা। রোজা মানেই বাবা তোমার আঙ্গুল ধরে হাঁটা, শেষ বিকেলে। ইফতারের আগে আগে বাসায় ফেরা।



রামাদানুল মোবারক।

আল্লাহ আমাদের সবার রোজা কবুল করুন। আমীন।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৭:৪৩

ধৈঞ্চা বলেছেন: ভাল লাগল রোযা নিয়ে আপনার এই অকৃত্রিম অনুভূতি।
এরকম একটা সময় আমিও পার করেছি, আমার বাবা-মা এখন একা একা সেহরী করে, আমিও দেশের বাইরে একা একা সেহরী করি। এই রোযায় আমার উপস্থিতি তাদের আনন্দিত করত কিন্তু পারছি না সাথে থাকতে।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: খারাপ লাগে ভাই তাই না? অনেক ইচ্ছা থাকলেও পারিনা বাবা মায়ের সাথে গিয়ে কিছুদিন থাকতে। হয়তো দু একদিনের জন্য যাই। চোখের দেখাই সার।
রোজার সময়টায় আরো বেশী মনে পড়ে কেন যেন।

২| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ৯:২০

সুমন জেবা বলেছেন: এই অকৃত্রিম অনুভূতির সেই সময়টা আমিও পার করেছি, শীতকালীন রোজায় কুয়াশায় এ ঘর থেকে ও ঘর খুজে দেখতাম আমার সাথে সাথে আমার মামা'ত ভাই বোন গুলা উঠলো কি না ! না উঠলে সেদিন আর ডেকে উঠাতাম না ..পরদিন এ নিয়ে কি যে কান্নাকাটি'ই না হত ।
রোজা থাকার বয়স না তখন- তারপরও ইফতার এর ১ঘন্টা আগে থেকেই মেছওয়াক করা..
সত্যিই নস্টালজিক..

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: সেই প্রস্তুতিটার মাঝেই রোজার মজাটা লুকিয়ে থাকতো...সারাদিনের কষ্ট, অনাহারে থাকা সব তুচ্ছ মনে হতো তখন।
আর সেহরীতে না উঠা, সে তো আরেকটু বড় হলে আমারো হতো।
এতো ঘুম পেতো, আর উঠতেই মন চাইতো না। ধাক্কায়ে তুলতে হতো।

৩| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

~মাইনাচ~ বলেছেন: ছোট হলেও পোষ্ট পড়ে অনেক কিছুই মনে পড়ে গেল

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: সেহরী করতে বসে অনেক কিছু মনে পড়ে যাওয়াতেই পোস্টটির অবতারনা ভাই।
ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

৪| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৫

বোরহান উদদীন বলেছেন: সুন্দর ............।

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ বোরহান ভাই।

৫| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২১

রেজোওয়ানা বলেছেন: :)

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: :)

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

জাহিদ ২০১০ বলেছেন: মনে পড়ে তখন দুই ভাই মিলে সেহরী খাওয়ার পর আম্মা সেহরীর দোয়া পড়তেন আর আমরা তার অনুকরন করতাম। আর খালি হিসাব করতাম কত ঘন্টা বাকী আছে ইফতারের । একবার এক বন্ধুর পাল্লায় ভুলে মিঠাই খেয়ে বাসায় এসে মনে পড়ে আর মাকে বলার কত বকা খাইছি। এ নিয়া বড় ভাই কত দিন আমাকে ক্ষ্যাপাই ছিল

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৩

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: কত মধুর স্মৃতি তাই না?
শেয়ার করেন আমাদের সাথে। স্মৃতি রোমন্থন করতে বা শুনতে দুটোই ভালোলাগে।

৭| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা!!!

১১ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৪

বাউন্ডুলে রুবেল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

ছোট্ট করে যে কয় লাইন পারি মাঝে মধ্যে লিখি আর কি। বেশী লেখার ধৈর্য্য কুলায় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.