নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - gettyimages.ae
নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী (সরকারের নয়) কিংবা সংবিধান মোতাবেক আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসেই হতে পারে বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন। আর এই নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় রাজনৈতিক অস্থিরতা-সহিংসতা গ্রাস করেছে বাংলাদেশকে। নানা কারনে বাংলাদেশের সকল বিরোধীদল দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিতে রাজী নয়। আর তাই নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য চলছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের আন্দোলন। প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ বিক্ষোভ জোরালো করেছে এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকার দাবি করছে বিএনপি সহ সকল বিরোধীদল। তাদের যুক্তি প্রধানমন্ত্রী হাসিনার অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে ২৮শে অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে হয় বিএনপির মহাসমাবেশ যেখানে সমাবেশ চলাকালে সংঘটিত হয় ব্যাপক সহিংসতা।
২৮শে অক্টোবর সংঘটিত সহিংসতায় পুলিশ সদস্য সহ কমপক্ষে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েকশত। সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দলই এবং সে সহিংসতার জন্য ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি একে অন্যকে দায়ী করছে। ঘটনার পর পরই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,মির্জা আববাস, আলাল সহ বিরোধী দলের কয়েক হাজার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে এবং বিএনপির দলীয় অফিস তালাবদ্ধ করে রেখেছে। যা মূলতঃ নির্বাচনকে সামনে রেখে একে বিরোধীদের দমন করার একটি সরকারী প্রচেষ্টা বলে মনে করছে সবাই এবং কয়েক সপ্তাহের তীব্র রাজনৈতিক উত্তেজনার পর সম্প্রতি বাংলাদেশে যে প্রতিবাদ বিক্ষোভ ও রক্তপাত শুরু হয়েছে এ প্রেক্ষাপটে দেশ-বিদেশ, জাতিসংঘ-মানবাধিকারকর্মী-সংস্থা,উন্নয়ন অংশীদার সহ আমেরিকা-ইউরোপ আহববান জানিয়ে যাচছে সকল প্রকার সহিংসতা এড়িয়ে সংলাপ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের সমাধানের জন্য এবং তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন প্রতিনিয়ত।আন্তর্জাতিক মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বলেছে, "২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে অপ্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেছে বলে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা"।
ইতিমধ্যেই ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশ চলাকালে সংঘটিত সহিংসতায় নিজেদের ভূমিকার বিষয়ে ঢাকার বিভিন্ন দূতাবাস ও হাইকমিশনে সাত পৃষ্ঠার একটি চিঠি দিয়েছে বিএনপি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই সহিংসতার নেপথ্যে কারা তা জানতে ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছেন বিএনপি নেতারা। অপরদিকে সরকারও ইতিমধ্যেই ২৮শে অক্টোবর সংঘটিত সহিংসতা নিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত সকল বিদেশী দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও মন্ত্রনালয়ের উদ্যোগে সর্বশেষ ঘটনার সহিংসতার ভিডিও ফুটেজ সহ সাক্ষ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে প্রমাণের চেষ্টা করেছেন যে,"এ রাজনৈতিক সহিংসতার সব দায় বিএনপির"। সভা শেষে মন্ত্রী রাষ্ট্রদূতদের কাছে আর কিছু জানার-বলার আছে কিনা জানতে চাওয়ার পরও কেউ কোন রকম মন্তব্য করেন নি।
চলমান রাজনৈতিক আন্দোলনে বাংলাদেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর দমন-নিপিড়নের অভিযোগ করছেন জাতিসংঘ সহ অনেকেই। সম্প্রতি বিক্ষোভকারীদের ওপর অপ্রয়োজনীয় শক্তি ব্যবহারের জন্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে মানবাধিকার বিষয়ক এজেন্সিগুলো। বুধবার হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপপরিচালক মীনাক্ষি গাঙ্গুলি বলেছেন, " নির্বাচনে বিরোধীদের অংশগ্রহণ ও ভোটের অধিকারের বিরুদ্ধে সরকার অব্যাহতভাবে দমনপীড়ন চালাচ্ছে বলে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা নিয়ে অনেক বাংলাদেশি আতঙ্কিত। যখন বিরোধীদের টার্গেট করা হচ্ছে, হয়রান করা হচ্ছে এবং জেলে ঢোকানো হচ্ছে, তখন নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না একথাটা বলা উচিত বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের। আন্তর্জাতিক অংশীদারদের উচিত এটা পরিষ্কার করে বলা যে, কর্তৃপক্ষ নির্বাচনে নিয়ম লঙ্ঘন করলে বাংলাদেশের সঙ্গে তারা স্বাভাবিক ব্যবসা বাণিজ্য অব্যাহত রাখবে না। বিরোধীদের বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তার ও তাদেরকে টার্গেট করার নিন্দা জানাতে হবে। একই সঙ্গে বলতে হবে বাংলাদেশ যদি এই নির্যাতনের পথ থেকে ফিরে আসতে ব্যর্থ হয়, তাহলে পরিণতিতে বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে"।
এদিকে প্রথম সারির নারী অধিকারকর্মী শিরীন হক বলেছেন,"সুনির্দিষ্টভাবে ভীতির পরিবেশ আছে, বিশেষ করে ডিজিটাল ফোরামে যেকোনো রকম ভিন্নমত প্রকাশ করলে। কারণ, লোকজনকে জেলে ভরতে সরকার ব্যবহার করে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন"। অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো বলছে, সমালোচনাকে বন্ধ করতে ও মুক্তমতকে গলা টিপে ধরতে এই আইন ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১৮ সালে এই আইন কার্যকর হওয়ার পর সাংবাদিক, রাজনীতিক ও অধিকারকর্মীদের বিরুদ্ধে এক হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। জাতিসংঘ সহ ব্যাপক বিরোধিতার পর সরকার সম্প্রতি এই আইনটি বদলে নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন করে। কিন্তু অধিকারকর্মীরা বলছেন, "নতুন এই আইনও নিষ্পেষণের হাতিয়ার। মিসেস শিরীন হক বলেন, জানুয়ারিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে সরকার এমন কোনো আস্থা তার নেই। বিরোধীদের অভিযোগও একই। এ জন্য তারা নির্বাচনের আগে একটি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি করছে। নিরাপদ এই ব্যবস্থাকে পার্লামেন্ট বাতিল করে দিয়েছে ২০১১ সালে"।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর (ওএইচসিএইচআর) গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সংকটের এ সময়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমনে সরকারকে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। বিবৃতিতে নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সব নাগরিকের মানবাধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, ‘বাংলাদেশে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে একের পর এক সহিংসতার ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। দেশটিতে সামনে জাতীয় নির্বাচন থাকায় আমরা রাজনৈতিক সব পক্ষের প্রতি এটা স্পষ্ট করার আহ্বান জানাচ্ছি যে এমন সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। সেই সঙ্গে সহিংসতা উসকে দেয়—এমন বক্তব্য ও তৎপরতা থেকে বিরত থাকতেও আমরা রাজনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
এদিকে বাংলাদেশকে নিয়ে জাতিসংঘের দেওয়া বিবৃতিতে বেশ কিছু বিষয় ত্রুটিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, সরকার এর প্রতিবাদ জানাবে।বুধবার (১ নভেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।ড. মোমেন বলেন, ওএইচসিএইচআরের অনেকগুলো বর্ণনা বেশ ত্রুটিপূর্ণ। আসল ঘটনার বিবর্জিত। আমরা এর একটা প্রতিবাদ পাঠাব। আমরা মনে করি, তারা যথাযথভাবে অবহিত নন। তাদের তথ্যে ঘাটতি আছে। এ রকম প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যে ঘাটতি থাকা খুবই দুঃখজনক।
এর ১ দিন পরই জাতিসংঘ আবার বলেছে," নির্বাচনের আগে কোনো হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার বা সহিংসতা দেখতে চায় না"। গতকাল বুধবার জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্রের কার্যালয়ের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে স্টিফেন ডুজারিক এ কথা বলেন। তিনি বলেন," বিরোধীদের লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে, হয়রানি করে, কারাবন্দী করে নির্বাচন করা হলে, তা যে সুষ্ঠু বলে বিবেচিত হবে না, এবং সে বিষয়ে জোর দিতে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচও। গত মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে বিরোধী দলের অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব কি সংস্থার এই সদস্যরাষ্ট্রের পরিস্থিতিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিচ্ছেন?’
প্রেস ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক এমন প্রশ্নের জবাব দেন মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক। তিনি বলেন, "তিনি মনে করেন, বাংলাদেশ বিষয়ে জাতিসংঘের অবস্থান, দেশটিতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সংস্থার অবস্থান তাঁরা খুব স্পষ্টভাবেই বলে দিয়েছেন"। স্টিফেন ডুজারিক আরও বলেন, "এই সময়ের মধ্যে কোনো হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার বা সহিংসতা তাঁরা দেখতে চান না। এসবের বিরুদ্ধেও তাঁরা কথা বলেছেন"।
দেশ-বিদেশের সুধীজন-সংস্থা সবাই - রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান বল প্রয়োগে নয়, আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব বলে মত প্রকাশ করলেও আওয়ামীলীগের নেতারা কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন ভাবেই বিরোধীদের সাথে সংলাপ বা আলোচনায় রাজী নন। আলোচনার ব্যাপারে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বাংলাদেশের সব পক্ষকে শর্তহীন সংলাপে বসার অনুরোধ জানানোর প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা বলেন,"যেদিন ট্রাম্প আর বাইডেন ডায়ালগ করবে, সেদিন আমিও করব"।নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন,"নির্বাচন হবে এবং সময় মতো হবে। কে চোখ রাঙালো কে চোখ বাঁকালো পরোয়া করি না"।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষনার প্রেক্ষাপটে এ কথা বলা যায় যে,"বিরোধীদের সাথে নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাশীন দলের আলোচনার কোন সম্ভাবনাই নেই। সরকার যে কোন পরিস্থিতি ও মূল্যেই তাহার চাওয়া মতই নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর এবং সরকার হয়ত মনে করছে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মত এবারো নির্বাচন করে নিতে পারবে"। তবে নির্বাচনের পরে আগের ২ মেয়াদের মত ভারত-আমেরিকা-ইউ-আইএমএফ সহ বাকী উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগীতা অব্যাহত থাকবে কিনা কিংবা সবার মতামতকে অস্বীকারের কারনে বাকী সবাই এ সরকারের সাথে কাজ করবে কিনা? এ এক বিশাল প্রশ্ন এবং সরকারের জন্য বিশাল এক ঝুঁকিগ্রহণ ও বটে।এরপর আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞার সাথে সাথে যদি অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেয় তাহলে ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন এবং বাকীরাও যদি তাতে সামিল হয় তাহলে দরিদ্র আমাদের এ দেশ এবং ধুঁকতে থাকা অর্থনীতি কতদিন তা সামলাতে পারবে, এটাই চিন্তার বিষয়। এ এক কঠিন ফাঁস হয়ে দেখা দিতে পারে দেশ ও জাতির জীবনে।
আর এসব সমস্যা ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তির একই পথ - তা হলো দেশের সকল দলের অংশগ্রহনে সুষ্ঠ নির্বাচন, যা চাইলেই এক দিনে সমাধান করে দিতে পারেন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাথে সাথে এটাও আশা করা যায় যদি অবাধ-নিরপেক্ষ এবং দেশের সকল দলের অংশগ্রহনে সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলেও আওয়ামীলীগের আবার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাই বেশী । তা হয়ত ২৭০ আসনে হবেনা তবে ১৫১ আসনে হলেও কি খুব বেশী অসুবিধা হবে আওয়ামীলীগের? কিংবা যদি দল ১৫১ আসন নাও জিতে তাহলেও জোটগতভাবে সরকার গঠনের সম্ভাবনা শতভাগই থাকবে। কাজেই দেশ ও জাতির স্বার্থে আওয়ামীলীগ এতটুকু ঝুঁকি নিতেই পারে।
এ আমার মত আমজনতার অভিমত ও ভাবনা। জানিনা বাকীরা কিংবা সরকার-আওয়ামীলীগ আমার এ ভাবনা কিংবা অভিমতের সাথে একমত হবেন কিনা।
জবাব দিহীতা - আমার মত আমজনতার ভাবনার সাথে সাথে সামুর ব্লগাররা এ ব্যাপারে কে কি ভাবছেন তা জানার জন্যই এ লেখা এবং পাঠককে এর সাথে রাজনীতির দূরতম কোন সম্পর্কও না খোজার বিনীত অনুরোধ রইলো।
তথ্যসূত্র -
> বিবিসির প্রতিবেদন
রাজনৈতিক সহিংসতা গ্রাস করেছে বাংলাদেশকে - https://mzamin.com/news.php?news=81510
>ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন
বাংলাদেশের রাজনীতি টালমাটাল, শিগগিরই সমাধানে আসা উচিত - https://mzamin.com/news.php?news=81515
>হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বিবৃতি
২৮শে অক্টোবর অপ্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করেছে পুলিশ, রাজবন্দিদের মুক্তি দাবি - https://mzamin.com/news.php?news=81329
> অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র - https://mzamin.com/news.php?news=81500
> নির্বাচনের আগে হয়রানি, নির্বিচার গ্রেপ্তার, সহিংসতা দেখতে চায় না জাতিসংঘ - https://www.ittefaq.com.bd/665312/
> জাতিসংঘের বিবৃতি ত্রুটিপূর্ণ, প্রতিবাদ জানাবে সরকার - https://www.ittefaq.com.bd/665212/
> বাংলাদেশে বিরোধীদের বেআইনি গ্রেপ্তার-হয়রানি, সহিংসতা দেখতে চায় না জাতিসংঘ - https://dailyinqilab.com/national/news/614148
> যেদিন ট্রাম্প আর বাইডেন ডায়ালগ করবে, সেদিন আমিও করব: শেখ হাসিনা - Click This Link
>3 killed in political violence in Bangladesh; police arrest senior Opposition leader - Click This Link
>Bangladesh police arrest a key opposition leader as violence leaves 3 dead and many injured - Click This Link
>US condemns 'political violence' of October 28 - Click This Link
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
১৩।" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ " এটা কিসের ইংগিত দেয়? - Click This Link
১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা"- Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাগাজী ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আমেরিকা, ইউরোপ ও জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত; ইউরোপ ও আমেরিকায়, নির্বাচনের আগে কোন রাজনৈতিক দল, সেই দেশের সরকার'এর পতন চেয়ে আন্দোলনে যেতে পারবে?
- আমেরিকা ইউরোপে নির্বাচনের আগে কোন রাজনৈতিক দলের সরকারের পতন নিয়ে আন্দোলনের কোন প্রয়োজন পড়েনা কারন তার আমাদের থেকে সভ্য এবং তারা কেউ নিজেদের প্রয়োজনে দেশের আইন-কানুন কিংবা প্রশাসনকে ব্যবহারের কথা মাথায়ও আনেনা। পাশাপাশি সবাই আইন ও শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল , যা আমাদের সরকার কিংবা বিরোধীদল বা সাধারন নাগরিক সবার মাঝেই অনুপস্থিত।
আপনার লেখা পড়লে, আমার মনে হয়, আমি গরুর রচনা পড়ছি।
- কি আর করা ভাই।
সমাজের সবাইকে দিয়েত আর সব কিছু হয়না।
২| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৫
নতুন বলেছেন: আর এসব সমস্যা ও অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তির একই পথ - তা হলো দেশের সকল দলের অংশগ্রহনে সুষ্ঠ নির্বাচন, যা চাইলেই এক দিনে সমাধান করে দিতে পারেন মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাথে সাথে এটাও আশা করা যায় যদি অবাধ-নিরপেক্ষ এবং দেশের সকল দলের অংশগ্রহনে সুষ্ঠ নির্বাচন হয় তাহলেও আওয়ামীলীগের আবার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাই বেশী ।
* দেশের মানুষ হুজুগে মাতাল তাই সুস্ঠ নিবর্াচনে আয়ামীগীল ক্ষমতায় আসবেনা।
* তাই শেখ হাসিনা সুস্ঠ নির্বাচন করার চেস্টা করবেনা।
আর যদি ভারত চায় আয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসুক তবে আয়ামীলীগ অবশ্যই ক্ষমতায় আসবে....
০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৮
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার চরম সত্য মন্তব্যের জন্য ।
* দেশের মানুষ হুজুগে মাতাল তাই সুস্ঠ নির্বাচনে আয়ামীগীল ক্ষমতায় আসবেনা।
* তাই শেখ হাসিনা সুস্ঠ নির্বাচন করার চেস্টা করবেনা।
- আপনার প্রদেয় ২ টি কারনই শতভাগ এবং নির্মম সত্যি ।
সুস্ঠ নির্বাচন হলে এবার আওয়ামীলীগের সরকার গঠনের মত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার সম্ভাবনা কম , আর এ জন্যই শেখ হাসিনা তা কখনোই করতে চাইবেনা । যদিনা -------------
আর যদি ভারত চায় আয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসুক তবে আয়ামীলীগ অবশ্যই ক্ষমতায় আসবে....
- ভারত কিংবা আমেরিকা কচচপ কামড় না দেয় ।
৩| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫২
রাজীব নুর বলেছেন: আসল কথা হচ্ছে- শেঝ হাসিনা যা চাইবেন তাই হবে। এখন যদি লাখ মানুষ লাখ লাখ কথা বলে, সেটা হবে না। এই দেশের প্রধান ব্যাক্তি হচ্ছে শেখ হাসিনা। তার ইচ্ছা মতো সব কিছু হচ্ছে।
আওয়ামীলীগ জানে ক্ষমতায় না থাকলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না। এজন্য তারা কচ্ছপের মতো করে হলেও ক্ষমতা ধরে রাখবে। তাছাড়া শেখ হাসিনা ক্ষমতা অনেক ভালোবাসেন। আমেরিকা বা অন্য দেশও যদি বলে আওয়ামীলীগ তোমরা এবার থামো। আওয়ামীলীগ থামবে না।
০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার সত্য মন্তব্যের জন্য ।
আসল কথা হচ্ছে- শেঝ হাসিনা যা চাইবেন তাই হবে। এখন যদি লাখ মানুষ লাখ লাখ কথা বলে, সেটা হবে না। এই দেশের প্রধান ব্যাক্তি হচ্ছে শেখ হাসিনা। তার ইচ্ছা মতো সব কিছু হচ্ছে।
- এক নেতার এক দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ । এটাই সত্যি এর উপরে আর কোন সত্যি নেই এবং উনি যা চাইবেন তাই হবে সোনার বাংলায়। ততদিন , যতদিন উনি থাকবেন----------
আওয়ামীলীগ জানে ক্ষমতায় না থাকলে তাদের পিঠের চামড়া থাকবে না। এজন্য তারা কচ্ছপের মতো করে হলেও ক্ষমতা ধরে রাখবে। তাছাড়া শেখ হাসিনা ক্ষমতা অনেক ভালোবাসেন। আমেরিকা বা অন্য দেশও যদি বলে আওয়ামীলীগ তোমরা এবার থামো। আওয়ামীলীগ থামবে না।
- পিঠের চামড়া থাকবে না - এটা একটা হুজুগ যা উনারা নিজের সুবিধার্থে তৈরী করেছেন।
তবে এটাও সত্যি আওয়ামীলীগকে ক্ষমতা থেকে নামানো কিংবা ভোটে ফেল করানোর উপায় না দেশে-না আমােরিকার নিকট আছে। যদিনা শেখ হাসিনা নিজে থেকে ক্ষমতা ছাড়ে কিংবা ইচছাকৃতভাবে ভোটে হারে।
৪| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৭
নতুন বলেছেন: আর যদি ভারত চায় আয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসুক তবে আয়ামীলীগ অবশ্যই ক্ষমতায় আসবে....
- ভারত কিংবা আমেরিকা কচচপ কামড় না দেয় ।
যেই সরকার চীনের কোলে বসতে যাবে তাকে আমেরিকা সরাতে কচ্ছক কামড় দেবে... নতুবা সমস্যা করবেনা।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ নতুন ভাই, প্রতি-মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
যেই সরকার চীনের কোলে বসতে যাবে তাকে আমেরিকা সরাতে কচ্ছক কামড় দেবে... নতুবা সমস্যা করবেনা।
- এমনটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।
বর্তমানে আমেরিকা যেভাবে খেলছে অনেকটা রাখ-ঢাক,গুঢ়-গুঢ় করে তাতে আওয়ামীলীগ কোনভাবেই শুনবেনা এবং আমেরিকাও মনে হয় এর চেয়ে বেশী চাপ আপাততঃ আওয়ামীলীগকে দিবেনা, যদিনা চীনের প্রভাব আরো দৃশ্যমান হয়।
এদিকে ভারত হয়ত খোলাখুলি সরকারীভাবে আওয়ামীলীগকে সাপোর্ট করে কিছু বলছেনা তবে তাদের মিডিয়া-বুদ্ধিজীবিরা ঠিকই সাপোর্ট করছে এবং ভারত সরকারও তলে তলে ঠিকই আওয়ামীলীগের সাথে এবং তারাও বিরোধীতা ততক্ষণ করবে বলে মনে হয়না যতক্ষণ তাদের মনে হবে চীনের ভূমিকা সন্তোষজনক।যখনি চীনের ভূমিকায় সমস্যা মনে করবে তখনই হয়ত কিছুটা কিছু করতে চাইবে তবে আওয়ামীলীগকে কখনোই কচ্ছপ কামড় নাও দিতে পারে ।
৫| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩০
কামাল১৮ বলেছেন: প্রতি পাঁচ বছর পর পর আমরা একজন ফেরেস্তা ঠিক করবো পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য তিনশ শয়তান নির্বাচিত করার জন্য।
০৫ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৯
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই, আপনার চরম সত্য মন্তব্যের জন্য ।
প্রতি পাঁচ বছর পর পর আমরা একজন ফেরেস্তা ঠিক করবো পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য তিনশ শয়তান নির্বাচিত করার জন্য।
- ভাই, আপনি যে মন্তব্য করেছেন তা এক কথায় অসাধারন।
কি বলব , বলার কিছু নাই।
শুধু বলব আসলেই একজন ফেরেস্তা দরকার ৩০০ জনপ্রতিনিধি ( শয়তান) নির্বাচন করার জন্য।
৬| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৭
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, এক পোস্টে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন।
আপনার আগের পোস্টগুলো পড়তে আগ্রহবোধ করছি। ধন্যবাদ জানবেন।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ গিয়াস উদ্দিন লিটন ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য এবং আন্তরিকভাবে দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য ।
মনোযোগ দিয়ে পড়লাম, এক পোস্টে বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন।
- ভাই, বড়ই দুঃখের সাথে বলছি - কি হবে আমাদের তথা সারা দুনিয়ার সব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে ( যদিও সত্যি) যদিনা আমাদের দেশের ক্ষমতাশীনরা তা মানেন
সারা দুনিয়ার মতে বাংলাদেশে কঠিন রাজনৈতিক সমস্যায় আছে এবং আছে ভোটাধিকার সমস্যা। আড় আমাদের ক্ষমতাশীন দল ও তাদের সুবিধাভোগীরা বলছে দেশে কোন সমস্যা নেই এবং সমস্যার কোন কারনও নেই। কারন - দেশ চলছে তর তর তর করে পাল-হাল ছাড়া নৌকায় ভর করে মরা গাংগে । আর আওয়ামী যুগে এবং তাদের উন্নয়নের নৌকা চলার জন্য গাংগে পানি কিংবা জোয়ার কোনটাই দরকার নেই , তাদের উন্নয়নের জোয়ারই যথেষ্ট ।
আপনার আগের পোস্টগুলো পড়তে আগ্রহবোধ করছি। ধন্যবাদ জানবেন।
- আপনার পড়ার আগ্রহবোধের কারনেও নিজেও আর কিছু লেখার আগ্রহবোধ করছি।
ভাল থাকবেন এবং সময় করে পড়বেন ভাই।
৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২০
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
১৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:১২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আবারো ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই, আপনার প্রতি-মন্তব্যের জন্য ।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:২২
সোনাগাজী বলেছেন:
আমেরিকা, ইউরোপ ও জাতিসংঘ বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে চিন্তিত; ইউরোপ ও আমেরিকায়, নির্বাচনের আগে কোন রাজনৈতিক দল, সেই দেশের সরকার'এর পতন চেয়ে আন্দোলনে যেতে পারবে?
আপনার লেখা পড়লে, আমার মনে হয়, আমি গরুর রচনা পড়ছি।