নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

খুবই সাধারন একজন মানুষ । পড়া যার নেশা । পড়ার এবং জানার আশায় ----

মোহামমদ কামরুজজামান

মোহামমদ কামরুজজামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? ( আম জনতার সমসাময়িক ভাবনা - ১১)

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:২৮


ছবি - jugantor.com

আগামী ২৮ শে অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ। সরকার পতন আন্দোলনের চূড়ান্ত ধাপের কর্মসূচি হিসেবে ২৮ অক্টোবর শনিবার, নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গত কয়েকদিন ধরে এ মহাসমাবেশ নিয়ে বিএনপির প্রচারণার চেয়ে আওয়ামীলীগের হুমকি-ধামকি বিরোধীতাই সবচেয়ে বেশী পরিলক্ষিত,যা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। একই দিন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগও পাল্টা সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতোমধ্যে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ শিরোনামে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার করার জন্য ডিএমপি কমিশনারের কাছে চিঠি দিয়েছে দেশের শাসক দল। এ দিন বিএনপির মহাসমাবেশের বিপরীতে আওয়ামীলীগের সমাবেশ ডাকা এবং ঢাকার রাজপথ-অলিগলি সব তাদের দখলে রাখার যে ঘোষনা দিয়ে যাচছে আওয়ামীলীগের সব পর্যায়ের নেতারা,তা নিয়ে দেশের সাধারন মানুষের সাথে সাথে দেশ- বিদেশের সবাই উদ্বেগ-উৎকন্ঠায় আছে। অন্যদিকে বর্তমানে দেশে যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে তা হলো," বিরোধীদলের যে কোন সমাবেশের দিন সেই এলাকায় সরকারী দলের অলিখিত হরতাল (যানবাহন-রাস্তাঘাট বন্ধ করে নিজেরা শক্তির মহড়া দেয়) অবরোধ পালন এবং বিরোধীদলকে মোকাবিলার নামে প্রশাসনিক ও দলীয়ভাবে সাধারন জনগনের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যাহতকরন"। কোন একসময় বাংলাদেশে বিরোধীদল হরতাল-অবরোধ করত তা এখন সরকারী দল করে। বর্তমানে দেশের বড় দু রাজনৈতিক দলের এ পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচীর কারনে দেশের অস্থিতিশীল রাজনীতি নিয়ে জনমনে আবারও উদ্বেগ-উৎকন্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে । সরকারি দল আওয়ামী লীগ ও রাজনীতির মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে (বিএনপি যে দিন কোন রাজনৈতিক কর্মসূচী দেয়, সেই দিনই তার বিপরীতে সরকারীদলও রাজনৈতিক কর্মসূচী দেয়। যা অনেকটা ইচছাকৃত পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাধানোর মত মনে হয়) সারাদেশের রাজনীতিতে আবারো বিরাজ করছে টানটান উত্তেজনা ।



ছবি - ittefaq.com.bd

এরই প্রেক্ষাপটে গতকাল (২২ অক্টোবর,রোববার) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে কি নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, " পিটার হাস জানতে চেয়েছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচির কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হবে কিনা"?


বৈঠক শেষ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের সামনে পিটার হাসের সঙ্গে আলোচনার বিষয় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় নিরাপত্তাসহ অনেক বিষয়ে নিয়ে রাষ্ট্রদূত কথা বলেছেন। পিটার হাস জানতে চেয়েছেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মসূচির কারণে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেওয়া হবে কিনা? রোববার বিকালে সচিবালয়ে পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,"সরকারের এমন চিন্তা নেই "?

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আরো বলেন, পিটার হাস বলেছেন, "তোমরা আসা-যাওয়া বন্ধ করে দেবে নাকি"?

আমরা বলেছি, "আসা-যাওয়া বন্ধ কেন করব! ঢাকায় তো সবারই প্রয়োজন। রোগীর প্রয়োজন, বিদেশে যাওয়ার হলে সবকিছু তো ঢাকাকেন্দ্রিক। কাজেই আসা-যাওয়া বন্ধ করার প্রশ্নই আসে না। তারা আসবে, তারা যাবে, সেখানে আমরা বাধা দেব না। আমরা শুধু এটুকু বলব, তারা যেন কোনো ভায়োলেন্সে লিপ্ত না হয়। রাস্তায় চলাচল তারা যেন সচল রাখে। এটুকুই আমাদের রিকোয়েস্ট"।


ছবি - ছবি - jugantor-online

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতির পরপরই রোববার (২২ অক্টোবর) রাতে গণামাধ্যমে পাঠানো এক খুদে বার্তায় ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস জানিয়েছে, "স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বৈঠকে ২৮ অক্টোবর রাস্তা বন্ধ সংক্রান্ত বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি "। রাতে মার্কিন দূতাবাস থেকে পাঠানো খুদে বার্তায় বলা হয়েছে, "আজ (২২ অক্টোবর) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন দূতাবাসের বৈঠকে ২৮ অক্টোবর ঢাকায় রাস্তা বন্ধের বিষয়ে আলোচনা হয়নি। পিটার হাস শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় বাধাহীনভাবে জনগণের অংশগ্রহণের গুরুত্ব ব্যক্ত করেছেন"।


ছবি - jugantor-online

এদিকে , আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে কঠোর অবস্থানে রয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সর্বোচ্চ কঠোর হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান চলছে। ডিএমপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে। > পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশকে সর্বোচ্চ কঠোর হওয়ার নির্দেশ - Click This Link

একই বিষয়ে দুই রাষ্ট্রের দুইজন দায়িত্বশীল ব্যক্তির সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম বিবৃতির প্রেক্ষপটে আমজনতা হিসাবে যে ভাবনা আমার মাথায় এসেছে বা যা ভাবছি, "এখানে কে সত্যি বলছেন , আর কে মিথ্যা বলছেন? যদি কেউ সত্যি সত্যিই মিথ্যা বলে থাকেন,তাহলে মিথ্যা বলে কি হাসিল করতে চাচছেন? ইচছা কিংবা অনিচছায় তারা মিথ্যা বলে সাময়িকভাবে যা হাসিল করতে চাচছেন,তার থেকে হাজারোগুন বেশী দীর্ঘমেয়াদে তারা হারাবেন জাতি হিসাবে । কারন - এরকম দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা একটা দেশ ও জাতির প্রতিনিধি। তাদের করা কাজের যে কোন প্রভাবই তাদের দেশ-জাতির উপর পড়তে বাধ্য এবং ব্যাপকভাবে পড়েও, তা সে পজেটিভ কিংবা নেগেটিভ যেভাবেই হোক না কেন।

আমরা সবাই প্রতিনিয়ত নানা কথা বলি এবং আমাদের বলা যে কোন বেফাস কথাই আমাদের অসম্মানের কারন হয়ে দাড়াতে পারে। রাজনৈতিক কারনে সকল দেশের রাজনৈতিক নেতারাই সত্যি-মিথ্যার মিশেল দিয়ে অনেক কথাই বলে থাকেন দলীয় সমর্থকদের চাংগা রাখার জন্য। যা অনেকটা "পাবলিক খায়, তাই বলির" বিখ্যাত ঊক্তির মত। তবে সেসবই হয়ত নিজেদের মধ্যে থাকে। যখন অন্য কোন দেশ-জাতি কিংবা দেশের বাইরের দায়িত্বশীল কারো সম্পর্কে কিছু বলা হয় তখন যে কারো কিছু বলার সময় আরও বেশী সতর্ক হওয়া জরূরী,বিশেষ করে যখন দায়িত্বশীল (রাষ্ট্রদূত-মন্ত্রী )পদে কেউ থাকে। কারন - তাদের বলা যে কোন কথাই সরকারের কথা হিসাবেই বিেবচিত হয় এবং তাদের যে কোন ভূল কিংবা জিহ্বা স্লিপ ( মিথ্যা :( নয়) কথা তাদের দেশ-জাতি সম্পর্কে দেশের বাইরে খারাপ বার্তা দিতে পারে। নানা কারনে এমনিতেই দেশে-বিদেশে আমাদের বিশ্বাসযোগ্যতা তলানীতে। দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এরকম কথা আমাদের আরো নীচে নিয়ে যেতে পারে যেখান থেকে আমরা হয়ত কয়েক যুগেও বের হতে পারব না। আর তাই আমাদের প্রত্যেকেরই কথা বলার ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত যার যার অবস্থান থেকে।

জবাব দিহীতা - আমার মত আমজনতার ভাবনার সাথে সাথে সামুর ব্লগাররা এ ব্যাপারে কে কি ভাবছেন তা জানার জন্যই এ লেখা। এখানে কে সত্যি বলছে বা কে মিথ্যা বলছে বা কাউকে সত্যবাদী বা মিথ্যাবাদী প্রমান কিংবা করোর বিরোধীতা করার বিষয় নয় এবং পাঠককে এর সাথে রাজনীতির দূরতম কোন সম্পর্কও না খোজার বিনীত অনুরোধ রইলো।

================================
তথ্যসূত্র

> পিটার হাসকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - ঢাকার প্রবেশ পথ বন্ধের চিন্তা নেই - Click This Link
> স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে রাস্তা বন্ধ নিয়ে পিটার হাসের কোনো আলোচনা হয়নি: মার্কিন দূতাবাস - লিংক - Click This Link
> ২৮ অক্টোবর রাজপথ আওয়ামী লীগের দখলে থাকবে : তথ্যমন্ত্রী - https://mybangla24.com/newspapers/naya-diganta
>সরকার রাস্তাঘাট বন্ধ করবে কি না, জানতে চেয়েছেন পিটার হাস - স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী - https://mybangla24.com/newspapers/naya-diganta
> ঢাকা শহর থাকবে জয় বাংলার দখলে, বললেন নানক - Click This Link
>মহাসমাবেশ হবে শান্তিপূর্ণ, নেতাকর্মীকে অবস্থানের নির্দেশনা দেয়া হয়নি: মির্জা ফখরুল - https://dailyinqilab.com/politics/news/611558
> ২৮ তারিখ দেখাইয়া বাকি খাওয়া বন্ধ করুন -মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম - https://dailyinqilab.com/politics/news/611416
>স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক নিয়ে মন্ত্রণালয়ের ব্যাখ্যা - Click This Link
>মন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কী কথা হয়েছে জানালো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় - https://www.ittefaq.com.bd/664106/


পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============

১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা"- Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩১

সোনাগাজী বলেছেন:



ইহা কি দলীয় মহাসন্মেলন, নাকি ১ দফার অংশ ( সরকার পতন )? আপনি বারবার বলেছেন যে, "জনগণ উদ্বেগের মাঝে আছে", আপনি কি ঢাকায় আছেন, আপনি কি উদ্বেগের মাঝে আছেন?

২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১১

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

ইহা কি দলীয় মহাসন্মেলন, নাকি ১ দফার অংশ ( সরকার পতন )?

- ইহা দলীয় মহাসন্মেলন বিএনপি তথা সকল বিরোধীদলের পক্ষের । যার এক দফা নির্দলীয়-নিরপেক্ষ ( এক দফা - সরকার পতন ও বলা যায়) সরকারের অধীনে নির্বাচন।

আপনি বারবার বলেছেন যে, "জনগণ উদ্বেগের মাঝে আছে", আপনি কি ঢাকায় আছেন, আপনি কি উদ্বেগের মাঝে আছেন?

- ভাই আমাদের কারোরই দেশ কিংবা বিদেশ থাকা ব্যাপার নয় এবং দেশের জনগণ যে আসেলই উদ্বেগের মাঝে আছে তাও মিছা নয়। আপনি সরকার-বিরোধী দলীয় নেতাদের কথা-বক্তব্য খেয়াল করে দেখলেই তা উপলব্ধি করতে পারবেন।

আর ব্যক্তিগতভাবে একজন সচেতন ও সাধারন নাগরিক হিসাবে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নিয়ে সত্যিই উদ্বেগের মাঝে আছি। কারন - সাধারন মানুষ হিসাবে আমাদের এতটুকুই চাওয়া দেশের শান্তি-স্থিতিশীলতার সাথে সাথে মোটামুটি ঝামেলা বিহীন একটা জীবন।

২| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ৮:২৭

কামাল১৮ বলেছেন: মার্কিন রাষ্ট্রদূত যা করছে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী পুরাটাই অবৈধ।জাতিসঙ্গের নীতিমালার বাইরে।ভারতে তার সিকিও করতে পারবে না।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১:১৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত যা করছে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী পুরাটাই অবৈধ।জাতিসঙ্গের নীতিমালার বাইরে।ভারতে তার সিকিও করতে পারবে না।

- এখানে ২ ঘটনার ২ দিক আছে।

এক দিকে যে কোন দেশের কূটনীতিক দূত কাজের প্রয়োজনে সে দেশের ক্ষমতাশীন দল-নেতা কিংবা রাজমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক-আলোচনা করতেই পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে আলোচ্য বিষয়ে বাইরে প্রচার-প্রচারনার (বক্তব্য-বিবৃতি) প্রদানের ক্ষেত্রে/জায়গায় উভয়েরই বস্তুনিষ্ঠ হওয়া জরুরী। আর যদি অনুবাদের ব্যাপার থাকে তাহলে কিছুটা এদিক-সেদিক হয়ে যেতে পারে এটাও ঠিক। তবে যে কথা আলোচনায় থাকেনা কিংবা যে বিষয়ে কথাই হয়নি সেরকম কোন বিষয় কিংবা আলোচ্য বিষয় পরে অস্বীকার - এ উভয়েই দোষের। এটা বর্তমান ঘটনার আসল দিক।

২ য় যে বিষয় - মার্কিন রাষ্ট্রদূত কিংবা আরো যারা বর্তমানে বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দিচছেন তা কতটা কুটনীতিক সীমার ভিতর কিংবা বাইরে তা বিচার আমাদের সীমার বাইরে তবে তাদের উদ্বেগের বিষয়ে সরকারের কিছু করার আছে বলে মনে হয়। কারন - এ সুযোগ সরকারই তাদের করে দিচছে।

ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ এবং যদিও ভারতেও বিরোধী রাজনৈতিকদের নানা ভাবে হয়রানী করা হয় তবে তারা একটা দিক থেকে আমাদের থেকে ভাল জায়গায় আছে। তা হলো তাদের দেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে আমাদের দেশের মত দলীয় করনের আওতায় আনা হয়নি। যার জন্য গণতান্ত্রিক বিশ্বের মূল যে মাথা ব্যাথা (জনগনের ভোটাধিকার) সেটা ভারতে নেই, যা আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা এবং বিদেশীদের এ নিয়েই যত কথা।

এ বিষয়ে আমার মনে হয় আমাদের দেশে এখনো অনেক কিছু করার আছে, যাতে করে বিদেশীদের এ ধরনের অযাচিত আদেশ-উপদেশের সুযোগ না তৈরী হয়।

৩| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২২

রাজীব নুর বলেছেন: ২৮ অক্টোবর কি হবে? কিছুই হবে না।
আর যদি হয়, কি হবে? কিছু মানুষ আহত হবে। কিছু গাড়ি বাসে আগুন দেওয়া হবে। ধরপাকড় হবে। ফলাফল সাধারন মানুষের দুর্ভোগ।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৭

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার আশাবাদী মন্তব্যের জন্য।

২৮ অক্টোবর কি হবে? কিছুই হবে না।

- নেগেটিভ কিছু কিছু না হওয়াটাই মগংলজনক তবে পজেটিভ কিছু হলে ( উভয় দলের বোধোদয়) খুবই ভাল।

আর যদি হয়, কি হবে? কিছু মানুষ আহত হবে। কিছু গাড়ি বাসে আগুন দেওয়া হবে। ধরপাকড় হবে। ফলাফল সাধারন মানুষের দুর্ভোগ।

- এ তো ভয়ের, তবে রাজিব ভাই আপনার কাছে জানতে চাই -

১। শুধু মত প্রকাশের জন্য মানুষ কেন আহত হবে?
২।গাড়ীতে কে-কারা এবং কেন আগুন দয়/দিবে?
৩।ধর-পাকড় কেন হবে?
৪। সবাই যদি (সরকার-বিরোধী দল) মানুষের জন্যই রাজনীতি করে তবে মানুষের কেন দূর্ভোগ হবে? তাদের কাজ-কর্মে সাধারন মানুষ কেন ভুক্তভোগী হবে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.