নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জ্ঞানই হোক আমাদের জীবনে চলার পাথেয়

ইউসুফ আব্দুল্লাহ

ইউসুফ আব্দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবার যেন ফিরে না আসে দাস প্রথা!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:০২

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে বড় শরণার্থী সংকটে রয়েছে ইউরোপ। এশিয়া , আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলো থেকে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে পালিয়ে আসা লক্ষ লক্ষ মানুষ স্থলসীমান্ত এবং ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে পা রাখার চেষ্টা করছে। অভিবাসীর সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে সিরিয়ার শরণার্থীরা, এরপর আফগানিস্তানের যুদ্ধবিধ্বস্ত নাগরিকরা এবং তৃতীয় অবস্থানে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে লিপ্ত ইরিত্রীয়ার অতিদরিদ্র নাগরিকরা, আর মায়ানমারের নিপীড়ন রহিঙ্গাদের কথা তো বাদই দিলাম। অতি দরিদ্র দেশ হওয়ায়, নিপীড়ন ও দারিদ্র্যের হাত থেকে বাঁচতে চেয়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছে দেশগুলোর দরিদ্ররা। চার বছরের গৃহযুদ্ধের কারণে ৪০ লাখেরও বেশি সিরীয় নাগরিক দেশ ছাড়া, যা গত ২৫ বছরের মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে তীব্র অভিবাসন সংকট সৃষ্টি করেছে। নাইজেরিয়া, কসোভো ও পাকিস্তান থেকেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ইউরোপে যাচ্ছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর কোনোটা স্বতঃপ্রণোদিতভাবে, কোনোটা চাপে পড়ে শরণার্থীদের গ্রহণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। কেননা, এই শরণার্থী-সংকট সৃষ্টির পেছনে ইউরোপের দায় বিরাট। সবচেয়ে বড় দায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। প্রথমে ইরাকে সামরিক আগ্রাসন চালিয়ে এবং পরে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের অস্ত্রসহ সব ধরনের মদদ জোগানোর নেতৃত্ব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আর যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থেকেছে তার ইউরোপীয় মিত্রদেশগুলো। ৪০ লাখের বেশি সিরীয় দেশ থেকে দেশে, সীমান্ত থেকে সীমান্তে আশ্রয়ের সন্ধানে ভুগছে ও ছুটছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব একযোগে নির্বিকার। সিরিয়াকে অস্থিতিশীল করায় তুরস্কের ভূমিকাও কম নয়। তারপরও দেশটির ২০ লাখ আশ্রিত মানুষের মধ্যে ১৭ লাখ সিরীয় ও এক লাখ ইরাকি। লেবাননের প্রতি পাঁচজনের একজন সিরীয়। ইরাকেও আশ্রয় নিয়েছে আড়াই লাখ সিরীয়। আরবদের মধ্যে মিসর ও জর্ডানে রয়েছে যথাক্রমে ১ লাখ ৩০ হাজার ও ৬৩ হাজার সিরীয়। তিউনিসিয়ায় রয়েছে ২২ লাখ লিবীয়। আলজেরিয়ায় আছে ৫৫ হাজার।

শরণার্থী সংকট কাটাতে ইউরোপের দেশগুলোকে বাধ্যতামূলকভাবে ১লাখ ৬০ হাজার শরণার্থী বা অভিবাসী নেয়ার প্রস্তাব করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লদ ইয়োঙ্কা। ব্রিটেন তো সম্ভব হলে কাউকেই আশ্রয় দিতে চায় না৷ ওদিকে স্লোভাকিয়া সহ পূর্ব ইউরোপের কিছু দেশ মুসলিম শরণার্থীদের গ্রহণ করতে একেবারেই রাজি নয়৷

জার্মানি প্রায় ৮ লক্ষ শরণার্থী গ্রহণ করতে চলেছে৷ জার্মানির এই উদারতার পেছনে রয়েছে অর্থনীতি ও সংস্কৃতি। তাদের জনসংখ্যা কমতির দিকে। উন্নতি বজায় রাখতে আরও শ্রমিক চাই। এছাড়াও ইউরোপের দেশগুলোতে যে সকল শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া হচ্ছে তারা কোন দিনই প্রথম শ্রেণীর নাগরিকত্ব পাবে না। তারা স্বভাবতই থাকবে নানান বৈষম্যে। শরণার্থী মানুষগেুলোকে আববর মানতে হতে পারে দেশীয় নাগরিকদের হুকুম। যা আবারো পৃথিবীকে নিয়ে যেতে পারে দাস প্রথার দিকে। আর বেঁচে থাকার তাগিদে শরণার্থীদেরও আর কিছু বলার থাকবে না। মুখ বুঝে মেনে নিতে হবে দাস প্রথাকে। তবে আমাদের কাম্য, এমনটি হবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.