নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ট্রাভেলার, ফটোগ্রাফার, সাইক্লিষ্ট, ম্যারাথন রানার, বইপোকা। পেশায় ইঞ্জিনিয়ার হলেও হবু কর্পোরেট ;)

বর্ন ট্রাভেলার সোহান

তীব্র গন্ধযুক্ত হাস্নাহেনা, কিংবা তীব্র কোনো সোডিয়াম বাতির নিচে হয়ত আমায় পাবে। কিন্তু আর দশটা ধবধবে আলো দেয়া ল্যাম্পপোষ্টের নিচে আমায় পাবে না। আর দশটা মানুষও আমার মতো হবে না :)

বর্ন ট্রাভেলার সোহান › বিস্তারিত পোস্টঃ

ষাট গম্বুজ মসজিদ (প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক ভালোবাসা)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:১৫


ছোটোবেলায় ক্লাস ৯-১০ এর ইংরেজী বইয়ে একটা লেসন ছিলো - "Bagerhat - A place of historical interest",সেবার এই Passage টা পুরোটা মুখস্ত করেছিলাম। সেখানেই ঘটলো যত্তো বিপত্তি। বাগেরহাট এর সবকিছুর প্রতি অনেক মায়া অনুভব করতে থাকলাম। একটা আগ্রহ সবকিছু ঘুরে দেখার। তো সারাদেশে অসংখ্য স্থাপনা দেখার পরও যাকে কেন্দ্র করে সেসব আগ্রহের শুরু তা দেখা হয়নি। তাই ছুটে গেলাম - খান জাহান আলী'র বাগেরহাটে :)

খান জাহান আলী কতৃক তৈরী মসজিদগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বেশী সুন্দর ও কারুকার্যমন্ডিত। আকৃতিতেও এটি বিশাল। ধারণা করা হয় তিনি ১৫শ শতাব্দীতে এটি নির্মাণ করেন। এ মসজিদটি বহু বছর ধরে ও বহু অর্থ খরচ করে নির্মাণ করা হয়েছিল। পাথরগুলো আনা হয়েছিল রাজমহল থেকে। এটি বাংলাদেশের তিনটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের একটির মধ্যে অবস্থিত; বাগেরহাট শহরটিকেই বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে ইউনেস্কো এই সম্মান প্রদান করে। মসজিদটি উত্তর-দক্ষিণে বাইরের দিকে প্রায় ১৬০ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ১৪৩ ফুট লম্বা এবং পূর্ব-পশ্চিমে বাইরের দিকে প্রায় ১০৪ ফুট ও ভিতরের দিকে প্রায় ৮৮ ফুট চওড়া। দেয়ালগুলো প্রায় ৮·৫ ফুট পুরু।

মসজিদটির নাম ষাট গম্বুজ (৬০ গম্বুজ) মসজিদ হলেও এখানে গম্বুজ মোটেও ৬০টি নয়,বরং গম্বুজ সংখ্যা ৭৭টি। ৭৭টি গম্বুজের মধ্যে ৭০ টির উপরিভাগ গোলাকার এবং পূর্ব দেয়ালের মাঝের দরজা ও পশ্চিম দেয়ালের মাঝের মিহরাবের মধ্যবর্তী সারিতে যে সাতটি গম্বুজ সেগুলো দেখতে অনেকটা বাংলাদেশের চৌচালা ঘরের চালের মতো। মিনারে গম্বুজের সংখ্যা ৪ টি-এ হিসেবে গম্বুজের সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৮১ তে । তবুও এর নাম হয়েছে ষাটগম্বুজ। ঐতিহাসিকরা মনে করেন, সাতটি সারিবদ্ধ গম্বুজ সারি আছে বলে এ মসজিদের সাত গম্বুজ এবং তা থেকে ষাটগম্বুজ নাম হয়েছে। আবার অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন, গম্বুজগুলো ৬০ টি প্রস্তরনির্মিত স্তম্ভের ওপর অবস্থিত বলেই নাম ষাটগম্বুজ হয়েছে :)

এছাড়াও আছে বাগেরহাট জাদুঘর একই স্থানেই ;)

মসজিদটির পিছনে আছে ঘোড়ার দিঘী নামে বিশাল এক দিঘী। কথিত আছে এই দিঘী খননের পর প্রথমে পানি ওঠেনি। পরে খান জাহান আলী ঘোড়া নিয়ে এই বিশাল দিঘীতে চড়ে বেড়ান। অতঃপর পানি উঠতে শুরু হয় :)
কষ্ট করে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। এই শহরে আরো অনেক প্রাচীন স্থাপনা রয়েছে। সেসব নিয়ে একদিন লিখবো =p~

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

পবিত্র হোসাইন বলেছেন: অনেক ভালো লিখেন আপনি। এভাবে লিখে যান। শুভকামনা রইলো।

ছবিগুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩

বর্ন ট্রাভেলার সোহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া। চেস্টা করেছি কিছু জিনিস গুছিয়ে লিখতে, কিন্তু লেখার পরই মনে হয় কত্তো অগোছালো রয়ে গেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার লোভে ঘুরছি দেশের এমাথে থেকে ওমাথা। লিখবো আবার ইনশাহ-আল্লাহ :)

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০৪

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
হ্যাপি ব্লগিং।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৫

বর্ন ট্রাভেলার সোহান বলেছেন: ধন্যবাদ ভাইয়া :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.