![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তীব্র গন্ধযুক্ত হাস্নাহেনা, কিংবা তীব্র কোনো সোডিয়াম বাতির নিচে হয়ত আমায় পাবে। কিন্তু আর দশটা ধবধবে আলো দেয়া ল্যাম্পপোষ্টের নিচে আমায় পাবে না। আর দশটা মানুষও আমার মতো হবে না :)
প্রথম দিন প্রায় ১২ঘন্টা ট্রেক করে অব অবস্থা যখন কুপোকাত, তখন ২য় দিন সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠে প্রিপারেশন নিতে থাকি দেবতা পাহাড় জয় করে #অপার্থিব_আমিয়াকুম দেখার। সবাই একে-একে রেডি হয়ে ৮টার মধ্যে বের হয়ে পড়ি #আমিয়াকুম দেখার জন্যে।
কয়েকবার ঝিরি ও পাহাড় পাড়ি দিয়ে প্রায় ১ঘন্টা পর গাইড আমাদের বললো এটাই #দেবতা_পাহাড় :O । এবার নামতে হবে। যেখানে দাঁড়িয়ে ছিলাম, দেখে মোটেই মনে হয়নি এই পাহাড় বেয়ে নামতে রুদ্ধশ্বাস শুরু হয়ে যাবে। নামতে শুরু করতেই তা টের পেতে থাকলাম।
ছবিঃ দেবতা পাহাড়ের মাঝামাঝি থাকা অবস্থায় বিপরীর প্বার্শের পাহাড় আর আকাশের মিতালি দেখে চোখ আটকে যায়, ছবি তুলতে তাই এক মুহূর্তও দেরী করিনি
হাতে থাকা লাঠিতে ভর দিয়ে, কখনও পাশের গাছ-লতাপাতা ধরে, কখনও ছেচড়িয়ে নামতে থাকি ৭০-৮০ ডিগ্রী খাঁড়া পাহাড় বেয়ে। খাঁড়া আর নুড়ি পাথরে আচ্ছাদিত পিচ্ছিল এই #১৯০০_ফুট উচ্চতার #দেবতা_পাহাড়ে অনেক ঝুকিপূর্ণ পথ বেয়ে নিচে নামতে থাকি
কিছু কিছু স্থানে পড়ে গেলেই শেষ, শেষ মানে একদম শেষ। পাহাড়ের উপর থেকে নিচে কি আছে দেখা যায়না। এই পথে প্রায় ২ঘন্টা সময় লাগে পাহাড় থেকে নামতে। পাহাড় ধ্বসে যাওয়ার জন্য এক জায়গায় নামতে অনেক বেশী সময় লেগেছে। নিচে নেমেই পেয়ে যাই #ভেলাখুম থেকে আসা পানির ধারা যা #আমিয়াকুম যেয়ে পড়েছে।
নিচে নেমে এই সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যাই। খালের মাঝে বড় বড় পাথর যেনো সেই খালের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। কিছু ছবি তুলে চলে যাই #আমিয়াকুম।
আহা আমিয়াকুম
এটা দেখার জন্য এতো কস্ট, এতো প্রতীক্ষা। মূলত #আমিয়াকুম এর পিছনে যেই বিশাল পাহাড় দেখা যায়, সেটাই #দেবতা_পাহাড়। এই পাহাড় কুমের সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। বসে থাকি কিছুক্ষণ এই অবিরাম জলরাশির দিয়ে তাকিয়ে। এরপর কিছু ছবি তুলে আমরা আবার ১৯০০ফুট উচ্চতার #দেবতা পাহাড় বেয়ে উপরে উঠে আসি।
এই পথে আসার সময় আরো ১.৩০ ঘন্টা ট্রেইল করে একটা নতুন ঝর্ণায় যাই। ঝর্ণায় যাবার পথ সংকীর্ণ দেখেই বোঝা যায় খুব কম মানুষ এটায় আসেন। ঝিরিপথ ছিলো অপরূপ।
এটার নাম #নাইক্ষ্যাং_ঝর্ণা
বিশাল উঁচু পাহাড় থেকে জলরাশি নিচে পড়ে দুই ভাগে ভাগ হয়ে নামছে ঝিরিতে। কি সুন্দর! এখানে গোসল করে আমরা বিকেল ৫.৩০ এর দিকে সেদিন #থুইসা_পাড়া তে ফিরে আসি। এসেই পাহাড়ী চালের ভাত, ডাল, মুরগী আর আল্ভর্তা দিয়ে অমৃত খেয়ে তবেই শান্তি। ৩য় রাতে এখানেই থাকবো।
চলবে---
১ম পর্ব পাবেন এখানেঃ Click This Link
৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ২:০০
বর্ন ট্রাভেলার সোহান বলেছেন: একটু সমস্যা সাথে ফিমেল কেও থাকলে, আর যদি আগে হাটার অভিজ্ঞতা না থাকে।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১৮
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাহ! কি দারুন প্রকৃতি!
হাজার কষ্টের পর এমন দৃশ্যে বুঝি মন আপনাতেই ভাল হয়ে যায়!!!
+++++
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
বর্ন ট্রাভেলার সোহান বলেছেন: জ্বি ভাইয়া , একদম।
৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:৩৮
মোঃ ফখরুল ইসলাম ফখরুল বলেছেন: সুন্দরী বান্দরবান
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: আমি গিয়েছি কিন্তু সাথে বউ নিয়ে গিয়েছি বলে কিছুই পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখতে পারিনি।