নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

" আল কোরআন " - সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী গ্রন্থ এবং মানব জাতির মুক্তির আলোকবর্তিকা।(আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৫)।

১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২৩


ছবি - shadow.com.bd

আল কোরআন শতাব্দীর পর শতাব্দী জীবন ও জগৎ সম্পর্কে কোটি কোটি মানুষের অন্তর্দৃষ্টি খুলে দিয়েছে, বদলে দিয়েছে তাদের ভেতর থেকে, খুলে দিয়েছে তাদের সম্ভাবনার দ্বার, দিয়েছে প্রশান্ত ও পরিতৃপ্ত জীবন। তাই আল্লাহর কালামের মর্মবাণীতে আন্তরিকভাবে নিমগ্ন হলে, বার বার পড়লে, বুঝার চেষ্টা করলে বাক্যের গভীরে,কোরআনই কথা বলবে আমাদের সাথে এবং আমি- আপনিও বদলাতে শুরু করব ভেতর থেকে। ধর্মের মানবিকতার জ্ঞানে জ্ঞানী এক আলোকিত মানুষ হব আমরা । আর আখেরাতের সম্মান তো শুধু স্রষ্টায় সমর্পিত সৎকর্মশীল মানুষদের জন্যেই। পরম করুণাময়ের করুণায় তারাই থাকবেন অনন্ত আনন্দলোকে।এখানে প্রশ্ন আসতে পারে,কেন বিশ্বাস করব কোরআন আল্লাহর কালাম? কেন বিশ্বাস করব কোরআন মানুষের রচনা নয়? কেন বিশ্বাস করব যে, কোরআন অনুসরণ করলে আমি ভালো থাকব? কেন বিশ্বাস করব যে, কোরআন আমাকে পার্থিব জীবনেও সুখী ও প্রাচুর্যবান করতে পারে?

আল কোরআন মানুষের প্রতি স্রষ্টার পক্ষ থেকে রহমত স্বরুপ । মানুষের এক জীবনে যা যা দরকার, তার সবই সাজানো রয়েছে মহাগ্রন্থ আল কোরআনের পরতে পরতে এবং তাতে অবিশ্বাস করার কোন উপায় নেই যে তা মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে নাজিলকৃত এবং কোরআন আল্লাহর কালাম। কারণ,আল কোরআন নাজিল হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত অনেকেই তাতে ভূল ধরার চেষ্টা করেছে তবে যারাই এরকম চেষ্টা চালিয়েছে তারাই শেষ পর্যন্ত আল কোরআনের মহিমায় মুগ্ধ হয়ে কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছে তথা ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে।আর এ প্রসংগে আল কোরআনে বলা হয়েছে, "এই কিতাব জগত্গুলোর প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ, এতে কোনো সন্দেহ নেই"।(সুরা সাজদা, আয়াত - ২)।

এ পবিত্র এবং মহাগ্রন্থ আল কোরআনে মানব জীবনের সব দিক-নির্দেশনার বর্ণনার পাশাপাশি মানবজাতীর প্রতি উপদেশ স্বরুপ বেশ কিছু আয়াত আছে।আসুন আমরা সেগুলো সম্পর্কে জানি -


ছবি - samakal.com

১। অন্যের বিপদে সাহায্য কর।(সুরা বাকারা,আয়াত - ২৭৩)।

"এগুলো (দান) অভাবগ্রস্থ লোকদের প্রাপ্য,যারা আল্লাহ্‌র পথে এমনভাবে ব্যাপৃত যে, দেশময় ঘুরাফিরা করতে পারে না।ত্মসম্মানবোধে না চাওয়ার কারণে অজ্ঞ লোকেরা তাদেরকে অভাবমুক্ত মনে করে।আপনি তাদের লক্ষণ দেখে চিনতে পারবেন । তারা মানুষের কাছে নাছোড় হয়ে চায় না। আর যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় কর, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সে ব্যাপারে সবিশেষ জ্ঞানী"।

২। সুদ পরিহার কর।(সুরা বাকারা, আয়াত - ২৭৫-২৭৬)।

"যারা সুদ খায় তারা তার ন্যায় দাঁড়াবে যাকে শয়তান স্পর্শ দ্বারা পাগল করে। এটা এ জন্য যে, তারা বলে , ‘ক্রয়-বিক্রয় তো সূদেরই মত।’ অথচ আল্লাহ্‌ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সূদকে হারাম করেছেন । অতএব, যার নিকট তার রবের পক্ষ হতে উপদেশ আসার পর সে বিরত হল, তাহলে অতীতে যা হয়েছে তা তারই এবং তার ব্যাপার আল্লাহ্‌র ইখতিয়ারে। আর যারা পুনরায় আরম্ভ করবে তারাই আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।আল্লাহ্‌ সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দানকে বর্ধিত করেন। আর আল্লাহ কোন অধিক কুফরকারী, পাপীকে ভালবাসেন না।"

৩। অপারগ ব্যক্তির ওপর সদয় হও,যদি ঋণগ্রহীতা অভাবগ্রস্ত হয়, তবে সচ্ছলতা আসা পর্যন্ত সময় দাও।(সুরা বাকারা,আয়াত - ২৮০)।

"আর যদি সে অভাবগ্রস্থ হয় তবে তাহলে তাকে সচ্ছল হওয়া পর্যন্ত অবকাশ দাও। আর যদি ঋণ মাফ করে দাও, তাহলে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম, যদি তোমরা উপলব্ধি কর।'

৪।হিসাব সংরক্ষণ করো বা ঋণের বিষয় লিখে রাখো।(সুরা বাকারা,আয়াত - ২৮২)।

"হে মুমিনগণ! তোমরা যখন একে অন্যের সাথে নির্ধারিত সময়ের জন্য ঋণের আদান-প্রদান কর তখন তা লিখে রেখো ; তোমাদের মধ্যে কোনো লেখক যেন তা ন্যায়ভাবে লিখে দেয়; কোনো লেখক লিখতে তা অস্বীকার করবে না, যেমন আল্লাহ্‌ তাকে শিক্ষা দিয়েছেন। সুতরাং সে যেন লিখে এবং যে ব্যক্তির উপর হক্ক রয়েছে (ঋণগ্রহীতা) সে যেন লেখার বিষয়বস্তু বলে দেয় এবং সে যেন তার রব আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তা থেকে কিছু যেন না কমায় (ব্যতিক্রম না করে)। অতঃপর যার উপর হক্ক রয়েছে (ঋণগ্রহীতা) যদি নির্বোধ অথবা দুর্বল হয় অথবা লেখার বিষয়বস্তু সে বলে দিতে না পারে তবে যেন তার অভিভাবক ন্যায্যভাবে লেখার বিষয়বস্তু বলে দেয় । আর তোমরা তোমাদের পুরুষদের মধ্য হতে দু’জন সাক্ষী রাখ, অতঃপর যদি দুজন পুরুষ না হয় তবে একজন পুরুষ ও দু’জন স্ত্রীলোক যাদেরকে তোমরা সাক্ষী হিসেবে পছন্দ কর, যাতে স্ত্রীলোকদের মধ্যে একজন ভুলে গেলে তাদের একজন অপরজনকে স্মরণ করিয়ে দেয় । আর সাক্ষীগণকে যখন ডাকা হবে তখন তারা যেন অস্বীকার না করে আর তা (লেন-দেন) ছোট-বড় যাই হোক, মেয়াদসহ লিখতে তোমরা কোনোরূপ বিরক্ত হয়ো না। এটাই আল্লাহ্‌র নিকট ন্যায্যতর ও সাক্ষ্যদানের জন্য দৃঢ়তর এবং তোমাদের মধ্যে সন্দেহের উদ্রেক না হওয়ার জন্য অধিকতর উপযুক্ত। তবে তোমরা পরস্পর যে নগদ ব্যবসা পরিচালনা কর তা তোমরা না লিখলে কোনো দোষ নেই। আর তোমরা যখন পরস্পর বেচা-কেনা কর তখন সাক্ষী রেখো। আর কোনো লেখক ও সাক্ষীকে খতিগ্রস্থ করা হবে না। আর যদি তোমরা খতিগ্রস্থ কর, তবে তা হবে তোমাদের সাথে অনাচার । আর তোমরা আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন কর এবং আল্লাহ্‌ তোমাদেরকে শিক্ষা দিবেন। আর আল্লাহ্‌ সবকিছু সম্পর্কে সবিশেষ জ্ঞানী"।

৫। আমানত রক্ষা করো।(সুরা বাকারা,আয়াত - ২৮৩)।

"আর যদি তোমরা সফরে থাক এবং কোনো লেখক না পাও তবে হস্তান্তরকৃত বন্ধক রাখবে । অতঃপর তোমাদের একে অপরকে বিশ্বস্ত মনে করলে, যার কাছে আমানত রাখা হয়েছে সে যেন আমানত প্রত্যার্পণ করে এবং তার রব আল্লাহ্‌র তাকওয়া অবলম্বন করে। আর তোমরা সাক্ষ্য গোপন করো না। আর যে কেউ তা গোপন করে অবশ্যই তার অন্তর পাপী। আর তোমরা যা কর আল্লাহ্‌ তা সবিশেষ অবগত"।


ছবি - sangbadchorcha.com

বিশ্বাস ও অবিশ্বাস আসলে একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। বিশ্বাসের প্রকৃতি ইতিবাচক। আর অবিশ্বাসের প্রকৃতি নেতিবাচক। একটা হাঁ। আরেকটা না।"আমি আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করি"-এটা হলো ইতিবাচক বিশ্বাস।"আমি আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করি না"-এটাও একটা বিশ্বাস তবে ইসালেমর দৃষ্টিতে তা নেতিবাচক বিশ্বাস। এটাই হলো অবিশ্বাস, অর্থাৎ বিশ্বাসের অপর পিঠ। এ-ক্ষেত্রে আমরা প্রায়শই তৃতীয় একটা শব্দ শুনি। সেটি হলো সংশয়। আসলে নিজের সহজাত বুদ্ধি-বিবেচনার ওপর আস্থাহীনতার প্রকাশই হচ্ছে সংশয়। সংশয় বা সন্দেহপ্রবণতা আসলে একটি মনোরোগ।আমাদের বিশ্বাসের শিকড় রয়েছে আমাদের মনের গভীরে। তাই প্রতিটি মানুষ বিশ্বাস করে। কেউ স্রষ্টায় বিশ্বাস করে, কেউ করে শয়তানে, কেউ ভালো মানুষে বিশ্বাস করে, কেউ বিশ্বাস করে প্রতারকে, কেউ বিশ্বাস করে সাধুকে, কেউ বিশ্বাস করে ভণ্ডকে। কেউ দেখে অন্তর, কেউ দেখে চাকচিক্য। কেউ দেখে সারল্য, কেউ দেখে জৌলুস। তাই আপনার বিশ্বাসের ভিত্তিটা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যদি ভিত্তি মজবুত হয়, আমি-আপনি তার ওপর প্রাসাদ গড়তে পারব। আর যদি তা হয় চোরাবালি,তাহলে আমরা তলিয়ে যাব অতলে।

আল কোরআনে রয়েছে বিশ্বাসীদের জন্য নিদর্শন।আর তাইতো আল কোরআনে বলা হয়েছে,"আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে আর একটি নিদর্শন এই যে, তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের মধ্য হতেই তোমাদের সঙ্গিনীদেরকে সৃষ্টি করেছেন,যাতে তোমরা ওদের নিকট শান্তি পাও এবং তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক ভালোবাসা ও মায়া-মমতা সৃষ্টি করেছেন।চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য এতে অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে। আর তাঁর নিদর্শনাবলীর মধ্যে রয়েছে আসমানসমূহ ও যমীনের সৃষ্টি এবং তোমাদের ভাষা ও বর্ণের বৈচিত্ৰ্য। এতে তো অবশ্যই বহু নিদর্শন রয়েছে জ্ঞানীদের জন্য।"(সুরা আর - রুম , আয়াত - ২১-২২)

আল্লাহ পাক আমাদেরকে আল কোরআন জানার-বুঝার এবং আল কুরআনের আলোকে জীবন গড়ার তওফিক দান করুন

চলবে -

===============================================================

পূর্ববর্তী পোস্ট -

আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৪ Click This Link
আল কোরআন সংকলন-সংরক্ষণের ইতিহাস - Click This Link
আল কোরআন এর ২৬ টি আয়াত বাতিল চেয়ে আদালতে দায়ের করা রিট বাতিল করলো ভারতের সুপ্রিম কোর্ট
- Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ৩ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ২ Click This Link
আল কোরআনের উপদেশাবলী - পর্ব - ১ Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৪৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: খুব সুন্দর পোষ্ট

১৮ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:০৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মহাজাগতিক চিন্তা ভাই,আপনার মন্তব্য এবং পড়ার জন্য।

২| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৮

কামাল১৮ বলেছেন: কোরানে মানব মুক্তির কোন কথাই নাই,আছে মুসলমানদের মুক্তির কথা।মুসলমান না হলে সোজা দোজক।সে মানব হোক আর মানবী হোক।

২৪ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদকামাল ১৮ ভাই,আপনার মন্তব্যের জন্য।

কেউ যদি নিজেকে ছাত্র দাবী করে তাহলে তাকে যেকোন স্কুলে ভর্তি হতে হবে এবং স্কুল ভেদে একেক স্কুলে একেক রকম নিয়ম কানুন প্রযোজ্য থাকে । যেমন - সাধারন শিক্ষা স্কুলের সাথে ক্যাডেট স্কুল কিংবা মেডিকেল কলেজের পালনীয় কিংবা অনুসরণীয় বিষয়ে অনেক পার্থক্য থাকে । যে যেই শিক্ষালয়ের তাকে সেই শিক্ষালয়ের সকল নিয়ম নীতি মেনেই চলতে হয় না হলে তার
ছাত্রত্ব বাতিল হয়ে যায় কিংবা সে ছাত্র দাবী করতে পারেনা।

ঠিক তেমনি,আল কোরআনে যা বলা হয়েছে তা ইসলামের অনুসারীদের তথা মুসলিম মানব-মানবীদের ক্ষেত্রেই তার নিয়ম-নীতি প্রযোজ্য অন্যদের ক্ষেত্রে নয়।

৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:০৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পবিত্র কোরান একটি।
কিন্তু এই একটি পুস্তকের অনুবাদ ও ব্যাখ্যা ৭২ রকম।
হাংগামারত মিলিট্যান্ট দের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে রসুল নিজেই হুশিয়ারি দিয়ে মনগড়া ব্যাখ্য ও বিভক্ত হতে মানা করে গেছিলেন,

কিন্তু দখল-লুন্ঠন ভাগাভাগি আঞ্চলিক দখলদার সেনাপতিদের আধিপত্ত অটুট রাখতে নিজেদের মনগড়া কোরানের আইন জারি হচ্ছিল। এবং ইসলাম বিভিন্ন রিজিয়নে ৭২ ভাগে ভাগ হয়েছিল।
রসুল মৃত্যুর কিছু আগে বলে গেছিলেন এই ৭২ মাহাজাবের শুধু একটা সহি। বাকিগুলো সব জাহান্নামি।
সেই ৭২ মাহাজাব বর্তমানে শতাধিক। শিয়া সুন্নি শাফি, মালিকি, হাম্বলি ..হরকতি বরকতি হাক্কানি তালেবানি . .কত্তো ..। এত মাহাযাব, উপমাহাজাব কোনটা সহি?
রসুলের বাণী মানলে বর্তমানে সহি ১%ও হবে না। সবাই অপব্যাখ্যায় মগ্ন।

২৪ শে জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আল কোরআন আরবী ভাষায় নাজিল কৃত। সারা দুনিয়ায় অসংখ্য ভাষা প্রচলিত । আর যে দেশে যেই ভাষা প্রচলিত সে দেশের সেই ভাষায় যখন অনুবাদ করা হয় তখন আল কোরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে কিছুটা তারতম্য পরিলক্ষিত হয় তবে তার মানে এই না যে মূল বিষয়ের পরিবর্তন ঘটে। মূল বিষয় দেশ-স্থান-কাল-পাত্র -ভাষা ভেদেও একই থাকে।এতে না কোন পরিবর্তন ঘটে না ঘটার সুযোগ আছে।

একই বিষয়ে যখন একের অধিক মানুষ তাদের মতামত দেয় বা প্রকাশ করে তখন দেখা যায় তাদের বক্তব্যে ভিন্নতা থাকলেও মূল বিষয় একই বা ঠিক থাকে।

আর তারপরেও সারা দুনিয়াতে মানুষে মানুষে ভিন্নতা-মতপ্রার্থক্য থাকবেই। আর এর মাঝে যার যার নিজের বিবেক-বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে যা ভাল তা গ্রহন করা এবং যা খারাপ তা বর্জন করার ক্ষেত্রে প্রত্যেকেরই স্বাধীনতা আছে।আর ধর্মের ক্ষেত্রে কারোর উপর কোন জোর করার সুযোগ নেই এবং এ ব্যাপারে কাউকে বাধ্য করারও কোন অবকাশ রাখা হয়নি।

আর মানব-মানবী প্রত্যেকেই তার নিজ নিজ কৃতকর্মের জন্য নিজেই দায়ী বা জবাবদিহী করে এবং করবে ।তা সে দুনিয়া কিংবা পরকালে। কাজেই কে কি করছে ,কে কি অনুসরন করছে ,কত দল-মত দুনিয়ায় প্রচলিত এত সব কিছু না দেখে আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ পালনীয় বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেয়া উচিত।আর এতেই আমাদের জন্য কল্যাণ নিহিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.