নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা -" মানুষ কিভাবে ও কিসের তৈরী" -( মানব জীবন - ১ ) ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২০



মহান আল্লাহ পাক রাববুল আলআমিন এই পৃথিবীতে প্রায় ১৮,০০০ মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন ।আর এই সকল সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ট হল মানুষ। মানুষকে আল্লাহ পাক তৈরী করেছেন সুন্দর আকার এবং আকৃতিতে আর তাকে দিয়েছেন চিন্তা করার এবং স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা ।এই চিন্তা করার এবং স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা আল্লাহ পাক তার আর কোন সৃষ্টিকে দেননি ।আর অসীম এই মহাবিশ্বে অসংখ্য উদাহরন রয়েছে চিন্তাশীল মানুষের জন্য।
মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত বা সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের জানার ইচ্ছা অসীম।মানুষ এ দুনিয়াতে কোথা থেকে এসেছে বা দুনিয়াতে আসার আগে সে কোথায় কি ভাবে ছিল এবং এ দুনিয়া থেকে যাবার পর বা মরনের পর মানুষ কোথায় যাবে বা মরনের পরেই কি জীবনের শেষ না এর পরেও আরো জীবন আছে এ সম্পর্কে ধর্মের বাইরেও সাধারন মানুষ এবং বিজ্ঞানীদের কৌতুহল অসীম। আর তাই সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে এবং তার জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিহাস জানার জন্য অবিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচছে।মানব সৃষ্টির রহস্য নিয়ে চিন্তাশীলরা নানা ধরনের ধারনা পোষন করতেন সেই প্রাচীন কাল থেকেই।

** মানব শিশু অর্থাত মানব ভ্রুন সম্পর্কে অ্যারিস্টট্ল মনে করতেন "মেয়েদের মাসিকের রক্তের সংগে পুরুষের বীর্যের মিলন হলে মানব ভ্রুন তৈরী হয়"।
আবার অনেকে মনে করতেন -"মানব ভ্রুন কেবল পুরুষের বীর্য থেকে তৈরী হয়"।
** এ দুটি ধারনা ভূল করেন ইতালিয়ান বিজ্ঞানী স্পিলিজার ১৭৭৫ সালে।
** ব্রাভি ১৯০৯ সালে প্রমাণ করেন "ক্রোমোজম মানব শিশুর বিভিন্ন ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্য ঠিক করে"।
** মরগান ১৯১২ সালে মানব ভ্রুন তৈরীতে জীবের ভূমিকা প্রমাণ করেন।

মোট কথা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আঠার শতকের আগ অবধি মানব ভ্রুন সম্পর্কে কোন ধারনাই লাভ করতে পারনি।

কিন্তু পবিত্র কোরআনে ১৩০০ বছর আগেই মানব ভ্রুন তৈরী সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দিয়েছে।

মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেন - "নিশ্চয় আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিলিত শুক্রবিন্দু হতে, যাতে আমি তাকে পরীক্ষা করি, এই জন্য আমি তাকে করেছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন" (সুরা আল ইনসান -আয়াত ২ )
পৃথিবীর জীব কোষের মূল উপাদান যেমন পানি (প্রোটোপ্লাজমের ৯৫% পানি)।আবার সকল জীবদেহ কোষ দ্বারা গঠিত। আর এই কোষ গঠনের মূল উপাদান হচ্ছে পানি। আরবি ব্যাকরণের একটি মত অনুযায়ী, এই পানি অর্থ শুক্র (বীর্য)।

মহান আল্লাহ এই ধরণীতে মাটি থেকে একজন প্রতিনিধি সৃষ্টি করেন এবং তারপর তা থেকে ক্রমশ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই মানব জাতি।আল্লাহ বলেন-"হে মানব, আমি তোমাদেরকে এক পুরুষ ও এক নারী থেকে সৃষ্টি করেছি এবং তোমাদেরকে বিভিন্ন জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা পরস্পরে পরিচিতি হও।"(সূরা হুজুরাত -আয়াত ১৩ )।



মানব জন্ম সম্পর্কে বিজ্ঞান - মানব জন্ম অর্থ্যাৎ মানব ভ্রুন সম্পর্কে বিজ্ঞানের যে শাখায় আলোচনা করা হয় তাকে (Embryology) বা ভ্রূণতত্ত্ব বলে।
কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্রূণতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান এবং আধুনিক ভ্রূণতত্ত্বের বিখ্যাত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. কিথ মুর কুরআন এবং হাদীসে ভ্রূণতত্ত্ব সম্পর্কিত বর্ণনাগুলোকে একত্রিত করে ইংরেজীতে অনুবাদের পর ভালভাবে সেগুলো অধ্যায়নের পর ড. মুর বলেন, "কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসে ভ্রূণতত্ত্ব সম্পর্কে যা এসেছে, ভ্রূণবিদ্যার ক্ষেত্রে আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক তথ্যের সাথে সেগুলোর অধিকাংশের পূর্ণ মিল রয়েছে, কোন অমিল বা বৈসাদৃশ্য নেই"। তবে তিনি কিছু সংখ্যক আয়াতের মর্মের যথার্থতা সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। তিনি সেগুলোর বক্তব্য সত্য না মিথ্যা বলতে পারছেন না। কেননা সে তথ্যগুলো সম্পর্কে তিনি নিজেও ওয়াকিফহাল নন। আধুনিক ভ্রূণবিদ্যায় বা লেখায় সেগুলোর কোন উল্লেখ দেখা যায়না।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন-"তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে জমাট রক্ত থেকে"। (সূরা আলাক ২।আরবী ভাষায় "আলাক"
শব্দের অর্থ জমাট রক্ত।অপর একটি অর্থ হল, "দৃঢ়ভাবে আটকে থাকে এমন আঠলো জিনিস"- যেমন, জোঁক কামড় দিয়ে আটকে থাকে।

ড. মুর জানতেন না যে, প্রাথমিক অবস্থায় ভ্রূণকে জোঁকের মত দেখায় কিনা ! তিনি এটা যাঁচাই করার জন্য এক শক্তিশালী মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে ভ্রূণের প্রাথমিক অবস্থা গবেষণা করেন এবং বলেন যে, ভ্রূণের চিত্র দেখতে অনেকটা জোঁকের মত। তিনি এ দু’টোর মধ্যে অদ্ভুত সামঞ্জস্য দেখে অভিভূত হয়ে যান। তিনি ভ্রূণতত্ত্ব সম্পর্কে কুরআন থেকে আরো বহু জ্ঞান অর্জন করেন যা তাঁর জানা ছিল না। ড. মুর কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত ভ্রণতত্ত্ব সম্পর্কিত অনেক প্রশ্নের জবাব দেন। তিনি বলেন, কুরআন ও হাদীসে উল্লেখিত তথ্যগুলো ভ্রূনতত্ত্ব সম্পর্কে সর্বশেষ আবিষ্কৃত তথ্যের সাথে পূর্ণ সামঞ্জস্যশীল। তিনি আরো বলেন, আমাকে যদি আজ থেকে ৩০ বছর আগে এ সকল প্রশ্ন করা হত, তাহলে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের অভাবে আমি সেগুলোর অর্ধেকেরও উত্তর দিতে পারতাম না।
ড. কিথ মুর কুরআন নিয়ে রিসার্চ করার পূর্বে 'The Developing Human' নামক একটা বই লিখেছিলেন। কিন্তু কুরআন থেকে জ্ঞান সংগ্রহের পরপরই তিনি তার ঐ বইয়ের ৩য় সংস্করণ প্রকাশ করেন। বইটি একক লেখকের সর্বোত্তম চিকিৎসা বই হিসেবে পুরষ্কার লাভ করে। বইটি বিশ্বের অনেক ভাষায় অনূদিত হয়েছে এবং ১ম বর্ষের মেডিকেল কলেজের ছাত্রদের জন্য ভ্রূণবিদ্যায় পাঠ্যবই হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
ভ্রুণবিদ্যা সম্পর্কিত কুরআনের তথ্যগুলো যা কিথ মুরকে এতটাই অভিভূত করেছিল যে, অমুসলিম হয়েও দাম্মামে অনুষ্ঠিত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে তিনি কুরআনকে ‘সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত’ বলে স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছিলেন।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন -"অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে"। (সূরা তারিক - আয়াত ৫-৭)

ভ্রুণতত্ত্ব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দেয়ার জন্য কুরআনের একটি আয়াতই যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন-"হে লোকসকল! যদি তোমরা পুনরুত্থানের ব্যাপারে সন্দিগ্ধ হও, তবে (ভেবে দেখ-) আমি তোমাদেরকে মৃত্তিকা থেকে সৃষ্টি করেছি। এরপর বীর্য থেকে, এরপর জমাট রক্ত থেকে, এরপর পূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট ও অপূর্ণাকৃতিবিশিষ্ট মাংসপিন্ড থেকে, তোমাদের কাছে ব্যক্ত করার জন্যে। আর আমি এক নির্দিষ্ট কালের জন্যে মাতৃগর্ভে যা ইচ্ছা রেখে দেই, এরপর আমি তোমাদেরকে শিশু অবস্থায় বের করি; তারপর যাতে তোমরা যৌবনে পদার্পণ কর। তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুমুখে পতিত হয় এবং তোমাদের মধ্যে কাউকে নিষ্কর্মা বয়স পর্যন্ত পৌছানো হয়, যাতে সে জানার পর জ্ঞাত বিষয় সম্পর্কে সজ্ঞান থাকে না। তুমি ভূমিকে পতিত দেখতে পাও, অতঃপর আমি যখন তাতে বৃষ্টি বর্ষণ করি, তখন তা সতেজ ও স্ফীত হয়ে যায় এবং সর্বপ্রকার সুদৃশ্য উদ্ভিদ উৎপন্ন করে"। (সূরা হজ্জ - আয়াত ৫)।

কুরআনের কমপক্ষে ১১টি স্থানে মানুষকে ‘নুতফাহ’ (শুক্র ) থেকে সৃষ্টির কথা বলেছে। ‘নুতফাহ’ অর্থ হলো-সামান্য পরিমাণ তরল পদার্থ । উপরোক্ত আয়াত ছাড়াও কুরআনের অন্য যেসব আয়াতের নুতফাহ’র কথা এসেছে তা হল- সুরা মু’মিনুন ১৩, সুরা নাহল ৪, সুরা কাহফ ৩৭, সুরা ফাতির ১১, সুরা নাজম ৪৬,সুরা ক্বিয়ামাহ ৩৭, সুরা ইনসান ২, সুরা আবাসা ১৯,সুরা মুমিন ৬৭।

অনেক দূর্বল ঈমানদার এবং নাস্তিকদের মুখে একটি প্রশ্ন শোনা যায়। সবকিছুর যদি স্রষ্টা থেকে থাকে, তাহলে আল্লাহর স্রষ্টা কে? সবকিছুরই স্রষ্টা রয়েছে-এই ধারণা ভুল। কেবলমাত্র যা সৃষ্টি হয়েছে তারই স্রষ্টা রয়েছে। আল্লাহকে কেউ সৃষ্টি করেনি। তাই তাঁর কোনো স্রষ্টাও নেই।

আদি মানব আদম (আঃ) কি থেকে সৃষ্টি?

আদি মানব আদম (আ) মাটি থেকে সৃষ্টি।অনেকেই একটি প্রশ্ন করেন বা প্রশ্ন মনে জাগে " আদম (আ) যদি প্রথম মানুষ হবে, তাহলে তাঁর কি পিতা-মাতা নেই, অথবা পৃথিবীতে তাঁর উদ্ভব কিভাবে হলো? মূল প্রশ্ন হলো-পৃথিবীতে প্রথম মানুষের পদযাত্রা শুরু হলো কিভাবে? "
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন এভাবে - "যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন"। (সুরা আস সাজদাহ - আয়াত - ৭)।

আল্লাহ আরো বলেন -"আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি"। (সুরা হিজর -আয়াত ২৬)
আল্লাহ বলেন - "আপনি তাদেরকে (মানুষকে) জিজ্ঞেস করুন, তাদেরকে সৃষ্টি করা কঠিনতর, না আমি অন্য যা সৃষ্টি করেছি? আমিই তাদেরকে সৃষ্টি করেছি এঁটেল মাটি থেকে"। (সুরা সফফাত - আয়াত ১১)।
আল্লাহ বলেন - "তিনি মানুষকে সৃষ্টি করেছেন পোড়া মাটির ন্যায় শুষ্ক মৃত্তিকা থেকে"। (সুরা আর রাহমান-আয়াত ১৪)

আদম (আঃ) বাদে বাকি সব মানুষ সৃষ্ট ‘নুতফাহ’ থেকে

আদম একাই কেবল মাটি থেকে সৃষ্টি। বাকি সবাই পিতা-মাতার মাধ্যমে সৃষ্ট।

আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান আবিষ্কার করেছে ‘মানব ক্লোন’। এই ক্লোন পদ্ধতিতে সন্তান জন্ম দিতে গেলেও পুরুষের জীব কোষের বা শুক্রাণু ও নারীর ডিম্বাণুর প্রয়োজন। অর্থাৎ একজন পুরুষের জীব কোষ বা শুক্রাণু ব্যতীত একজন নারী সন্তান জন্ম দানে অক্ষম। কেননা নারীর ডিম্বাণু ক্রোমোসোম (XX) এবং পুরুষের শুক্রাণু ক্রোমোসোম (XY) পুত্র-কন্যা সন্তান গঠনে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

পবিত্র কোরআনে বলেন "অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে"। (সুরা আস সাজদাহ -আয়াত ৮)

পবিত্র কোরআনে আরো বলেন, "তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম"। (সুরা ফুরকান - আয়াত ৫৪)

‘নুতফাহ’ সম্পর্কিত আয়াতগুলো পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। যারা বলে থাকে, “কুরআন শরীফের বহুস্থানে বলা হয়েছে সকল মানুষ মাটির তৈরী, তাই সকল মানুষ মাটির তৈরী”-তাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।

হযরত হাওয়া (আঃ) কিভাবে সৃষ্টি?

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসতে পারে, হযরত আদম (আ) মাটি থেকে সৃষ্টি, কিন্তু মা হাওয়া (আঃ) কি দিয়ে সৃষ্টি?

কারণ, কুরআনে বলা হয়েছে, - এক পুরুষ এবং এক নারী থেকে আমাদেরকে সৃষ্টি করা হয়েছে। কিন্তু আদম যখন একা ছিলেন, তখন হাওয়াকে কিভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে? এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে-"তিনি সৃষ্টি করেছেন তোমাদেরকে একই ব্যক্তি থেকে। অতঃপর তা থেকে তার যুগল সৃষ্টি করেছেন"। (সুরা যুমার -আয়াত ৬)।

কুরআনে আরো বলা হয়েছে -"মানব সমাজ! তোমরা তোমাদের পালনকর্তাকে ভয় কর, যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন এবং যিনি তার থেকে তার সঙ্গীনীকে সৃষ্টি করেছেন; আর বিস্তার করেছেন তাদের দু’জন থেকে অগণিত পুরুষ ও নারী"। (সুরা নিসা - আয়াত ১)।
কুরআনে বলা হয়েছে-"এই যে, তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সংগিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন"। (সুরা রূম -আয়াত ২১)।

মহান আল্লাহ হযরত আদম (আ)-এর পাঁজরের বাঁকা হাড় থেকে মা হাওয়াকে সৃষ্টি করেছেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ (স) বলেছেন, "নারী জাতিকে পাঁজরের বাঁকা হাড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড়ের মধ্যে একেবারে উপরের হাড়টি অধিক বাঁকা। যদি তা সোজা করতে যাও, ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি তা ছেড়ে দাও, তবে সব সময় বাকাই থাকবে। সূতরাং তোমরা নারীদের সাথে উত্তম ও উপদেশমূলক কথাবার্তা বলবে"।

হযরত ঈসা (আঃ) কিভাবে সৃষ্টি?

এখন হযরত ঈসা (আ)-এর জন্ম সম্পর্কে ও প্রশ্ন হতে পারে,বাবা মায়ের মিলন ছাড়া অর্থ্যাৎ বাবা ছাড়া তিনি কিভাবে জন্ম নিলেন বা তার জন্ম কিভাবে। মহান আল্লাহ এ প্রশ্নের সমাধান পবিত্র কুরআনে যথাযথভাবে দিয়েছেন। তিনি বলেন,"নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকটে ঈসার দৃষ্টান্ত হচ্ছে আদমেরই মত। তাকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন অতঃপর তাকে বলেছিলেন, হয়ে যাও, সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেল"। (সুার ইমরান -আয়াত ৫৯)।

চলবে - জানার আগ্রহ থেকে এবং ইচছা আছে মানব জন্মের পূর্ব থেকে মৃত্যুর পরের জীবন পর্যন্ত লিখার ,যদি মহান আল্লাহপাক সুযোগ দেন।

তথ্যসূত্র - সংগহীত ,সংক্ষেপিত এবং রিপোস্ট (সহায়তায় - আল কোরআন,হাদিস,গুগল,বিজ্ঞান সম্পর্কিত প্রতিবেদন ।

উৎসর্গ : " দুনিয়ার সকল চিন্তাশীল মানুষদের" যারা পৃথিবীতে তার আগমন এবং জীবন নিয়ে প্রতিনিয়ত ভাবেন এবং
সৃষ্টিকর্তা মহত্ত ও তার অসীম ক্ষমতা অনুধাবনের চেষ্টা করেন ।

মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৪২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে জানতে চায়.. সে জানতে পারে
ড, কিথ মুর তার উদাহরণ।

হায় আমরা জানিনা, জানতেও চাইনা। অথচ উচ্চস্বরে চিৎকার করি চিরন্তন সত্যের বিরুদ্ধে!
পবিত্র কোরআনে অবশ্য বারবার বলেছে - এই গ্রন্থ তাদের জন্য যারা জ্ঞানী্
তাইতো জ্ঞানী মুর কোরআনের অলৌকিতত্ব কীব্র ভাবে স্বীকার করেন্ আর অজ্ঞানেরা
অজ্ঞতায় তারস্বরে চেচায়- কোরআন নিয়ে।

আজো যদি স্রেফ কোরআনেক বুঝতে পারতো- বিশ্ব আবার হাতের মুঠোয় চলে আসতো।

পোষ্টে +++

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিদ্রোহী ভৃগু ভাই , আপনার প্রথম এবং চমতকার মন্তব্যের জন্য।

আসলেই ঠিক তাই , "যে জানতে চায়.. সে জানতে পারে" ।আর তাইতো আললাহ বলেছেন ,"সৃষ্টিজগতের মাঝে অনেক নিদর্শন আছে চিন্তাশীলদের জন্য,যাতে তারা জানতে ও বুঝতে পারে"।

আর মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও ধর্মের অপব্যাখ্যা এবং ধর্মের সমালোচনা অনেকেই এ সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে ও বুঝেই করে থাকে।অথচ আল কোরআন এবং ধর্মে মানুষের জীবনের বেশীরভাগ সমস্যার সমাধান এবং জানার সূত্র হতে পারে যদি মানুষ যথাযথ ভাবে ধর্মের অনুসারী হয়।

আর মানুষ এটা ভূলে যায় যে , ধর্ম উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতিবন্ধক নয় বরং সহায়ক।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



মাটি থেকে হাঁড়িপাতিল ও ইট বানানো হয়।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

একদম সঠিক।মাটি থেকে হাড়ি-পাতিল ও ইট বানানো হয়।

দেখেন মাটি থেকে হাড়ি পাতিল বানানোর জন্য তাকে "কুমারের" কাছে যেতে হবে এবং ইট বানানোর জন্য "ব্রিকফিল্ড" শ্রমিকের নিকট। তা তাদের কাছে গেলে তারা মাটি দিয়ে চমতকার হাড়ি-পাতিল এবং ইট বানাতে পারবে। আর আপনার-আমার কাছে আসলে মাটি দিয়ে হাড়ি-পাতিল-ইট ত দূর তা একদলা মাটিই থাকবে ।

যার যেটা এবং যতটুকু জ্ঞান এবং যোগ্যতা।আর আললাহ মহাজ্ঞানী এবং সবকিছুর স্রষ্টা । তাইত তিনি মাটি থেকে আদম (আঃ) কে তৈরী করেছেন এবং তার পরবর্তী বংশধরদের বীর্য থেকে।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:০৮

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার ভাবে নুতফাহ সম্পর্কিত আয়াত ব্যাখ্যা করলেন। অনেকেই সকল মানুষ মাটির তৈরি বলেন। এবং ভুল বলেন। আমিও একসময় এই ভুলটিতে সঠিক বলে জানতাম।

এমব্রায়োলজি খুব মজার একটি বিষয়। কিছুটা কঠিনও বটে। ডাঃ কিথ মুরের তৃতীয় সংস্করন নিয়ে জানতাম না। আমাদের দেশে একটু সহজতর বই ল্যাংম্যানস মেডিকেল এমব্রায়োলজি পড়ানো হয়।

ধন্যবাদ। সুন্দর পোস্টের জন্য। এমব্রায়োলজি সম্পর্কিত হাদীসের কথাও বললেন। এই বিষয়ে জানা নেই। জানালে খুশি হবো।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাজিদ ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।

আসলে মনে অনেক প্রশ্ন আসে । কোথা থেকে আমি আসলাম, মরনের পর কোথায় যাব, কে সেই স্রষ্টা বা অদৃশ্য শক্তি যিনি আমাকে ,এ দুনিয়াকে সৃস্ষ্টি করেছেন - তা কি মরনের পর পরই শেষ হয়ে যাবে বা কোন উদদেশ্য ছাড়াই কি আমরা এ দুনিয়াতে এসেছি এ সকল প্রশ্ন চোখ বন্ধ করলেই তাড়িয়ে বেড়ায়।আর তার প্রেক্ষাপটে জানার এ চেষ্টা ।

আমরা আসলেই অনেক কিছু জানিনা বা অনেক কিছু ভূল জানি ।আর জানার এ চেষ্টাই মানুষ কে অন্যসব সৃস্ষ্টি থেকে আলাদা করে রেখেছে। ইনশাআললাহ চেষ্টা করব পরবর্তী লেখায় আপনার জানার আগ্রহের বিষয়ে লিখতে।
আর সাধারন ভাবে এটা একটা প্রচলিত ধারনা ,সকল মানুষই মাটির তৈরী।এটা আসলেই ভূল ধারনা।

৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৩৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



কিছু কিছু ব্লগারকে মাটি থেকে বানানো হয়েছে, মনে হয়; এটাই আপনার পোষ্টের পক্ষে যাবে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য

সাধারন ভাবে আমাদের সমাজে এটা একটা প্রচলিত ধারনা যে,সকল মানুষই মাটির তৈরী।এটা আসলেই আমাদের একটি ভূল ধারনা। আর ব্লগারা ও মানুষ ।তারা মংগলগ্রহ থেকে আসেনি বা এলিয়েন নয়।তারা আর সব সাধারন মানুষের মতই তবে তারা হয়ত একটু বেশী জ্ঞানী,এতটুকুই।

আর মানুষের তৈরী সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন -"অতএব, মানুষের দেখা উচিত কি বস্তু থেকে সে সৃজিত হয়েছে। সে সৃজিত হয়েছে সবেগে স্খলিত পানি থেকে। এটা নির্গত হয় মেরুদন্ড ও বক্ষপাজরের মধ্য থেকে"। (সূরা তারিক - আয়াত ৫-৭)

আমরা আসলেই অনেক কিছু জানিনা বা অনেক কিছু ভূল জানি ।আর জানার এ চেষ্টাই মানুষ কে অন্যসব সৃস্ষ্টি থেকে আলাদা করে রেখেছে। আর জানার জন্য খোলা মন নিয়ে চেষ্টা করাটাই জরুরী।

৫| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাজিদ বলেছেন, "ধন্যবাদ। সুন্দর পোস্টের জন্য। এমব্রায়োলজি সম্পর্কিত হাদীসের কথাও বললেন। এই বিষয়ে জানা নেই। জানালে খুশি হবো। "

-আমাদের নবী (স: ) এমব্রায়োলজিতে পিএইচডি করেছিলেন।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই , আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য

না আমাদের নবী হযরত মুহামমদ (সঃ) শুধু এমব্রায়োলজিতে পিএইচডি করেছিলেন না বরং তিনি ছিলেন এই দুনিয়া সম্পর্কিত সকল বিষয়ে পিএইচডি ধারী থেকেও বেশি।আর তিনি ছিলেন সত্যে-শান্তির সন্ধানদাতা,প্রকৃত জ্ঞানী ও অনুসন্ধানী।

মানুষের মধ্যে যারা জ্ঞানী ও সত্যের অনুসন্ধানী, কেবল তারাই খুঁজে পেয়েছেন সেই সত্যের ও শান্তির সন্ধান, খুঁজে পেয়েছেন একমাত্র প্রতিপালক আল্লাহকে এবং জেনেছেন নিজের চিরস্থায়ী গন্তব্যের প্রকৃত ঠিকানা।

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থার নাম। সব সংঘাত সংঘর্ষের চিরন্তন ও মহাসমন্বয় হচ্ছে ইসলাম। জীবনাদর্শ, জীবন ব্যবস্থা ও জীবন বিধান হিসেবে ইসলামে রয়েছে সব সমস্যার সঠিক সমাধান। এতে রয়েছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি সমস্যার সমাধান আর মৃত্যুর পর আখেরাতের অনন্ত জীবনে নিশ্চিত সুখ-শান্তি লাভের উপায়

** বিখ্যাত দার্শনিক জর্জ বার্নার্ড শ বলেছিলেন, :আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি যে, ‘মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রচারিত ধর্ম ‘ইসলাম’ আগামী দিনের ইউরোপবাসীদের কাছে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হবে। ইতিমধ্যে আজকের ইউরোপবাসী ইসলাম গ্রহণ করতে শুরু করেছে।" (জেনুইন ইসলাম)

বর্তমান বিশ্ব, বিশেষত খ্রিষ্টবাদের প্রাণকেন্দ্র ইউরোপ ও আমেরিকার দিকে তাকালেই জর্জ বার্নার্ড শ’র সেই ভবিষ্যদ্বাণীর বাস্তবতার প্রমাণ মেলে। সত্য আর শান্তির সন্ধানে মানুষ পাগলপারা হয়ে ইসলামের সঠিক বিশ্বাসের দিকেই ছুটে আসছে। ইসলামের সুশীতল ছায়াতলে আশ্রয় নিচ্ছে।

৬| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:




আমার মনে হচ্ছে, আপনাকে ভালো মাটি থেকে বানায়েছেন আল্লাহ, আপনার লেখাটা অনেকটা মাটির মতো; নম্রতার দিক থেকেও আপনি মাটির মানুষ।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: মানুষের তৈরী তথা তার আচরণ ও বৈশিস্ট্য তার বংশানুক্রমিক জিনের চরিত্রের উপর নিভ`রশীল।আল্লাহ আমাকে,আপনাকে আমাদের সকলকে তৈরী করেছেন পানি থেকে।আর আপনার কোন বিষয় য় টায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে যদি বলেন তাহলে সে বিষয়ে বলতে চেষ্টা করব বা আপনি আসলে কোন জায়গায় এবং কেন ভিন্নমত পোষন করছেন বলবেন কি?

৭| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২১

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কোরান এমন এক গ্রন্থ যা পৃথীর মানুষ কোন কালেই বুঝতে পারবে না ১৪০০ বছরে যখন পারে নাই আর কখন পারবে।এটা অন্য গ্রহের জন্য ভুলে এখানে চলে এসেছে।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৩৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই,আপনার মন্তব্য এর জন্য। বিশ্বাসী এবং আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধাশীল দের জন্য কোরান একটি সংবিধান এবং মানব জীবন এর সকল সমস্যার সমাধান সেখান আছে। আর অবিশ্বাসীদের জন্য তা আর সব বইয়ের মত একটি বই মাত্র।কোরান তাদের জন্যই যাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা এবং মাগফেরাত। আর তাইত আল্লাহ বেহেশত -দোজখ তৈরী করে রেখেছেন উভয়কে যথাযথ প্রতিদান দেবার জন্য। আর চিন্তাশীল মানুষ সবসময়ই আল কোরান থেকে তাদের চলার পথের সন্ধান পেয়ে যায় আর অবিশ্বাসী রা তার সমালোচনা করে নিজেদের ক্ষতি ই করে।

৮| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি ভাই ধর্মের আলকে চিন্তা ভাবনা করা বাদ দিয়েছি। আমার চিন্তা ভাবনা বিজ্ঞানের সাথে। কারন আমি আধুনিক মানুষ।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদরাজিব নুর ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

ভাই আপনি বলেছেন ধর্ম নিয়ে আপনি চিন্তা করেন না কারন আপনি বিজ্ঞানের সাথে । এখানে শুধু এটুকুই বলার আছে যে, বিজ্ঞান ও ধর্ম সাংঘর্ষিক নয় বরং একে অপরের পরিপূরক।কোরআন মুসলমানদের প্রকৃতি অধ্যয়নের এবং সত্যের তদন্ত করার জন্য উৎসাহ দেয়।
এ প্রসংগে আল কুরআনে বলা হয়েছে - "তিনি তোমাকে তাই শিখিয়েছেন যা তুমি জানতে না ।"সূরা আল-বাকারা -আয়াত- ২৩৫। এ থেকে এটাই সমর্থন করে যে কোরআন নতুন জ্ঞান অর্জনের জন্য উৎসাহ প্রদান করে । কিছু মুসলিম লেখকদের মতে, বিজ্ঞান অধ্যয়ন তওহীদ থেকে উৎপন্ন হয়েছে ।

কিছু মুসলিম লেখক দাবি করেছেন যে কোরআন বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণীমূলক বিবৃতি তৈরি করেছে যা পরে বৈজ্ঞানিক গবেষণা দ্বারা নিশ্চিত করা হয়েছিল । যাইহোক, সবাই এর সাথে একমত না, এমনকি কিছু মুসলিম এর নিন্দা ও করেছেন।

পদার্থবিজ্ঞানী আবদুস সালাম বিশ্বাস করেন যে ইসলাম ও আবিষ্কারের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই যা বিজ্ঞান মানবজাতিকে প্রকৃতি এবং মহাবিশ্বের ব্যাপারে ধারণা দিয়েছে ,এবং কোরআন অধ্যয়ন ও এর যুক্তিসঙ্গত প্রতিফলন ইসলামী সভ্যতা উন্নয়নের উৎস হিসাবে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে । সালাম বিশেষ করে ইবনে আল-হায়থাম ও আল-বেরুনীকে হাইলাইটস করেছেন যারা গবেষণামূলক প্রবর্তক হিসেবে পরীক্ষামূলক পদ্ধতিটি চালু করেছিলেন, শুধু তাই নয় অ্যারিস্টটলের প্রভাব থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং আধুনিক বিজ্ঞানের জন্ম দিয়েছিলেন ।

ইসলাম বৈজ্ঞানিক অগ্রগতিকে উৎসাহিত করেছে বা বাধা দিয়েছে কিনা তা বিতর্কিত । সাইয়িদ কুত্ববের মতো ইসলামপন্থীরা তর্ক করে যে "ইসলাম মুসলমানদের "ঈশ্বরের প্রতিনিধি হিসেবে নিযুক্ত করেছে এবং তাদের সকলকে বিজ্ঞান শিক্ষার জন্য উৎসাহিত করেছেন"। সত্যিকার মুসলমান ছাড়া একটি সমাজে বিজ্ঞান সফল হতে পারে না বলেও তিনি মনে করেন ।

আবার অনেকে দাবি করে যে, "ইসলামের ঐতিহ্যগত ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের বিকাশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়"।আসলে ভাই পৃথিবীর শুরু থেকে মানুষে মানুষে মতের অমিল,বিতর্ক ছিল , আজো আছে এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে ।তাই বলে ধর্মের প্রয়োজন শেষ হয়ে যাবেনা বরং যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন ধর্ম থাকবে । আপনি-আমি হয়ত থাকব না।

৯| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন, " ... আর আপনার কোন বিষয় য় টায় বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে যদি বলেন তাহলে সে বিষয়ে বলতে চেষ্টা করব বা আপনি আসলে কোন জায়গায় এবং কেন ভিন্নমত পোষন করছেন বলবেন কি? "

-আমার ধারণা, মানুষ সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতির বিবর্তনে, এবং মানুষ আল্লাহকে সৃষ্টি করেছেন ধর্মের মাধ্যমে।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনি বলতে চাচছেন, মানুষ সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতির বিবর্তনে।

চার্লস ডারউইন ১৮৫৯ সালে তার বই অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস প্রকাশ করেন। আসুন দেখি তার কি মতবাদ ,"আধুনিক বিজ্ঞানের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার তার অন্যতম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব।তার এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে প্রাণীরা সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।বিবর্তনবাদের এই তত্ত্বটি আমাদের পৃথিবীর পশুপাখি ও উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কে বুঝতে বড়ো ধরনের ভূমিকা রেখেছে।তার এই প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন যার মাধ্যমে একটি প্রাণীর জনগোষ্ঠী থেকে নতুন প্রজাতির উদয় ঘটে।অর্থ্যাত মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর বিবর্তনের মধ্যদিয়ে ।এটাই বিবর্তন তত্ত্বের মূলভাব।

বিবর্তন বিরোধিতা একটি বিশ্বাসগত অথবা বৈজ্ঞানিক অবস্থান যা মানুষের উদ্ভবের ও বিকাশের বিবর্তন তত্ত্ব কে অস্বীকার করে। বিবর্তনবাদের ধারণা ঊনিশ শতকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর বিজ্ঞানী, ধর্মতত্ববিদ এবং সাধারণ মানুষ স্ব স্ব দৃষ্টিকোণ থেকে এ তত্ত্বের বিরোধিতা শুরু করে। অধিকাংশ মানুষ পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবকে ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত ও অবদান বলে বিশ্বাস করে। এ বিশ্বাস সকল ধর্মগ্রন্থ সমর্থিত। বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভবের তত্ত্ব বৈজ্ঞানিকদের বিরোধিতারও সম্মুখিন হয় কারণ বিবর্তনবাদের বয়ান যৌক্তিক প্রতীয়মান হলেও এ মতবাদ প্রমাণ করা সম্ভব ছিল না।

বিবর্তবাদের সমালোচনাকারীরা বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে শুধুমাত্র একটি থিওরী বা তত্ত্ব বলেন দাবী করেন এবং তারা জোর দেন যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব কখনোই বাস্তব নয়। এই তত্ত্ব বিভ্রান্তিকরভাবে নিজেকে প্রকাশ করে এবং এর কোনো প্রমাণস্বাপেক্ষ না। তাই বিবর্তনবাদ ফ্যাক্ট নয়, শুধুই তত্ত্ব।

আর বিবর্তনবাদ নিয়ে সৃজনবাদীদের একটা বক্তব্য হল, এটা বিতর্কিত।তারা বলতে শুরু করল, বিবর্তনবাদ যদিও বিতর্কিত তারপরেও তোমরা এটা শিখাও, তবে এই ব্যবস্থা করো যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইচ্ছেমত বিবর্তনবাদ আর সৃজনবাদের মধ্যে বিষয় নির্বাচন করতে পারে।নব্য সৃজনবাদীদের বিবর্তন নিয়ে একটা প্রচলিত অভিযোগ হচ্ছে: বিবর্তন বিজ্ঞানের ধারা অনুসরণ করে না,তাই এটা খাটি বিজ্ঞান নয়। একে বিজ্ঞানের শ্রেণিতে পাঠদান করা উচিত নয়।

১৯৭৬ সালে দার্শনিক কার্ল পোপার বলেছিলেন "ডারউইনিজম কোনো পরীক্ষণীয় বৈজ্ঞানিক মতবাদ নয়, বরং আধ্যাত্মিক গবেষণার বিষয়।"পরবর্তীতে তিনি তার চিন্তাধারা পরিবর্তন করে বলেন ডারউইনের "প্রাকৃতিক নির্বাচনের এই মতবাদ পরীক্ষা করা কঠিন" যেভাবে উচ্চতর বিজ্ঞানের অনেক বিষয় পরীক্ষা করা যায় না।

একটা সময় পুর্বের তুলনায় বিবর্তন বিরোধিতা আরো বেশি বেড়ে যায়, দাবী করা হয় বিবর্তন শুধু অবৈজ্ঞানিকই নয় অকল্পনীয় এবং এটা অসম্ভব, কারণ এটা প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক এবং এটা পৃথিবীতে বিদ্যমান জীববৈচিত্র্য তৈরী করতে পারবে না।বেঁচে থাকা জীবন্ত যা কিছুর দিকেই দেখা হোক না কেন,তার রয়েছে আশ্চর্যজনক জটিলতা। এই জটিলতা তার শারীরিক বিন্যাসে, কোষীয় পর্যায়ে এবং এমনকি আণবিক পর্যায়েও দেখা যায়। এই জটিলতা যদি একটুও কম হত অথবা প্রাণে একটু এদিক সেদিক হত, তবে তা কখনোই কাজ করত না। এ থেকে একটাই সিদ্ধান্তে আসা যায়; আর তা হলো এগুলো কোনো বুদ্ধিমান সত্তাই সৃষ্টি করেছে, বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় নি।

আর এ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বলতে গেলে কয়েকটি পোস্ট দরকার মন্তব্যে সব কিছু লেখা সম্ভব না।

১০| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৩:৪৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আমেরিকা আর ইরানের সমস্যা,আমেরিকা আর চীনের সমস্যা,আমাদের রুহিঙ্গ সমস্যা।এই সমস্যা গুলোর সমাধান কোরানের আলোকে সমাধান করেদিন।এছাড়া আরো হাজার হাজার সমস্যা আছে।
গাজাখুরী গল্পেরও একটা সিমা পরিসিমা আছে এর তাও নাই।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:২৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নুরুল ইসলাম ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

আপনি "গাজাখুরী গল্পেরও একটা সিমা পরিসিমা আছে এর তাও নাই" এটা বলে আপনি কোন বিষয়টা বুঝাতে চাচছেন ? আমি পরিষ্কারভাবে বুঝতে পারিনি।

আপনার যদি ধর্মের বিষয় নিয়ে বিরোধ থাকে বা চিন্তা করেন তাহলে বলব, ৮ নং মন্তব্যের জবাব দেখার জন্য। কারন আপনি ধর্মের সাথে না থেকে বিজ্ঞানের সাথে থাকলে তার জবাব ৮ নং মন্তব্যে দেয়া হয়েছে।

আর আপনি যদি বিবর্তনবাদ তত্ত্বের অনুসারী হন তাহলে বলব ৯ নং মন্তব্যের জবাব দেখার জন্য।তার জবাব ও ৯ নং মন্তব্যে দেয়া হয়েছে।

আর আপনি যদি এ দুটার কোনটারই অনুসারী না হন মানে এর কোনটাই আপনি না মানেন, তাহলে যদি আপনি স্থির করে বলেন আসলে কি জন্য আপনার এ পোস্ট "গাজাখুরী গল্প" মনে হচছে তাহলে আপনার মানসিক দ্বন্দ্ব দূরীকরনের জন্য আরো ভালোভাবে আপনার জবাব দিতে চেষ্টা করব।

আর এ দুয়ের বাইরে সংশয়বাদীরা আছে । আপনি যদি সংশয়বাদী হন তবে এ ব্যাপারে পরে আলোচনা করা যাবে।

আর আমেরিকার সাথে ইরান-চীনের সমস্যা এটা ধর্মীয় সমস্যা নয় ভাই । এ স্বার্থের দ্বন্দ্ব-সংঘাত।যার শুরু ধর্ম না মানার কারনেই হয়েছে।

আর আমাদের দেশের সাথে রোহিংগা সমস্যা এটাও ধর্মীয় সমস্যা নয় ভাই রাজনৈতিক ।যা এই পোস্টের বিষয়ের সাথে কোন ভাবেই প্রাসংগিক নয়।তারপরও বলব , এই পৃথিবীতে প্রচলিত সকল ধর্মের অনুসারীরাই যদি যথাযথ ভাবে ধর্মের নিয়ম কানুন মেনে চলত তাহলে পৃথিবীতে এত অশান্তি থাকতনা। আর এসব অশান্তির জন্য ধর্ম দায়ী নয় আমাদের লোভী মানষিকতাই দায়ী।

১১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৪৭

রাসেল বলেছেন: Thanks. Blog gives us an opportunity to be enrich in knowledge. Some blogger misguide also. This is being done since the beginning of this world.
Sometimes it seems, scientists are less qualified than the blogger about science matter.

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: Thanks a lot for your comments।

We can known each other,enrich the knowledge by use the blog & share with each other thought use by logic.
From the beginning there are two side. one is positive & other one negetive. As a human beings, They have common nature & intention that they are always trying to know .it's a good symptom.
But problem is there, if they are not maintain the logic or they are not follow & not try to understand any reasonable rules.

১২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: আপুনি অনেক গুলা গুরুত্বপুর্ন তথ্য দিয়েছেন কিন্তু এই তথ্যের কোন লিংক বা তথ্য সূত্র দেন নাই , তাই তথ্য গুলো প্রশ্ন দায়ক।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

এ দুনিয়ায় কোন কিছুই প্রশ্নের বাইরে নয়।আর জানার জন্য প্রশ্ন করতেই হয় ।আর কোন বিষয়ে নিজের মতামত তথা লেখা লিখলে এটা লেখকের নৈতিক দায়িত্বও পাঠকের প্রশ্নের জবাব দেয়া ।আমি সবসময় চেষ্টা করি বিষয়বস্তুুর আলোকে সকল প্রশ্নের জবাব দিতে।আর চেষ্টা করি তথ্যসূত্র উলল্যেখ করতে।

তারপরেও ,আলোচ্য পোস্টে কোন তথ্যটি সম্পর্কে জানতে চান তা যদি বলেন তাহলে আমি আপনার জানার ইচছা পূরন করতে চেষ্টা করব।

১৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: বিজ্ঞান ও ধর্ম সাংঘর্ষিক নয় বরং একে অপরের পরিপূরক। এই কথাটা ভুল। তবে কিছু মানুষ এমনটা ভাবে শান্তি পায়।

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

ভাই যদি ইতিবাচক মানসিকতায় দেখা হয় তাহলে বিজ্ঞান ও ধর্ম সাংঘর্ষিক নয়।আর যদি সমালোচকের দৃষ্টিতে দেখা হয় তা তর্ক সাপেক্ষ আর যদি অবিশ্বাসী দৃষ্টিতে দেখা হয় তাহলে বিজ্ঞান ও ধর্ম শুধু সাংঘর্ষিক নয় মহাসাংঘর্ষিক। কারন, যে কোন যুক্তিই অবিশ্বাসীদের দৃষ্টিতে গ্রহনযোগ্য নয় বা যতরকম যুক্তিই দেয়া হোকনা কেন অবিশ্বাসী তার সাথে একমত হবেনা।

আর এই দুনিয়ায় কেউ শতভাগ সঠিক এবং যথার্থ নয় ।অবস্থা ,অবস্থান এবং ঘটনার প্রেক্ষাপটে একই জিনিষের একাধিক রকম ব্যাখ্যা হয়।কাজেই কোন কিছুই সার্বজনীন নয় বা যে কোন বিষয়ে শতভাগ মানুষ একমত হবে এটা আশাও করা যায়না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.