নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া! ঢাকেশ্বরী থেকে নাগেশ্বরী! পূর্ববঙ্গ থেকে পশ্চিমবঙ্গ! বঙ্গভূমি থেকে বঙ্গভাষা! সবার প্রিয় বাংলা ভাষা

বাংলা বানান

একটি লাইন লিখতে গিয়ে দুটি বানান ভুল, পাঁচ-পঞ্চাশ গুলিয়ে দিয়ে নাকে পড়েছে দুল!

বাংলা বানান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভুল বানান ব্যবহার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে : বাংলা বানান

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৭

১. বাংলা ভাষা ও বানানের প্রতি অবজ্ঞা;
২. ভাষা জ্ঞানহীন কিছু লেখকের ভুলে ভরা লেখা;
৩. ভুলে ভরা চাকরির বিজ্ঞপ্তি।
এগুলো ছাড়াও বিভিন্নভাবে ভুল ব্যবহারের প্রবণতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখন অনেকেই ভাবতে শুরু করেছে—ঈ-কারের পরিবর্তে ই-কার ব্যবহার বা, ই-কারের পরিবর্তে ঈ-কার ব্যবহার তেমন কোনো ভুল নয়। রাজীবকে লিখছে রাজিব, সজীবকে লিখছে সজিব। আবার বলে নাম হিসেবে ই-কার বা, ঈ-কার ভুল নয়! আমাদের অবশ্যই জানা উচিত এ ধারণাটি সবক্ষেত্রেই গ্রহণযোগ্য নয়। অর্থবহ কিছু শব্দ আছে—যা নাম হিসেবেও ব্যাকরণবিধি মেনে চলতে হবে। যেমন— রাজীব, সজীব, নীল, রবীন্দ্র, রবি ইত্যাদি। অর্থাৎ অর্থবহ বাংলা শব্দ দ্বারা গঠিত নাম। যাদের এ সম্পর্কে ধারণা আছে—তারা নাম হিসেবেও অর্থবহ শব্দের শুদ্ধ ব্যবহার করতে জানে। বাংলা বিভাগের কিছু শিক্ষক ছাড়া অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকদের বাংলা ভাষা ও বানান সম্পর্কে ধারণা নেই বললেই চলে। এমন কিছু লোক আছে যারা মনে করে আমার ব্যবহার করা বানানটি শুদ্ধ! অন্যরা ভুলটি ধরিয়ে দিতে গেলে তাদের শুনতে হয় নানা কথা! কেউবা আবার শুদ্ধটাকে ভুল ভেবে ভুলই ব্যবহার করছে। যে যেভাবে পাচ্ছে ভুলে ভরা লেখা দিয়ে সাইনবোর্ড, ব্যানার, পোস্টার টাঙিয়ে দিচ্ছে। আর এর প্রভাব পড়ছে অগণিত মানুষের মাঝে। দেখা যাচ্ছে প্রতিটি ব্যক্তির, প্রতিটি পত্রিকার, প্রতিটি সংস্থার, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বানান রীতি আছে! কেউ দাবি করছে এটা ঠিক; কেউ বলছে ওটা ঠিক!
আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ বানানের বেলায় ঈ-কার ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি তাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চাইলে শুদ্ধরূপে লিখতেও পারে—না লিখতেও পারে। কিন্তু আপনি যখন ফুটবল লিগ, ক্রিকেট লিগ, এই লিগ, সেই লিগ লিখবেন তখন অবশ্যই ই-কার ব্যবহার করতে হবে।
আমরা চাই বানানটা যাতে সবার কাছে এক হয়। এর জন্য দুই বাংলার বাংলা Academy (!)-কে জোর অনুরোধ করছি। আমি আসলে Academy-কে বাংলায় কোন রূপে লিখব ভেবে পাচ্ছি না। Academy (অ্যাকাডেমি) = একাডেমী, একাডেমিসহ আরো দু-তিন রূপে বাংলায় ব্যবহার করতে দেখা যাচ্ছে! একটি বিদেশি শব্দের কত রকম বানান! এর মধ্যে বাংলাদেশের বাংলা Academy নিজই একাডেমী ও একাডেমি ব্যবহার করেছে! বর্তমানে একাডেমীকে একাডেমি করা হয়েছে। বাকিগুলো যে যেভাবে পাচ্ছে ব্যবহার করছে। চলুন বাংলা একাডেমি/একাডেমী দেখে আসি: http://www.banglaacademy.org.bd
আর পশ্চিমবঙ্গে বাংলা Academy-কে আকাদেমি না অকাদেমি লিখব ভেবে পাচ্ছি না। Academy-র A-কে আ হিসেবে ধরলে বাংলায় আকাদেমি হয়, আর অ হিসেবে ধরলে অকদেমি হয়। প্রথমের A-কে অ পরের A-কে আ হিসেবে ধরলে অকাদেমি, আর প্রথমে A-কে আ পরের A-কে অ হিসেবে ধরলে আকদেমি হয়। আকাদেমি বা অকাদেমি মূলত ইংরেজি উচ্চারণ নয়। এবার চলুন আকাদেমি/অকাদেমি দেখে আসি: http://www.banglaacademy.in
যাই হোক, Academy (অ্যাকাডেমি) বিদেশি শব্দের কারণে আমার অবুঝ এ মতটুকু প্রকাশ করলাম! এক্ষেত্রে ভাষাবিদদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। যাতে দুই বাংলার Academy নিয়ে একটু আলোচনা করে। যাতে আমার মতো অনেকেরই বুঝতে সুবিধা হয়। হয়তো এখানেও ভুল-ত্রুটি রয়ে গেছে—সেগুলোও দেখবেন।

▓ এতদ্দ্বারা সকলের/সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ...। না লিখে এভাবে লেখা উচিত— এতদ্দ্বারা সকলকে/সর্বসাধারণকে অবগত করা যাচ্ছে যে, ...। বা, এতদ্দ্বারা সকলকে/সর্বসাধারণকে জানানো যাচ্ছে যে, ...। কারণ ‘অবগত’ ও ‘জানানো’ শব্দ দুটির একই অর্থে ব্যবহৃত।

▓ বিভিন্ন আবেদনপত্রে দেখা যায়, একই বক্সে বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ লেখা হয়ে থাকে। এখানে বিভাগ/শ্রেণি/জিপিএ না লিখে ফলাফল লেখাই শ্রেয়। এতে পরিচ্ছন্নতা বৃদ্ধি পায়।

বিস্তারিত জানতে : Click This Link
এতে আছে
১. সহজ বাংলা বানান নিয়ম;
২. -এর, -এ ব্যবহার;
৩. বিসর্গ (ঃ ) ব্যবহার;
৪. ম-ফলা, ব-ফলা ও য-ফলার উচ্চারণ;
৫. যতিচিহ্ন (ডট/ফুলস্টপ, কোলন, হাইফেন/যুক্তচিহ্ন, ড্যাশ, কোটেশন মার্ক/ইনভার্টেড কমা/উদ্ধৃতিচিহ্ন, অ্যাপস্ট্রফি/লোপচিহ্ন, অবলিক/স্ল্যাশ/অথবা/বিকল্পচিহ্ন, যতিচিহ্নের কিছু অশুদ্ধ ও শুদ্ধ ব্যবহার);
৬. প্রয়োজনীয় কিছু শুদ্ধ বানান;
৭. ভুল বানান ব্যবহার যেভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে;
৮. বাংলা বর্ণ তথ্য;
৯. বাংলায় প্রচলিত বিদেশি শব্দের বানান;
১০. সমোচ্চারিত শব্দের ব্যবহার;
১১. প্রতিবর্ণীকরণ (নামের বানান ও ব্যবহার);
১২. তারিখ ব্যবহারের কিছু নিয়ম;
১৩. বিদেশি শব্দের কিছু ভুল ব্যবহার;
১৪. বিভ্রান্তিকর কিছু ইংরেজি শব্দের বাংলা ব্যবহার।

[দ্রষ্টব্য: এই পোস্টটি বই আকারে এখনই প্রকাশ করছি না। কারণ এখনো কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। কিন্তু অনেকেই ইতোমধ্যে আমার পোস্টটি বই আকারে প্রকাশ করেছে। তাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আর কেউ যদি পোস্টটি বই আকারে প্রকাশ করতে চায়—তবে অবশ্যই পোস্টটির সূত্র হিসেবে বাংলা বানান:www.somewhereinblog.net/blog/bbnet/29867731 লিংকটি ব্যবহার করবেন। এতে লেখকের পরিশ্রম সার্থক হবে। পোস্টটি তৈরি করতে প্রায় ২ বছর সময় লেগেছিল। আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে আপডেট চলবে।]

মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

ধমনী বলেছেন: ভালো। বাংলা বানান বহুরূপী।

২| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৪১

মহা সমন্বয় বলেছেন: আসলে এই দুনিয়াটা মস্ত বড় :-B

এক গবেষণায় দেখা গেছে আমার সবচেয়ে বেশি বানান ভুল করা শব্দ দুটি হচ্ছে- ১: করা এই "করা" কে সবসময় আমি "কারা" লিখব। :`> ২: আমরা এই "আমরা" কে সবসময় আমি "আমারা" লিখব। =p~

এছাড়া অন্যন্ন বানান ভুল তো রহিয়াছেই .. স্বয়ং খোদা যদি পথ না দেখান তাহলে আমি এই ভুলের উর্ধে উঠতে পারব না, তবে চেষ্টায় আছি।
আর এই কমেন্টে আমি কয়টা বানান ভুল করালাম? :`>

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৪

বাংলা বানান বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
"করা" কে = 'করা'-কে
"আমরা" কে = 'আমরা'-কে
অন্যন্ন = অন্যান্য
উর্ধে = ঊর্ধ্বে

৩| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

এহসান সাবির বলেছেন: আমার তো লিখলেই বানান ভুল হয় :(

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৫৯

বাংলা বানান বলেছেন: চেষ্টা চালিয়ে যান। সহজ বাংলা বানান নিয়ম পোস্টটি ভালোভাবে দেখুন।
ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:২৭

অলওয়েজ ড্রিম বলেছেন: আপনার চেষ্টা সফল হোক।

৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:১২

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলা ভাষায় আজ পর্যন্ত বানানের কোন ইউনিফাইড ফর্ম গড়ে ওঠেনি। সেই বিদ্যাসাগর থেকে শুরু করে শান্তিনিকেতন, ডঃ এনামুল হক, ডঃ মুহম্মদ শহীদুল্লাহ, বাংলা একাডেমী- সবাই এক এক যুক্তি দেখিয়ে এক এক বানানকে হালাল করেছেন। আমাদের মতো সাধারণ মানুষদের খুব বিপদ।
আমার নিজের বিবেচনা মতো বানান লিখি। কার মতে সেটা শুদ্ধ হলো, কার মতে হলো না এ নিয়ে মাথা ঘামাই না।

পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪১

বাংলা বানান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। আপনাকেও ধন্যবাদ।

৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৯

শামছুল ইসলাম বলেছেন: প্রিয়তে নিলাম।
অনেক কিছু শেখার আছে।

অবশ্য আমি একটা পদ্ধতি অনুসরণ করি- কোন বানানে সন্দেহ হলে, গুগলে যেয়ে শব্দটা লিখে তার পর বাংলাপিডিয়া লিখি।

যেমন: "ফুলের কাটা" বানানটা নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে।

গুগলে গিয়ে "ফুলের কাটা বাংলাপিডিয়া" - লিখে এন্টার দিলাম, পেয়ে গেলাম শুদ্ধ বানান।

ভাল থাকুন। সবসময়।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

বাংলা বানান বলেছেন: ফুলের কাঁটা!
আপনিও ভালো থাকুন

৭| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০০

উল্টা দূরবীন বলেছেন: একটু যত্নবান হলেই কিন্তু বানান ভুল করা এড়িয়ে যাওয়া যায়।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

বাংলা বানান বলেছেন: ঠিক! ধন্যবাদ

৮| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৩

যুগল শব্দ বলেছেন:
ভালো পোস্ট।
বানান অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ++

ধন্যবাদ আপনাকে।

৯| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০৩

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অ্যাকাডেমি লেখা যেতে পারে। আসলে অ্যা তো নেই, মানে বর্ণ তো নেই। তাকে এ দিয়ে প্রকাশ করা হচ্ছে। যেমন, এখন। এটার উচ্চারণ কিন্তু অ্যাখন। সুতরাং একাডেমি লিখলে সমস্যা নেই। তবে ঈ কার ব্যবহারের কোন মানে নেই। একাডেমি'ই যথেষ্ট।
অভ্রতে যখন লিখছি, তখন একাদেমি, একাডেমী, একাডেমি, অ্যাকাডেমি সাজেস্ট করছে।
আমি অ্যাকাডেমির পক্ষে। বানানে আর উচ্চারণে কোন তফাৎ থাকছে না, নির্ঝঞ্ঝাট।
পোস্টটা সুন্দর। আমিও প্রচুর বানান ভুল করি। অনেক সময় সঠিকটা না জানার কারণে, অনেকসময় তাড়াতাড়ি লেখার কারণে; কিন্তু করি। ঠিক হয়ে যাবে আশা করি আস্তে আস্তে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৫৭

বাংলা বানান বলেছেন: বাংলা বানান ও উচ্চারণ কিন্তু এক নয়। প্রায় ৫০ ভাগেরও বেশি বানান উচ্চারণের সাথে মিলে না। ইংরেজি শব্দ বাংলায় প্রতিবর্ণীকরণে অ্যা ব্যবহারের বিধান স্বয়ং বাংলা একাডেমিই দিয়েছে। অথচ বাংলা একাডেমি...!!!

ধন্যবাদ আপনাকে

১০| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০২

প্রামানিক বলেছেন: একই শব্দের বিভিন্ন বানানের কারণে আমাদের নাস্তানাবুদ দশা।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৪

বাংলা বানান বলেছেন: হুঁ

১১| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন: অনেক মুল্যবান পোষ্ট। প্রিয়তে নিলাম।


বাংলা বানান নিয়ে আপনার উদ্যোগকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাই। শুভকামনা জানবেন।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩

বাংলা বানান বলেছেন: ধন্যবাদ

১২| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: ভাল লেখা।
++
প্রিয়তে।

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৮

বাংলা বানান বলেছেন: ধন্যবাদ

১৩| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০২

মোঃ ইমতিয়াজ আহমেদ ইমন বলেছেন: উদ্দেশ্য সূচক "লক্ষ্য" কে বর্তমানে "লক্ষ" লেখা হয়। এতে করে সংখ্যা সূচক "লক্ষ" এবং উদ্দেশ্য সূচক "লক্ষ" এক হয়ে গেছে।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২৩

বাংলা বানান বলেছেন: লক্ষ: লাখ (১০০ হাজার), দৃষ্টি/খেয়াল (ক্রিয়াপদ)
লক্ষ্য: উদ্দেশ্য (বিশেষ্য)

=====================
অঙ্কটি লক্ষ কর।
আমার জীবনের একটাই লক্ষ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.