নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - newsone24.com
শেষনবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত (মুসলমানদের) উপর মহান আল্লাহর অন্যতম একটি অনুগ্রহ এই যে, তাদের জন্য তিনি ইবাদতের বিশেষ বিশেষ কিছু দিন বা সময় নির্ধারিত করে দিয়েছেন। যাতে করে বান্দা ওইসব সময়ে নিজের আমল বৃদ্ধি এবং মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের আশায় বেশী বেশী ইবাদত করে বেশী পরিমাণে নেক হাসিল করতে পারে। প্রকৃত সৌভাগ্যবান সেই, যে এইসব সময়কে মূল্যবান মনে করে যথাযথ মূল্যায়নের চেষ্টা করে। এমনসব বিশেষ সময়ের মধ্য থেকে একটি হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশদিন। পবিত্র কোরআন ও সুন্নায় এই দিনগুলোর ফজিলত বহুভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
দুনিয়ার পরিবর্তে আখেরাত, পাপের পরিবর্তে পূণ্য ও মানুষের সন্তুষ্টির পরিবর্তে আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে আমৃত্যু ইবাদত করলে অবশ্যই ইহকালে শান্তি ও পরকালে মুক্তি নিশ্চিত।আল্লাহতায়ালা মহান দয়ালু ও মহাক্ষমাশীল। তার মতো দয়ালু ও ক্ষমাকারী আর কেউ হতে পারে না। তিনি তার হুকুম পালনকারী ও অনুগতদের জন্য সৃষ্টি করেছেন চিরস্থায়ী সুখের নিবাস জান্নাত। যাতে তারা পরকালীন অনন্ত জীবনে পরম শান্তিতে বসবাস করতে পারে। কিন্তু মানুষ প্রবৃত্তির অনুসারী, নিজের অজান্তে কিংবা শয়তানের প্ররোচনায় অসংখ্য গুনাহে জড়িয়ে পড়ে। আর সেই অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলগুলোই চিরস্থায়ী সুখের নিবাস জান্নাতের সামনে বাঁধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায়।
কিন্তু মহান আল্লাহ ক্ষমা করতেই ভালোবাসেন। তাই গুনাহগার বান্দারা যেন হতাশ না হয়, সেজন্য ক্ষমার আশ্বাস দিয়ে বলেছেন,"বলুন, হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ সমস্ত গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (সুরা জুমার - আয়াত, ৩৯)।যারা ভুল পথে পা বাড়িয়েছেন বা ভূল করেছেন, তাদের ভুল শোধরানোর জন্য আল্লাহতায়ালা কিছু বিশেষ সময় নির্ধারণ করে রেখেছেন। যাতে সে সময়গুলোতে বান্দা বেশি বেশি ইবাদত করার মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারে, নিজেদের পাপ ও গুনাহ মাফ করিয়ে নিতে পারে। এমনই এক বিশেষ সময় হলো জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন। এই দিনগুলোকে রাসুল (সাঃ) বছরের শ্রেষ্ঠ দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ছবি - ekushey-tv.com
কীভাবে এ রহমতময় দিনগুলো অতিবাহিত করা উচিত
একজন মুসলমানের জন্য উচিত হলো, আল্লাহ প্রদত্ত ইবাদতের এই বিশেষ দিনগুলোরজন্য পূর্বপ্রস্তুতি গ্রহণ করা এবং যথোপযুক্ত উপায়ে এ সময়কে স্বাগতম জানানো। জিলহজ মাসের বরকতময় এই দশদিনেও আমরা বিভিন্নভাবে ইবাদত করতে পারি এবং গুনাহ মাফের জন্য চেষ্টা করতে পারি।
১। তওবা - ইবাদতের ফজিলতপূর্ণ এ সময় শুরু হওয়ার আগেই সঠিকভাবে তওবা এবং আল্লাহর প্রতি ফিরে আসার দৃঢ় প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞা করা বাঞ্চণীয়। বস্তুত তওবার মধ্যে দুনিয়া ও আখেরাতের সমূহ কল্যাণ নিহিত। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, "আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, নিজদের ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাই এর ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীগণ, তাদের ডান হাত যার মালিক হয়েছে, অধীনস্থ যৌনকামনামুক্ত পুরুষ অথবা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ বালক ছাড়া কারো কাছে নিজদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। আর তারা যেন নিজদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশ করার জন্য সজোরে পদচারণা না করে। হে মুমিনগণ, তোমরা সকলেই আল্লাহর নিকট তাওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।"(সূরা আন-নূর,আয়াত - ৩১)
২। ভাল কাজের সংকল্প ও করার চেষ্টা করা - আমাদের প্রত্যেককে নেক ও পুণ্যময় আমল দ্বারা বিশেষ সময়গুলোকে কাজে লাগানোর দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা উচিত যাতে আল্লাহর পথে যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে আল্লাহ তাকে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার রাস্তাগুলো সহজ করে দেন। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন,"যারা আমার পথে সাধনায় আত্মনিয়োগ করে, আমি অবশ্যই তাদেরকে আমার পথে পরিচালিত করব। নিশ্চয় আল্লাহ সৎকর্মপরায়ণদের সাথে আছেন।"(সূরা আনকাবুত,আয়াত - ৬৯)
৩। পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করা - নেক আমল যেভাবে আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম, তেমনি পাপকাজ আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত হওয়ার কারণ। অতএব নেক আমল করে ইবাদতের বিশেষ সময়গুলো থেকে উপকৃত হওয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত হলো নিজেকে সবরকমের অন্যায়-অশ্লীল এবং যাবতীয় গোনাহের কাজ থেকে নিবৃত্ত রাখা বা রাখার চেষ্টা করা।
মুসলমানদের জন্য বছরের সেরা দশদিন
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত ,রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, "এমন কোনো দিন নেই, যার আমল জিলহজ থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয়"। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞেস করলেন, "হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) আল্লাহর পথে সংগ্রাম-জিহাদও নয়? জবাবে রাসুল (সাঃ) বললেন, "আল্লাহর পথে জিহাদও নয়। তবে যে ব্যক্তি তার জান-মাল নিয়ে আল্লাহর পথে যুদ্ধে বের হলো এবং এর কোনো কিছু নিয়েই ফিরে না এলো, (অর্থাৎ যে শাহাদাত বরণ করেছেন) তার কথা ভিন্ন।"(সহিহ বুখারি, হাদিস নং - ৯৬৯)।
প্রথমত আল্লাহতায়ালার কাছে প্রত্যেকটা দিনই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা তিনিই তো এই দিন-রাতের স্রষ্টা। দিন-রাত প্রত্যেকটিকেই তিনি অনন্য গুণে গুণান্বিত করেছেন। তবে এই দিনগুলোতে যেহেতু সবগুলো মৌলিক ইবাদতের সমাবেশ ঘটে, সেহেতু এ দিনগুলোর শ্রেষ্ঠত্ব অন্যান্য দিনের চেয়ে অধিক হওয়াই যুক্তিসংগত। যেমনটা প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ আল্লামা ইবনে হাজর আসকালানি (রঃ) তার বুখারি শরিফের ব্যখ্যাগ্রন্থ ফাতহুল বারিতে উল্লেখ করেছেন।তিনি লিখেছেন, "জিলহজের দশকের বৈশিষ্ট্য ও কারণ যা প্রতীয়মান হয়, তা হলো এতে সব মৌলিক ইবাদতের সন্নিবেশ ঘটে। যেমন- সালাত, সিয়াম, সদকা, হজ ইত্যাদি। অন্য কোনো দিন এতগুলো ইবাদতের সমাবেশ ঘটে না।" (ফাতহুল বারি : ২/৪৬০)।
ছবি -assunnahtrust.org
জিলহজ মাসের রোজার সওয়াব -
জিলহজ মাসের শুরু থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত রাসুল (সাঃ) সিয়াম পালন করতেন এবং যারা হজে যাবে না, তারা জিলহজ মাসের ৯ তারিখ, যেটা আরাফার দিবস রয়েছে, আরাফার দিবসে সিয়াম পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি কেউ মনে করেন, এই ৯ দিনই সিয়াম পালন করবেন, তাহলে তিনি করতে পারেন। আর এর মধ্যে কেউ যদি মনে করেন, এর বেশির ভাগ সিয়াম পালন করবেন, সেটাও করতে পারেন। যেহেতু নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল আল্লাহর কাছে সবচেয়ে বেশি প্রিয় আমল, এমনকি আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের চেয়েও বেশি প্রিয় আমল। সুতরাং, এই কাজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার কারণ এই দিনগুলোতে সিয়াম পালন করা যেতে পারে। শুধু ঈদের দিন সিয়াম পালন করতে পারবেন না।কারন ঈদের দিন রোজা রাখা হারাম।
এই গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলো ইবাদতের মাধ্যমে অতিবাহিত করে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো আমাদের জন্য অতীব জরুরি। দুনিয়ার পরীক্ষার দিনগুলোতে যদি সবচেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করার লক্ষ্যে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাতে পারি তবে আখেরাতের পরীক্ষার জন্য এমন গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলোতে সর্বাধিক প্রচেষ্টা আমরা কেন করতে পারব না? এ দিনগুলোতে আমল করার সওয়াব তো বছরের অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক অনেক বেশি। আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "জিলহজের দশ দিনের ইবাদত আল্লাহর কাছে অন্যান্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়। এ মাসের প্রত্যেক দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো, আর প্রত্যেক রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো।" (তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং - ৭৫৮)।
ছবি - daily-bangladesh.com
বেশী বেশী নফল ইবাদত
জিলহজ মাসের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত যতদিন সম্ভব নফল রোজা রাখা আর রাতের বেলা বেশি বেশি ইবাদত করা একজন সত্যিকার মুমিনের বৈশিষ্ট্য। তাই এই দিনগুলোতে নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, তাওবা-ইস্তিগফার ও ক্ষমা-প্রার্থনা এবং কান্নাকাটির মাধ্যমে রাত কাটানো কিংবা যতটুকু সম্ভব ইবাদত করা উচিত। পুরো নয়দিন রোজা না রাখতে পারলেও আরাফার দিনে রোজা রাখা খুবই উত্তম।আবু কাতাদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত , রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, "আরাফার দিনের রোজার ব্যাপারে আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী যে, এ রোজা তার আগের ও পরের বছরের গুনাহ মুছে ফেলবে।" (মুসলিম শরিফ, হাদিস নং - ৭৪০)।
আরাফার দিনের আরেকটি আমল হলো- নিম্নোক্ত কালিমাটি বেশি বেশি পড়া ,"লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু বিয়াদিহিল খাইরু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন কাদির।" (মুসনাদে আহমদ, হাদিস নং - ৬৯২২)।
তাকবিরে তাশরিক
জিলহজ মাসের নবম তারিখের ফজর থেকে তের তারিখের আসর পর্যন্ত প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক বুদ্ধিমান মুসলিম নারী-পুরুষের জন্য একবার তাকবিরে তাশরিক বলা ওয়াজিব। উল্লেখ্য, পুরুষের জন্য শব্দ করে আর নারীদের জন্য নীরবে বলা ওয়াজিব।তাকবিরে তাশরিকটি হচ্ছে- "আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার। লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ।"(সুনানে বায়হাকি, হাদিস নং - ৬০৭১)।
আল্লাহর উদ্দেশ্যে কোরবানি করা -
জিলহজের প্রথম দশকের অন্যতম আরেকটি দিবস হলো কোরবানির দিন। হাদিসে এসেছে, "আল্লাহর কাছে সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ দিন হলো, কোরবানির দিন, অতঃপর স্থিরতার দিন (কোরবানির পরের দিন)।"(সুনানে নাসায়ী,হাদীস নং - ১০৫১২)।এদিনের সবচেয়ে বড় আমল হলো ঈদের নামাজ শেষে কোরবানি করা। যারা কোরবানি দেবেন তাদের জন্য আরেকটি আমল হলো, জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার পর থেকে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশম ইত্যাদি কাটা বা ছাঁটা থেকে বিরত থাকা এবং কোরবানির দিন তা কাটা বা পরিষ্কার করা। কেননা এ কাজটি সুন্নাত।
ছবি - jagonews24.com
হযরত উম্মে সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সাঃ) ইরশাদ করেছেন- "যখন (জিলহজের প্রথম) ১০দিনের সূচনা হয়, আর তোমাদের কেউ কোরবানি করার ইচ্ছে করে, সে যেন চুল-নখ ইত্যাদি না কাটে।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নং - ৩১৪৯)।তবে খেয়াল রাখতে হবে হাত-পায়ের নখ, মাথার চুল ও অবাঞ্ছিত পশমের বয়স যেন চল্লিশ দিনের বেশি না হয়ে যায়। আর এ জন্য উত্তম হলো জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার কিছুদিন আগেই তা পরিষ্কার করে ফেলা।
মহান আল্লাহতায়ালার অশেষ রহমতপূর্ণ দিনগুলি আমাদের যাদের নসিব করবেন, তিনি যদি আমাদের মতো পাপী-তাপী বান্দাদের স্বীয় অনুগ্রহে এমন দিনগুলি জীবিত ও সুস্থ্ রাখেন এবং এমন সব নেক আমল করার সুযোগ দেন তাহলে এই সুযোগের সদ্বব্যহার করাও আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরি।আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে জিলহজ মাসে বেশী বেশী নেক আমল করার তওফিক দান করুন।আসুন আমরা সকলেই এই মহিমাময় দিনগুলোতে বেশী বেশী নেক আমল করার চেষ্টা করি।
=======================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
ঈমান ও আমল - ৯ Click This Link
(" শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা " - যা সারা বছর রোজা রাখার সওয়াব হাসিলে সাহায্য করে। পবিত্র রমজানের পর যা সকল মুসলমানেরই রাখা উচিত)।
ঈমান ও আমল - ৮ Click This Link
(আজ পবিত্র " লাইলাতুল কদর তথা সম্মানিত রাত "। মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলমানদের করণীয় ।)
ঈমান ও আমল - ৭ Click This Link
("যাকাত " ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা আল্লাহর অনুগত বান্দাদের জন্য অশেষ ছওয়াব, রহমত ও মাগফিরাতের পাশাপাশি আত্মশুদ্ধির ও প্রতিশ্রুতি দেয়)।
ঈমান ও আমল - ৬ Click This Link
("রোযা" ইসলামের তৃতীয় ও গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যার বিনিময় বা প্রতিদান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিন নিজেই দিবেন)।
ঈমান ও আমল - ৫ Click This Link
(" নামাজ " ইসলামের দ্বিতীয় ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ । যা মুসলিম-অমুসলিমের মাঝে পার্থক্যকারী সূচক হিসাবে বিবেচিত এবং মুসলমান মাত্রই দৈনিক ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে)।
ঈমান ও আমল - ৪ Click This Link
("ইসলামের পঞ্চস্তম্ভ" - যার শুরুটা কালেমা বা ঈমানে। যা শুধু মুখে বলা নয়, অন্তরে বিশ্বাস ও কর্মে পরিণত করার বিষয়)।
ঈমান ও আমল - ৩ Click This Link
(তাহাজ্জুদ নামাজের ফজিলত ও গুরুত্ব )।
ঈমান ও আমল - ২ Click This Link
("শুক্রবার - পবিত্র জুমা"- মুসলমানদের জন্য এক মর্যাদা ও ফজিলত পূর্ণ দিন এবং জুমার দিনের কতিপয় আমল )।
ঈমান ও আমল - ১ Click This Link
(যেসব আমলে মানুষের অভাব দূর হয় ও জীবন সুখের )।
১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সামিউল ইসলাম বাবু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
কষ্ট করে পড়া ও প্রিয়তে নেয়ার জন্য আবারো কৃতজ্ঞতাপূর্ণ ধন্যবাদ।
২| ১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর আলোচনা।
১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং শুকরিয়া।
৩| ১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৮
দেয়ালিকা বিপাশা বলেছেন: আলহামদুলিল্লাহ্। সুন্দর আলোচনা
১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দেয়ালিকা বিপাশা , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং কৃতজ্ঞতা কষ্ট করে পড়ার জন্য ।
৪| ১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:১৯
কামাল১৮ বলেছেন: ইসলাম কি বলে,রমজানের চেয়ে পবিত্র।
১২ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
রমজানের ১ মাস রোজা রাখা ফরজ এবং রমজানের শ্রেষ্ঠত্ম ও মহাত্ম আলাদা। জিলহজের ইবাদত নফল ইবাদত ।আর নফল ইবাদত কখনো ফরজ ইবাদতের সমতূল্য হতে পারেনা।
৫| ১১ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৫০
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফার দিবসে সিয়াম পালনে সম্ভবতো বিগত এক বছরের এবং আগামী এক বছরের গোনাহ মাফ হয়। এবছর রাখার ইচ্ছে আছে।
জিলহজ মাসের ৯ তারিখ পর্যন্ত নখ-চুল ইত্যাদির কাঁটার নিষেধের বিষয়টা বেশীর ভাগ মানুষ জানেন না। আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা এটা পালন করি আরো অনেক আগে থেকে।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আমাদের সবারই যতটুকু সম্ভব মেনে চলা উচিত ধর্মের বিধিবিধান। আল্লাহ আমাদের সকলকে বেশী বেশী নেক আমল করার তওফিক দিন এবং সাথে সাথে আপনার সকল নেক মকছুদ পূরণ করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০০
সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। প্রিয়তে