নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - momjunction.com
মহান আল্লাহপাক মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন সমষ্টিগতভাবে নারী ও পুরুষের সমন্বয়ে । নারী-পুরুষ মিলেই পূর্ণ হয়েছে মানবসভ্যতা। সৃষ্টিগতভাবে নারী ও পুরুষের মাঝে সামান্য কিছু পার্থক্য মূলতঃ কোনো বিভাজন নয় বরং সৃষ্টির পূর্ণতা ও মানুষের উৎকর্ষতার জন্যই একে অপরের পরিপূরক হিসেবে সৃজিত হয়েছে এ মানব জুটি। স্রষ্টার অপরুপ ও মমতাময়ী সৃষ্টি এ মানবজাতি। এ পৃথিবীতে মানুষ প্রেরণের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে স্রষ্টা প্রথমে আদি মানব হযরত আদম (আঃ) কে সৃষ্টি করছিলেন। আর তাই হযরত আদম (আঃ) একাধারে মানবজাতির আদি পিতা,এই পৃথিবীতে আল্লাহর প্রেরিত খলীফা (প্রতিনিধি) এবং প্রথম নবী ও রাসূল। মানবজাতির এবং নবুওয়াত ও রিসালাতের সূচনা হয় তাহার মাধ্যমেই। তাঁহার বংশধর হিসাবেই মানুষকে আরবী, উর্দু, ফার্সী প্রভৃতি ভাষায় আদমী নামে অভিহিত করা হয়ে থাকে। নবী-রাসূলগণ যেহেতু শিষ্টাচার ও সভ্যতারই পয়গামবাহক, তাই আদম (আঃ) কে মানব সভ্যতারও পথিকৃতরূপে অভিহিত করা অত্যন্ত যুক্তিসঙ্গত।
আদি মানব আদম (আঃ) এবং তার সংগী - মানবী বা হাওয়া (আঃ) এর সৃষ্টি -
হযরত আদম (আঃ) যে পৃথিবীর আদি ও প্রথম মানব এবং সমগ্র মানব জাতির আদি পিতা তাহা কুরআনের বিভিন্ন আয়াত ও মহানবী (সাঃ) এর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত।যেমন আল্লাহ তাআলা বলেন," নিশ্চয় আল্লাহর নিকট ঈসার দৃষ্টান্ত আদমের দৃষ্টান্ত সদৃশ্য।তিনি তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছিলেন। তারপর তাকে বলেছিলেন,- হও, ফলে তিনি হয়ে যান"।(সুরা আল ইমরান, আয়াত - ৫৯)। অর্থাৎ আদম (আঃ) পিতা ও মাতা ব্যতীতই আল্লাহর কুদরতে সৃষ্ট, সরাসরি মাটি হইতে।
হযরত আদম (আঃ) সৃষ্টির ব্যাপারে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, " যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে উত্তমরূপে সৃজন করেছেন এবং মাটি হতে মানব-সৃষ্টির সূচনা করেছেন"। (সুরা আস সাজদাহ , আয়াত - ৭)। এ ব্যাপারে আরো বলা হয়েছে, "আমি মানবকে পচা কর্দম থেকে তৈরী বিশুস্ক ঠনঠনে মাটি দ্বারা সৃষ্টি করেছি। (সুরা হিজর,আয়াত - ২৬)। তাহলে দাড়াচছে, আদম (আঃ) একাই কেবল মাটি থেকে সৃষ্টি। বাকি সবাই পিতা-মাতার মাধ্যমে সৃষ্ট। এ ব্যাপারে আল কোরআনে আরো বলা হয়েছে, " অতঃপর তিনি তার বংশধর সৃষ্টি করেছেন তুচ্ছ পানির নির্যাস থেকে"। (সুরা আস সাজদাহ,আয়াত - ৮)। মানব জীবনের ধারাবাহিকতার ব্যাপারে বলা হয়েছে, "তিনিই পানি থেকে সৃষ্টি করেছেন মানবকে, অতঃপর তাকে রক্তগত, বংশ ও বৈবাহিক সম্পর্কশীল করেছেন। তোমার পালনকর্তা সবকিছু করতে সক্ষম। (সুরা ফুরকান,আয়াত - ৫৪)।
পুরুষ (আদম) এর সংগী ও প্রথম মানবী /স্ত্রী হাওয়া (আঃ) সৃষ্টির প্রসংগে মহান আল্লাহপাক বলেন, " তিনিই তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন, যাতে সে তার কাছে শান্তি পায়। তারপর যখন সে তার সাথে সংগত হয় তখন সে এক হালকা গর্ভধারণ করে এবং এটা নিয়ে সে অনায়াসে চলাফেরা করে। অতঃপর র্গভ যখন ভারী হয়ে আসে তখন তারা উভয়ে তাদের রব আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, যদি আপনি আমাদেরকে এক পূর্ণাঙ্গ সন্তান দান করেন তাহলে আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকব " । (সুরা আল আরাফ,আয়াত -১৮৯)।
আল কোরআনের অন্য আয়াতে তাঁহার স্ত্রী হাওয়াকে তাঁহারই দেহ হইতে সৃষ্টির উল্লেখ করিয়া আল্লাহ তাআলা বলেন, "হে মানুষ! তোমরা তোমাদের রবের তাকওয়া অবলম্বন কর যিনি তোমাদেরকে এক ব্যক্তি থেকে সৃষ্টি করেছেন ও তার থেকে তার স্ত্রী সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের দুজন থেকে বহু নর-নারী ছড়িয়ে দেন; আর তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর যার নামে তোমরা একে অপরের কাছে নিজ নিজ হক দাবী কর এবং তাকওয়া অবলম্বন কর রক্ত-সম্পর্কিত আতীয়ের ব্যাপারেও । নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর পর্যবেক্ষক ''।(সুরা আন নিসা, আয়াত - ১)।
মহান আল্লাহপাকের মানুষ (আদম) সৃষ্টির উদ্দেশ্য -
কুরআন শরীফের সূরা বাকারায় সর্বপ্রথম যেখানে আদম (আঃ) সৃষ্টি প্রসঙ্গটি উল্লিখিত হইয়াছে সেখানেই তাঁহার সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কেও আল্লাহ তাআলা সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করিয়াছেন। সেখানে মহান আল্লাহপাক বলেন, "আর স্মরণ করুন, যখন আপনার রব ফেরেশতাদের বললেন , নিশ্চয় আমি যমীনে খলীফা সৃষ্টি করছি', তারা বলল, আপনি কি সেখানে এমন কাউকে সৃষ্টি করবেন যে ফাসাদ ঘটাবে ও রক্তপাত করবে ? আর আমরা আপনার হামদসহ তাসবীহ পাঠ করি এবং পবিত্রতা ঘোষণা করি । তিনি বললেন, নিশ্চয় আমি তা জানি, যা তোমরা জান না "।(সুরা বাকারা, আয়াত - ৩০)। আল কোরআনে মানুষ ও জিন সৃষ্টির উদ্দেশ্য সম্পর্কে আল্লাহপাক আরো বলেন, " আর আমি সৃষ্টি করেছি জিন এবং মানুষকে এজন্যেই যে, তারা কেবল আমার ইবাদত করবে"।(সূরা জারিয়াত, আয়াত - ৫৬ )।
আল্লাহপাকের ইবাদতের ফলে মানুষ দুনিয়ার কল্যাণের সাথে সাথে পরকালে জান্নাতের আনন্দময় জীবন লাভ করবে। আল্লাহর প্রতি নিরঙ্কুশ আনুগত্য তথা তাঁর ইবাদত করলে পরকালে জান্নাতে বসবাসের নিশ্চয়তা রয়েছে। তবে বান্দার ইবাদতের লক্ষ্য নিছক জান্নাতপ্রাপ্তির জন্য হওয়া উচিত নয় বরং তা হওয়া উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা। এ ব্যাপারে আল কোরআনে বলা হয়েছে,"আপনি বলুন, আমার সালাত, আমার ইবাদত, আমার জীবন ও মৃত্যু আল্লাহর জন্য যিনি সমগ্র বিশ্বজাহানের মালিক"। (সূরা আনয়াম, আয়াত -১৬২)।
আল্লাহ মানুষকে তাঁর ইবাদতের জন্য তৈরি করলেও বান্দাকে বুঝতে হবে ইবাদত করা না করার মধ্যে আল্লাহর কিছু আসে যায় না। তিনি মানুষ বা জিন সহ কারও ইবাদতের মুখাপেক্ষী নন। তবে মানুষ বা জিন ইবাদতের মাধ্যমে স্রষ্টার সন্তুষ্টি-বিধান করতে পারে। যেহেতু তাদের সৃষ্টির উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত করা সেহেতু তা পূরণের মাধ্যমে তারা নিজের কৃতজ্ঞতা তথা নিজের আনুগত্যের পরিচয় দিতে পারে। এ কারণে হজরত আলী (রাঃ) বলতেন, "হে আল্লাহ! আমি জাহান্নামের ভয়ে বা জান্নাতের লোভে তোমার ইবাদত করি না, আমি তোমার ইবাদত করি কারণ তুমি ইবাদতের যোগ্য"। আল্লাহ ইবাদতের যোগ্য এবং মানব জীবনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আল্লাহর ইবাদত হলেও এ দুনিয়াতে মানুষকে আল্লাহর ইবাদতের পাশাপাশি আরও কিছু কাজ কর্ম করতে হয়। আর এসব করতে হয় দুনিয়াতে মানুষের বেঁচে থাকা ও টিকে থাকার জন্য। আর এসব কিছুই করতে হয় নর-নারী উভয়েকে এবং উভয়ে মিলে। যদিও তাদের করণীয় কাজে কিছুটা প্রার্থক্যও আছে।
পুরুষ ও নারীর মাঝে কি কোন পার্থক্য আছে -
বাহ্যিক আকৃতি ও দৈহিক বৈশিষ্ঠ্যের ভিত্তিতে সমগ্র মানব জাতিকে আমরা নারী ও পুরুষ হিসেবে ভাগ করে থাকি । নারী ও পুরুষ একই উপাদানে সৃষ্টি হওয়ার পরও দৈহিক দিক দিয়ে উভয়ের মাঝে রয়েছে কিছু পার্থক্য। পার্থক্য গুলো হলো -
১। মেয়েদের শরীর চুম্বকধর্মী আর পুরুষের শরীর বিদ্যুৎধর্মী।
২। মেয়েদের শরীর অম্লধর্মী পুরুষের শরীর ক্ষারধর্মী।
৩। রক্তের লাল কণিকা মেয়েদের চাইতে পুরুষের অনেক বেশি। পুরুষের এক কিউবিক মিলিমিটার রক্তে ৫০ লক্ষ রক্ত কণিকা থাকে এবং মেয়েদের থাকে ৪৫ লক্ষ।
৪। মেয়েদের হৃদপিন্ড পুরুষের হৃদপিন্ড হতে ওজনে ৬০ গ্রাম কম হয়ে থাকে।
৫। নাড়ীর হৃদস্পন্দন পুরুষের চেয়ে মিনিটে ৫টি বেশি।
৬। পুরুষের শরীর সামনের দিকে ভারী আর নারীর শরীর পেছনের দিকে ভারী। এজন্য নারীর মৃতদেহ পানিতে ভাসে চিৎ হয়ে আর পুরুষের মৃতদেহ ভাসে উপুড় হয়ে। আর এজন্য নারীরা হাইহিল জুতো পরে স্বাচ্ছন্দে হাটতে পারলেও পুরুষ হাইহিল পরতেই পারেনা।
ছবি - unsplash.com
তাছাড়া, সৃষ্টিগত ও জীব বিজ্ঞানের সুত্র অনুসারেও নারী পুরুষের মধ্যে কিছু জৈবিক পার্থক্য (Biological) আছে। যেমন -
১। নারী গর্ভ (সন্তান) ধারন করে, পুরুষ গর্ভ ধারন করেনা।
২। যৌন মিলনে পুরুষ সক্রিয়, নারী তুলনামূলকভাবে কিছুটা নিস্ক্রিয় ।
৩। পুরুষের দাঁড়ী গোঁফ হয়, নারীর হয়না।
৪। সন্তান ধারন ও লালনের জন্য নারীর কতিপয় আলাদা দৈহিক বৈশিষ্ট্য আছে, পুরুষের সেগুলো নেই।
নারী ও পুরুষের এই শারীরিক পার্থক্যগুলি সামাজিক ভাবে সৃষ্ট নয় বরং সৃষ্টিগত ও জৈবিক। নারী ও পুরুষের এই জৈবিক পার্থক্য বুঝাতেই সেক্স শব্দটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে এবং পার্থক্য তাদের অর্জিত বা বিশেষ কিছু নয় বরং এসবই স্রষ্টা প্রদত্ত ও এতেই স্রষ্টার সৃষ্টির পূর্ণতা পায়।
ছবি - unsplash.com
সমাজে ও পরিবারে পুরুষের ভূমিকা বা পুরুষ কিসের ভিত্তিতে পরিবারের অভিভাবক হয়ে থাকে ?
পবিত্র কুরআনে নর-নারীর একে অপরের মাঝের সম্পর্কের ব্যাপারে আল্লাহর বাণী, "পুরুষ নারীর কর্তা। কারণ, আল্লাহ তাদের এককে অপরের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং এ জন্য যে পুরুষ (তাদের জন্য) ধন ব্যয় করে। সুতরাং পুণ্যময়ী নারীরা অনুগতা এবং পুরুষের অনুপস্থিতিতে লোক-চক্ষুর অন্তরালে (স্বামীর ধন ও নিজেদের ইজ্জত) রক্ষাকারিণী; আল্লাহর হিফাযতে (তওফীকে) তারা তা হিফাযত করে। আর স্ত্রীদের মধ্যে যাদের অবাধ্যতার তোমরা আশংকা কর, তাদেরকে সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং তাদেরকে প্রহার কর। অতঃপর যদি তারা তোমাদের অনুগতা হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অন্য কোন পথ অন্বেষণ করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সুউচ্চ, সুমহান"। (সুরা নিসা, আয়াত - ৩৪) ।
আলোচ্য আয়াতে নারীর উপর পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব-কর্তৃত্ব আল্লাহ প্রদত্ত, যাতে পুরুষদের কোন চেষ্টা-প্রচেষ্টা ও বিশেষ কিছু অর্জনের নেই এবং এটা কেবল সৃষ্টিগত। পুরষকে যে শক্তি , চেষ্টা-তদবীরের ক্ষমতা, জ্ঞানের প্রশস্ততা, দৈহিক শক্তি এবং যোগ্যতা বিশেষ ভাবে প্রদান করা হয়েছে এ তারই ফল। আর এই সব নিয়ামত নারীদের কে প্রদান করা হয় নি। এই কারণে পুরুষদের কে এমন কতগুলো বৈশিষ্ট প্রদান করা হয়েছে যা নারীদের কে দেওয়া হয়নি। যেমন নবুয়ত, ইমামতি, জিহাদ ওয়াজিব হওয়া, জুমা ওয়াজিব হওয়া, দুই ঈদের নামাজ, আজান,খোতবা, জামাতে নামাজ ইত্যাদি।
আবার , মানব সমাজে প্রচলিত কিছু পদ ও টাইটেল শুধুমাত্র পুরুষদের জন্য সংরক্ষিত আছে। যেমন - রোমান ক্যাথলিক গির্জার পোপ এবং বিশপ পুরুষ ছাড়া কেউ হতে পারে না। ক্যাথলিক গির্জা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মের ধর্মগুরুদের ক্ষেত্রে একই বিষয় দেখা যায় যেখানে সব ঐশী বার্তাবাহক কিংবা নবী-রাসুল-ঠাকুর-পুরোহিত সবাই পুরুষ। অনেক দেশে রাজা হওয়ার সুযোগও শুধু ছেলেদেরই থাকে এবং উত্তরাধিকার সূত্রে বংশের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ পুরুষ সন্তান পরবর্তী রাজা হয়ে থাকেন।
তাছাড়াও, সাধারনভাবে সৃষ্টির শুরু থেকে বা গুহাবাসী যুগ থেকেই মানব সমাজে এটা প্রচলিত ও মনে করা হয় যে, নারীদের থেকে পুরুষদের কিছু বেশী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ভূমিকা আছে। আর সেইসব ধারনার পিছনের কারন হিসাবে পুরুষদের শিকার ধরা, পোষ্য প্রাণী লালন-পালন করা, স্থায়ী নিবাস বা বসতি তৈরী-প্রতিরক্ষা ও অন্যান্য পারিবারিক-সমাজিক কাজ যেখানে নারীদের চেয়ে পুরুষের চওড়া দেহ এবং শক্তিশালী দৈহিক আকৃতি খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করা হয়। আবার কৃষি ভিত্তিক সমাজ,সরাসরি যুদ্ধ বিগ্রহ যেসব কাজে শারিরীক আকৃতির সাথে সাথে সাহস- শক্তির দরকার হত সেসব কাজে নারীদের থেকে পুরুষদের অংশগ্রহণ সবসময়ই বেশী ছিল। আবার কোন কোন নৃবিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে নারীদের তুলনায় পুরুষ জাতি অধিকতর দক্ষ ও নেতৃত্ব দানে সক্ষম আর তাই তাদের নারীদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান করা হয়েছে। আর এসব কারনে ধর্মের বাইরেও মানব সমাজে প্রাকৃতিকভাবেই পুরুষের ভূমিকা সুনির্দিষ্ট করা ছিলো। পুরুষ তার সেই সুনির্দিষ্ট ভূমিকা পালন করবে, এটাই ছিলো তার কাছে সমাজের প্রত্যাশা। পুরুষের জন্মই হতো একজন শিকারি ,যোদ্ধা এবং আক্রমণাত্মক প্রাণী হিসাবে। এসব কারনেই একই পরিবারের একজন নারী-পুরুষ থেকে স্বাভাবিকভাবে পুরুষ কর্তা হিসাবে ভূমিকা পালন শুরু করে আর নারী তার সহযোগী।
পুরুষ কি পরিবার-সমাজে অত্যাচারী,লোভী-ভোগী নাকি ভূক্তভোগী ?
পুরুষগণ আল্লাহ প্রদত্ত এক অশেষ নেয়ামত এ দুনিয়া-পরিবার ও তাদের আপনজনদের জন্য। কেননা,তারা তাদের স্বীয় জীবন ও যৌবনকে নিজ আপনজন-স্ত্রী-সন্তানদের জন্য কুরবান করে দেয় হাসিমুখে। তাদের পরিশ্রমের ফলেই এবং তাদের উপর ভর করেই পরিবারের বাকী সদস্যরা জীবনের সুখ-শান্তি ও অপার সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকে। পুরুষ জাতি তো এমন এক স্বত্বা, যারা স্বীয় পরিবার ও সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য সর্বাত্মক পরিশ্রম করে থাকেন আমৃত্যু ।
তবে এমন কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগের পরেও পুরুষের বিরুদ্ধে সমালোচনাও কম নয়। আর তাই, আপনজনদের সুখের জন্য সারা জীবন উজার করে দেবার পরও তাদের শুনতে হয় লোভী-ভোগী এবং কখনো জোটে অত্যাচারীর খেতাব। যা তাদের জন্য হতাশা এবং দুঃখ-কষ্টেরও। তবে এটাও ঠিক যে, সমাজে কিছু কিছু পুরুষ আছে লোভী-ভোগী এবং অত্যাচারী । আর এসব কারনেই নারী এখনো হয় পারিবারিকভাবে নির্যাতিত ও সহিংসতার শিকার , কিছু কামুক-বর্বর পুরুষের হাতে নারী হয় ধর্ষিত,যৌতুকের বলি হয়ে ভেংগে যায় অনেক নারীর সংসার । তবে এসব নীচু মানষিকতার পুরুষ সমাজ-সংসারে যদিও আছে তবে তাদের সংখ্যা খুবই কম এবং গুটিকয়েক খারাপ পুরুষের জন্য সকল পুরুষকে একই অপবাদ দেয়াও যুক্তিসংগত নয়।
চলার পথে পুরুষকে যেসব অপবাদ দেয়া হয় বা তার সমালোচনা করা হয় , সেগুলো হল -
১। পুরুষ যদি একটু ফ্রেশ ও মনের প্রশান্তির জন্য ঘরের বাহিরে যায় বা বেশী সময় কাটায় তাহলে তাদের কে বলা হয় বে-পরওয়াহ বা সে কোন কিছুর পরোয়া করেনা,যা আদৌ ঠিক নহে। আবার পুরুষ যদি কোন কারনে বা কাজ-কর্মের অভাবে কিংবা স্বাভাবিকভাবেও কিছু বেশী সময় ঘরে বসে থাকে তাহলে তাকে বলা হয়, অলস ও অকর্মণ্য।
২। পুরুষ যদি সন্তানদের ভুলের জন্য শাসন করে তাহলে তাকে বলা হয়, নির্দয় ও হিংস্র। আবার যদি সন্তানদের শাসন না করে এবং তারা বিগড়ে যায় তাহলে বলা হয় বাবা হিসাবে সে সঠিক নয় এবং অসফল।
৩। পুরুষ যদি তার স্ত্রীকে চাকুরী করা থেকে বারণ করে তাহলে তাকে বলা হয় সেকেলে বা হীনমানষিকতা ধারী । আবার , চাকুরী করার পরও যদি কোন কারনে তার স্ত্রী থেকে টাকা পয়সা নেয় তাহলে বলা বউয়ের টাকায় চলা অর্কমণ্য। আর এ নিয়ে কিছু বললে জোটে অত্যাচারী (শারিরীক -মানষিক) র খেতাব।
৪। বিয়ের পরে পুরুষ যদি মায়ের সাথে সুসম্পর্ক রাখে তাহলে তাকে বলা হয় মা পাগল আবার যদি তার স্ত্রীর সাথে প্রেমময় আচরণ করে তাহলে তাকে বলা হয় বৌ পাগলা।
৫। পুরুষ যদি যৌনতায় বেশী সক্রিয় হয় তাহলে সে কামুক-ভোগী আবার যদি কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয় তাহলে সে নপুংশক।
পুরুষ এমন এক জীব,যাকে জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপেই দায়িত্ব-কর্তব্যের বোঝা বয়ে বেড়াতে হয় অথচ পরিবারে তার যথাযথ মূল্যায়ণ হয়না বা পায়না বললেই চলে। এতকিছুর পরও একজন পুরুষ এমন একজন মানুষ , যে তার সন্তানদেরকে সর্বক্ষেত্রে নিজের চেয়েও বেশী-ভাল ও সুখী দেখতে চায়। একজন পিতা এমন এক রোবট, যিনি তার সন্তানদের নিকট থেকে সর্বদিক থেকে নিরাশ হওয়ার পরেও তাদের মন-প্রাণ উজাড় করে ভালোবাসে এবং সর্বদা তাদের মঙ্গলের জন্য দুয়া করেন। একজন বাবা এমন এক পুরুষ , যিনি স্বীয় সন্তানদের দেয়া সকল কষ্ট সহ্য করে নেন হাসি মুখে এবং তা তখন থেকে যখন সন্তান বাবার পায়ের উপর (শৈশবে) পা রেখে চলতে শিখে এবং তখনও, যখন বড় হয়ে বাবার বুকের উপর পা (যৌবনে) রেখে তাকে ছেড়ে চলে যায়। একজন বাবা পৃথিবীর এমন এক নেয়ামত, যিনি সারাজীবনের কষ্টার্জিত মহামূল্যবান সম্পদগুলো অকাতরে সন্তানদেরকে দিয়ে দেন। একজন মা তার সন্তানকে নয় মাস পেটে ধারণ করে থাকেন আর একজন বাবা সারাজীবন তাদের নিজের মাথার মধ্যে ধারণ করে চলতে থাকেন। একজন সন্তানের কাছে পৃথিবীটা ততক্ষণই সু্ন্দর ও উপভোগ্য মনে হয় যতক্ষণ বাবা নামক সত্মার ছায়া তার মাথার উপর বিরাজমান থাকে।
ছবি - parenting.firstcry.com
পরিবার-সমাজে নর-নারী (বাবা-মায়ের) তুলনামূলক ভূমিকা
নর-নারী উভয়ের মিলিত প্রচেষ্টাতেই ও কিছু নিয়ম-নীতির অনুসরনের ফলেই পরিবার-সমাজ গঠিত হয়েছে এবং মানব জাতির ক্রমবিকাশ-উন্নয়ন ও অগ্রগতি সাধিত হয়েছে যেখানে উভয়কেই উভয়ের এলাকায় নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্যকে সুচারুরুপে পালন করতে হয়। আর তাই আল্লাহ পাক নারীকে পুরুষের জীবন সঙ্গিনী হিসাবে মানব জীবন পরিচালনার জন্য পারস্পরিক সহযোগী করেছেন।আবার উভয়ের দৈনন্দিন কার্যক্রমেও রয়েছে ভিন্নতা (পার্থক্য)। আর এ দুয়ের আলাদা-আলাদা কাজের মিলিত রুপই পরিবার-সমাজের ভিত্তি,সুখ-সাফল্যের হাতিয়ার। যেমন -
১। মা একটি সন্তানকে ৯ মাস তার গর্ভে ধারন করেন অসীম কষ্ট ও ধৈর্য্যের সাথে । অপরদিকে সে সময়টা তার গর্ভবতী স্ত্রী ও তার গর্ভের সন্তানের জন্য যা যা দরকার তার যোগান দেন বাবা (স্বামী) এবং বাবা সন্তানের জন্মের পর থেকে আমৃত্যু সেই সন্তানের দায়িত্ব-কর্তব্য বহন করে চলেন হাসিমুখে। এখানে বাবা-মা উভয়েই তাদের নিজ নিজ ভূমিকায় অনন্য এবং উভয়েই সন্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ । কারন, মা না হলে সন্তানের জন্ম হতনা আবার বাবা না হলে সেই সন্তানের জীবন ভালভাবে গড়ে উঠত না।
২। যদিও সমালোচকরা অনেকেই সমালোচনা করে বলে থাকে যে, মা হল সারা জীবনের বিনা বেতনের কর্মচারী যে কোন পারিশ্রমিক ছাড়া সংসার চালায় অথচ এদিকে বাবা তার সারা জীবন সমস্ত বেতন-রোজগার সংসারের (মা ও সন্তানদের) জন্যই ব্যয় করেন। এখানেও উভয়েই তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব-কর্তব্যই পালন করে থাকেন ও উভয়েই সেরা তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে । সুখী ও সফল পরিবারের জন্য উভয়ের প্রচেষ্টাই সমান গুরুত্বপূর্ণ এবং কেউ কারো থেকে ছোট নয় বা কমও নয়।
৩। একজন মা পরিবার-সন্তানেদের নিজ নিজ পছন্দ অনুযায়ী কাজ ও খাবার (ব্যবস্থা করা) তৈরী করেন আর বাবা এসব কিছু (ব্যবস্থা করা) করতে যা দরকার হয় সে সবের ব্যবস্থা করেন । এখানেও নর-নারী তাদের ভূমিকায় অনন্য ও পরিবার-সন্তানেদের জন্য তাদের উভয়ের ভালবাসা সমান।
৪। মানুষ যে কোন বিপদে-আপদে প্রথমেই মাকে স্মরণ করেন ও মায়ের সাথে কথা বলতে চান । আবার ,স্ত্রী-পরিবার-সন্তানেদের যে কোন কিছুর প্রয়োজন হলে তারা প্রথমে স্বামী-বাবাকেই মনে করেন কিন্তু বাবারা কখনও এই ভেবে মন খারাপ করেনা যে,স্ত্রী-পরিবার-সন্তানেরা শুধু প্রয়োজনেই তাকে মনে করে অন্য সময় মনে করেন না। ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে ভালবাসা পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা প্রার্থক্য থাকলেও মা-বাবা উভয়েই নিজ নিজ জায়গায় পরিবার-সন্তানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
৫। চলার পথে মায়েদের সাধ-আহল্লাদের সব ধরনের জোগান দেন পুরুষ তথা স্বামী বা বাবারা। আর তাই মায়েদের-নারীদেের আলমারি ভরে যায় রঙিন শাড়ি-কাপড়ে আর বাচ্চাদের জামা-কাপড় দিয়ে কিন্তু এদিকে একজন পুরুষের-বাবার জামা হয় খুব কম, একটি কিংবা দুটি। তারা নিজেদের প্রয়োজনের তোয়াক্কা করেন না, সব সময়ই তাদের চেষ্টা থাকে পরিবার ও সন্তানদের খুশি-হাসিমুখ।এখানেও নিজ নিজ জায়গায় উভয়েই পরিবার-সন্তানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ।
৬। প্রতিটা পরিবারেই মায়েদের-স্ত্রীদের অনেক সোনার গহনা কিংবা অলঙ্কার থাকে কিন্তু বাবাদের তেমন কোন গহনাই থাকেনা। তাদের বড়জোর একটা আংটি থাকে যেটা তাদের বিয়ের সময় দেওয়া হয়েছিল। তবুও অনেক মা-স্ত্রী কম গহনা নিয়ে অভিযোগ করেন অথচ বাবারা সারা জীবনও এ নিয়ে কোন উচ্যবাচ্য করেন না। আবার যে কোন উৎসব পার্বনে মা নিজের জন্য একটি শাড়ি কিনার পাশাপাশি বাচচাদের জন্যও নতুন জামাকাপড়ের কথাও ভাবেন। আর বাবা তাদের চাহিদা পূরণের জন্য পরিশ্রম করেন হাসিমুখে ।
৭। বাবারা সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করেন পরিবারের সুখের জন্য এবং মায়েরাও তাদের পুরো জীবন ব্যয় করেন পরিবারের পিছনে তাদের যত্ন নেওয়ার জন্য। উভয়েই তাদের পুরো জীবন ব্যয় করেন পরিবার-বাচচাদের পিছনে এবং উভয়েই সমান সমান নিজ নিজ জায়গায়।
সারাজীবন মায়েরা সামনে থেকে সংসার সামাল দেন আর বাবারা পিছন থেকে সংসারের সব প্রয়োজনের জোগান দেন। বাবা (পুরুষ) পিছনে থাকেন কারণ তিনি পরিবারের মেরুদণ্ড। আর আমাদের মেরুদণ্ড তো আমাদের শরীরের পিছনেই থাকে। মেরুদণ্ডের কারণেই যেমন মানুষ শক্তভাবে নিজেদের মতো করে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে ঠিক তেমনি, যে পরিবারের বাবা নামক মেরুদণ্ড যত শক্ত ও মজবুত সেই পরিবারের মা-স্ত্রী -সন্তানরা ততটা নিরাপদ ও সুখী ।
ছবি - pixtastock.com
আধুনিক সমাজে ও পরিবারে পুরুষের ভূমিকা কেন কমে আসছে
আদিকাল থেকেই আমাদের সমাজে সাধারণত ছেলেরাই সংসার চালানোর অর্থনৈতিক দায়িত্ব নেয় তাই সে পরিবারের কর্তা বা পরিবারের প্রধান ভূমিকা পালনকারী। তবে সভ্যতার পরিবর্তনের সাথে সাথে বিশেষ করে কৃষিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থার পরিবর্তন,যৌথ পরিবারের ভাংগন,আধুনিক যুদ্ধ-বিগ্রহে শারীরিক শক্তি থেকে আধুনিক অস্ত্রের ব্যবহার যেখানে শারীরিক শক্তি থেকে বুদ্ধি বেশী জরুরি এবং আধুনিক শিক্ষার প্রসারের ফলে কায়িক পরিশ্রম থেকে বুদ্ধিবৃত্তিক কাজের সুযোগ বাড়ার ফলে সমাজে নর-নারীর ভূমিকায় পরিবর্তন আসছে। এখন অনেক পরিবারে পুরুষের পাশাপাশি নারীও সংসারের মূল দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছেন যদিও তা সংখ্যায় এখনো অনেক কম। আদিম সমাজে যেখানে পুরুষের শারীরিক শক্তিমত্তা, শিকারিসুলভ দক্ষতা সমাজের জন্য প্রবলভাবে কার্যকর ছিল কিন্তু আধুনিক সমাজে এসে যন্ত্রপাতি ব্যবহার শারীরিক শক্তিকে অপ্রাসঙ্গিক করে তুলেছে। এখন পুরুষের দশা হয়েছে করুণ এবং এক সময়ের দোর্দণ্ড প্রতাপশালী পুরুষ এখন দেখতে পাচছে আধুনিক সমাজে টিকে থাকার জন্য সঠিক এবং কার্যকর অস্ত্র তাদের হাতে নেই বললেই চলে এবং অনেক ক্ষেত্রেই নারীরা এগিয়ে যাচছে পুরুষদের থেকে ।
পুরুষদের পরিবারের প্রধান ভূমিকা প্রথম ধাক্কা খায় নারী শিক্ষার প্রসার ও বিংশ শতাব্দীর শিল্প বিল্পবের ফলে।এর ফলে যে শুধু পুরুষের ভূমিকাকেই চ্যালেঞ্জে ফেলেছে তা নয় বরং দীর্ঘকালব্যাপী সমাজে চলা নারীর ভূমিকা পরিবর্তনের সূচনাও করেছিল। এই সব পরিবর্তনের মাঝে নতুন করে এক বিতর্কেরও জন্ম হলো এই যে, সমাজে নারী-পুরুষের ভূমিকা কতোখানি প্রাকৃতিক আর কতোখানি অর্জিত? " নারীর নারী বৈশিষ্ট্য সমাজসৃষ্ট, আদতে নারী এবং পুরুষের মধ্যে মূলত কোনো পার্থক্য নেই" - এ ধারনা নারীবাদী এবং আরো কিছু চিন্তাবিদদের কল্যাণে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছিলো প্রায় তবে এটাও ঠিক যে, নারী-পুরুষের মধ্যে জৈবগত কিছু পার্থক্য আছে এবং সেটা মূলত জন্মগত,এসব নর-নারী কারো অর্জিত নয়।
সামাজিকভাবে পুরুষ আধিপত্যের চাপ সত্ত্বেও এখন নারীরা ধীরে ধীরে নিজেদের জায়গা করে নিচ্ছে ঘরে-বাইরে সর্বত্র। যদিও একজন নারীর জীবনের অভিজ্ঞতা আর একজন পুরুষের জীবনের অভিজ্ঞতা কখনো এক হয়না। আর তাই অভিজ্ঞতা ভিন্ন হওয়ার কারণে তাদের ব্যবহার এবং চিন্তাভাবনায়ও পার্থক্য আছে তারপরও এখন নারীরা নিজেদের যোগ্যতায় পুরুষদের পাশে জায়গা করে নিচ্ছে " বর্তমানে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমে আসছে এবং অদূর ভবিষ্যতে বিলুপ্ত হয়ে যাবে - এমনটা যদিও অনেকে ভাবছেন তবে এটাও ঠিক যে, নারীরা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাবে তবে পুরুষের আধিপত্য থেকেই যাবে পরিবারে সমাজে তা কখনো পুরোপুরি লোপ পাবেনা"।
আবার, এটাও অস্বীকার করার উপায় নেই যে - কিছু কিছু কাজে পুরুষেরা নারীদের চেয়ে দক্ষ। শারিরীক পরিশ্রমের সকল কাজ এখনো পুরুষরাই করে এবং সভ্যতা যতই এগিয়ে যাক শারিরীক পরিশ্রমের কাজ কখনো একেবারে ফুরিয়ে যাবেনা। আবার শিকারি এবং খাদ্য সংগ্রাহক হিসাবে পুরুষ কোটি কোটি বছর ধরে কাজ করছে যা তাদের জেনেটিক কোডে এই বৈশিষ্ট্য বংশানুক্রমে বয়ে চলেছে। বয়ঃসন্ধির পরে মেয়েরা শারীরিকভাবে পরিপূর্ণতা ছেলেদের চেয়ে আগে পেলেও, ছেলেদের হৃৎপিণ্ড মেয়েদের চেয়ে বড়, মাংসপেশি সুগঠিত, ফুসফুসের সামর্থ্য বেশি, বিশ্রামের সময় হার্টবিট মেয়েদের তুলনায় কম। এগুলো পুরুষদের মেয়েদের তুলনায় অধিক শারীরিক পরিশ্রম করার সক্ষমতা দিয়েছে।
আধুনিক সমাজে নারীরা কিভাবে পরিবারের অভিভাবক হিসাবে এগিয়ে আসছে ?
আধুনিক কালে ও সমাজে পুরুষের ভূমিকা দিন দিন কমে আসছে এর বিপরীতে নারীরা এগিয়ে যাচছে এবং তারা লক্ষ্য করেছে আদিম সমাজে তাদের যেসব অদক্ষতার কারনে পুরুষেরা নারীদের অধীনস্থ করে রেখেছিলো , সেই অদক্ষতাই আধুনিক সমাজে নারীদের জন্য দক্ষতা হয়ে ফিরে এসেছে এবং তাকে পুরুষের চেয়ে অধিকতর সুবিধা দিচ্ছে। আদিম সমাজে পুরুষ যখন বল্লম, বর্শা নিয়ে খাবার জোগাড় করতে ঘরের বাইরে গেছে, নারী তখন ঘরে বাচ্চা-কাচ্চাদের যত্ন নিয়েছে। এর সাথে গৃহস্থালি কর্ম হিসাবে অসংখ্য কাজ তাদের করতে হয়েছে । ফলে, সে তার অসংখ্য কাজকে গুরুত্ব অনুসারে ভাগ করেছে এবং এর মাধ্যমে সে তার দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে পালন করার চেষ্টা করেছে। একই সাথে সামাজিক দায়িত্ব হিসাবে কথা বলার সক্ষমতাকে বা যোগাযোগের দক্ষতাকে সে উন্নত করেছে। আমরা জানি যে কথা বলায় মেয়েরা পুরুষের চেয়ে দক্ষ। একই ধরনের মৌখিক কাজ দেবার পর সমস্যা সমাধানের সময় নারীরা পুরুষের তুলনায় মস্তিষ্কের অনেক বেশি এলাকাকে ব্যবহার করে। মৌখিক যোগাযোগকে নারীরা যেভাবে সামাল দেয়, সেটা পুরোপুরি বায়োলজিক্যাল। এই পার্থক্য অর্জিত দক্ষতা থেকে আসে নাই এটা নারীদের জৈবিক দক্ষতা এবং এর সাথে বাচ্চাকাচ্চা ও অন্যদের যত্ন-আত্তি করার তাদের জন্মগত গুণাবলী যদি একত্রিত হয়, তবে সমাজ জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকায়, আগে যেখানে পুরুষেরা আধিপত্য বিস্তার করে ছিলো, সেগুলো এখন নারীদের দখলে চলে যাবে এবং বাস্তবে হচ্ছেটাও তাই। পুরুষ তার আধিপত্য হারাচ্ছে, তার সাম্রাজ্য বেদখল হচ্ছে অন্যদিকে নারী হয়ে উঠছে অধিকতর কর্তৃত্বপরায়ন এবং তার হৃত সাম্রাজ্য পুনরুদ্ধারে সুকঠিনভাবে সংকল্পাবদ্ধ।
আবার, নারীর শ্রবণেন্দ্রিয় পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। সন্তান প্রতিপালনের জন্য খুব সম্ভবত এই দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুরুষের তুলনায় নারীর শ্রবণ ক্ষমতা দ্বিগুণ বেশি। অস্পষ্ট বা দূরবর্তী শব্দকে পুরুষের তুলনায় প্রায় আড়াইগুণ বেশি চিহ্নিত করতে পারে নারী। শুধু শ্রবণেন্দ্রিয়ই নয়, নারীর স্পর্শানুভূতিও পুরুষের তুলনায় অনেক বেশি বিকশিত। নারীর ত্বকে পুরুষের তুলনায় দশগুণ বেশি রিসেপ্টর রয়েছে এবং এই ত্বক স্পর্শে অনেক বেশি সংবেদনশীল। স্পর্শের সাথে সম্পর্কযুক্ত হরমোন অক্সিটোনিক এবং প্রোল্যাক্টিন এর উপস্থিতি তার স্পর্শ করার এবং স্পর্শকাতরতার চাহিদাকে বৃদ্ধি করে। এজন্য নারীরা ভালবাসার জনকে অনেক বেশি স্পর্শ করে থাকে, একই ভাবে তারাও ভালবাসার মানুষের কাছ থেকে অহরহ স্পর্শ কামনা করে। পুরুষের ত্বকে রিসেপ্টর শুধু যে কম তাই নয়, চোখ মেলে তাকিয়েও সে নারীর তুলনায় কম তথ্য সংগ্রহ করে। বেশিরভাগ ছোটখাটো জিনিসই যেখানে পুরুষের দৃষ্টি এড়িয়ে যায় সেখানে কিন্তু নারীদের শ্যেন চোখে সেগুলো মিস হয় না। পুরুষের শুধু দৃষ্টি নয়, তার ঘ্রাণেন্দ্রিয়ের অবস্থাও করুণ নারীর তুলনায়। ময়লা থেকে আসা দুর্গন্ধ কিংবা বাথরুমে দুর্গন্ধের বিষয়ে তারা যে উদাসীন, সেটা আসলে নয়। আসল বিষয় হচ্ছে এই ঘ্রাণই তাদের নাকে সেভাবে যায় না, যেমনটা যায় মেয়েদের নাসারন্ধ্রে। পুরুষের বায়োলজিক্যাল প্রোগ্রামিং তাকে বাইরের জগতের জন্য ফিট করেছে, বাইরের বহু কিছু সে দেখে, যা এড়িয়ে যায় নারীর চোখে, কিন্তু স্বল্প গণ্ডীর এলাকাতে এলেই সে হয়ে ওঠে একজন অথর্ব মানুষ। তখন সূক্ষ্ণ বিষয়গুলো তার দৃষ্টি এড়িয়ে যায়, নারীর ক্ষেত্রে তা হয় না।
এটা নিশ্চিত যে, গড়পড়তায় পুরুষের মস্তিষ্ক নারীর চেয়ে অপেক্ষাকৃত বড়। তবে, এটাও মনে রাখা দরকার মস্তিষ্কের আকার বড় মানেই বেশি বুদ্ধিমান এমন নয়। জটিল কাজে, পুরুষেরা সাধারণত মস্তিষ্কের বাম দিকটাকে ব্যবহার করে। অন্যদিকে মেয়েরা মস্তিষ্কের দুটো অংশকেই ব্যবহার করে। মস্তিষ্কের দুই অংশ নারীদের ক্ষেত্রে পুরুষদের তুলনায় সমানভাবে বিন্যস্ত। এর কারণে তাদের ভাষিক যোগাযোগ পুরুষের তুলনায় উন্নত মানের। পুরুষের বাম এবং ডান মস্তিষ্কের মধ্যে খুব অল্প সংখ্যকই ইলেক্ট্রনিক যোগাযোগ রয়েছে। এর ফলে মস্তিষ্কের দুই পাশের তথ্য এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে পারে না। মানুষের আবেগের জন্য যে চিন্তা প্রক্রিয়ার জন্ম, সেটা ঘটে ডান মস্তিষ্কে। অন্যদিকে কথা বলার কেন্দ্র হচ্ছে বাম মস্তিষ্ক। এ কারণে পুরুষের পক্ষে আবেগের সুষ্ঠু প্রকাশ ঘটানো সম্ভব হয় না। এমনকি প্রি-স্কুলেও দেখা যায় বাচ্চা মেয়েরা বাচ্চা ছেলেদের তুলনায় তিন গুণ বেশি কথা বলে। এই অভ্যাস বয়সকালে গিয়েও পরিবর্তিত হয় না।
ছবি - istockphoto.com
নর-নারীর সম্পর্কে জটিলতা কেন তৈরী হচছে -
মানব সমাজের ইতিহাস (শুরু থেকে আজ পর্যন্ত ) জুড়ে সমাজে নারী-পুরুষের ভূমিকা ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এবং এখনো হচছে। আধুনিক সমাজে জ্ঞান অর্জন করা ও আত্মনির্ভরশীল হওয়া শুধু পুরুষদের নয় সকল নারীদেরও লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। আবার, আধুনিক সমাজে নারীদের সমানিধাকার (যা নারীদেরকে পুরুষের সমান অধিকার-মর্যাদা দেয়ার জন্য ও নর-নারী সবার জন্য যেন সমান সুযোগ দেয় তার স্বীকৃতি আদায়ের জন্য) আন্দোলনের ফলে সমাজে কিছু জটিলতা সৃষ্টি হয়, যা আমাদের সমাজের প্রচলিত রীতি-নীতি ও অভ্যেসের কারণে ঘটে থাকে। অর্থনৈতিক পরিবর্তন ও নারীবাদী আন্দোলনের ফলে এখন দেখা যায় পুরুষরা কর্মক্ষেত্রে নারীদের সাথে প্রতিযোগিতা করছে, যেখানে ঐতিহ্যগতই ভাবে নারীর ভূমিকা আলাদা ছিলো। কিছু কিছু বড় কর্পোরেশনে দেখা যায় কাজ পাওয়ার শর্ত কর্মীর মেধা, সেখানে প্রচলিত লিঙ্গ বৈষম্য নেই। লিঙ্গ ভূমিকার কিছু ভালো ও কিছু খারাপ আমাদের সমাজের পুরুষদের কর্মক্ষেত্রের ওপর পড়ে ( মহিলাদের ক্ষেত্রেও একই, তবে ভিন্ন ভাবে)। একইভাবে সম-অধিকারের দাবীর ফলে শিক্ষা,স্বাস্থ্য-যত্ন, রাজনীতি, পিতৃত্ব ইত্যাদি ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ে। গবেষণায় দেখা গেছে কিছু কিছু এলাকায় পুরুষ বিরোধী প্রবণতা প্রাধান্য পাচ্ছে, ফলশ্রুতিতে মেয়েদের জন্য কিছু কিছু জায়গায় বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচছে বা সে সুযোগ তৈরী করছে যা তাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে জটিল করে তুলছে ।
ছবি - patheos.com
নর-নারীর এসব বৈষম্যে বা জটিলতা দূরীকরণে করণীয় কি -
নর-নারীর এই বৈষম্যের পদ্ধতি এক দিনে বা নিজে নিজেই সমাজ থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাবে না। সেটাকে দূর করতে নর-নারী উভয়কে এক হয়ে কাজ করতে হবে। নারী-পুরুষ সভ্যতার অগ্রযাত্রায় সহযাত্রী। যত দ্রুত উভয়ে একসঙ্গে পা ফেলে এগোতে পারবে, তত দ্রুতই আমাদের সমাজ-পরিবার-দেশের জন্য মংগল হবে। তবে এটাও লক্ষ্যণীয় যে, একদিকে এই দেশেরই কিছু কুসংস্কারাছন্ন মানুষ এখনো নারীকে ভোগ্য পণ্য মনে করে এবং তারা নানাভাবে নারীর অগ্রযাত্রায় বাঁধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে আবার অন্যদিকে বিশ্বায়নের পুঁজিবাদী চর্চা নারীকে পণ্যে রূপান্তরের চেষ্টা করছে তবে সেই বাঁধাকে জয় করছে নারীরা । কুসংস্কারের জাল ছিন্ন করে মানবিক সমাজ বির্নিমানে-উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে নারীরা এবং নিজেদের অধিকার নিয়ে সরব হচছে। সব প্রতিকূলতাকে জয় করে নারীরা এগিয়ে যাচ্ছে আপন যোগ্যতা ও মহিমায়। নিজেদের যোগ্যতায় নারীরা পুরুষের সঙ্গে নির্মাণ করছে সমতার সমাজ। আর নর-নারীর সেই সমতার সমাজ আমাদের নিয়ে যাবে শক্তিশালী মানবিক পৃথিবী নির্মাণের দিকে ৷আগামীর সুন্দর পৃথিবী নির্মাণে নর-নারীর ভুমিকা হবে সমানে সমান ।
নর-নারী একে অপরের প্রতিযোগী নয় সহযোগী। একের মাঝের কিছু দূর্বলতা-অপূর্ণতা অন্যের মাঝের কিছু সবলতা-পূর্ণতা তাকে পরিপূর্ণ করে তোলে। পুরুষ কঠিন আর তাই নারী কোমল । পুরুষ অস্থির আর তাই নারী স্থির। পুরুষ আগ্রাসী-আক্রমণাত্মক আর তাই নারী কুশলী-রক্ষণাত্মক ।এসব পারস্পরিক সুবিধা-অসুবিধা একসাথে মিলেই সৃষ্টিজগত পায় পূর্ণতা , গড়ে উঠে পরিবার-সমাজ ও তাতে মিলে সাফল্য। আর এসব কিছু তখনই সম্ভব হবে যখন সকল পুরুষ নারীর প্রতি তার বিশ্বস্ততার হাত বাড়িয়ে দিয়ে তাকে ভালবাসার চাঁদরে মুড়িয়ে দিবে এবং নর-নারী উভয়েই উভয়ের প্রতি ত্যাগ-সহযোগীতা-সহমর্মিতা ও ভালবাসার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসবে। এর ফলে দুনিয়া হবে শান্তির আবাস ও সমাজ-দুনিয়া হবে হানাহানি সংঘাতমুক্ত। পুরুষ পাবে শান্তি আর নারী পাবে স্বস্তি ও ভালবাসা।আর এসব কিছুই যার ফলে সম্ভব তা হলো নর-নারীর পারস্পরিক বিশ্বস্ততা ও ভালোবাসা। পুরুষের একটু সহমর্মিতা ও ভালবেসে বাড়িয়ে দেয়া হাতের ফলেই নারী পেতে পারে ভরসা হয়ে উঠতে পারে সুন্দর পৃথিবী বির্নিমাণে পুরুষের সাথে সহযোদ্ধা।
পরিশেষে, রাসূল (সাঃ) বলেন, "তোমাদের মধ্যে উত্তম হলো ঐ ব্যক্তি, যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আমি আমার পরিবারের কাছে উত্তম।(তিরমিযী শরীফ , হাদীস নং- ৩৮৯৫)। আর উত্তম হওয়ার সবচেয়ে ভাল উপায় হচছে সবার সাথে ভাল আচরন।আলোচ্য হাদিসের মাধ্যমে আমরা সকলের সাথে ভাল আচরনের উপদেশ পাই। আর সেই ভাল আচরন আমাদের সকলের শুরু করতে হবে নিজ নিজ পরিবার থেকে এবং সকল নারীদের সাথেও। মানব সভ্যতা বিকাশে নারী-পুরুষের অবদান সমানে সমান। মানব সভ্যতা বিকাশে নারীর অবদান ও কৃতিত্বকে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই । কারণ, এ দুনিয়ার মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক নারী। আর তাই তাদের বাদ দিয়ে সামাজিক কাঠামো ও সামাজিক উন্নয়ন তথা মানবোন্নয়নের কোনোটিরই কল্পনা করা যায় না। নর-নারীর মিলনে সমাজের অগ্রযাত্রা অব্যহত থাকুক ,জয় হোক মানুষের-মানবতার , সুন্দর হোক পৃথিবী । জয়ী হোক পুরুষ ও নারী হউক সম্মানীত।
তথ্য সূত্র : আল কোরআন,হাদীস, নারী নিউজ ও Physiology of women ও উইকিপিডিয়া।
=========================================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
মানব জীবন - ২৪ - " নারীর প্রতি সদ্ব্যবহার / ভাল আচরন ও শিষ্টাচার " Click This Link
মানব জীবন - ২৩ - " নারী " Click This Link
মানব জীবন - ২২ -" স্ত্রী / সংগী অদল-বদল করে যৌনসহবাস" Click This Link
মানব জীবন - ২১ -"পরকীয়া ও লিভ টুগেদার " Click This Link
মানব জীবন - ২০ -"সমকামীতা বা সমকামী বিয়ে" Click This Link
মানব জীবন - ১৯ - " আত্মসম্মান-নীতি-নৈতিকতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৮ - " ধর্মহীনতা " Click This Link
মানব জীবন - ১৭ - " ধৈর্য " Click This Link
মানব জীবন - ১৬ -" সততা " Click This Link
মানব জীবন - ১৫ - " লজ্জা " Click This Link
মানব জীবন - ১৪ - "পর্দা " Click This Link
মানব জীবন - ১৩ - "ধর্ম " Click This Link
মানব জীবন - ১২ " সহ শিক্ষা " Click This Link
মানব জীবন - ১১ " শিক্ষা " - Click This Link
মানব জীবন - ১০ "পরিবার " - Click This Link
মানব জীবন - ৯ "বিবাহের পরে" - Click This Link
মানব জীবন - ৮ " মানব জীবনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য " - Click This Link
মানব জীবন - ৭ " তালাক " - Click This Link
মানব জীবন - ৬ "দেনমোহর - স্ত্রীর হক" - Click This Link
মানব জীবন - ৫ "বিবাহ" - Click This Link
মানব জীবন - ৪ " মাতৃত্ব " - Click This Link
মানব জীবন - ৩ Click This Link
"নারী স্বাধীনতা বনাম নারী(জরায়ু)'র পবিত্রতা "
মানব জীবন - ২ " মাতৃগর্ভ (জরায়ু)"- Click This Link
মানব জীবন - ১ "মানুষের জন্ম প্রক্রিয়ার ইতিকথা"- Click This Link
২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:২৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি বলেছেন, পুরুষ তার পেশী শক্তি দিয়ে নারীজাতি কে অধীন করে রেখেছে। ধর্ম, সামাজিক নিয়ম যাই বলেন না কেন সবই কিন্তু নারীদের নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ফন্দি করে তৌরি করেছে পুরুষ সমাজ।
- আসলেই কি তাই ?
আধুনিক যুগে ও বর্তমানে মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে নিরাপত্তার মাঝে বসবসাস করে। একসময় এরকম পরিবেশ ছিলনা। ছিল প্রতিকূল পরিবেশ যেখানে পুরুষ তার পেশী শক্তি ব্যবহার করে বন্য প্রাণী,প্রতিকূল পরিবেশের সাথে লড়াই করে তার আপনজনদের বাচিয়ে রেখেছে। পুরুষের যদি পেশী শক্তি না থাকত তাহলে সভ্যতার বিকাশের পরিবর্তে অনেক আগেই মানব সভ্যতা বিলীন হয়ে যেত প্রতিকূল পরিবেশের কারনে এবং টিকে থাকার জন্য শক্তির অভাবে ।
পশুরা নারীদের উপরে আক্রমন করেনা তারা তাদের সৌন্দর্য দিয়ে নারীর মন পেতে চেেস্টা করে। তাই পুরুষ প্রানী নারী প্রানীর চেয়ে সুন্দর, ( পুরুষ ময়ুরের পখম, মোরগ দেখতে সুন্দর... এই রকমের সকল প্রানীই নারীকে ভুলিয়ে তাকে সঙ্গী হিসেবে নেয়,) পুরুষ টাকা পয়সা, সম্পত্তি, ক্ষমতার জোরে নারীদের বন্ধি করেছে সমাজে এবং এখন নারীরা সাজুগুজু করে পুরুষের মনরন্জন করে।
- মানুষ ব্যতীত দুনিয়ার সকল প্রাণীর মাঝেই পুরুষ প্রজাতি সুন্দর এবং বলশালী এবং নারী প্রজাতি পুরুষ থেকে অপেক্ষাকৃত কম সুন্দর। আর মানুষের মাঝে আল্লাহপাক নারীদের সৌন্দর্য দিয়েছেন পুরুষ থেকে বেশী এবং পুরুষকে দিয়েছেন নারী থেকে শক্তি কিছুটা বেশী । এভাবে তিনি মানব-মানবীর একের অসম্পূর্ণতা অন্যের মাঝে সম্পূর্ণ করেছেন। এর পিছনেও মহান আল্লাহপাকের কার্যকারন আপনি-আমি খুজে পাব-পাই যদি দেখতে চাই।
একটা জিঙ্গাসা:- ধরুন কেয়ামতের পরে সকল মানুষ একটা ময়দানে উপস্থিত হয়েছে, শেখানে অবশ্যই কারুর গায়ে কোন পোষাখ নেই। সেখানে কারুর নাম লেখা নাই। তখন আপনি কিভাবে আদম আর হাওয়া আ: কে চিনতে পারবেন?
- মরার/লাশ দাফনের মাসখানেক পরেই কিংবা সপ্তাহখানেক পরেই যখন মুখের চামড়া পচে যায় কিংবা কোন কারনে মুখ বিকৃত হয়ে তখনও কাউকে চিনতে আমাদের কষ্ট হয় বা আমরা চিনতে পারিনা।
আর কেয়ামতের মাঠ?
সেখানে আদম (আঃ) কিংবা হাওয়া (আঃ) কে নিয়ে ভাবার সুযোগ থাকবে বলে মনে হয়না। তখন ঠেলায় পরে নিজেই নিজেকে চিনবে না কেউ। তবে শেষ বিচারের পরে মহান আল্লাহপাক হয়ত এমন কিছু ব্যবস্থা করবেন বা রাখবেন যাতে করে সবাই তার আপনজনদের চিনতে পারে।
২| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
শাহ আজিজ বলেছেন: উভয়কে একে অপরের পরিপুরক হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে , এটাই চরম ও পরম সত্য ।
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
উভয়কে একে অপরের পরিপুরক হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে , এটাই চরম ও পরম সত্য ।
- আমিও পুরো লেখায় এটাই বলতে চেয়েছি, " আমরা যতই দাবী করি নর-নারী সমান " - বাস্তবে তা নয় । উভয়ের মাঝেই কিছু অসম্পূর্ণতা আছে যা একের মাঝে অন্যের অসম্পূর্ণতা পূর্ণতা পায়। কাজেই , নারী ও পরুষ একে অপরের প্রতিযোগী নয় বরং সহযোগী এবং একে অপরের পরিপূরক।
আবারো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে , এই বিষয়ে একমতের জন্য।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১৮
সোবুজ বলেছেন: সবার আগে প্রয়োজন দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটার পরিবর্তন।তবেই অন্য রকম দেখা যাবে।ধর্মের চশমা দিয়ে দেখলে পৃথিবীর সবকিছু যেমন দেখা যাবে,মানবতার( মানুষের যাতে মঙ্গল হয়)চশমা দিয়ে দেখলে অন্য রকম দেখা যাবে।
২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৩৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোবুজ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
সবার আগে প্রয়োজন দেখার যে দৃষ্টিভঙ্গি সেটার পরিবর্তন।তবেই অন্য রকম দেখা যাবে।ধর্মের চশমা দিয়ে দেখলে পৃথিবীর সবকিছু যেমন দেখা যাবে,মানবতার( মানুষের যাতে মঙ্গল হয়)চশমা দিয়ে দেখলে অন্য রকম দেখা যাবে।
- মানুষের জীবনে সব কিছুর উপরে মানবতা ও পজেটিভ দৃষ্টিভংগী জরূরী। এখন পজেটিভ দৃষ্টিভংগী বা মানবতা কিংবা এদুটোর ব্যাপারে ধর্ম কি বলে?
ধর্ম বলে - " সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই " কিংবা জীবে প্রেম করে যেইজন ,সেই জন সেবিছে ঈশ্বর"।
আর আমাদের আধুনিকতা কিংবা বিজ্ঞান কি বলে ?
আধুনিকতা কিংবা বিজ্ঞান ও একই কথা বলে।
এখন আসেন - ধর্ম ,আধুনিকতা কিংবা বিজ্ঞানের মাঝে প্রার্থক্য কোথায় ?
প্রার্থক্য হলো ধর্মে মানবিকতা-জীবে প্রেম-মানবিকতা বাধ্যতামূলক বা ধর্মের পালনীয় বিষয় । আর আধুনিকতা কিংবা বিজ্ঞানে তা ঐচছিক, আবশ্যিক নয় । মানুষ মন চাইলে মানবিকতা-জীবে প্রেম করতে পারে আবার নাও পারে।
তাহলে , বড় ও আবেদনময়ী কোনটা ? অবশ্যই ধর্ম । যেখানে মানবিকতা শুধু দয়ার কাজ নয় তা কর্তব্যও সবার ।
এখন আমরা যে যেভাবে এর ব্যাখ্যা কিংবা ব্যবহার করি। এটা আমাদের দায়, ধর্মের নয়।
৪| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৫
মিরোরডডল বলেছেন:
জামান পারেও ।
কয়দিন পর পর এই বিশাল দলিল লিখতে বসে ।
এগুলো নিয়েতো কম লেখালেখি হয়নি ।
আর কতো ?
২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৪৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন মিরোরডডল / আয়না পুতুল , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
জামান পারেও । কয়দিন পর পর এই বিশাল দলিল লিখতে বসে । এগুলো নিয়েতো কম লেখালেখি হয়নি । আর কতো ?
- কি করব বোন বলেন।
প্রবাসে কামলা খাটার পর যখনই সময় মিলে, তখন এই আকামেই সবটা সময় ব্যয় করি (আর কোন বদঅভ্যাস নেই ,এটা ছাড়া)। আর তাই না চাইলতেও হয়ে যায় বিশাল দলিল ।
পৃথিবী যতদিন আছে ততদিন চলতে থাকবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে । আর তাইতো প্রতিবছরই কিছু শিক্ষক অ-আ-ই-ঈ পড়াতে থাকে আবার কিছু শিক্ষক প্রতিবছরই সমাবর্তনে জ্ঞানগর্ভের ভাষণ দেন। এখন এমন নয় যে প্রি-প্রাইমারীতে এবারই ক-খ-গ পড়ানো শেষ হয়ে যাবে কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২ সালের পর আর কোন সমাবর্তন হবেনা। এটা এক চলমান- বহমান চক্র যা চলতে থাকবে শেষ দিবস অবধি (যদি আমি-আপনি বিশ্বাস করি) ।
৫| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২৮
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন: দুনিয়ার মালিকআল্লাহ। এখানে একমাত্র তার
বিধান চলবে। নারী পুরুষদের যা আদেশ করা
হয়েছে সেই মত নারী পুরুষ যদি চলে তা হলে
কোন সংঘাত হবে না। আল্লাহর হুকুম আমরা
অমান্য করছি বলে আজকের এই পরিস্থিতি।
২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
দুনিয়ার মালিক আল্লাহ। এখানে একমাত্র তার বিধান চলবে। নারী পুরুষদের যা আদেশ করা হয়েছে সেই মত নারী পুরুষ যদি চলে তা হলে কোন সংঘাত হবে না। আল্লাহর হুকুম আমরা অমান্য করছি বলে আজকের এই পরিস্থিতি।
- মহান আল্লাহপাক আমাদের অনেক ভালবেসে তৈরী করেছেন এবং তিনি নর-নারী উভয়ের জন্য কিছু পালনীয় বিধানও নির্ধারণ করে দিয়েছেন । পাশে পাশে উভয়ের জন্য কিছু সীমারেখাও বলে দিয়েছেন যা উভয়ের জন্যই কল্যাণ ও মর্যাদার । এখন আমরা যদি আল্লাহপাকের নির্দেশ না মেনে কে বড়, কে ছোট কিংবা উভয়ে সমানে-সমান দাবী করে বসে থাকি তাহলে সমস্যা বাড়বে বই কমবে না।
নর-নারী উভয়কে মহান আল্লাহপাক কিছু আলাদা আলাদা বৈশিষ্ঠ্য দিয়ে বানিয়েছেন এটা ঠিক আর তা করা হয়েছে মূলতঃ সৃষ্টির পূর্ণতার জন্য - এটা যদি মেনে নেই তাহলে কেউ কারো থেকে বড় বা ছোট এ প্রশ্নই আসবেনা এবং পরিবার-সমাজ হবে শান্তিময়।
এর বাইরে যখনই মানুষ চলতে চায় বা নিজ নিজ সীমারেখা না মেনে চলে তখনই সকল সমস্যার তৈরী হয় এটাই কিছু মানুষ বুঝতে চায়না।
৬| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৯
মিরোরডডল বলেছেন:
পুরুষ না লিখে শিরোনামটা এরকম হতে পারতো :
" মানুষ " - তুমি কি অত্যাচারী ? লোভী-ভোগী নাকি ভূক্তভোগী ? নাকি আমৃত্যু আপনজনদের মুখের দিয়ে চেয়ে জীবনের ঘানি টেনে চলা এক জীব ?
হ্যাঁ নারীপুরুষ নির্বিশেষে কিছু মানুষ অত্যাচারী, লোভী, কেউ বা ভোগী অথবা ভুক্তভোগী ।
আবার কিছু মানুষ আজীবন প্রিয়জনদের জন্য শুধু কষ্টই করে যায় ।
এটা কমন একটা পিকচার ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড । ধর্ম, বর্ণ, ল্যান্ড ম্যাটার করেনা । সর্বত্রই তারা আছে ।
এর মাঝে নারীপুরুষ আর ধর্ম দিয়ে বিভাজন করার প্রয়োজন নেই ।
এই ঘটনাগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভিক্টিম বেশী, কিন্তু পুরুষ যে নেই তা কিন্তু না ।
এসকল সমস্যার পার্মানেন্ট সলিউশন নেই, এগুলো থাকবেই, তবে সময়ের সাথে পরিবর্তন এসেছে, সামনে আরও হবে । মানুষের মাঝে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে, সকলকে মানুষ বলে মূল্যায়ন করা আর পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে ।
২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ বোন মিরোরডডল , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
পুরুষ না লিখে শিরোনামটা এরকম হতে পারতো : " মানুষ " - তুমি কি অত্যাচারী ? লোভী-ভোগী নাকি ভূক্তভোগী ? নাকি আমৃত্যু আপনজনদের মুখের দিয়ে চেয়ে জীবনের ঘানি টেনে চলা এক জীব ?
- এটাও হতে পারত তবে যেহেতু আমি পূর্বেই " নারী " নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছি এবং লেখার ধারাবাহিকতা হিসাবেই পুরুষ এসেছে।
হ্যাঁ নারীপুরুষ নির্বিশেষে কিছু মানুষ অত্যাচারী, লোভী, কেউ বা ভোগী অথবা ভুক্তভোগী ।আবার কিছু মানুষ আজীবন প্রিয়জনদের জন্য শুধু কষ্টই করে যায় ।
- এ ব্যাপারে বোন আমিও আপনার সাথে একমত। আমাদের সমাজে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কিছু মানুষ আছে অত্যাচারী, লোভী, কেউ বা ভোগী অথবা ভুক্তভোগী। এখানে নারী কিংবা পুরুষ নয় । তাদের সাথের বিপরীত জনই ভুক্তভোগী হয়। তবে সাধারনত আমরা-সমাজে পুরুষদেরকেই অত্যাচারী, লোভী-ভোগী হিসাবে চিহ্নিত করতে চায় আর নারীদেরকে ভুক্তভোগী । তবে বাস্তবতা অনেক সময় এর বিপরীতও হয় এবং হতে পারে।
এটা কমন একটা পিকচার ওয়ার্ল্ড-ওয়াইড । ধর্ম, বর্ণ, ল্যান্ড ম্যাটার করেনা । সর্বত্রই তারা আছে । এর মাঝে নারীপুরুষ আর ধর্ম দিয়ে বিভাজন করার প্রয়োজন নেই । এই ঘটনাগুলোতে পুরুষের চেয়ে নারী ভিক্টিম বেশী, কিন্তু পুরুষ যে নেই তা কিন্তু না ।
- এটাও আপনি ঠিক বলেছেন বোন - ধনী-গরীব,উন্নয়নশীল কিংবা উন্নত দেশ বিবেচ্য নয় কারন সকল সমাজেই এরকম সমস্যা আছে ও বিরাজমান। আবার এটাও ঠিক যে, এসব ঘটনায় বেশীরভাগ ভুক্তভোগী নারীরাই হয়।
এসকল সমস্যার পার্মানেন্ট সলিউশন নেই, এগুলো থাকবেই, তবে সময়ের সাথে পরিবর্তন এসেছে, সামনে আরও হবে । মানুষের মাঝে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন আনতে হবে, সকলকে মানুষ বলে মূল্যায়ন করা আর পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে ।
- নর-নারীর মাঝে কে বড় কে ছোট বা কে কার উপর শ্রেষ্ঠ এসব প্রশ্ন যখনই আসে, তখনই নর-নারীর মাঝের বিভাজনগুলি বড় করুণভাবে আমাদের সামনে চলে আসে। আসলে এ ধরনের প্রশ্ন কখনো আসাই উচিত নয় ।
কারন, নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের কোন মূল্যই নেই এবং অসম্পূর্ণ । আবার , পুরুষকে বাদ দিয়ে নারী অসহায় এবং অসম্পূর্ণও।
উভয়ে একসাথে মিলেই সৃষ্টির পূর্ণতা বা পরিপূর্ণ পরিবার-মানব সমাজ। আর তাই একের প্রতি অন্যের ভালবাসার সাথে সাথে
শ্রদ্ধা-সম্মান-মর্যাদা ও সহযোগীতার মনোভাবই জীবনের সফলতার মূল মন্ত্র এবং নর-নারী নির্বিশেষে আমাদের সকলের তাই করা উচিত। তাহলেই জীবন হবে জটলতা মুক্ত ও সফল।
৭| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫২
সাসুম বলেছেন: এই পোস্টে এত এত ভুল, আমি যদি এক এক শুরু করি-তাহলে আগামি এক সপ্তাহে ও মনে হয় শেষ করতে পারব না।
মানে ভুল গুলা এত বেশি নবিশ, এগুলা আজকাল গুগুলের যুগে ক্লাস ফাইভের বাচ্চাও করবেনা।
আপনার এই সব লিখাকে আর খন্ডন করার মত শক্তি পাইনা। মাঝে মাঝে মনে হয়, ব্লগে আমার আসার একমাত্র উদ্দেশ্য আপনার বিরোধিতা করা ।
এগুলা কি লিখেন রে ভাই?? একটু রিসার্স করে দেখলে কি হয় লিখার আগে??? এক্টূ গুগুল সার্চ হলেও তো করতে পারেন অন্তত সায়েন্টিফিক বিষয়গুলার সত্যতা যাচাই করার জন্য ।
নারীর উপর পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব-কর্তৃত্ব আল্লাহ প্রদত্ত, যেহেতু আল্লাহ প্রদত্ত তাইলে তো আর কথা নাই, পুরুষ শ্রেষ্ট, পুরুষ কর্তা।
কাহিনী শেষ, এত গরু রচনা লেখার দরকার নাই। কাহিনী শেষ।
২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আপনাকে অল্প ধন্যবাদ সাসুম ভাই , আপনার ছোট মন্তব্যের জন্য।
এই পোস্টে এত এত ভুল, আমি যদি এক এক শুরু করি-তাহলে আগামি এক সপ্তাহে ও মনে হয় শেষ করতে পারব না।মানে ভুল গুলা এত বেশি নবিশ, এগুলা আজকাল গুগুলের যুগে ক্লাস ফাইভের বাচ্চাও করবেনা।
- আমিত তাই আশা করেছিলাম । আরো বেশী এবং বিস্তারিতভাবে । আপনার এত ছোট মন্তব্যে আমি হতাশ। ভূল সবই ভূল - আর ভূলের সমষ্ঠিই হলো মানব জীবন।
আপনার এই সব লিখাকে আর খন্ডন করার মত শক্তি পাইনা। মাঝে মাঝে মনে হয়, ব্লগে আমার আসার একমাত্র উদ্দেশ্য আপনার বিরোধিতা করা ।
- আপনার অক্ষমতা আমার লজ্জা । এ লজ্জা রাখি কোথায়। আমার কিন্তু তা মনে হয়না। এটা বিরোধীতা নয় ,শুধু দৃষ্টিভংগীর ব্যাপার। যেমন - আধাগ্লাস পানিকে একজন পিপাসিত ব্যক্তি দেখে প্রথমেই ভাববে যে এতে তার তৃস্না নিবারণ হবেনা । অপরদিকে একজন পদার্থবিদ ভাববে এতে অক্সিজেন-হাইড্রোজেন এবং বায়ুর বাকী উপাদানের মিশ্রণের পরিমান। কাজেই , আমার মতে আপনার সমালোচনা আমার বিরোধীতা নয় তা আমার জ্ঞানের অপূর্ণতা পূরণ কিংবা জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা দূরীকরণের মাধ্যম ।
এগুলা কি লিখেন রে ভাই?? একটু রিসার্স করে দেখলে কি হয় লিখার আগে??? এক্টূ গুগুল সার্চ হলেও তো করতে পারেন অন্তত সায়েন্টিফিক বিষয়গুলার সত্যতা যাচাই করার জন্য ।
- তাই , এ যাবত যা আমি জানতে পেরেছি আর তার অসম্পূর্ণতা দূরীভূত হবে আপনাদের মন্তব্যের মাধ্যমে।
নারীর উপর পুরুষের শ্রেষ্ঠত্ব-কর্তৃত্ব আল্লাহ প্রদত্ত, যেহেতু আল্লাহ প্রদত্ত তাইলে তো আর কথা নাই, পুরুষ শ্রেষ্ট, পুরুষ কর্তা।
কাহিনী শেষ, এত গরু রচনা লেখার দরকার নাই। কাহিনী শেষ।
- আল্লাহ আমাদের অনেক কিছু বলেছেন ।অনেক আদেশ নিষেধ বা পালনীয়-বর্জনীয় নির্ধারন করে দিয়েছেন।সেগুলি আমরা সব পান করি?
করিনা ।
আর তাইতো এই গরু রচনা। কারন , অন্ধের হাতি দেখার মত (জন্মান্ধ কিংবা আত্মঅহমিকার কারনে পুরোটা না জানায় ) আমাদের সবার মাঝেই ধর্ম একেক জনের কাছে একেক রকম হিসাবে ধরা দেয় এবং আমরা এর ব্যাখ্যা করি আমাদের নিজ নিজ সুবিধা অনুযায়ী। যদি আমরা তা না করে পুরোটা সঠিক ভাবে জানি এবং মানি তাহলে এই একই ধর্ম ভিন্নভাবে আমাদের মাঝে ধরা দিবে যা আমরা এখন ভাবি। যে কোন বিষয়ে জানার জন্য রচনা পড়ার চেয়ে ভাল বিকল্প আর কি আছে ভাইজান?
তার পরেও কাহিনী শেষ হবেনা । কেন ?
কারন, যতদিন জীবন ততদিন একই কাহিনী চলতেই থাকবে ,ভিন্ন রুপে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়।
৮| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
জামানের লেখার পারপাস হয়তো ভালো কিন্তু this is not how it meant to be.
যত বেশী জামান এই পোষ্টগুলো করে, ততই বার বার নারী পুরুষ বৈষম্যকে হাইলাইট করে ।
ভালো করতে গিয়ে খারাপ মেসেজটা বার বার স্প্রেড করে ।
ধার্মিক এক জিনিস আর ভণ্ড ধার্মিক আর গোঁড়ামি আরেক জিনিস ।
যত বেশী এধরণের লেখা পোষ্ট হয়, ভণ্ডরা ততই ধর্মের নামে লাইসেন্স পেয়ে নিজেদের শ্রেষ্টত্ব প্রমাণ করতে চায় ।
জামান, ম্যান ইফ ইউ রিয়েলি ওয়ান্ট টু ডু সামথিং বেটার ফর ইউর কমিউনিটি, দেন স্টপ দিজ কাইন্ড অভ রাইটিং ।
ধর্মের নামে নারীর ওপর পুরুষের শ্রেষ্টত্ব জাহির করা ছাড়াও আরও অনেক সাবজেক্ট আছে লেখার ।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো আপনাকে ধন্যবাদ বোন আয়নাপুতুল , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
জামানের লেখার পারপাস হয়তো ভালো কিন্তু this is not how it meant to be. যত বেশী জামান এই পোষ্টগুলো করে, ততই বার বার নারী পুরুষ বৈষম্যকে হাইলাইট করে । ভালো করতে গিয়ে খারাপ মেসেজটা বার বার স্প্রেড করে ।
- হয়ত আপনি ঠিক বলেছেন। আমার লেখার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য হলো নর-নারীর মাঝে কেউ বড়-ছোট নয়, উভয়ের মাঝে নেই কোন মানসিক দ্বন্দ্ব । উভয়ে উভয়ের প্রতিযোগী নয় সহযোগী ও পরিপূরক । তবে আমি হয়ত সঠিক জায়গায় সঠিক শব্দচয়ন কিংবা বাক্য বিন্যাস সঠিক ভাবেকরতে পারিনী তাই যা বলতে চেয়েছি তা বুঝাতে পারিনি। এ অক্ষমতা মার্জনীয়।
ধার্মিক এক জিনিস আর ভণ্ড ধার্মিক আর গোঁড়ামি আরেক জিনিস । যত বেশী এধরণের লেখা পোষ্ট হয়, ভণ্ডরা ততই ধর্মের নামে লাইসেন্স পেয়ে নিজেদের শ্রেষ্টত্ব প্রমাণ করতে চায় ।
- সমস্যা তখনই হয় যখন আমরা ধর্মকে নিজেদের প্রয়োজনে বা স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করি। এ জাতীয় মানুষ সবসময়ই বর্জনীয় এবং এধরনের কাজ সমাজ ধর্মে সবজায়গায়ই নিষিদ্ধ এবং নিন্দনীয়ও বটে।
জামান, ম্যান ইফ ইউ রিয়েলি ওয়ান্ট টু ডু সামথিং বেটার ফর ইউর কমিউনিটি, দেন স্টপ দিজ কাইন্ড অভ রাইটিং । ধর্মের নামে নারীর ওপর পুরুষের শ্রেষ্টত্ব জাহির করা ছাড়াও আরও অনেক সাবজেক্ট আছে লেখার ।
- আমার পুরো লেখায় আল কোরআনের একটা আয়াত (সুরা নিসা, আয়াত -৩৪ এবং তা আমার কথা নয় আল কোরআনের বাণী) ব্যাতীত আর কোথাও ধর্মীয় ভাবে ব্যাপারটার করা বলা নেই বরং মানবিকতা তথা উভয়ের মাঝে ত্যাগ-ভালবাসা-সহযোগীতার কথাই বলা হয়েছে। আবার ধর্মে যা বলা হয়েছে তার পিছনের কারন-ব্যাখ্যাও বলা আছে এবং এটার সাথে যে আছে দায়িত্ব-কর্তব্যের সমাহার তাও বলা হয়েছে। আবার এটাও বলা হয়েছে সব কিছুর উপরে মানুষ-মানবিকতা এবং নর-নারী উভয়ে মিলেই পরিবার-সমাজ।
এখন যে কোন বিষয় যে কেউ যখন আংশিক বা নিজের সুবিধামত ব্যাখ্যা করে কিংবা অসম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরে তখনই সমস্যা তৈরী হয় । তা আমার-আপনার সকলের ক্ষেত্রেই।
লেখক লেখবে তার আগ্রহের বিষয়ে আর পাঠক পড়বে তার পছন্দ অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রে উভয়েই স্বাধীন নিজ নিজ জায়গায় । তা পড়া কিংবা মত প্রকাশ যাই হোক না কেন।
৯| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:২৮
মিরোরডডল বলেছেন:
নারী ও পুরুষ একই উপাদানে সৃষ্টি হওয়ার পরও দৈহিক দিক দিয়ে উভয়ের মাঝে রয়েছে কিছু পার্থক্য।
এমন ব্লগার আছে এখানে যে এটা জানে না ? জামান কাদের জন্য লিখছে এখানে ?
তবে হ্যাঁ, অনেকে এটা জানে না বা মানে না যে মেধা মননে, চিন্তা চেতনায়, বুদ্ধিমত্তায় নারীপুরুষে ভেদাভেদ নেই ।
জামান তাদের একজন যে জানে না ।
যেদিন থেকে জামান জানবে এবং বুঝবে যে সবাই মানুষ, তখন হয়তোবা ব্লগে এ ধরণের পোষ্ট আসা বন্ধ হবে ।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো আপনাকে ধন্যবাদ বোন আয়নাপুতুল , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
নারী ও পুরুষ একই উপাদানে সৃষ্টি হওয়ার পরও দৈহিক দিক দিয়ে উভয়ের মাঝে রয়েছে কিছু পার্থক্য। এমন ব্লগার আছে এখানে যে এটা জানে না ? জামান কাদের জন্য লিখছে এখানে ?
- অনেকের নিকট - কথায় আছে , " জানার কোন শেষ নাই " তাদের জন্য তবে আবার অনেকের নিকট, " জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা তাই " - তাদের জন্য নয়। নর-নারী নিয়ে এবং তাদের দৈহিক পার্থক্য নিয়ে চিকিৎসাবিদ্যায়/তার শিক্ষার্থী দীর্ঘ সময় পড়ে। এখন কেউ যদি বলে আমি নবম-দশম শ্রেণীতে বা কলেজে পড়েছি X-Y ক্রোমোজোম বা কেন ছেলে-মেয়ে হয় তাহলে আর কিই বা বলার আছে। জানার যেমন শেষ নাই তেমনি লেখারও শেষ হবেনা ,যতদিন মানুষ আছে।
তবে হ্যাঁ, অনেকে এটা জানে না বা মানে না যে মেধা মননে, চিন্তা চেতনায়, বুদ্ধিমত্তায় নারীপুরুষে ভেদাভেদ নেই ।
জামান তাদের একজন যে জানে না । যেদিন থেকে জামান জানবে এবং বুঝবে যে সবাই মানুষ, তখন হয়তোবা ব্লগে এ ধরণের পোষ্ট আসা বন্ধ হবে ।
- মেধা মননে, চিন্তা চেতনায়, বুদ্ধিমত্তায় নারী-পুরুষে অবশ্যই কিছুটা প্রার্থক্য আছে । আছে উভয়ের জীবন ধারায়ও প্রার্থক্য । এটা যারা মানেনা তারা সত্য মানেনা বা সত্যকে অস্বীকার করে। জীবন ধারা ও চলাফেরার প্রার্থক্যের পরেও উভয়কে উভয়ের প্রয়োজন ও উভয়ে সহযোগী এবং উভয়ে মিলেই পরিবার-মানব জীবন-সভ্যতা , এটাই চরম ও পরম সত্য । এখন যে যেভাবে বলবে বা ব্যাখ্যা করবে এটা তার ব্যাপার।
আর সবশেষে, লেখক লেখবে তার আগ্রহের বিষয়ে আর পাঠক পড়বে তার পছন্দ অনুযায়ী। এ ক্ষেত্রে উভয়েই স্বাধীন নিজ নিজ জায়গায় ।
১০| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৮:৩৬
ইন্দ্রনীলা বলেছেন: কমেন্টগুলো আর শিরোনাম পড়েছি।
বাপরে এত বড় থিসিস পড়তে গেলে আমার তো শিক্ষাজীবন শেষ করার আনন্দ মাটি হয়ে যাবে।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন ইন্দ্রনীলা , আপনার মন্তব্যের জন্য।
কমেন্টগুলো আর শিরোনাম পড়েছি। বাপরে এত বড় থিসিস পড়তে গেলে আমার তো শিক্ষাজীবন শেষ করার আনন্দ মাটি হয়ে যাবে।
- বোন (আমি জানিনা আপনি বোন কিংবা ভাই তবে নাম অনুসারে ধরে নিয়েছি আপনি বোন), আপনি কষ্ট করে কমেন্ট ও শিরোনাম পড়েছেন তার জন্য আপনার নিকট কৃতজ্ঞ ।
তবে এত সামান্য বিষয়ে যদি আপনার শিক্ষাজীবন শেষ করার আনন্দ মাটি হয়ে যায় তাহলে জীবনের জটিলতায় কিভাবে সারভাইভ করবেন ?
কারন, শিক্ষাজীবন শেষ মানেই আপনার সব শেষ এমন নয় বরং শিক্ষাজীবন শেষেই প্রকৃত জীবন শুরু হয় যেখানে আপনার যোগ্যতা - দক্ষতা - সামর্থ্যকে প্রমাণ করেই আপনাকে টিকে থাকতে হবে। আর এতদিন আপনি একটা কাচঘেরা দেয়ালের মাঝে জীবন যাপন করেছেন যেখানে বাবা-মা নামক কাচের দেয়াল ছিল । সংসার জীবন কিংবা কর্ম জীবনে আপনাকে খোলা আকাশের মাঝে ,প্রতিকূল পরিবেশের মাঝে টিকে থাকতে হবে যেখানে ধৈর্য্য ও সহনশীলতার সাথে সাথে মানিয়ে নেয়া-মেনে চলার, মানবতা-মানবিকতার কোন বিকল্প নেই । আর এসব কিছুর জন্য আপনার চারিপাশে জানা ব্যতীত কোন অপশন ও নেই । আর জানার জন্য পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই ।
কাজেই ------------------
১১| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:২৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: লেখাডায় চোখ বুলাইয়া যা বুঝলাম তা হইলো unsplash.com এর ছবির প্রতি আপনি বিশেষ ভরসা রাখেন
২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
লেখাডায় চোখ বুলাইয়া যা বুঝলাম তা হইলো unsplash.com এর ছবির প্রতি আপনি বিশেষ ভরসা রাখেন
- ভাইজান, কথায় আছে,
" যদিও দেখিবে ছাই ,উড়াইয়া দেখ তাই
পাইলেও পাইতে পার , মানিক-রতন"।
এখন ত আর ভাইজান মানিক-রতন পাওয়া যায়না তবে ছবির খুঁজে বের হয়ে যেখানে তা পাওয়া যায় তাই সই সেখানে unsplash.com হলেই বা ক্ষতি কি।
১২| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী হলে পুরুষরা কিছু সংখ্যক দুষ্ট ধর্ষক নারীর দ্বারা ধর্ষিত হত।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই , আপনার দুষ্ট মন্তব্যের জন্য।
নারীরা পুরুষদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী হলে পুরুষরা কিছু সংখ্যক দুষ্ট ধর্ষক নারীর দ্বারা ধর্ষিত হত।
- অনুকূল পরিবেশ পেলে এরকমটা যে হতনা-ঘটতনা এমন নয় আবার এখনো যে দুনিয়ার কোথাও কোথাও এমন ঘটনা ঘটেনা তাও নয়।
তবে নর কিংবা নারী যেই হোক দুষ্ট সর্বদা বর্জনীয় ও পরিতাজ্য।
১৩| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ৯:৪৮
নিমো বলেছেন: @সাসুম, আপনার বন্ধু অপু এটাই বুঝতে পারেন না অথবা চান না। এই ব্লগে এমন কিছু পোস্ট আসে যে সেটার প্রতিটা বাক্য ধরে ধরে সমালোচনা করার মত সময় নাই। তাই এগুলোকে গরুর রচনা বলাটা দোষের না।
২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নিমো ভাই , আপনার ছোট তবে চমতকার মন্তব্যের জন্য।
@সাসুম, আপনার বন্ধু অপু এটাই বুঝতে পারেন না অথবা চান না। এই ব্লগে এমন কিছু পোস্ট আসে যে সেটার প্রতিটা বাক্য ধরে ধরে সমালোচনা করার মত সময় নাই। তাই এগুলোকে গরুর রচনা বলাটা দোষের না।
- কোন দোষেরই না এবং দোষের কোন প্রশ্নই আসেনা।
আর গরু কোন খারাপ প্রাণী নয় এবং এর সম্পর্কে রচনা লেখাও দোষের নয় । কারন, যার বাড়িতে হালের বলদ আছে সে গরু সম্পর্কে যে রকম তথ্য জানবে বা তার কাছে গরুর যে ব্যবহার দেখবে-থাকবে তার সাথে যার বাড়ীতে গাভী আছে তার কাছে সেগরুর ব্যবহার সম্পর্কে ভিন্ন রকম তথ্য জানবে ও ব্যবহার দেখতে পাবে।
আবার , যার বাড়ীতে ষাড় আছে এবং যে পেশাগত ভাবে অন্যের গরুকে পাল দেয় (গর্ভধারন প্রক্রিয়ায় সহযোগীতা করে পয়সার বিনিময়ে) তার ছেলে-মেয়েরা বাকী দু জন থেকে সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন তথ্য জানবে এই গরু সম্পর্কেই ।
এখন আলাদা আলাদা ভাবে যে যা জানছে তা যে ভূল এমন নয় আবার সবাই সবটা জানছে (বলদ-গাভী-ষাড়) গরুর ব্যবহার-উপকারীতা কিংবা উপযোগীতা সম্পর্কে এমনও নয় ।
কাজেই- জানার জন্য রচনার কোন বিকল্প নেই , তা সে গরু কিংবা মানুষ যেই হোক।
১৪| ২০ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০৫
মিরোরডডল বলেছেন:
সৃষ্টিগত ও জীব বিজ্ঞানের সুত্র অনুসারেও নারী পুরুষের মধ্যে কিছু জৈবিক পার্থক্য (Biological) আছে। যেমন -
১। নারী গর্ভ (সন্তান) ধারন করে, পুরুষ গর্ভ ধারন করেনা।
২। যৌন মিলনে পুরুষ সক্রিয়, নারী তুলনামূলকভাবে কিছুটা নিস্ক্রিয় ।
৩। পুরুষের দাঁড়ী গোঁফ হয়, নারীর হয়না।
৪। সন্তান ধারন ও লালনের জন্য নারীর কতিপয় আলাদা দৈহিক বৈশিষ্ট্য আছে, পুরুষের সেগুলো নেই।
হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না
নিমোর সাথে একমত ।
এই লেখা পড়ে কেউ যদি বলে গরুর রচনা, তখন দ্বিমত করার কিছু নেই ।
২২ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:২৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো আপনাকে ধন্যবাদ বোন আয়নাপুতুল , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
সৃষ্টিগত ও জীব বিজ্ঞানের সুত্র অনুসারেও নারী পুরুষের মধ্যে কিছু জৈবিক পার্থক্য (Biological) আছে। যেমন -
১। নারী গর্ভ (সন্তান) ধারন করে, পুরুষ গর্ভ ধারন করেনা।
২। যৌন মিলনে পুরুষ সক্রিয়, নারী তুলনামূলকভাবে কিছুটা নিস্ক্রিয় ।
৩। পুরুষের দাঁড়ী গোঁফ হয়, নারীর হয়না।
৪। সন্তান ধারন ও লালনের জন্য নারীর কতিপয় আলাদা দৈহিক বৈশিষ্ট্য আছে, পুরুষের সেগুলো নেই।
হাসবো না কাঁদবো বুঝতে পারছি না
- ভুল কি কিছু বলা হয়েছে মেরা বহিন? নারী-পুরুষের মাঝে তুলনামূলক এসব পার্থক্য কি নেই বা আমি ভুল বলেছি?
নাকি এগুলি সবাই জানে তারপরও আমি বলেছি, এই জন্য আপনি বুঝতেছেন না কি অভিব্যক্তি দিবেন?
নিমোর সাথে একমত । এই লেখা পড়ে কেউ যদি বলে গরুর রচনা, তখন দ্বিমত করার কিছু নেই ।
- যে কারো সাথে সহমত কিংবা দ্বিমত প্রকাশের অধিকার সবারই আছে। কাজেই আমার লেখার সাথে আপনার দ্বিমত প্রকাশ কোন দোষের নয় এবং আপনার স্বাধীনতা আছে আপনার মত করে মূল্যায়নের (মত প্রকাশের)।
বোন, গরু কোন খারাপ প্রাণী নয় এবং এর সম্পর্কে রচনা লেখা বা জানাও দোষের নয় ।
কারন, আমাদের সবার বাড়ীতে সব ধরনের গরু (বলদ-গাভী-ষাড়) নেই।
এখন যার বাড়িতে শুধু বলদ আছে সে গরু সম্পর্কে যে রকম তথ্য (গরু গাড়ী টানে- হাল চাষ করে-দুধ/বাচচা দেয়না) জানবে বা তার কাছে গরুর যে ব্যবহার থাকবে -দেখবে তার সাথে যার বাড়ীতে গাভী আছে(দুধ/বাচচা দেয়-গরু গাড়ী টানেনা বা হাল চাষ করেনা - কারন দুধেল গাভী দিয়ে কখনো এ ধরনের ভারী কাজ করানো হয়না ) তার কাছে গরুর ব্যবহার সম্পর্কে ভিন্ন রকম তথ্য জানবে ও ব্যবহার দেখতে পাবে।
আবার , যার বাড়ীতে ষাড় আছে এবং যে পেশাগত ভাবে অন্যের গরুকে পাল দেয় (গর্ভধারন প্রক্রিয়ায় সহযোগীতা করে পয়সার বিনিময়ে) তার ছেলে-মেয়েরা বাকী দু জন থেকে সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন তথ্য জানবে এই গরু সম্পর্কেই ।
এখন আলাদা আলাদা ভাবে যে যা জানছে তা যে ভূল এমন নয় আবার সবাই সবটা জানছে (বলদ-গাভী-ষাড়) গরুর ব্যবহার-উপকারীতা কিংবা উপযোগীতা সম্পর্কে এমনও নয় ।
কাজেই -
রচনা খারাপ নয় ।
রচনা থেকে যদি বেশী কিছু জানা যায় তাহলে রচনাই ভাল - নাকি বলেন বোন?
১৫| ২১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১:৫৭
রাজীব নুর বলেছেন: মানুষ জন্মগত যে বিষয়টি সত্য জেনে আসছে তা অন্য কেউ মিথ্যা বললে সহজে মেনে নিতে পারে না।
তেমনি সকল ধর্ম ডাহা মিথ্যা হলেও মানুষ ছোট বেলা থেকেই জেনে আসছে তার ধর্মটি একমাত্র সত্য এবং বাকিসব ধর্ম মিথ্যা।
কিন্তু একজন ব্যক্তি যখন জানতে পারে তার ধর্মটিও অন্যসব ধর্ম থেকেও আরো বেশি মিথ্যা তখন সে উত্তেজিত হয়।সে মেনে নিতে পারে না।
২২ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাব দেবার জন্য।
মানুষ জন্মগত যে বিষয়টি সত্য জেনে আসছে তা অন্য কেউ মিথ্যা বললে সহজে মেনে নিতে পারে না। তেমনি সকল ধর্ম ডাহা মিথ্যা হলেও মানুষ ছোট বেলা থেকেই জেনে আসছে তার ধর্মটি একমাত্র সত্য এবং বাকিসব ধর্ম মিথ্যা।
- মানুষ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিবার-সমাজ থেকে দেখে-শুনে,ঠেকে-ঠকে শিখে ও জানে। এই জানা যে সবটাই ভাল ও সঠিক হয় এমন নয় ।সে কিছু সঠিক জানে এবং জানে কিছু ভূলও। যখন মানুষ সঠিক জানে তখন সে তার বিবেক-বুদ্ধি-মেধাকে কাজে লাগিয়ে সেই জানাটাকেই আরো সহজ কিংবা ভাল ভাবে জানতে-বুঝতে-করতে পারে কিংবা যখন ভুল জানে তখনও সে তার বিবেক-বুদ্ধি-মেধাকে কাজে লাগিয়ে সঠিকটা জানতে চেষ্টা করে এবং জানে। আর এটাই হলো (জানার চেষ্টা ) মানুষের ধর্ম । আর এই জানার চেষ্টাই মানুষকে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে নেয় এবং মানুষ নতুন নতুন জিনিষ আবিষ্কার করে।
তবে এই জানা-বুঝার সময় কিছু জিনিষ আছে যেগুলো প্রমানের নয় বিশ্বাসের বিষয়।
যেমন - নামাজের উপকারীতা,সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস-বেহেশত-দোযখ,দান-সাদকার উপকারীতা,মরণের পরের জীবন, এগুলি সাধারন ভাবে কোন যুক্তি বা বিজ্ঞান দিয়ে প্রমাণ করার উপায় নেই । আর এগুলি প্রমাণীত করার সুযোগ না থাকার দরুণ এগুলি যে মিথ্যা হয়ে গেছে এমনো নয়। আবার এগুলো প্রমাণও সম্ভব তখন যখন মানুষ জানতে-বুঝতে চাইবে। তার জন্য দরকার বিশ্বাসের সাথে সাথে সাধনা।
আর ইসলামে , দুনিয়ার প্রচলিত সকল ধর্মকে কখনো মিথ্যা বলেনি এবং কারো ধর্ম পালনে বাধা প্রদান কিংবা অন্য ধর্মের অনুসারীদের গালি-গালাজ কিংবা হেয় করাকেও সমর্থন করেনা।
এখন এর বাইরে যদি কেউ কিছু জেনে (ভুল জানা) থাকে এবং সেই ভুলকে তার জীবনে প্রয়োগ করে তবে, এই ভুলের দায় ধর্মের নয় যে ভুল জেনেছে ও তা প্রয়োগ করেছে তার।
কিন্তু একজন ব্যক্তি যখন জানতে পারে তার ধর্মটিও অন্যসব ধর্ম থেকেও আরো বেশি মিথ্যা তখন সে উত্তেজিত হয়।সে মেনে নিতে পারে না।
- ধর্মে উত্তেজনার কোন স্থান নেই, এমনকি জীবনে চলার পথে কোথাও উত্তেজনার ফলে ভাল ফল আসেনা।
তবে এক জায়গায় উত্তেজনার বিকল্প নেই । সেটা কোথায় ?
বিছানায় (কারন,সেখানে উত্তেজিত না হলে জীবন ই বৃথা হয়ে যাবে)। - এই এক জায়গা ছাড়া জীবনের সকল স্থানে উত্তেজনা পরিহারযোগ্য।
১৬| ২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ৮:৪৩
নেওয়াজ আলি বলেছেন: এত লোক এত মন্তব্য করলো আপনি উত্তর দিলেন না। আজ ব্যস্ত বেশী মনে হয় আপনি
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নেওয়াজ আলি ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
এত লোক এত মন্তব্য করলো আপনি উত্তর দিলেন না। আজ ব্যস্ত বেশী মনে হয় আপনি
- স্বাভাবিকভাবে ও সবসময় ভাই আমি চেষ্টা করি সবার মন্তব্যের জবাব দিতে এবং আমার মতে এটা পাঠকের / মন্তব্যকারীর প্রতি আমার/লেখকের দায় ও পাঠকের অধিকার ও বটে।
তবে ভাই গতকাল ও আজকে আসলেই একটু বিজি কামলা খাটায় । আর কামলা না খাটলে কাম থাকবেনা , আর কাম না থাকলে লেখার সুযোগও থাকবেনা । কাজেই, আগে কাম তারপর - ----
তবে আশা করি বিকালে সবার মন্তব্যের জবাব দিতে পারব।
১৭| ২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
বিশাল পোস্ট, চোখ বুলালাম । অনেক কিছুই উঠে এসেছে।
নারী ও পরুষ মানুষ এবং একে অপরের পরিপূরক।
২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোঃ মাইদুল সরকার ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
বিশাল পোস্ট, চোখ বুলালাম । অনেক কিছুই উঠে এসেছে।
- , বলতে গেলে বা লিখতে গেলে সবই লিখতে হয় । আর যদি সময় পাই তাহলে খালি বাড়েই বাড়ে, কমেনা। তারপরও মনে হয় কি যেন বাকী রয়ে গেল।
নারী ও পরুষ মানুষ এবং একে অপরের পরিপূরক।
- আমিও এটাই বলতে চেয়েছি, " আমরা যতই দাবী করি নর-নারী সমান " - বাস্তবে তা নয় । উভয়ের মাঝেই কিছু অসম্পূর্ণতা আছে যা একের মাঝে অন্যের অসম্পূর্ণতা পূর্ণতা পায়। কাজেই , নারী ও পরুষ একে অপরের প্রতিযোগী নয় বরং সহযোগী এবং একে অপরের পরিপূরক।
১৮| ২১ শে মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২৪
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: নারী পুরুষের বৈষম্য চাই না। তবে কিছু কিছু পুরুষ আছে, বেশীই কর্তৃত্ব খাটাতে চায়। তবে এমন পুরুষও আছে নারীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংসার সচ্ছল রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
পুরুষ ঘরের কর্তা, আল্লাহ তাদেরকে তেমনই গড়েছেন। তাদের শক্তি সাহস নারীদের চেয়ে বেশী। অনেক সময় অনেক নারী বেটিগিরি দেখাতে চায় পুরুষের মত চলতে চায়, এটা আমাদের ইসলামে নেই। নারীরা মনের দিক দিয়ে কোমল। তাদের ধৈর্য শক্তি বেশী। তাই ঘরে বাইরে সবজায়গাতেই সমান তালে কষ্ট সহ্য করেও নরের সাথে সুন্দর সংসার করে আসছে।
পুরুষ ছাড়া নারীর কথা চিন্তা যেমন করা যায় না, তেমনই নারী ছাড়াও পুরুষকে চিন্তা করা যায় না। একে অপরের পরিপূরক। দুইজনে মিলেই একটি সুন্দর সংসার সন্তান আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় আমৃত্যু।
২২ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ বোন কাজী ফাতেমা ছবি , আপনার চমতকার ও বাস্তব মন্তব্যের জন্য।
নারী পুরুষের বৈষম্য চাই না। তবে কিছু কিছু পুরুষ আছে, বেশীই কর্তৃত্ব খাটাতে চায়। তবে এমন পুরুষও আছে নারীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সংসার সচ্ছল রাখার প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
- একদম সঠিক । নর-নারীর মাঝে কোন বৈষম্য না থাকা উচিত না করা উচিত । কারন, উভয়েই নিজ নিজ অবস্থানে সেরা তবে এমন নয় যে উভয়েই সমানে সমান।আর উভয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক কর্তৃত্ব বা দাসত্বের নয় বরং হওয়া উচিত সহযোগীতার-সহযাত্রার । আর যারাই তা করতে পারে তাদের পরিবার-জীবন হয়ে উঠে ভালবাসায়-সুখে-শান্তিতে পরিপূর্ণ ।পরিবারে কখনো নারী-পুরুষ বা আমি-তুমি বিবেচ্য বিষয় হওয়া উচত নয়। তা হওয়া উচিত আমরা এবং আমাদের।
পুরুষ ঘরের কর্তা, আল্লাহ তাদেরকে তেমনই গড়েছেন। তাদের শক্তি সাহস নারীদের চেয়ে বেশী। অনেক সময় অনেক নারী বেটিগিরি দেখাতে চায় পুরুষের মত চলতে চায়, এটা আমাদের ইসলামে নেই। নারীরা মনের দিক দিয়ে কোমল। তাদের ধৈর্য শক্তি বেশী। তাই ঘরে বাইরে সবজায়গাতেই সমান তালে কষ্ট সহ্য করেও নরের সাথে সুন্দর সংসার করে আসছে।
- উভয়কেই মহান আল্লাহপাক কিছু আলাদা আলাদা সুবিধা বা সীমাবদ্ধতা দিয়েছেন। দিয়েছেন কিছু দায়িত্ব-কর্তব্যে পরিধিও। উভয়ে যখন নিজ নিজ এলাকায় ও নির্দেশিত পথে দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করবে তখন পরিবার-সংসার সুখের আবাস হয়ে উঠবে। এখন, যদি নিজ নিজ সীমারেখা-দায়িত্ব-কর্তব্য পালন না করে সমানে সমান কিংবা খালি অধিকারের দাবী করে সেখানে সুখ পালিয়ে যাবে , এ বিষয়ে কোন কিছু করার থাকবে বলে মনে হয়না । কারন, অধিকারের সাথে দায়িত্ব-কর্তব্য অংগাঅংগীভাবে জড়িত । এর একটাকে ছেড়ে আরেকটাকে পাওয়ার সহজ কোন পথ জীবনে নেই। আর চলার পথে শাসন কিংবা জোর করে যা না পাওয়া যায় আপোষ-সহযোগীতায় তা পাওয়া সহজ হয়ে যায়। এটা নর-নারী যে বা যারা তাদের জীবনে প্রয়োগ করবে-মানবে, তার বা তাদের জীবনে সমস্যা অনেক কমে আসবে এবং সংসার সুন্দর হবে।
পুরুষ ছাড়া নারীর কথা চিন্তা যেমন করা যায় না, তেমনই নারী ছাড়াও পুরুষকে চিন্তা করা যায় না। একে অপরের পরিপূরক। দুইজনে মিলেই একটি সুন্দর সংসার সন্তান আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় আমৃত্যু।
- নর-নারী মিলেই এ দুনিয়া এবং যে কোন এক জনকে ছাড়া দুনিয়ার জীবন কোন ভাবেই সম্ভব নয় । নর-নারীর মাঝে কে বড় কে ছোট বা কে কার উপর শ্রেষ্ঠ এসব প্রশ্ন যখনই আসে, তখনই নর-নারীর মাঝের বিভাজনগুলি বড় করুণভাবে আমাদের সামনে চলে আসে। আসলে এ ধরনের প্রশ্ন কখনো আসাই উচিত নয় ।
কারন, নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের কোন মূল্যই নেই এবং অসম্পূর্ণ । আবার , পুরুষকে বাদ দিয়ে নারী অসহায় এবং অসম্পূর্ণও।
উভয়ে একসাথে মিলেই সৃষ্টির পূর্ণতা বা পরিপূর্ণ পরিবার-মানব সমাজ। আর তাই একের প্রতি অন্যের ভালবাসার সাথে সাথে
শ্রদ্ধা-সম্মান-মর্যাদা ও সহযোগীতার মনোভাবই জীবনের সফলতার মূল মন্ত্র এবং নর-নারী নির্বিশেষে আমাদের সকলের তাই করা উচিত। তাহলেই জীবন হবে জটিলতা মুক্ত ও সফল।
১৯| ২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৩০
নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ শাহ আজিজ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
উভয়কে একে অপরের পরিপুরক হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে , এটাই চরম ও পরম সত্য ।
- আমিও পুরো লেখায় এটাই বলতে চেয়েছি, " আমরা যতই দাবী করি নর-নারী সমান " - বাস্তবে তা নয় । উভয়ের মাঝেই কিছু অসম্পূর্ণতা আছে যা একের মাঝে অন্যের অসম্পূর্ণতা পূর্ণতা পায়। কাজেই , নারী ও পরুষ একে অপরের প্রতিযোগী নয় বরং সহযোগী এবং একে অপরের পরিপূরক।
আবারো ধন্যবাদ ভাই আপনাকে , এই বিষয়ে একমতের জন্য।
কিন্তু আপনি তো মনে করেন পুরুষ নারী থেকে সুপিরিওর তাই নয় কি?
২২ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:০৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
কিন্তু আপনি তো মনে করেন পুরুষ নারী থেকে সুপিরিওর তাই নয় কি?
- ভাই , আমি আমার লেখায় বলতে চেয়েছি , "নর-নারী উভয়কে একে অপরের পরিপুরক হিসাবে সৃষ্টি করা হয়েছে , এটাই চরম ও পরম সত্য । যদিও আমরা কেউ কেউ দাবী করি "নর-নারী সমান " কিংবা " নর নারী অপেক্ষা শ্রেষ্ট"।
তারপরও আপনার মন্তব্যের জবাব আমি আপনারই ব্যক্তিগত জীবনের একটা উদাহরণ দিয়ে দিব (যদিও কাউকে কারো ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বলা আমি সমর্থন করিনা)।
- আপনি কয়েকদিন আগে চমতকার দুবাইয়ের একটা জায়গা ভ্রমণ (হাত্তা ভ্রমণ) করেছেন এবং সেই ভ্রমণ কাহিনী আমাদের মাঝে শেয়ারও করেছেন। সেখানে আপনি আপনার চমতকার লেখনির মাধ্যমে আপনার বাচাদের সাথে সাথে দুবাইয়ের হাত্তাকে চমতকার ভাবে তুলে ধরেছেন। তুলে ধরেছেন আপনার আংশিক পরিবারকে অথচ যাকে নিয়ে আপনার পরিবার (স্ত্রী) বা যে আপনার পরিবারের মূল সদস্য - যে না হলে আপনার পরিবার-বাচচা কিছুই হতোনা তাকেই আপনি আপনার পুরো লেখায়-ছবিতে একবারও মনে করেন নি বা ছবি দেননি । তার মানে কি আপনার স্ত্রী সাথে ভ্রমণ করেনি বা আপনি তাকে নেননি ? বা তাকে আপনি ছোট-হেয় করেছেন? আমার মনে হয় এমনটা হবার নয়।
আমি মনে করি, ভ্রমণ পরিকল্পনা থেকে শুরু করে এর বাস্তবায়ন পর্যন্ত পুরো ব্যাপারটা উনার সাথে আলোচনা-পরামর্শ এবং উনার অনুমোদন ও সহযোগীতার মাধ্যমেই শেষ করেছেন। তাকে ছাড়া তার পরামর্শ ছাড়া আপনি যে খাবার আইটেমও নির্বাচন করতে পারেন নি এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই। এখন আপনি আপনার লেখায় যে তার কথা একবারও লিখলেন না বা কোথাও তিনি তার উপস্থিতি (আপনার স্ত্রী) জানান দেন নি - তাই বলে আপনি তাকে ছোট করেছেন কিংবা আপনি " মুই কি হনুরে " (সুপিরিয়র ) হয়ে গেছেন - এমনটা নয় ।
" আপনি সব জায়গায় আপনি করেছেন বলেছেন , আপনার স্ত্রীর কোন ভূমিকাই চোখে পড়েনি " - এখানে আপনি এতসব দায়িত্ব কিসের জন্য পালন করেছেন বা আপনার আয় রোজগার কেন খরচ করেছেন ?
- নিশ্চিত আপনার পরিবারের সদস্যদের বিনোদনের জন্য । এমনটা মনে হয় না যে , আপনি নিজেকে " হনু কিংবা সুপিরিয়র" প্রমাণ করা কিংবা দেখানোর জন্য এগুলো করেছেন । আবার এই যে আপনার স্ত্রী'র কথা আপনি লেখার কোথাও বলেন নি বা তাকে কোথাও দেখান নি তার ছবি - এসব যে আপনি তাকে ছোট করার জন্য করেন নি বরং তা করেছেন তার সম্মান-মর্যাদার সাথে সংগতি রেখেই এখানেও আমার কোন সন্দেহ নেই। সে আপনার লেখায় (লোক দেখানোতে) বা ছবিতে ছিলনা ,সে ছিল আপনার মাথায় আপনার মনে (হৃদয়ে)।
আর এটাই ভালবাসা, এটাই সংসারের ধর্ম । যেখানে একে অন্যকে বুঝতে-জানতে-মানতে-রক্ষা করতে হয় সবসময় আর সেকানে পুরুষ এগিয়ে আসে কোন প্রশ্ন ছাড়া আর নারী (স্ত্রী) তার অনুগামী হয় নিঃশর্ত ভাবে প্রচারনা পাবার জন্য নয়। আর এসব কিছু দেখানো - বলার বিষয় নয় । বিষয় হলো অনুভবের যে - আমি তার সম্মান রক্ষা করব আর সে দিবে আমায় মর্যাদা । এখানে উভয়েই সমান - কেউ ছোট বড় নয়।
এ আমার মত -
আপনি কি আমার সাথে একমত ?
আশা করছি ফিরতি জবাব
২০| ২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: খুব বেশী লম্বা পোস্ট। যদিও এইরকম বিষয়ভিত্তিক লেখা এক পর্বে না লিখলে ধারাবাহিকতা থাকেনা। তবুও দুই পর্বে শেষ করলে পাঠকদের সুবিধা হতো।
২২ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৪৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুব বেশী লম্বা পোস্ট। যদিও এইরকম বিষয়ভিত্তিক লেখা এক পর্বে না লিখলে ধারাবাহিকতা থাকেনা। তবুও দুই পর্বে শেষ করলে পাঠকদের সুবিধা হতো।
- সমস্যাটা আপনি ঠিক ধরেছেন ভাই। আমার এসব বিষয়ভিত্তিক পোস্ট গুলো একটু বড়ই হয়ে যায় শুধু এই জন্য যে, যদি পর্বে দিতে যাই তাহলে আমি মিলাতে পারিনা কোথায় গিয়ে শেষ করব বা কতটুকু এক পর্বে দিব।আর তাই --------
তবে তারপরেও কষ্ট করে,সময় নিয়ে আপনারা যারা পড়েন ও মন্তব্য করেন - তাদের কাছে শুধুই কৃতজ্ঞতা । সাথে সাথে অনিচছাকৃত এ কষ্ট দেবার জন্য দুঃখিত ভাইজান।
২১| ২১ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:৫০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে ভালো করেছেন।
২১ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
আমার মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে ভালো করেছেন।
- আপনি জানেন আমি সবার মন্তব্যের জবাব সবসময় দেই তবে ভাই গতকাল ও আজকে আসলে একটু বিজি কামলা খাটায় । আর কামলা না খাটলে কাম থাকবেনা , আর কাম না থাকলে লেখার সুযোগও থাকবেনা । কাজেই, আগে কাম তারপর - ----
তবে আশা করি বিকালে সবার মন্তব্যের জবাবের সাথে সাথে আপনার মন্তব্যের জবাব ও দিব ।
২২| ২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:০৬
মিরোরডডল বলেছেন:
কারন, নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের কোন মূল্যই নেই এবং অসম্পূর্ণ । আবার , পুরুষকে বাদ দিয়ে নারী অসহায় এবং অসম্পূর্ণও।
I’m so sorry my dear, I can’t agree with you.
আমি মনে করি নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক ।
তাদের একে অপরের প্রয়োজন আছে, সেটাও ঠিক ।
তারা চলার পথের বন্ধু হয়ে, সহযোদ্ধা হয়ে, জীবনসঙ্গী হয়ে একে অপরের জীবনকে অনেক স্মুদ, আনন্দময় আর সুখী করতে পারে । এরকম আরও অনেক পজিটিভ দিক অবশ্যই আছে ।
কিন্তু তার মানেই এই না, নারী না থাকলে একজন পুরুষের জীবন মূল্যহীন অথবা পুরুষ না থাকলে একজন নারী অসহায় আর অসম্পূর্ণ ।
I object.
২২ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো আপনাকে ধন্যবাদ বোন আয়নাপুতুল , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
নারীকে বাদ দিয়ে পুরুষের কোন মূল্যই নেই এবং অসম্পূর্ণ । আবার , পুরুষকে বাদ দিয়ে নারী অসহায় এবং অসম্পূর্ণও।
I’m so sorry my dear, I can’t agree with you.
- এটা আপনার পছন্দ এবং এ ব্যাপারে আপনি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন ।
আমি মনে করি নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক । তাদের একে অপরের প্রয়োজন আছে, সেটাও ঠিক । তারা চলার পথের বন্ধু হয়ে, সহযোদ্ধা হয়ে, জীবনসঙ্গী হয়ে একে অপরের জীবনকে অনেক স্মুদ, আনন্দময় আর সুখী করতে পারে । এরকম আরও অনেক পজিটিভ দিক অবশ্যই আছে ।
- শুকরিয়া , অন্ততঃপক্ষে এ ব্যাপারে একমত হওয়ার জন্য।
কিন্তু তার মানেই এই না, নারী না থাকলে একজন পুরুষের জীবন মূল্যহীন অথবা পুরুষ না থাকলে একজন নারী অসহায় আর অসম্পূর্ণ । I object.
- আপনি সম্পূর্ণভাবে স্বাধীন পুরুষকে ত্যাগ করার বা না মানার তবে আপনার এক জীবনের পরে কি হবে ? সেটা কি ভেবেছেন ?
এখানে একজন নারীর কাছে পুরুষের সম্পর্ক শুধু যৌন সম্পর্কের / স্বামীর নয় । কারন, একজন নারীর কাছে পুরুষ (যৌন সম্পর্কের / স্বামী ) ছাড়াও বাবা-ভাইয়ের উপস্থিতি রয়েছে।
এখন যদি পুরুষ না থাকে তাহলে বাবা ছাড়া আমার-আপনার কারোর জন্মই হবেনা । এখন আপনি-আমি যাদি বলি আমিত আছিই। আমার জীবনে আর পুরুষ দরকার নেই। তারপরেও দরকার আছে আপনার জীবনে পুরুষের । কারণ, আপনি কমপক্ষে ২০ বছর পর্যন্ত বাবা-ভাইয়ের আশ্রয়েই বড় হয়েছেন এবং তারা আপনাকে যোগ্য করে গড়ে তুলেছেন । ২০ বছর আপনার গঠনের সময় ধরলে তার পর থেকে ৫০/৬০ বছর পর্যন্ত আপনি আপনার মত চলতে পারবেন হয়ত নিজ উপার্জনে-স্বাধীনভাবে , কারো পরোয়া না করে। হয়ত জৈবিক চাহিদাও মিটিয়ে নেয়া যাবে কোন না কোন ভাবে (গ্যাজেট কিংবা সমকামীতায়) । তারপর বার্ধক্য কিংবা মরণের পরও লাগবে পুরুষের সাহায্য সৎকার কিংবা কবর দেয়ার জন্য।
আবার - একজন পুরুষের কাছে ও নারীর সম্পর্ক (যৌন সম্পর্কের / স্ত্রী ) ছাড়াও মা-মেয়ের উপস্থিতি রয়েছে। এখন নারী না থাকলে বাকী সম্পর্ক গুলি আর গড়ে উঠবেনা এবং তার এক জীবনের পরে (৭০/৮০) বছরের পর দুনিয়ায় তার আর কেউ থাকবেনা । কারন- নারী না থাকলে নতুন মানবের জন্মই হবেনা। এর ফলে আজ থেকে বড় জোর ১০০ বছরের মাঝেই মানব সভ্যতা লোপ পাবে।
এখন যেখানে আমি-আপনি শুধু আমার জীবনকাল বা আমার সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে ভাবছি সেখানে সৃষ্টিকর্তা ভাবছেন তার সমগ্র সৃষ্টির ব্যাপারে এবং তা লক্ষ-কোটি বছরের জন্য । সৃষ্টিকর্তা ভাবেন তার সকল সৃষ্টি তথা মানুষ-পশুপাখি-গাছপালা-কীটপতংগ সব নিয়ে আর আপনি আমি ভাবছি শুধু আমাকে-আপনাকে নিয়ে ,এমনকি শুধু মানুষকে নিয়েই নয়।
সমস্যাটা বোন এখানেই।
আমরা ভাবি ক্ষুদ্র পরিসরে শুধু নিজেকে নিয়ে আর সৃষ্টিকর্তা ভাবেন বৃহৎ পরিসরে সবাইকে নিয়ে।
আর এজন্যই , তিনি যেভাবে বা যেসব নিয়ম-নীতি বাতলে দিয়েছেন অথবা সীমারেখা করণীয়-বর্জনীয় নির্ধারন করে দিয়েছেন আমাদেরকে - এসব বিশ্বের সকল কিছুর মংগলের জন্য যদিও আপাতভাবে আমাদের নিকট কিছুটা অন্যরকম মনে হতে পারে।
২৩| ২১ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪১
সোবুজ বলেছেন: দুটি কবিতাই দিয়েছেন দুই জন হিন্দু কবির থেকে।মুসলমান কবির বা ইসলাম ধর্মে এমন কোন বক্তব্য খুঁজে পেলেন না।ইসলাম বা যেকোন ধর্ম আনুগত্য শিখায়, মানবতা শিখায় মানবিক লোক জন।সে যে কোন ধর্মের হতে পারে।
২২ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো আপনাকে ধন্যবাদ সোবুজ ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
দুটি কবিতাই দিয়েছেন দুই জন হিন্দু কবির থেকে।মুসলমান কবির বা ইসলাম ধর্মে এমন কোন বক্তব্য খুঁজে পেলেন না।ইসলাম বা যেকোন ধর্ম আনুগত্য শিখায়, মানবতা শিখায় মানবিক লোক জন। সে যে কোন ধর্মের হতে পারে।
- হিন্দু - মুসলিম এখানে বিবেচ্য বিষয় নয় ভাই। বাংলায় আল কোরআনের অনুবাদ প্রথম একজন হিন্দুই করেছেন। তাহলে তিনি কিভাবে করেছেন?
করেছেন - কারন , তিনি জানতে-বুঝতে চেয়েছেন সৃষ্টিকর্তা -আল কোরআন তথা মুসলমানদের সম্পর্ক। আর এর ফলেই তিনি তা করতে পেরেছেন। আর মানবিকতা -মানবিক হতে সকল ধর্ম বলে ।এখন আমি-আপনি যদি পাশবিক হই বা পাশবিক আচরন করি তবে এর দায় হিন্দু ধর্ম বা মুসলিম ধর্মের নয়, আমার-আপনার।
২৪| ২১ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:৩১
হাসান মাহবুব বলেছেন: আচ্ছা, আপনি তো অনেক বিদ্বান মানুষ। অনেক পড়াশোনা আপনার। তো আপনার কাছে একটা বিষয়ের ফয়সালা জানতে চাই। বৃটেনের মাটির নিচে গোপন মাদ্রাসা এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই।
২২ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:২২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ হাসান মাহবুব ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
আচ্ছা, আপনি তো অনেক বিদ্বান মানুষ। অনেক পড়াশোনা আপনার। তো আপনার কাছে একটা বিষয়ের ফয়সালা জানতে চাই। বৃটেনের মাটির নিচে গোপন মাদ্রাসা এই পোস্টের ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই।
- এই ব্যাপারে আসলে ভাই আমি এখনো অজ্ঞ। এই কথাটির সাথে পরিচিত হয়েছি ৩/৪ দিন আগে ব্লগ থেকে যদিও আমি লেখাটি পুরো পড়িনি সময়াভাবে । তবে আগ্রহ ও কৌতুহল আছে এ বিষয়ে জানার - যদি আসলেই থেকে থাকে । তবে সময় সুযোগে।
কারন , আগে কামলা দেয়া সুযোগ পেলেই আকাম করব -
তখন হয়ত অবশ্যই এ ব্যাপারে আমরা আলোচনা করতে পারব।
২৫| ২২ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১২:৫৮
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: কাজেই- জানার জন্য রচনার কোন বিকল্প নেই , তা সে গরু কিংবা মানুষ যেই হোক।
সব কিছুরই একটা সময় থাকে। গরুর রচনা নিশ্চয়ই প্রাক-প্রাথমিক বা প্রাথমিকে না শিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে শিখেছেন আপনি।আর ব্লগে যারা আছে তারাও বোধকরি এখনও শিশু শ্রেণীর গণ্ডীটা পার হয় নি। আর ভূল বানানটাও ভুল। সঠিক বানানে লেখাটা জরুরী তা গরুর রচনাই হোক আর যাই হোক।
২২ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নিমো ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
সব কিছুরই একটা সময় থাকে। গরুর রচনা নিশ্চয়ই প্রাক-প্রাথমিক বা প্রাথমিকে না শিখে বিশ্ববিদ্যালয়ে পর্যায়ে শিখেছেন আপনি। আর ব্লগে যারা আছে তারাও বোধকরি এখনও শিশু শ্রেণীর গণ্ডীটা পার হয় নি। আর ভূল বানানটাও ভুল। সঠিক বানানে লেখাটা জরুরী তা গরুর রচনাই হোক আর যাই হোক।
- ভাইজান- সার্বজনীন শিক্ষার সংজ্ঞা মনে হয় এরকম, "জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত মানুষ দেখে-শুনে, ঠেকে-ঠকে যা কিছু অর্জন করে তাই শিক্ষা " । কাজেই প্রাক-প্রাথমিকে যা শিখছে সেটা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে না থাকত তাহলে মানুষের জানার প্রসারতা কিংবা গভীরতা কিছুই থাকতনা । সারা জীবন জুড়েই জানতে হয় একই বিষয়ে, কারন - প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচছে জ্ঞানের পথ ও মতের।
অবশ্য আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা নিজেদেরকে সবজান্তা দাবী করে - তাদের ব্যাপার আলাদা। এ ব্যাপারে যদিও একটা গল্প আছে তবে তা বললাম না এই জন্য যে আপনি হয়ত তা জানেন।
আর , নিমো ভাই ভুল সবই ভুল ( ভুল ভুলই) । তার জন্য কি আর করা যাবে।
২৬| ২২ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৩:৩৩
নতুন বলেছেন: তুলে ধরেছেন আপনার আংশিক পরিবারকে অথচ যাকে নিয়ে আপনার পরিবার (স্ত্রী) বা যে আপনার পরিবারের মূল সদস্য - যে না হলে আপনার পরিবার-বাচচা কিছুই হতোনা তাকেই আপনি আপনার পুরো লেখায়-ছবিতে একবারও মনে করেন নি বা ছবি দেননি । তার মানে কি আপনার স্ত্রী সাথে ভ্রমণ করেনি বা আপনি তাকে নেননি ? বা তাকে আপনি ছোট-হেয় করেছেন? আমার মনে হয় এমনটা হবার নয়।
ভাই সবার জন্য একই গরু রচনা চলে না। আপনি সম্ভবত আমার পোস্ট তিনটা ভালো করে পরেন নাই।
আমি আমার স্ত্রীর শারমিন নামেই ব্যবহার করেছি। ৩য় পর্বে ভিডিওতে ডানা আর শারমিনের ছবি আছে আমার থেকেই বেশি... আমি আমার বন্ধু বা পরিচিত মহলে আমার স্ত্রীকে শারমিন নামেই পরিচয় করিয়ে দেই। আমার স্ত্রী হিসেবে তার পরিচিত হতে হবে সেটা আমিও চাইনা। মানুষ তাকেও যেন মানুষ হিসেবে জানে সেটাই আমি চাই।
শারমিন, ডানার কাছে ঘোড়ার চড়ার অভিঙ্গতা খুবই ভালো লেগেছিলো। ঐখান থেকে গেলাম হাত্তা হিল পার্কে ছোট পার্ক কিন্তু একটা পাহাড়ের চুড়ায় ওয়াচ টাওয়ার আছে। সেটা পযন্ত আমি আর ডানা উঠলাম, শারমিন মাঝ পথেই খ্যান্ত দিলো। আমরা উপরে উঠলাম। ঐদিন আকাশ ছিলো নীল, সাদা মেঘ, উপরে উঠে দৃশ্য দেখে ক্লান্তি দুর হয়ে গেলো।
ফেরার পথে শারমিনের আবদার দেশি খাবার খাবে। গেলাম দুবাইতে ইন্টারন্যাসনাল সিটিতে শরফুদ্দিন রেস্টুরেন্টে
হেরিটেজ ভিলেজে দেখা হলেছিলো ৩ বাংলাদেশীর সাথে । তারা এখানে কাজ করছে। বাংলায় কথা বলতে দেখে কাছে গিয়ে বললাম " দেশি কেমন আছেন আপনারা'' তাদের ৩জনের মুখে অনেক বড় হাসি, খুবই খুশি বাংলাদেশি পরিবারের দেখা পেয়ে। কথা হলো বাড়ী কোথায়, কতদিন এখানে আছে, কতদিন আমিরাতে আছে। কথার ফাকে আমাদের গাওয়া চা পরিবেশন করলো, আরেক জন তাদের রুম থেকে লাল চা নিয়ে আসলো শারমিনের জন্য। আরেক জন ভাই শারমিনকে তাদের লাগানো লাউয়ের মাচা থেকে ১টা লাউ কেটে এনে দিলো। শারমিন অনুরোধ করলো ভাই অল্প লাউ শাকও দিন। গাছ থেকে তাজা লাউশাক পেয়ে শারমিন বললো হাত্তা আশা তার সার্থক। আমি কস্ট কইরা নিয়া আসলাম সেটা না তার লাউ শাকে আত্তা ঠান্ডা ।
২২ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
) ভাই সবার জন্য একই গরু রচনা চলে না। আপনি সম্ভবত আমার পোস্ট তিনটা ভালো করে পরেন নাই।
- আপনার সদয় অবগতির জন্য -
আপনার ইউটিউভ ভিডিও দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি কারন লিংক বা ভিডিও কোনটাই সক্রিয় নয় । আমি জানিনা বাকি পাঠকদের কি অবস্থা( তবে আমি কম্পিউটার/মোবাইল দুইয়েই ট্রাই করে ফলাফল )
তারপরেও , রচনায় যা বলেছিলাম বা কেন বলেছিলাম -
ভ্রমন ব্লগ:- হাত্তা ভ্রমন ( Hatta, UAE) - ০১ - ভ্রমন শুরু -
- ডানার স্কুল বন্ধ , -------------------------- ভাবলাম ছুটি শেষ হবার আগেই কোথাও একটু ঘুরে আসি । পুরো পোস্টে ছবি একটি মেয়ের যা মনে হয় ডানার সাথে সাথে প্রকৃতির কিছু ছবি ।
পুরো লেখায় কোথাও উল্লেখ নেই ডানার মায়ের নাম বা আপনার তার (স্ত্রীর )নাম-কথা ।
ভ্রমন ব্লগ:- হাত্তা ভ্রমন ( Hatta, UAE) - ২
- ছবি যা মেয়ের, মেয়ের মায়ের কোন ছবি নেই কিংবা মেয়ের মায়ের কথা বা আপনার তার (স্ত্রীর ) নাম-কথা কোথাও বলা নেই । তবে -
কথার ফাকে ফাকে আমাদের গাওয়া চা পরিবেশন করলো ---------------- লাল চা নিয়ে আসলো শারমিনের জন্য। আরেক জন ভাই শারমিনকে তাদের লাগানো মাচান থেকে একটা লাউ কেটে এনে দিল। শারমিনের অনুরোধে লাউ শাকও।
কোথাও উল্লেখ নেই ডানার মায়ের নাম বা আপনার তার (স্ত্রীর ) নাম শারমিন ।
ভ্রমন ব্লগ:- হাত্তা ভ্রমন ( Hatta Tour, UAE) - ৩ (শেষ পর্ব)
- শারমিন,ডানার কাছে ঘোড়ায় চড়ার অভিজ্ঞতা খুবই ভাল লেগেছিল।
ঐখান থেকে হিল পার্ক -------------------শারমিন মাঝ পথেই ক্ষান্ত দিল ।
এই ৩০ মিনিটের মাঝে শারমিন ৩ বার ফোন দিছে ।
এখানেও চমতকার সব খাবার-দাবারের সাথে সাথে বাবা-মেয়ের ছবি । কোথায় খুজে পাইনি তাদের মা/স্ত্রী কে।
পুরো ভ্রমণ সামারী - কোথাও আমি পাইনি -
১। শারমিন আপনার স্ত্রী বা ডানার মায়ের নাম।
২। পুরো ভ্রমণে নেই তার কোন ছবি ।
৩।পুরো ভ্রমণে নেই তার কোন ভুমিকা/দায়িত্ব কিংবা করণীয়।
৪।যদি আপনি সাধারন পুরুষ না হয়ে অসাধারন হতেন তাহলে সব কিছুতে কি উভয়ের ভূমিকা সমানে সমান হতনা?
এসব বলার উদ্দেশ্য হলো - এটাই আমাদের জীবন। এটাই পুরুষের দায়িত্ব এবং নারী-পুরুষের মাঝের সম্পর্কটা এমনই। পুরুষ কোন কিছু বলা ছাড়াই দায়িত্ব পালনে নারী থেকে বেশী ভূমিকা পালন করে।
ব্যক্তিগত কোন বিষয় হিসাবে আমি বলিনি - এতটুকুই ।
আর রচনা লেখার জন্যও ভাই পড়ার কোন বিকল্প নেই।
ধন্যবাদ ভাই ।
ফিরতি -
২৭| ২২ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৮
নতুন বলেছেন: পুরো লেখায় কোথাও উল্লেখ নেই ডানার মায়ের নাম বা আপনার তার (স্ত্রীর )নাম-কথা ।
ব্লগের কমেন্টেই অনেকে ভিডিও দেখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। আপনার কম্পিউটারে আসলো না বুঝতে পারতেছিনা।
আর ডানা আমার মেয়ে সেটাও ব্লগে উল্লেখ করিনাই। আর শারমিন ডানার মা এটা লিখতে হবে সেটাও বুঝতে পারিনাই্।
আমি মনে করেছিলাম, ভাবছিলাম ডানা আর আমার সাথে যেহেতু শারমিন ঘুরতে আসছে তাই সে আমাদের দলেরই লোক হবে....
২২ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
ব্লগের কমেন্টেই অনেকে ভিডিও দেখেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। আপনার কম্পিউটারে আসলো না বুঝতে পারতেছিনা।
- একেই বলে পোড়া কপাল ভাইজান , দুবাই দেখা মিস করলাম।
আর ডানা আমার মেয়ে সেটাও ব্লগে উল্লেখ করিনাই। আর শারমিন ডানার মা এটা লিখতে হবে সেটাও বুঝতে পারিনাই্।
- শারমিন ডানার মা এটা সাধারনতঃ লেখার দরকার নেই যদি আপনি সেই পুরনো ধ্যান-ধারনার পুরুষ মানুষ হন ।
তবে যদি আপনি দাবী করেন নর-নারী সমান কিংবা আপনি যদি মনে-প্রানেই তা বিশ্বাস করেন শুধু মুখে বলার জন্য নয় -" নর-নারী কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে-সমান" - তবে উভয়ের ভূমিকা-উপযোগীতা সমান হওয়া উচিত-তাই নয় কি ?
আপনি যা করেছেন , তাই আমরা সাধারন মানুষেরা করি এবং এটাই শিষ্ঠাচার-মানব ধর্ম । আর যদি তথাকথিত ব্যক্তি স্বাধীনতার পুজারী হতেন তবে এই পুরো লেখা ও ছবিই আসতে হত অন্যভাবে ।
আমি মনে করেছিলাম, ভাবছিলাম ডানা আর আমার সাথে যেহেতু শারমিন ঘুরতে আসছে তাই সে আমাদের দলেরই লোক হবে....
- শারমিন যে আপনার দলের লোক এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই বা ঠিকই বুঝেছি তবে তিনিই যে ইনি ( আপনার স্ত্রী) তা আপনি স্পষ্ট করে বলেন নি আর আমিও বুঝিনি। তাহলে এখন কি আমরা বলব , আপনি আপনার স্ত্রীকে যথাযথ প্রাপ্য দেননি কিংবা তাকে ছোট করে আপনি বড় হতে চেয়েছেন ? নাকি আপনি সুপিরিয়র আর উনি ইন্টেরিয়র?
ভাই , আবারও বলছি এ প্রসংগটা উদাহরন হিসাবে আমি এনেছি। আপনার পরিবার কিংবা ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে আলোচনার পক্ষপাতি আমি নই এবং আবারো এ ব্যাপারটা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।
২৮| ২৩ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১১:১৬
নিমো বলেছেন: লেখক বলেছেন: সারা জীবন জুড়েই জানতে হয় একই বিষয়ে, কারন - প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচছে জ্ঞানের পথ ও মতের।
যাক আপনার এই জটিল ও সার্বজনীন যুক্তি অনুযায়ী আমাদের প্রতিদিন একবার আদর্শলিপি নিয়ে বসা উচিত কী বলেন ? কেননা বিগত দিনের তুলনায় আদর্শলিপিতেও বদল এসেছে তাই না।
লেখক বলেছেন:অবশ্য আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা নিজেদেরকে সবজান্তা দাবী করে - তাদের ব্যাপার আলাদা। এ ব্যাপারে যদিও একটা গল্প আছে তবে তা বললাম না এই জন্য যে আপনি হয়ত তা জানেন।
হা হা হা! দিন শেষে সেই ad hominem।অপুর চেষ্টা বৃথা গেল রে। সবজান্তা একজনই নাম শমসের। আমার নাম যেহেতু শমসের না তাই ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই। গল্প বলুন শুনি, নায়কের নাম অবশ্যই জটিলবাবু হতে হবে নইলে খেলব না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্লগারও পার্শ্ব চরিত্রে থাকতে হবে এবং মডারেটরের স্নেহধন্য হতে হবে। অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন।
২৪ শে মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নিমো ভাই , আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য।
যাক আপনার এই জটিল ও সার্বজনীন যুক্তি অনুযায়ী আমাদের প্রতিদিন একবার আদর্শলিপি নিয়ে বসা উচিত কী বলেন ? কেননা বিগত দিনের তুলনায় আদর্শলিপিতেও বদল এসেছে তাই না।
- যদি মন চায় ও ভাল লাগে তাহলে প্রতিদিন না হলেও মাঝে মাঝে আদর্শ লিপি নিয়ে বসলে দোষের কিছু নয় । নিজের অনেক দিন আগের জানাকে ঝালাই করার পাশাপাশি আরও কিছু রসদ ( জ্বালানী) মিলতে পারে যা কাজে লাগতে পারে নিজের আত্মজ (সন্তান) দের শিখানোর ক্ষেত্রে।
হা হা হা! দিন শেষে সেই ad hominem।অপুর চেষ্টা বৃথা গেল রে। সবজান্তা একজনই নাম শমসের। আমার নাম যেহেতু শমসের না তাই ইচ্ছা থাকলেও উপায় নাই। গল্প বলুন শুনি, নায়কের নাম অবশ্যই জটিলবাবু হতে হবে নইলে খেলব না এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্লগারও পার্শ্ব চরিত্রে থাকতে হবে এবং মডারেটরের স্নেহধন্য হতে হবে। অপেক্ষায় রইলাম। ভাল থাকুন।
- আমিও এহন আননের লগে খেলুম না (গল্প বলুম না) । তবে বলব এ গল্প আগামীর কোন এক লেখায়। আর তাতে থাকবেনা উপরের ৩ জনের একজনেরও ভূমিকা । সেই পর্যন্ত ভাল থাকুন । আর দাওয়াত রইলো পাতাল মাদ্রাসায় (পরের লেখায়)।
২৯| ২৪ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৩০
এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: সহমত। তবে এও মনে রাখতে হবে যে,
ক্বায়িম-মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা ইমাম খলীফাতুল্লাহ হযরত আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম উনার মহাসম্মানিত ও মহাপবিত্র ক্বওল শরীফ:
খলীফাতুল্লাহ, খলীফাতু রসূলিল্লাহ, ছাহিবু সাইয়্যিদিল আ’ইয়াদ শরীফ, আস সাফফাহ, আল জাব্বারিউল আউওয়াল, আল ক্বউইউল আউওয়াল, হাবীবুল্লাহ, মুত্বহ্হার, মুত্বহ্হির, আছ ছমাদ, আহলু বাইতি রসূলিল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ক্বায়িম মাক্বামে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, মাওলানা মামদূহ মুর্শিদ ক্বিবলা সাইয়্যিদুনা হযরত সুলত্বানুন নাছীর ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি বলেন, মুসলিম বিশ্বে যিনি সবচেয়ে বেশি কিতাব লিখেছেন, যিনি হিজরী দশম শতাব্দীর মুজাদ্দিদ ও ইমাম, সুলত্বানুল আরিফীন হযরত জালালুদ্দীন সুয়ূতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যখন কোনো মুসলমান নিজ বাড়িতে পবিত্র বিলাদতী শান মুবারক প্রকাশ উনার সম্মানার্থে খুশি প্রকাশ করে পবিত্র সাইয়্যিদুল আ’ইয়াদ শরীফ, সাইয়্যিদে ঈদে আ’যম, সাইয়্যিদে ঈদে আকবর পবিত্র ঈদে মীলাদে হাবীবুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উদযাপন করে, তখন সেই বাড়ির অধিবাসীদের উপর থেকে মহান আল্লাহ পাক তিনি অবশ্যই খাদ্যাভাব, মহামারি, অগ্নিকা-, ডুবে মরা, আযাব-গযব, বালা-মুছীবত, হিংসা-বিদ্বেষ, কুদৃষ্টি, চুরি ইত্যাদি উঠিয়ে নেন। যখন উক্ত ব্যক্তি মারা যান তখন মহান আল্লাহ পাক উনার জন্য মুনকার-নকীরের সুওয়াল-জাওয়াব সহজ করে দেন। আর উনার অবস্থান হয় মহান আল্লাহ পাক উনার সন্নিধানে ছিদকের মাক্বামে।” সুবহানাল্লাহ!
২৪ শে মার্চ, ২০২২ বিকাল ৫:২০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো ভাই , আপনার চমতকার মন্তব্যের জন্য।
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সঠিক পথের দিশা ও তার আদেশ-নির্দেশ অনুযায়ী চলার তওফিক দান করুন।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৫০
নতুন বলেছেন: " পুরুষ " - তুমি কি অত্যাচারী ? লোভী-ভোগী নাকি ভূক্তভোগী ? নাকি আমৃত্যু আপনজনদের মুখের দিয়ে চেয়ে জীবনের ঘানি টেনে চলা এক জীব ?
পুরুষ তার পেশী শক্তি দিয়ে নারীজাতি কে অধীন করে রেখেছে। ধর্ম, সামাজিক নিয়ম যাই বলেন না কেন সবই কিন্তু নারীদের নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ফন্দি করে তৌরি করেছে পুরুষ সমাজ।
পশুরা নারীদের উপরে আক্রমন করেনা তারা তাদের সৌন্দর্য দিয়ে নারীর মন পেতে চেেস্টা করে। তাই পুরুষ প্রানী নারী প্রানীর চেয়ে সুন্দর, ( পুরুষ ময়ুরের পখম, মোরগ দেখতে সুন্দর... এই রকমের সকল প্রানীই নারীকে ভুলিয়ে তাকে সঙ্গী হিসেবে নেয়,)
পুরুষ টাকা পয়সা, সম্পত্তি, ক্ষমতার জোরে নারীদের বন্ধি করেছে সমাজে এবং এখন নারীরা সাজুগুজু করে পুরুষের মনরন্জন করে।
একটা জিঙ্গাসা:- ধরুন কেয়ামতের পরে সকল মানুষ একটা ময়দানে উপস্থিত হয়েছে, শেখানে অবশ্যই কারুর গায়ে কোন পোষাখ নেই। সেখানে কারুর নাম লেখা নাই। তখন আপনি কিভাবে আদম আর হাওয়া আ: কে চিনতে পারবেন?