নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মহামানব রাসূল (সাঃ) এর জ্ঞান (শিক্ষা) ও প্রজ্ঞা । (মহানবীর জীবনচরিত - ২)।

১২ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৭

" পড়, তোমার প্রভুর নামে " - শিক্ষার এই মহান বাণী দিয়েই যাত্রা শুরু করেছিল শিক্ষা ও উন্নয়নের ধর্ম ইসলাম। দুনিয়ার প্রথম মানুষ এবং ইসলামের প্রথম নবী হজরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) পর্যন্ত সব নবীই ছিলেন ঐশী শিক্ষার আলোয় আলোকিত এবং সু-শিক্ষার ধারক ও বাহক। মুহাম্মদ (সাঃ) ছিলেন সে ধারার সর্বশেষ ও সর্বোত্তম আল্লাহ প্রেরিত পুরুষ। তার মাধ্যমে ঐশী শিক্ষা পূর্ণতা লাভ করে। তিনি তার কার্যকর ও বাস্তবমুখী শিক্ষানীতি ও পদ্ধতির মাধ্যমে আরবের মূর্খ ও বর্বর একটি জাতিকে পৃথিবীর নেতৃত্বের আসনে সমাসীন করান এবং ইসলামের মহান বার্তা ছড়িয়ে দেন পৃথিবীর আনাচে কানাচে।

হজরত রাসূল (সাঃ) এর শিক্ষা সম্পর্কে আল্লাহতায়ালা কোরআনে কারিমে বলেন, ‘তিনিই সেই পবিত্র সত্ত্বা। যিনি নিরক্ষর লোকদের মধ্য থেকে একজনকে নবী করে পাঠিয়েছেন। যিনি তাদেরকে তার আয়াতসমূহ পাঠ করে শোনাবেন, তাদেরকে পবিত্র করবেন, তাদের শিক্ষা দেবেন কিতাব ও প্রজ্ঞা। যদিও ইতোপূর্বে তারা ভ্রান্তিতে (অজ্ঞতায়) মগ্ন ছিল "। ( সূরা জুমা,আয়াত - ২)।তার অনুপম শিক্ষানীতি ও পদ্ধতিতে মুগ্ধ ছিলেন তার পুণ্যাত্মা সাহাবি ও শিষ্যগণ। আর কেনোই বা তিনি শ্রেষ্ঠতম শিক্ষক হবেন না, যখন স্বয়ং আল্লাহতায়ালা তাকে সর্বোত্তম শিক্ষা ও শিষ্টাচার শিখিয়েছেন। রাসূল (সাঃ) বলেন, "আমাকে আমার প্রভু শিক্ষা দিয়েছেন, সুতরাং আমাকে তিনি সর্বোত্তম শিক্ষা দিয়েছেন। আমার প্রভু আমাকে শিষ্টাচার শিখিয়েছেন সুতরাং তিনি সর্বোত্তম শিষ্টাচার শিখিয়েছেন "।

পৃথিবীতে সর্বশ্রেষ্ঠ মানব হলেন প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) । মহান আল্লাহর পরই তাঁর স্থান। তিনি প্রয়োজনীয় সব বিষয়ে জ্ঞান রাখতেন। তাঁর জ্ঞান মহাসাগরতুল্য। আর আল্লাহর জ্ঞানের কোনো তুলনা নেই। অনেকে অজ্ঞতার কারণে নবীর জ্ঞানকে আল্লাহর জ্ঞানের সঙ্গে তুলনা করেন। এটি মারাত্মক ভুল। আল্লাহ নিজেই সে বিষয়ে আমাদের নিষেধ করেন। মহানবী (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, " তোমরা আমাকে আমার হকের ওপর (মাত্রাতিরিক্ত) মর্যাদা দিয়ো না। কেননা মহান আল্লাহ আমাকে তাঁর রাসুল বানানোর আগে তাঁর বান্দা (গোলাম) বানিয়েছেন "। (মুজামে কবির, হাদিস নং - ২৮৮৯) ।

মহানবী (সাঃ) এর জ্ঞান অর্জন

মহানবী (সাঃ) কে মহান আল্লাহপাক সরাসরি জ্ঞান দান করেছেন। তিনি কারো কাছ থেকে বা প্রতিষ্ঠান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন জ্ঞান অর্জন করেননি। তাঁকে আল্লাহর কাছে সরাসরি জ্ঞান তালাশ করতে বলা হয়েছে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন," আল্লাহ অতি মহান, সত্য অধীশ্বর।তোমার প্রতি আল্লাহর অহী (প্রত্যাদেশ) সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে তুমি কুরআন পাঠে তাড়াতাড়ি করো না।আর বল, ‘হে আমার প্রতিপালক! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি কর "। (সুরা ত্বাহা, আয়াত - ১১৪)

এটাও সত্য যে মহান আল্লাহ মহানবী (সাঃ) কে অনেক অজানা জ্ঞান দান করেছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, " আর যদি আপনার প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া না থাকত, তবে তাদের একদল তো আপনার পথভ্রষ্ট করতে চেষ্টাই করেছিল।কিন্তু তারা নিজেদেরকে ছাড়া আর কাউকে পথভ্রষ্ট করতে পারবে না এবং আপনার কোনই ক্ষতি করতে পারবে না। আল্লাহ আপনার প্রতি কিতাব ও প্রজ্ঞা অবতীর্ণ করেছেন এবং যা আপনি জানতে না, তা আপনাকে শিক্ষা দিয়েছেন। আর আপনার প্রতি আল্লাহর মহা অনুগ্রহ রয়েছে।" সুরা নিসা, আয়াত - ১১৩)।

মহানবী (সাঃ) এর জ্ঞানের পরিধি

মহানবী (সাঃ) কে তাঁর দুনিয়াতে আসার আগের ও পরের সব প্রয়োজনীয় জ্ঞান দান করা হয়েছে। তাঁকে সরাসরি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোরআন দ্বারা সব জ্ঞান দান করা হয়েছে। এদিকে ইঙ্গিত করে মহান আল্লাহ বলেন, " নিশ্চয়ই আমার দায়িত্ব তা মুখস্থ করিয়ে দেওয়া আর তা আপনার বক্ষে ধারণ করিয়ে দেওয়া এবং পাঠ করার তাওফিক দেওয়া। তাই যখন আমি (জিবরাইলের সূত্রে) পড়ব, আপনি তাঁর অনুসরণ করুন, অতঃপর আমি আপনাকে বয়ান (ব্যাখ্যা) করে দেব"। (সুরা কিয়ামা, আয়াত - ১৭-১৮)। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ আরও বলেন," আর যমীনে বিচরণশীল প্রতিটি জীব বা দু’ডানা দিয়ে উড়ে এমন প্রতিটি পাখি, তোমাদের মত এক একটি উম্মত। এ কিতাবে আমরা কোন কিছুই বাদ দেইনি; তারপর তাদেরকে তাদের রব-এর দিকে একত্র করা হবে"। (সুরা আনআম, আয়াত - ৩৮)।হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, " যে ব্যক্তি জ্ঞান অর্জন চায়, সে যেন কোরআন পড়ে। কেননা এর মধ্যে আগের ও পরের জ্ঞান রয়েছে"।(মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস নং - ৩০৬৪১)।

রাসুল (সাঃ) কি গায়েবের সব বিষয়ে অবগত?

গায়েব বা গায়েবী বা অদৃষ্ঠ হলো যা আমরা দেখতে পাইনা বা যে বিষয় সম্পর্কে আমরা জানিনা যা দৃশ্যমান নয় অদৃশ্য। মহানবী (সাঃ) সব গায়েবি বিষয় জানতেন না। বরং গায়েবের সব জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর গুণ। মহানবী (সাঃ) ততটুকু গায়েবি বিষয় জানতেন, যতটুকু তাঁকে মহান আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন। এ প্রসংগে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, "আর আল্লাহর কাছেই আছে আসমান ও যমীনের গোপন তথ্য; আর সকল কাজের প্রত্যাবর্তন তাঁরই দিকে; অতএব, তাঁরই বন্দেগী কর এবং তাঁর উপর ভরসা রাখ, আর তোমাদের কার্যকলাপ সম্বন্ধে তোমার পালনকর্তা কিন্তু বে-খবর নন " । (সুরা হুদ, আয়াত - ১২৩)

অন্য এক আয়াতে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, " আপনি বলুন! আমি তোমাদের এ কথা বলি না যে আমার কাছে আল্লাহর ধনভাণ্ডার রয়েছে, আর আমি অদৃশ্যের কোনো জ্ঞানও রাখি না। আমি তোমাদের এ কথাও বলি না যে আমি একজন ফেরেশতা। আমার কাছে যা কিছু ওহিরূপে পাঠানো হয়, আমি শুধু তারই অনুসরণ করে থাকি। আপনি তাদের জিজ্ঞেস করুন, অন্ধ ও চক্ষুষ্মান কি সমমানের? সুতরাং তোমরা কেন চিন্তাভাবনা করো না? " (সুরা আনআম, আয়াত - ৫০)।

এ প্রসংগে মহান আল্লাহপাক অন্য আয়াতে ইরশাদ করেন, " আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান। আর আমি যদি গায়বের কথা জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য"।(সুরা আরাফ, আয়াত - ১৮৮) ।মহান আল্লাহপাক আরো বলেন,"বলুন, আল্লাহ ব্যতীত আসমান ও যমীনে কেউই গায়েব জানে না এবং তারা উপলব্ধিও করেনা কখন উত্থিত হবে " । (সুরা নামল, আয়াত - ৬৫)।

গায়েবের সব বস্তুর চাবি তথা গায়েবী বিষয় আল্লাহর হাতে। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, " আর গায়েবের চাবি তাঁরই কাছে রয়েছে , তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। স্থল ও সমুদ্রের অন্ধকারসমূহে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত রয়েছেন, তাঁর অজানায় একটি পাতাও পড়ে না। মাটির অন্ধকারে এমন কোন শস্যকণাও অংকুরিত হয় না বা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোন বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে নেই। " (সুরা আনআম, আয়াত - ৫৯)।

কিয়ামত কবে হবে, এ বিষয়ে মহানবী (সাঃ) জানতেন না। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, "নিশ্চয় আল্লাহর নিকটেই আছে কিয়ামত (সংঘটিত হওয়ার) জ্ঞান, তিনি বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং তিনি জানেন জরায়ুতে যা আছে। কেউ জানে না আগামী কাল সে কি অর্জন করবে এবং কেউ জানে না কোন্ দেশে তার মৃত্যু ঘটবে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সর্ববিষয়ে অবহিত "। (সুরা লোকমান, আয়াত - ৩৪)।

মহান আল্লাহ আরো ইরশাদ করেন," লোকেরা আপনাকে কিয়ামত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলুন, এর জ্ঞান শুধু আল্লাহর নিকটই আছে। আর কিসে আপনাকে জানাবে, সম্ভবত কিয়ামত শীঘ্রই হয়ে যেতে পারে " ? (সুরা আহজাব, আয়াত - ৬৩)।

কিয়ামতের দিন মহানবী (সাঃ) কে তাঁর অনেক উম্মতের ব্যাপারে জানানো হবে। তিনি তাদের বিষয়ে আগে জানতেন না। হজরত আবদুল্লাহ (রাঃ) মহানবী (সাঃ) থেকে বর্ণনা করেন," আমি হাউসে কাউসারে সবার আগে যাব। আর কিছু লোক আমার থেকে উঠিয়ে নেওয়া হবে, আমার ও তাদের মাঝে পর্দা দেওয়া হবে। আমি বলব, তারা তো আমার উম্মত। তখন বলা হবে, আপনি জানেন না, তারা আপনার পরে কী উদ্ভাবন করেছে " (বুখারি, হাদিস নং - ৬৫৭৬)।

মোটকথা হলো, মহান আল্লাহর জ্ঞান অসীম। তাঁর জ্ঞানের সঙ্গে কারো জ্ঞান তুলনা হতে পারে না এবং তিনি দুনিয়ার সব বিষয়ে জানেন এবং তার জানার বাইরে দুনিয়াতে কিছুই হয়না। আর মহান আল্লাহপাক মহানবী (সাঃ) কে প্রয়োজনীয় সব জ্ঞান দিয়েছেন ওহির মাধ্যমে। তাই আল্লাহর পরে মহানবী (সাঃ) এর জ্ঞান সবচেয়ে বেশি। আর মানুষের স্তর (যোগ্যতা) ভেদে আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান দিয়ে থাকেন। এ সব আলোচনা থেকে এটা বলা যায় যে , নবীরা গায়েবি সংবাদ ততটুকু জানেন এবং জানতেন, ওহির মাধ্যমে যতটুকু তাঁদের জানানো হত বা হয়েছে।

নবী মুহাম্মদ (সাঃ) তার নবুওয়তি জীবনের সূচনা করে ছিলেন জ্ঞান (শিক্ষা) মাধ্যমে । একটি সভ্য ও সুন্দর পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যে আল্লাহতায়ালা যুগে যুগে মানব জাতির শিক্ষকরূপে নবীদেরকে প্রেরণ করেন।আরা তাদের মাধ্যমেই এ দুনিয়ার পথভ্রষ্ঠ মানুষকে দিয়েছেন সঠিক পথের দিশা ও সহিহ জ্ঞান।

যদিও অনেকই নবীকে "নিরক্ষর নবী" বলে থাকেন তবে আসলেই রাসূলুল্লাহ নিরক্ষর ছিলেন। তাঁর আক্ষরিক কোনো জ্ঞান ছিল না, তবে তার মানে এই না যে তিনি মূর্খ ছিলেন বরং তিনি ছিলেন বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী।রাসুল (সাঃ) জ্ঞান আহরণ করেছেন জ্ঞানের মূল উৎস (আল্লাহ তাআলার কাছ) থেকে। তাই তার আক্ষরিক (দুনিয়ার প্রাতিষ্ঠানিক ) জ্ঞানের প্রয়োজন ছিল না। কেননা তিনি তো আক্ষরিক জ্ঞানের মুখাপেক্ষী নন, তিনি কেবল আল্লাহ তাআলার মুখাপেক্ষী।এখানে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) নিরক্ষর বলার মাধ্যমে তাকে ছোট করা হচ্ছে এমন নয় ,সুক্ষ ভাবে চিন্তা করলে পাওয়া যায় যে, যদিও নিরক্ষর হওয়াটা কোনো মানুষের জন্য প্রশংসনীয় গুণ নয় বরং ক্রটি হিসাবেই গণ্য কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর জ্ঞান-গরিমা, তত্ত্ব ও তথ্য অবগতি এবং অন্যান্য গুণবৈশিষ্ট্য ও পরাকাষ্ঠা সত্ত্বেও উম্মী হওয়া তার পক্ষে বিরাট গুণ ও পরিপূর্ণতায় পরিণত হয়েছে। কারণ, শিক্ষাগত, কার্যগত ও নৈতিক পরাকাষ্ঠী যদি কোনো লেখাপড়া জানা মানুষের দ্বারা প্রকাশ পায়, তাহলে তা হয়ে থাকে তার সে লেখাপড়ারই ফলশ্রুতি, কিন্তু কোনো একান্ত নিরক্ষর ব্যক্তির দ্বারা এমন অসাধারণ, অভূতপূর্ব ও অনন্য তত্ত্ব-তথ্য ও সূক্ষ্ম বিষয় প্রকাশ পেলে, তা তার প্রকৃষ্ট মু'জিযা ছাড়া আর কি হতে পারে?

তাছাড়া যদি তাঁর আক্ষরিক জ্ঞান থাকতো, তিনি যদি লেখাপড়া জানতেন তাহলে কাফেররা বলতো যে, এই কুরআন মাজিদ তিনি নিজে হাত দিয়ে লিখেছেন, এটা আল্লাহর বাণী নয়। এখন তিনি লেখাপড়া জানতেন না, কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও তিনি অর্জন করেননি। তা সত্ত্বেও তিনি এমন এক কুরআন পেশ করলেন যে, তার অলৌকিকতা ও সাহিত্য-অলংকারের সামনে পৃথিবীর সকল সাহিত্যিক ও পন্ডিত তার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অক্ষম রয়ে গেল। আর তিনি যে শিক্ষা পেশ করলেন, যার সত্যতা ও যথার্থতা পৃথিবীর মানুষের কাছে স্বীকৃত। আর তা এ কথারই প্রমাণ যে, তিনি সত্যিই আল্লাহর রসূল (সাঃ) । তাছাড়া একজন নিরক্ষর, না এ রকম গ্রন্থ পেশ (রচনা) করতে পারে, আর না এমন শিক্ষার বর্ণনা দিতে পারে, যা ন্যায় ও ইনসাফের এক সুন্দর নমুনা এবং বিশ্ব-মানবতার পরিত্রাণ ও সাফল্যের জন্য অপরিহার্য।

অতএব রাসূলুল্লাহ নিরক্ষর হয়েও এমন একটি গ্রন্থ বিশ্ববাসীকে উপহার দিয়ে চমকে দেওয়া তাঁর জন্য ত্রুটি নয় বরং এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি বড়ো মোজেযা আর মানুষের জন্য নেয়ামত।


======================================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -

মহানবী (সাঃ) এর জীবনচরিত - ১ Click This Link
" পবিত্র মাস রবিউল আউয়াল " সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মহামানব রাসূল (সাঃ) যিনি জন্মগ্রহণ করেন পবিত্র এ মাসে । ১২ ই রবিউল আউয়ালের তাৎপর্য ও করণীয় ।


তথ্যসূত্র ও সহযোগীতায় - আল কোরআন,হাদীস ও উইকিপিডিয়া।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি একজন পরিশ্রমী ব্লগার।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৪৫

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , পোস্ট পড়া এবং মন্তব্যের জন্য।

জানার জন্য নিজের চেষ্টা করার পাশাপাশী আপনাদের সাথে তা শেয়ার করার চেষ্টা করি আর তাতে প্রবাসে নিজের সময়টা ভালভাবে কেটে যায় - এটাই । তবে আমার লেখা পড়ে কারোর যদি সামান্য একটি শব্দও কারো কাজে লাগে তাহলে আমার পরিশ্রম স্বার্থক।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ কিভাবে নির্বাচিত হয়?

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:৫৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

বাকীরা কিভাবে সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ নির্বাচিত করে তা আপনার-আমার দরকার নেই (যদি আসলেই আমরা না জানি কি কি যোগ্যতার আলোকে ভাল মানুষ / শ্রেষ্ঠ মানুষ নির্বাচিত করা হয়)। আপনি-আমি নিজেরাও ভাল মানুষ নির্বাচিত করতে পারব।তবে তার আগে জানতে হবে ভাল মানুষের নির্ণায়ক বা মানদণ্ড গুলো কি কি ?

যদি আমরা এগুলি জানি,তাহলে সেগুলি ব্যবহার করে সহজেই আপনি বের করতে পারবেন যে কে সর্ব শ্রেষ্ঠ মানুষ । অন্য কারো মতামত-বিচারের উপর আপনার নির্ভর করার দরকার নেই।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:৪২

কামাল১৮ বলেছেন: নবী যখন নিজ হাতে লিখেন নাই,আল্লাহ যখন লিখে পাঠান নাই,তা হলে অবশ্যই অন্য কেউ লিখেছে।নবী যে লেখা পড়া জানতেন তার অনেক প্রমান আছে।

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:০৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই ,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

নবী নিজ হাতে লিখেন নি এটা যেমন সত্যি তেমনি মহান আল্লাহপাকও লিখিতভাবে দুনিয়ায় কিছু পাঠান নাই এটাও সত্যি । মহান আল্লাহপাক ফেরেশতা হযরত জীবরাইলের (আঃ) এর মাধ্যমে ঐশীবাণী রুপে প্রেরণ করেছেন এবং হযরত জীবরাইল তা নবী (সঃ ) কে মুখস্ত করিয়েছেন । তারপর নবী তার সাহাবীদের কে মুখস্ত করিয়েছেন এবং সাহাবীরা তা লিখেছেন এবং সংরক্ষণ করেছেন।

আপনি যদি এভাবে দেখেন তাহলে ব্যাপারটা কেমন হয় ? আর যদি আপনি তাতে একমত না হন তবে আপনি আপনার মত করে ভেবে নিতে পারেন - তাহলে এ ব্যাপারে কেউ আপনাকে কিছু বলবেনা এবং এর দায় - দায়িত্ব আপনার উপরই বর্তাবে।এখানে না আল্লাহর কোন দায় থাকবে না নবীর কোন দায় থাকবে।

কারন আল্লাহপাক আপনাকে বিবেক-বুদ্ধি দিয়েছেন এবং দিয়েছেন স্বাধীনভাবে চিন্তা করা ও সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৩৭

নীল আকাশ বলেছেন: @কামাল১৮ঃ নবী যে লেখা পড়া জানতেন তার অনেক প্রমান আছে।
প্রমান দেখান। না হলে ইসলাম নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করা বন্ধ করুন।
সম্ভবত আপনি কোন মাল্টি নিক। আমি ইদানিং বেশিরভাগ পোস্টে আপনাকে ইসলাম বিরোধী মন্তব্য করতে দেখছি।
এইসব অভ্যাস ত্যাগ করুন। না হয় খুব শিঘ্রই ধরা পরে যাবেন।
পোস্ট করেছি: ০টি
মন্তব্য করেছি: ১৬৫৫টি
মন্তব্য পেয়েছি: ০টি
ব্লগ লিখেছি: ৫ মাস ২ সপ্তাহ
অনুসরণ করছি: ৪ জন
অনুসরণ করছে: ৩ জন


১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৪

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নীল আকাশ ভাই ,আপনার মন্তব্যের জন্য।

যদিও আপনি কামাল ১৮ ভাইয়ের উদ্দেশ্যেই বলেছেন তারপরও বলছি , যে যেভাবে চিন্তা করে বা তার যা দৃষ্টিভংগি তাই তার যাপিত জীবনে প্রতিফলিত হয়। এক্ষেত্রে আমরা সবাই সবার জন্য দয়াময়ের নিকট প্রার্থনা করতে পারি যেন তিনি আমাদের সকলকে সঠিক পথের অনুসন্ধান করার তওফিক দান করেন ।

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:৫১

জুল ভার্ন বলেছেন: চমতকার পোস্ট! +

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১২:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই ,আপনার মন্তব্য এবং পোস্টে + জন্য।

মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে সঠিক পথের সন্ধান দিন এবং তার নির্দেশনা অনুযায়ী জীবন অতিবাহিত করার তওফিক দিন।

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমাদের কর্ম ও চরিত্র যদি নবী(সাঃ) এর মত কিছুটাও হতো তবে দেশ, সমাজ, জনগন শান্তিতে থাকতো।

সুন্দর পোস্টে +++++

১৩ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ২:০৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই ,আপনার সুন্দর মন্তব্য এবং পোস্টে +++ জন্য।

মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলকে সঠিক পথের অনুসন্ধান করার ও নবী (সাঃ) আদর্শে জীবন গড়ে তোলার এবং সে অনুযায়ী জীবন পরিচালিত করার তওফিক দান করুন।

৭| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২০

কামাল১৮ বলেছেন: আল্লাহ আমাকে মোটেই বিবেক বুদ্ধি দেন নাই।পৃথীবিতে কি ঘটবে ,পৃথীবি শৃষ্টির ৫০০ বছর আগে পুক্ষানুপুক্ষ ভাবে লিখিত আছে লৌহমাহফুজে রাখা বৃহৎ কিতাবে।তার এক চুল এদিক সেদিক হবার উপায় নাই।এ কথা যে বিশ্বাস না করে সে মুসলমানই না।তকদিরে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:০৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই ,আপনার প্রতিমন্তব্যের জন্য।

তকদির + প্রচেষ্টা / চেষ্টা = কর্মফল

একজন মুসলমান হিসাবে আমাকে আপনাকে তকদীরে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে এবং রাখতে হবে সাথে সাথে ফলালফের জন্য প্রচেষ্টা / চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

আল্লাহ লাওহে মাহফুজে লিখে রেখেছেন সব কিছু তবে কিভাবে কি হবে তাও । কাজেই আমি ঘরে বসে থেকে যদি ভাল কিছু চাই তা আদৌ হবেনা কারন আমি যা কিছু চাই জন্য প্রাসঙ্গিক কাজ করতে হবে। যেমন -আমি যদি শিখতে চাই তাহলে আমাকে স্কুল কলেজে যেতে হবে এবং তার সাথে প্রাসঙ্গিক কাজ গুলি করতে হবে । এর ফলেই আমি শিক্ষিত হতে পারব।

আবার আমি যদি প্রার্থনা করতে চাই তাহলে তার সাথে প্রাসঙ্গিক কাজ (অজু করা-পাক হওয়া - মসজিদে যাওয়া ) গুলি করতে হবে তাহলেই আমার প্রার্থনা হবে নতুবা নয়। ব্যাপারগুলো এরকমই ভাই।

আর আমি আপনি যদি বলি আমি তকদিরে বিশ্বাস করি, যা হবার তাই হবে বলে প্রাসঙ্গিক কাজ গুলো না করি তাহলে কিছুই হবেনা এ জীবনে।

৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:১৪

কামাল১৮ বলেছেন: @ নীল আকাশ,আল্লাহ যখন তাকে পড়ার জন্য পাঠিয়েছে এবং জিব্রাইল এসে যখন বললো ,পড়, তোমার প্রভুর নামে।তখন আল্লাহ নিশ্চয় জানে মুহাম্মদ পড়তে জানে।যেহেতু আল্লাহ সবজান্তা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১০

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কামাল ভাই ,

আংশিক বা অসম্পূর্ণ যে কোন জিনিষই ত্রুটিযুক্ত তা সে জিনিষ-বাক্য-কাজ যাই হোক না কেন।

আল্লাহ সবজান্তা বা সব জানেন - এ বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই।

৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ২:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: @নীল আকাশ,ধরা ধরির কাজও করেন আজকাল।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:১৬

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: কামাল ভাই, ধরা-ধরি ব্যাপোক :P ভালা কাম।যতক্ষণ না ধরে ততক্ষণ মজাই আহেনা।(পজেটিভলি দেখেন না ভাই - এ ধরা সেই ধরা না । এ ধরা স্রষ্টার ধরা )।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.