নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাংলাদেশের আইন কানুন

বাংলাদেশের আইন কানুন › বিস্তারিত পোস্টঃ

জমির ভুয়া দলিল বাতিলের পদ্ধতি

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩১

অপরের সম্পত্তি প্রতারণা করে নিজ নামে বাগিয়ে নেয়ার জন্য নানা কৌশলে সৃজন করা হয় জাল দলিল। কখনও নিরক্ষর মালিককে প্রলোভন দেখিয়ে কখনও বা জমি মালিকের অজান্তে অন্য লোককে মালিক সাজিয়ে গোপনে জাল দলিল তৈরি করা হয়।



জাল দলিল যেভাবেই সৃজন করা হোক না কেন, জাল দলিল জমির মূল মালিক বা তার ওয়ারিশদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
জাল দলিল সম্পর্কে জানার তিন বছরের মধ্যে দেওয়ানি আদালতে ওই জাল দলিল বাতিলের জন্য মামলা দায়ের করতে হবে। দলিল বাতিলের সঙ্গে সঙ্গে সম্পত্তির দখল পাওয়ার মামলা করাও সমীচীন হবে।

(১) জাল দলিল রেজিস্ট্রি হয়ে থাকলে তা বাতিলের মামলা করা যাবে সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ১৮৭৭ এর ৩৯ ধারা অনুসারে দেওয়ানি আদালতে।
(২) আদালত বিচার শেষে যো ডিক্রি প্রদান করবেন তার একটি নকল সংশ্লিষ্ট রেজিস্ট্রি অফিসে প্রেরণ করতে হবে। উক্ত নকলের কপি পেয়ে রজিস্ট্রারিং অফিসার সংশ্লিষ্ট বালাম বহিতে দলিল বাতিলের বিষয়টি লিটিবদ্ধ করে রাখবেন।

(৩) জাল দলিল বাতিল না হলে যিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন তিনি এ মামলা করেত পারেন। অর্থাত সম্পত্তিতে যার স্বার্থ আছে তিনিই কেবল এ মামলা করতে পারবেন।
(৪) একাধিক ব্যক্তি পক্ষ হলে তাদের সবাই বা যে কোন জন মামলা করতে পারবেন।
(৫) সম্পত্তির মালিক বেঁচে না থকলে ভবিষ্যত উত্তরাধিকারী মামলা করতে পারবেন।
(৬)নাবলকের সম্পত্তি জাল দলিলের মাধ্যমে হাতিয়ে নিলে ঐ নাবালকের অভিবাবক বা ঐ নাবালক সাবালকত্ব অর্জনের পর সে নিজে মামলা করতে পারবেন।

(৭) যিনি কোন দলিলকে জাল বা জোর পূর্বক সম্পাদিত বলে দবি করবেন তাকে তার দবির সত্যতা প্রমাণ করতে হবে।
(৮)দলিল বাতিলের মামলা করার জন্য কোর্ট ফি আইনের দ্বিতীয় তফসিলে ১৭(৩) অনুচ্ছেদ উল্লিখিত হারে কোর্ট ফি প্রদান করতে হবে।
(৯) জাল দলিল সম্পর্কে জানার ৩ বছরের মধ্যে ঐ দলিল বাতিলের মামলা করতে হাবে। নচেত তা তামাদি দোষে বাতিল হবে
(১০) দলিল আংশিক বাতিলের মামলা করা যাবে (সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইন ৪০ ধারা)।
(১১) দলিল বাতিলের মামলার সাথে অন্য প্রতিকার যেমন-দখল পাবার প্রার্থনাও কারা যাবে তবে এর জন্য অতিরিক্ত কোর্ট ফি দিতে হবে। (কোর্ট ফি আইন ৭(৪)(গ) ধারা)।
(১২) জাল দলিল বাতিলের মামলা ছাড়াও দলিল জারকারীর শান্তি দাবি করে ফৌজদারি আদালতে দন্ড বিধির ৪০৬/৪২০/৪৬৩-৮৭৩ ধারায় মামলা করা যাবে।

এই বিষয়ে আর কোন পরামর্শের জন্য ফোন করুন এই নম্বরে- 01677-125666

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৪০

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: প্রয়োজনীয় পোস্ট।

ধন্যবাদ বাংলাদেশের আইন কানুন।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৮:২৯

শরতের ছবি বলেছেন: ভাল পোস্ট ।সংগ্রহে রাখলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.