নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ধর্ম " -কি ও কেন এবং জীবনের সর্বক্ষেত্রে কি ধর্ম প্রযোজ্য ? এই ব্যাপারে ধর্মের (ইসলামের) দৃষ্টিভংগী বা নির্দেশনা কি ?- (মানব জীবন - ১৩ )।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪২



ছবি - kalerkantho.com

সাধারণতঃ ধর্ম বলতে বোঝায় কোনো প্রাণী বা বস্তুর বৈশিষ্ট্য। মহাবিশ্বের প্রতিটি প্রাণী এবং বস্তুর স্ব স্ব ধর্ম অর্থাৎ বৈশিষ্ট্য রয়েছে ।ঠিক তদ্রুপ বিশ্বের প্রতিটি মানুষেরও কোন কোন ধর্মমত রয়েছে বা ধর্ম মেনে চলে। মানব সমাজে প্রচলিত ধর্মের ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, পৃথিবীতে প্রচলিত বিভিন্ন ধর্মমতে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম-নীতি পালনীয় তবে বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় তিনটি ধর্ম অর্থ্যাৎ ইসলাম, খ্রিস্টান ও ইহুদি ধর্মমতে পৃথিবীর সকল মানুষ একজন পিতা ও একজন মাতা থেকে জন্ম গ্রহণ করেছে। এই দুইজন আদি পিতা আদম (Adam) ও মাতা হাওয়া (Eve) এর মাধ্যমে পৃথিবীর সকল মানুষের জন্ম। এই তিন ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ যথাক্রমে কুরআন মাজিদ, বাইবেল ও তাওরাত থেকে এই ঘটনার সুত্র পাওয়া যায়। মানবজাতির সৃষ্টির পর থেকেই মুলত মানুষের মাঝে ধর্মের সুত্রপাত।

ধর্ম কি ?


ছবি - wikipedia.org

মানুষের জীবনে ধর্মকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসাবে বিবেচনা করা হয় ।ধর্মের সুনির্দিষ্ঠ সংজ্ঞা প্রদানের চেষ্টা সুদীর্ঘকাল থেকেই মানুষের মাঝে চলে আসছে তবে এখন পর্যন্ত মানুষ ধর্মের সর্বজনগ্রাহ্য সংজ্ঞা দিতে সফল হয়নি। সমাজবিজ্ঞানী এমিল দুরক্যাঁ'র সংজ্ঞানুযায়ী, "ধর্ম হচছে পবিত্র বস্তুর সাথে যুক্ত বিশ্বাস এবং অনুশীলনের সামগ্রিক ব্যবস্থা যা বিশ্বাসীদের নিয়ে একটি নৈতিক সম্প্রদায় সৃষ্টি করে"।মানুষের বিশ্বাস,আচার আচরণ,পারস্পরিক সম্পর্ক প্রভৃতিতে রয়েছে ধর্মের প্রভাব।সমাজ ও ব্যক্তিজীবন - এ দুটি ক্ষেত্রেই ধর্মের ভূমিকা লক্ষণীয়।ধর্ম মানুষকে মুক্তি দেয় শংকা ও দুশ্চিন্তা থেকে আর জীবন জগতকে করে তোলে সুন্দর ও আনন্দময়।সমাজের সংহতিতে ধর্মের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে অস্বীকার করা যায়না ।তাছাড়া সামজিকীকরণ ও সমাজ নিয়ন্ত্রণের বাহন হিসাবেও ধর্মের রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব।

ধর্ম হলো কিছু সংবিধিবদ্ধ নিয়ম-নীতি ও পালনীয় বিষয়ের এক দিকনির্দেশিকার সমষ্ঠি।যাতে ভাল কাজের আদেশ এবং খারাপ কাজের নিষেধ করার সাথে সাথে ভাল কাজের জন্য দুনিয়া এবং পরকালে পুরষ্কার আর খারাপ কাজের জন্য শাস্তির কথা বলা হয়ে থাকে।অর্থ্যাৎ নিয়ম-নীতি মেনে চলাই ধর্ম ।পৃথিবী, ব্রহ্মাণ্ড (সৌরজগত )যে শৃঙ্খলা রক্ষা করে চলছে, তাও ধর্মেরই অংশ । সুতরাং কোনও মানুষ সেই শৃঙ্খলা ভেঙে বের হয়ে যেতে পারে না এবং সমাজের মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে তা সম্ভবও না । কারণ মানুষের জীবনের প্রাত্যহিকতার অংশই ধর্ম। ব্যক্তিগতভাবে মানুষ ধর্ম অনুশীলন করে। মানুষের অধিকার ও স্বাধীনতা আছে যেকোনও ধর্মীয় মতবাদ গ্রহণ , ধর্মগ্রন্থের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন তথা মেনে চলা বা না চলার। এর মধ্য দিয়ে যদি ব্যক্তি মানুষ প্রশান্ত জলাশয়ে(শান্তি)'র দেখা পান, তাহলে অন্যের ক্ষতি কী? মানুষ কোন ধর্মে আস্থা রাখবে সেই বিষয়ে অন্য ব্যক্তির প্রভাব বা জোর করারও কোনও সুযোগ নেই।এ যার যার নিজের সিদ্ধান্ত। আর দুনিয়ায় প্রচলিত সকল ধর্মই সুন্দর।


ছবি - vectorstock.com

পৃথিবীতে প্রচলিত ধর্মের সংখ্যা প্রায় ৪,৩০০টি,প্রধান ধর্ম ১০টি।

১। খ্রিস্টান ধর্ম - ধর্মের অনুসারীদের দিক দিয়ে খ্রিস্টান ধর্ম এবং এর অনুসারী প্রায় ২৪০ কোট। সবচেয়ে বড় ধর্ম।খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করে, যিশুখ্রিস্ট ঈশ্বরের পুত্র এবং তিনি মানবজাতির ত্রাণকর্তা।বাইবেল তাদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। বাইবেলের দুটি সংস্করণ রয়েছে—ওল্ড টেস্টামেন্ট ও নিউ টেস্টামেন্ট। খ্রিস্টানদের উপাসনালয়কে চার্চ বা গির্জা বলা হয়।

২। ইসলাম ধর্ম - দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলামের অনুসারীদের মুসলিম বলা হয় এবং এর অনুসারী প্রায় ২০০ কোটি। কোরআন ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ। ইসলামের মূল স্তম্ভ পাঁচটি—ঈমান, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। মুসলমানের উপাসনালয়ের নাম মসজিদ। মক্কা-মদিনা মুসলিমদের পবিত্র তীর্থ। মুসলমানরা বিশ্বাস করে, ইসলাম আল্লাহর মনোনীত চূড়ান্ত ধর্ম, কোরআন সর্বশেষ ধর্মগ্রন্থ এবং মুহাম্মদ (সাঃ) সর্বশেষ নবী।

৩। হিন্দু বা সনাতন ধর্ম - পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ ধর্ম হিন্দু বা সনাতন ধর্ম এবং এর অনুসারী প্রায় ১৩০ কোটি । বেদ, পুরাণ, উপনিষদ, গীতা হলো এই ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। মন্দির হিন্দু ধর্মের উপাসনালয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান অংশ বহু-ঈশ্বরবাদে বিশ্বাসী। তবে তাদের মধ্যে কেউ কেউ একেশ্বরবাদে বিশ্বাস করে। প্রচলিত আছে, হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীর সংখ্যা ৩৩ কোটি। হিন্দুদের প্রধান তিনজন দেবতা হলেন ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব।

৪। বৌদ্ধ ধর্ম - পৃথিবীর চতুর্থ বৃহৎ ধর্ম বৌদ্ধ এবং এর অনুসারী প্রায় ৬০ কোটি।ভারতবর্ষের একজন সাধক পুরুষ গৌতম বুদ্ধ এই ধর্মের প্রবর্তক। তাঁর প্রচারিত বিশ্বাস ও জীবনদর্শনই বৌদ্ধ ধর্মের ভিত্তি। এই ধর্মের উপাসনালয় মঠ নামে পরিচিত আর প্রধান ধর্মগ্রন্থ ত্রিপিটক। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের বসবাস চীনে।

৫। হান ধর্ম - জনসংখ্যায় পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দেশ চীনের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সম্প্রদায় হলো হানজু বা হান সম্প্রদায়। তারা চীনা লোকধর্ম বা হান ধর্মে বিশ্বাসী এবং এর অনুসারী প্রায় ৪০ কোটি । এই ধর্মকে অনেকে হান জাতি-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যের পরিবর্তিত সংস্করণ বলে থাকে।

৬। শিখ ধর্ম - শিখ ধর্মের অবস্থান ষষ্ঠ এবং এর অনুসারী প্রায় ৩ কোটি।একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী এই ধর্মানুসারীদের নেতাকে বলা হয় গুরু। শিখ শব্দটির অর্থই শিষ্য। শিখরা বিশ্বাস করে, পৃথিবীতে প্রচলিত কোনো ধর্মই পরম সত্য নয়, কিংবা কোনো ধর্মই পূর্ণাঙ্গ মিথ্যা নয়।

৭। ইহুদি ধর্ম - অনুসারীর সংখ্যা বিবেচনায় বিশ্বের সপ্তম বৃহৎ ধর্ম ইহুদি এবং এর অনুসারী প্রায় ২ কোটি ।এই ধর্মের অনুসারীর বেশির ভাগই ইসরায়েলে বসবাস করে।এই ধর্মের ইতিহাস তিন হাজার বছরেরও পুরনো। ব্রোঞ্জ যুগে মধ্যপ্রাচ্যে এই ধর্মের আবির্ভাব হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তাদের ধর্মগ্রন্থ তাওরাত, যাকে হিব্রু বাইবেল ও তানাখও বলা হয়।

৮। বাহাই ধর্ম - বাহাই ধর্মাবলম্বীরা পৃথিবীর অষ্টম বৃহৎ ধর্মীয় জনগোষ্ঠী এবং এর অনুসারী প্রায় ৭০ লাখের মত । ঊনবিংশ শতাব্দীতে মির্জা হুসাইন আলী তথা বাহাউল্লাহ তৎকালীন পারস্যে (বর্তমান ইরান) এই ধর্মের প্রচার করেন। অনেকেই একে ধর্ম না বলে একটি বিশেষ বিশ্বাস হিসেবেও উল্লেখ করেন। ‘কিতাবুল আকদাস’ এই ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ। মানবজাতির ঐক্য ও মেলবন্ধনই এই ধর্মের মূল লক্ষ্য।

৯। জৈন ধর্ম - জৈন ধর্মের মূল বিশ্বাস হলো, পৃথিবীতে ২৪ জন ‘তীর্থঙ্কর’ বা বিজয়ী মহাপুরুষের আগমন ঘটেছিল, যাঁরা নিজ নিজ সময়ে মানবজাতির ত্রাণকর্তা ও শিক্ষক ছিলেন। এই ২৪ জনের মধ্যে সর্বপ্রথম পৃথিবীতে এসেছিলেন ঋষভ, যাঁর আগমন ঘটেছিল লাখ লাখ বছর আগে। সর্বশেষ ২৪তম তীর্থঙ্কর মহাবীরের আগমন ঘটে খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতকে। এটি একটি ভারতীয় ধর্ম। অহিংসা ও আত্মসংযমের মাধ্যমে জন্ম-মৃত্যু-জন্মের চক্র থেকে মোক্ষ তথা মুক্তিলাভই জৈন ধর্মের মূল সাধনা এবং এর অনুসারী প্রায় ৪০ লাখের মত যাদের বেশীরভাগের বসবাস ভারতে।

১০। শিন্তো ধর্ম - জাপানের স্থানীয় এবং অনানুষ্ঠানিক একটি রাষ্ট্রীয় ধর্ম শিন্তো এবং এর অনুসারী প্রায় ৪০ লাখের মত।এটা এমন একটি ধর্ম, যার কোনো ঈশ্বর নেই, প্রচারক নেই, ধর্মগ্রন্থ নেই, পরকাল নেই, নেই কোনো বিধিবদ্ধ রীতিনীতি। শিন্তো ধর্মের মূলকথা হলো, সৃষ্টিকর্তা বলতে কেউ নেই, তবে কিছু স্বাধীন আত্মা বা স্বর্গীয় সত্তা আছেন, যাঁদের নাম ‘কামি’। এই কামিরা পৃথিবীর মানুষের কল্যাণকামী। যেকোনো ধর্মের মানুষই শিন্তো মন্দিরে যাতায়াতের অধিকার রাখে।


ছবি - religiousrecovery.org

ধর্ম বিশ্বাস প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় এবং ধর্ম মানার ব্যাপারে কাউকে জোর করা পৃথিবীতে প্রচলিত কোন ধর্মেই স্বীকৃত নয়। তাই ধর্মের ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরধর্ম-সহিষ্ণুতা ৷অর্থাৎ প্রত্যেকের নিজের যে ধর্মের প্রতিই বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস থাকুক না কেন, অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া চাই,থাকা চাই অর্থাৎ মানুষে মানুষে শান্তি বজায় রাখা ৷ইসলাম শব্দের অর্থও কিন্তু শান্তি ৷তাই আপনি-আমি হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান অথবা নাস্তিক,যে যা-ই হই না কেন, অন্যের ধর্মে আঘাত করা বা অন্যের ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা এর কোনোটাই একটি আধুনিক, গণতান্ত্রিক সমাজে যেমন কাম্য নয় ঠিক তেমনি কোন ধর্মেও তা সমর্থন করেনা।আর পৃথিবীতে নাস্তিক (যারা কোন ধর্মে বিশ্বাস করেনা) জনসংখ্যাও কম নয় । তারাও পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ শতাংশ ।

পৃথিবীতে মোট ২০৬টি রাষ্ট্রের প্রত্যেকটি যেমন চলে প্রত্যেকের বা নিজ নিজ রাষ্ট্রের তৈরী সংবিধান বা নিয়ম কানুন ও স্থানীয় সংস্কৃতি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত-প্রণীত নিয়ম-নীতি দ্বারা এবং রাষ্ট্রের নাগরিক মাত্রই সেই সব আইন-কানুন,নিয়ম-নীতি মেনে চলার বাধ্যবাধকতা যেমন থাকে ঠিক তেমনি প্রত্যেকটি ধর্মের অনুসারীদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ধর্মের বিধিনিষেধ তথা আইন কানুন মেনে চলার।এক্ষেত্রে কিছুটা মানা বা কিছুটা ছেড়ে দেয়ার অবকাশ নেই যদি সে প্রকৃতই ধর্মের অনুসারী হয়।

এখন এখানে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে,যেহেতু ধর্ম মেনে চলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে তাহলে কি ধর্ম স্পর্শকাতর বিষয় এবং তা যদি হয় তাহলে ধর্মকে স্পর্শকাতরের কাতারে নিয়ে গেলো কে?

এর জবাবে বলা যায় - মানুষের লোভ,শাসকদের ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং রাজনীতি।যখন থেকে ধর্মের মাঝে মানুষের লোভ, শাসকদের ব্যক্তিগত স্বার্থ এবং রাজনীতি প্রবেশ করেছে তখন থেকেই ধর্ম স্পর্শকাতর বিষয়ে পরিণত হয়েছে। আমরা যদি পৃথিবীর (প্রাচীন গ্রিস, রোমান সাম্রাজ্য, প্রাচীন চীন ও ভারতের) ইতিহাস পর্যালোচনা করি তাহলে দেখতে পাবো, রাজা-বাদশাহরা, ক্ষমতাসীনরা তাদের ক্ষমতা দখলের হাতিয়ার হিসেবে এবং স্বার্থে তুলে নিয়েছিলেন ধর্মকে।স্বার্থ এবং রাজনীতির এই ব্যবহারই রাষ্ট্র পর্যায় থেকে একদম পরিবার পর্যন্ত ধর্মকে স্পর্শকাতরের কাতারে পৌঁছে দেয় এবং দিয়েছে। অসাম্প্রদায়িক সহজ সরল মানুষ এই স্বার্থ এবং রাজনীতির প্রভাবেই হয়ে উঠে হয়ে ওঠে সাম্প্রদায়িক এবং অসহিষ্ণু।অথচ মানুষের মানবতা-মানবিকতার প্রতি আস্থাই পরম ধর্ম হওয়ার কথা ছিল ৷

ধর্ম সম্পর্কে ইসলাম কি বলে -


ছবি - islamreligion.com

ইসলামী ধর্ম গ্রন্থানুযায়ী (আল কোরআন) এটি আল্লাহর নিকট একমাত্র গ্রহণযোগ্য পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা। ইসলাম সর্বজনীন ধর্ম। ইসলাম শুধুমাত্র মক্কা-মদিনা বা আরব দেশগুলোর জন্য নয় বরং ইসলাম পৃথিবীর সকল বর্ণ, গোত্র, জাতি এবং ধনী-গরীব, সাদা-কালো ও আরব-অনারব সকল মানুষের জন্যই প্রেরিত।ইসলামের বিশ্বাস অনুযায়ী ইসলাম কোন নতুন ধর্ম নয়, বরং সৃষ্টির শুরু থেকেই ইসলামের উৎপত্তি। আদম (আঃ) ছিলেন এই পৃথিবীর প্রথম মানব এবং ইসলামের প্রথম নবী। আর শেষ নবি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।হিন্দু ধর্মের গবেষকদের দাবিমতে, তাদের ঋগ্বেদ ধর্মগ্রন্থ সবচেয়ে বেশি প্রাচীন, যার বয়স সাড়ে তিন হাজার বছর। সুতরাং, তাদের ধর্মই পৃথিবীতে প্রথম ও প্রাচীন। আর সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, মানবসভ্যতার বয়স ১ লাখ ৯৬ হাজার বছর। আর এ সভ্যতার প্রথম কারিগর আদম (আঃ) আর তিনি ছিলেন মুসলিম। এ মুসলিমের হাত ধরেই পৃথিবীতে সভ্যতা নির্মাণ শুরু হয় অতঃপর কালক্রমিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সে সভ্যতা আজ একবিংশ শতাব্দীতে মহিরুহ আকার লাভ করেছে। সুতরাং ইসলামই হচ্ছে প্রাচীন ধর্ম। এ ধর্ম প্রচলিত অন্যান্য ধর্মের মতো কতিপয় আচারসর্বস্ব ধর্ম নয়। এটির আচার, বিধান, সব হুকুম এমনকি অভিবাদন প্রক্রিয়াটিও আল্লাহর শেখানো।

ইসলাম মানুষের চলার পথের সন্ধানদাতা, উন্নত, সুখী ও সমৃদ্ধশালী জীবন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন তথা মানবজীবনের চরম লক্ষ্য হাসিলের একমাত্র পন্থা। এর ব্যাপ্তি জীবনের সর্বক্ষেত্রে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনের সব ক্ষেত্রেই ইসলামের নিয়ন্ত্রণাধীকার বা সীমারেখা। ইসলাম মানুষের সঠিক পথের দিশারী, দুনিয়া ও আখেরাতের সর্বাঙ্গীন ও পূর্ণাঙ্গ একমাত্র জীবন ব্যবস্থা।এ প্রসংগে আল্লাহপাক আল কুরআনে কারিমে বলেন,"নিশ্চয় ইসলামই আল্লাহর নিকট একমাত্র দ্বীন। আর যাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছিল তারা কেবলমাত্র পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ তাদের নিকট জ্ঞান আসার মতানৈক্য ঘটিয়েছিল। আর কেউ আল্লাহ্‌র আয়াতসমূহে কুফরী করে, তবে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ দ্রুত হিসাব গ্রহনকারী"। (সুরা আল-ইমরান,আয়াত - ১৯)।

এ প্রসংগে আল্লাহপাক আরো বলেন,"তোমাদের জন্যে হারাম করা হয়েছে মৃত জীব, রক্ত, শুকরের মাংস, যেসব জন্তু আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে উৎসর্গকৃত হয়, যা কন্ঠরোধে মারা যায়, যা আঘাত লেগে মারা যায়, যা উচ্চ স্থান থেকে পতনের ফলে মারা যা, যা শিং এর আঘাতে মারা যায় এবং যাকে হিংস্র জন্তু ভক্ষণ করেছে, কিন্তু যাকে তোমরা যবেহ করেছ। যে জন্তু যজ্ঞবেদীতে যবেহ করা হয় এবং যা ভাগ্য নির্ধারক শর দ্বারা বন্টন করা হয়। এসব গোনাহর কাজ। আজ কাফেররা তোমাদের দ্বীন থেকে নিরাশ হয়ে গেছে। অতএব তাদেরকে ভয় করো না বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম। অতএব যে ব্যাক্তি তীব্র ক্ষুধায় কাতর হয়ে পড়ে,কিন্তু কোন গোনাহর প্রতি প্রবণতা না থাকে, তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ তা'আলা ক্ষমাশীল।(সুরা মায়েদা,আয়াত - ৩)।

কুরআনের এ আয়াত থেকে এ বিষয়টি সুস্পষ্ট যে, আল্লাহ তাআলা ইসলামকে মানবতার জন্য নেয়ামত হিসেবে পাঠিয়েছেন, যাতে রয়েছে মানুষের জীবনের সব সমস্যার সমাধান।

এখানে মানুষের-আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে যে না দেখা আল্লাহতে বিশ্বাস করে ইসলাম গ্রহণ করলে আমাদের কী লাভ?


ছবি - shadow.com.bd

প্রকৃত পক্ষে কেউ যদি ইসলাম গ্রহণ করার সৌভাগ্য লাভ করে তবে সে মূলত নিজেকেই অনুগ্রহীত করে। প্রসংগে আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন,"তারা ইসলাম গ্রহণের মাধ্যমে (মুসলমান হয়ে) আপনাকে ধন্য করেছে মনে করে। (হে রাসুল! আপনি) বলুন, তোমরা মুসলমান হয়ে আমাকে ধন্য করেছ মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন, যদি তোমরা সত্যনিষ্ঠ হয়ে থাক "। (সুরা হুজাত , আয়াত - ১৭)।

ধর্ম যারা অনুশীলন করেন তারা অত্যন্ত ভদ্র, বিনয়ী আর কালচারড হয়ে থাকেন। তাই ধার্মিকরা একে অপরের সাক্ষাতের সময় নিজ ধর্মবিশ্বাস অনুযায়ী বিভিন্ন বিশুদ্ধ শব্দ ও ভাষা ব্যবহার করে অভিবাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকেন। মুসলিমরাও তার বাইরে নয়।তারা তাদের রব ও নবী (সাঃ) এর শেখানো সুস্পষ্ট ও বিশুদ্ধ রীতি অনুযায়ী তাদের অভিবাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে থাকেন। যেমন কোরআনে উল্লেখ আছে,"যেদিন তারা আল্লাহর সাথে সাক্ষাৎ করবে, সেদিন তাদের প্রতি অভিবাদন হবে সালাম (শান্তি)। আর তিনি তাদের জন্য সম্মানজনক প্রতিদান প্রস্তুত রেখেছেন"। (সুরা আহজাব,আয়াত - ৪৪)। এ ছাড়া আরো বলা হয়েছে,"জান্নাতে পরম দয়ালু আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের বলা হবে সালাম "। (সুরা ইয়াসিন,আয়াত - ৫৮)। এ সালামের অর্থ হল সুস্বাগতম, ওয়েলকাম, তোমাদের আগমন শুভ হোক, তোমরা সুখী থাক ইত্যাদি কামনা করা। হিন্দু ও খ্রিস্টান ধর্মবিশ্বাসীরাও তাদের নিজ ধর্ম বিশ্বাস অনুযায়ী নমস্কার, গুড মর্নিং ইত্যাদি বিশুদ্ধ শব্দ ব্যবহার করে তাদের অভিবাদন প্রক্রিয়া প্রকাশ করে থাকেন।

ইসলামের অনুসারীদের জীবনের সর্বক্ষেত্রে কি ধর্ম (ইসলাম) প্রযোজ্য -

ধর্ম সম্পর্কে অনুসন্ধানে নামলে এর পেছনে কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বেরিয়ে আসবে। পৃথিবীর সব ধর্মই তার নিজ নিজ বিধানমতে চলতে বললেও কিছু কিছু মানুষ যুগ যুগ ধরে ধর্মের বিধানমতে না চলে ধর্মকে নিজের স্বার্থে ও মতে ব্যবহার করেছে।ঠিক এ অবস্থায় পৃথিবীতে তিন শ্রেণির মানুষ গড়ে উড়েছে। আর তারা হল -

১। ধর্মপালনে সর্বোচ্চ চেষ্টাকারী আস্তিক।
২। ধর্মবিহীন আস্তিক ।
৩। ধর্মহীন নাস্তিক। আর গোটা পৃথিবীতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ক্ষুদ্রসংখ্যক (প্রায় ৩ শতাংশ ) নাস্তিক ধর্ম মানেন না বলে ঘোষণা দিলেও তারা মানবতাবাদের কথা বলেন। অথচ এ মানবতাবাদটা মূলত ধর্মেরই কথা।


ধর্মবিহীন আস্তিক আর ধর্মহীন নাস্তিকদের প্র্যাকটিকাল জীবনদর্শন অনেকটা কাছাকাছি। এ দুই শ্রেণির মানুষের পরিবারে, সামাজিক আচার-আচরণে, সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক দর্শনে প্রায় একই সুর প্রতিধ্বনিত হতে দেখা যায়। নাস্তিকতার স্লোগান যেহেতু ধর্মীয় সমাজে অচল, তাই তারা ধর্মবিহীন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর আস্তিকদের সহায়ক ও নেয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে।আর তারাই হীন স্বার্থ উদ্ধারে নিজ নিজ আদর্শ মাটিচাপা দিয়ে ক্ষমতাসীনদের পদলেহন, চামচামি আর নির্লজ্জ দলবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়েন।এদের নিজেদের কোনো ধর্ম,কালচার বা সংস্কৃতি নেই।এরা নিজেদের স্বার্থে এবং প্রয়োজনে যখন তখন দল-মত পরিবর্তন করেন এবং ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন । আর এর ফলেই সমাজে ধর্মের নামে সবচেয়ে বেশী বিশৃংখলা তৈরী হয়।


ছবি - britannica.co

বর্তমানে এবং আধুনিক মনস্ক মানুষের মুখে প্রায়ই যে কথাটি প্রায়ই শোনা যায় তা হলো , "জীবনের সব জায়গায় ইসলামকে টেনে আনেন কেন "? কয়েক ধরনের মানুষ এ ধরনের প্রশ্ন তোলেন। তারা হলেন -

১। অমুসলিম (ইসলাম ছাড়া অন্য ধর্মে বিশ্বাসী)।
২। নাস্তিক (ধর্মে যারা বিশ্বাসী না)।
৩। শুধু নামে বা জন্মগতভাবে মুসলিম (যারা ধর্ম-কর্মের ধার ধারে না)।
৪। ছদ্মবেশী মুসলিম (সুবিধা বুঝে ইসলাম পালন, নয়তো গোপনে বিরোধিতা)।
৫। ইসলাম বিদ্বেষী।


ইসলাম হচ্ছে আত্মসমর্পণ করা এবং বাধ্যতা, অস্বীকৃতি ও হটকারিতা ত্যাগ করা।এখানে আত্মসমর্পণ করার অর্থ হচ্ছে, এক আল্লাহর কাছে নিজেকে সমর্পণ করা।সব কিছুই সাবেক হবে একমাত্র আল্লাহ থাকবে এবং যা কিছুই হবে সবই আল্লাহর জন্য এই বিশ্বাস দৃঢ়ভাবে অন্তরে ধারণ করতে হবে এবং বাধ্যবাধকতা হচ্ছে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে যে পদ্ধতিতে জীবন যাপন করতে বলেছেন সেই সীমানার মধ্যে থেকে জীবন যাপন করা। পাঁচটি মৌলিক বিষয়ের ওপর ইসলাম ধর্মের ভিত্তি স্থাপিত। তার মধ্যে সর্বপ্রধান হচ্ছে ঈমান। মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ও তাঁর রাসুল (সাঃ) হাদিসের মাধ্যমে যা কিছু মানবজাতির জন্য প্রেরণ করেছেন তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করা এবং মৌখিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়াকে ঈমান বলে। আরবীতে ঈমান শব্দের অর্থ বিশ্বাস। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সুরা নিসার ৮০ নম্বর আয়াতে বলেছেন,"যে লোক রসুলের হুকুম মান্য করবে সে আল্লাহরই হুকুম মান্য করলো। আর যে লোক বিমুখতা অবলম্বন করলো, আমি আপনাকে (হে মুহাম্মদ), তাদের জন্য রক্ষণাবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি"।যারা আল কোরআন ও হাদিসের নির্দেশমত চলবে তাদের প্রতিদান হিসেবে দেওয়া হবে জান্নাতের সুউচ্চ স্থান, যেহেতু তারা ছিল ধৈর্যশীল। তাদের সেখানে অভ্যর্থনা জানানো হবে অভিবাদন ও সালাম সম্ভাষণসহকারে,সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে। আর যারা ঈমান এনেছে তাদের তা মেনে চলার জন্য বাধ্যকতাও রয়েছে।কোরআন মজিদে বলা হয়েছে,"হে ঈমানদার গন! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও এবং শয়তানের পদাংক অনুসরণ কর না। নিশ্চিত রূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু"। (সুরা বাকারা, আয়াত - ২০৮)

যে কোনো নীতি-নির্ধারণী বিষয়ে তর্কে জড়ানোর আগে নিজের পরিচয় এবং অনুসরণীয় মূলনীতি নির্ণয় করা জরুরি। আমি-আপনি কে এবং আপনি-আমি কী চাই এটা শুরুতে নির্ধারণ করা গেলে যুক্তির আলোকে কথা বলা সহজ।সব জায়গায় ইসলাম টেনে আনেন কেন বা জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলাম কেন দরকার? এ প্রশ্নের সহজ-সরল জবাব হলো, প্রথমে " সব জায়গা " কথাটির পরিধি নির্ধারণ করতে হবে। আমি আপনি বা আপনার আমার জীবন কি "সব জায়গা"র ভেতরে আছে ? যদি না থাকে, তাহলে এ প্রশ্ন করার অধিকার আপনার-আমার নেই।আর হ্যাঁ, একজন মুসলমান, যিনি আমৃত্যু আল্লাহর আনুগত্য পালনে অঙ্গীকারবদ্ধ, তার সব জায়গায় ইসলাম থাকবে - এটিই স্বাভাবিক। ইসলামের বিধান কোনো অমুসলিমের জন্য নয়। ইসলামের বিধান কোনো নাস্তিকের জন্য নয়। ইসলামের বিধান কোনো নামধারী মুসলিমের জন্য নয়। ইসলামের বিধান কোনো ছদ্মবেশী কিংবা ইসলামবিদ্বেষীর জন্য নয়। যে ইসলাম মানে না, তার জন্য ও ইসলাম নয়।

ইসলামের বিধান শুধু ওই ব্যক্তির জন্য, যে আল্লাহকে রব হিসেবে ও মুহাম্মদ (সাঃ) কে নবী ও রাসুল হিসেবে মেনে নিয়েছে। আমৃত্যু আল্লাহর ইবাদত করার অঙ্গীকার করেছে। শয়নে-স্বপনে, গোপনে-প্রকাশ্যে, আলোকে-আঁধারে, ছোট থেকে বৃহৎ সব কাজে যে আল্লাহকে স্মরণ করে, ইসলাম তার জন্য। যে নিজেকে আল্লাহর কাছে সঁপে দিয়েছে, ইসলাম তার জন্য। যে দুনিয়ার জীবন থেকে পরকালের জীবনকে প্রাধান্য দেয়, ইসলাম তার জন্য।ইসলাম ওই ব্যক্তির জন্য, যে দ্ব্যর্থহীনভাবে এই ঘোষণা দেয় যে, "বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামায, আমার উপাসনা (কুরবানী), আমার জীবন ও আমার মরণ, বিশ্ব-জগতের প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য"। (সুরা আনআম, আয়াত -১৬২)।

তাই প্রত্যেক মুসলমানের করণীয় হলো, যে কাজই সে করুক না কেন, তা কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে মিলিয়ে দেখা এবং সে অনুসারে করা। সুতরাং "সব জায়গায় ইসলাম টেনে আনেন কেন"? এ প্রশ্ন সঠিক নয়।


ছবি - ncronline.org

আসলে ইসলামকে টেনে আনার কিছু নেই, বরং ইসলাম সব ক্ষেত্রে স্বমহিমায় উপস্থিত। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্ম। সব কিছুতে ইসলাম - এ কথার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ইসলামে সব কিছু আছে।এ প্রসংগে আল কোরআনে বলা হয়েছে, "সেদিন প্রত্যেক উম্মতের মধ্যে আমি একজন বর্ণনাকারী দাঁড় করাব তাদের বিপক্ষে তাদের মধ্য থেকেই এবং তাদের বিষয়ে আপনাকে সাক্ষী স্বরূপ উপস্থাপন করব। আমি আপনার প্রতি গ্রন্থ নাযিল করেছি যেটি এমন যে তা প্রত্যেক বস্তুর সুস্পষ্ট বর্ণনা, হেদায়েত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্যে সুসংবাদ"। (সুরা নাহল, আয়াত - ৮৯)।

ইসলাম আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা, আত্মসমর্পণ করা। আল্লাহর কাছে সর্বতোভাবে আত্মসমর্পণকারীকে মুসলিম বা মুসলমান বলা হয়। ইসলামের বাণী সবার জন্য অবারিত হলেও ইসলামের বিধান মুসলমানদের জন্যই প্রযোজ্য। একজন মুসলমানকে দোলনা (জন্ম) থেকে কবর পর্যন্ত জীবনের সব ক্ষেত্রে ইসলাম মোতাবেক জীবন যাপন করতে হয় এবং
মুসলমান মাত্রই এ কথা বিশ্বাস করতে হবে। এ প্রসংগে আল কোরআনে বলা হয়েছে,"নিশ্চয় ইসলাম আল্লাহর নিকট (একমাত্র মনোনীত) ধর্ম। যাদেরকে কিতাব দেওয়া হয়েছিল তারা পরস্পর বিদ্বেষবশতঃ তাদের নিকট জ্ঞান আসার পরও তাদের মধ্যে মতানৈক্য ঘটিয়েছিল! আর যে আল্লাহর নিদর্শনসমূহকে অস্বীকার করে (সে জেনে রাখুক যে), নিশ্চয় আল্লাহ সত্বর হিসাব গ্রহণকারী"। (সুরা আলে ইমরান, আয়াত - ১৯)।


ইসলাম একমাত্র ও সর্বোত্তম জীবনব্যবস্থা। একজন মুসলমান ঘুম থেকে উঠা নিয়ে আবার ঘুমাতে যাওয়া পর্যন্ত ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবনে যা কিছু করা দরকার বা করে সে সব কিছুর ওপর ইসলামের বিধান আরোপিত। ইসলামের রীতি-নীতিতে আংশিক ধারণ করা এবং বিশেষ ক্ষেত্রে কিছু পালনীয় রীতি-নীতি বর্জন করার সুযোগ ইসলামে নেই। এ প্রসংগে আল কোরআনে বলা হয়েছে, "হে মুমিনগণ! তোমরা পুর্ণাঙ্গভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্কসমূহ অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু"। (সুরা বাকারা, আয়াত - ২০৮) ।

মুসলমান হতে হলে এ কথায় বিশ্বাসী হতে হয় যে,আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের স্রষ্টা, মালিক, প্রতিপালক ও একচ্ছত্র কর্তৃত্বের অধিকারী। সুতরাং তাঁর বান্দাদের জীবনযাত্রার নিয়ম-কানুন নির্ধারণের নিরঙ্কুশ ক্ষমতাও তাঁর। আর এ বিষয়ে পবিত্র কোরআনে এসেছে,"আপনি কি জানেন না যে, আসমান ও যমীনের সার্বভৌমত্ব একমাত্র আল্লাহর? আর আল্লাহ ছাড়া তোমাদের কোন অভিভাবকও নেই, নেই সাহায্যকারীও"।(সুরা বাকারা, আয়াত - ১০৭)।


ছবি - mybangla24.com

কোনো মুসলমানের জন্য ইসলামকে কাটছাঁট করা ,কিছু মানা-কিছু ছেড়ে দেয়া কিংবা এর সহজায়ন করা সম্ভব নয়। এ প্রসংগে আল কোরআনে বলা হয়েছে,"তারপর তোমরাই তারা, যারা নিজদেরকে হত্যা করছ এবং তোমাদের একদলকে তাদের দেশ থেকে বহিস্কার করছ। তোমরা একে অন্যের সহযোগিতা করছ তাদের উপর অন্যায় ও সীমালঙ্ঘন দ্বারা। আর তারা যখন বন্দীরূপে তোমাদের কাছে উপস্থিত হয় তখন তোমরা মুক্তিপণ দাও অথচ তাদেরকে বহিষ্কার করাই তোমাদের উপর হারাম ছিল। তবে কি তোমরা কিতাবের কিছু অংশে ঈমান আন এবং কিছু অংশে কুফরী কর? তাহলে তোমাদের যারা এরূপ করে তাদের একমাত্র প্রতিফল দুনিয়ার জীবনে লাঞ্ছনা ও অপমান এবং কেয়ামতের দিন তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়া হবে কঠিনতম শাস্তির দিকে।আর তারা যা করে আল্লাহ সে সম্পর্কে গাফিল নন "।(সুরা বাকারা, আয়াত - ৮৫)

ইসলামে কোনো রিজার্ভেশন বা সংরক্ষণ নেই। এতটুকু আমার, এতটুকু আপনার (আমি এ বিষয় মানব বা ঐ বিষয়ে আমি মানিনা বা একমত না ) এরকম কোন নিয়ম - বিভাজন ইসলামে নেই। এতটুকু আরব দেশের, এতটুকু আমার দেশের এই পার্থক্য ইসলাম করে না।এই বিষয় ব্যক্তির,ঐ বিষয় সমাজের বা এতটুকু রাষ্ট্রের, এতটুকু ধর্মের এই সব বিভাজন বা দূরত্বও ইসলাম মেনে নেয় না। এতটুকু রাজনৈতিক সুবিধার, এতটুকু অসুবিধার এই ধরনের আপসকামিতাও ইসলাম সমর্থন করে না।প্রকৃত মুসলিম হলে জীবনের সর্বক্ষেত্রে এবং সবজায়গায় ইসলাম তথা তার আদেশ-নিষেধ এবং করণীয় বিষয় মেনে চলার-করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মাঝামাঝি বলে কোন বিষয় ইসলামে নেই।

অন্য ধর্মের বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা


ছবি - dreamstime.com

ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কোন বিষয় নেই।ইসলামের মূল উৎস কোরআনে কারিম এবং হাদিসে পরধর্মের মানুষকে আপনের চেয়েও বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান করার কথা বলেছে। এ প্রসংগে নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৫১২৩)।

সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে।এ প্রসংগে আল্লাহতায়ালা বলেন, "দ্বীনের (ধর্মের) ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী `তাগুত'দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন"।(সূরা বাকারা,আয়াত - ২৫৬)। এ প্রসংগে আরো বলা হয়েছে,"বলুন, হে কাফেরগণ, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও তার এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি তার এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা করে আসছ। তোমরা তার এবাদতকারী হবেনা, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের দ্বীন (ধর্ম ) তোমাদের জন্যে এবং আমার দ্বীন (ধর্ম) আমার জন্যে"।(সূরা কাফিরুন,আয়াত -১ - ৬)।


ছবি - asianews.it

ধর্ম পালন করতে গিয়ে কেউ কোনোরূপ সীমা লঙ্ঘন কিংবা বাড়াবাড়ি করবে না।অন্য কেউ যদি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেও ফেলে তবে ভুলেও যেন কোনো ইমানদার এ ধরনের হীন ও জঘন্য কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে। এ বিষয়টিই নসিহতস্বরূপ মুমিনদের উদ্দেশে আল্লাহতায়ালা বলছেন,"আর আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না।কেননা তারা সীমলংঘন করে অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহকেও গালি দেবে।এভাবে আমরা প্রত্যেক জাতির দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপ শোভিত করেছি,তারপর তাদের রব-এর কাছেই তাদের প্রত্যাবর্তন।এরপর তিনি তাদেরকে তাদের করা কাজগুলো সম্বন্ধে জানিয়ে দেবেন"।(সূরা আনআম,আয়াত - ১০৮)।

ছবি - i-c-d.de

প্রকৃত মুসলমান কখনোই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কোনো কাজ করতে পারে না ।এ প্রসংগে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৩০৫২)।রাসুল (সাঃ) আরও বলেছেন, "অন্যায়ভাবে কোনো অমুসলিমকে হত্যাকারী জান্নাতের সুঘ্রাণও পাবে না। অথচ চল্লিশ বছরের রাস্তার দূরত্ব থেকেই ওই ঘ্রাণ পাওয়া যাবে"। (সহিহ বোখারি,হাদীস নং - ৩১৬৬)।

মহান আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে যথাযথ এবং সঠিক ভাবে ধর্মের সকল বিধিবিধান এবং হুকুম আহকাম মেনে চলার তওফিক দান করুন।

চলবে -

উৎসর্গ - "ব্লগার নতুন এবং ব্লগার সাসুম " ভাইকে, যাদের আগ্রহে এবং অনেক প্রশ্নের জবাবে এই পোস্ট।


তথ্যসূত্র - আল কোরআন,হাদীস ও উইকিপিডিয়া
=========================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

মানব জীবন - ১২ " সহ শিক্ষা " Click This Link
মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link

মন্তব্য ৫১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৫১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সঠিক ধর্ম একটাই। তার নাম ইসলাম। বাকিগুলিকে মানুষ বিকৃত করে ফেলেছে। ঐগুলির কোন কোনটা ঐশী ধর্ম এক সময় ছিল। কিন্তু পুরোহিতরা ধর্মগুলিকে পরিবর্তন করে ফেলেছে। কোরআন হোল আল্লাহর পাঠানো চূড়ান্ত বাণী। চূড়ান্ত সংস্করণই সবার পালন করা উচিত।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, কষ্টকরে আপনার পড়া এবং প্রথম মন্তব্যের জন্য।

পৃথিবী সৃষ্টির পর থেকে যুগে-যুগে,কালে-কালে অনেক নবী রাসুল এসেছেন এবং তাওহীদের বাণী প্রচার করেছেন। সেই সব ধর্মের কালক্রমিক বির্বতন ও ধারাবাহিকতায় আজকের সর্বশেষ ঐশ্বরিক ধর্ম ইসলাম এবং সৃষ্টিকর্তার ঘোষনা অনুযায়ী ইসলাম পূর্ণাংগ ধর্ম ও সর্বশেষ জীবন বিধান - এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।

আর আমরা এমনিতেও দুনিয়ায় দেখি , যে কোন কিছুর সর্বশেষ ভার্সন তার পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে অনেকটা উন্নত হয় এবং নতুন নতুন অনেক ফিচার বা বিষয় যোগ করা হয়।আর এরকমই ঐশ্বরিক ধর্মের সর্বশেষ ভার্সন ইসলাম এবং যেহেতু স্রষ্টার ঘোষনা অনুযায়ী আর কোন নবী-রাসুলের দুনিয়ায় আগমন হবেনা সুতরাং ইসলামের পর আর কোন ধর্ম ও আসবেনা ।আর এটাই সর্বশেষ ও চূড়ান্ত সংস্করণ মানব জাতির জন্য।

২| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৩

শেরজা তপন বলেছেন: বেশ বড় লেখা- একবসায় পড়ে উঠতে পারলাম না।
জ্ঞানগর্ভমুলক -অনেক খাটাখাটুনি করে লিখেছেন বোঝা যায়। চাইলে এই লেখা হাজার পাতা লেখা যায়। সেটাকে ব্লগীয় সংস্করনে
এক পর্বে নিয়ে আসা বেশ কঠিন কর্ম।
যেটুকু পড়েছি তাতে আজকের মত ভরপুর জ্ঞান সঞ্চয় হয়েছে- অভারলোড যাতে না হয়ে যায় সেজন্য পস দিয়ে বাকিটুকু অন্যসময়
পড়ব বলে রেখে দিলাম।

০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই, কষ্টকরে কিছুটা সময় ব্যয় করে পড়া এবং আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপাতদৃষ্টিতে দুনিয়ার সবচেয়ে কঠোর এবং কঠিন কাজ গুলোর মাঝে একটি হল ধর্ম মানা এবং ধর্মের নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ম করা। কারন ধর্মে তাৎক্ষণিক কিছু লাভের কথা বলা নেই আবার খালি সংযম (কঠোর নিয়ম-নীতি ও অনুশাসনের কথা সব জায়গায়) সাধনার কথা বলে।

আমরা বেশীরভাগ মানুষই নগদ নারায়নে (তাৎক্ষণিক কিছু পাওয়ায়) বিশ্বাসী।কিন্তু ধৈর্য্যের ও সাধনার মাধ্যমে যে আরো ভাল কিছু পাওয়া সম্ভব এটা না বিশ্বাস করতে চাই, না ধৈর্য্য ধরে ভাল কিছু পাইতে চাই।অথচ ভাল ও মহত কিছু পাওয়ার জন্য নিয়ম-নীতি ও অনুশাসন মেনে চলার যে কোন বিকল্প নেই তা আমরা বুঝতেই চাইনা।

এখানেই ধর্মের প্রয়োজন মানুষের জীবনে,ধৈর্য্য ও অনুশাসন মেনে চলার জন্য।আর যার হাতেখড়ি তথা দিকনির্দেশনা ঐশ্বরিক বিধান হতেই পাওয়া যায় মানব রচিত কোন মতবাদে নয়।

৩| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪১

সাসুম বলেছেন: ১. মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই ধর্ম ছিল- এটা আসলে সত্য স্টেটমেন্ট নয়। মানুষ সৃষ্টি হয়নি, বরং আজকের হোমো সেপিয়েন্স এ রুপ নিয়েছে মাত্র। আর, আজকের হোমো সেপিয়েন্স দের বয়স মাত্র ২০০,০০০ বছর আগে ইস্ট আফ্রিকায়। এবং তারা দানবাকৃতির ছিলেন না, বরং আজকের আমাদের মতই মানুষ ছিলেন।

আর ধর্ম এসেছে আরো অনেক অনেক হাজার বছর পরে। সো এই স্টেটমেন্ট টা অন্তত বৈজ্ঞানিক দিক থেকে সত্য বলে মানা যায় না।

সেকেন্ডলি, সভ্যতার শুরু করেছিল কে আসলে এটা ও একটা ক্রিটিকাল প্রশ্ন। আমরা যদি প্রশ্ন করি- সভ্যতা কি, তাহলে এটাও একটা বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। এন্ত্রোপলিজস্ট মার্থা কে প্রশ্ন করা হয়েছিল- সভ্যতার শুরু কখন বা সভ্যতার শুরু কি করে বোঝা গেছে। তার উত্তর ছিল, যখন একজন নিয়ান্থার্ডাল পুরুষ আহত হয়ে পায়ের ফিমার ভেংগে ফেলে এবং কেউ একজন সেটাকে সারিয়ে তুলে যত্ন নিয়ে তখন থেকে আসলেই সভ্যতার শুরু। সেটা ধরা হয় কগ্নিটিভ রেভুলেশান এর পর।

তবে এগ্রিকালচারাল রেভুলেশান এর পর সাধারণত আজকের সভ্যতার পাঠ শুরু, এটা শুরু করেছিল সুমেরীয়রা মেসোপ্টমিয়ায়। সো, আপনার বলা আদম ( আ) সভ্যতার শুরু শুধুমাত্র একটা ধর্মের দিক থেকেই। বাস্তবতার সাথে যার মিল নেই।

২. দুনিয়ার সবচেয়ে পুরান ধর্ম হিন্দু ধর্ম। হাজার হাজার বছর আগে সেটা এসেছিল।

৩. আব্রাহামিক ধর্ম গুলোর বয়স একদম কাছাকাছি এবং ধরে নেয়া যায় যখন থেকে লিখিত ফরমেট আবিস্কার হয়েছে তখন ই এসব ধর্ম গুলো এসেছে বা বিকাশ লাভ করেছে। আর, এই ধর্ম গুলোর বিকাশ ও তাওরাত, বাইবেল আর কোরান- এই ক্রম বিকাশেই হয়েছে। হুট করে কোন ধর্ম আসে নাই, বরং এক্টার চেয়ে অন্য টাকে রিফাইন করে বা এক্টার উপর বেইজ করেই আরেক টাকে এনেছে ধর্ম প্রণেতারা। যার কারনে, এই ৩ টা ধর্মের বেসিক অনেক অনেক কিছুই মিলে যায়।

৪. হান ধর্মঃ চীনের হান ধর্ম আসলে কোন ধর্ম কিনা এটা একটু কনফিউশান আছে, কারন এটা একটা ধর্ম বা রিলিজ্যন না বরং একটা ডাইনেস্টি মীন করে। সে ডাইনেস্টি তে যারা বসবাস করেছে বা যারা এখনো সেই ডাইনেস্টি থেকে এসেছে তারা নিজেদের কে হান বলে। তবে হান ধর্ম বলে আলাদা কোন ধর্ম নেই। যেটা আছে সেটা হল কনফুসিয়াজিম এবং চাইনিজ বুদ্ধিজম। হান ডাইনেস্টির লোকেরা কোন এক স্পেসিফিক রিলিজিয়নে বিলিভ করত না বরং বিভিন্ন ভাবে ফ্লুইড ছিল এবং তাদের উপর কোন প্রেসার ছিল না কোন স্পেসিফিক ধর্মে বিশ্বাস করতে।

৫. ধর্ম বিহীন নাস্তিক দের জীবন ধর্ম ভিত্তিক ও আচরন ক্ষমতাশালী ধার্মিক আস্তিক দের পদলেহন করে কেটে যায়- এটা পড়ার পর আমার মাথায় গন্ডগোল দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার নাস্তিক কার পদ লেহন করে আর কোন ধর্ম প্রনেতা আর রাজা বাদশা দের পদলেহন করে এটা ভাবতে মাথায় গোলযোগ দেখা দিচ্ছে বার বার। এধরনের উদ্ভট লিখা ও সস্তা স্টেটমেন্ট, পুরা পোস্টের মান ভয়াবহ রকমে কমিয়ে দেয়।

৬. ইস্লামঃ এটা নিয়ে কিছু বল্ব না আশা করেছিলাম। তবে এক যায়গায় দেখলাম লিখেছেন- এটা সবচেয়ে শান্তির ধর্ম। তাইলে আমার জানার আগ্রহ- আমাকে জাস্ট গত ১ বছরের একটা লিস্ট দেন- যেখানে দেখান- কতজন মানুষ খুন হয়েছে ইসলাম এর নামে, আর কতজন মানুষ খুন হয়েছে অন্য ধর্মের নামে।

এই দুনিয়াতে যত ধর্ম যুদ্ধ বা ক্রুসেড হয়েছে সব চেয়ে বেশী হয়েছে ইসলাম নিয়ে। ইসলামের এক্সপানশান ছিল মিলিটারি এক্সপানশান। নবী কারীম এর মদিনা বিজয় এর পর থেকে শুরু করে এই তো সেদিন মোঘল সাম্রাজ্য এর পতন আর ইউরোপে সর্বশেষ অটোম্যান দের পতন এর আগ পর্যন্ত।

এই দুনিয়ার সবচেয়ে ক্রুয়েল রিলিজিয়ন এর নাম -ইসলাম। আর কোন ধর্মে সম্ভবত এত জেনোসাইড নেই শুধু ধর্ম রক্ষায় যতটা ইস্লামে আছে।

৭. অন্য ধর্মের প্রতি ইসলামের মনোভাবঃ এটা পুরাটা কন্ট্রাডিক্টরি। এক যায়গায় বলা আছে কোরান এবং হাদিসে অন্য ধর্মের লোকদের সুন্দর ব্যবহার করতে ও জোর না করতে, বলা হয়েছে দ্বীনের ব্যাপারে কোন বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবেনা, অন্য দিকে ইসলামের বিজয় ও এক্সপানশান পুরাটাই তলোয়ারের ডগায়।বার বার বলা হয়েছে প্রথমে সুন্দর ভাবে ইসলামের দাওয়াত দিবে, এর পর না মানলে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিবে।
এবং শেষ বিচারের আগে দুনিয়াতে যখন শেষ সত্য দাজ্জাল কে প্রতিরোধ করতে কেউ একজন আসবেন তার কাজ ই হবে খুজে পাথরের নীচ থেকে হলেও কাফের আর বিধর্মী দের বের করে জবাই করা।

বিধর্মী এবং ধর্ম বিহীন মানুষ দের প্রতি ইসলামের চেয়ে ক্রুয়েল এবং জঘন্য মনোভাব আর কোন ধর্ম দেখায় নি। সেই মদিনা বিজয়ের পর থেকে আজকে চলে আসছে সেটা।

একদিকে বলা হয়েছে যারা মানুষ কে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যুদ্ধ করে, এবং জীবন উতসর্গ করে তারা নবী মোহাম্মাদের দল্ভূক্ত নয়, অন্যদিকে যারা ধর্ম যুদ্ধে মারা যায় তাদের কে শহীদ ঘোষনা করে নবীর সাথেই তাদের আখিরাত হবে এটা বলা হয়েছে। এ কেমন - কন্ট্রাডীকশান?

এর সাথে যুক্ত করি- বার বার করে কোরানে এবং মহানবী বিদায় হজ্বে বলেছেন ইসলাম পূর্নাংগ জীবন বিধান এবং মহানবীর প্রয়ান এর সাথে সাথেই দ্বীন কমপ্লিট মানে আর কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন হবেনা।

এর পরেও, যে সব হিউজ কন্ট্রাডিকশান থেকে যায় সেগুলা আজকের দুনিয়ার বিচারে অন্যায় ও অপরাধ। যদি পূর্নাংগ জীবন বিধান হত, তাহলে কি ফিউচার সব যুগের সব মানুষের জন্য সেটা হত না?

বিশাল পোস্ট, তাই কমেন্ট ও বিশাল।

১০ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, বিশাল পোস্ট কষ্ট করে , সময় ব্যয় করে পড়া এবং আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য এবং সাথে সাথে দুঃখিত দেরিতে জবাব দেয়ার চেষ্টা করার জন্য।আর আজকেও আসলে পুরো মন্তব্যের জবাব দিতে না পারার জন্য মাফ চেয়ে নিচছি ।আসলে গত কিছুদিন যাবত অফিসে কাজের চাপে সামুতে আসারই সুযোগ পাইনি আর আজ যে সময় টা পেয়েছি তাতে আপনার ১ নং মন্তব্যের (point) জবাবেই সময় শেষ।সময় নিয়ে আপনার সবগুলি মন্তব্যের (point) বিষয়ে আলোকপাত করতে চেষ্টা করব।

***আপনি বলেছেন - মানুষ সৃষ্টি হয়নি, বরং আজকের হোমো সেপিয়েন্স এ রুপ নিয়েছে মাত্র। আর, আজকের হোমো সেপিয়েন্স দের বয়স মাত্র ২০০,০০০ বছর আগে ইস্ট আফ্রিকায়। এবং তারা দানবাকৃতির ছিলেন না, বরং আজকের আমাদের মতই মানুষ ছিলেন।

---- তার মানে --------আপনি বলতে চাচছেন, মানুষ সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতির বিবর্তনে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেন নাই।

বিবর্তনবাদের তত্ত্ব - চার্লস ডারউইন ১৮৫৯ সালে তার বই অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস প্রকাশ করেন। আসুন দেখি তার কি মতবাদ ? আধুনিক বিজ্ঞানের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার তার অন্যতম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব।তার এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে প্রাণীরা সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।বিবর্তনবাদের এই তত্ত্বটি আমাদের পৃথিবীর পশুপাখি ও উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কে বুঝতে বড়ো ধরনের ভূমিকা রেখেছে।তার এই প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন যার মাধ্যমে একটি প্রাণীর জনগোষ্ঠী থেকে নতুন প্রজাতির উদয় ঘটে।অর্থ্যাত মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর বিবর্তনের মধ্যদিয়ে ।এটাই বিবর্তন তত্ত্বের মূলভাব।

বিবর্তন তত্ত্বের বিরোধিতা একটি বিশ্বাসগত অথবা বৈজ্ঞানিক অবস্থান যা মানুষের উদ্ভবের ও বিকাশের বিবর্তন তত্ত্ব কে অস্বীকার করে। বিবর্তনবাদের ধারণা ঊনিশ শতকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর বিজ্ঞানী, ধর্মতত্ববিদ এবং সাধারণ মানুষ স্ব স্ব দৃষ্টিকোণ থেকে এ তত্ত্বের বিরোধিতা শুরু করে। অধিকাংশ মানুষ পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবকে ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত ও অবদান বলে বিশ্বাস করে। এ বিশ্বাস সকল ধর্মগ্রন্থ সমর্থিত। বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভবের তত্ত্ব বৈজ্ঞানিকদের বিরোধিতারও সম্মুখিন হয় কারণ বিবর্তনবাদের বয়ান যৌক্তিক প্রতীয়মান হলেও এ মতবাদ প্রমাণ করা সম্ভব ছিল না।

বিবর্তবাদের সমালোচনাকারীরা বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে শুধুমাত্র একটি থিওরী বা তত্ত্ব বলেন দাবী করেন এবং তারা জোর দেন যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব কখনোই বাস্তব নয়। এই তত্ত্ব বিভ্রান্তিকরভাবে নিজেকে প্রকাশ করে এবং এর কোনো প্রমাণস্বাপেক্ষ না। তাই বিবর্তনবাদ ফ্যাক্ট নয়, শুধুই তত্ত্ব।

আর বিবর্তনবাদ নিয়ে সৃজনবাদীদের একটা বক্তব্য হল, এটা বিতর্কিত।তারা বলতে শুরু করল, বিবর্তনবাদ যদিও বিতর্কিত তারপরেও তোমরা এটা শিখাও, তবে এই ব্যবস্থা করো যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইচ্ছেমত বিবর্তনবাদ আর সৃজনবাদের মধ্যে বিষয় নির্বাচন করতে পারে।নব্য সৃজনবাদীদের বিবর্তন নিয়ে একটা প্রচলিত অভিযোগ হচ্ছে: বিবর্তন বিজ্ঞানের ধারা অনুসরণ করে না,তাই এটা খাটি বিজ্ঞান নয়। একে বিজ্ঞানের শ্রেণিতে পাঠদান করা উচিত নয়।

১৯৭৬ সালে দার্শনিক কার্ল পোপার বলেছিলেন "ডারউইনিজম কোনো পরীক্ষণীয় বৈজ্ঞানিক মতবাদ নয়, বরং আধ্যাত্মিক গবেষণার বিষয়।"পরবর্তীতে তিনি তার চিন্তাধারা পরিবর্তন করে বলেন ডারউইনের "প্রাকৃতিক নির্বাচনের এই মতবাদ পরীক্ষা করা কঠিন" যেভাবে উচ্চতর বিজ্ঞানের অনেক বিষয় পরীক্ষা করা যায় না।

একটা সময় পুর্বের তুলনায় বিবর্তন বিরোধিতা আরো বেশি বেড়ে যায়, দাবী করা হয় বিবর্তন শুধু অবৈজ্ঞানিকই নয় অকল্পনীয় এবং এটা অসম্ভব, কারণ এটা প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক এবং এটা পৃথিবীতে বিদ্যমান জীববৈচিত্র্য তৈরী করতে পারবে না।বেঁচে থাকা জীবন্ত যা কিছুর দিকেই দেখা হোক না কেন,তার রয়েছে আশ্চর্যজনক জটিলতা। এই জটিলতা তার শারীরিক বিন্যাসে, কোষীয় পর্যায়ে এবং এমনকি আণবিক পর্যায়েও দেখা যায়। এই জটিলতা যদি একটুও কম হত অথবা প্রাণে একটু এদিক সেদিক হত, তবে তা কখনোই কাজ করত না। এ থেকে একটাই সিদ্ধান্তে আসা যায়; আর তা হলো এগুলো কোনো বুদ্ধিমান সত্তাই সৃষ্টি করেছে, বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় নি।

আর এ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বলতে গেলে কয়েকটি পোস্ট দরকার।এক পোস্ট বা মন্তব্যে বিশদ কিছু লেখা সম্ভব না।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:০২

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই এবং আবারো আসা আপনার মন্তব্যের (point) বিষয়ে আলোকপাত করার চেষ্টায়।

**** আপনি বলেছেন - দুনিয়ার সবচেয়ে পুরান ধর্ম হিন্দু ধর্ম। হাজার হাজার বছর আগে সেটা এসেছিল।

--- হিন্দু ধর্মের গবেষকদের দাবিমতে, তাদের ঋগ্বেদ ধর্মগ্রন্থ সবচেয়ে বেশি প্রাচীন, যার বয়স সাড়ে তিন হাজার বছর। সুতরাং, তাদের ধর্মই পৃথিবীতে প্রথম ও প্রাচীন।

আর সাম্প্রতিক ইতিহাসবিদদের গবেষণা বলছে, মানবসভ্যতার বয়স ১ লাখ ৯৬ হাজার বছর। আর এ সভ্যতার প্রথম মানুষ এবং কারিগর আদম (আঃ) (দুনিয়ায় প্রচলিত তিনটি বড় ধর্মমতে) আর তিনি ছিলেন মুসলিম। এ মুসলিমের হাত ধরেই পৃথিবীতে সভ্যতা নির্মাণ শুরু হয় অতঃপর কালক্রমিক বিবর্তনের মধ্য দিয়ে সে সভ্যতা আজ একবিংশ শতাব্দীতে মহিরুহ আকার লাভ করেছে। সুতরাং ইসলামই হচ্ছে প্রাচীন ধর্ম।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ৩ - আপনি বলেছেন - আব্রাহামিক ধর্ম গুলোর বয়স একদম কাছাকাছি এবং ধরে নেয়া যায় যখন থেকে লিখিত ফরমেট আবিস্কার হয়েছে তখন ই এসব ধর্ম গুলো এসেছে বা বিকাশ লাভ করেছে। আর, এই ধর্ম গুলোর বিকাশ ও তাওরাত, বাইবেল আর কোরান- এই ক্রম বিকাশেই হয়েছে। হুট করে কোন ধর্ম আসে নাই, বরং এক্টার চেয়ে অন্য টাকে রিফাইন করে বা এক্টার উপর বেইজ করেই আরেক টাকে এনেছে ধর্ম প্রণেতারা। যার কারনে, এই ৩ টা ধর্মের বেসিক অনেক অনেক কিছুই মিলে যায়।

--- নবী ও রাসূলের সংখ্যা এক কিংবা দুই লাখ চব্বিশ হাজার বা দুনিয়ার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত এত সংখ্যক নবী ও রাসুল এ দুনিয়ায় এসেছেন।যদিও আল কুরআনে মাত্র ২৫ জন নবী-রাসুলের কথা উল্লেখ আছে। কুরআনে বলা হয়েছে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোত্রের জন্য আল্লাহ এক বা একাধিক নবী প্রেরণ করতেন। বিশ্বাস করা হয় সব নবিদের বার্তা একই ছিল।ইসলামী ধর্মমতে সৃষ্টির আদি থেকে আল্লাহ যত নবি-রাসূল প্রেরণ করেছেন তাদের সবাইকেই আল্লাহ তার একত্ববাদ প্রচারের জন্য এবং মানুষের জীবন বিধান হিসেবে দিন-ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্যই পাঠিয়েছেন। আল্লাহর সব নবি-রাসূলই ছিলেন আল্লাহর একত্ববাদে দৃঢ় বিশ্বাসী ও আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণকারী। আর যেহেতু আল্লাহর কাছে একমাত্র গ্রহণযোগ্য ধর্ম হলো ইসলাম। তাই, আল্লাহর সব নবি-রাসূলের ধর্মই ইসলাম এবং তাঁরা সবাই মুসলমান। আর তাই বড় ৩ টা ধর্মের বেসিক অনেক অনেক কিছুই একটার সাথে আরেকটা মিলে যায়।

৪. হান ধর্ম - অনেকই একে ধর্ম না বলে হান জাতি-গোষ্ঠীর ঐতিহ্যের পরিবর্তিত সংস্করণ বলে যায়।

৫.আপনি বলেছেন - ধর্ম বিহীন নাস্তিক দের জীবন ধর্ম ভিত্তিক ও আচরন ক্ষমতাশালী ধার্মিক আস্তিক দের পদলেহন করে কেটে যায়- এটা পড়ার পর আমার মাথায় গন্ডগোল দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার নাস্তিক কার পদ লেহন করে আর কোন ধর্ম প্রনেতা আর রাজা বাদশা দের পদলেহন করে এটা ভাবতে মাথায় গোলযোগ দেখা দিচ্ছে বার বার। এধরনের উদ্ভট লিখা ও সস্তা স্টেটমেন্ট, পুরা পোস্টের মান ভয়াবহ রকমে কমিয়ে দেয়।

----- ধর্মবিহীন আস্তিক আর ধর্মহীন নাস্তিকদের প্র্যাকটিকাল জীবনদর্শন অনেকটা কাছাকাছি। এ দুই শ্রেণির মানুষের পরিবারে, সামাজিক আচার-আচরণে, সাহিত্যে, সংস্কৃতিতে, অর্থনীতি ও রাজনৈতিক দর্শনে প্রায় একই সুর প্রতিধ্বনিত হতে দেখা যায়। নাস্তিকতার স্লোগান যেহেতু ধর্মীয় সমাজে অচল, তাই তারা ধর্মবিহীন প্রভাবশালী ও ক্ষমতাধর আস্তিকদের সহায়ক ও নেয়ামক শক্তি হিসেবে কাজ করে থাকে।আর তারাই হীন স্বার্থ উদ্ধারে নিজ নিজ আদর্শ মাটিচাপা দিয়ে ক্ষমতাসীনদের পদলেহন, চামচামি আর নির্লজ্জ দলবাজিতে লিপ্ত হয়ে পড়েন।এদের নিজেদের কোনো ধর্ম,কালচার বা সংস্কৃতি নেই।এরা নিজেদের স্বার্থে এবং প্রয়োজনে যখন তখন দল-মত পরিবর্তন করেন এবং ধর্মকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন ।

ভাই যদি নিরপেক্ষ ভাবে দেখেন তাহলে কি তাই হচছেনা এই দুনিয়াতে সব জায়গায় ? মানতে যদিও কষ্টহয় তারপরেও এটাই সত্যি হিসাবে দেখি আমাদের চারপাশে।

৬.আপনি বলেছেন - ইস্লামঃ এটা নিয়ে কিছু বল্ব না আশা করেছিলাম। তবে এক যায়গায় দেখলাম লিখেছেন- এটা সবচেয়ে শান্তির ধর্ম। তাইলে আমার জানার আগ্রহ- আমাকে জাস্ট গত ১ বছরের একটা লিস্ট দেন- যেখানে দেখান- কতজন মানুষ খুন হয়েছে ইসলাম এর নামে, আর কতজন মানুষ খুন হয়েছে অন্য ধর্মের নামে।

- ভাই,আপনি আমি যদি ধর্মকে নিজ নিজ স্বার্থে ব্যবহার করি এর দায় ধর্মের নয় যার যার ।আর ধর্ম কাউকে খুন করতে কিংবা আঘাত করা সমর্থন করেনা। ইসলাম বলে,"কারো মনে দিয়োনা আঘাত,সে আঘাত লাগে কাবার গায়"।
ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কোন বিষয় নেই।ইসলামের মূল উৎস কোরআনে কারিম এবং হাদিসে পরধর্মের মানুষকে আপনের চেয়েও বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান করার কথা বলেছে। এ প্রসংগে নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৫১২৩)।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৪০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ৭. ****আপনি বলেছেন - -অন্য ধর্মের প্রতি ইসলামের মনোভাবঃ এটা পুরাটা কন্ট্রাডিক্টরি। এক যায়গায় বলা আছে কোরান এবং হাদিসে অন্য ধর্মের লোকদের সুন্দর ব্যবহার করতে ও জোর না করতে, বলা হয়েছে দ্বীনের ব্যাপারে কোন বাড়াবাড়ি সহ্য করা হবেনা, অন্য দিকে ইসলামের বিজয় ও এক্সপানশান পুরাটাই তলোয়ারের ডগায়।বার বার বলা হয়েছে প্রথমে সুন্দর ভাবে ইসলামের দাওয়াত দিবে, এর পর না মানলে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে তুলে নিবে।এবং শেষ বিচারের আগে দুনিয়াতে যখন শেষ সত্য দাজ্জাল কে প্রতিরোধ করতে কেউ একজন আসবেন তার কাজ ই হবে খুজে পাথরের নীচ থেকে হলেও কাফের আর বিধর্মী দের বের করে জবাই করা।

বিধর্মী এবং ধর্ম বিহীন মানুষ দের প্রতি ইসলামের চেয়ে ক্রুয়েল এবং জঘন্য মনোভাব আর কোন ধর্ম দেখায় নি। সেই মদিনা বিজয়ের পর থেকে আজকে চলে আসছে সেটা।
একদিকে বলা হয়েছে যারা মানুষ কে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, যুদ্ধ করে, এবং জীবন উতসর্গ করে তারা নবী মোহাম্মাদের দল্ভূক্ত নয়, অন্যদিকে যারা ধর্ম যুদ্ধে মারা যায় তাদের কে শহীদ ঘোষনা করে নবীর সাথেই তাদের আখিরাত হবে এটা বলা হয়েছে। এ কেমন - কন্ট্রাডীকশান?

এর সাথে যুক্ত করি- বার বার করে কোরানে এবং মহানবী বিদায় হজ্বে বলেছেন ইসলাম পূর্নাংগ জীবন বিধান এবং মহানবীর প্রয়ান এর সাথে সাথেই দ্বীন কমপ্লিট মানে আর কোন পরিবর্তন বা পরিবর্ধন হবেনা।

এর পরেও, যে সব হিউজ কন্ট্রাডিকশান থেকে যায় সেগুলা আজকের দুনিয়ার বিচারে অন্যায় ও অপরাধ। যদি পূর্নাংগ জীবন বিধান হত, তাহলে কি ফিউচার সব যুগের সব মানুষের জন্য সেটা হত না?

- সাম্প্রদায়িকতার ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে পবিত্র কোরআনে।এ প্রসংগে আল্লাহতায়ালা বলেন, "দ্বীনের (ধর্মের) ব্যাপারে কোন জবরদস্তি বা বাধ্যবাধকতা নেই। নিঃসন্দেহে হেদায়াত গোমরাহী থেকে পৃথক হয়ে গেছে। এখন যারা গোমরাহকারী `তাগুত'দেরকে মানবে না এবং আল্লাহতে বিশ্বাস স্থাপন করবে, সে ধারণ করে নিয়েছে সুদৃঢ় হাতল যা ভাংবার নয়। আর আল্লাহ সবই শুনেন এবং জানেন"।(সূরা বাকারা,আয়াত - ২৫৬)।

এ প্রসংগে আরো বলা হয়েছে,"বলুন, হে কাফেরগণ, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও তার এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি তার এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা করে আসছ। তোমরা তার এবাদতকারী হবেনা, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের দ্বীন (ধর্ম ) তোমাদের জন্যে এবং আমার দ্বীন (ধর্ম) আমার জন্যে"।(সূরা কাফিরুন,আয়াত -১ - ৬)।

ধর্ম পালন করতে গিয়ে কেউ কোনোরূপ সীমা লঙ্ঘন কিংবা বাড়াবাড়ি করবে না,এ ইসলামের কঠোর নির্দেশ।অন্য কেউ যদি ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করেও ফেলে তবে ভুলেও যেন কোনো ইমানদার এ ধরনের হীন ও জঘন্য কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত না করে। এ বিষয়টিই নসিহতস্বরূপ মুমিনদের উদ্দেশে আল্লাহতায়ালা বলছেন,"আর আল্লাহকে ছেড়ে যাদেরকে তারা ডাকে তাদেরকে তোমরা গালি দিও না।কেননা তারা সীমলংঘন করে অজ্ঞানতাবশতঃ আল্লাহকেও গালি দেবে।এভাবে আমরা প্রত্যেক জাতির দৃষ্টিতে তাদের কার্যকলাপ শোভিত করেছি,তারপর তাদের রব-এর কাছেই তাদের প্রত্যাবর্তন।এরপর তিনি তাদেরকে তাদের করা কাজগুলো সম্বন্ধে জানিয়ে দেবেন"।(সূরা আনআম,আয়াত - ১০৮)।

একজন মুসলমান কখনোই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কোনো কাজ করতে পারে না ।এ প্রসংগে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,"কোনো মুসলমান যদি ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অধিকার ক্ষুন্ন করে কিংবা তাদের ওপর জুলুম করে, তবে কেয়ামতের দিন আমি মুহাম্মদ ওই মুসলমানের বিরুদ্ধে আল্লাহর আদালতে লড়াই করব"। (সুনানে আবু দাউদ,হাদীস নং - ৩০৫২)।
এর পরেও যদি কেউ মুসলমান নামধারী ব্যক্তি ধর্মের নামে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীকে আঘাত করে বা কোন জুলুম করে এর দায় কি ব্যক্তির না ধর্মের? আপনার কি মনে হয়?

৪| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৫

শেরজা তপন বলেছেন: ব্লগার সাসুম, আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক কিছু শিখলাম জানলাম
ভুল-ভ্রান্তি সবখানেই হচ্ছে। সবারই হচ্ছে- এবং ভবিষ্যতেও হবে।
আপনার প্রথম লাইনগুলো;
'মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই ধর্ম ছিল- এটা আসলে সত্য স্টেটমেন্ট নয়। মানুষ সৃষ্টি হয়নি, বরং আজকের হোমো সেপিয়েন্স এ রুপ নিয়েছে মাত্র। আর, আজকের হোমো সেপিয়েন্স দের বয়স মাত্র ২০০,০০০ বছর আগে ইস্ট আফ্রিকায়। এবং তারা দানবাকৃতির ছিলেন না, বরং আজকের আমাদের মতই মানুষ ছিলেন।'
আমার আন্তরিক অনুরোধ থাকবে - এইসব রেফারেন্সে জোর দিয়ে ইয়েস বলার আগে 'সম্ভবত' বলবেন।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শেরজা তপন ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য এবং সাথে সাথে দুঃখিত দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।যদিও আপনার এই মন্তব্য সাসুম ভাইয়ের জন্য তারপরেও ভাইয়ের মন্তব্যের জবাব আপনার সাথে শেয়ার করা -

*** সাসুম ভাই বলেছেন - মানুষ সৃষ্টি হয়নি, বরং আজকের হোমো সেপিয়েন্স এ রুপ নিয়েছে মাত্র। আর, আজকের হোমো সেপিয়েন্স দের বয়স মাত্র ২০০,০০০ বছর আগে ইস্ট আফ্রিকায়। এবং তারা দানবাকৃতির ছিলেন না, বরং আজকের আমাদের মতই মানুষ ছিলেন।

---- তার মানে সাসুম ভাই বলতে চাচছেন, মানুষ সৃষ্টি হয়েছে প্রকৃতির বিবর্তনে মানুষকে সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টি করেন নাই।


আসুন আমরা দেখি , বিবর্তনবাদ আসলে কি? বিবর্তনবাদ হল পরিবর্তন বা এক জিনিষ থেকে অন্য জিনিষের তৈরী হওয়া ।যেমন- ধান থেকে চাল।আর মানুষের সম্পর্কে বিবর্তনবাদের ধারনা হলো - মানুষ সরাসরী মানুষ হিসাবে এই দুনিয়ায় আসেনি । অন্য প্রাণী থেকে পরিবর্তন হয়ে মানুষের জন্ম হয়েছে।

বিবর্তনবাদের তত্ত্ব - চার্লস ডারউইন ১৮৫৯ সালে তার বই অন দ্য অরিজিন অব স্পিসিস প্রকাশ করেন। আসুন দেখি তার কি মতবাদ ? আধুনিক বিজ্ঞানের যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার তার অন্যতম ব্রিটিশ বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদের তত্ত্ব।তার এই তত্ত্বে দেখানো হয়েছে প্রাণীরা সময়ের সাথে সাথে প্রাকৃতিক নিয়মে ধীরে ধীরে কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।বিবর্তনবাদের এই তত্ত্বটি আমাদের পৃথিবীর পশুপাখি ও উদ্ভিদ জগৎ সম্পর্কে বুঝতে বড়ো ধরনের ভূমিকা রেখেছে।তার এই প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় ন্যাচারাল সিলেকশন বা প্রাকৃতিক নির্বাচন যার মাধ্যমে একটি প্রাণীর জনগোষ্ঠী থেকে নতুন প্রজাতির উদয় ঘটে।অর্থ্যাত মানুষের সৃষ্টি হয়েছে প্রাণীর বিবর্তনের মধ্যদিয়ে ।এটাই বিবর্তন তত্ত্বের মূলভাব।

বিবর্তন তত্ত্বের বিরোধিতা একটি বিশ্বাসগত অথবা বৈজ্ঞানিক অবস্থান যা মানুষের উদ্ভবের ও বিকাশের বিবর্তন তত্ত্ব কে অস্বীকার করে। বিবর্তনবাদের ধারণা ঊনিশ শতকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর বিজ্ঞানী, ধর্মতত্ববিদ এবং সাধারণ মানুষ স্ব স্ব দৃষ্টিকোণ থেকে এ তত্ত্বের বিরোধিতা শুরু করে। অধিকাংশ মানুষ পৃথিবীতে মানুষের আবির্ভাবকে ঈশ্বরের সিদ্ধান্ত ও অবদান বলে বিশ্বাস করে। এ বিশ্বাস সকল ধর্মগ্রন্থ সমর্থিত। বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভবের তত্ত্ব বৈজ্ঞানিকদের বিরোধিতারও সম্মুখিন হয় কারণ বিবর্তনবাদের বয়ান যৌক্তিক প্রতীয়মান হলেও এ মতবাদ প্রমাণ করা সম্ভব ছিল না।

বিবর্তবাদের সমালোচনাকারীরা বিবর্তনবাদ তত্ত্বকে শুধুমাত্র একটি থিওরী বা তত্ত্ব বলেন দাবী করেন এবং তারা জোর দেন যে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব কখনোই বাস্তব নয়। এই তত্ত্ব বিভ্রান্তিকরভাবে নিজেকে প্রকাশ করে এবং এর কোনো প্রমাণস্বাপেক্ষ না। তাই বিবর্তনবাদ ফ্যাক্ট নয়, শুধুই তত্ত্ব।

আর বিবর্তনবাদ নিয়ে সৃজনবাদীদের একটা বক্তব্য হল, এটা বিতর্কিত।তারা বলতে শুরু করল, বিবর্তনবাদ যদিও বিতর্কিত তারপরেও তোমরা এটা শিখাও, তবে এই ব্যবস্থা করো যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের ইচ্ছেমত বিবর্তনবাদ আর সৃজনবাদের মধ্যে বিষয় নির্বাচন করতে পারে।নব্য সৃজনবাদীদের বিবর্তন নিয়ে একটা প্রচলিত অভিযোগ হচ্ছে: বিবর্তন বিজ্ঞানের ধারা অনুসরণ করে না,তাই এটা খাটি বিজ্ঞান নয়। একে বিজ্ঞানের শ্রেণিতে পাঠদান করা উচিত নয়।

১৯৭৬ সালে দার্শনিক কার্ল পোপার বলেছিলেন "ডারউইনিজম কোনো পরীক্ষণীয় বৈজ্ঞানিক মতবাদ নয়, বরং আধ্যাত্মিক গবেষণার বিষয়।"পরবর্তীতে তিনি তার চিন্তাধারা পরিবর্তন করে বলেন ডারউইনের "প্রাকৃতিক নির্বাচনের এই মতবাদ পরীক্ষা করা কঠিন" যেভাবে উচ্চতর বিজ্ঞানের অনেক বিষয় পরীক্ষা করা যায় না।

একটা সময় পুর্বের তুলনায় বিবর্তন বিরোধিতা আরো বেশি বেড়ে যায়, দাবী করা হয় বিবর্তন শুধু অবৈজ্ঞানিকই নয় অকল্পনীয় এবং এটা অসম্ভব, কারণ এটা প্রাকৃতিক নিয়মের সাথে সাংঘর্ষিক এবং এটা পৃথিবীতে বিদ্যমান জীববৈচিত্র্য তৈরী করতে পারবে না।বেঁচে থাকা জীবন্ত যা কিছুর দিকেই দেখা হোক না কেন,তার রয়েছে আশ্চর্যজনক জটিলতা। এই জটিলতা তার শারীরিক বিন্যাসে, কোষীয় পর্যায়ে এবং এমনকি আণবিক পর্যায়েও দেখা যায়। এই জটিলতা যদি একটুও কম হত অথবা প্রাণে একটু এদিক সেদিক হত, তবে তা কখনোই কাজ করত না। এ থেকে একটাই সিদ্ধান্তে আসা যায়; আর তা হলো এগুলো কোনো বুদ্ধিমান সত্তাই সৃষ্টি করেছে, বিবর্তনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় নি।

আর এ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খ বলতে গেলে কয়েকটি পোস্ট দরকার।এক পোস্ট বা মন্তব্যে বিশদ কিছু লেখা সম্ভব না।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ২:০৩

কামাল১৮ বলেছেন: বর্তমানে মানব ধর্মই শ্রষ্ট ধর্ম,সকলের এটাই পালন করলে পৃথীবি অনেক শুখের হবে।বিভিন্ন ধর্ম থাকার কারনে হিংসা বিদ্বেষ বেড়েই চলছে।
আরেকটা হতে পারে,যেটা উন্নত রাষ্ট্রগুলো করছে,ধর্মকে সম্পূর্ণ ব্যক্তিত পালনিয় করা।রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা।

১১ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।

ভাই ধর্ম হলো কিছু সংবিধিবদ্ধ নিয়ম-নীতি ও পালনীয় বিষয়ের এক দিকনির্দেশিকার সমষ্ঠিযেখানে ভাল কাজের আদেশ এবং খারাপ কাজের নিষেধ করার কথা বলা হয়ে থাকে।অর্থ্যাৎ নিয়ম-নীতি মেনে চলাই ধর্ম ।ধর্ম বিশ্বাস প্রত্যেক মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় এবং ধর্ম মানার ব্যাপারে কাউকে জোর করা পৃথিবীতে প্রচলিত কোন ধর্মেই স্বীকৃত নয়। তাই ধর্মের ব্যাপারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো পরধর্ম-সহিষ্ণুতা ৷অর্থাৎ প্রত্যেকের নিজের যে ধর্মের প্রতিই বিশ্বাস অথবা অবিশ্বাস থাকুক না কেন, অন্যের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া চাই,থাকা চাই অর্থাৎ মানুষে মানুষে শান্তি বজায় রাখা যা মানব ধর্মেরই অপর নাম।

আর ইসলামে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ির কোন বিষয় নেই বা স্থানও নেই ।ইসলামের মূল উৎস কোরআনে কারিম এবং হাদিসে পরধর্মের মানুষকে আপনের চেয়েও বেশি শ্রদ্ধা ও সম্মান করার কথা বলেছে। এ প্রসংগে নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, "যারা মানুষকে সাম্প্রদায়িকতার দিকে ডাকে, সাম্প্রদায়িকতার জন্য যুদ্ধ করে, সংগ্রাম করে এবং জীবন উৎসর্গ করে তারা আমাদের দলভুক্ত নয়"।আর একজন প্রকৃত মুসলমান কখনোই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত আসে এমন কোনো কাজ করতে পারে না ।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:১০

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানুষ সৃষ্টির শুরু থেকেই ধর্ম ছিল- এটা সত্য নয়,
ধর্মিয় আদী ও আধুনা ধর্মপুস্তক গুলোও সেটা সমর্থন করে না।
ইসলাম ধর্মমতেও আদম হাওয়াকেও পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল ধর্মবিহীন, ধর্মপুস্তক বিহীন।
ধর্ম থাকলে তো হাওয়াকে বস্ত্র পরিহিত হিজাব সহ পাঠানো হতো।
কিন্তু আদি বড় ধর্মগুলোর পুস্তকমতে দুজনকেই দিগম্বর অবস্থায় পাঠানো হয়েছে।
আদমকে স্বর্গে ও পরবর্তিতে মর্তেও কোন এবাদত করতে বলা হয় নি, বরং উল্টোটা। সকল ফেরেস্তাকে হুকুম দেয়া হয়েছিল আদমকে সেজদা দিতে।
এসব আদি বাইবেল, বাইবেল/ইংজিলের কাহিনী হলেও ইসলামি পুস্তকেও সেইম কাহিনি স্থান পেয়েছে।

বিজ্ঞানভিত্তিক হিসেবেও বিবর্তনের মাধ্যমে মানবকুল আবির্ভাবের পরবর্তি ২-৩ লাখ বছর কালের ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীন দিগম্বর ভাবে ভাবে কাটিয়েছে।

২-৩ লাখ বছর শেষদিকে মাত্র ১০ হাজার বছর আগে মানুষ অনেকটা সভ্য হতে সুরু করে, ছোট ছোট সমাজ গঠন করে, টেক্সটাইল, মাদুর বোনা কাপড় বোনা পাথরাস্ত্র, আগুন জালাতে শিখে। নিমনাঙ্গে মাদুর বা কাপড় দিয়ে ঢাকে।

আদিম মানুষ কিছুটা সভ্য হয়ে ছোট ছোট সমাজ গঠন করে। কিন্তু একসময় গোত্রপ্রধান বা বিদ্রহী কেউ প্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়।
এরপর সমাজ গোত্র বড় হয়, গোত্রের মাস্তান চতুররা সময় কেউ বুঝে গাছতলায় ধ্যানে বসে, কেউ পর্বতের গুহায় বসে নিজেকে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করে, মুলত লিডারশীপ নিতে সমাজে ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই।

কিছু চালাক বুদ্ধিমান নেতা ডাকাত দল গঠন করে ডাকাতি বা যুদ্ধের জন্য সৈন্য/সেচ্ছাসেবক সংগ্রহের জন্যই স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়, ডাকাত দল তৈরি করে। স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে ডাকাত দলের সৈনিক বানায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ।
মিশরে তো একজন পর্বতে সরাসরি ঈশ্বররের সাথে দেখা করে। আর একজন তো ঈশ্বরকে অদৃশ্ব নিরাকার বলে পরে নিজেকে
দৃশ্বমান ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে!
বিভিন্ন মহাদেশে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে তৈরি হয় ৮-১০ টি বড় ধর্ম সহ হাজার হাজার ধর্ম।
এভাবেই মুলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানব মননে ঈশ্বরের, গড, গডেসের আবির্ভাব। স্বর্গ-নরকের লোভনীয় স্বপ্ন দেখিয়ে।
বর্তমানে কিছু বান্দা ব্লাক হোলের ভয় দেখিয়েও .. ধর্ম টিকিয়ে রাখছে।
অতচ মানবকুল আবির্ভাব পরবর্তি কালের ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীন কাটিয়ে গেছে।

বড় ধর্মগুলোর আবির্ভাব মানে হাজার ছোট ধর্মের ভেতরে যেগুলো টিকে গেল , সেগুলোই বড় ধর্ম হয়ে গেল।
৬ হাজার বছর আগে ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলে ভারতে হিন্দুইজম, ইব্রাহিম-মুছার ইহুদিজম, ইষ্ট এশিয়াতে কনফুসিয়াসসিজম, চালু হয়। এরপর পুর্ব ভারতে বৌধ্যিজম। মধ্যপ্রাচ্যে দুহাজার বছর আগে জিসাস খ্রাইস্টের খ্রীষ্টান।
একপর আরবে ইসলাম আসে এই সেদিন। মাত্র দেড় হাজার বছর আগে।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাব দেয়ার জন্য।

আসলে সব জিনিষেরই দুটা দিক বা পিঠ আছে ।এটা আমরা মানুষ তথা বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী (কারন দুনিয়ায় দুই ধরনের মানুষই আছে তার মাঝে একদল সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী আরেক দল সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী না ,যারা ভাবে সে বানরের বংশধর মানে বানর থেকে মানুষে পরিণত হয়েছে) কেউ বুঝতে চাইনা । যে যেই মতের অনুসারী সে সেইটাই আকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। তার বাইরে কিছু আছে বা থাকতে পারে সে বিষয়ে ভাবতেও চায়না।

তবে প্রতিটা ধর্মেই কিছু মৌলিক বিষয় আছে যেগুলি নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার তার অনুসারীদের দেয়া হয়নি এবং সে গুলি অবশ্য পালনীয় তাদের জন্য।কাজেই সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসীরা এখানে বাঁধা ।

আবার সৃষ্টিকর্তায় অবিশ্বাসীরা প্রমাণ চায় স্রষ্টার।তারা না দেখা স্রষ্টাকে মানতে চায়না বা তার মনোনীত-প্রেরিত নবী-রাসুল যে সঠিক তাতে সন্দেহ প্রকাশ করে বা তাদের বলা বিষয় গুলি সঠিক তা বিশ্বাস করেনা এবং সব কিছুর বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ আশা করে। অথচ এগুলি যে প্রমাণের বিষয় নয় পালনীয় - মাননীয় বিষয় এটাই ভূলে যায়। আর বিজ্ঞানের এই চরম উৎকর্ষতার যুগেও দুনিয়ায় বহূবিষয় বিজ্ঞানীদের শত চেষ্টা করার পরেও যে প্রমাণ করতে পারেনি এগুলি মাথায় রাখেনা।

আর এই জন্যই হয়ত জ্ঞানীরা বলেছেন,"বিশ্বাসে মিলায় তারে তর্কে বহূদূর"।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:১৬

সাসুম বলেছেন: মনিরুজ্জামান ভাই
আপনাকে সময় করে রিপ্লাই দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

তবে আপনার সাথে,আমার তর্কের দৌড় এখানেই শেষ।

কারন, আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান যে ইভুলিউশান এর উপর দাঁড়িয়ে তাকে এক তুড়িতে উড়িয়ে দেয়া দেখে আমি আসলেই ভয় পেয়ে গেছি। বুঝে গেছি- আমার দৌড় শেষ।

বিঃদ্রঃ আজকাল বুদ্ধিমান মানুষের সাথে এই তর্ক করিনা বিবর্তন কি সঠিক না ভুল।
কারন- এটা তর্ক করার মত কোন বিষয় না। বেসিক জিনিষ।

যাই হোক- ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন

১২ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য এবং আমি :(( কামরুজ্জামান বলছি ।

****তবে আপনার সাথে,আমার তর্কের দৌড় এখানেই শেষ।
কারন, আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান যে ইভুলিউশান এর উপর দাঁড়িয়ে তাকে এক তুড়িতে উড়িয়ে দেয়া দেখে আমি আসলেই ভয় পেয়ে গেছি। বুঝে গেছি- আমার দৌড় শেষ।


--- ভাই,রাগ করছেন মনে হয়? আমি ভাই, অল্প জানা একজন মানুষ যে প্রতিনিয়ত কিছু জানতে চায়,বুঝতে চায়।আর এই জানা-বুঝার জন্যই জ্ঞানী-গুনীদের সাথে তথা আপনাদের মাঝে থেকে কিছু জানা-বুঝার জন্য এই সামুতে।

ভাই " বিবর্তনবাদ " সম্পর্কে খুব বেশী আমি জানিনা তবে কেউ যদি আমাকে বলে যে আমি " স্রষ্টার সৃষ্টি বা বানর থেকে পরিবর্তনের মাধ্যমে মানুষ " - এ দুটার মাঝে কোনটা বিশ্বাস করি - তাহলে আমি স্রষ্টার সৃষ্টি হিসাবেই নিজেকে বেছে নিব।এ জন্যই একের জনের বিশ্বাস একেক রকম।

আর " বিবর্তনবাদ " যার বা যাদের তৈরী মতবাদ তারাই এটা নিরটভাবে প্রমাণ করতে পারেনি বা মানুষ যতই আধুনিক,নাস্তিক কিংবা ধর্মহীন হউক না কেন এ ধারনা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা কিছুটা কঠিন না বরং অনেক বেশী কঠিন।

তারপরেও ,এ ধারনাও একেবারে ফু মেরে উড়িয়ে দেয়া যায়না । কারন এ দুনিয়ায় অনেক অনেক বিষয় আছে যা প্রমাণীত নয় তারপরেও তা আছে । আর অপ্রমাণীত বিষয় মানেই (স্রষ্টা আছে কি নেই তাও প্রমাণ করা মুশকিলই এক হিসাবে )যে কিছু না এমন ও নয়।

আর আমরা যুক্তি-তর্ক করতে পারব জানার জন্য তবে কোন কিছুই হয়ত শতভাগ প্রমাণ করতে পারব না তা বিশ্বাস কিংবা
অবিশ্বাস, ধর্ম কিংবা বিজ্ঞান যাই হোক না কেন।

পরিশেষে আপনিও ভাল থাকুন ,সুস্থ থাকুন।

৮| ১১ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:৩৫

রানার ব্লগ বলেছেন: নো রিলেজানদের আমি কাছাকাছি থেকে দেখেছি এরা অন্যদের তুলনায় বেশি সুখি ও অনেক বেশি মত্রার সিভিলাইজড। অন্যের ধর্ম নিয়ে এদের অহেতুক কৌতহল নাই।

১৩ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ১২:৫০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রানার ব্লগ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাব দানের জন্য।৷৷৷৷ ভাই,ধম'- ধামি'ক বা ধম'হীনতা বিষয় নয়, মুল বিষয় হল মানবিকতা তথা মানব প্রেম। কারন,জীবে (মানবে) প্রেম করে যেইজন সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। সহজ কথায় মানব সেবার আওতায়ই ঈশ্বরের সেবা তথা ঈশ্বর ধম' পালন করা হয়। এখন যদি তার ঈশ্বরে ভক্তি থাকে তথা আস্তিক হয় তাহলে তার একসাথে দুইটি কাজ হয়ে যায়। এক, ঈশ্বরের আদেশ পালন হয়। দুই,মানব সেবা অ হয়ে যায়। তার দু'দিকেই লাভ। অপর দিকে,যদি সে নাস্তিক হয় তাহলে তার মানব সেবা ঠিকই হচ্ছে তবে যেহেতু সে ঈশ্বর মানেনা তাই ঈশ্বরের আদেশ প্রতিপালনের বিষয় ও সেখানে নেই।৷৷৷৷৷৷৷ এটা অনেকটা এরকম, কেউ ছাত্র হতে চায় বা লেখা-পড়ার আনুষ্ঠানিক বৈধতা চায় তাহলে তাকে স্কুলে ভর্তি হতে হবে,স্কুলের নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে এবং পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হবে। তবেই সে শিক্ষা সনদ লাভ করবে। যদি সে স্কুলেই ভর্তি না হয় তাহলে তার মেধা যাচাই-বাছাই য়ের কোন সুযোগে যেমন নাই তেমনি সে যত কিছুই জানুক তার সামাজিক বা সবার কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়না। বিষয় এটাই।৷৷৷৷৷৷৷৷৷ আর সুখের সংগা এবং প্রকৃতি স্থান -কাল-পাত্র-সমাজ-মানুষ ভেদে আলাদা আলাদা হয়। এর কোন সাব'জনীন চেহারা নেই। এর চেহারা এক এক জনের কাছে একেক রকম। কেউ খাইয়ে সুখী, কেউ খাওয়াইয়া সুখী। কেউ অল্পতেই সুখী কেউ অনেক পেয়েও অসুখী। কেউ নিজের যতটুকু আছে তাতেই সুখী আবার কেউ সবারটা মেরে খেয়েও অসুখী। এ এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। ৷৷৷

৯| ১২ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:০৪

সাসুম বলেছেন: মনিরুজ্জামান ভাই,

আপনি বিবর্তন বাদ ভুয়া, অনেক বিজ্ঞানী একে বাদ দিছে, বাতিল করে দিছে, আরো হাজার হাজার প্রমান নিয়ে এখানে আসলেন, বিশাল বিশাল কমেন্ট করলেন, অনেক অনেক যুক্তি প্রমান দিলেন, বাতিল করে দিলেন - কিন্তু বিবর্তন বাদে কোথাও বলা হয় নাই মানুষ বানর থেকে এসেছে - এই জিনিষ টাই জানেন না, এটা অবাক করা কান্ড! আসলেই অবাক করা ব্যাপার!

এই যে দেখেন- আমাদের জ্ঞানের বিস্তার আর বিকাশ কদ্দুর। আমাদের জানার সীমাবদ্ধতা কদ্দুর।

আমি এই কারনেই, খুব কম মানুষের পোস্টে কমেন্ট করি।

কারন- আমি অন্তত বিবর্তন নিয়ে তর্ক করার মত জ্ঞান রাখিনা এই লেভেলে ।

এই কারনে, যারা ইভুলিউশান কে উড়িয়ে দেন এবং মানেন না , তাদের সাথে হেরে গিয়ে খুশি থাকি তর্কে।

যাই হোক, ভাল থাকেন।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ সাসুম ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য এবং আমি :(( কামরুজ্জামান বলছি - মনিরুজ্জামান নই (মনে হয় আপনি খেয়াল করেননি বা একই রকম হওয়ায় তাই বলেছেন )।

**** আপনি বলেছেন - আপনি বিবর্তন বাদ ভুয়া, অনেক বিজ্ঞানী একে বাদ দিছে, বাতিল করে দিছে, আরো হাজার হাজার প্রমান নিয়ে এখানে আসলেন, বিশাল বিশাল কমেন্ট করলেন, অনেক অনেক যুক্তি প্রমান দিলেন, বাতিল করে দিলেন - কিন্তু বিবর্তন বাদে কোথাও বলা হয় নাই মানুষ বানর থেকে এসেছে - এই জিনিষ টাই জানেন না, এটা অবাক করা কান্ড! আসলেই অবাক করা ব্যাপার!

---- আমি বলতে চেয়েছি, আমরা যুক্তি-তর্ক করতে পারব জানার জন্য তবে কোন কিছুই হয়ত শতভাগ প্রমাণ করতে পারব না (মানুষ কিংবা বানর) তা বিশ্বাস কিংবা অবিশ্বাস, ধর্ম কিংবা বিজ্ঞান যাই হোক না কেন।

তারপরেও আসুন দেখি বিবর্তনবাদ মতে মানুষ কোথা থেকে এসেছে - বিবর্তন তত্ত্ব অনুযায়ী, মানুষ আর পৃথিবীতে বিদ্যমান অন্যান্য নরবানরেরা অনেককাল আগে একই পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভূত হয়ে বিবর্তিত হয়েছে এবং ভিন্ন উৎসজাত অন্যান্য শাখাগুলো থেকে অতীতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর বর্তমানে বিদ্যমান শিম্পাঞ্জি ও গরিলা থেকে আলাদা ধারা বা বংশানুক্রম তৈরি করেছে। অর্থ্যাৎ বানর জাতীয় কোন সাধারণ পুর্বপুরুষ থেকেই মানুষের জন্ম হয়েছে।

আমরা যদি এভাবে দেখি ," এখানে বানর জাতীয়" বলতে প্রাইমেট বুঝানো হচ্ছে বা হয়েছে , মাঙ্কি (বানর) নয়। শুধু মানুষই নয়, শিম্পাঞ্জি, গরিলা এবং ওরাংওটাং-এর মতো প্রাণীকূলেরও উদ্ভব ঘটেছে সেই একই সাধারণ পূর্বপুরুষ (common ancestor) থেকে। তার মানে দাড়াল,একসময় তাদের সবার (মানুষ-বানর-গরিলা-শিম্পাঞ্জি-ওরাংওটাং) এক কমন (সাধারণ) পূর্বপুরুষ ছিলো। সহজ ভাবে বললে এরা সবাই একই পূর্বপূরুষ থেকে উদ্ভুত হয়েছে।

তারপরও,মানুষ মাঙ্কি নয়। মাঙ্কি থেকে মানুষের বিবর্তনও হয়নি। আবার প্রাইমেটকে বানরের শব্দার্থ হিসেবে বিবেচনা করলে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, মানুষও একধরনের প্রাইমেট বা বানর জাতীয় প্রানী বৈ কিছু নয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে মাঙ্কি একটি অধিবর্গ বা প্যারাফাইলেটিক গ্রুপ, আধুনিক ফাইলোজেনেটিক্সে প্যারাফাইলেটিক গ্রুপ শক্তভাবে এড়িয়ে চলা হয়। মানুষ কোন মাঙ্কি অবশ্যই নয় তবে অবশ্যই অবশ্যই মানুষ প্রাইমেট। মানুষ সহ সব বনমানুষই স্তন্যপায়ী প্রানীর অন্তর্গত প্রাইমেট বর্গে পড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাইমেটদের দু'শরও বেশি প্রজাতির সন্ধান বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। মানুষকে এই প্রাইমেট বর্গের মধ্যে হোমিনিডি অধিগোত্রের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচনা করা হয় ।

আর তাই তর্কের খাতিরে বলা যায়, মানুষ কোন প্রকার বানর বা এপ থেকে উদ্ভুত হয়নি, বরং একটি কমন পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভুত হয়েছে। এ ব্যাপারটা ভুল নয়। কিন্তু তারপরেও বাস্তবতা হল - কেউ যদি আজ সেই ‘কমন পূর্বপুরুষ’কে দেখতে পেত তাহলে (দৈহিক এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট বিচার করে) অবশ্যই তাকে এপ বা বানর নামেই অভিহিত করতো।

Information Source (The complete Wrold of Human Evolution,Stringer, C and Andrews, P, Thames and Hudson Ltd, London, 2005 ) ।

পুনঃশ্চ -

বিবর্তনবাদের প্রবক্তা খোদ চার্লস ডারউইনকেও এ সব কথা (বিবর্তনবাদের) বলার জন্য বিপদে পড়তে হয়েছিল। তাঁকে নিয়ে বানরের আদলে ব্যাঙ্গাত্মক কার্টুন আঁকা হয়েছিল। আরও শুনতে হয়েছিল - বিজ্ঞানী টমাস হাক্সলিকে, অক্সফোর্ডে এক সভায় তাঁকে হেনস্তা করার জন্য এক খ্রিষ্টান বিশপ জানতে চান তার দাদা এবং দাদীর মধ্যে কে বানর ছিলেন ?

একবার অক্সফোর্ডে ব্রিটিশ এসোসিয়েশনের সম্মেলনে বিবর্তনের তীব্র বিরোধিতাকারী খ্রিষ্টান ধর্ম বিশপ স্যামুয়েল উইলবারফোর্স ডারউইনের তত্ত্বকে ঈশ্বরবিরোধী ব্যক্তিগত মতামত বলে আক্রমণ করেন। তখনই তিনি হঠাৎ করে সভায় উপস্থিত বিজ্ঞানী হাক্সলিকে উদ্দেশ্য করে জানতে চান তার "দাদা এবং দাদীর মধ্যে কে আসলে বানর ছিলেন"? তারই উত্তরে হাক্সলি বিবর্তনবাদের পক্ষে বিভিন্ন যুক্তি দিয়ে বিশপকে তুলাধুণা তো করে ছাড়েনই বক্তৃতার শেষে এসে তিনি এও বলেন যে,

"যে ব্যক্তি তার মেধা, বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন ও বাগ্মিতাকে কুসংস্কার ও মিথ্যার পদতলে বলি দিয়ে বৌদ্ধিক বেশ্যাবৃত্তি করে, তার উত্তরসুরী না হয়ে আমি বরং সেইসব নিরীহ প্রাণীদের উত্তরসুরী হতে চাইবো যারা গাছে গাছে বাস করে, যারা কিচিরমিচির করে ডাল থেকে ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায়"।





১০| ১২ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৫

সাসুম বলেছেন: কিন্তু তারপরেও বাস্তবতা হল - কেউ যদি আজ সেই ‘কমন পূর্বপুরুষ’কে দেখতে পেত তাহলে (দৈহিক এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট বিচার করে) অবশ্যই তাকে এপ বা বানর নামেই অভিহিত করতো- এটা একটা ভুল এক্সপ্রেশান। যদিও সামষ্টিক অর্থে সত্য বাট এক্সপ্রেস করতে গিয়ে বানর বা বানর এর মত বা বানর থেকে এসেছে এটা বিশপ বা ইমাম দের হাতে অস্ত্র তুলে দেয় গালি দেয়ার জন্য ।

এই এক্সপ্রেশান দিয়ে হাক্সলি কে যেমন করে বিশপ অপমান করেছিল, ঠিক একই ভাবে, আজকাল জ্ঞান বিজ্ঞানের সঠিক ধারা নিয়ে কেউ কথা বললে প্যারা মজিদের শিষ্য রা অপমান করে এই বলে- বানর থেকে মানুষ এসেছে বা দাদা দাদী কেউ বানর ছিল না কিনা।

এবং , হাক্সলির মত আমিও সেইম ধারা মনে করি ও বিশ্বাস করি-

"যে ব্যক্তি তার মেধা, বুদ্ধিবৃত্তিক অর্জন ও বাগ্মিতাকে কুসংস্কার ও মিথ্যার পদতলে বলি দিয়ে বৌদ্ধিক বেশ্যাবৃত্তি করে, তার উত্তরসুরী না হয়ে আমি বরং সেইসব নিরীহ প্রাণীদের উত্তরসুরী হতে চাইবো যারা গাছে গাছে বাস করে, যারা কিচিরমিচির করে ডাল থেকে ডালে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায়"।

যাই হোক, কে কি বল্লো তাতে আসলে সত্যের কিছু যায় আসে না।

বিবর্তন একটা সত্য ঘটনা এবং এটা নিয়ে দুনিয়ার কোণ জীব বিজ্ঞানীর কোন সন্দেহ নেই। তবে দুই একজন ক্রিয়েশনিস্ট বিজ্ঞানী বা রিলিজিয়াস মাইন্ডের বিজ্ঞানীরা যে একদম এটাকে সঠিক মনে করেন তাও নয়, বাট সেটার পাল্লা একদিকে লক্ষ কোটী অন্যদিকে ১/২ জন এবং দুর্বল যুক্তি।

যাই হোক, ঘটনা হল- গত ৩০ বছর ধরে একজন বিজ্ঞানী এই বিবর্তন নিয়ে কাজ করে চলেছেন একটা সিম্পল ই কোলাই কলোনি নিয়ে। ১২,০০০ জেনারেশান অল্রেডি পার হয়ে গেছে, এবং বিবর্তন যে একটা সত্য থিউরি এবং ভেলিড আর্গুমেন্ট এটার চাক্ষুষ প্রমান ও দেখছে মানুষ। আপনি চাইলে গুগুল করে দেখতে পারেন- LTEE এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে।

আপনি যেহেতু চিন্তা করতে ও পড়তে পছন্দ করেন, আপনার ভাল লাগতেও পারে। যদিও আপনি এসব আজগুবি বিবর্তনে বিলিভ করেন না তাই ভাল না ও লাগতে পারে। হাহাহ, আই এম নট সিউর।

১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: সাসুম ভাই, আমি এমন এক বনি (কাচড়া) আদম যে চটি থেকে চন্ডিপাঠ সবই পড়ি। বই পড়ার নেশা নেংটা কাল থেকে । ক্লাস সিক্সে থাকতে প্রথম ধবই ধোলাই খেয়েছি মায়ের হাতে , হাতে নাতে "সেলিনার গোপন কথা " পড়ার সময় ধরা পড়ে। তার পর থেকে সময় পেলেই যা পাই তাই পড়ি বা পড়তে চেষ্টা করি (এই এক বদ নেশা আছে আমার আর কোন নেশা নেই)।

তার মাঝে রসময় দাশগুপ্ত,মাসুদ রানা,দস্যু বনহুর কিংবা থেকে আসমাণী কিতাব (বেদ,তাওরাত,কোরআন) সব ধরনের বই পড়ি। আর এসবের একটাই উদ্দেশ্য - মানব জীবন ও জগত সম্পর্কে (আমি কে? কোথা থেকে এসেছি ? কোথায় যাব? সাথে সাথে আরো কিছু মিছু :P জানবার মুনচায় - তাই বাকী সবও পড়ি) ।

আর এসবের মাঝে আমি দেখিছি, কেউ যেমন বলেছে, " না দেখিয়া নিজের নয়নে বিশ্বাস করোনা গুরুর বচনে" তেমনি আবার কেউ বলেছেন,"বিশ্বাসে মিলায় তারে তর্কে বহুদুর"। এ দুই মতের মানুষই যার যার অবস্থান থেকে সঠিক কিন্তু সার্বজনীন নয়।আর তাই আমি বলি এই দুই মতবাদ তথা দুই জনই সঠিক (যে যেভাবে বিচার করে বা যার যার অবস্থান তথা দৃষ্টিতে )।

আর আবারো ভাই আমি - কামরুজ্জামান :(( মনিরুজ্জামান নই ।

১১| ১২ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১০

এ আর ১৫ বলেছেন: বিবর্তনবাদ একটা প্রমাণীত তত্ত্ব

বিশ্বাষ এবং ফেক্ট এই দুইটার ভিতরের পার্থক্য অনেকে বুঝতে অক্ষম । প্রমাণ ছাড়া কোন কিছুকে অন্ধভাবে মেনে নেওয়াটাকে বলে বিশ্বাষ যেমন মামদো ভুতে বিশ্বাষ , পেত্নিতে বিশ্বাষ ইত্যাদি যেগুলোর কোন প্রমাণ বাস্তবে নেই ।

ফেক্ট হোল যেটা সাইনটিফিক্যাললি প্রমাণীত যেমন নিউটন ল, আইনস্টাইনের থিউরি সহ সকল সাইনটিফিক থিউরি সমূহ । ফেক্ট কোন বিশ্বাষ নহে কারন এটা পরিবর্তনশীল । যদি পরবর্তিতে অন্য কোন থিউরি আগের ধারনাকে বাতিল করে দেয় তখন নতুনটাকে গ্রহন করতে হয় , যদি এটা বিশ্বাষ হোত তাহোলে কোন পরিবর্তন গ্রহন যোগ্য হয় না সেই বিশ্বাষের অনুসারিদের কাছে ।

যে কোন মতবাদ প্রথমে হাইপোথিসিসের স্টাটাসে থাকে , প্রমাণীত হওয়ার পর ওটার স্টাটাস হয় থিউরিতে ।
ডারউইনের মতবাদের বর্তমান স্টাটাস কি ? সেটা হোল theory of evolution। তারমানে এটা সাইনটিফিকাললি গ্রহন যোগ্য হওয়ার পর হাইপোথিসিস থেকে থিউরির মর্যাদা লাভ করে ।

চার্লস ডারউইন যখন এই মতবাদ দেন তখন এটা ছিল হাইপোথিসিস কারন তখন ডিএন এ টেস্ট আবিষ্কৃত হয় নি , ফসিল সমূহের ডি এন এ টেস্ট করা সম্ভব হয় নি । এই প্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়ার পর ডারউইনের হাইপোথিসিসকে থিউরি হিসাবে গ্রহন করা হয় যখন তার মতবাদটার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল ।
আমরা মাইক্রোসকপিক লেভেলে জীবানু অথবা ভাইরাস সমূহের বিবর্তন সচোক্ষে দেখতে পারি , করোনা ভাইরাস ইতিমধ্যে ৪০০ বারে উপর বিবর্তিত হয়েছে।

আমরা দেখেছি মশার বিবর্তন , যে নাশক কোন একপ্রজাতির মশাকে ধংস করতে সক্ষম কিছু দিন পরে দেখা যায় ঐ নাশকে ঐ মশা গুলো মারা যায় না । এটা সম্ভব হয় বিবর্তন এবং সারভাইবেল অফ ফিটনেস থিউরি অনুসারে । কোন নাশক যদি কোন প্রজাতির ৯৮% মশাকে মেরে ফেলে ২% ছাড়া ,যেগুলোর ভিতরে কোন কারনে ঐ নাশকে প্রিভেন্ট করার জিন অথবা বৈশিষ্ঠ ছিল , যে কারনে এই ২% রক্ষা পায় বা সারভাইভ করে যায় । পরবর্তিতে এই ২% থেকে যে জেনারেশন জন্ম নিবে তাদের ভিতর ঐ বিশেষ নাশক বিরুধী রেজিস্ট্যাস নিয়ে জন্ম নিবে , যার জন্য এই নতুন জেনারেশন ঐ নাশকে মারা যায় না ।

ক্ষুদ্র প্রাণীদের বিবর্তন সরাসরি পর্যবেক্ষণ করা যায় কিন্তু বিশাল দেহি প্রাণীদের বিবর্তন প্রক্রিয়া হতে লক্ষ লক্ষ বৎসর লেগে যায় ।
এবার আমরা দেখি ডারউইন কি আসলে বলেছিলেন যে মানুষ বাদর থেকে বিবর্তিত হয়েছিল

জী না এমন কথা তিনি বলেন নি কিন্তু এই ধরনের একটা মিথ্যা প্রচার অনেক মানুষ বিশ্বাষ করে । তাহোলে বিবর্তন বাদে আসলে কি বলেছে ?
বিবর্তন বাদ প্রমাণ পেয়েছে মানুষ এবং বাদর একই আদি প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়ে ভিন্ন প্রজাতির রুপ নিয়েছে । বর্তমানে ঐ আদি প্রাইমেট বিলুপ্ত হয়ে গেছে । ঐ আদি প্রাইমেট বিবর্তিত হয়ে লেজ হীন (এপ) এবং লেজ বিশিস্ঠ ( বানর) এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় , পরবর্তিতে লেজ হীন এপেরে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভব হয় ।

মানুষ সরাসরি বাদর থেকে বিবর্তিত হয় নি ।

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই, আপনার পোস্ট পড়া ও মন্তব্যের জন্য এবং দেরীতে জবাব দেবার জন্য দুঃখিত ।

***আপনি বলেছেন - যে কোন মতবাদ প্রথমে হাইপোথিসিসের স্টাটাসে থাকে , প্রমাণীত হওয়ার পর ওটার স্টাটাস হয় থিউরিতে ।ডারউইনের মতবাদের বর্তমান স্টাটাস কি ? সেটা হোল theory of evolution। তারমানে এটা সাইনটিফিকাললি গ্রহন যোগ্য হওয়ার পর হাইপোথিসিস থেকে থিউরির মর্যাদা লাভ করে ।

--- ভাই " বিবর্তনবাদ " সম্পর্কে খুব বেশী আমি জানিনা তবে " বিবর্তনবাদ " যার বা যাদের তৈরী মতবাদ তারাই এটা নিরটভাবে প্রমাণ করতে পারেনি বা মানুষ যতই আধুনিক,নাস্তিক কিংবা ধর্মহীন হউক না কেন এ ধারনা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা কিছুটা কঠিন না বরং অনেক বেশী কঠিন।

তারপরেও ,এ ধারনাও একেবারে ফু মেরে উড়িয়ে দেয়া যায়না । কারন এ দুনিয়ায় অনেক অনেক বিষয় আছে যা প্রমাণীত নয় তারপরেও তা আছে । আর অপ্রমাণীত বিষয় মানেই (স্রষ্টা আছে কি নেই তাও প্রমাণ করা মুশকিলই এক হিসাবে )যে কিছু না এমন ও নয়।

আর আমরা যুক্তি-তর্ক করতে পারব জানার জন্য তবে কোন কিছুই হয়ত শতভাগ প্রমাণ করতে পারব না তা বিশ্বাস কিংবা
অবিশ্বাস, ধর্ম কিংবা বিজ্ঞান যাই হোক না কেন।

*** এবার আমরা দেখি ডারউইন কি আসলে বলেছিলেন যে মানুষ বাদর থেকে বিবর্তিত হয়েছিল?

--- মানুষ মাঙ্কি নয় এটা সত্যি আবার মাঙ্কি থেকে মানুষের বিবর্তনও হয়নি। আবার প্রাইমেটকে বানরের শব্দার্থ হিসেবে বিবেচনা করলে এটা স্বীকার করতেই হবে যে, মানুষও একধরনের প্রাইমেট বা বানর জাতীয় প্রানী ছাড়া আর কিছু নয়। বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোন থেকে দেখলে মাঙ্কি একটি অধিবর্গ বা প্যারাফাইলেটিক গ্রুপ, আধুনিক ফাইলোজেনেটিক্সে প্যারাফাইলেটিক গ্রুপ শক্তভাবে এড়িয়ে চলা হয়। মানুষ কোন মাঙ্কি অবশ্যই নয় তবে অবশ্যই অবশ্যই মানুষ প্রাইমেট। মানুষ সহ সব বনমানুষই স্তন্যপায়ী প্রানীর অন্তর্গত প্রাইমেট বর্গে পড়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাইমেটদের দু'শরও বেশি প্রজাতির সন্ধান বিজ্ঞানীরা পেয়েছেন। মানুষকে এই প্রাইমেট বর্গের মধ্যে হোমিনিডি অধিগোত্রের অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচনা করা হয় ।

আর তাই তর্কের খাতিরে বলা যায়, মানুষ কোন প্রকার বানর বা এপ থেকে উদ্ভুত হয়নি, বরং একটি কমন পূর্বপুরুষ থেকে উদ্ভুত হয়েছে। এ ব্যাপারটা ভুল নয়। কিন্তু তারপরেও বাস্তবতা হল - কেউ যদি আজ সেই ‘কমন পূর্বপুরুষ’কে দেখতে পেত তাহলে (দৈহিক এবং অন্যান্য বৈশিষ্ট বিচার করে) অবশ্যই তাকে এপ বা বানর নামেই অভিহিত করতো।

১২| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৩

এ আর ১৫ বলেছেন: --- ভাই " বিবর্তনবাদ " সম্পর্কে খুব বেশী আমি জানিনা তবে " বিবর্তনবাদ " যার বা যাদের তৈরী মতবাদ তারাই এটা নিরটভাবে প্রমাণ করতে পারেনি বা মানুষ যতই আধুনিক,নাস্তিক কিংবা ধর্মহীন হউক না কেন এ ধারনা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করা কিছুটা কঠিন না বরং অনেক বেশী কঠিন।
Nearly all (around 97%) of the scientific community accepts evolution as the dominant scientific theory of biological diversity.[1][2] Scientific associations have strongly rebutted and refuted the challenges to evolution proposed by intelligent design proponents.[3]
Level of support for evolution

এটা প্রমাণীত না হোলে , এটার টাইটেল থিউরী হয় কি করে , এটাকে তো হাইপোথিসিস বলা হচ্ছে না । মাইক্রো লেভেলে চোখের সামনেই বিবর্তন দেখা যায় ।
বড় প্রাণী গুলোর জেনেটিক বিবর্তন ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত । ডিএনএ টেস্ট আবিষ্কারের আগে ডারঊইনের মতবাদ হাইপোথিসিস পর্যায়ে ছিল , লক্ষ লক্ষ ফসিলের ডিএনএ টেস্ট করার পর বিবর্তনের প্রমাণ পাওয়ার পর এটাকে থিউরী হিসাবে গ্রহন করা হয়। ধন্যবাদ

১৫ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।

ভাই, দু’চারটা প্রাণীর হাড়-গোড় কিংবা আংশিক ফসিল বা কিছু অজানা প্রাণীর হাড়গোড় পেয়েই বিজ্ঞানীরা বিবর্তনের পক্ষে বড় বড় সিদ্ধান্ত টেনে ফেলেন।স্বাভাবিকভাবেই দেখেন চিন্তা করে দেখুন, এটা কতটা গ্রহনযোগ্য ?

আবার মানুষ যদি প্রাইমেট (বানর ) থেকে পরিবিবর্তিত হয়ে থাকে তাহলে বাকী বানরগুলো এখনও পৃথিবীতে রয়ে গেলো কি করে? তারা কেন পরিবিবর্তিত হয়নি বা হচছেনা?

আর মানুষের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কেউ কি দেখেছে অন্য প্রাণী থেকে পরিবিবর্তিত হয়ে মানুষ হয়েছে ? না এমন কোন প্রমাণ এ পর্যন্ত কেউ দিতে পেরেছে?

১৩| ১৫ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৯

এ আর ১৫ বলেছেন: ভাই, দু’চারটা প্রাণীর হাড়-গোড় কিংবা আংশিক ফসিল বা কিছু অজানা প্রাণীর হাড়গোড় পেয়েই বিজ্ঞানীরা বিবর্তনের পক্ষে বড় বড় সিদ্ধান্ত টেনে ফেলেন।স্বাভাবিকভাবেই দেখেন চিন্তা করে দেখুন, এটা কতটা গ্রহনযোগ্য ?

আপনি থিউরী কি জিনিস আর হাইপোথিসিস কি জিনিস সেটা কি বোঝেন ? যদি না বোঝেন তাহোলে জেনে এসে প্রশ্ন করুন ভাই । প্রমাণ না থাকলে কি ভাবে এই এই তত্ত্বের টাইটেল থিউরী হয় । দুই চারটা মানে প্রচুর ফসিল বিভিন্ন স্তরে পাওয়া গেছে । জেনেটিক সিকোয়েন্স বুঝতে একটা প্রজাতির কয়েকটা হাড় বা ফসিল যথেষ্ঠ ।

আবার মানুষ যদি প্রাইমেট (বানর ) থেকে পরিবিবর্তিত হয়ে থাকে তাহলে বাকী বানরগুলো এখনও পৃথিবীতে রয়ে গেলো কি করে? তারা কেন পরিবিবর্তিত হয়নি বা হচছেনা?

এর উত্তর আগেই দেওয়া হয়েছে । আদি প্রাইমেট( এখন বিলুপ্ত কিন্তু ফসিল পাওয়া গেছে ) -- বিবর্তিত হয়ে একটা হয় লেজ বিশিষ্ঠ এবং আরেকটা হয় লেজ বিহিন (এপ) । লেজ বিহিন এপের বিবর্তনের ফলে সৃষ্ঠি হয়েছে গরিলা সিম্পান্জি মানুষ ইত্যাদি -- এরা সবাই ভিন্ন প্রজাতি এর আগে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে ।
লেজ বিশিষ্ঠ বাদরের অনেক প্রজাতি এখনো জীবিত আছে এবং অনেক গুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।
বড় প্রাণীর বিবর্তন হতে মিলিয়ন ইয়ার সময় লাগে এবং প্রত্যেক প্রাণীর বিবর্তন প্রক্রীয়া চলছে ।

আর মানুষের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত কেউ কি দেখেছে অন্য প্রাণী থেকে পরিবিবর্তিত হয়ে মানুষ হয়েছে ? না এমন কোন প্রমাণ এ পর্যন্ত কেউ দিতে পেরেছে?


মানুষর উদ্ভব মাত্র ২ লক্ষ বৎসর, বড় প্রাণীর বিবর্তন হতে কয়েক মিলিয়ন বৎসর লাগে । ভালো কথা আপনাকে এর আগের মন্তব্য দেখিয়েছি ৯৭ % সাইনটিস্ট এই থিউরিকে মেনে নিয়েছে , সেটা কি দেখেছেন ? বাকি ৩% কিন্তু হ্যা বা না কিছুই বলেনি । এই থিউরীর বিপক্ষে কেউ কিছু বলেনি ।
জেনেটিক সিকোয়েন্সের ম্যাচিংটাই গ্রহন যোগ্য প্রমাণ সব সাইন্টিস্টের কাছে ।
অনুবিক্ষণিক প্রাণীর বিবর্তন চোখে সামনেই হচ্ছে, ব্যকটেরিয়া ভাইরাসের বিবর্তন

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই, আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।

ভাই, পৃথিবী এই জন্যই এত সুন্দর ও বৈচিত্রময় কারন,মানুষে মানুষে বিশ্বাসের পার্থক্য,মতের ভিন্নতা,জানার আগ্রহ এবং সহনশীলতা।আর যে কোন বিষয়ে যুক্তি-তর্ক বা গঠনমূলক আলোচনা তাকে সর্বোত্তম বিষয়টা পেতে বা গ্রহণ করতে সাহায্য করে।আর তাইতো কোন মানুষ সৃষ্টিকর্তার শ্রেষ্ঠত্ম অস্বীকার করে আবার কেউ স্রষ্টাকেই অস্বীকার করে । মানে হল স্রষ্টা যে একজন আছে তাই স্বীকার করেনা। আবার কেউ তাকে মেনে চলতে চেষ্টা করে। এ শুধু যার যার বিশ্বাস ও দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার।

এখন আপনি-আমি সবাই যদি স্রষ্টাকে মেনে চলি তাতে স্রষ্টার কোন লাভ হবেনা আবার আপনি-আমি সবাই যদি স্রষ্টাকে মেনে না চলি তাহলেও স্রষ্টার কোন ক্ষতি হবেনা।আর সম্মানীতকে সম্মান করে পরোক্ষভাবে নিজেকেই সম্মানীত করা হয়।আর কাউকে অসম্মান করে কখনো নিজেকে সম্মানীত করা যায়না।আর এখন আপনি-আমি যদি স্রষ্টাকে অস্বীকার করে বানরকে আমাদের পূর্বপুরুষ তথা বানর থেকে নিজেকে পরিবর্তিত রুপে দেখতে ভালবাসি তাহলে না স্রষ্টার না অন্যকারো কোন ক্ষতি-বৃদ্ধি হবে।কারন, স্রষ্টা মানুষকে দিয়েছে সৃষ্টিজগতের সকল সৃষ্টির মাঝে শ্রেষ্ঠত্ম আর আমি স্রষ্টাকে অস্বীকার করে নিজেকে বানাচছি বানরের বংশধর।

আর তাইতো কেউ যেমন বলেছে, " না দেখিয়া নিজের নয়নে বিশ্বাস করোনা গুরুর বচনে" তেমনি আবার কেউ বলেছেন,"বিশ্বাসে মিলায় তারে তর্কে বহুদুর"। এ দুই মতের মানুষই যার যার অবস্থান থেকে সঠিক কিন্তু সার্বজনীন নয়।কারন, সব চোখের দেখাই যেমন সঠিক নয় বা হয়না আবার সকল জায়গায় বিশ্বাস ভাল ফল বয়ে আনেনা । আর অন্ধ বিশ্বাস ত নয়ই। আর তাইতো আল্লাহ মানুষকে বিবেক তথা চিন্তা করার ক্ষমতা তথা বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন,যাতে করে ভাল-খারাপের পার্থক্য মানুষ বুঝতে পারে এবং ভাল গ্রহণ করে এবং খারাপ পরিত্যাগ করতে পারে।

আর তাই আমার মতে, এই দুই মতবাদ তথা দুই জনই সঠিক (যে যেভাবে বিচার করে বা যার যার অবস্থান তথা দৃষ্টিতে )।

১৪| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১:৪৭

এ আর ১৫ বলেছেন: " না দেখিয়া নিজের নয়নে বিশ্বাস করোনা গুরুর বচনে"

ভাই আপনি কি করোনা ভাইরাসকে নিজের খোলা চোখে দেখতে পান ? যেহেতু খোলা চোখে দেখা যায় না, তাই করোনা ভাইরাস নাই ।
আপনি আল্লাহকে দেখেনি -- তাহোলে কি ভাবে কলেমাতে বললেন -- আমি সাক্ষী দিচ্ছি আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই ? আপনি কি ভাবে সাক্ষী হোলেন বলেন ?

আপনি নিজে জবান দিলেন আপনি বিবর্তন বাদ সমন্ধে কিছুই জানেন না --- যদি নাই জানেন , তাহোলে কোন অধিকারে দাবি কোরলেন --
ভাই, দু’চারটা প্রাণীর হাড়-গোড় কিংবা আংশিক ফসিল বা কিছু অজানা প্রাণীর হাড়গোড় পেয়েই বিজ্ঞানীরা বিবর্তনের পক্ষে বড় বড় সিদ্ধান্ত টেনে ফেলেন।স্বাভাবিকভাবেই দেখেন চিন্তা করে দেখুন, এটা কতটা গ্রহনযোগ্য ?

আপনি জানেন না , তাহোলে কোন অধিকারে উপরের স্টেট মেন্টটা দিলেন ?
আমি তো ধর্মের সাথে বিবর্তনবাদের কোন বিরোধ দেখি না । আমি মনে করি বিবর্তনের মাধ্যমে প্রথম যখন হোমো সেফিয়ান্সের আবির্ভাব হয় সেই দুজন ই বাবা আদম (আ: ) এবং বিবি হাওয়া ( আ: )
সাইনটিফিক থিউরী এবং সোসাল সাইন্স বা অন্য বিষয়ের থিউরী চরিত্র গত ভাবে এক নহে ।
কোন সাইন্স মতামত প্রথমে থাকে হাইপোথিসিস এবং শুধু মাত্র প্রমাণ হওয়ার পর সেটা থিউরীর মর্যাদা পায় ।
আপনাকে অলরেডি বলা হয়েছে বিবর্তনবাদের টাইটেল হোল থিউরী ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ২:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই আমি বলেছি , কেউ যেমন বলেছে, " না দেখিয়া নিজের নয়নে বিশ্বাস করোনা গুরুর বচনে" তেমনি আবার কেউ বলেছেন,"বিশ্বাসে মিলায় তারে তর্কে বহুদুর"। এ দুই মতের মানুষই যার যার অবস্থান থেকে সঠিক কিন্তু সার্বজনীন নয়।

আর তাই আমার মতে, এই দুই মতবাদ তথা দুই জনই সঠিক (যে যেভাবে বিচার করে বা যার যার অবস্থান তথা দৃষ্টিতে )।

ধন্যবাদ ভাই।

অগ্রীম আমন্ত্রণ রইল ," ডারউইনের বিবর্তনবাদ - কৌতুহল ও ফিরে দেখা " , আমি (মানুষ) কি এপ (বানর / শাখামৃগ) থেকে এসেছে ? এ ব্যাপারে ধর্ম ও বিজ্ঞানেরই বা কি মত ? পোস্টে -

১৫| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৩:৪৯

বিটপি বলেছেন: কেউ যদি বিশ্বাস করে সকল মানুষের জন্ম আদম ও হাওয়া (আঃ) থেকে, তার পক্ষে বিবর্তনবাদ গ্রহণ করার কোন সুযোগই নেই। বিবর্তিত হওয়া প্রথম মানুষকে কিভাবে ডিটেক্ট করা যাবে, যেখানে বিবর্তনের গতি খুবই ধীর এবং অন্তত কয়েক হাজার প্রজন্মের বিবর্তনের পরে অতি সামান্য কিছু পরিবর্তন লক্ষ করা যায়?

বিবর্তনবাদ একটি ধারণা মাত্র। যদিও অনেক যুক্তি আছে বিবর্তনবাদের পক্ষে কিন্তু উপযুক্ত কোন প্রমাণ নেই। বিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রমাণ করা। বিবর্তনবাদের যেহেতু কোন প্রমাণ নেই, তাই তা কোন বিজ্ঞানের শাখা প্রশাখার মধ্যেও পড়েনা।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৪:৪৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিটপি, আপনার ছোট কিন্তু চমতকার ও বাস্তবসম্মত মন্তব্যের জন্য ।

মানুষের জন্ম বহুপূর্বে ।আর বিবর্তনবাদ এসেছে এই সে দিন (১৬২ বছর আগে)।পৃথিবীর প্রচলিত বড় ৩টি (ইসলাম,খ্রীষ্ট,ইহুদি) ধর্মমতে আদি এবং প্রথম মানব হযরত আদম (আঃ) এবং প্রথম মানবী হযরত হাওয়া (আঃ) যাদের থেকে দুনিয়ার বাকী সব মানুষের জন্ম হয়েছে। আবার বিজ্ঞান মতেও নর-নারীর মিলন (শুক্রানু ও ডিম্বাণু) ছাড়া মানব জন্ম সম্ভব না ।

আবার বিবর্তনবাদের পক্ষে যত যুক্তি আছে তার কোনটাই মানুষের জীবনের অনেক কিছুই প্রমাণ করেনা বা এ সব (লিংগ নির্ধারণ / যৌন জীবন) বিষয়ে কিছু বলা নেই। কাজেই এর পক্ষে-বিপক্ষে যত যুক্তিতর্কই হোক না কেন এটা আসলে না কোনভাবেই প্রমাণীত নয় যে ,মানুষের জন্ম অন্যপ্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে হয়েছে।

১৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১১

এ আর ১৫ বলেছেন: বিটপি বলেছেন --- বিবর্তনবাদ একটি ধারণা মাত্র। যদিও অনেক যুক্তি আছে বিবর্তনবাদের পক্ষে কিন্তু উপযুক্ত কোন প্রমাণ নেই। বিজ্ঞানের প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রমাণ করা। বিবর্তনবাদের যেহেতু কোন প্রমাণ নেই, তাই তা কোন বিজ্ঞানের শাখা প্রশাখার মধ্যেও পড়েনা।

প্রমাণ নেই এই কথা কোথায় পেলেন -- প্রমাণ তো আমার কমেন্ট নং -- ১১ তে দেওয়া হয়েছে এবং লেখকের বাকি কমেন্টের উত্তরে আবারো দেওয়া হয়েছে ।
বিজ্ঞানের শাখার মধ্যে এটা পড়ে না -- তাহোলে ৯৭% বিজ্ঞানী এটাকে গ্রহন কোরলো কেন ( বাকি ৩% হ্যা বা না বলে নি অর্থাৎ রিজেক্ট করে নি ) । কমেন্ট ১২তে রেফারেন্স দেওয়া আছে ।
আপনার লেখা পড়ে প্রমাণ হোল আপনি আপনার বিজ্ঞানে হাইপোথিসিস কি জিনিস এবং থিউরী কি জিনিস এটার উপর কোন ধারনা নেই ।
বিজ্ঞানে যে কোন তত্ত্বকে প্রথমে হাইপোথিসিস বলা হয় এবং প্রমাণ হওয়ার পর সেটাকে থিউরী হিসাবে গ্রহন করা হয় । আইণস্টাইনের তত্ত্ব প্রথমে হাইপোথিসিস ছিল , প্রমাণীত হওয়ার পর থিউরী হিসাবে গণ্য করা হয় ।
ডারউইনের তত্ত্ব প্রথমে হাইপোথিসিস ছিল প্রমাণীত হওয়ার পর নাম হয়েছে theory of evolution।
ডিএনএ টেস্ট প্রযুক্তি আবিষ্কার হওয়ার পর মাটির বিভিন্ন স্থরের ফসিলের ডিএনএ টেস্ট করার পর ডারউইনের তত্ত্বের প্রমাণ পাওয়া যায় , তারপর এটাকে থিউরী ঘোষনা করা হয় ।
তাহোলে কিছু না জেনে না বুঝে এমন কথা কেন বললেন যে বিবর্তনাবাদ বিজ্ঞানের শাখা প্রশাখার মধ্যেও পড়েনা।

এবার আমরা দেখি ডারউইন কি আসলে বলেছিলেন যে মানুষ বাদর থেকে বিবর্তিত হয়েছিল

জী না এমন কথা তিনি বলেন নি কিন্তু এই ধরনের একটা মিথ্যা প্রচার অনেক মানুষ বিশ্বাষ করে । তাহোলে বিবর্তন বাদে আসলে কি বলেছে ?
বিবর্তন বাদ প্রমাণ পেয়েছে মানুষ এবং বাদর একই আদি প্রাইমেট থেকে বিবর্তিত হয়ে ভিন্ন প্রজাতির রুপ নিয়েছে । বর্তমানে ঐ আদি প্রাইমেট বিলুপ্ত হয়ে গেছে । ঐ আদি প্রাইমেট বিবর্তিত হয়ে লেজ হীন (এপ) এবং লেজ বিশিস্ঠ ( বানর) এই দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় , পরবর্তিতে লেজ হীন এপেরে বিবর্তনের মাধ্যমে মানুষের উদ্ভব হয় ।

মানুষ সরাসরি বাদর থেকে বিবর্তিত হয় নি ।

আদি প্রাইমেট( এখন বিলুপ্ত কিন্তু ফসিল পাওয়া গেছে ) -- বিবর্তিত হয়ে একটা হয় লেজ বিশিষ্ঠ এবং আরেকটা হয় লেজ বিহিন (এপ) । লেজ বিহিন এপের বিবর্তনের ফলে সৃষ্ঠি হয়েছে গরিলা সিম্পান্জি মানুষ ইত্যাদি -- এরা সবাই ভিন্ন প্রজাতি এর আগে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে ।
লেজ বিশিষ্ঠ বাদরের অনেক প্রজাতি এখনো জীবিত আছে এবং অনেক গুলো বিলুপ্ত হয়ে গেছে ।
বড় প্রাণীর বিবর্তন হতে মিলিয়ন ইয়ার সময় লাগে এবং প্রত্যেক প্রাণীর বিবর্তন প্রক্রীয়া চলছে ।
আমি তো ধর্মের সাথে বিবর্তনবাদের কোন বিরোধ দেখি না । আমি মনে করি বিবর্তনের মাধ্যমে প্রথম যখন হোমো সেফিয়ান্সের আবির্ভাব হয় সেই দুজন ই বাবা আদম (আ: ) এবং বিবি হাওয়া ( আ: )

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, বিবর্তনবাদ অনুসারে, মাঙ্কি (বানর) থেকে আমরা বিবর্তিত না হলেও বানরজাতীয় সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে আমাদের মানুষ প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে এটা মোটেই ভুল নয়। সাধারণ (Common) পূর্বপুরুষ নাম দেয়া হোক আর যাই দেয়া হোক - তারা যে আসলে বানর সদৃশ জীবই ছিলো তাতে কোন সন্দেহ নেই, কারণ, আমরা সবাই সার্বিকভাবে প্রাইমেটদেরই গোত্রভুক্ত ।

আর হযরত বাবা আদম (আঃ) এবং বিবি হাওয়া ( আঃ) পরিবর্তনের মাধ্যমে নয় পরিপূর্ণ মানব হিসাবেই পৃথিবীতে এসেছেন।

১৭| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:২৪

এ আর ১৫ বলেছেন: জনাব কামরুজ্জামান --- আবার বিবর্তনবাদের পক্ষে যত যুক্তি আছে তার কোনটাই মানুষের জীবনের অনেক কিছুই প্রমাণ করেনা বা এ সব (লিংগ নির্ধারণ / যৌন জীবন) বিষয়ে কিছু বলা নেই। কাজেই এর পক্ষে-বিপক্ষে যত যুক্তিতর্কই হোক না কেন এটা আসলে না কোনভাবেই প্রমাণীত নয় যে ,মানুষের জন্ম অন্যপ্রাণী থেকে বিবর্তনের মাধ্যমে হয়েছে।

আপনি এই বিষয় সম্পর্কে কিছুই জানেন না বলেছেন -- তাহোলে এই বিষয়ে অশিক্ষিত কোন ব্যক্তির এই ধরনের দাবি বা স্ট্যাটমেন্ট দেওয়ার কোন যোগ্যতা বা অধিকার আছে কি ? আসলে কোন ভাবে প্রমাণীত হয় না,, এই কথা বলতে পারেন কি আপনি ? বিবর্তন বাদ ভূয়া এটা প্রমাণ করতে পারলে সাথে সাথে সে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হবে এবং ঐ নতূণ তত্ত্বটাকে গ্রহণ করা হবে ।
করোনা ভাইরাস বিবর্তিত হয়ে যে ডেলটা ভেরিয়ান্ট, আফ্রিকান ভেরিয়ান্ট, ব্রিটিশ ভেরিয়েন্ট হোল সেটা কি রুপান্তরের প্রমাণ বহন করে না ।
যে বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং কাটমোল্লাদের কাছে শুনছেন মানুষ বাদর থেকে হয়েছে ,, এর উপর ভিত্তি করে ফালতু কথা বলে চলেছেন কেন ?

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৪৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, আপনার মন্তব্যে একটা কথাই মনে পড়ল , "জানার কোন শেষ নেই" ।আর একজন মানুস সব জানবে এমন কোন কথাও নেই। আমরা মানুষ শুধু জানার বা কোন কিছু করার চেষ্টা করতে পারি।তবে কেউ দাবী করতে পারিনা যে,আমি সব জানি বা জগতের সকল বিষয়ে আমার জ্ঞান আছে।

মানব বিবর্তনের সাথে আপনি ভাইরাসের বিবর্তন মিলাচছেন? আর আপনি বলেছেন - বিবর্তন বাদ ভূয়া এটা প্রমাণ করতে পারলে সাথে সাথে সে নোবেল প্রাইজ দেওয়া হবে।তা নোবেল কি নোবেল কর্তৃপক্ষ দিবে না আপনি নতুন করে নোবেল চালু করবেন?

- ভাই, বিবর্তনবাদ অনুসারে, মাঙ্কি (বানর) থেকে আমরা বিবর্তিত না হলেও বানরজাতীয় সাধারণ পূর্বপুরুষ থেকে আমাদের মানুষ প্রজাতির উদ্ভব ঘটেছে এটা মোটেই ভুল নয়। সাধারণ (Common) পূর্বপুরুষ নাম দেয়া হোক আর যাই দেয়া হোক - তারা যে আসলে বানর সদৃশ জীবই ছিলো তাতে কোন সন্দেহ নেই, কারণ, আমরা সবাই সার্বিকভাবে প্রাইমেটদেরই গোত্রভুক্ত ।

কাউকে ব্যক্তিগত আক্রমণ (কাটমোল্লা/ফালতু/অশিক্ষিত ) গ্রহনযোগ্য নয় ।আর এর ফলে আপনি যে অনেক শিক্ষিত!!!! তা প্রমাণ হয়ে যায় ভাই । তাই, শান্ত হন ভাই।

১৮| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫১

এ আর ১৫ বলেছেন: আর হযরত বাবা আদম (আঃ) এবং বিবি হাওয়া ( আঃ) পরিবর্তনের মাধ্যমে নয় পরিপূর্ণ মানব হিসাবেই পৃথিবীতে এসেছেন।

ঠিক বলেছেন -- হোমো নিয়েন্ডারথাল থেকে বিবর্তিত হয়ে সম্পুর্ণ হোমো সেফিয়ান্স মানি পরিপূর্ণ মানব হয়ে পৃথিবীতে এসেছে , এর আগে হোমো সেফিয়ান্সের অস্থিত্ব পৃথিবীতে ছিল না ।

বিবর্তনবাদ যদি মিথ্যা হয় তাহোলে বলুনতো বিবর্তন ছাড়া ৯০ ফুট লম্বা আদমের বংশধররা কি ভাবে ৫/৬ ফুট লম্বা হয়ে গেল ? হাদিসে আছে হযরত আদম ( আ: ) ৯০ ফুট লম্বা ছিল এবং আপনারা বিশ্বাষ করেন বিবর্তনবাদ বলে কিছু নাই , তাহোলে ৯০ ফুট লম্বা আদমের বংশধরদের উচ্চতা ৫/৬ ফুটে নেমে আসলো কি করে ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই , এতক্ষনে আসল কথায় আসছেন।

দুনিয়ার সব কিছুই পরিবর্তনশীল শুধু আল্লাহ ছাড়া। আর প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশ এবং আমরা পরিবর্তন হচছি। তার ফলেই এবং পরিবর্তনের জন্য আমরা মানব শিশু হিসাবে জন্মাই ।তার পর পরিবর্তনের হাত ধরেই ধীরে ধীরে আমরা বড় হই এবং একসময় আমরা বার্ধক্যে উপনীত হই। আর এই পূরো প্রক্রিয়া সকল মানুষ এবং প্রাণীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য ।তার মানে হল , যে যেই প্রজাতির তার পরিবর্তন-পরিবর্ধন যাই কিছু সে তাই থাকবে। তার মানে এই না যে মানব শিশু পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে অন্য কোন প্রাণীতে পরিণত হবে বা অন্য কোন প্রাণী পরিবর্তন-পরিবর্ধন হয়ে মানুষে রূপান্তর হবে।

পরিবর্তন-পরিবর্ধন যেভাবেই হোক যে কোন কিছুর মূল জিনিষের পরিবর্তন হয়না (ছাগ শিশুর গাধা কিংবা গরুর বাচচা ঘোড়া হবেনা ) তা ছাগ বা গরুই থাকবে ।

১৯| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি ভাবছেন তেনা পেচাইলেই তালগাছ আপনার হয়ে যাবে ? বং সং বাদ দিয়ে শুধু এই কথার জবাব দিন ---

বিবর্তনবাদ যদি মিথ্যা হয় তাহোলে বলুনতো বিবর্তন ছাড়া ৯০ ফুট লম্বা আদমের বংশধররা কি ভাবে ৫/৬ ফুট লম্বা হয়ে গেল ? হাদিসে আছে হযরত আদম ( আ: ) ৯০ ফুট লম্বা ছিল এবং আপনারা বিশ্বাষ করেন বিবর্তনবাদ বলে কিছু নাই , তাহোলে ৯০ ফুট লম্বা আদমের বংশধরদের উচ্চতা ৫/৬ ফুটে নেমে আসলো কি করে ।

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই, একটা জিনিষ হয়ত আপনি বুঝতে চাচছেন না, তা হল আমরা যতই মানুষের উচ্চতা বাড়াই বা কমাই না কেন এর ফলে মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্যের (মূল বিষয়) কোন পরিবর্তন হবে না। মানে ৯০ ফুট আদম আর ৫ /৬ ফুট মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্য একই হবে এবং থাকবে।

এ ক্ষেত্রে যদি একটি শিশু এবং পূর্ন বয়স্ক মানুষের দিকে তাকাই তাহলে তা কিছুটা হলেও বোধগম্য হবে,যদি বুঝতে চাই।

২০| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪

এ আর ১৫ বলেছেন: মানে ৯০ ফুট আদম আর ৫ /৬ ফুট মানুষের দৈহিক বৈশিষ্ট্য একই হবে এবং থাকবে।

আবারো ত্যানা পেচানো শুরু করছেন --- আমি কি বলেছি দৈহিক বৈশিষ্ঠ্য আলাদা হয়ে যাবে ? আমি জানতে চেয়েছি বিবর্তন ছাড়া ৯০ ফুট থেকে ৫/৬ ফুট উচ্চতায় নেমে আসলো কি করে ? যে প্রক্রীয়া ৯০ ফুট থেকে ৫/৬ ফুট উচ্চতা হোল সে প্রক্রীয়ার নাম কি ?
জিরাফের আদি পুরুষদের গলা এত লম্বা ছিল না কিন্তু বিবর্তনের মাধ্যমে এখন বর্তমান সাইজে এসেছে ।
শুধু স্পেসিফিক জবাব দিবেন --- ৯০ ফুট লম্বা মানুষ কোন প্রক্রীয়ায় ৫/৬ ফুটে নেমে আসলো ?

১৬ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাই ,এর জবাব হতে পারে অভিযোজন (আপনি বিবর্তন,পরিবর্তন) ও বলতে পারেন।

যে কোন জীবের নির্দিষ্ট পরিবেশে সুষ্ঠ ভাবে বেঁচে থাকা এবং বংশবিস্তারের জন্য জীবের যে অঙ্গসংস্থানিক,শারীরবৃত্তীয় ও আচরণগত দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তন ঘটে , তাকে অভিযোজন বলে।

যে কোন জীবের কর্মসম্পাদনকারী বৈশিষ্ট্য, যা প্রাকৃতিক পরিবেশের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত ও বিবর্তিত হয়। অভিযোজন বলতে অভিযোজিত জীবের বর্তমান দশা এবং অভিযোজন পরিচালনাকারী সক্রিয় বিবর্তনীয় প্রক্রিয়া উভয়কেই বোঝায়। অভিযোজন কোন জীবের ফিটনেস ও টিকে থাকার যোগ্যতাকে বৃদ্ধি করে। জীব তাদের বৃদ্ধি ও বিকাশকালে যে বিভিন্ন প্রকার প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয় এর (অভিযোজন) ফলে যে কোন পরিবেশে টিকে থাকার যোগ্যতা অর্জন করে।আর তাইতো ৯০ ফুট লম্বা মানুষ আজ ৫/৬ ফুটে।

২১| ১৬ ই আগস্ট, ২০২১ রাত ৮:০৫

এ আর ১৫ বলেছেন: আর তাইতো ৯০ ফুট লম্বা মানুষ আজ ৫/৬ ফুটে।

এই তো আপনি অভিযোজনের মোড়কে বিবর্তনবাদ কে মেনে নিলেন ? এবার একটা দু:সংবাদ দি । হোমো প্রজাতির প্রাণীদের মধ্য হোমো সেফিয়ান্সরা সব চেয়ে লম্বা এবং মানুষের যখন আবির্ভাব হয় , তখন কার মানুষ থেকে বর্তমানের মানুষরা সামান্য একটু বেশি লম্বা । পৃথিবীর কোথায় এখন পর্যন্ত ৯০/৮০/৭০/-----------------১০ ফুট উচ্চতার মানুষের কোন ফসিল পাওয়া যায় নি ,
তবে ইউটিউবে ফটোসটের কারসাজিতে ১৫০ -- ২০০ ফুট মানুষের কংকাল পাবেন ।
তাহোলে অভিযোজন বা বিবর্তন বা evolution বলে কিছু নেই --- এই দাবিটা যে ভুল মেনে নিলেন ।

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:২৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এ আর ১৫ ভাই,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।

ধর্মের অনেক কিছুই বিজ্ঞানে প্রমাণীত হয়নি এখন এখন পর্যন্ত ।তার মানে এই না যে ধর্ম মিথ্যা।বিবর্তন বা পরিবর্তন অস্বীকার করার বিষয় নয়।কারন জগতের সকল কিছুই পরিবর্তনশীল । আর তাইতো শিশু থেকে -কিশোর-যুবক- বার্ধক্য আসে মানুষের জীবনে। এটা বাকী সব জীবের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।তবে বিবর্তনবাদে যা বলা হয়েছে," অন্য প্রাণী পরিবর্তীত হয়ে মানুষ গঠন কিংবা এক প্রাণী পরিবর্তীত হয়ে অন্য প্রাণী গঠন, এটা না হওয়ার না মেনে নেওয়ার বিষয়"।

হযরত আদম (আঃ) উচ্চতা সম্পর্কিত হাদিস -

আবু হোরাইরা(রাঃ) থেকে বর্ণিত , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। এরপর তিনি (আল্লাহ্) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফিরিশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিরূপে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কেননা এটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। তারপর আদম (আঃ) (ফিরিশতাদের) বললেন, “আস্‌সালামু আলাইকুম”। ফিরিশতাগণ তার উত্তরে “আস্‌সালামু আলাইকা ওয়া রাহামাতুল্লাহ” বললেন। ফিরিশতারা সালামের জওয়াবে “ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ” শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (আঃ) এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানদের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপ পর্যন্ত পোঁছেছে"।(সহীহ বুখারী,হাদিস নং - ৩০৯১)।

কুতায়বা ইবনুু্‌ সাঈদ (রহঃ) বর্ণনা করেন - আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল। তারপর যে দল তাদের অনুগামী হবে তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাদিক দীপ্তমান উজ্জ্বল তারকার মত। তারা না করবে পেশাব আর না করবে পায়খানা। তাদের থুথু ফেলার প্রয়োজন হবে না এবং তাদের নাক হতে শ্লেম্মাও বের হবে না। তাদের চিরুনি হবে স্বর্ণের তৈরি। তাদের ঘাম হবে মিস্‌কের ন্যায় সুগন্ধপূর্ণ। তাদের ধনুচি হবে সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাঠের। বড় চক্ষু বিশিষ্ট হুরগণ হবেন তাদের স্ত্রী। তাদের সকলের দেহের গঠন হবে একই। তারা সবাই তাদের আদি-পিতা আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতিতে হবেন। উচচতায় তাদের দেহের দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত বিশিষ্ট।(সহীহ বুখারী , হাদিস নং ৩০৯২) ।

বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার মাঝেও এখন পর্যন্ত অনেক অনেক বিষয়ের সমাধান বা প্রমাণ করা যায়নি (ইউ এফ ও , বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল,)।তার মানে এ নয় যে, বিজ্ঞানে যে বিষয়ে সমাধান বা প্রমাণ নাই সেগুলি মিথ্যা।আপাতদৃষ্টিতে অনেক কিছুই অসম্ভব বলে মনে হলেও সৃষ্টিকর্তার কাছে কোন কিছুই অসম্ভব নয় এবং এ ব্যাপারে স্রষ্টাই ভাল জানেন।মানুষের ক্ষুদ্র জ্ঞানে সব কিছু জানা অসম্ভব।

আর সর্বোপরী আদমের উচ্চতা ৯০ ফুট কি ৯ ফুট এটা কি আমাদের জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়? কারন, ইসলামের মৌলিক বিষয়ের এবং দৈনন্দিন অবশ্য পালনীয় অনেক বিষয় আছে ,যেগুলিতে আমাদের ফোকাস করা উচিত ,বিতার্কিক বিষয়ে নয়।আর সব কিছু প্রমাণের বিষয় নয় কিছু বিষয় আছে শুধু বিশ্বাসের (না দেখে,কোন প্রশ্ন না করে )।

২২| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:২৬

বিটপি বলেছেন: আদমের উচ্চতা ৯০ ফুট ছিল - এইটা কোন হাদীসে আছে? হাদীসের কথা বাদ দেন। একটা ৯০ ফুট লম্বা প্রাণী কি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা, খাদ্য গ্রহণ, শ্বাস প্রশ্বাস এবং যৌন মিলন করতে পারে? ২০ ফুট লম্বা একটা জিরাফেরও এই কাজগুলো করতে অনেক কষ্ট হয়। যারা বড়াই করে বিজ্ঞানের কথা বলেন, তারা আদমের ৯০ ফুট উচ্চতার বিষয়টি মেনে নেন কিভাবে?

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ দুপুর ১২:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বিটপি,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য ।

হযরত আদম (আঃ) উচ্চতা সম্পর্কিত হাদিস -

আবু হোরাইরা(রাঃ) থেকে বর্ণিত , নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, "আল্লাহ্ তা’আলা আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করেছেন। তাঁর দৈর্ঘ্য ছিল ষাট হাত। এরপর তিনি (আল্লাহ্) তাঁকে (আদমকে) বললেন, যাও। ঐ ফিরিশতা দলের প্রতি সালাম কর এবং তাঁরা তোমার সালামের জওয়াব কিরূপে দেয় তা মনোযোগ দিয়ে শোন। কেননা এটাই হবে তোমার এবং তোমার সন্তানদের সালামের রীতি। তারপর আদম (আঃ) (ফিরিশতাদের) বললেন, “আস্‌সালামু আলাইকুম”। ফিরিশতাগণ তার উত্তরে “আস্‌সালামু আলাইকা ওয়া রাহামাতুল্লাহ” বললেন। ফিরিশতারা সালামের জওয়াবে “ওয়া রাহ্‌মাতুল্লাহ” শব্দটি বাড়িয়ে বললেন। যারা জান্নাতে প্রবেশ করবেন তারা আদম (আঃ) এর আকৃতি বিশিষ্ট হবেন। তবে আদম সন্তানদের দেহের দৈর্ঘ্য সর্বদা কমতে কমতে বর্তমান পরিমাপ পর্যন্ত পোঁছেছে"।(সহীহ বুখারী,হাদিস নং - ৩০৯১)।

কুতায়বা ইবনুু্‌ সাঈদ (রহঃ) বর্ণনা করেন - আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, "রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বপ্রথম যে দল জান্নাতে প্রবেশ করবে তাদের মুখমণ্ডল হবে পূর্ণিমার রাতের চাঁদের মত উজ্জ্বল। তারপর যে দল তাদের অনুগামী হবে তাদের মুখমণ্ডল হবে আকাশের সর্বাদিক দীপ্তমান উজ্জ্বল তারকার মত। তারা না করবে পেশাব আর না করবে পায়খানা। তাদের থুথু ফেলার প্রয়োজন হবে না এবং তাদের নাক হতে শ্লেম্মাও বের হবে না। তাদের চিরুনি হবে স্বর্ণের তৈরি। তাদের ঘাম হবে মিস্‌কের ন্যায় সুগন্ধপূর্ণ। তাদের ধনুচি হবে সুগন্ধযুক্ত চন্দন কাঠের। বড় চক্ষু বিশিষ্ট হুরগণ হবেন তাদের স্ত্রী। তাদের সকলের দেহের গঠন হবে একই। তারা সবাই তাদের আদি-পিতা আদম (আলাইহিস সালাম) এর আকৃতিতে হবেন। উচচতায় তাদের দেহের দৈর্ঘ্য হবে ষাট হাত বিশিষ্ট।(সহীহ বুখারী , হাদিস নং ৩০৯২) ।

বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার মাঝেও এখন পর্যন্ত অনেক অনেক বিষয়ের সমাধান বা প্রমাণ করা যায়নি (ইউ এফ ও , বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল,)।তার মানে এ নয় যে, বিজ্ঞানে যে বিষয়ে সমাধান বা প্রমাণ নাই সেগুলি মিথ্যা।আপাতদৃষ্টিতে অনেক কিছুই অসম্ভব বলে মনে হলেও সৃষ্টিকর্তার কাছে কোন কিছুই অসম্ভব নয় এবং এ ব্যাপারে স্রষ্টাই ভাল জানেন।মানুষের ক্ষুদ্র জ্ঞানে সব কিছু জানা অসম্ভব।

আর সর্বোপরী আদমের উচ্চতা ৯০ ফুট কি ৯ ফুট এটা কি আমাদের জন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়? কারন, ইসলামের মৌলিক বিষয়ের এবং দৈনন্দিন অবশ্য পালনীয় অনেক বিষয় আছে ,যেগুলিতে আমাদের ফোকাস করা উচিত ,বিতার্কিক বিষয়ে নয়।আর সব কিছু প্রমাণের বিষয় নয় কিছু বিষয় আছে শুধু বিশ্বাসের (না দেখে,কোন প্রশ্ন না করে )।

২৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:১৩

এভো বলেছেন: বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার মাঝেও এখন পর্যন্ত অনেক অনেক বিষয়ের সমাধান বা প্রমাণ করা যায়নি (ইউ এফ ও , বারমুডা ট্রায়াঙ্গাল,)।তার মানে এ নয় যে, বিজ্ঞানে যে বিষয়ে সমাধান বা প্রমাণ নাই সেগুলি মিথ্যা।আপাতদৃষ্টিতে অনেক কিছুই অসম্ভব বলে মনে হলেও সৃষ্টিকর্তার কাছে কোন কিছুই অসম্ভব নয় এবং এ ব্যাপারে স্রষ্টাই ভাল জানেন।মানুষের ক্ষুদ্র জ্ঞানে সব কিছু জানা অসম্ভব।

উপরে বাক্য গুলিকে বলে অজ্ঞতার কুযুক্তি বা ফ্যালাসি Argument from Ignorance Fallacy

উদাহরন --
দাবীঃ যেহেতু তুমি জানো না, বিগ ব্যাং এর আগে কী ছিল, তাই আমার দাবীটিই সঠিক!
দাবীঃ যেহেতু তুমি জানো না, মিশরের পিরামিডগুলো কোনটি কয়টি পাথর দিয়ে বানানো, তাই যৌন সম্পর্ক ছাড়াই ম্যারীর গর্ভে সন্তান হয়েছে!
দাবীঃ যেহেতু তুমি জানো না,
আমার মাথায় কয়টি চুল, তাই মুহাম্মদ ঘোড়ায় চড়ে সাত আসমান পাড়ি দিয়ে কয়েক মিনিটেই আবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছে!
দাবীঃ যেহেতু তুমি জানো না, প্রশান্ত মহাসাগরে কয়লিটার পানি আছে, তাই হনুমান এক লাফে ভারত থেকে শ্রীলঙ্কা পৌঁছে গেছে!

উপরের দাবীগুলো অজ্ঞতার কুতর্কের কিছু উদাহরণ। ধরুন কেউ দাবী করলো, তিনিই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন; এবং যুক্তি হিসেবে উপস্থাপন করলো, এই দাবীটি কেউ অপ্রমাণ করতে পারবে না, এবং আরও প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করলো মানুষের অজ্ঞতাকে। যেহেতু মানুষ কিছু বিষয় সম্পর্কে জানে না, বা মানুষের জ্ঞান যেহেতু সীমাবদ্ধ, বা তার কথাটি ভুল প্রমাণ করা হয় নি, সেহেতু তার দাবীটিই সঠিক!

বিগ ব্যাং এর আগে স্থান বা সময় যেহেতু ছিল না, ক্লাসিক্যাল পদার্থবিদ্যার কোন সূত্র যেহেতু সেখানে কাজ করতো না, সেহেতু কী ছিল, তা সম্পর্কে আমরা জানার চেষ্টা করতে পারি। জানাও সম্ভব হচ্ছে। তথ্য প্রমাণ এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে। কিন্তু আমাদের কোন অজানা বিষয় থাকার অর্থ এই নয় যে, অমুকের দাবীটি সঠিক। যেকোন অজানা বিষয়কে জানার পদ্ধতি হচ্ছে, তা নিয়ে পড়ালেখা করা, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, তথ্য প্রমাণ যুক্তি দিয়ে জানার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। অমুকে করেছে বা তমুকে এমনটি ঘটিয়েছে তা ধরে নেয়া নয়। কোন অজানা বিষয় অপ্রমাণিত কোন কিছুর সপক্ষের যুক্তি বা প্রমাণ হতে পারে না।

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ বিকাল ৫:৫৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এভো,আপনার মন্তব্যের জন্য ।

আমরা যে যেই ধর্মের অনুসারী হইনা কেন এবং সকল ধর্মেই ধর্মের মূল বিষয়ে কাউকে প্রশ্ন করার অধিকার দেয়া হয়নি তবে জানতে বলা হয়েছে।এখন আমি যদি স্রষ্টাকে স্বীকার না করি এবং সৃষ্টিকর্তা প্রেরিত দূত (রাসুল) কে বিশ্বাস না করি তাহলে আমার ক্ষেত্রে ধর্ম প্রযোজ্য নয় কারন আমি ত স্রষ্টাকেই স্বীকার করিনা। আর প্রমাণের বিষয় নয় ,বিশ্বাসের ও পালনের বিষয়।

এ বিশ্বকে আল্লাহ পাক ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। এই বিষয়টি কুরআনে একাধিকবার তিনি বলেছেন। সূরা আল আরাফ-৫৪, সূরা ইউনুস-৩, সূরা হুদ-৭, সূরা আল ফুরকান-৫৯, সাজদাহ-৪, ক্বাফ-৩৮ এবং হাদিদ-৪ এই সাতটি স্থানে ছয় দিনে পৃথিবী সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।

দুনিয়া সৃষ্টির বিষয়ে আল্লাহ বলেন,"নিশ্চয়ই তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহ, যিনি নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলকে ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর তিনি আরশে সমাসীন হয়েছেন। তিনি দিনকে রাত্রি দ্বারা আচ্ছাদিত করেন, এভাবে যে রাত্রি দিনকে দ্রুত ধরে ফেলে। তিনি সৃষ্টি করেছেন সূর্য, চন্দ্র ও নক্ষত্র নিজ আদেশের অনুগামী। জেনে রেখো, সৃষ্টি করা এবং আদেশ দান করা তাঁরই কাজ। বড় বরকতময় আল্লাহ, যিনি বিশ্বজগতের প্রতিপালক। (সুরা আরাফ, আয়াত - ৫৪)।

আলোচ্য আয়াতে আসমান-জমিন, গ্রহ-নক্ষত্র সৃষ্টি করা এবং বিশেষ অটল অবস্থার অনুগামী হয়ে তাদের নিজ নিজ কাজে নিয়োজিত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তাআলার অসীম শক্তির কথা বর্ণনা করে প্রত্যেক বুদ্ধিমান মানুষকে চিন্তার আহ্বান জানানো হয়েছে যে, যে পবিত্র সত্তা এই বিশাল পৃথিবীকে সৃষ্টি করতে এবং বিজ্ঞজনোচিত ব্যবস্থাধীনে পরিচালনা করতে সক্ষম, তাঁর জন্য এসব বস্তু ধ্বংস করে কিয়ামতের দিন পুনরায় সৃষ্টি করা কি কঠিন কাজ? তাই কিয়ামতের অস্বীকার না করে, একমাত্র আল্লাহকেই পালনকর্তা মনে করে, তাঁর কাছে প্রয়োজনাদি প্রার্থনা করতে হবে। তাঁরই ইবাদত করতে হবে।

দুনিয়া সৃষ্টির বিষয়ে আল্লাহ আরো বলেন," বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার করো যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দুই দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর করো? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা। তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন- পূর্ণ হলো জিজ্ঞাসুদের জন্য। অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধূম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আসো ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম। অতঃপর তিনি আকাশমণ্ডলীকে দুই দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকা,আয়াত - ৯-১২)।

এখন আমরা পদার্থবিদ্যা বা বিজ্ঞানে নেই তাই মিরাজে বিশ্বাস করব না, বা বিগ ব্যাং থিওরিতে নেই তাই এ বিশ্বকে আল্লাহ পাক সৃষ্টি করেছেন তাতে বিশ্বাস করব না বা আল্লাহ ও তার রাসুল (সাঃ) কোরআন-হাদীসে যা বলেছে তা বিশ্বাস করব এ সম্পূর্ণরূপে আপনার-আমার ব্যাপার।এ ব্যাপারে ধর্ম বা স্রষ্টার কোন জোর নেই।

২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭

এভো বলেছেন: আপনার যুক্তির ভিতরে অজ্ঞতার কুযুক্তি বা ফ্যালাসি Argument from Ignorance Fallacy সম্পৃক্ততা এত বেশি যে আপনাকে উদাহরন দিয়ে বোঝান হয়েছে -- অজ্ঞতার কুযুক্তি বা ফ্যালাসি Argument from Ignorance Fallacy কাহাকে বলে ।
আপনি যে সুরা ফুলসিরাতের ৯ থেকে ১২ নম্বর আয়াত গুলো দিলেন , তাতে কি প্রমাণ হয় ?

বলুন, তোমরা কি সে সত্তাকে অস্বীকার কর যিনি পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন দু’দিনে এবং তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ স্থীর কর? তিনি তো সমগ্র বিশ্বের পালনকর্তা।
তিনি পৃথিবীতে উপরিভাগে অটল পর্বতমালা স্থাপন করেছেন, তাতে কল্যাণ নিহিত রেখেছেন এবং চার দিনের মধ্যে তাতে তার খাদ্যের ব্যবস্থা করেছেন-পূর্ণ হল জিজ্ঞাসুদের জন্যে।
অতঃপর তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ দিলেন যা ছিল ধুম্রকুঞ্জ, অতঃপর তিনি তাকে ও পৃথিবীকে বললেন, তোমরা উভয়ে আস ইচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায়। তারা বলল, আমরা স্বেচ্ছায় আসলাম।
অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।
কুরআন ৪১ঃ৯-১২

এই আয়াত গুলো কি বিজ্ঞানের সাথে মিলে ? এই আয়াত অনুযায়ি আল্লাহ সবার আগে পৃথিবী সৃষ্ঠি করেছেন , তারপর পৃথিবীতে জীব যন্তু গাছপালা পর্বত নদী তৈরী করার পর ধূম্রকুন্জময় আকাশ আকাশ থেকে নক্ষত্ররাজি সৃষ্ঠ করলেন । ।

এখন দেখি সৃষ্ঠির ব্যপারে বিজ্ঞান কি বলে

বিজ্ঞান বলে ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে বিগ ব্যাঙ্গের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্ঠি হয়েছিল , এর ৮.৭ বিলিয়ন বৎসর পরে সূর্যের সৃষ্ঠি হয় এবং ৯ বিলিয়ন বৎসর পর পৃথিবীর সৃষ্ঠি হয় -- কিন্তু কোরান অনুযায়ী আল্লাহতালা সবার আগে পৃথিবী তারপর আকাশ মন্ডলি নক্ষত্ররাজি সৃষ্ঠি করেছেন , যদি তাই হয় তাহোলে পৃথিবীর জন্ম ১৪ বিলিয়ন বৎসর আগে হওয়ার কথা ।

আল্লাহ পৃথিবী, গাছপালা প্রাণিজগত আগে সৃষ্টি করেছেন, এরপরে সপ্ত আকাশ বা মহাকাশ।
কোরানের আয়াত অনুযায়ি পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা কিন্তু পৃথিবীর বয়স ৪ বিলিয়ন এবং সুর্য হতে সৃষ্ঠি হয়েছে ।

উপরের আয়াতে বলা হয়েছে বিভিন্ন দিনের কথা , প্রথম ৪ দিনে পৃথিবীতে নদী নালা জীবযন্তু গাছপালা পর্বত সৃষ্ঠি করেছে এর পর ধূম্রময় আকাশ থেকে নক্ষত্র তারা সূর্য সৃষ্ঠি করেছেন । তাহোলে প্রথম ৪ দিন দিন হোল কি করে ?? দিন হতে হোলে তো সূর্যের দরকার , সূর্যকে বানান হয়েছে ৪ দিনের পরে । তাহোলে সুর্য ছাড়া প্রথমের ৪টা দিন কোথায় হোতে আসলো ?
সুর্যের আলো ছাড়া সালোকসংশ্লেষন হোল কি করে এবং কি করে গাছপালা সূর্যের আলো ছাড়া সৃষ্ঠি হোল ,কি করে বৃষ্ঠিপাত হোল নদী নালা সৃষ্ঠি হোল ?
পৃথিবীকে যদি সবার আগে বানানো হয় তাহোলে পৃথিবীর বয়স ১৪ বিলিয়ন হওয়ার কথা কিন্তু পৃথিবীর বয়স হোল ৪ বিলিয়ন এবং সূর্য থেকে সৃষ্ঠি হয়েছে ।
এখন এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিতে হলে আপনার একমাত্র পথ হোল -- অজ্ঞতার কুযুক্তি বা ফ্যালাসি Argument from Ignorance Fallacy
সেটা হোল যেহেতু সাইন্স এখনো অনেক কিছু জানে না এবং অনেক কিছু পরিবর্তন হয় --- তাই পৃথিবী সবার আগে সৃষ্ঠি হয়েছে ইত্যাদি, ধন্যবাদ

১৭ ই আগস্ট, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ এভো,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য এবং ইত্যাদি,ইত্যাদি ও কোন মন্তব্য (জবাব নেই) আমার । ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.