নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপলব্ধি - ৬

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫৩


ছবি - daily-bangladesh.com

ক্ষুদ্র পরিসরের এক জীবন মানুষের। আর এই জীবনকে সুখী, সুন্দর ও সফল করার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে বা করতে চেষ্টা করে । মানুষের জীবনে নিজের ইতিবাচক ইচছাশক্তির সাথে সাথে সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে ধৈর্য্যের সাথে যে কোন পরিস্থিতির মোকাবিলা করলে সহজেই সুখী হওয়া যায় বলে আমার বিশ্বাস। আর সামাজিক নিয়ম-কানুন ও স্রষ্টার অনুশাসন না মেনে সবসময় না পাওয়ার অতৃপ্তির মানষিকতা নিয়ে চললে মানুষের একজীবনে সুখ অধরাই থেকে যায় বা যাবে।


ছবি - bengal95.com

ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ার এ মানব জীবনে সুখী হওয়ার জন্য আমাদের করণীয় বা আমাদের যেসব বিষয় মেনে চলা, জেনে রাখা উচিত -

১। আমাদের জীবনে সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা যাই কিছু আসুক তার সবই সৃষ্টিকর্তা বা স্রষ্টা কর্তৃক । তার কোন কোনটা আমাদের মেনে নিতে যদিও কষ্ট হয় তবে আমাদের সকলকে তা মেনে নেওয়া উচিত কোন অভিযোগ ছাড়াই। কারন, সৃষ্টিকর্তা বা স্রষ্টা আমাদের কারোরই শত্রু বা প্রতিপক্ষ নন এবং তিনি যা করেন তা সবসময় আমাদের মংগলের জন্য যদিও আপাতদৃষ্টিতে অনেক সময়ই তা আমাদের জন্য ক্ষতির কারন বলে মনে হতে পারে।

২। আমাদের জীবনের জন্য আমাদের পরিকল্পনা থেকে সবসময় সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহর পরিকল্পনাই উত্তম।

৩। যদি আমরা ঠিকমত আমাদের উপর অর্পিত কাজ করি এবং আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি, তাহলে জীবন নিয়ে চিন্তিত হওয়ার কোন মানে হয় না শুধু প্রয়োজন দুঃসময়ে একটু ধৈর্যধারণ করা।

৪। আমরা প্রায়ই ভাবি যে আমার এমন আপন কেউ নেই যাকে আমরা আমাদের ব্যক্তিগত কথা ও দুশ্চিন্তাগুলো শেয়ার করতে পারি অথচ সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহই আমার-আপনার শ্রেষ্ঠ শ্রবণকারীর তা আমরা ভুলে যাই।

৫। এ দুনিয়াতে আমি-আপনি যত যাই করিনা না কেন এই দুনিয়ার আপনজন-মানুষদের সন্তুষ্ট করতে পারব না। তাই আমাদের সকলেরই দুনিয়ার মানুষদের খুশি করার মিথ্যা আশা ছেড়ে তাদের সৃষ্টিকর্তাকে খুশি করার জন্য চেষ্টা করা উচিত।

৬। দৈহিক ভাবে সুন্দর এবং চারিত্রিক সৌন্দর্য কখনোই এক নয়। ফর্সা কেবল চামড়ার মধ্যে ফুটে উঠলেও চারিত্রিক সৌন্দর্য ফুটে উঠতে প্রয়োজন আল্লাহর আনুগত্যের সাথে সাথে মানবিক-সুন্দর মনের সাথে সাথে উত্তম চরিত্র।

৭। দুঃখ-কষ্ট-হতাশা আমাদের জীবনেরই অংশ হলেও আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত প্রতিটা বিষয়ই আমার-আপনার প্রতি সুবিচার। প্রয়োজন শুধু আমাদের তাঁর প্রতি আস্থাশীল ও নির্ভরশীল হওয়া এবং তাঁরই উপর ভরসা করা।

৮। আমি-আপনি যত বেশি আল্লাহর উপর ভরসা করবো, আমাদের পক্ষে ধৈর্য্য ধারণ ততো বেশি সহজ হবে আর ধৈর্য্যের চেয়ে বড় নেয়ামত মানুষের জীবনে আর কিছু নেই।

৯। একাকীত্ব সবসময়ই বিরক্তিকর মনে হয় । তবে যে তাঁর প্রভুর (সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহর) আনুগত্য করে করে সে কখনো একাকীত্ব অনুভব করে না।

১০। নামে মুসলিম তথা মুসলিম হিসেবে জন্মগ্রহণের চেয়ে মুসলিম হিসেবে মৃত্যুবরণ করতে পারাটাই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।

১১। তাকেই ভালবাসুন যে আল্লাহকে ভালবাসেন। আমাদের এমন কাউকে ভালোবাসা উচিত নয়, যে আল্লাহকেই ভালোবাসতে জানে না। কেউ যদি আপনার প্রভুর আনুগত্য পছন্দ না করে তবে আপনারও তাকে পছন্দ করার কোন যুক্তি নেই।

১২। আমরা প্রায়ই ক্ষমতাসীন কিংবা প্রতিষ্ঠিত কারো অনেক সময় নিয়ে ও তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য নানাভাবে চেষ্টা এবং সেই মানুষকে অনেকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেও খুব কমই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারি। অথচ আমরা এমন এক সত্তাকে (সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহকে) ভুলে থাকি যে কিনা সবসময়ই আমাদের প্রতি তার দয়া ও ভালবাসার দৃষ্টি রাখেন।


ছবি - newmuslim.net

১৩। সবচেয়ে কষ্টসাধ্য বিষয় হলো আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে এমন কিছু বর্জন করা যা আমি-আপনি ভালোবাসি। তবে আমাদের সবসময়ই মনে রাখা উচিত আল্লাহ সবসময়ই কোন কিছুর পরিবর্তে এর চেয়ে উত্তম কিছু প্রতিদান হিসেবে দিয়ে থাকেন।

১৪। আমাদের সবারই এমন কারো সঙ্গী হওয়া উচিত যে চলার পথে আমাদেরকে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।

১৫। যখন পৃথিবীর কেউই আমাকে-আপনাকে বুঝতে চেষ্টা করে না, তখন এতটুকু মনে রাখাই যথেষ্ট মহান আল্লাহপাক আমাকে-আপনাকে সবসময়ই ভাল বুঝেন।

১৬। আমাদের সকলেরই নিজেদেরকে দুশ্চিন্তামুক্ত রেখে প্রতিটা বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা করা উচিত কারন আমার-আপনার জন্য কোনটি কল্যাণকর তা তিনিই ভালো জানেন।

১৭। যেখানে আল্লাহর দয়ায় এক নিমিষেই পেছনের সকল অন্যায় থেকে পরিত্রাণ পেয়ে একটি সুন্দর আগামীর আশা করা যায় সেখানে আমাদের নিরাশ হওয়ার কোন প্রশ্নই আসে না, প্রয়োজন শুধু সত্যকে মেনে নেয়ার সৎসাহস।

১৮। যেখানে হযরত মোহাম্মদ (সঃ) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক আল্লাহর নিকট তওবা (ক্ষমা) প্রার্থনা করতেন, সেখানে আমরা অন্তত দিনে দুই-একবার করছিতো তার ক্ষমা ও মাগফেরাতের জন্য ?

১৯। আল্লাহর উপর ভরসা করে যে কেউ আল্লাহর নিকট নিজেকে সমর্পণ করবে সে কিছুই হারাবে না।

২০। সত্যিকারের সফল আমরা তখনই হবো , যখন আমি-আপনি আমাদের সকল ত্যাগ ও ভাল কাজের বিনিময়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের সাথে সাথে চূড়ান্তভাবে তার ক্ষমা নসিব হবে এবং আমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারব।

কাজেই এসকল ছোটখাট বিষয়গুলি অনুকরন-অনুসরনই হতে পারে আপনার-আমার জীবনে সুখের নিয়ামক। আর সুখ হল মানুষের মনের একটি পজেটিভ অবস্থা।তাই সবসময় মনকে বুঝুন এবং মনের কথা শুনতে চেষ্টা করুন ।


সংগৃহীত ও পরিমার্জিত ।
মূল উক্তি ও তথ্যসূত্র - ডঃ বিলাল ফিলিপস এর উক্তি ও বাণী সমুহ এবং আল কোরআন।

==================================================================

উপলব্ধি - ৫ Click This Link
উপলব্ধি - ৪ Click This Link
উপলব্ধি - ৩ Click This Link
উপলব্ধি - ২ Click This Link
উপলব্ধি - ১ Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৪:০১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের জীবনে সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা যাই কিছু আসুক তার সবই সৃষ্টিকর্তা বা স্রষ্টা কর্তৃক ।
আমি ঘরে বসে থাকলে কোনো কিছুই আমার কাছে হেঁটে চলে আসবে না। তার জন্য চেষ্টা থাকতে হবে। ফলাফল অবশ্যই আল্লাহর হাতে।

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ বিকাল ৫:১৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ দস্যু ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আমাদের জীবনে সুখ-দুঃখ, সাফল্য-ব্যর্থতা যাই কিছু আসুক তার সবই সৃষ্টিকর্তা বা স্রষ্টা কর্তৃক । আমি ঘরে বসে থাকলে কোনো কিছুই আমার কাছে হেঁটে চলে আসবে না। তার জন্য চেষ্টা থাকতে হবে। ফলাফল অবশ্যই আল্লাহর হাতে।

- জী ভাই, সাফল্যের জন্য আমরা আমাদের চেষ্টা করতে হবে। ফলাফল (ভাল-খারাপ কিংবা সাফল্য-ব্যর্থতা) সৃষ্টিকর্তা বা স্রষ্টা কর্তৃক নির্ধারিত হবে। মানুষকে স্রষ্টার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে , তার নির্দেশিত পথ অনুসরন করতে হবে । আর তাইতো নামাজ পড়ার পরপরই হালাল জীবিকা উপার্জনে জমিনে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তাআলা। কেননা হালাল আয়-রোজগারে জীবিকা নির্বাহ করলে তাতে ইবাদত-বন্দেগিও কবুল হয়।

আর তাইতো মহান আল্লাহপাক আল কোরআনে বলেন, " অতপর নামাজ শেষ হলে তোমরা জমিনে (পৃথিবীতে) ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ (জীবিকা) তালাশ কর ও আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর, যাতে তোমরা (জীবিকা উপার্জনে) সফলকাম হও"। (সুরা জুমআ, আয়াত ১০ )।

২| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: গুলো শুধু আপনার উপলব্ধি নয়। এগুলো আপনার অভিজ্ঞতাও বটে।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

জী ভাই, তা বলা যায়।

কারন, যে কোন কাজ করার পরই মানুষের বিবেক তথা উপলব্ধি জাগ্রত হয় । আবার কাজের ফলেই মানুষ অভিজ্ঞতা অর্জন করে।

৩| ২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০৪

জটিল ভাই বলেছেন:
আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন।

২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ২:৫১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জটিল ভাই ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

আপনার মত আমিও বলছি - মহান আল্লাহপাক আমাদের সকলের সহায় হোন এবং আমাদেরকে ভাল কাজ করার তওফিক দান করুন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.