নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - আরব নিউজ
পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত দনেৎস্ক এবং লুহানস্ককে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকেই ওই অঞ্চলে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছিল এবং তাদের রক্ষায় সেনা প্রেরনের ঘোষনায় যুদ্ধ শুধু সময়ের অপেক্ষার বিষয় হয়ে দাড়ায়। অবশেষে, ২৪/০২/২০২২, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে মিসাইল ছুঁড়ে ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া এবং এর ফলে নানা ঘটনা পরস্পরায় উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার সাথে সাথে তেল-গ্যাস সহ নানা ক্ষেত্রে রুশদের ওপর হাজার হাজার নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এতে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বিশ্ববাণিজ্যে। এসব নিষেধাজ্ঞা শুধু রাশিয়া সরকারের জন্য নয়। দেশটির উচ্চ পদস্থ অভিজাত ব্যক্তিবর্গও এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে এবং দেশের তেল-গ্যাস-ব্যাংক-কৃষি-শিল্প অর্থ্যাৎ রাশিয়ার কোন একটি খাত ই বাদ যায়নি তাদের নিষেধাজ্ঞা থেকে। পশ্চিমা এসব নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে রাশিয়াও নানাভাবে চেষ্টা করছে তার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বেঁচে থাকতে বা অর্থনীতি সচল রাখতে এবং পশ্চিমা অবরোধের বিপরীতে তার সাধ্যানুসারে তাদেরকেও কিছু কিছু ফেরত দিতে।
পশ্চিমা এসব অবরোধের বিপরীতে রাশিয়ার হাতে আছে গ্যাস ও তেল অস্ত্র , যার চাহিদা দুনিয়া ব্যাপী এবং যা ব্যতীত কোন দেশই চলতে পারেনা। এদিকে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ রাশিয়ান তেল ও গ্যাসের ওপর ব্যাপক নির্ভরশীল। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিলে রাশিয়ার ওপর অর্থনীতির সাথে সাথে আরও অন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে রাশিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস তথা জ্বালানির সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ/বন্ধ করে দিতে পারে তা হয়ত তাদের ধারনায় ছিলনা বা তারা হয়ত ভেবেছিল রাশিয়া তাদের নিষেধাজ্ঞায় কাবু হয়ে অচিরেই যুদ্ধে হেরে যাবে এবং রাশিয়ার অর্থনীতি ধসে পড়বে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে চলছে আজ ১৫৪ দিন এবং রাশিয়া সকল অবরোধ পাশ কাটিয়ে টিকে আছে এবং চেষ্টা করছে পশ্চিমাদের তাদেরই করা ইটের বদলে কিছুটা পাটকেলের আঘাত ফেরত দিতে পশ্চিমা অবরোধের বিরুদ্ধে ।
ইউরোপে জ্বালানী সরবরাহে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণ আরোপ -
চলতি জুলাই মাসেই বাৎসরিক রক্ষণাবেক্ষণের কারণে নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনে ১০ দিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল গ্যাস সরবরাহ। টারবাইন মেরামত শেষে গ্যাস লাইন চালুর পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ যতটুকু গ্যাস সরবরাহ করা সম্ভব, সেই পরিমাণ গ্যাস ইউরোপকে দিচ্ছে দেশটি তবে সরবরাহ পরিমাণে খুবই কম ছিল। ইউরোপে যে গ্যাস সরবরাহ কমবে, সেই কথা গত সোমবার (২৫/০৭/২০২২) জানিয়েছিল গাজপ্রম। এরপর বুধবার পেসকভ আবারও বলেন, "নর্ড স্ট্রিম - ১ এর রক্ষণাবেক্ষণ কাজ শেষ হলে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ আবারও বাড়াতে পারবে গাজপ্রম"। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেছেন, "পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার করণে যদি রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না করা যায়, তাহলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে না"। সেই সঙ্গে নিষেধাজ্ঞার প্রভাবের বিষয়টিও যুক্ত করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ। তিনি বলেন, "পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে যে কারিগরি জটিলতা দেখা দিয়েছে, তার প্রভাব পড়েছে ইউরোপে সরবরাহ গ্যাসের ক্ষেত্রে।
রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রযুক্তিগত কারনে ইউরোপে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ কমিয়ে আনতে যাচ্ছে রাশিয়া এবং এ জন্য তারা নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের একটি টারবাইন বন্ধ করে দিচ্ছে বলে ইউরোপকে জানিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানি নীতি বিষয়ক প্রধান কাদরি সিমসন একে "রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত" বলে আখ্যায়িত করেছেন। এ খবর ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম আরো বাড়িয়ে দিয়েছে এবং ইউরোপ জুড়ে গ্যাস সংকটের তীব্র আশঙ্কা তৈরি করেছে।
১০ বছরের বেশী সময় ধরে রাশিয়া নর্ড স্ট্রিম-১ পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিদিন জার্মানিতে ১৭০ মিলিয়ন কিউবিক মিটার গ্যাস পাঠায় । রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গের কাছে উপকূল থেকে বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে প্রায় ১২০০ কিলোমিটার লম্বা যে পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে ইউরোপে গ্যাস সরবরাহের জন্য সেটিই নর্ড স্ট্রিম ১। এ পাইপলাইনের মালিকানা ও পরিচালনা নর্ড স্ট্রিম এজির হাতে যার বেশিরভাগ শেয়ারের মালিক রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি গ্যাজপ্রম। জার্মানি তার প্রয়োজনীয় যত গ্যাস আমদানি করে তার শতকরা ৫৫ ভাগই করে রাশিয়ার কাছ থেকে। আর এর বেশিরভাগই আসে নর্ড স্ট্রিম ১ পাইপলাইন দিয়ে। বাকিটা তারা আমদানি করে স্থলপথের পাইপলাইন দিয়ে। উল্লেখ্য,রাশিয়া-জার্মানি নর্ড স্ট্রিম ২ নামে আরেকটি পাইপলাইন তৈরির বিষয়ে একমত হয়েছিল। তবে রাশিয়ার ইউক্রেনে হামলার কারণে জার্মানি সেই চুক্তি বাতিল করে দিয়েছে।
এদিকে, গত মে মাসে বেলারুশ ও পোল্যান্ডের মধ্য দিয়ে যাওয়া একটি গ্যাস পাইপলাইন বন্ধ করে দিয়েছিল রাশিয়া। এর মাধ্যমে জার্মানিসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে গ্যাস পাঠাতো রাশিয়া। এরপর জুনের মাঝামাঝিতে নর্ড স্ট্রিম ১ এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ তিন চতুর্থাংশ কমিয়ে দিলে দিনে গ্যাস সরবরাহের পরিমাণ দাঁড়ায় মাত্র ৪০ মিলিয়ন কিউবিক মিটারে। জুলাইয়ের শুরুতে নর্ড স্ট্রিম ১০ দশ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয় রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য।এখন আবার চালু করার পরপরই রাশিয়ার পক্ষ থেকে হয়েছে যে, গ্যাজপ্রম গ্যাস সরবরাহ আরও বিশ ভাগ কমিয়ে দেবে। আর এ খবরে ইউরোপে একদিনের মধ্যেই গ্যাসের পাইকারি দাম দশ শতাংশ বেড়ে যায়।এমনিতেই গ্যাসের দাম গত বছরের এই সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। ক্রিস্টল এনার্জির সিইও ক্যারোল নাখলে জানান, "বাজার এখন এমন অবস্থায় সরবরাহে যে কোন ধরনের বাধা গ্যাসের দাম আরও বাড়িয়ে দেবে"। তার মতে, এ"টি ইউরোপের অর্থনীতিকে মন্থর করবে যা মন্দার দিকে ঠেলে দেয়ার অবস্থা তৈরি করতে পারে"।
রাশিয়ার গ্যাস সরবরাহ কমানোর খবরে ইউরোপের প্রতিক্রিয়া ও রাশিয়ার গ্যাস নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা -
রাশিয়া তথা গ্যাজপ্রম বলছে, " টারবাইন রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য তারা গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিচ্ছে"।
কিন্তু ইউরোপে এটি খুব কম মানুষই বিশ্বাস করছে।
জার্মান সরকার বলছে, " বর্তমানে কারিগরি এমন কোন কারণ নেই যাতে গ্যাজপ্রম গ্যাস সরবরাহ কমাতে পারে"।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের জ্বালানি নীতি বিষয়ক প্রধান কাদরি সিমসন একে " রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত" বলে আখ্যায়িত করেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একে "প্রকাশ্য যুদ্ধ আখ্যায়িত করেছেন যা রাশিয়া ইউরোপের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে"।
লন্ডন ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দা এনার্জি ইন্সটিটিউটের ফেলো কেইট ডৌরিয়ান বলেন, "রাশিয়া গ্যাসকে ক্রমশ অস্ত্রে রূপান্তর করছে"।
তার মতে, "রাশিয়া এখনো নিজেকে জ্বালানি সুপারপাওয়ার হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে এবং দেখাতে চাইছে যে ইউরোপের নিষেধাজ্ঞার পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে তারা"।
ছবি - সি এন এন
ইউক্রেন যুদ্ধের শুরু থেকেই আমরিকা-ইউরোপ রাশিয়ার তেল-গ্যাসের উপর নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচছে। এরই ফলশ্রুতিতে ইউরোপ চেষ্টা করছে রাশিয়ার পরিবর্তে অন্য জায়গা থেকে তেল-গ্যাস কিনতে এবং আমেরিকা দীর্ঘদিন পর ভেনিজুয়েলার উপর থেকে অবরোধ তুলে নিয়েছে এবং বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ বাড়ানোর চেষ্টা হিসাবে জো বাইডেন সৌদি আরব সফর করেছেন। যদিও বাইডেনের এ সফর থেকে পজেটিভ তেমন কিছু অর্জিত হয়নি বলেই মূল্যায়ন করেছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতি বিশেষজ্ঞরা এবং মধ্যপ্রাচ্যে বাইডেনের সফরের মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বল প্রভাবের দিকটি ফুটে উঠেছে প্রকটভাবে। এদিকে জার্মানি নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডস থেকে গ্যাস আনার বিকল্প চেষ্টা করছে । ইতিমধ্যেই তারা পাঁচটি ভাসমান টার্মিনাল কিনে নিয়েছে যাতে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে এলএনজি আমদানি করতে পারে। অবশ্য এর সাথে উপকূল থেকে জার্মানির অন্য সব জায়গায় গ্যাস নেয়ার জন্য পাইপলাইন তৈরির বিষয় জড়িত, যা করতে কয়েক মাস সময় লাগতে পারে। অন্যদিকে, ইতালি আলজেরিয়া থেকে বেশি করে গ্যাস আমদানির চেষ্টা করছে। সমস্যার সাময়িক সমাধানের জন্য পরিবেশগত প্রভাব থাকা সত্ত্বেও জার্মানি কয়লা ব্যবহার বাড়ানোর পাশাপাশি কিছু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জীবনকাল বাড়িয়ে নেয়ার পদক্ষেপ নিয়েছে। রাশিয়ার জ্বালানি ঘাটতি মেটাতে ইউরোপের প্রত্যেকটি দেশই তাদের নিজেদের মতো করে পদক্ষেপ নিচ্ছে সংকট কাটিয়ে উঠতে।
রাশিয়ার গ্যাস নির্ভরতা কমানোর চেষ্টা হিসাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একটি চুক্তি নিয়ে কাজ করছে যেখানে তার সদস্য রাষ্ট্রগুলো গ্যাসের ব্যবহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনবে। আবার, ইউরোপের বহু দেশ ও তাদের নাগরিকরা নিজেদের মতো করেই ব্যবস্থা নিয়েছে। মিস নাখলে জানিয়েছেন, "জার্মানিতে অনেকেই কাঠের স্টোভ কিনেছে এবং বাসায় সোলার প্যানেল সংযোজন করছে"।
যার কারনে এত সব সমস্যা ( রাশিয়া-ইউক্রেন সমস্যার কারন) -
নানা কারনে রাশিয়ার সাথে আমেরিকা-ইউরোপের টানাপোড়ন চলছে গত কয়েক বছর যাবত। আর এসব কারনের সমষ্ঠিই হলো রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ । কারনগুলি -
১। ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারন - রাশিয়া তার নিরাপত্তা ও ন্যাটোর পূর্বমুখী সম্প্রসারনে বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যাকে আমেরিকা বা ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন কোনভাবেই আমলে নিতে রাজি হয়নি। রুশ কর্মকর্তারা প্রকাশ্যেই জোরেশোরে বলছেন যে," ন্যাটো রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি"। ১৯৯০ সালে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বেকার তৎকালীন রাশিয়ান নেতা মিখাইল গর্বাচেভের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে," মস্কো যদি জার্মানির পুনর্মিলনের অনুমতি দেয় তবে ন্যাটো এক ইঞ্চিও পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে না"। তবে আমেরিকা বা ন্যাটো এখন তা মানতে চাচছেনা। এখানে আমেরিকানরা হাস্যকর রকমের অজুহাত ব্যবহার করে এই অঙ্গীকার থেকে সরে এসেছে যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়াকে তা কখনো লিখিতভাবে এরকম কোন প্রতিশ্রুতি দেয়নি আর তাই তা মানার বাধ্যবাধকতা তাদের নেই।
২। বাইডেনের ইউরোপকে নিজের সাথে রাখার চেষ্টা - ইউরোপকে নিজের সাথে এবং নিজের বলয়ে আনতে মরিয়া বাইডেন। নানা কারনে সারা দুনিয়া ও ইউরোপে আমেরিকার প্রভাব কমে আসছে বা কমতির দিকে। আমেরিকা সুপার পাওয়ার হওয়ার পরও বিশ্বের নানা দেশ এখন আর আমেরিকার উপর এককভাবে নির্ভরশীল নয় এবং আগে যেরকম সারা দুনিয়ায় আমেরিকার কথাই শেষ ছিল সেরকম পরিস্থিতিও এখন আর নেই। আবার আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে ইউরোপের সাথে আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্কও তলানীতে গিয়ে ঠেকে। আর আমেরিকা-ইউরোপের মতবিরোধ এর সর্বশেষ উদাহরন হলো আফগান ইস্যু। আফগান ইস্যুতে আমেরিকার সাথে পশ্চিমা মিত্রদের মতবিরোধ সারা দুনিয়ার নজর এড়ায়নি ।
আর তাই , বাইডেন প্রশাসন এখন ইউক্রেন ইস্যুকে পুজি করে রাশিয়ার প্রশ্নে ইউরোপে একটি ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরির জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। কারণ তিনি জানেন, ইউক্রেনে রাশিয়া হামলার বদলা হিসেবে যে ব্যাপক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার হুমকি তিনি পুতিনকে দিচ্ছেন তা কার্যকর করতে ইউরোপকে তার সাথে আনতে হবে। এর প্রথম পদক্ষেপ হিসাবেই তিনি ইউক্রেন ইস্যুতে প্রতিটি পদক্ষেপে ন্যাটো দেশগুলোকে সাথে রাখছেন। যদিও এটি তার ঘোষিত পররাষ্ট্রনীতি তারপরও আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার নিয়ে পশ্চিমা মিত্রদের সাথে যে দূরত্ব তার তৈরি হয়েছিল- তা থেকে বাইডেন শিক্ষা নিয়েছেন।
৩। রাশিয়ান ও ইউক্রেনিয়ানরা একই জনগোষ্ঠী - ভ্লাদিমির পুতিনের দাবি, "রাশিয়ান ও ইউক্রেনিয়ানরা একই জনগোষ্ঠী এবং উভয়ই রাশিয়ান সভ্যতার অংশ"। তবে রুশ প্রেসিডেন্টের এ দাবি নাকচ করে আসছেন ইউক্রেনিয়ানরা।
চলতি শতকেই ইউক্রেনে দুই দফা গণ–অভ্যুত্থান ঘটেছে। ২০০৫ ও ২০১৪ সালে উভয় ক্ষেত্রেই বিক্ষোভকারীরা রাশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অস্বীকার করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো জোটে দেশের অন্তর্ভুক্তির দাবি তুলেছেন। অপর দিকে নিজের সীমান্তের সামনেই ন্যাটোর সম্ভাব্য ঘাঁটি নিয়ে শঙ্কিত ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলে আসছেন, "যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন এই সামরিক জোটে ইউক্রেনের যোগ দেওয়াটা হবে চূড়ান্ত সীমা অতিক্রম করা"।
৪। ইউক্রেনের সামনে ইউরোপীয়ান ও ন্যাটো সদস্যর মুলো ঝুলানো - বিনা যুদ্ধে ও বিনা অস্ত্র ব্যবহারে প্রতিদ্বন্দ্বী চীন ও রাশিয়ার উপরে অবরোধ আরোপ আর মানবাধিকার লংঘন এ দুই অস্ত্র ব্যবহার করে বিজয় লাভের ভাবনায় তারা (আমেরিকা ও ইউরোপ) এক সাথে কাজে নেমে পড়ে। আর এ কাজে বলির পাঠা হিসাবে বেছে নেওয়া হয় ইউক্রেনকে, যে কিনা পুরনো সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেতরে ১৪ রাষ্ট্রের একটি যাকে এখনো ন্যাটোর সদস্যই করা হয়নি। গত ২০১৪ সাল থেকে ইইউ, আমেরিকাসহ ন্যাটো ইউক্রেনকে প্রলুব্ধ (তার সামনে মূলো ঝুলায়) করে তাকে ন্যাটোর সদস্য করে নেয়া হবে বলে - আর তাই ন্যাটোর সদস্যপদ ইউক্রেনের কাছে এক সোনার হরিণ করে গড়ে তোলা হয়েছিল এবং ইউক্রেনের রুপালী পর্দার হিরো প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সেই মূলো লাভের আশায় তার অতীতকে ভূলে এক অদৃশ্য সোনার হরিণের পিছনে ছুটে চলা শুরু করেন এবং খায়েশ করেন বর্তমান রাশিয়ান আধিপত্য থেকে বাইরে থাকার ।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর ব্যবস্থা
পশ্চিমা দেশগুলো মূলত নানা ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়ার উপর। রাশিয়াকে দেয়া এসব "অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মূল লক্ষ্যই হলো পরাশক্তি হিসাবে রাশিয়ার পতন,বিশ্বে রাশিয়াকে এক ঘরে করা এবং রাশিয়ার অর্থনীতিকে পংগু করে দেয়া।
এ লক্ষ্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলো প্রথম যে ব্যবস্থা নিয়েছে সেটি হলো আন্তর্জাতিক আর্থিক বার্তা লেনদেন সার্ভিস " তথা সুইফট " থেকে রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন রাখা। বিশ্বে ২০০ টির বেশি দেশের ব্যাংক এবং আর্থিক সেবা প্রতিষ্ঠানগুলো এটি ব্যবহার করে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, এটিকে একটি মারাত্মক অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এর ফলে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর পক্ষে কোনো ধরনের আন্তর্জাতিক লেনদেন চালানো কঠিন হয়ে পড়বে। ২০১২ সালে এটি ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছিল।
এরকম হাজরো নিষেধাজ্ঞায় ও যুক্তরাষ্ট্রের রাশিয়াকে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ডলার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা আশা করছিল রাশিয়ার আন্তর্জাতিক বাণিজ্য একেবারে সীমিত হয়ে পড়বে এবং এর বিরাট প্রভাব পড়তে পারে রুশ অর্থনীতিতে। আবার নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে প্রেসিডেন্ট পুতিন ও তার ঘনিষ্ঠজনদের বিরুদ্ধে। এদিকে পশ্চিম ইউরোপে রাশিয়া যে জ্বালানি বিক্রি করে, সেটি বন্ধ করার কথাও আলোচনায় আসছে। রাশিয়া বিশাল এবং এখনো বিশ্বের ২য় পরাশক্তির দেশ যার উপর তেল-গ্যাস-সার-সামরিক-কৃষি সহ নানা ক্ষেত্রে দুনিয়ার বহুদেশ নির্ভরশীল এবং এসব ক্ষেত্রে খুব বেশী রাশিয়ার বিকল্প এখন পর্যন্ত আমেরিকা-ইউরোপ বা অন্য দেশগুলোর নেই। তবে ব্যাপার যাই হোক রাশিয়ার বিরুদ্ধে পশ্চিমা দেশগুলোর অবরোধের ফলে বা তারা রাশিয়াকে শাস্তি দিতে গিয়ে এখন নিজেরাই জ্বালানি সংকট সহ মুদ্রাস্ফীতি সহ আরো বহু সমস্যায় জর্জরীত এবং এসব সমস্যা কতদূর পর্যন্ত যাবে তা নিয়ে কারো কোন ধারনা নেই।
বাইডেন আসলে কি চেয়েছেন বা কি আশা করেছিলেন ?
বাইডেন হয়ত আশা করেছিলেন , অর্থনৈতিক ও সামরিক ব্যবস্থা নিয়ে যেভাবে ইরাক-লিবিয়া-আফগানিস্তানকে ধ্বংস করা সহ তাদেরকে অল্প সময়ের মাঝেই দীর্ঘ মেয়াদে সব দিক দিয়ে পংগু করে দিয়েছিলেন সেভাবে রাশিয়াকেও পারবেন।আর তাই বাইডেন হয়ত আশায় ছিলেন এবং ধরে নিয়েছিলেন যে, রাশিয়া যদি তেল-গ্যাস বেচতে না পারে এবং তার ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ আটকে গেলে রাশিয়ার কিছুই করার থাকবে না, সব স্তব্ধ হয়ে যাবে। অথচ আমেরিকার মত দেশের একজন প্রেসিডেন্ট এসব মনগড়া অনুমানে কি করে চলতে পারেন?আর তিনি এটাও ভেবে দেখেননি যে, ইরাক-লিবিয়া-আফগানিস্তান আর রাশিয়া এক নয়। বাইডেনের অনুমান অবশ্য কিছুটা সত্য হয়েছে এতে কোন সন্দেহ নেই কিন্তু তিনি শুধু ঘটনার একটি দিক নিয়ে ভেবেছেন। অন্য দিকের খবর তিনি নেননি বা ভাবেন নি । দুনিয়ার সব বেচা-বিক্রি মানেই যে একপক্ষীয় এমন নয়। কারণ যেটা বেঁচা সেটিই আরেক দিক থেকে কেনা। এখানে দুটি পক্ষই জড়িত থাকে । কাজেই রাশিয়া বেঁচতে না পারলে যেমন রাশিয়ার বিপদ, তেমনি বিপদ জ্বালানি ক্রেতারও। বাইডেন এ দিকটা ভেবে দেখতেই চাননি। যার ফলে বাস্তবতা হলো, ক্রেতা ইইউর সব সদস্যের জন্যই এটি বিক্রেতা রাশিয়ার মতোই সমান সঙ্কটের। যদি ইউরোপ রাশিয়ান তেল-গ্যাস না কিনে কাতার বা অন্য কোথাও থেকে কিনতে চায় তা হলে সেই বিকল্প জ্বালানি যদি পাওয়াও যায় তবু সেটি তাদের জন্য বিপদেরই হবে। কারণ তার জন্য অবকাঠামো কোথায়? আর মূল্য কতটা দিতে হবে , তা নিয়ে তারা মনে হয় ভেবেও দেখেনি।
আমেরিকা-ইউরোপ কাতার বা ভেনিজুয়েলা থেকে গ্যাস-তেলের জন্য এখন নতুন করে বিকল্প ব্যবস্থা করা-পাইপলাইন বসাতেও তো কিছু সময় থেকে কয়েক বছর লাগবে। এ সময় কিভাবে চলবে ইউরোপ বা আমেরিকা ? এসব প্রশ্নের জবাব মনে হয়না বাইডেন কিংবা ইউরোপের নেতাদের কাছে আছে। আর সামনে আছে শীতকাল । এসময় রাশিয়া যদি তার শেষ তুরুপের তাস (গ্যাস সরবরাহ ইউরোপে পুরো বন্ধ ) ব্যবহার করে তাহলে এই শীতে তুষার-বরফের হাড়কাপানো শীতের মাঝেও গ্যাসের অভাবে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপে ই্উরোপের কত শাসকের পতন ঘটে ( ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ড ও ইতালিতে সরকারের পতন হয়েছে) তা সময়েই বলে দেবে।
যুদ্ধে জেলেনস্কি হারবেন এটা নিশ্চিত। কারন, রাশিয়া আর যাই হোক, যুদ্ধে রাশিয়াকে আমেরিকা-ইউরোপ হারাতে পারবে এ আশা কেউ করেনা। আর তাইতো পুতিন সরাসরি ঘোষনা দিয়েছেন যে, " যদি আমেরিকা-ইউরোপ যুদ্ধে রাশিয়াকে হারাতে পারে তবে হারাক"।আবার রাশিয়া বার বার বলছে ইউক্রেন দখলের বা তার সরকার পরিবর্তনের কোন ইচছা রাশিয়ার নেই। রাশিয়া শুধু কিছু জিনিষের নিশ্চয়তা চাচছে ইউক্রেন থেকে । যখনই ইউক্রেন তার শর্ত মানবে তখন থেকেই পুতিন যুদ্ধ বন্ধ করে দিবেন। আর তাইতো ক্রেমলিনের মুখপাত্র বলেছেন,"ইউক্রেনকে দেয়া শর্ত পূরণ হলেই মুহূর্তের মধ্যে রাশিয়া থেমে যাবে"।
রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর জন্য ৩ টি শর্তের কথা বলেছেন যেগুলো আগেও রাশিয়া-ফ্রান্স আলোচনায় পুতিন স্পষ্ট করে বলেছিলেন।পুতিনের শর্ত তিনটা হলো-
১। ইউক্রেন নিরেপেক্ষ হয়ে যাবে । এ জন্য তার কনস্টিটিউশন সংশোধন করে এ কথাগুলো সেখানে ঢুকাবে। অন্য ভাষায় রাশিয়ার নিরাপত্তাবোধে অভাব সৃষ্টি করবে না, ন্যাটোর সদস্য হতেও আর চেষ্টা করবে না।
২। রাশিয়া ইউক্রেনকে অসামরিকীকরণের কাজ শেষ করবে।
৩। বিচ্ছিন্ন দুই প্রদেশ যার বাসিন্দারা এথনিক রাশিয়ান, সে দুই আবাসভূমিকে স্বাধীন দেশ বলে ইউক্রেন মানবে এবং ক্রাইমিয়ার বিচ্ছিন্ন হয়ে রাশিয়ার সাথে যুক্ত হওয়াকেও মেনে নেবে।
এ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে আমেরিকা চেয়েছিল সারা দুনিয়াকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে এক করতে , তবে জি ৭ এবং ইউরোপ ব্যতীত আর কাউকে সাথে পাননি বাইডেন। ইতিমধ্যেই ইউক্রেন - রাশিয়া যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সারা দুনিয়া দৃশ্যত দু ভাগ হয়ে গেছে তারপরও রাশিয়াকে একেবারে আলাদা করা কোন ভাবেই আমেরিকার পক্ষে সম্ভব হবে বলে মনে হয়না। আবার এ যুদ্ধকে কেন্দ্র করে সারা দুনিয়া খাদ্য - জ্বালানী ও মুদ্রাস্ফীতির সংকটে দিশেহারা। আই এম এম,বিশ্ব ব্যাংক ও জাতিসংঘ বার বার এ ব্যাপারে সর্তক করলেও বিবদমান কোন পক্ষই তাতে কর্ণপাত করছেনা। এর ফলে আফ্রিকা সহ গরীব দেশগুলোতে খাদ্য ও জ্বালানী সংকটে যে সামাজিক সমস্যার তৈরী হবে তা কতটা দুনিয়ার জন্য সহায়ক হবে তা সময়ই বলে দিবে , তবে ভাল কিছু যে কারো জন্যই নেই তা নিশ্চিত।
আর এ সব সমস্যার আশু সমাধানের জন্য আমেরিকা-ইউরোপের উচিত রাশিয়াকে টেনে নামানোর জেদ/চেষ্টা বাদ দিয়ে তার উদ্বেগকে বাস্তবতার সাথে মিলিয়ে দেখে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা এবং রাশিয়ারও উচিত ইউক্রেনের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বকে ঠিক রেখে দ্বি - রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের দিকে নজর দেয়া। আর এর ফলেই হয়ত উভয়ের সম্মান-মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি ইউক্রেন - রাশিয়া মুক্তি পেতে পারে এ যুদ্ধ থেকে এবং বিশ্ব মুক্তি পেতে পারে মানবিক-অথনৈতিক বির্পযয় থেকে।
তথসূত্র - এএফপি,বিবিসি,রয়টার্স,আল জাজিরা,সিএনএন।
==================================
পূর্ববর্তী পোস্ট -
"রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ" - (৩য় পর্ব) Click This Link
"রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ" - (২য় পর্ব) Click This Link
"রাশিয়া - ইউক্রেন যুদ্ধ" - (১ ম পর্ব) Click This Link
এবং
" ইউক্রেন সংকট " - (শেষ পর্ব) - Click This Link
" ইউক্রেন সংকট " - ২ য় পর্বের লিংক - Click This Link
" ইউক্রেন সংকট " - ১ ম পর্বের লিংক - Click This Link
২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৫৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সৈয়দ মশিউর রহমান ভাই , পোস্টে আপনার প্রথম, ছোট তবে তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যের জন্য ।
যার যা আছে সে তো তাই নিয়েই লড়বে।
- এটাই সত্যি এবং এটা যে বৈধ তাই কেউ কেউ মানতে চায়না বলেইত দুনিয়ায় এত সমস্যা।
পশ্চিমাদের ধারনা তারা যা বলবে-যা করবে তাই বৈধ এবং সারা দুনিয়াকে তা মেনে চলতে হবে কোন প্রশ্ন ছাড়া। এছাড়া কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় তাও তারাই নির্ধারণ করবে তাদের স্বার্থের ভিত্তিতে ন্যায়ের ভিত্তিতে নয়।
২| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:২৪
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
তেল গ্যাসের দাম প্রতিদিন অল্প অল্প,করে কমে অনেকটাই কমে গেছে।
পেট্রল আগে ৫+ এ কিনতাম এখন ৩+
গমের দাম একধাক্কায়ই অনেকটা কমে গেছে, সয়াবিন তেল আগের দামে প্রায় ফিরে যাওয়ার পথে।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:১৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ হাসান কালবৈশাখী ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনি অনেকটাই সঠিক বলেছেন।
যুদ্ধ শুরুর সাথে সাথে যে পণ্য সরবরাহ নিয়ে যে অনিশ্চিয়তা এবং মানুষের মাঝে যে আতঙ্ক ছিল সময়ের সাথে সাথে তা অনেকটাই সহনীয় হয়ে এসেছে মানুষের মাঝে।
এ যেন অনেকটা মানুষের কাটা-পোড়ার মত । যখন মানুষের শরীরের কোন অংশ হঠাত করে কেটে বা পুড়ে যায় তখন যতটা ব্যাথা কিংবা রক্তপাত হয় , সময়ের সময়ের সাথে রক্তপাত বন্ধ হয়ে যায় কিংবা জ্বলা-পোড়া সহনীয়তার মাঝে চলে আসে।
ঠিক তেমনি, এ সংকট শুরুর পর থেকে ৫ মাস হয়ে গেছে । আর তাই সবাই যার যার অবস্থান থেকে ও প্রয়োজনমত বিকল্প ব্যবস্থা করে নিচছে।তাই খাদ্য পণ্য + জ্বালানী সব কিছুতেই কিছুটা হলেও মূল্য কমছে দিনে দিনে । এ বড়ই আশার কথা সারা দুনিয়ার জন্য । কারন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে মানুষের এখন ত্রাহি মধুসূধন অবস্থা।
যুদ্ধ-হানাহানি বন্ধ হয়ে যাক, মানুষ ফিরে পাক শান্তি -স্বস্তি, দ্রব্যমূল্য চলে আসুক মানুষের ক্রয় ক্ষমতার নাগালে - এটাই এখন আমাদের সবার চাওয়া হওয়া উচিত।
৩| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:১৬
শায়মা বলেছেন: যুদ্ধ যুদ্ধ পোস্ট কঠিন লাগে কিন্তু প্রথম পাতায় তোমাকে দেখে পোস্টে ঢুকলাম।
ভেরি গুড!
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:২৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা বনি , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং শুধুই কৃতজ্ঞতা আপনার নিকট ।
এই যুদ্ধ যুদ্ধ আসলেই ভাল লাগেনা। বহু মানুষের জীবনের সব কিছু উলট-পালট হয়ে এই হিংস্র যুদ্ধে , কারো কারো লোভের কারনে।
তারপরও সভ্যতার শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যুদ্ধ ছিল এবং থাকবে দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত । আর এসবের মাঝেও কারো কারো উপস্থিতি আমাদেরকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জোগায় এবং শত দুঃখ-কষ্ঠের মাঝেও কাউকে কাউকে দেখলে বা তাকে অনুভব করলে মন ভরে উঠে এক অপার্থিব ভাল লাগায় । আমার ব্লগীয় জীবনে আপনি সেইরকম একজন।
তাই আমাকে প্রথম পাতায় দেখে যুদ্ধ ভাল না লাগার পরেও লগইন ও মন্তব্যের জন্য শুধুই ভালোলাগা ও কৃতজ্ঞতা।
৪| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:২২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অ্যামেরিকা আর ইউরোপ রাশিয়াকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করেছে। কাজেই আমি রাশিয়াকে দোষ দেই না।
শায়মা আপু আপনাকে খুব পছন্দ করে তাই যুদ্ধের পোস্ট সত্ত্বেও আপনার পোস্টে এসেছে। শায়মা আপুর এই মানবিক গুনের জন্য একটা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১২:৩৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সাড়ে চুয়াত্তর ভাই, আপনার বাস্তব ও চরম সত্য মন্তব্যের জন্য।
অ্যামেরিকা আর ইউরোপ রাশিয়াকে যুদ্ধে নামতে বাধ্য করেছে। কাজেই আমি রাশিয়াকে দোষ দেই না
- এই চরম সত্যিটা আমেরিকা-ইউরোপ জেনেও শুধু জিদের বশে বা রাশিয়াকে নীচে টেনে নামানোর জন্যই এত আয়োজন করেছে। অথচ এর ফলে রাশিয়ার যত ক্ষতি হচছে তার থেকে তাদেরও যে কম ক্ষতি হচছে এমনটাও নয় । তারপরেও ,সাদা আধিপত্যবাদীরা তাদেরকেই সঠিক ভাবছে আর রাশিয়াকে দোষ দিচছে । যা সত্যের অপালাপ ব্যতীত আর কিছুই নয়।
শায়মা আপু আপনাকে খুব পছন্দ করে তাই যুদ্ধের পোস্ট সত্ত্বেও আপনার পোস্টে এসেছে। শায়মা আপুর এই মানবিক গুনের জন্য একটা ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
- তাকি আর বলতে ভাই।
শায়মা আমার বনি এবং আমার ব্লগীয় জীবনের শুরু কিন্তু শায়মা বনির উৎসাহ ও আগ্রহেই। নানা কারনে আমি বনির নিকট কৃতজ্ঞ এবং উনার জন্য শুধুই ভাললাগা ।
৫| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০
ঢাবিয়ান বলেছেন: রাসিয়ার পুতিন ইতিহাসে হিটলারের মতই ঘৃন্য স্থান নেবে।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ ঢাবিয়ান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি যা বলেছেন তা হয়ত একদিক দিয়ে সঠিক বলেছেন তবে হিটলারের অবস্থানের সাথে এখানে পুতিনের অবস্থানের মিল আছে বলে মনে হয়না। তবে দুই জনেরই একজায়গায় মিল আছে তা হলো,তাদের জাতীয়তাবোধ তথা নিজেদের সম্মানজনক অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা ।
কারন, তাদের প্রতিযোগীরা তাদের কে এমন জায়গায় টেনে নিয়ে যেতে চায় যা আসলে যে কোন জাত্যাভিমানী মানুষেরই মেনে নিতে কষ্ট হবে বা মেনে নিতে পারবেনা।
হিটলারের ইতিহাস লিখা হয়ে গেছে আর পুতিনের জায়গা ইতিহাসে কোথায় হবে তা দেখার জন্য আমাদের আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
৬| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৭
জুল ভার্ন বলেছেন: অনেক দিন পর আপনার লেখা পেলাম।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০৪
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ জুল ভার্ন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
পরিপার্শ্বিক নানা জটিলতা ও কামলা খেটে সময় না পাওয়ার কারনে কিছুটা অনিয়মিত হয়েছিলাম তবে আসতাম দেখতাম আপনাদের লেখা মাঝে মাঝে ।
সত্যিটাত বুঝেন ই ভাই, গরীব মানুষ কাম না করলে সংসার চলবেনা। কামের ফাকে ফাকে মাঝে মাঝে এসে কিছুটা আকাম (লেখা-পড়া) করি । এই আরকি ভাইজান।
৭| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৮:১০
কামাল৮০ বলেছেন: যুদ্ধের সাথে যুক্ত হয়েছে অর্থনিতি।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল৮০ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
এটা ঠিক বলেছেন আপনি।
সেই আদিকাল থেকে ও সবসময়ই যুদ্ধের সাথে অর্থনীতির সম্পর্ক নিবিড় ভাবে জড়িত । যুদ্ধের কারনে সব সময়ই অর্থনীতির ক্ষতি হয় এবং সাধারন মানুষ চরমভাবে ভুগে ।
আর এই আধুনিক যুগে এসে মড়ার উপর খাড়ার ঘা হিসাবে এসেছে যুদ্ধের সাথে অর্থনৈতিক অবরোধ যা একটি দেশ ও জাতিকে
ধ্বংস করে দিতে পারে খুব সহজেই।
৮| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:১৮
সাসুম বলেছেন: অইল্কাম ব্যাক। অনেক দিন পর রাগ ভেংগে লিখলেন। পড়লাম।
যাই হোক, আপনার তালেবান দের নিয়ে যে ফ্যাসিনেশান ছিল, সেটা এখন রাশিয়ার দিকে ঝুকেছে। বেশ জোস জিনিষ এটা।
আপনি যা কিছু এখানে লিখেছেন এগুলা আম্রা অল্রেডি জানি ডেইলি আল জাজিরা, গার্ডিয়ান, এ এফ পি, রয়টার্স, প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, দা ওয়ার থেকে । আপনি নতুন কি সংযুক্ত করলেন আপনার নিজের দিক থেকে? সেটা উল্লেখ করে দিলে ভাল হত লেখার শেষে - সেটা নিয়ে না হয় আলোচনা করতাম ।
যাই হোক, ওভার অল রাশিয়াকে আম্রিকা ইউরোপ যুদ্ধে হারাবে ইউক্রেনে অস্ত্র দিয়ে এটা পাগলেও বিলিভ করেনা। তাহলে আম্রিকা ইউরোপ ইউকে মানে অয়েস্টার্ন ফ্রন্ট এর লাভ কি? ইউক্রেন কে দাবার গুটি হিসেবে ইউজ করে রাশিয়াকে দুর্বল করা, মানেন আর না মানেন দিন শেষে রাশিয়ার বিলিয়ন ডলার লস ইকোনমিকালি! আর এই যুদ্ধের সাদা হাতি টেনে নিয়ে যাওয়া আর ম্যান পাওয়ার লসের কথা না হয় বাদ ই দিলাম।
এখন এই যে যুদ্ধে রাশিয়ান লস হচ্ছে, এটাই রিভার্স সাইকোলজির দিক থেকে আম্রিকা ব্লকের জন্য লাভবান। ইউরোপ এর গ্যাস তেল জাস্ট একটা কলাটোরাল ড্যামেজ, বাট রাশিয়ান লসের কাছে এসব কিছুই না।
আম্রিকায় যে রিসেশান চলছিল সেটা থেকে উঠে আসতে দরকার ছিল যুদ্ধ, সেটা ডাইরেক্ট লি না পেলেও ইন ডাইরেক্টলি পেয়েছে তারা। আম্রিকান অস্ত্র ব্যাবসায়ী রা ট্রিলিয়ন ডলার এর অর্ডার পাচ্ছে এখন, এই পুরোটা আম্রিকান ইকোনমি তে এড হচ্ছে!
শুনতে খারাপ লাগ্লেও এটাই সত্যি দিন শেষে, লস আম্রিকার না, ইউরোপের ও না। লস রাশিয়ার! একদিকে চীনের কাছে সেকেন্ড সুপার পাওয়ার এর প্লেস হারানো অন্যদিকে এভাবে একদম ম্যাসাকার হয়ে যাওয়া ইকোনমিকালি আর সামরিক দিক থেকে।
ইতিহাসে পুতিন সেকেন্ড হিটলার হিসেবে বিবেচিত হবে, ট্রাজিক বিষয় হল- এই রাশিয়া একদিন মিলিয়ন মানুষের প্র্বাণের বিনিময়ে হিটলার কে খেদাইছিল!
যাই হোক- দিন শেষে লস আমাদের। লস মানব সভ্যতার।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৪৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: এই হুয়ি য়েনা বাত।
রাগুম কিললাই ভাই?
কার লগে রাগুম? সময় পাইনা , কামলা দিতে দিতে ।
সারা দিন শেষে গভীর রাইতে আমনে আইছেন আর তাই মনে জোস লাগবার লাগছে তয় আমনেরে ধইন্যবাদ দিতাম না আগেই কই দিলাম।
জিগান কিললাই ?
জিগাইলেও কমুনা , আড়ি আড়ি ভাতের হাড়ি।
যাই হোক, আপনার তালেবান দের নিয়ে যে ফ্যাসিনেশান ছিল, সেটা এখন রাশিয়ার দিকে ঝুকেছে। বেশ জোস জিনিষ এটা।
- তালেবান বা পুতিন প্রেম নয় বাস্তবতা । যদি চউখ খুইলা তাহান তাইলে দেখবার পাইবেন ভাইজান , গত বছর খানেকের আফগান আর ২০ বছরের আফগানের মাঝের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য । আমি কিছু কমুনা।
কইলেই কইবেন তালগাছ আমার।
আপনি যা কিছু এখানে লিখেছেন এগুলা আম্রা অল্রেডি জানি ডেইলি আল জাজিরা, গার্ডিয়ান, এ এফ পি, রয়টার্স, প্রজেক্ট সিন্ডিকেট, দা ওয়ার থেকে । আপনি নতুন কি সংযুক্ত করলেন আপনার নিজের দিক থেকে? সেটা উল্লেখ করে দিলে ভাল হত লেখার শেষে - সেটা নিয়ে না হয় আলোচনা করতাম
- আমি নতুন করে কি কমু কইনছেন দেহি। এত দিন পরে আইলাম কই একটু ভালা কতা কইবেন, পান-তামুক দিবেন তা না । খালি বহা দেন আর খারাপ কথা কইন আমনে। ইরকম করলে খেলুম না কইলাম।আর আমি কিছু লিহি আমনের মন্তব্য পাওনের জন্য। কারন, আপনে ত লিখবেনা ত্য় মন্তব্য করবেন, আই আশায় কিছু মিছু লিখা আরকি।
যাই হোক, ওভার অল রাশিয়াকে আম্রিকা ইউরোপ যুদ্ধে হারাবে ইউক্রেনে অস্ত্র দিয়ে এটা পাগলেও বিলিভ করেনা। তাহলে আম্রিকা ইউরোপ ইউকে মানে অয়েস্টার্ন ফ্রন্ট এর লাভ কি? ইউক্রেন কে দাবার গুটি হিসেবে ইউজ করে রাশিয়াকে দুর্বল করা, মানেন আর না মানেন দিন শেষে রাশিয়ার বিলিয়ন ডলার লস ইকোনমিকালি! আর এই যুদ্ধের সাদা হাতি টেনে নিয়ে যাওয়া আর ম্যান পাওয়ার লসের কথা না হয় বাদ ই দিলাম।
- সরাসরি যুদ্ধে আম্রিকা ইউরোপ রাশিয়াকে হারাতে পারবেনা কখনো এটা মনে হয় হাচা কতা তয় ইউক্রেনকে ব্যবহার করে তারা রাশিয়ার মাজা ভাংগার চাচছে - ইডাও হাচা কতা। আর লোকসান আসলে রাশিয়া-ইউরোপ উভয়েরই হচছে । আর আমেরিকা বানরের পিঠা ভাগের মত খালি মজা লুটছে।
এখন এই যে যুদ্ধে রাশিয়ান লস হচ্ছে, এটাই রিভার্স সাইকোলজির দিক থেকে আম্রিকা ব্লকের জন্য লাভবান। ইউরোপ এর গ্যাস তেল জাস্ট একটা কলাটোরাল ড্যামেজ, বাট রাশিয়ান লসের কাছে এসব কিছুই না।
- রাশিয়া হারাচছে-হারাবে অনেক কিছু এটা ঠিক তবে মাঝে মাঝে ইচছা না থাকার পরেও আমাদের অনেক কিছু করতে যেটা এখন করছে পুতিন তথা রাশিয়া । কারন, তার সামনে আর কোন পথই খোলা ছিলনা বা রাখেনি আমেরিকা-ইউরোপ। তবে এর ফলে যা পাবে তার তুলনায় হারাবে অনেক বেশী এটাও ঠিক।
আম্রিকায় যে রিসেশান চলছিল সেটা থেকে উঠে আসতে দরকার ছিল যুদ্ধ, সেটা ডাইরেক্ট লি না পেলেও ইন ডাইরেক্টলি পেয়েছে তারা। আম্রিকান অস্ত্র ব্যাবসায়ী রা ট্রিলিয়ন ডলার এর অর্ডার পাচ্ছে এখন, এই পুরোটা আম্রিকান ইকোনমি তে এড হচ্ছে!
- আমেরিকার মূল ব্যবসাত এটাই এবং এই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য আমেরিকা সকল রকম কুটকৌশলই প্রয়োগ করে কিছুদিন পর পর দুনিয়ার নানা দেশে ।আর এর ফলেই টিকে আছে আমেরিকার সাদা আধিপত্যবাদীতা।
শুনতে খারাপ লাগ্লেও এটাই সত্যি দিন শেষে, লস আম্রিকার না, ইউরোপের ও না। লস রাশিয়ার! একদিকে চীনের কাছে সেকেন্ড সুপার পাওয়ার এর প্লেস হারানো অন্যদিকে এভাবে একদম ম্যাসাকার হয়ে যাওয়া ইকোনমিকালি আর সামরিক দিক থেকে।
- ইডা আমনে হাচা কতা কইচন।তবে, চায়না ও রাশিয়া এখন উভয়কে উভয়ের দরকার । তবে চায়না আমেরিকা থেকে অনেক ভাল কারন তারা দুনিয়া জুড়ে নিত্য পণ্যের (ভাংগারী ) ব্যবসা করে ইউরোপ-আমেরিকার মত অস্ত্রের নয়।
ইতিহাসে পুতিন সেকেন্ড হিটলার হিসেবে বিবেচিত হবে, ট্রাজিক বিষয় হল- এই রাশিয়া একদিন মিলিয়ন মানুষের প্র্বাণের বিনিময়ে হিটলার কে খেদাইছিল!
- ইডা দেকতে অইলে আমাগো আরো কিছু দিন অপেক্ষা করতে ঐব। তয় তা নাও হইবার পারে। কারন, পুতিন পুতিনই।
যাই হোক- দিন শেষে লস আমাদের। লস মানব সভ্যতার।
- এইডা শতভাগ খাটি কতা কইছেন। দিন শেষে লস আমজনতার-গরীবের । এই জন্যই একটা কথা প্রচলিত আছে, " কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ" ।
এই ক্যাচালে আমেরিকার পৌষ মাস আর আমগো গরিবের পিছনে (পাছায়) বাঁশ।
৯| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ১:৫৮
সাসুম বলেছেন: লেখক বলেছেনঃ তালেবান বা পুতিন প্রেম নয় বাস্তবতা । যদি চউখ খুইলা তাহান তাইলে দেখবার পাইবেন ভাইজান , গত বছর খানেকের আফগান আর ২০ বছরের আফগানের মাঝের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য
হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি আপনার এই কথা শুনে! তার আপনার তালেবান রা তাইলে এখন আর শরীয়া নামক অন্ধকার যুগের কালো আইন বাদ দিছে? এখন তারা সভ্যতার ৫০% নারীকে সম অধিকার দিছে? এখন নারী মানে মেয়েরা স্কুল কলেজ ইউনিতে কোন ইস্যু ছাড়াই যেতে পারে? রাস্তায় কালো ভুতের বস্তা না পরে কিংবা একা বের হলে কোন শরিয়া পুলিশ আইসা দোররা মারেনা? হিউমান রাইটস ভায়োলেশান বন্ধ করে দিছে? যাক শুনে ভাল লাগলো- তালেবান আলোর পথে আসছে।
লেখক বলেছেন: সরাসরি যুদ্ধে আম্রিকা ইউরোপ রাশিয়াকে হারাতে পারবেনা কখনো এটা মনে হয় হাচা কতা
এটা একটা হাস্যকর চিন্তা ভাইজান।
সরাসরি যুদ্ধে অনলি আম্রিকান নেভি একাই পুরা দুনিয়ার যেকোন দেশ কে যে কোন দিন বলে কয়ে হারাতে পারে। আর্মি বা এয়ার ফোর্স না নামালেও চলবে।
যাই হোক- কথা না বাড়াই। বউ চিল্লাছে, ঘুমাই । টা টা
৩০ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: হাসতে হাসতে মারা যাচ্ছি আপনার এই কথা শুনে! তার আপনার তালেবান রা তাইলে এখন আর শরীয়া নামক অন্ধকার যুগের কালো আইন বাদ দিছে? এখন তারা সভ্যতার ৫০% নারীকে সম অধিকার দিছে? এখন নারী মানে মেয়েরা স্কুল কলেজ ইউনিতে কোন ইস্যু ছাড়াই যেতে পারে? রাস্তায় কালো ভুতের বস্তা না পরে কিংবা একা বের হলে কোন শরিয়া পুলিশ আইসা দোররা মারেনা? হিউমান রাইটস ভায়োলেশান বন্ধ করে দিছে? যাক শুনে ভাল লাগলো- তালেবান আলোর পথে আসছে।
- হচছে ভাই হচছে , সবই হচছে-হবে।তবে সময় লাগবে। মহামহিম-পরাক্রমশালী-ধনী লুটেরা রাও তাদের দেয়া ওয়াদা রক্ষা করেনা বা শতভাগ পূরণ করতে পারেনা । আর তালেবানরা ত আসল কিছুদিন । আসার সাথে সাথে তারা পেয়েছে আপনার মহামহিম-পরাক্রমশালী-ধনী লুটেরা বন্ধুদের থেকে লাখো সমস্যা। সাথে সাথে তাদের জন্য রয়েছে অর্থ সমস্যা,যা সবচেয়ে বড় সমস্যা হয়ে আছে । আর ভাল যে কোন কিছু করতে গেলে অর্থের প্রয়োজন ভাইজান।
এদিকে সবাই খালি পাশের গরীব ভাইয়ের সুন্দরী বউ-নারী নিয়ে টানাটানি করতে পছন্দ করে কেন ? এটা খুব মজাদার ও সেনসেটিভ বিষয় , এই জন্যই কি?
যার যার সামাজিক ক্ষমতা-অর্থনৈতিক সামর্থ্যের উপরই তার বিবি সাবের মর্যাদা নির্ভর করবে,তাইনা ভাইজান?
এখন যে গরীব তার যদি সংসার চালাতে ও খাবারের জোগাড় করতেই হিমসিম খায় তাহলে তার বউকে নিয়ে বাইরে ঘুরা-ঘুরি কিংবা হোটেলে খাওয়া বিলাসীতার পর্যায়েই পড়বে।এখন তার পড়শী দুষ্ঠ ভাই কিংবা চাচা যদি বউকে ফুসলানী দিয়ে সংসারে বউয়ের মন বিষিয়ে দেয় (তুমি-আপনি অনেক সুন্দর,আপনাকে আপনার জামাই কোন কিছুই দেয়না, ঘরে বন্দী করে রাখে , আমনে খালি বাইরে আই দেহেন আমনের জন্য কত পুরুষ লাইনে খাড়াই রইচে যারা আপনাকে সব কিছু দিতে দিতে ভাসাইয়া দিবে - ইত্যাদি ইত্যাদি ) তাহলে তা কোন ভাল লক্ষ্যে করা হয়েছে তা বলা যাবেনা। বরং গরীবের সংসার ভাংগা কিংবা তার বউয়ের কাছ থেকে অনৈতিক সুযোগ নিতেই বা ছাতি দিয়ে বাঘ মারতেই যে তারা এসব করছে তা পাগলেও বুঝবে তবে আফসোস তথাকথিত জ্ঞেনীরা তা বুঝবার চায়না।
ভাইজান , সব জায়গাতেই তারা চেষ্ঠা করছে ভাল কিছুর। সময় দেন ,ফলাফল পাবেন।
আশা করতে দোষ কি !!!!!!!!!!
এটা একটা হাস্যকর চিন্তা ভাইজান। সরাসরি যুদ্ধে অনলি আম্রিকান নেভি একাই পুরা দুনিয়ার যেকোন দেশ কে যে কোন দিন বলে কয়ে হারাতে পারে। আর্মি বা এয়ার ফোর্স না নামালেও চলবে।
- আমনের সব কতা মানলেও ইডা মাইনবার পারলাম না ভাইজান । এক পুচকে ভিয়েতনাম সেই সময় যা দেহাইছে তা কি ভূইলা গেছেন না মনে নাই ।
আর এহন ---------
নাই নাই নাই ,হেই দিন আর নাই
আমেরিকার দাদাগিরি এহন আর নাই , চলেও না । বেইল ও নাই
যাই হোক- কথা না বাড়াই। বউ চিল্লাছে, ঘুমাই । টা টা
- কপাল দাদা ।
একখান কপাল নিয়ে জন্মাইছেন। আহেন আমনের কপালের লগে আমার পোড়া কপালডার একটা ঘষা দেই।
কি রাজ কপাল । বউ নিয়া ঘুমাইবেন ।
এত রাতে কোন ব্লগিং হবে না, ঘুম পাড়ানির গানের সাথে সাথে শুধু ঘুম হবে।
আহা বড়ই সুখে জীবন আমনের।
আমরাত বউ চউখেও দেখিনা , বউ কি জিনিষ তাও জানিনা ( বড়ই মাসুম ও নিরস জীবন - ভাইজান)
মজা করলাম ভাইজান, সিরিয়াসলি নিয়েন না।
১০| ২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ২:০৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: এতবড় পোস্ট পড়তে কষ্ট। পোস্টের সাইজ আরেকটু ছোট হলে ভাল হবে।
২৯ শে জুলাই, ২০২২ রাত ৯:০২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ গোফরান ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
এতবড় পোস্ট পড়তে কষ্ট। পোস্টের সাইজ আরেকটু ছোট হলে ভাল হবে।
ভাই কষ্ট করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা।
কি করা ভাই । এসব লিখতে গেলে বিশদভাবে না লিখলে মনে শান্তি লাগেনা ।
আবার সব কিছু মিলিয়ে লিখতে গেলে লেখা বড় হয়ে যায়।
তবে আপনার পরামর্শ মনে রাখব।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:৪৬
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: যার যা আছে সে তো তাই নিয়েই লড়বে।