নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছবি - .jugantor.com
নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা ও ঘোষনা অনুযায়ী আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখ হতে যাচছে বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন তথা দ্বাদশ সংসদের নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনী কার্যক্রম সেভাবেই চলছে, যেভাবে ক্ষমতাশীন সরকার-দল তথা আওয়ামীলীগ চেয়েছে এবং তাতে পূর্ণমাত্রার সহযোগীতা করে যাচছে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন ঘনিয়ে আসায় রাজনৈতিক অস্থিরতা-সহিংসতা গ্রাস করেছে বাংলাদেশকে এবং এই রাজনৈতিক অস্থিরতা-সহিংসতা থেকে বেরিয়ে এসে অংশগ্রহন মূলক নির্বাচনের জন্য আমেরিকা-ইউ-জাতিসংঘ চাচছে সকল দলের মাঝে সংলাপ। যা বরাবরের মতই নাকচ হয়েছে দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ব্যক্তি তথা শেখ হাসিনার নিকট থেকে। তাহার মতে, "বিরোধীদের সাথে নির্বাচন নিয়ে ক্ষমতাশীন দলের আলোচনার কোন সম্ভাবনাই নেই"। সরকার যে কোন পরিস্থিতি ও মূল্যেই তাহার চাওয়া মতই নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর এবং সরকার হয়ত মনে করছে ২০১৪ কিংবা ২০১৮ সালের মত ২০২৪ সালেও নির্বাচন করে নিতে পারবে।
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে দেশে যে রাজনৈতিক আস্থার সংকট,গত ১৫ বছরে এর কোন সমাধান হয়নি বরং আরো জটিল থেকে জটিলতর হয়েছে। তার পরিণতিতে এবারও আওয়ামীলীগ এগিয়ে যাচছে তাদের চাওয়া পথেই অর্থ্যাৎ একতরফা নির্বাচনের দিকে যেখানে ইলেকশন নয়, সিলেকশনই শেষ কথা।জনগনের ভোটাধিকারে নয়,আসন ভাগাভগিই যেখানে নির্বাচনে জেতার মূলমন্ত্র।এদিকে প্রধান বিরোধীদল (মাঠের - সংসদের নয়) বিএনপি ও এর সমমনা দল সমুহ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবীতে অনড় এবং সেই দাবী আদায়ের জন্য তারা হরতাল-অবরোধ করছে। এর ফলে দেশে বাড়ছে অর্থনৈতিক সংকটও।
অন্যদিকে, নির্বাচন কমিশন দায়সারাভাবে প্রতিনিয়ত একই ঘোষনা দিয়ে চলছে," বিএনপি নির্বাচনে এলে নির্বাচনী তফসিল পেছানোর"। অথচ তাদের ও সারা দুনিয়ার সকলের সামনেই বিএনপির মহাসচিব থেকে কেন্দ্রীয় প্রায় সকল নেতাকেই ধরে ধরে জেলখানায় পুরছে এবং জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায় থেকেও আতি-পাতি করে -তালিকা ধরে ধরে আতি-পাতি নেতা সহ বিরোধী সবাইকে পুলিশ ধরছে-পুরছে জেলে কিংবা মামলায়। বিএনপির রাজনীতিতে মোটামুটি সক্রিয় সকল নেতারাই এখন কারাগারে কিংবা বাকিরা কিছু আছেন আত্মগোপনে, একমাত্র রিজভী ছাড়া ( ওবায়দুল কাদেরের ভাষায় রিজভী আবাসিক প্রতিনিধি এবং তাকে ছেড়ে দেয়া/রাখা হয়েছে কারন অন্তত একজন বাইরে থাকা উচিত যাতে করে মনে হয় বিএনপি আছে)। অন্যদিকে,একেক মামলায় বিএনপির ২০-৫০ জনের সাজা হয়ে যাচছে রকেট গতিতে যেখানে বহু বছর আগে মৃতরাও আছেন বহাল তবিয়তে। এরকম অবস্থায় বিএনপিকে নির্বাচনে আনার ঘোষনা কে দিবে, কিংবা কারাই বা বিএনপির হয়ে নির্বাচনে লড়বে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কিছুই বলছেনা ।
এদিকে বরাবরের মতই জাপায় চলছে দেবর-ভাবীর সার্কাস। ভাবী অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় আছেন শেখ হাসিনার সাক্ষাতের। যেন হাসিনার সাক্ষাতই তার নির্বাচনে জেতার মূলমন্ত্র জনগনের ভোটাধিকার নয়। দেবরজীও ভাবী থেকে কম নয় ।এসব মিলিয়েই চলছে জাপা তথা গৃহপালিত বিরোধীদল। অবশ্য এবার মুক্তি মিলতে পারে জাপার সেই অপবাদ থেকে । কারন - বাতসে ভেসে বেড়াচছে অন্য খবর যে, "এবার নতুন কেউ হবে গৃহপালিত বিরোধীদল" ।
অন্যদিকে মহাসমারোহে চলছে আওয়ামীলীগের দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনী ট্রেন যেখানে জনগনের ভোট নয় আওয়ামীলীগের নমিনেশন(সিলেকশন) ই ভোট জেতার নিশ্চয়তা। আর তাই প্রার্থী সিলেকশনে-বাছাইয়ে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ ও শরিকরা। ‘কিংস পার্টি’ও প্রার্থী ভাগাতে উনারা দিচ্ছেন লোভনীয় টোপ ও চাপ। এসব মিলিয়েই সারা দেশে-সর্বত্র উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। কি হচছে দেশে? কি হবে নির্বাচনের পরে ?
আলৌকিক কিছু না ঘটলে আবারো বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ এবং এবার হয়ত গতবার থেকে কিছুটা কম আসনে ২০০-২২৫ আসনে এবং নিশিরাতের ভোট কিংবা বিনা ভোটে বিজয়ী হওয়া (অংশগ্রহনমূলক প্রমাণের জন্য) এড়ানোর মাধ্যমে। জাতিসংঘ সহ বর্হিবিশ্বের সকল চাওয়া ও চাপ উপেক্ষা করে ক্ষমতাসীন দল নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করেছে এবং এতে করে নিজেদের শক্তির পরিচয় পেয়ে এবং বিরোধীদলকে হামলা-মামলায় ব্যস্ত রেখে নির্বাচনের আগেই, নির্বাচনে জেতার আগেই বিজয়ীর মতো আচরণে ব্যস্ত। ক্ষমতার জাদুকরী নেশা-অস্থিরতায় আওয়ামীলীগ সরকার রাষ্ট্রীয় এবং দলীয় শক্তি ব্যবহার করে বিরোধী মতের হাজার হাজার মানুষকে নির্বিচার গ্রেপ্তার আর বিচারহীনভাবে আটকের মতো মরিয়া আচরণ করে সমাজে আতঙ্কের সৃষ্টি করে চলেছে। অস্বাভাবিক সংখ্যার মামলা এবং দ্রুত রায় ঘোষণা করে বিএনপির আতি-পাতি থেকে বেশকিছু শীর্ষ নেতারও নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এ সব করে আওয়ামীলীগ যে নৈতিকভাবে এবং শেষ বিচারে লাভবান হচ্ছেন, সেটিও বলা চলে না বরং তারা ক্রমে ক্রমে জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভরসা হারাচ্ছেন এবং চলে যাচছেন এমন এক জায়গায় যেখান থেকে ফিরে আসার জন্য হয়ত অনেক মূল্য দিতে হবে ভবিষ্যতে কোন এক সময় দল হিসাবে আওয়ামীলীগকে। কারন - যার শুরু আছে,তার শেষও আছে। আর তাই যদি না হতো , " তাহলে একসময়ের দুনিয়াব্যাপী সূর্য না ডোবা ইংরেজ সাম্রাজ্য আজ ছোট একটি দেশে চার টুকরায় সীমাবদ্ধ হয়ে যেতনা" কিংবা " মোগল সাম্রাজ্য ইতিহাসের অংশে পরিণত হতনা"। আফসোস একটাই, " সময় থাকতে দুনিয়ার কোন ক্ষমতাশীন শাসকই সেই অতীত ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে চান না "।
২০১৪-২০১৮ সালের মত আওয়ামীলীগ আবারও ২০২৪সালে ক্ষমতায় আসবে - এ দিবালোকের মত সত্যি এবং তারা আগামী ৫ বছর , এর পরের ৫ বছর এবং এভাবে সীমাহীনকাল (তাদের এক সময় লক্ষ্য-পরিকল্পনা ছিল ২০৪১ ঘিরে যা এখন ২১০০ সাল পর্যন্ত ) ক্ষমতায় থাকবে এটাও হয়ত সত্যি হবে - যদিনা আমেরিকা-ইউ ভোটের পর বাণিজ্যিক -অর্থনৈতিক অবরোধ দেয় এবং নতুন সরকারের সাথে সহযোগীতার হাত না বাড়ায়। ক্ষমতাশীন দল আশা করছেন নির্বাচনের পর সব ঠিক হয়ে যাবে আগের দুবারের মতন। যদি আগের দুবারের মত ঠিক না হয় তবে কি হবে? যদি আমেরিকা-ইউ-জাতিসংঘ সবাই বলে, " বারে বারে চড়ুই তুমি খেয়ে যাও ধান, এবার চড়ুই তুমার বধিব পরাণ" - তাহলে তারা কিভাবে বের বের হবে নিজেদের তৈরী এ ক্ষমতার ফাঁস থেকে। তবে ক্ষমতাশীন দল এসব নিয়ে ভাবতেই রাজী নয়। তাদের ধারনা নির্বাচনের পর সব ঠিক হয়ে যাবে আগের দুবারের মতন। যাই কিছু হোকনা কেন এখানে মূল যে প্রশ্ন ক্ষমতাশীনদের প্রতি,"এভাবে আর কত দিন"?
এ আমার মত আমজনতার প্রশ্ন ও ভাবনা, যদিও জানি এর কোন জবাব নেই।
জবাব দিহীতা - আমার মত আমজনতার প্রশ্ন ও ভাবনার সাথে সাথে সামুর বাকী ব্লগাররা এ ব্যাপারে কে কি ভাবছেন তা জানার জন্যই এ লেখা এবং পাঠককে এর সাথে রাজনীতির দূরতম কোন সম্পর্কও না খোজার বিনীত অনুরোধ রইলো।
তথ্যসূত্র -
> সংকট উত্তরণের পথ কী - জেতার আগেই বিজয়ীর আচরণ আওয়ামী লীগের - লিংক - Click This Link
> দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন - আসন ভাগাভাগি শেষ মুহূর্তে - মাঠের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে শরিকদের ছাড় * বিএনপি ভোটে এলে কৌশল পালটাবে আওয়ামী লীগ।লিংক - Click This Link
> বিশেষ সাক্ষাৎকার: হোসেন জিল্লুর রহমান - প্রতিযোগিতাহীন নির্বাচন দীর্ঘমেয়াদি সংকট তৈরি করবে - Click This Link
> দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন -‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাস রোধে দল মনোনীত প্রার্থীকে একজন করে ডামি প্রার্থী রাখার নির্দেশ শেখ হাসিনার - লিংক - https://www.ittefaq.com.bd/668137/
> যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ঘোষণায় বাড়ছে চিন্তা, গভীর সংকটের পথে অর্থনীতি - লিংক - https://www.ittefaq.com.bd/667418/
> লোভে পড়ে হঠাৎ জার্সি বদলে নির্বাচনী মাঠে - বেচাকেনার হাটেও অনিশ্চয়তা-
লিংক - Click This Link
পূর্ববর্তী পোস্ট -
===============
১৫। " আসন ভাগা-ভাগি (সিলেকশনে) কিংবা ভোটের আগেই বিজয়ী আওয়ামীলীগ "- এভাবে আর কত দিন?
Click This Link
১৪।"জাতীয় নির্বাচন ২০২৪" - সমস্যা ও সমাধান, কোন পথে - কত দূর?।
Click This Link
১৩।" দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে আওয়ামীলীগ " এটা কিসের ইংগিত দেয়? - Click This Link
১২। "আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী" - আসুন একনজরে দেখি আমাদের স্বপ্নপুরীর সর্বশেষ অবস্থা।
Click This Link
১১।"স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের আলোচ্যসূচী" - সত্যিটা কি ? Click This Link
১০। " সংবিধান থেকে একচুলও নড়া হবে না" - নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাস্তবতা"- Click This Link
৯।"হিরো আলম কার প্রতিদ্বন্দ্বী " - Click This Link
৮। সেন্টমার্টিন দ্বীপ লিজ কিংবা বিক্রি - সত্যিটা কি ? - Click This Link
৭।আমেরিকার ভিসা নীতি বনাম বাংলাদেশের ভিসা নীতি-এর পর কি হবে?-
Click This Link
৬। আমার সোনার বাংলা কি কোটিপতি ও খেলাপি ঋণ তৈরীর কারখানা ? - Click This Link
৫। " রংপুর সিটি কর্পোরশন নির্বাচন - লাঙলের জয় ও নৌকা চতুর্থ " - কি বার্তা দেয় আমাদের? - Click This Link
৪। " বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন " - তুমি কার ? -
Click This Link
৩। সামাজিক রীতি-নীতি-শিষ্ঠাচার এখন যাদুঘরে - আপনি কি একমত ? -
Click This Link
২। বর্তমান সময়ে আমরা কি একটি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও দৃষ্টিশক্তি হীন জাতি বা প্রজন্মে পরিণত হচছি বা হতে যাচছি? -
Click This Link
১। আমাদের সমাজের সামাজিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা কি ভেঙে পড়ছে ? -
Click This Link
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন ভাই, আপনার সুচিন্তিত ও সত্য মন্তব্যের জন্য।
যেই দেশে এখনো কেন্দ্র দখল করে ভোট কেটে সংসদ নিবাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে দেশ শাসন করে সেই দেশ কবে সভ্য মানুষের কাতারে উঠবে?
- এটা পরিবর্তনের কোন সম্ভাবনাই নেই অন্তত ২১০০ সাল পর্যন্ত ( কারন - তাদের লক্ষ্য আগে ছিল ২০৪১ সাল যা এখন বর্ধিত করে ২১০০ সাল করা হয়েছে (ডেল্টা পরিকল্পনা অনুসারে)।
আপনার আমার এলাকাতে আমাদের পরিচিত মানুষই কেন্দ্র দখল করে। এরাই গলাবাজি করে, এরাই সমাজে বড় মানুষ, এরাই সমাজে মুরুব্বি। পুলিশ/প্রশাসন এরাই নিয়ন্ত্রন করে...
- কর্তার ইচছায় কর্ম করে ভাই।
মুরুব্বি-পুলিশ-প্রশাসন সবই কর্তার ইশারায় চলে। আর কর্তা ত ভাই একজনই --------------
যতদিন মানুষ ভোট দিতে না পারবে ততদিন রাজনিতিকরা সোজা হবেনা।
- আপনার আমার জীবদ্দশায় এ খায়েস (ভোট দেয়া) পূরণ হবার নয় ভাইজান।
জবাবদিহিতা না থাকলে কোনদিনই দেশের মানুষ ভালো থাকবেনা...
- জবাবদিহিতা ??????????????
এটা কি জিনিষ এবং কে কাকে করবে? কইনছেন দেহি
দায়িত্বশীলদের ভাষায়, " দেশের ৪ কোটি মানুষ ( ৪ ভাগের ১ ভাগ ) ইউরোপ আমেরিকার মানের জীবন যাপন করে। তাও বলেন জনগন ভাল নেই।
আপনাদের মত আমজনতাদের নিয়ে আর পারা যায়না
এত করেও নাম নেই ------------
২| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১২
মোগল সম্রাট বলেছেন:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য বিধি-ব্যবস্থা কায়েম করে, সেক্ষেত্রে লাভবান হবে চীন। কারণ, এর ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য আরও চীনের দিকে ঝুকে পড়বে। ফলে ভারতের সঙ্গে সহমত পোষণ করা ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নিরাপদ দূরত্বের অবস্থান করছে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মোগল সম্রাট ভাই, আপনার মন্তব্যের জন্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি বাংলাদেশের ব্যাপারে বিভিন্ন ধরণের নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য বিধি-ব্যবস্থা কায়েম করে, সেক্ষেত্রে লাভবান হবে চীন। কারণ, এর ফলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার জন্য আরও চীনের দিকে ঝুকে পড়বে। ফলে ভারতের সঙ্গে সহমত পোষণ করা ছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামনে আর কোন বিকল্প নেই। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্র এখন বাংলাদেশের নির্বাচনের ব্যাপারে একটি নিরাপদ দূরত্বের অবস্থান করছে।
- এসব হিসাব-নিকাশের জটিলতার কারনেই তলে তলে সব কিছু হয়ে যাচছে মনে হয় ভাইজান।
কি আর করা।
পক্ষ-বিপক্ষ,দেশ-বিদেশের সবাই খেলবে যার যার আগ্রহ ও স্বার্থের দিকে লক্ষ্য রেখে আমজনতা-জনগনকে বল বানিয়ে।
আহা কি আনন্দ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
আকাশে বাতাসে।
৩| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫
মৃতের সহিত কথোপকথন বলেছেন: প্যাঁচা কয় প্যাঁচানী,
খাসা তোর চ্যাঁচানি
আপনার পোস্ট গুলা পড়লাম। ভালো লিখেছেন।
গণতন্ত্রই একটি রাষ্ট্রের উন্নতির চাবিকাঠি। যেখানে জবাবদিহিতা থাকবে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ মৃতের সহিত কথোপকথন , আপনার মন্তব্যের জন্য।
" প্যাঁচা কয় প্যাঁচানী, খাসা তোর চ্যাঁচানি " - আপনার পোস্ট গুলা পড়লাম। ভালো লিখেছেন
- , কিতা কইতাম , বুঝতেছিনা
লেখা পড়েছেন - তার জন্য শুকরিয়া ।
আমজনতার লেখা ও পড়া ছাড়া ( প্রয়োগের সুযোগ নেই ) আর কিই বা করার আছে - কইনছেন দেহি।
গণতন্ত্রই একটি রাষ্ট্রের উন্নতির চাবিকাঠি। যেখানে জবাবদিহিতা থাকবে।
- আমাদের দেশে ১৬ আনা নয় , ১৮ আনা গণতন্ত্র আছে ।
আর তাইতো দেশ এগিয়ে যাচছে উন্নয়নের জোয়ারে। আর জবাবদিহিতা - ১৬ আনা খাঁটি শুধু ঝাঁজ একটু বেশী - এই যা।
৪| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:২৫
কামাল১৮ বলেছেন: যতদিন বিএনপি ভোটে না আসবে অথবা অন্য একটা পার্টি মেরুদন্ড নিয়ে দাড়িয়ে না যাবে ততদিন ভোট এমনই হবে।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:১০
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল১৮ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য।
যতদিন বিএনপি ভোটে না আসবে অথবা অন্য একটা পার্টি মেরুদন্ড নিয়ে দাড়িয়ে না যাবে ততদিন ভোট এমনই হবে।
- বর্তমানে প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতি যতদিন চালু থাকে/থাকবে, ততদিন নির্বাচন/ভোট এরকমই হবে।
তা সে আওয়ামীলীগ-বিএনপি কিংবা অন্য যে কোন সরকারই ক্ষমতায় থাকুক না কেন।
কারন - প্রচলিত নির্বাচনী পদ্ধতিতে ক্ষমতাশীন দল/সরকারকে সীমাহীন ক্ষমতার সাথে সাথে জবাদিহীতার সীমিত পরিসর কিংবা জবাবদিহীতার উর্ধে থাকার সুযোগ করে দেয়।জনগনের কাছে সরকারের জবাবদিহীতার প্রশ্ন তখনই আসে যখন জনগনের ভোটাধিকার থাকে। এখন জনগনের ভোটে সরকার নির্বাচিত হয়না বা সরকারকে জনগনের প্রয়োজন হয়না। আর তাই যা তাদের ইচছা তাই করতে পারে নিজেদের খেয়াল খুশিমত।
অন্যদিকে - আওয়ামীলীগ এবং বিএনপির বাইরে শয়ে শয়ে কিংবা কিংস পার্টি সুলভ যত রাজনৈতিক দলই হোক না কেন সারাদেশে তাদের কোন গ্রহনযোগ্যতা কখনোই হবেনা । আর জাতীয় পার্টি হয়ত এবারই ইতিহাসের খাতায় উঠে যেতে পারে ,যদিনা আওয়ামীলীগের সাথে জোট না হয়। কারন - ভোটে হয়ত তাদের খুব বেশী হলে রংপুর এলাকা সহ সারাদেশে ৫-১০ টি আসন পেতে পারে। আর ইনু-মেনন এরা জামানত হারাবে।
কাজেই - ন ডরাই হাসিনা ( আওয়ামীলীগের ভয় নাই , শত বছরের ক্ষমতার ওয়ারেন্টি/ নিশ্চয়তা তাদের আছে , যদিনা আমেরিকা কচচপ কামড় দেয় ------------------
৫| ২৭ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: নির্বাচন না দিয়ে শেখ হাসিনাই থাকুক প্রধানমন্ত্রী। শুধু শুধু এত এত কোটি টাকা খরচ করার কোনো মানে হয় না। কারন যতদিন শেখ হাসিনা বেচে আছেন, ততদিন আর কেউ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।
২৮ শে নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৬
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর ভাই , আপনার সবচেয়ে সঠিক মন্তব্যের জন্য।
নির্বাচন না দিয়ে শেখ হাসিনাই থাকুক প্রধানমন্ত্রী। শুধু শুধু এত এত কোটি টাকা খরচ করার কোনো মানে হয় না। কারন যতদিন শেখ হাসিনা বেচে আছেন, ততদিন আর কেউ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবে না।
- ভাই - আমিও এটাই বলতে চাই যে, বাংলাদেশ নামক এই বদ্বীপকে সালতানাতে মুজিব ঘোষনা করা হউক , সকল বিরোধী রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হউক । শুধু গৃহপালিত বিরোধী ইনু-মেনন-দেবর-ভাবী থাকবে এবং শেখ মুজিবের বংশধরদের বংশানুক্রমিকভাবে (হাসিনা-হাসিনার বেটা/বেটি - তাদের বেটা/বেটি ----তাদের-- তাদের - তাদের । এভাবে হাজার বছর চলবে) বৈধ শাসক ঘোষনা করা হউক। তাতে করে দেশের হাজার কোটি টাকার সাথে সাথে বহু মানুষ বেঁচে যাবে হামলা-মামলা ও প্রশাসনিক হয়রানি থেকে।
এবং এটাও দিবালোকের মত সত্যি বর্তমানে দেশ যেভাবে চলছে তাতে করে আওয়ামীলীগ তথা শেখ হাসিনা নিজ থেকে ক্ষমটা না ছাড়লে/না চাইলে হাজার বছরেও দেশে ক্ষমতার পরিবর্তনের কোন সুযোগ হবেনা। আর শেখ হাসিনারও এমন কোন কারন নেই ক্ষমতা নিজ থেকে ছেড়ে দেয়ার।
কারন - দেশ তাহার বাবার এবং সেই একমাত্র হকদার মানুষ যার দেশ সেবার হক ষোল আনা ।
বাকী সব মূর্খ --রাজাকার।
আহা কি আনন্দ
আকাশে-বাতাসে।
ক্ষমতার পরশে
৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৫৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: নির্বাচন নিয়ে এসব তেলেসমাতি কাজ-কারবার দেখে বোধকরি সরকারের অন্ধ সমর্থকেরাও এখন লজ্জা অনুভব করতে শুরু করেছে।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:১৫
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
নির্বাচন নিয়ে এসব তেলেসমাতি কাজ-কারবার দেখে বোধকরি সরকারের অন্ধ সমর্থকেরাও এখন লজ্জা অনুভব করতে শুরু করেছে।
- কি বলব ভাই
লজ্জা আমাদের এমনিতেই কমে গেছে আর বিগত ১৫ বছর যাবত লজ্জা বোধহয় বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে লজ্জিত হওয়ার হাত থেকে বেঁচেছে।
কারন - ক্ষমতাশীনরা তথা আওয়ামীলীগ যেভাবে দেশের মাঝে মানুষে মানুষে বিভাজন ও চর দখলের মত দেশের শাসন ক্ষমতা দখলের সংস্কৃতি চালুর সাথে সাথে সমাজের সকল ক্ষেত্রে নির্লজ্জভাবে মিথ্যাচার-দলীয়করন সহ ইলেকশন নিয়ে সিলেকশন-্সিলেকশন খেলা চালু করেছে, তাতে লজ্জা বিবি দেশে থাকলে লজ্জায় মরে যেত।
আমরা আমরাই।
আর তাইতো লজ্জা লজ্জা পেলেও আমাদের কোন লজ্জা নেই বা লজ্জিত হওয়ার মত কোন কারনও নেই।
৭| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:২২
আঁধারের যুবরাজ বলেছেন: খায়রুল আহসান বলেছেন: নির্বাচন নিয়ে এসব তেলেসমাতি কাজ-কারবার দেখে বোধকরি সরকারের অন্ধ সমর্থকেরাও এখন লজ্জা অনুভব করতে শুরু করেছে।
নির্লজ্জ না হলে অন্ধসমর্থক হওয়া যায় না।
১০ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ধন্যবাদ আঁধারের যুবরাজ ভাই , আপনার মন্তব্যের জন্য এবং দুঃখিত দেরিতে জবাবের জন্য।
নির্লজ্জ না হলে অন্ধসমর্থক হওয়া যায় না।
- ভাইজান আপনি হাচা কথাই কইছেন । তয় একটা কতা -
দেশ সেবার মহান পেশায় একটু নির্লজ্জ না হলে কি চলে??????????????
আর এখন যেহেতু ইলেশন নয় সিলেকশনই শেষ কথা সেই হেতু দলের জন্য চরম অন্ধসমর্থকের ভেক (দেখানো) না ধরলে কি সিলেকশনে আসবে না পীর পরিবারের নেক নজরে আসবে। আর পীরানে পীরের নেক নজরে সেই আসে যা বোধ-বুদ্ধি তথা হায়া (লইজ্জা) কম এবং যে সমানে মৃত্মৃ-মৃতপ্রায় বিরোধীদের সেইরম আপপায়ন করতে পারে ( কথায় এবং কাজে)।
আর এতসব মহান কাজে লইজ্জার কোন স্থান আছে বলে মনে হয়না।
কারন - লইজ্জা থাকলে সে কিভাবে এইসব খেলায় শরীক হইবে ------------------
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:১১
নতুন বলেছেন: যেই দেশে এখনো কেন্দ্র দখল করে ভোট কেটে সংসদ নিবাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে দেশ শাসন করে সেই দেশ কবে সভ্য মানুষের কাতারে উঠবে?
আপনার আমার এলাকাতে আমাদের পরিচিত মানুষই কেন্দ্র দখল করে।
এরাই গলাবাজি করে, এরাই সমাজে বড় মানুষ, এরাই সমাজে মুরুব্বি।
পুলিশ/প্রশাসন এরাই নিয়ন্ত্রন করে...
যতদিন মানুষ ভোট দিতে না পারবে ততদিন রাজনিতিকরা সোজা হবেনা।
জবাবদিহিতা না থাকলে কোনদিনই দেশের মানুষ ভালো থাকবেনা...